পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

পরীক্ষা নিয়েই ৩ কলেজে ভর্তির অনুমতি

1423818030মাধ্যমিকে ফলাফলের ভিত্তিতে একাদশ শ্রেণীতে কলেজের ভর্তির নিয়ম থাকছে না রাজধানী ঢাকার তিন নামি কলেজে। তারা ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে একাদশ শ্রেণীতে ছাত্র-ছাত্রী নিতে পারবে বলে অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট।
কলেজ তিনটি হলো- নটরডেম, হলিক্রস ও সেন্ট জোসেফ কলেজ। এ তিনটি কলেজই খ্রিস্টান মিশনারিজ নিয়ন্ত্রিত।
সোমবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের অবকাশকালীন বেঞ্চে ওই তিন কলেজের অধ্যক্ষের করা আবেদনের শুনানি হয়। পরে ওই আদালত এ তিন কলেজের ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে দেন।

Posted in জাতীয়, শিক্ষা ও সংস্কৃতি | Comments Off on পরীক্ষা নিয়েই ৩ কলেজে ভর্তির অনুমতি

জনির সাফল্যের গল্প

ঢাকা: কাঠের পিঁড়িতে ভর করে চলা শারীরিক প্রতিবন্ধী আতিকুল ইসলাম জনি (১৭) কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এ গ্রেডে পাশ করেছে। 27469_1
জনির বাড়ি বগুড়ার ধুনট উপজেলার শিমুলবাড়ি গ্রামে। এক বছর আগে বিনা চিকিৎসায় বাবা মোখলেসুর রহমান মারা গেছেন। মা কাজুলী বেগম পরের বাড়িতে কাজ করেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে জনি ছোট। অভাব অনটনের সংসার। শুধু রয়েছে মাথা গোজার ঠাঁই চার শতকের বসতভিটা।

সে ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ি আব্দুল ওয়াদুদ কারিগরি স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
মা কাজুলী বেগম বলেন, জন্মের পর ছোট আকারের দুই পা নাড়াতে পারেনি জনি। শরীরের সঙ্গে দুইটি পায়ের বাঁকা পাতা ঝুলছে। পিঁড়েতে ভর করে হামাগুড়ি দিয়ে চলা ফেরা করতে হয়। চলাচলের সামর্থ না থাকলেও ছেলের অদম্য ইচ্ছায় বাড়ির পাশে শিমুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করেন তাকে। এর পর থেকে শুরু হয় মায়ের কোলে চড়ে স্কুলে যাতায়াত। এভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষ করে ভর্তি হয় গোসাইবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে ২০১১ সালে জেএসসি পরীক্ষায় চার দশমিক উনচল্লিশ পয়েন্ট পেয়ে কৃতকার্য হয়। এরপর অভাবের কারনে আর স্কুলে যাওয়া হয়নি। দুই বছর পর আবারো ভর্তি হয় গোসাইবাড়ি আব্দুল ওয়াদুদ কারিগরি স্কুলে।

এসএসসি পাশের খবর পেয়ে স্বনজদের মুখে হাঁসি ফুটেছে। কিন্ত এ সাফল্য জনির মনে আনন্দের পরিবর্তে বয়ে এনেছে দুশ্চিন্তা। কারন জনি লেখাপাড়া করে আদর্শ শিক্ষক হতে চায়। হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান জনির উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন আদৌ পুরন হবে কিনা এ নিয়ে সংশয় সৃষ্টি দিয়েছে। জনির সহপাঠিরা পরীক্ষায় পাশ করে পাড়ার সব মানুষের মাঝে মিষ্টি বিতরন করছে। জনিরও আশা ছিল সহপাঠিদের মতোই পাড়ার মানুষকে মিষ্টি খাওয়াবে। কিন্তু সে ভাগ্য তার নাই। ওই দিন তার ঘরে মিষ্টি কেনার টাকা ছিল না। আনন্দ করতে পাড়ার অনেকেই তার বাড়ীতে এসেছিলেন। কিন্ত তাদের আনন্দের ভাগিদার করতে পারেনি। তবে এক সময় হয়তো বিধবা মায়ের এই কষ্টও মুছে দিতে পারবে। এ আশাই তার মায়ের শান্তনা।

