পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

ইসরায়েলি বসতি ‘দুই রাষ্ট্র সমাধানে’ বাধা, জাতিসংঘ

অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বসতি নির্মাণকে ফের অবৈধ উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতারেস।

তিনি অবৈধ এ বসতি নির্মাণ কার্যক্রমকে দুই রাষ্ট্র সমাধানে বড় বাধা এবং এটা দূর করা প্রয়োজন বলে মনে করেন।

দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের ক্ষেত্রে বিকল্প কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জোর দিয়ে বলেন তিনি। খবর- আল জাজিরার।

গত মঙ্গলবার পশ্চিম তীরের রামাল্লায় ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী রামি হামদাল্লাহর সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব এসব কথা বলেন।

দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানই ফিলিস্তিনি জনগণের এ দুর্দশা অবসানের শর্ত। এটাই এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ বলেও দাবি করেন গুতারেস।

তবে জাতিসংঘ মহাসচিবের এ বক্তব্যের একদিন আগেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, পশ্চিম তীরের কোনো ইসরায়েলি বসতি উচ্ছেদ করা হবে না।

শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে পুনরায় ফিলিস্তিনের সঙ্গে আলোচনা শুরুর চেষ্টা চলছে- মধ্যপ্রাচ্য বিষয়টি হোয়াইট হাউস দূতের এমন মন্তব্যের পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী তার এ অবস্থানের কথা জানান।

নেতানিয়াহুর এ মনোভাব প্রসঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, শান্তিচুক্তির সম্ভাবনা নস্যাৎ করে দেয় এমন কোনো উদ্যোগ থেকে দুই দেশেরই নিবৃত থাকা উচিত।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি জনবসতি নির্মাণ আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ। এটা শান্তির পথে বড় বাধা।

ওই বৈঠকে ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী রামি হামদাল্লাহ পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি ও এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি আলোচনাকারী দলের ভূমিকায় হতাশা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ওই বসতি নির্মাণ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের স্পষ্ট কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। ফলে এটা চলছেই এবং আমরা আমাদের জমি হারাচ্ছি।

ফিলিস্তিনের জনগণ এবং মুসলমানদের কাছে পবিত্র শহরকে রক্ষার জন্য তিনি জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান।

১৯৬৭ সালে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম অধিগ্রহণ করে রেখেছে ইসরায়েল। এরপর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ওই জমিতে বসতি নির্মাণের মাধ্যমে ৫ লাখেরও বেশি ইহুদিকে পুনবার্সন করা হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক আইনে এসব বসতি অবৈধ হলেও তার তোয়াক্কা করছে না নেতানিয়াহু সরকার।

অনলাইন ডেস্ক ॥ অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বসতি নির্মাণকে ফের অবৈধ উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতারেস।

তিনি অবৈধ এ বসতি নির্মাণ কার্যক্রমকে দুই রাষ্ট্র সমাধানে বড় বাধা এবং এটা দূর করা প্রয়োজন বলে মনে করেন।

দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের ক্ষেত্রে বিকল্প কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জোর দিয়ে বলেন তিনি। খবর- আল জাজিরার।

গত মঙ্গলবার পশ্চিম তীরের রামাল্লায় ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী রামি হামদাল্লাহর সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব এসব কথা বলেন।

দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানই ফিলিস্তিনি জনগণের এ দুর্দশা অবসানের শর্ত। এটাই এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ বলেও দাবি করেন গুতারেস।

তবে জাতিসংঘ মহাসচিবের এ বক্তব্যের একদিন আগেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, পশ্চিম তীরের কোনো ইসরায়েলি বসতি উচ্ছেদ করা হবে না।

শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে পুনরায় ফিলিস্তিনের সঙ্গে আলোচনা শুরুর চেষ্টা চলছে- মধ্যপ্রাচ্য বিষয়টি হোয়াইট হাউস দূতের এমন মন্তব্যের পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী তার এ অবস্থানের কথা জানান।

নেতানিয়াহুর এ মনোভাব প্রসঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, শান্তিচুক্তির সম্ভাবনা নস্যাৎ করে দেয় এমন কোনো উদ্যোগ থেকে দুই দেশেরই নিবৃত থাকা উচিত।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি জনবসতি নির্মাণ আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ। এটা শান্তির পথে বড় বাধা।

ওই বৈঠকে ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী রামি হামদাল্লাহ পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি ও এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি আলোচনাকারী দলের ভূমিকায় হতাশা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ওই বসতি নির্মাণ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের স্পষ্ট কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। ফলে এটা চলছেই এবং আমরা আমাদের জমি হারাচ্ছি।

ফিলিস্তিনের জনগণ এবং মুসলমানদের কাছে পবিত্র শহরকে রক্ষার জন্য তিনি জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান।

১৯৬৭ সালে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম অধিগ্রহণ করে রেখেছে ইসরায়েল। এরপর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ওই জমিতে বসতি নির্মাণের মাধ্যমে ৫ লাখেরও বেশি ইহুদিকে পুনবার্সন করা হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক আইনে এসব বসতি অবৈধ হলেও তার তোয়াক্কা করছে না নেতানিয়াহু সরকার।

Posted in আন্তর্জাতিক | Comments Off on ইসরায়েলি বসতি ‘দুই রাষ্ট্র সমাধানে’ বাধা, জাতিসংঘ

স্ত্রীকে ‘ধর্ষণ’ করলে কী হতে পারে, তার ব্যাখ্যা দিল মোদী সরকার

দিল্লি হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকার জানিয়ে দিল ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’কে যেন অপরাধ বলে গণ্য না করা হয়।

বৈবাহিক ধর্ষণকে সাধারণ ধর্ষণের মতোই অপরাধ হিসেবে গণ্য করার আবেদন করে অনেকগুলি মামলা এক সঙ্গে জমা হয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে।

সেই মামলাতেই হলফনামা পেশ করে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিল, ‘বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করলে বিয়ের মতো প্রতিষ্ঠানটাই ভেঙে যাবে। এছাড়াও এটি মহিলাদের হাতে তাঁদের স্বামীকে হয়রান করার একটি সহজ অস্ত্র হয়ে উঠবে।’

এই পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিককালে সুপ্রিম কোর্ট ও অন্যান্য কোর্টে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারার অপব্যবহার নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, তারও উল্লেখ করা হয়েছে কেন্দ্রের বক্তব্যে। এই ধারায় স্ত্রীকে অত্যাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা যায় স্বামী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের।

তাই বিয়ের পর স্ত্রীকে ধর্ষণকে একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, কোনটি বৈবাহিক ধর্ষণ ও কোনটি বৈবাহিক ধর্ষণ নয়, তা সূক্ষ্ণ ভাবে ঠিক করতে হবে বলেও কেন্দ্রের হলফনামায় জানানো হয়েছে।

পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশ বৈবাহিক ধর্ষণকে স্বীকৃতি দিয়েছে বলেই যে ভারতে অন্ধভাবে তা অনুসরণ করতে হবে, তার কোনও মানে নেই বলে কেন্দ্রের দাবি। তাদের মতে, ‘এই দেশে নিরক্ষরতা, দারিদ্র, সিংহভাগ মহিলাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের অভাব, সমাজের মনোভাব, সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের মতো এত সমস্যা রয়েছে, যে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করার আগে সব বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে হবে।’

আদালত কীভাবে বৈবাহিক ধর্ষণের প্রমাণ পাবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে কেন্দ্রের হলফনামায়।

বর্তমানে ভারতীয় দণ্ডবিধির যে ৩৭৫ নম্বর ধারায় ধর্ষণের বিচার হয়, তাতে বলা হয়েছে, ‘‘যদি স্ত্রীর বয়স ১৫ বছরের কম না হয়, তা হলে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে যৌনসঙ্গম করা ধর্ষণ নয়।’’

যদি কোনও মহিলা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনতে চান, তাহলে তার সহজ উপায় নেই। তাঁকে পারিবারিক হিংসা থেকে মহিলাদের সুরক্ষা সংক্রান্ত ২০০৫ সালের আইনের দারস্থ হতে হবে।

আপাতত সরকারের পক্ষ থেকে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

Posted in আন্তর্জাতিক | Comments Off on স্ত্রীকে ‘ধর্ষণ’ করলে কী হতে পারে, তার ব্যাখ্যা দিল মোদী সরকার

জেলে গিয়েও তেজ কমেনি, ধর্ষক বাবার নয়া রূপ

সোমবারের সাজা ঘোষণার পর এখন রোহতকের জেলই বাবা গুরমিত রাম রহিমের একমাত্র ঠিকানা। কারাদণ্ডের অন্ধকারেই দিন কাটছে বাবার। শোনা গিয়েছিল, সাজা শোনার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিল রাম রহিম। বিচারকের কাছে ক্ষমাও চায় ধর্ষকবাবা। কিন্তু কোনও কাকুতিমিনতিই কাজে লাগেনি। দু’টি পৃথক মামলায় ধর্মগুরুকে ১০-১০ করে মোট ২০ বছর কারদণ্ডের সাজা শোনায় সিবিআই-এর বিশেষ আদালত।

এত অপরাধ করার পরে জেলে গিয়ে কতটা অনুতপ্ত রাম রহিম? বেরিয়ে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, জেলে থেকেও বিন্দুমাত্র তেজ কমেনি গুরমিতের।

সাংবাদিক সঞ্জীব মহাজনের দাবি, জেলকর্মীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার ভয় দেখায় বাবা। মন্ত্রী-আমলাদের সঙ্গে নিজের সুসম্পর্কের কথা জানিয়ে জেলকর্মীদের এই হুমকি দিয়েছে ধর্মগুরু।

জানা গিয়েছে, সোমবার আদালত থেকে জেলে আসার সময়ে বাবার সঙ্গেই ছিলেন তার দত্তক কন্যা হনিপ্রীত ইনসান। জেলে ঢোকার মুখে হনিপ্রীতকে বাধা দেন জেলের ডিরেক্টর জেনারেল। তখনই তার সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে রাম রহিম। হনিপ্রীতকে ঢুকতে না দিলে ডিরেক্টরের চাকরি খেয়ে নেওয়া হবে বলে ভয় দেখায় বাবা। ধর্মগুরু ফোন করতে চাইলেও তাকে ফোন করতে দেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

অনলাইন ডেস্ক ॥ সোমবারের সাজা ঘোষণার পর এখন রোহতকের জেলই বাবা গুরমিত রাম রহিমের একমাত্র ঠিকানা। কারাদণ্ডের অন্ধকারেই দিন কাটছে বাবার। শোনা গিয়েছিল, সাজা শোনার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিল রাম রহিম। বিচারকের কাছে ক্ষমাও চায় ধর্ষকবাবা। কিন্তু কোনও কাকুতিমিনতিই কাজে লাগেনি। দু’টি পৃথক মামলায় ধর্মগুরুকে ১০-১০ করে মোট ২০ বছর কারদণ্ডের সাজা শোনায় সিবিআই-এর বিশেষ আদালত।

এত অপরাধ করার পরে জেলে গিয়ে কতটা অনুতপ্ত রাম রহিম? বেরিয়ে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, জেলে থেকেও বিন্দুমাত্র তেজ কমেনি গুরমিতের।

সাংবাদিক সঞ্জীব মহাজনের দাবি, জেলকর্মীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার ভয় দেখায় বাবা। মন্ত্রী-আমলাদের সঙ্গে নিজের সুসম্পর্কের কথা জানিয়ে জেলকর্মীদের এই হুমকি দিয়েছে ধর্মগুরু।

জানা গিয়েছে, সোমবার আদালত থেকে জেলে আসার সময়ে বাবার সঙ্গেই ছিলেন তার দত্তক কন্যা হনিপ্রীত ইনসান। জেলে ঢোকার মুখে হনিপ্রীতকে বাধা দেন জেলের ডিরেক্টর জেনারেল। তখনই তার সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে রাম রহিম। হনিপ্রীতকে ঢুকতে না দিলে ডিরেক্টরের চাকরি খেয়ে নেওয়া হবে বলে ভয় দেখায় বাবা। ধর্মগুরু ফোন করতে চাইলেও তাকে ফোন করতে দেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

Posted in আন্তর্জাতিক | Comments Off on জেলে গিয়েও তেজ কমেনি, ধর্ষক বাবার নয়া রূপ

আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাড়ছে পুলিশের পদচারণা

ডেস্ক রিপোর্ট : দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে সাফল্যের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশ পুলিশের পদচারণা বাড়ছে। বাংলাদেশি পুলিশের জঙ্গি দমনের অভিজ্ঞতাও জানতে আগ্রহী অনেক দেশ।গত মার্চে ঢাকায় চিফ অব পুলিশ কনফারেন্সের পর আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলও তাদের আঞ্চলিক অফিস ঢাকায় করার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছে। বৃহত্তম উন্নয়ন-সহযোগী সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) পুলিশের উন্নয়নে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছে। ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম তথা সাইবার ক্রাইম, হিউম্যান ট্রাফিকিং, ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করছে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশ। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অংশ হিসেবে বর্তমানে ৮টি দেশে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। ভারত ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক চুক্তি (এমওইউ) করার কাজ এগিয়ে চলেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, সারাবিশ্বের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা ও পর্যালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘গাললপ পুল’। সংস্থাটির ‘গ্লোবাল ল’ অ্যান্ড অর্ডার রিপোর্ট-২০১৫’ অনুযায়ী, সিঙ্গাপুর ৮৯ পয়েন্ট নিয়ে সারাবিশ্বে প্রথম স্থানে অবস্থান করছে। শ্রীলঙ্কা ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম ও বাংলাদেশ ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। এরপর যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের ৭৭, অস্ট্রেলিয়া ৭৭, ফ্রান্স ৭৫ এবং ভারত ৬৭ পয়েন্ট রয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের থেকে এগিয়ে আছে।

পুলিশ সদর দফতরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, বিশ্বায়নের এই যুগে বাংলাদেশ বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন কোনও জনপদ নয়। কাজেই বৈশ্বিক নিরাপত্তার সঙ্গে বাংলাদেশের নিরাপত্তার বিষয়টিও জড়িত। জঙ্গিবাদ এখন সারাবিশ্বের সমস্যা। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। একটি ক্ষুদ্র অংশ দেশে ইসলামের নামে নাশকতা ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে বিচ্ছিন্নভাবে দেশি-বিদেশি ও ভিন্ন মতালম্বীদের হত্যা ও মসজিদেও হামলা করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। সেদিক থেকে পুলিশ জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব অর্জন করতে পেরেছে। বাংলাদেশের সেই দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নিতে চায় অনেক দেশ।

বর্তমানে জাতিসংঘ সদর দফতরসহ দারফুর,হাইতি,কঙ্গো,মালি,দক্ষিণ সুদান, লাইবেরিয়া,থাইল্যান্ড ও শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের ৯৬৫ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যাত্রা শুরু করে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ১৭ হাজার ৮৮২ জন সদস্য মিশন সম্পন্ন করেছেন। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জীবন উৎসর্গ করেছেন ২০ জন পুলিশ সদস্য।

বাহিনীর দক্ষতা উন্নয়নে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার (জাইকা)কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে পুলিশ সদর দফতর। তারা পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার অপপ্রচার ও প্রপাগান্ডা রোধ করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।

আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল ও বাংলাদেশ পুলিশের সহযোগিতায় গত ১২-১৪ মার্চে ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে প্রথমবারের মতো জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনে দক্ষিণ এশিয়া ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর পুলিশ প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদসহ আঞ্চলিক যেকোনও বিষয়ে সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করার অঙ্গীকার করা হয়।ওই সম্মেলনে আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ভুটান, ব্রুনাই, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামসহ ১৪টি দেশের পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা ছাড়াও শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া ইন্টারপোল, ফেসবুক, ইন্টারপোল গ্লোবাল কমপ্লেক্স ফর ইনোভেশন (আইজিসিআই), যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), আসিয়ানাপোল, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ট্রেনিং অ্যাসিসট্যান্স প্রোগামসহ (আইসিআইটিএপি) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন।

পুলিশ সদর দফতরের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ইন্টারপোলের মাধ্যমে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি), সিআইডি, এসবি, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশ ও পিবিআই’র কর্মকর্তাদের ট্রেনিং, ওয়ার্কশপ ও সেমিনারে অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে পুলিশ স্টাফ কলেজকে সম্পৃক্ত করার বিষয়েও কাজ চলছে।

পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (কনফিডেন্সিয়াল)মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুলিশের অর্জন এখন অনেক। দিন দিন এর পরিধি বাড়ছে। মালেয়েশিয়ার সঙ্গে অ্যান্টি-টেরোরিজম ও মানবপাচার, প্রবাসী শ্রমিকদের আইনগত সহায়তা প্রদান,মিয়ানমারের সঙ্গে মাদক বিশেষ করে ইয়াবা চোরাচালান ও রোহিঙ্গা ইস্যু এবং বর্ডার এলাকায় পেট্রোল ডিউটি আরও বাড়নোর বিষয়েও দ্বিপাক্ষীয় আলোচনা চলছে।অক্টোবরের মধ্যে তাদের সঙ্গে এমওইউ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত আনতে ও এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে শ্রীলঙ্কা, চীন ও ভিয়েতনামসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চলছে। বিদ্রোহী দমনে বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা পুলিশের অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, চীনের সঙ্গে আলোচনাকালে গোয়েন্দা তথ্য, সাইবার ক্রাইম, অর্থনৈতিক ক্রাইম, ফরেনসিক ইনভেস্টিগেশন এবং বিশেষায়িত অপরাধ সম্পর্কে বাংলাদেশের পুলিশ অফিসারদের আরও অধিকতর প্রশিক্ষণ ও কর্মশলার আয়োজন সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্ব পায়। খুব শিগগিরই চীনে একটি আন্তর্জাতিক পুলিশ কনফারেন্সে যোগদান করবো। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সাইবার ও ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইমসহ বিভিন্ন বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের লিডারশিপ কোর্সসহ সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কারিগরি সহোযোগিতা প্রদানের বিষয়েও আলোচনা চলছে। তাদের সঙ্গেও এমওইউ করার বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইমসের (ডিসি) সঙ্গে কাজ চলছে। পুলিশের দক্ষতাসহ ক্যাপাসিটি বিল্ডিং বাড়াতে জাইকার সঙ্গে কথা হচ্ছে।’

সাইবার অপরাধীরা অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে। জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়া তরুণদের ৮০ শতাংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্ত হয়ে জঙ্গিবাদে জড়িয়েছে। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের ওয়ার্কিং রিলেশন তৈরি হয়েছে বলেও জানান মনিরুজ্জামান।

Posted in আন্তর্জাতিক | Comments Off on আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাড়ছে পুলিশের পদচারণা

ভারতে ‘ধর্ষক ধর্মগুরুর’ ভক্তদের তাণ্ডব, নিহত ৩০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক গুরু গুরমিত রাম রহিম সিং ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও দিল্লিতে তাণ্ডব চালিয়েছে তার ভক্তরা, যাতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।

সহিংসতার আশঙ্কায় আগে থেকে সেনা-পুলিশ সব প্রস্তুত রেখেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়নি। দুই রাজ্যের অনেক শহরে রেল স্টেশন, পেট্রোল পাম্প ও টেলিভিশন চ্যানেলের গাড়িতে হামলা হয়েছে। দিল্লিতে একটি বাস ও ট্রেনের দুটি বগি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার হরিয়ানার যে শহরে রাম রহিমের মামলার রায় হয়েছে, সেই পাঁচকুলায় সবচেয়ে বেশি সহিংসতা ও প্রাণহানি হয়েছে। সহিংসতায় প্রাণহানি হয়েছে হরিয়ানার সিরসায় রাম রহিমের আশ্রম এলাকায়ও।

সহিংসতায় ৩০ জন নিহত এবং আড়াইশ মানুষ আহত হওয়ার খবর দিয়েছে এনডিটিভি। রাম রহিমের প্রায় আড়াই হাজার অনুসারীকে গ্রেপ্তারের কথা পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।

এই মামলার রায় ঘোষণার দিন থাকায় চণ্ডিগড়ের কাছের পাঁচকুলা শহরে চলে আসে রাম রহিমের দেড় লাখের বেশি ভক্ত। রায় ঘোষণার পর তারা তাণ্ডব শুরু করলে পুলিশ লাঠিপেটার পাশাপাশি কাঁদুনে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করলেও আদালতের আশপাশের এলাকা কার্যত বিক্ষোভকারীদের দখলে চলে যায়।

পাঁচকুলায় থানা এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে রাম রহিম ভক্তরা আগুন দেয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় কয়েক ডজন গাড়ি, যার মধ্যে সংবাদমাধ্যমের গাড়িও রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্রণে বিকাল ৫টার দিকে সেখানে সেনা মোতায়েন করা হয়।

ভারতের স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক গুরু গুরমিত রাম রহিম সিং ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও দিল্লিতে তাণ্ডব চালিয়েছে তার ভক্তরা, যাতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।

সহিংসতার আশঙ্কায় আগে থেকে সেনা-পুলিশ সব প্রস্তুত রেখেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়নি। দুই রাজ্যের অনেক শহরে রেল স্টেশন, পেট্রোল পাম্প ও টেলিভিশন চ্যানেলের গাড়িতে হামলা হয়েছে। দিল্লিতে একটি বাস ও ট্রেনের দুটি বগি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার হরিয়ানার যে শহরে রাম রহিমের মামলার রায় হয়েছে, সেই পাঁচকুলায় সবচেয়ে বেশি সহিংসতা ও প্রাণহানি হয়েছে। সহিংসতায় প্রাণহানি হয়েছে হরিয়ানার সিরসায় রাম রহিমের আশ্রম এলাকায়ও।

সহিংসতায় ৩০ জন নিহত এবং আড়াইশ মানুষ আহত হওয়ার খবর দিয়েছে এনডিটিভি। রাম রহিমের প্রায় আড়াই হাজার অনুসারীকে গ্রেপ্তারের কথা পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।

এই মামলার রায় ঘোষণার দিন থাকায় চণ্ডিগড়ের কাছের পাঁচকুলা শহরে চলে আসে রাম রহিমের দেড় লাখের বেশি ভক্ত। রায় ঘোষণার পর তারা তাণ্ডব শুরু করলে পুলিশ লাঠিপেটার পাশাপাশি কাঁদুনে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করলেও আদালতের আশপাশের এলাকা কার্যত বিক্ষোভকারীদের দখলে চলে যায়।

পাঁচকুলায় থানা এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে রাম রহিম ভক্তরা আগুন দেয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় কয়েক ডজন গাড়ি, যার মধ্যে সংবাদমাধ্যমের গাড়িও রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্রণে বিকাল ৫টার দিকে সেখানে সেনা মোতায়েন করা হয়।

বিকালে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল রয়টার্সকে বলেন, “সম্ভাব্য সব উপায়ে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি, কিন্তু বিক্ষোভকারীরা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।”

রাম হরিমের আশ্রম ডেরা সাচ্চা সওদার সদর দপ্তর সিরসায়ও পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সহিংসতা হয় তার ভক্তদের। সেখানে বেশ কয়েকটি ভবনে আগুন দেওয়া হয়। ওই এলাকায় সহিংসতায় দুজনের মৃত্যু হয় বলে এনডিটিভির খবর।

রায় ঘোষণার পর পর পাঞ্জাবের বাথিন্ডা, মালুত ও বাল্লুয়ানাসহ বিভিন্ন শহরে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এই রাজ্যে দুটি রেলস্টেশনে আগুন দেওয়া হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালানোতেই নিহতের ঘটনা ঘটে বলে শোনা গেছে। তবে প্রশাসনিকভাবে এ বিষয়ে এখনও কিছু বলা হয়নি।

চণ্ডিগড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় শহরজুড়ে এবং পাঞ্জাবের কয়েকটি এলাকায় কারফিউ জারি হয়।

হরিয়ানা ও পঞ্জাবজুড়ে তাণ্ডবের মুখে দুই রাজ্যের সীমান্তই সিল করে দেওয়া হয়। বাতিল হয়েছে এই দুই রাজ্যে চলাচলকারী প্রায় দুইশ ট্রেনযাত্রা।

রাজধানী দিল্লির আনন্দ বিহার রেলওয়ে স্টেশনে একটি ট্রেনের দুটি বগিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়, বাসও জ্বালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

রাম রহিমের অনুসারীদের তাণ্ডবে সরকারি সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় এই গোষ্ঠীর অনেক সম্পদ জব্দ করা হবে বলে আদালত বলেছে।

সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, “এটা খুবই বেদনাদায়ক।”

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ রাম রহিম সমর্থকদের শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। রাম রহিম নিজেও শান্তি চাইছেন বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

রাম রহিম সিংয়ের লাখো সমর্থককে চণ্ডিগড়ে ঢুকতে দেওয়ার জন্য হরিয়ানা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিং।

‘ধর্মগুরুর’ মামলার রায় শুনতে আগে থেকেই শহরটিতে রাম রহিমের দুই লাখের বেশি ভক্ত জড়ো হয়েছিলেন।

আদালতের রায় বিপক্ষে গেলে সহিংসতা শুরু হতে পারে- এমন আশঙ্কায় সকাল থেকে পাঁচকুলায় সেনাবাহিনী নামানো হয়। ৫০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয় হরিয়ানা ও পাঞ্জাবে।

উত্তেজনার মধ্যেই সিরসায় নিজের সাংগঠনিক দপ্তর থেকে ২০০ গাড়ির বহর নিয়ে রওনা হয়ে আড়াইশ কিলোমিটার দূরে পাঁচকুলা আদালতে পৌঁছান রঙদার চরিত্র রাম রহিম সিং।

আদালত দুপুরে রায় ঘোষণার পরপরই ৫০ বছর বয়সী রাম রহিমকে কড়া পাহারার মধ্যে আম্বালা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। রায় শোনার পর আদালতের বাইরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার বহু সমর্থক। টেলিভিশন ফুটেজে ওই সময়ই রাম রহিমের অনুসারীদের সহিংসতায় লিপ্ত হতে দেখা যায়।

বিবিসি লিখেছে, একাধারে ধর্মপ্রচারক, সমাজ সংস্কারক, গায়ক, চিত্রনায়ক ও পরিচালক বাবা রাম রহিমের মতো বর্ণময় চরিত্র ভারতের অজস্র ধর্মগুরুর মধ্যেও বিরল। তার আশ্রম- ডেরা সাচ্চা সওদা গড়ে ওঠে শিখ, হিন্দু, মুসলিম- সব ধর্মের চেতনার মিশেলে। ভারতের গণমাধ্যমে অনেক সময় তাকে বলা হয় ‘রকস্টার বাবা’।

হরিয়ানায় গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রতি সমর্থন দিয়েছিলেন রাম রহিম। লাখ লাখ ভক্ত থাকায় বড় ভোট ব্যাংক বিবেচনা করে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির অনেক নেতাই তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রাখেন।

কিন্তু পনেরো বছর আগে নিজের আশ্রমেই দুজন ভক্ত মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।

অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর চিঠির সূত্র ধরে ২০০২ সালে এই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে সিবিআই। সেখানে বলা হয়, ১৯৯৯ সালে নিজের আশ্রমে দুই শিষ্যাকে ধর্ষণ করেন রাম রহিম।

২০০৭ সালে শুনানি শুরুর পর দশ বছরের মাথায় মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে। বিচারের পুরোটা সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসেছেন ডেরা সাচ্চা সওদার প্রধান। বিডিনিউজ২৪।

Posted in আন্তর্জাতিক | Comments Off on ভারতে ‘ধর্ষক ধর্মগুরুর’ ভক্তদের তাণ্ডব, নিহত ৩০

ক্যামেরুনে হামলা, নিহত ১১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ক্যামেরুনে সন্দেহভাজন বোকো হারাম জঙ্গীদের হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। নাইজেরিয়ার সীমান্তের কাছের একটি গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। আল-জাজিরা।

গাকার নামে ওই গ্রামটিতে ৩০টি বাড়ি পুড়িয়েও দেয়া হয়েছে। বোকো হারাম বিভিন্ন সময়ে এই গ্রামটিতে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে।

ক্যামেরুনের সেনাবাহিনীর একজন কর্নেল নিহতের সংখ্যা ১১ বললেও একজন জেলা কর্মকর্তা অবশ্য বলেছেন, মোট ১৫ জন নিহত হয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, মাঝরাতে ওই হামলা চালানো হয়। ঘটনার পর অনেকে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

পার্শ্ববর্তী কলোফোতার মেয়র হামলার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করলেও তিনি বলছেন, মৃতের সংখ্যার বিষয়ে তার ধারণা নেই।

‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় থাকা বোকো হারামের কারণে গত ৮ বছরে প্রাণ গেছে ২০ হাজার মানুষের। এ ছাড়া ঘরছাড়া হয়েছেন ২৭ লাখের বেশি মানুষ।

বৃহস্পতিবার নাইজেরিয়ার বর্নে এই জঙ্গী গোষ্ঠীর হামলায় ৫ জন নিহত হয়েছেন।

Posted in আন্তর্জাতিক | Comments Off on ক্যামেরুনে হামলা, নিহত ১১

কাবুলে আত্মঘাতী হামলা, নিহত ২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাবুলের এক শিয়া মসজিদে আইএসের আত্মঘাতী হামলায় ২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ৪০ জন আহত হয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার বিকালে এ আত্মঘাতী হামলায় ঘটনা ঘটেছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে। খবর- বিবিসির।

খবরে বলা হয়, বিকালে নামাজের জন্য মুসল্লীরা জমায়েত হওয়া শুরু করলে মসজিদের গেটে এ সময় আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়। একইসাথে দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীও বন্দুক হামলা চালায় এ সময়।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আফগান বিশেষ বাহিনীর সাথে চার ঘন্টাব্যাপী এক সম্মুখযুদ্ধে হামলাকারীরা নিহত হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এ হামলায় শিশু ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত হয় কয়েকজন।

কথিত ইসলামী জঙ্গি সংগঠন আইএস এ হামলার জন্য দায় স্বীকার করে। নিজেদের সংবাদ মাধ্যম আমাকে এটিকে কমান্ডো হামলা বলে উল্লেখ করা হয়।

Posted in আন্তর্জাতিক | Comments Off on কাবুলে আত্মঘাতী হামলা, নিহত ২০

ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি উ. কোরিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর কোরিয়া বর্তমানে ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য নতুন ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (এসএলবিএম) তৈরি করছে। জাপানের এনএইচকে টেলিভিশন চ্যানেল এ খবর প্রচার করে।
খবর তাসের।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের দেশটির রিসার্স ইনস্টিটিউট অব কেমিক্যাল ম্যাটেরিয়াল অ্যাট দি ন্যাশনাল একাডেমি অব মিলিটারি সায়েন্স পরিদর্শনকালে তোলা বিভিন্ন ছবি থেকে টিভি চ্যানেলটি এমন ধারণা করছে। আর এসব ছবি উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ প্রকাশ করে।
স্থানটি পরিদর্শনকালে কিম জং-উন যে অস্ত্রের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেটিতে বড় অক্ষরে লেখা রয়েছে পুকুকসং-৩ (পোলারিস)। এটি উত্তর কোরিয়ার ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের নাম। উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়া ইতোমধ্যে পুকুকসং-১ ও পুকুকসং-২ ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।

এদিকে সোমবার দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের যৌথ বার্ষিক সামরিক মহড়া শুরু করায় কোরীয় অঞ্চলে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি আরো তীব্র হয়েছে। বাসস

Posted in আন্তর্জাতিক | Comments Off on ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি উ. কোরিয়ার

বার্সেলোনা হামলা: সন্দেহভাজন চালককে ধরতে অভিযান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্পেনের বার্সেলোনা শহরের একটি পর্যটন এলাকায় যে ভ্যান দিয়ে হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে তার চালক সম্ভবত এখনো জীবিত আছেন এবং পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

স্পেনের পুলিশ এ রকমটাই মনে করছে এবং মরক্কোতে জন্ম নেওয়া ওই চালককে ধরতে নতুন করে অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

সন্দেহভাজন ওই চালকের নাম ইউনেস আবুইয়াকুব বলে জানিয়েছে স্পেনের গণমাধ্যম। এর আগে প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে ১৭ বছর বয়সী মুসা অউকবিরের কথা বলা হয়েছিল। অউকবির বার্সেলোনার পশ্চিমে দিকের শহর ক্যামব্রিলসে আরেকটি ভ্যান হামলার চেষ্টায় সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে।

পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজনরা আরো নিখুঁত হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। বুধবার আলকানার শহরে বিস্ফোরণের পর ষড়যন্ত্রকারীরা বোমার উপাদানের অভাবে পড়ে তাই তারা গাড়ি ব্যবহার করে অপেক্ষাকৃত সহজ হামলার পথ বেছে নিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

২২ বছর বয়সী আবুইয়াকুব বার্সেলোনার উত্তরে রিপোল শহরে বসবাস করতো বলে জানা গেছে। পুলিশ শুক্রবার রিপোল থেকে তিনজনকে এবং আলকানার থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

প্রথমদিকে অউকবিরকে প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে দেখা হচ্ছিল; কিন্তু পরে শুক্রবার রাতে পুলিশ প্রধান যোশেফ ট্রাপেরো স্থানীয় টেলিভিশনকে জানান, অউকবির হামলাকারী ভ্যানটির চালক ছিলেন এই তত্ত্ব ‘ওজন হারিয়েছে’।

এল পায়িস সংবাদপত্র জানিয়েছে, আবুইয়াকুবই প্রধান সন্দেহভাজন এ ধারণা ক্রমেই দৃঢ় হচ্ছে।

বার্সেলোনায় হামলা চালানোর জন্য ব্যবহৃত ভ্যানটি অউকবির তার ভাইয়ের নথিপত্র ব্যবহার করে ভাড়া করেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বার্সেলোনায় হামলার কয়েক ঘন্টা পর উত্তর দিকের শহর ভিকেতে আরো একটি ভাড়া গাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই গাড়িটি ব্যবহার করে হামলাকারীরা বার্সেলোনা থেকে পালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বার্সেলোনায় হামলার কয়েক ঘন্টা পর শুক্রবার ভোররাতে আরেকটি গাড়ি নিয়ে ক্যামব্রিলসে হামলা চালিয়ে এক নারীকে হত্যা ও আরো ছয়জনকে আহত করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় হামলাকারীদের গাড়িটি উল্টে গেলে গাড়িটি থেকে বের হয়ে আসা পাঁচ হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। এখানে নিহতদের মধ্যে অউকবিরও ছিল।

অপরদিকে রিপোল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া তিন ব্যক্তির মধ্যে অউকবিরের ভাই দ্রিসও আছে। জানা গেছে, সে স্বেচ্ছায় পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছে এবং হামলার ঘটনায় সে জড়িত ছিল না বলে দাবি করেছে। তার নথি চুরি করে ভ্যান ভাড়া করতে ব্যবহার করা হয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন দ্রিস।
বিডিনিউজ২৪

Posted in আন্তর্জাতিক | Comments Off on বার্সেলোনা হামলা: সন্দেহভাজন চালককে ধরতে অভিযান

শুরুর আগেই শেষ ম্যাঁক্রোর বিপ্লব!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : খুব হাকডাক করে ক্ষমতায় এসেছিলেন ফ্রান্সের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো। নেপোলিয়ন বোনাপার্টের পর সবচেয়ে কম বয়সি ফ্রান্সের ক্ষমতাধর ব্যক্তি তিনি। প্রায় নায়কোচিত ছিল তার উত্থান। এলাম আর জয় করলাম, ব্যাপারটা ছিল এ রকম। নিজের জয়কে তিনি ফ্রন্সের বিপ্লবের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। বিজয়ী ভাষণে বলেছিন, আরেকটি ফরাসি বিপ্লব হতে চলেছে।

ইতোমধ্যেই ১০০ দিন শেষ হয়েছে, কিছুই হয়নি। ২৭ জুন থেকে ৯ আগস্ট পর্র্যন্ত গ্রীষ্মকালীন অফিস শেষ করেছেন। ফলাফল মোটেই আশানুরূপ নয়, বরং শূন্য। কিছু ক্ষেত্রে তিনি বরং পিছিয়ে পড়েছেন। তাই সমালোচান উঠছে তার বিরুদ্ধে, শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে গেল ম্যাঁক্রোর বিপ্লব।

এ যেন যে-ফুল ফুটিবার আগেই ঝরে পড়ার অবস্থা। ম্যাঁক্রোকে দেখা হয়েছিল ট্রাম্পের বিপরীত অবস্থান থেকে। ট্রাম্প যেখানে বর্ণবাদ আর যুক্তরাষ্ট্রকেই প্রাধান্য দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছিলেন, ম্যাঁক্রো সেখানে পৃথিবীকেই আবার মহান করার দিকে এগিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। ডান আর বাম করে এক করে মধ্যপন্থি এক দল গঠন করে ছিলেন তিনি। ডান আর বামকে কেন্দ্রে করে যখন ফ্রান্স বিভক্ত হয়ে যাচ্ছিল তখন তিনি ডাক দিয়েছিলেন ফ্রান্সকে একত্রিত করার। কিন্তু, দীর্ঘদিন ধরে চলমান সংকট আসলে এতো দ্রæত নিরসন হওয়ার নয়।

চূড়ান্ত ডানপন্থি ম্যারিন লি পেন আর কট্টর বামপন্থি জাঁ লুক ম্যানকনের দূরত্ব ক্রমাগত বাড়ছে। মধ্যবিত্তের যে অর্থনৈতিক সংকট দূরীকরণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে ম্যাঁক্রো নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছিলেন তারও কোনো নিরাসন হয়নি এখনো। হাজার হাজার তরুণ বেকার। এইসব সমস্যার সমাধান কীভাবে হবে তা জানেন না ম্যাক্রোঁ। রাজনীতি বিশ্লেষকরা তাই সমালেচনা করছেন, বক্তৃতা দেয়া আর দেশ চালানো এক কথা নয়। এই তিনমাসে তার জনপ্রিয়তা কমে গেছে অনেক।
ইনস্টিটিউট ফ্রান্সিস ডি ল’ওপিনিয়ন পাবলিক থেকে প্রকাশিত এক জরিপে জানা গেছে গত একশো দিনে ম্যাঁক্রোর জনপ্রিয়তা ৬৫ শতাংশ থেকে ৫৪ শতাংশে নেমে এসেছে। এফপি

Posted in আন্তর্জাতিক | Comments Off on শুরুর আগেই শেষ ম্যাঁক্রোর বিপ্লব!

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud