পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে রোল মডেল হবে : শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, নতুন প্রজন্ম মেধার দিক দিয়ে দরিদ্র নয়। দিন দিন এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগতি হচ্ছে এবং শিক্ষার হার বৃদ্ধির পাশাপাশি মানও বাড়ছে।
তিনি বলেন,২০২১ সালের আগে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে রোল মডেল হবে। সেই লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি শনিবার সিলেট মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ও সিলেট সরকারি কলেজে ১০তলা একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমসি কলেজে মোট ৪৮ কোটি টাকার কাজ হবে। কলেজের ছাত্র ও ছাত্রী হোস্টেল, অডিটোরিয়াম, প্রশাসনিক ভবন ও একাডেমিক ভবনের সংস্কারের জন্য ৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের আগে মন্ত্রী এমসি কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এমসি কলেজের কর্মসূচীর পর সিলেট সরকারি কলেজের মসজিদের উত্তর পার্শ্বে আনুমানিক এক বিঘা জমির ওপর শিক্ষামন্ত্রী একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। এর পর কলেজ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় অংশ নেন তিনি।
সিলেট সরকারি কলেজে অনার্সের অধিভূক্ত ৫টি বিষয়ের আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা দেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ আতাউর রহমান। সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিঠু এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
এতে শিক্ষা ও প্রকৌশলী অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মো. হানজালা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, এডভোকেট রনজিত সরকারসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, স্থানীয়, জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।

Posted in শিক্ষা ও সংস্কৃতি | Comments Off on ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে রোল মডেল হবে : শিক্ষামন্ত্রী

শিশুদের চিত্রাঙ্কন একটি চমৎকার শিক্ষা পদ্ধতি : ইনু

নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, শিশুদের চিত্রাঙ্কনে তাদের অনুভূতি ও বৃহৎ পরিসরে অনুসন্ধিৎসুর প্রতিফলন ঘটেছে।
বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ও শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চারু ও কারু শিল্প ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক শিশু চিত্রাঙ্কন প্রদর্শনী ও স্মৃতিস্মারক উদ্বোধনকালে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন শিশুকে দেশের ইতিহাসের সঙ্গে পরিচিত করার পাশাপাশি তাদের মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি শিশুদের আঁকা বঙ্গবন্ধুর অনেক চিত্র তুলে ধরে বলেন, যখন তারা বঙ্গবন্ধুর চিত্রাঙ্কন করে, তখন তারা দেশের চিত্রই তুলে ধরে। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা।
এ সময় মন্ত্রী জাতীয়তাবাদী আন্দোলন গড়ে তুলতে বেগম মুজিবের অবিস্মরণীয় অবদানের কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতি ও উপস্থিতিতে তাঁর পরামর্শ ও জাতীয়তাবাদী সংগ্রামী জনতাকে পরিচালনায় তিনি অনন্য প্রজ্ঞার স্বাক্ষর রেখেছেন।
তিনি শেখ কামালের কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি কেবল একজন রাজনৈতিক কর্মী বা সংগঠকই ছিলেন না, দেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে অনেক অবদান রেখেছেন। তিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
মুক্ত মনে শিশুদের আঁকা ছবি হতে পারে ফসলের মাঠ, নদী বা বিশেষ ব্যক্তির প্রতিকৃতি।
এর মধ্যদিয়ে তারা দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে। এর মাধ্যমে তাদের মনের বা চিন্তার জগতেরও প্রতিফলন ঘটে। মন্ত্রী শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য চারুকলা ও সাহিত্য চর্চার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, প্রধান বিচারপতিকে অপসারণ বা ছুটিতে প্রেরণের কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বাসস।

Posted in রাজনীতি, শিক্ষা ও সংস্কৃতি | Comments Off on শিশুদের চিত্রাঙ্কন একটি চমৎকার শিক্ষা পদ্ধতি : ইনু

স্মৃতির পাতায় আইভি রহমান

দিল মনোয়ারা মনু : ১৯৭৩ সালের অক্টোবর মাস। বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি দুস্থ শিশুদের মধ্যে দুধ বিতরণের ব্যবস্থা নিয়েছে। সমিতির পক্ষ থেকে দুধ বিতরণ করছেন আইভি রহমান। আমার সুযোগ হয়েছিল সেই অনুষ্ঠানে থাকার। মাত্র সাংবাদিকতায় ঢুকেছি। সবকিছু দেখার ও জানার প্রবল আগ্রহ তখন। চোখের সামনে সেই দৃশ্য আজও অমলিন। আইভি রহমান পরেছেন অফ হোয়াইট রঙের লাল-পাড় শাড়ি, চোখে সানগ্লাস। লাবণ্য-ঢলঢল স্নিগ্ধ চেহারা। অপূর্ব লাগছিল তাঁকে। বাচ্চারাও দুধ নিতে যেয়ে অবাক হয়ে যেন তাঁকেই দেখছিল।

আজ মনে পড়ছে কত স্মৃতি, কত টুকরো টুকরো কথা। রাজনীতি সবসময় পরিচ্ছন্ন নয় বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে আগ্রহী ছিলাম না। কিন্তু আইভি রহমান আমার সামনে এক অন্য রকম দৃষ্টান্ত ছিলেন। তাঁর মতো নির্লোভ মানুষ এদেশের রাজনীতিতে মেয়েদের সচেতন করে তোলার ব্রত নিয়েছিলেন বলেই আজ এ ক্ষেত্রে মেয়েরা এগিয়ে এসেছে। নিজের জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেলেন তিনি একজন নির্ভীক সৈনিক। তাঁর এই মহান আত্মত্যাগ বাংলাদেশের নার আন্দোলনের মশাল হয়ে জ্বলবে চিরকাল।

আইভি রহমান সারাজীবন মাঠের রাজনীতি করেছেন। রাজনৈতিক সভার মঞ্চে উঠে ভাষণ খুব কম দিয়েছেন। সহকর্মীদের সঙ্গে মঞ্চের নিচে বসে শুনতে এবং শ্লোগান দিতেই পছন্দ করতেন বেশি। কিন্তু পোশাকে-আশাকে ছিলেন অত্যন্ত রুচিশীল, গোছানো। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই রাজনীতি করতেন সক্রিয়ভাবে। কিন্তু আইভি আপার কারণে সেই সংসারও ছিল অত্যন্ত ছিমছাম এবং রুচিকরভাবে সাজানো।

নারী আসন নিয়ে যখন তুমুল বিতর্ক, পঁয়তাল্লিশ আসন নারীদের জন্য নির্ধারিত করা হল। প্রতিবাদে ফেটে পড়ল নারীসমাজ। জাদুঘরের সামনে সমাবেশ করা হল। বক্তৃতা চলছে। বেশ কিছুক্ষণ পরে এল মহিলা আওয়ামী লীগ, আইভি রহমানের নেতৃত্বে। মুহূর্তেই প্রকম্পিত হল জনপদ মুহুর্মূহু শ্লোগানে। তখন আমার পাশেই বসে থাকা জনৈক নেত্রী বললেন, “নাও, এখন সমস্ত ক্রেডিট যাবে আওয়ামী লীগের ঘরে।”

আমি মনে মনে ভাবলাম, ক্রেডিট নিতে জানতে হয়। আসর গরম করার কৌশলটি রপ্ত করাও একটি বড় শিল্প।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ছাত্রলীগের কর্মীরা ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত তখন আইভি রহমান সেখানে যেয়ে চিৎকার করে বলেছিলেন, “তোমাদের এই আচরণের ফলে আমি যে ছাত্রলীগ করেছি সে কথা ভাবতেও আমার লজ্জা হচ্ছে।”

অকপটে সহজ সত্য বলতে তাঁর কখনও দ্বিধা ছিল না।

২০০০ সালে নারী-শিশুনির্যাতনবিরোধী আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে তিনি মানবাধিকার সংগঠনগুলো নিয়ে কাজ করেছিলেন। এই আইন প্রণয়নের দীর্ঘসূত্রতাও তাঁকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৫ পর্যন্ত দশককে নারী দশক এবং ১৯৭৫ সালকে নারীবর্ষ ঘোষণা করা হলে আইভি রহমান এই ঘোষণায় স্বাগত জানিয়ে বলেছিলেন, রাজনৈতিক দিক থেকে অবহেলিত, অর্থনৈতিক দিক থেকে বঞ্চনার শিকার এবং সামাজিক দিক থেকে প্রতিনিয়ত অমর্যাদাহীন নারীসমাজের জন্য এই ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ এই ঘোষণা এদেশের নারীআন্দোলনকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যুগিয়েছে অদম্য প্রেরণা।

তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা সেদিন আমাদের মুগ্ধ করেছিল। পাক্ষিক ‘অনন্যা’ র এক গোলটেবিল বৈঠকে নারীনির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠে প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। এসব ক্ষেত্রে তাঁর বক্তব্য ছিল স্পষ্ট, কণ্ঠ থাকত দৃঢ়।

এই আসর জমজমাট করে রাখা প্রাণবন্ত মানুষটি গ্রেনেড হামলায় আহত হওয়ার পর তাঁর প্রিয় প্রাঙ্গন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনের খোলা ট্রাকের পাশে পড়েছিলেন একা কিছুক্ষণ। ব্যাপক হতাহত ও আতংকের কারণে সবাই চারদিকে প্রাণভয়ে ছোটাছুটি করছিল। স্থির হয়ে ছিল তাঁর দুচোখ। কালো-পাড়ের সাদা শাড়িটির বেশিরভাগ অংশই ছিল রক্তে ভেজা। কাপড়ের নিচের অংশ পুড়ে ছাই। ডান পায়ের মাংসপিণ্ড দলা হয়েছিল। পরবর্তীতে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণের জন্য ৫২ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু কিছুতেই রক্তক্ষরণ ঠেকানো যায়নি। প্রায় তিনদিন অচেতন অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

ছাত্রজীবনে সরাসরি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার মধ্য দিয়েই তিনি তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। তিনি বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সভানেত্রী ছিলেন। প্রয়াত সভানেত্রী ড. নীলিমা ইব্রাহিমের মৃত্যুর পর তিনি গভীর আন্তরিকতার সঙ্গে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। নীলিমা ইব্রাহিমের সুযোগ্য অনুসারী হিসেবে এদেশের মঞ্চনাটককে গণমানুষের জন্য শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে যাদের নেপথ্যের অবদান উল্লেখযোগ্য, আইভি রহমান তাদেরই একজন। মহিলা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব তিনি উনসত্তরের গণআন্দোলনের পর থেকেই দক্ষতার সঙ্গে পালন করে এসেছেন। দুই দফায় ছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী।

অন্ধ কল্যাণ সমিতিরও তিনি ছিলেন সাধারণ সম্পাদিকা এবং গত আওয়ামী লীগ শাসনামলে জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি সংস্থার বিশাল কার্যালয় ও অত্যাধুনিক অডিটরিয়াম নির্মাণ করে প্রশংসিত হন। মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। উনসত্তরের গণআন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলনে তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিল। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক পুত্র ও দুই কন্যাসন্তানের জননী। সবাই বিবাহিত। ছাত্রী হিসেবে তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ করেছেন।

ভৈরবের ‘বড় বাড়ি’ হিসেবে খ্যাত বাড়িটিতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাবা তখনকার জাঁদরেল শিক্ষাবিদ প্রয়াত জালালউদ্দিন আহমেদ, মা হাসিনা বেগম এখনও বেঁচে আছেন। আইভি রহমানকে স্কুলের ফাংশনে নাচতে দেখে জিল্লুর রহমান তাঁকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পছন্দ করেন এবং একা যেয়ে আইভি রহমানের বাবার কাছে ভয়ে ভয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন। দুদিন পর তিনি সম্মতি দিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের গাড়িতে মুজিব ও খান আতাউর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বিয়ে করতে যান। এই দুজনই ছিলেন আইভি রহমান ও জিল্লুর রহমানের বিয়ের সাক্ষী। আট বোনের মধ্যে আইভি রহমান চতুর্থ। বড় বোন শামসুন্নাহার সিদ্দিকী।

আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা জিল্লুর রহমান পত্নীবিয়োগে যখন হতবিহ্বল তখন বারবার তিনি বলেছিলেন, “একা আমি বাঁচব কীভাবে! তিনি বিনীতভাবে সকলকে অনুরোধ করেছেন, আপনারা এ দেশকে বাঁচান– মৌলবাদীদের হাতে এ দেশকে তুলে দেবেন না।”

আইভি রহমান একজন আলোকিত মানুষ। তিনি ভালোবাসতেন দেশ ও দেশের মানুষকে। মাটি ও মানুষের সঙ্গে ছিল তাঁর গভীর সখ্যতা। ঘাতকের গ্রেনেড সেই মাটিতেই তাঁকে লুটিয়ে দিল, মিশিয়ে দিল মাটির সঙ্গে। কিন্তু বেঁচে থাকবে তাঁর কর্ম ও প্রেরণা, যা এগিয়ে নিয়ে যাবে আমাদের সূর্যসম্ভাবনার দিকে। বিডিনিউজ২৪।

Posted in নির্বাচন কমিশন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি | Comments Off on স্মৃতির পাতায় আইভি রহমান

শিক্ষক নিয়োগে নতুন আইন করতে যাচ্ছে সরকার

মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আনতে ‘শিক্ষক শিক্ষা আইন’ নামে একটি নতুন আইনের খসরা চুড়ান্ত হবার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আইনটি অনুমোদনের জন্যে খুব শিগগির মন্ত্রীসভায় তোলা হবে। তবে শিক্ষাবিদরা বলছেন জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এ শিক্ষক গঠনের জন্য আইন নয় বরং কমিশন গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রশ্ন ফাঁস, শ্রেণীকক্ষে যথাযথ পাঠদান না করাতে পারা এবং জাল সনদে নিয়োগ সহ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় নিয়ে আসতে এবং শ্রেণীকক্ষে মানসম্পন্ন পাঠদান নিশ্চিত করতে আলাদা আইন করতে যাচ্ছে সরকার।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছুসংখ্যক শিক্ষক নিয়মকানুন মানেনা। নৈতিকতা তাদের মধ্যে নাই। এগুলো নিয়ে আমরা বড় সমস্যায় আছি।
এরই মধ্যে আইনটির খসরা চুড়ান্ত করা হয়েছে। এটি যে কোনো সময় মন্ত্রীসভায় তোলা হবে।

জাতীয় শিক্ষনীতি ২০১০’এ শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আলাদা কমিশন গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ কারণে শিক্ষাবিদরা বলছেন, আইন নয় বরং শিক্ষক কর্মকমিশন গঠনে সরকারকে নজর নিতে হবে।

জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, শিক্ষকের প্রত্যেকটা আচরন শিক্ষার্থীর কাছে শিক্ষনীয়। এসব বিবেচনা করে ভালো শিক্ষক নির্বাচনের জন্যে শিক্ষক কর্মকমিশন গঠন করার কথা বলা হয়েছে।
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু সালাহউদ্দীন বলেন, একটা কমিশন গঠন করা দরকার যা শিক্ষকদের জন্যে কাজ করবে। এবং সেটার নামকরণ যাতে শিক্ষকদের জন্যে শ্রুতিমধুর হয় সেটা ‘শিক্ষক শিক্ষা আইন’ না হয়ে যদি ‘শিক্ষা কর্ম কমিশন’ হয় সেটাই অনেক বেশি কার্যকরী হবে।

তারা মনে করছেন, শিক্ষক নিয়োগের যে কাঠামোই সরকার তৈরি করুক না কেন পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে মেধাবীদেরকে। নইলে মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ সম্ভব হবেনা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বিধায় আমাদের নীতিতে শিক্ষক কর্মকমিশনের বিষয়টা চিন্তায় এসেছে। এই কমিশনে যারা কাজ করবেন তারাও যেন যোগ্য ব্যাক্তি দ্বারা পরিচালিত হয়।
গেল বছর নোট গাইড নিষিদ্ধ করে জাতীয় শিক্ষা আইনের খসরা চুড়ান্ত করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে সে আইন জাতীয় সংসদে এখন পর্যন্ত পাস না হলেও এবার শিক্ষক নিয়োগের জন্যে আলাদা এই আইনের উদ্যোগ নিচ্ছে মন্ত্রণালয়।
সূত্র : নিউজ টোয়েন্টিফোর

Posted in শিক্ষা ও সংস্কৃতি | Comments Off on শিক্ষক নিয়োগে নতুন আইন করতে যাচ্ছে সরকার

এবারও হচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা

ডেস্ক রিপোর্ট : সাত বছর আগে মেডিক্যাল কলেজের মতো সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব করা হলেও তা এবারও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তাই প্রতিবারের মতো এবারও দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের।

বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নিজেই অভিযোগ করেছেন, বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনাগ্রহের কারণেই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কয়েকবার আহ্বান করেন। সর্বশেষ গত বছরের নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানেও তিনি সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ওই অনুষ্ঠানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বঙ্গভবনে একটি বৈঠক করার কথাও বলেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা এ বিষয়ে কোনও আগ্রহ দেখাননি।

ইউজিসি কর্মকর্তারা বলছেন, ‘এই পদ্ধতি বাস্তবায়নে একমাত্র বাধা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা থেকে আয় করা অর্থ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো লোকসান তো দিতে চাইনা বরং লাভের অংশও ছাড়তে চায়না। পৃথক ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করলে ব্যবসা ভালো চলে কিন্তু সমন্বিত পরীক্ষা নিলে তো ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। এ জন্যই মূলত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই পদ্ধতি চালু করতে রাজি হচ্ছে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি নেওয়ার পক্ষে। কিন্তু কেউ কেউ এর বিরোধীতা করছেন। এ কারণেই এটা বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকাতেই হওয়ায় ভর্তি পরীক্ষা সকাল ও বিকালে আলাদাভাবে নেওয়া হয়। তাতে শিক্ষার্থীদের দুবার ঢাকায় আসতে হয়না। একই দিন দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে পারে।’

সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি অভিপ্রায় দিয়েছিলেন। আর তার অভিপ্রায় মানেই নির্দেশনা। কিন্তু এর পরও সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে একমত হতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। বিষয়টি দুঃখজনক।’

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ নিজেও অভিযোগ করে কয়েকবার গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমন্বিত পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে রাজি না।’

এদিকে গত ১৫ জুলাই ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাদে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ। যেখানে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা অক্টোবর মাসে নেওয়া হবে। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন শুরু হবে ২৪ আগস্ট থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আলোচনা করে তারিখ নির্ধারণ করবে।

অন্যদিকে গত রবিবার প্রকাশিত হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল। ফল প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।

এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সারাদেশে পাস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট আট লাখ এক হাজার ৭১১। এর মধ্যে জিপিএ ৫ এবং জিপিএ ৫ থেকে ৪ মধ্যে রয়েছে দুই লাখ ১৬ হাজার ২৮৭ জন। যাদের বেশিরভাগই চাহিদা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া। কিন্তু দেশে জাতীয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বাদ দিয়ে ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন রয়েছে মাত্র ৪৭ হাজার ৬৩৬টি। যা আসন সংখ্যার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। ফলে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে শিক্ষার্তীদের তুমুল প্রতিযোগিতা করতে হবে। অন্যদিকে যারা এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভির্ত হতে পারবেনা তাদেরকে অপেক্ষায় থাকতে হবে বেসরকারি এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য।

এতিকে ইউজিসি সূত্র জানিয়েছে, মেডিক্যাল, ডেন্টাল ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চ শিক্ষায় দেশে মোট আসন সংখ্যা সাড়ে ছয় লাখ। অথচ মোট পাস করেছে আট লাখ এক হাজার ৭১১ জন। যা আসন সংখ্যার চেয়ে প্রায় দুই লাখ বেশি। সুতরাং এই দুই লাখ শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবেন।

যদিও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান তা মনে করেন না। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যারা এইচএসসি পাস করে তারা সবাই উচ্চ শিক্ষায় যায় না। অনেকেই বিভিন্ন কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে, অনেকে দেশের বাইরে পড়তে যায়। এছাড়া বিশাল সংখ্যা এখন টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে চলে যায়। কারণ, দেশে এখন টেকনিক্যাল সাইটের অনেক চাহিদা রয়েছে। ফলে প্রতি বছর পরিসংখ্যান করে দেখা গেছে আসন আরও খালি থেকে যায়।’ সময়টিভি অনলাইন।

Posted in শিক্ষা ও সংস্কৃতি | Comments Off on এবারও হচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা

ধান্দাবাজি করে মন্ত্রিত্ব চলবে না: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ধান্দাবাজি করে ভবিষ্যতে রাজনীতি চলবে না, মন্ত্রিত্ব চলবে না, এমপিগিরি চলবে না। যাঁরা দেশকে নেতৃত্ব দেবেন, এগিয়ে নিয়ে যাবেন এবং দেশকে পরিচালনা করবেন, তাঁদের আরও বেশি জানতে হবে। আরও বেশি বই পড়তে হবে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘এই খানে আমি বক্তৃতা দিলাম আধা ঘণ্টা। অথচ ৩০ সেকেন্ডও পড়ে আসিনি। এই হলো আমাদের বাস্তব অবস্থা। এভাবে চলবে না। যে যেখানে আছেন, পড়তে হবে, অবশ্যই শিক্ষাসংক্রান্ত বিষয়গুলোতে আমাদের আরও গুরুত্ব দিতে হবে।’

সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় রাজধানী বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইস্ফেন্দিয়ার জাহেদ মিলনায়তনে এক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ কথা বলেন। পাঠাভ্যাস কর্মসূচির সেরা সংগঠকদের সম্মাননা দিতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র পুরস্কার দেওয়ার এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনুষ্ঠানে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ভালো জ্ঞান, প্রযুক্তি, ভালো দক্ষতা না থাকলে কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্ব ভবিষ্যতে দেওয়া যাবে না। এক ঘণ্টা বক্তৃতা দিলে ৩০ ঘণ্টা পড়া উচিত। এক হাজার মানুষের সামনে বক্তৃতা দিলে, তখন এক হাজার মানুষের এক হাজার ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়। এই সময়টা যাতে ফলপ্রসূ করা যায়, সেই অনুসারে বক্তাকে আগে ভালো করে ৩০ ঘণ্টা পড়া উচিত।

অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ব্যক্তিদের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ তাঁর পকেটের কলমগুলো দেখিয়ে বলেন, ‘এটা মানুষকে বিশ্বাস করানোর জন্য যে দেখেন পকেটে এতগুলো কলম। আজকেও একজন জিজ্ঞেস করেছে, আপনার পকেটে এতগুলো কলম কেন? আমি বললাম, ভাই, অশিক্ষিত লোক মন্ত্রী হইছি তো, এটা দেখে হয়তো তাঁরা বিশ্বাস করবে নিশ্চয়ই অনেক গুরুত্বপূর্ণ লোক। তাই কয়েকটা কলম পকেটে রাখি।’

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহান্সমেন্ট প্রজেক্টের (সেকায়েপ) পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের ৬৪ জেলার ২৫০টি উপজেলার ১২ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বই পড়ানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বই পড়ানোর কাজে সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব নেন একজন শিক্ষক বা লাইব্রেরিয়ান। ২০১৬ সালে সারা দেশে ১ হাজার ১৮৪ জন সংগঠক সেরা সংগঠক হিসেবে নির্বাচিত হন।

আজকের অনুষ্ঠানে ঢাকা বিভাগের ৪৪টি উপজেলার ১৭৫ জন সেরা সংগঠকদের পুরস্কার দেওয়া হয়। সম্মাননা হিসেবে নির্বাচিত সেরা সংগঠকদের চার হাজার টাকার ব্যাক ড্রাফট, বই ও সনদ দেওয়া হয়।

সেকায়েপ প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত সচিব মো. মাহামুদ-উল-হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এস এম ওয়াহিদুজ্জামান বক্তব্য দেন।

Posted in শিক্ষা ও সংস্কৃতি | Comments Off on ধান্দাবাজি করে মন্ত্রিত্ব চলবে না: শিক্ষামন্ত্রী

এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষা করবেন যেভাবে

ডেস্ক রিপোর্ট : চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে আজ। তবে আশানুরূপ ফল না এলে ফল পুনঃনিরীক্ষা করার সুযোগ রযেছে।

এক্ষেত্রে চাইলে একজন শিক্ষার্থী রেজাল্ট চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। ২৪ থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে। তবে শুধুমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক থেকে এ সুযোগ থাকছে।
ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে RSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেয়া হবে, তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর দেয়া হবে।

আবেদনে সম্মত থাকলে RSC লিখে স্পেস দিয়ে YES লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।

প্রতিটি বিষয় ও প্রতি পত্রের জন্য দেড়শ’ টাকা হারে চার্জ কাটা হবে। যে সব বিষয়ের দুটি পত্র (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র) রয়েছে সেসব বিষয়ের দুটি পত্রের জন্য মোট ৩০০ টাকা ফি কাটা হবে। একই এসএমএসে একাধিক বিষয়ের আবেদন করা যাবে, এক্ষেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে ‘কমা’ দিয়ে লিখতে হবে।

উল্লেখ্য, এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় গত ২ এপ্রিল। এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেয়। তত্ত্বীয় (লিখিত) পরীক্ষা শেষ হয় ১৫ মে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৬ মে শুরু হয়ে শেষ হয় ২৫ মে।

Posted in শিক্ষা ও সংস্কৃতি | Comments Off on এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষা করবেন যেভাবে

ফলাফলে মেয়েরা এগিয়ে

এবারের এইচএসটি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় ভালো করেছে। মেয়েদের গড় পাসের হার ৭০.৪৩ শতাংশ। আর ছেলেদের পাসের হার ৬৮.৬১ শতাংশ। পরীক্ষা শেষের ৫৯ দিনের মাথায় এবার