আতিকুল ইসলাম জনি জানায়, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়-এ কথা আমি বিশ্বাস করি। কারন আমার প্রবল ইচ্ছাকে দারিদ্রতা হার মানাতে পারেনি। তাই আজ আমার এ সাফল্য। আমার এ সাফল্যের জন্য শিক্ষক, মা ও বড় ভাই সবচেয়ে বেশী অনুপ্রেরনা রয়েছে। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

Posted in তথ্যপ্রযুক্তি, শিক্ষা ও সংস্কৃতি | Comments Off on জনির সাফল্যের গল্প

ভালো কলেজে স্থান পাবে না ৬২ হাজার মেধাবী

image_982_126468নিউজ ডেস্ক : এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েও মানসম্মত কলেজে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে প্রায় ৬২ হাজার শিক্ষার্থী। এবার দশ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

সরকার ইতিমধ্যে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির নীতিমালা ঘোষণা করেছে। ঘোষণা অনুযায়ী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা আগের মতোই এসএমএস পদ্ধতির বাইরে অনলাইনেও ভর্তি হতে পারবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে চূড়ান্ত করেছে।
এদিকে ফল প্রকাশের দিন থেকে পছন্দের বিভিন্ন কলেজে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিকালে নটর ডেম, ভিকারুননিসা, রাজউক উত্তরা মডেলসহ সরেজমিন কয়েকটি কলেজে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা ভর্তি ও আসন সংখ্যাসহ নানা বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে।
এবার এসএসসি পরীক্ষায় ৯৩ হাজার ৬৩১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর বাইরে রয়েছে মাদ্রাসা বোর্ডে ১১ হাজার ৩৩৮ ও কারিগরি বোর্ডে ৬ হাজার ৯৩২ জন। এছাড়া জিপিএ-৪ পর্যন্ত পেয়েছে সাড়ে ৪ লাখ ৮০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, মূলত এই দুটি ক্যাটাগরির শিক্ষার্থীর ভর্তির লক্ষ্য থাকে নামকরা বা ভালো কলেজ। অন্যদিকে রাজধানী ও বিভাগীয় শহরগুলোসহ সারা দেশে জেলা পর্যায়ে ভালো কলেজের সংখ্যা বেশ কম। বাংলাদেশ শিক্ষা, তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) হিসেবে দেখা গেছে, সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তিযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তিন হাজার ৭৫৭টি। যার মধ্যে মানসম্মত কলেজের সংখ্যা মাত্র পৌনে দুইশ। এসব কলেজে আসন সংখ্যা ৫০ হাজারের মতো। অথচ এবছর কেবল এসএসসি পরীক্ষায় ৯৩ হাজার ৬৩১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর বাইরে রয়েছে মাদ্রাসা বোর্ডে ১১ হাজার ৩৩৮ জন। আর কারিগরি বোর্ডে ৬ হাজার ৯৩২ জন। সবমিলে এবার এসএসসি ও সমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ধারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা সর্বমোট ১ লাখ ১১ হাজার ৯০১ জন। এসব শিক্ষার্থী যদি কলেজে ভর্তির জন্য ভিড় করে, ভালো কলেজে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে প্রায় ৬২ হাজার শিক্ষার্থী। এ অবস্থায় জিপিএ-৫ এর নিচে জিপিএ-৩.৫ পর্যন্ত মধ্যম মানের শিক্ষার্থীদের জন্য অপেক্ষা করছে ঘোর অনিশ্চয়তা আর ত্রাহি অবস্থা।
আবার এসএসসির পরে ঢাকাসহ বিভাগীয় বড় কলেজে শিক্ষার্থীদের ভিড় করতে দেখা যায় ভর্তির জন্য। কিন্তু শুধু জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদেরই সুযোগ করে দেয়ার মতো প্রতিষ্ঠান ঢাকা ও দেশের বড় শহরগুলোয় নেই। ব্যানবেইসের হিসাবে, ঢাকা বিভাগে ৭০টি, রংপুর বিভাগে রয়েছে ২৯টি, বরিশাল বিভাগে ১২টি, রাজশাহী বিভাগে পাঁচটি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৭টি, খুলনা বিভাগে ১১টি এবং সিলেট বিভাগে ২২টি মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব কলেজে স্ব স্ব বিভাগের জিপিএ-৫ ধারীরাও ভিড় করলে সবার সংস্থান হবে না। সে ক্ষেত্রে বাকিদের জন্য সুখবর তেমনটা নেই।
আবার রাজধানীতে মোট ১৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণী রয়েছে। এসব কলেজে মোট আসন আছে ৪৩ হাজার ৫১৯টি। এরমধ্যে ভালো মানের কলেজ আছে মাত্র ২০-২২টি, যেখানে আসন সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। বিপরীত দিকে ঢাকা বোর্ডেই এবার পাস করেছে ৩ লাখ ১০ হাজার ৪৬ জন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬ হাজার ৮০১ জন। আবার জিপিএ ৪ থেকে ৫ এর মধ্যে পেয়েছে ৯৬ হাজার ৬৬৭ জন। এ পরিসংখ্যান অনুযায়ী ঢাকার বাইরের শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ কতটা থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ভালো ফলের পর রাজধানীতে ছুটে আসাদের সুখবর নেই বললেই চলে। বরং জিপিএ-৪ এবং তারও কম নম্বর অর্জনকারীদের জন্য এ সংকট আরও তীব্র।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শনিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির পর্যাপ্ত সুযোগ দেশে রয়েছে। যে সংখ্যক শিক্ষার্থী পাস করেছে, তারচেয়ে বেশি আসন কলেজগুলোতে রয়েছে। ফলে ভর্তি নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।
ভর্তি নীতিমালা : এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া এবার মোবাইলে এসএমএস এবং ইন্টারনেটে অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের কলেজে এই দুই পদ্ধতিতেই আবেদন করতে পারবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে চূড়ান্ত করেছে। শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম ইসলাম খান জানিয়েছেন, এবার দেশের প্রত্যেকটি কলেজকেই এই দুই পদ্ধতির (মোবাইলে এসএমএস এবং ইন্টারনেটে অনলাইনে) ভর্তি কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের কলেজে হয় এসএমএসের মাধ্যমে নতুবা অনলাইনে আবেদন করবে। এই পদ্ধতি সাশ্রয়ী এবং শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ভোগান্তি কমাবে বলে মনে করেন তিনি।
– See more at: http://www.jugantor.com/first-page/2015/05/31/271768#sthash.Af1dKHzQ.dpuf

Posted in জাতীয়, শিক্ষা ও সংস্কৃতি | Comments Off on ভালো কলেজে স্থান পাবে না ৬২ হাজার মেধাবী

এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে ৬ জুন পর্যন্ত

1433002327নিউজ ডেস্ক : ২০১৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে আগামী ৬ জুন পর্যন্ত। শুধুমাত্র টেলিটক মোবাইল থেকে পরীক্ষার্থীরা এ আবেদন করতে পারবে।
শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে টেলিটক জানিয়েছে, পুনঃনিরীক্ষণের জন্য মোবাইলের মেসেজ অপশনের গিয়ে RSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। প্রতি বিষয় এবং প্রতিটি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা ফি গ্রহণ করা হবে।

ফিরতি এসএমএসে আবেদন বাবদ কত টাকা কাটা হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর দেওয়া হবে। এরপর আবেদন করতে ইচ্ছুক হলে RSC লিখে স্পেস দিয়ে YES লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। যেসব বিষয়ে দুটি পত্র (যেমন- বাংলা, ইংরেজি) রয়েছে সেসব বিষয়ে একটি বিষয় কোডের বিপরীতে দুটি পত্রের জন্য আবেদন হিসাবে গণ্য হবে এবং ফি হিসাবে ২৫০ টাকা ফি গ্রহণ করা হবে।

একই এসএমএসের মাধ্যমে একাধিক বিষয়ের আবেদন করা যাবে। সেক্ষেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে কমা (,) দিয়ে লিখতে হবে। আবেদন গ্রহণের পর সংশ্লিষ্ট বোর্ড পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট যোগাযোগ নম্বরে জানিয়ে দিবে।

Posted in শিক্ষা ও সংস্কৃতি | Comments Off on এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে ৬ জুন পর্যন্ত

৪৭ প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি

motijil-idiyal-2স্টাফ রিপোর্টার : এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৪৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো পরীক্ষার্থীই উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এর মধ্যে ৮টি সাধারণ বোর্ডে ৯টি ও মাদরাসা বোর্ডে ৩৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে শতভাগ অনুত্তীর্ণ কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই।
শনিবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ তথ্য জানান।
মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অর্ধীন এবারের দাখিল (এসএসসি সমমান) পরীক্ষায় অংশ নেয় ৯ হাজার ১৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে ৩৮টি থেকে কোনো ছাত্র বা ছাত্রী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ড থেকে ৪ হাজার ২০৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দু’টিতে কেউ পাস করেনি। যশোর বোর্ডের ২ হাজার ৪৬৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২টি এবং দিনাজপুর বোর্ডের ২ হাজার ৫৫০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫টিতে কেউ পাস করেনি। অবশ্য রাজশাহী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট শিক্ষাবোর্ডে শতভাগ অনুত্তীর্ণ কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই।
কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২ হাজার ৯০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশ কিংবা তার কম পাস করলেও ১০০ ভাগ অনুত্তীর্ণ হওয়া কোনো প্রতিষ্ঠান নেই।

Posted in শিক্ষা ও সংস্কৃতি | Comments Off on ৪৭ প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি

এসএসসিতে পাসের হার ৮৭.০৪

11111স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৮৭. ০৪ শতাংশ। মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৯০. ০২ শতাংশ। আর কারিগরিতে পাসের হার ৮৩.০১ শতাংশ।
মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ এগারো হাজার ৯০১ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল এক লাখ বেয়াল্লিশ হাজার ২৭৬ জন।
আটটি শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাস করেছে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষার্থীরা। বোর্ডটিতে ৯৪.৯৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে পনেরো হাজার ৮৭৩ জন। তবে ৯০.০২ শতাংশ পাস নিয়ে পাসের ‍হারে এগিয়ে আছে মাদ্রাসা বোর্ড।
অন্য সাতটি বোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৮.৬৫ শতাংশ। এ বোর্ডের মোট ৩৬ হাজার ৮০১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৮৪.২২। জিপিএ-৫ পেয়েছে দশ হাজার ১৯৫ জন। চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৮২.৭৭। জিপিএ-৫ পেয়েছে সাত হাজার ১১৬ জন। দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৮৫.০৫। জিপিএ-৫ পেয়েছে সাত হাজার ১১৬ জন। বরিশাল বোর্ডে পাসের ৮৪.৩৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন হাজার ১৭১ জন। সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৮১.৮২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ৫২ জন। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৮৪.০২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে সাত হাজার ১৮১ জন।
এ বছর মোট ১৪ লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১২ লাখ ৮২ হাজার ৬১৮ জন। এর মধ্যে পাঁচ হাজার ৯৫টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী শতভাগ পাস করেছে।

স্কুলে পাস করেছে নয় লাখ ৬১ হাজার ৪০৫ জন। পাসের হার ৮৬. ৭২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৩ হাজার ৬৩১ জন।
মাদ্রাসা বোর্ডে দুই লাখ ৫৪ হাজার ৬২২ জন পরীক্ষার্থী। জিপিএ-৫ এর সংখ্যা এগারো হাজার ৩৩৮ জন। কারিগরিতে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা ছয় হাজার ৯৩১ জন।
দেশের বাইরে আটটি কেন্দ্রের মধ্যে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল দুইশ’ ৯৯ জন। এর মধ্যে পাস করেছেন দুইশ’ ৯২ জন। পাসের হার ৯৭.৬৬ শতাংশ। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭২ জন।
গত বছর এসএসসিতে পাসের হার ছিল ৯১.৩৪ শতাংশ। শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজার ৯৩টি।
শনিবার (৩০ মে) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এসময় সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। পরীক্ষার ফল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও মোবাইলে এসএমএস করে ও ইন্টারনেটে পাওয়া যাবে।
বিগত কয়েক বছর ধরে পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করে আসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ৩ জুন পরীক্ষা শেষ হওয়ায় ৬০ দিন পূর্ণ হবে।
২০১৪ সালে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯৩.৯৪ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৯১.৪০ শতাংশ, রাজশাহীতে ৯৬.৩৪ শতাংশ, সিলেটে ৮৯.২৩, বরিশালে ৯০.৬৬, কুমিল্লায় ৮৯.৯২, যশোরে ৯২.১৯ ও দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৯৩.২৬ শতাংশ। এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮১.৯৭ শতাংশ।

Posted in জাতীয়, শিক্ষা ও সংস্কৃতি | Comments Off on এসএসসিতে পাসের হার ৮৭.০৪

১০ শিক্ষার্থীর ফল বাতিল

ssc-2চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেয়া ১০ শিক্ষার্থীর ফল বাতিল ও ছয় শিক্ষার্থীর ফল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো.শাহজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
টিসি জালিয়াতির অভিযোগে সাফা মোতালেব উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ জন, আসিয়া মোতালেব উচ্চ বিদ্যালয়ের ১ ও বাকলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২জনের ফল বাতিল করা হয়। এছাড়া রিট জালিয়াতির অভিযোগে খাজা আজমেরি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীর ফল বাতিল করা হয়।
অন্যদিকে ছয় শিক্ষার্থীর ফল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এরমধ্যে কামাল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ জন ও সাফা মোতালেব কলেজিয়েট স্কুলের একজন রয়েছেন।
এসব বিষয় নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান বাংলামেইলকে বলেন, ‘ছয় শিক্ষার্থীর টিসি ও চার শিক্ষার্থীর রিট জালিয়াতির সত্যতা পাওয়ায় ১০ জনের ফল বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া আরো ছয় জনের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তাদের ফল স্থগিত রাখা হয়েছে।’
এদিকে অনিয়মে যুক্ত বিদ্যালয়গুলোর প্রধানদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান।
প্রসঙ্গত নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ চার শিক্ষার্থীকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার আদেশ সংক্রান্ত হাইকোর্টের একটি রিটের কপি খাজা আজমেরী স্কুলে যায়। ১২০১৮/১৫ নম্বরধারী ওই রিটে স্কুলের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আবদুল রাসেল, দুর্জয় রায়, মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম ও মুনায়েম তাজওয়ার আবীরকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার আদেশ দেয়া হয়। এ রিটে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে চার সপ্তাহের রুলও জারি করার নির্দেশ দেয়া হয়।
গত ৫ এপ্রিল ৭ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর রিট ভুয়া হিসেবে শনাক্ত হওয়ার পর এসএসসির ওই চার পরীক্ষার্থীর রিটগুলোও যাচাই করে দেখার উদ্যোগ নেয় শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ। তদন্তে রিটগুলো ভুয়া হিসেবে শনাক্ত হয় বোর্ডের কাছে।

Posted in শিক্ষা ও সংস্কৃতি | Comments Off on ১০ শিক্ষার্থীর ফল বাতিল

ছাত্রীর মাথায় খুলে পড়ল ফ্যান

iu news-23.5._67020ইবি প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শ্রেণী কক্ষের সিলিং ফ্যান খুলে এক ছাত্রীর মাথায় পড়েছে। এতে শামীমা সুলতানা নামে ওই ছাত্রী আহত হয়েছেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান- শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে বসেছিলেন। এ সময় মাথার উপর ঘুরতে থাকা একটি সিলিং ফ্যান হঠাৎ খুলে গিয়ে শামীমা সুলতানার মাথায় পড়ে। এতে সে গুরুতর আহত হয়।
আহত শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে গ্রামের বাড়ি বগুড়ায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক স্বপন বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়ে আহত ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
মেডিকেল সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত প্রধান চিকিৎসক হোসেনে আরা আক্তার বলেন, ‘আঘাতটি মাথায় লাগায় একটু ফুলে গেছে। তবে সেটি গুরুতর নয়। যেহেতু আঘাতটি মাথায় হয়েছে তাই তাকে কিছু দিন বিশ্রামে থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া মাথায় সিটিস্ক্যান করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক জানান, ‘ঘটনার পরপরই মেয়েটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তাকে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Posted in শিক্ষা ও সংস্কৃতি | Comments Off on ছাত্রীর মাথায় খুলে পড়ল ফ্যান

স্কুল উপাধ্যক্ষ সহ-পুরুষকর্মীদের বহিস্কার

নিউজ ডেস্ক: এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির পর অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখে বিদ্যালয় থেকে সব পুরুষ কর্মচারীদের সরিয়ে নিয়েছে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ। ওই ঘটনা নিয়ে করা এক মন্তব্যের জন্য সমালোচনার মুখে থাকা উপাধ্যক্ষ জিনাতুন নেছাকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ ও ঘেরাওয়ের পর দুপুরে এই ঘোষণা দিয়ে অভিভাবকদের শান্ত করেন বেসরকারি এই বিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ম তামিম। শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, যৌন হয়রানির ঘটনার সত্যতা নেই বলে গণমাধ্যমে মন্তব্য করায় কয়েকজন নারী অভিভাবক তাদের গায়ে হাত তুলেছে। এছাড়া অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন অভিভাবকদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ায় পাল্টা বিক্ষোভ করেছে স্কুলের কর্মচারীরা। গত ৫ মে এই বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের শ্রমিকদের থাকার একটি কক্ষে প্রথম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার পর অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
Mohammadpur-Preparatory-ed
বিক্ষোভের মুখে একটি তদন্ত কমিটি করলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন বিষয়টি ধামাচাপা দিচ্ছে অভিযোগ তুলে শনিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। দুপুর পৌনে ১টার দিকে স্কুলের মাঠে অবস্থান নেওয়া অভিভাবকদের সামনে আসেন অধ্যক্ষ বেলায়েত। তিনি বলেন, শিশু নির্যাতনের ঘটনায় যে কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তার নাম গোপাল। তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া একজন অভিভাবককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে আরেক কর্মচারী শরীফুল ইসলামকেও সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এছাড়া তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি অভিভাবকদের বলেন, কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই তদন্ত কমিটিকে তিন দিন সময় দেওয়া হলেও তারা সেই সময়ে তদন্ত শেষ করতে পারেনি বলে অভিভাবকদের ক্ষোভ ছিল। তাছাড়া উপাধ্যক্ষ জিনাতুন নেছার এক মন্তব্যও তাদের ক্ষুব্ধ করেছিল।

অধ্যক্ষ মাঠ ছেড়ে স্কুল ভবনের তিন তলায় নিজের কার্যালয়ে যাওয়ার পথে কয়েকজন অভিভাবক তাকে লাঞ্ছিত করেন। তিনি ভাইস প্রিন্সিপালের কক্ষে আশ্রয় নিলে সেই কক্ষের জানালা-দরজার কাচ ভাংচুর করে অভিভাবকরা। এ অবস্থায় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজানসহ এলাকার বেশ কয়েকজন উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন। ততক্ষণে পুলিশও হাজির হয় ক্যাম্পাসে।
তবে পরিস্থিতি জটিলতার দিকে মোড় নিলে উপস্থিত হন স্কুলের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ম তামিম। তিনি বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলে অভিভাবকরা শান্ত হন।

অভিভাবকদের দাবির মুখে উপাধ্যক্ষ জিনাতুন নেসাকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘোষণা দেন তামিম। এছাড়া অধ্যক্ষ বেলায়েতসহ সংশ্লিষ্ট অন্যদেরও অব্যাহতি দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। তিনি বলেন, “ঘটনার পর থেকেই কলেজে-স্কুলে নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানে যত পুরুষ কর্মচারী ছিল, তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে মহিলা কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।”

অভিভাবকদের পক্ষ থেকে বাথরুম সমস্যাসহ নানা অভিযোগ আসার পরিপ্রেক্ষিতে সেগুলো সংস্কারেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তামিম। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন হয়েছে। রোববার এর শুনানি হতে পারে। এদিকে দুপুরে কয়েকজন শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রী হয়রানির ঘটনায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে-এই ঘটনার কোনো সত্যতা নেই। এই ঘটনার কথা তুলে স্কুলের ভেতরে বিক্ষোভ করে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে।

গণমাধ্যমে এই মন্তব্য করায় কয়েকজন নারী অভিভাবক এগিয়ে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীদের কয়েকজনকে চড় দেন। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরাও অবস্থান নিয়েছে স্কুল ভবনের দোতলায়। প্রয়োজনে ধর্মঘটে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া স্কুলের কর্মচারীরাও অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে ভবনের দোতলার একটি কক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বিকাল পর্যন্তও ভবনের নিচতলার বারান্দায় অবস্থান নিয়ে ছিলেন বিক্ষোভকারী অভিভাবকদের অনেকে।

Posted in শিক্ষা ও সংস্কৃতি | Comments Off on স্কুল উপাধ্যক্ষ সহ-পুরুষকর্মীদের বহিস্কার

ছাত্রীকে ধর্ষণের পর বিয়ে ও যৌতুক দাবি ঢাবি শিক্ষকের

15276ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালীন এমবিএ কোর্সের এক ছাত্রী। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে এ ছাত্রীকে বিয়ে করলেও পরে সে শিক্ষক আবার যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক পরিশোধ না করায় এখন তালাক দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন তিনি। অভিযুক্ত ওই শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের প্রভাষক আবু নাসের মুহম্মদ সাইফ।
ওই শিক্ষার্থী সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), সিন্ডিকেটের সদস্য, বিভাগীয় চেয়ারম্যান এবং প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ করে ঘটনার প্রতিকার চেয়েছেন। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যৌন হয়রানি ও নিপীড়নরোধ কমিটির প্রধান ড. নাসরীন আহমেদ বলেন, ‘এমন একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের ঘটনার জন্যে একটি সেল রয়েছে, সেহেতু সেলই তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে। তবে বিষয়টি আগে সিন্ডিকেট কিংবা ডিনস কমিটির সভায় উঠতে হবে। সেখান থেকে দিক নির্দেশনা দিলেই সেলটি কাজ শুরু করবে।’
তিনি ঘটনাটিকে ‘নোংরামি’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘তারা দেশে-বিদেশে নোংরামি করে বেড়াবে আর বিপদে পড়লেই আমাদের দ্বারস্থ হবে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আমজাদ আলী বলেন, ‘সম্প্রতি এ ধরনের একটি অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), সিন্ডিকেটের সদস্যবৃন্দ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান এবং সংশ্লিষ্টদের কাছে দিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন রোধে সেল রয়েছে, সেহেতু সেটি তারা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবে।
অভিযোগ সম্পর্কে মন্তব্য জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমআইএস বিভাগের প্রভাষক আবু নাসের মুহম্মদ সাইফের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যৌন নিপীড়নের লিখিত অভিযোগপত্রে এমআইএসের ইএমবিএ ১৯তম ব্যাচের ওই ছাত্রী বলেছেন, পড়াশোনায় সাহায্য করার জন্য মুহম্মদ সাইফ ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ভবনে তার কক্ষে (৬০১২নং) আমাকে প্রায়ই যেতে বলতেন। আমিও মাঝে মাঝে তার কক্ষে যেতাম। এ অবস্থার সুযোগ নিয়ে গত বছরের ২৪ নভেম্বর তিনি আমাকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে ঘটনাটি বন্ধু-বান্ধবদের জানাতে চাইলে তিনি আমাকে বিয়ে করতে প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর বেশ কয়েক বার দুই জন শারীরিক সম্পর্কে জড়াই। এর মধ্যেই কয়েক বার তাকে বিয়ে করতে অনুরোধ করলে তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নেপালে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে যোগদান শেষে দেশে ফিরে এসে বিয়ে করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। সাইফ আমাকে নেপালেও নিয়ে যান এবং দুই জন একসঙ্গে হোটেলে ও তার বন্ধুর বাসায় থাকি।
অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, গত ৪ মার্চ সাইফ ও ওই ছাত্রী বিয়ের এফিডেভিট করেন এবং ৫ মার্চ বিয়ে করেন। এরপর তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একসাথে বাস করতে থাকেন। কিন্তু গত ১৫ মার্চ মুহম্মদ সাইফ ওই নারীর বাবা ও বোনের স্বামীর সঙ্গে রাজধানীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে তিনি ধানমন্ডিতে একটি ফ্ল্যাট কেনার জন্য ৮০ লখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। কিন্তু ওই ছাত্রী এবং তার বাবা ও বোনের স্বামী যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করলে তিনি রেগে যান ও রেস্টুরেন্ট ত্যাগ করেন। পরে তিনি দাবিকৃত যৌতুকের টাকা না দিলে তালাকনামা পাঠাবেন বলে হুমকি দেন।

Posted in শিক্ষা ও সংস্কৃতি, সারা দেশ | Comments Off on ছাত্রীকে ধর্ষণের পর বিয়ে ও যৌতুক দাবি ঢাবি শিক্ষকের

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud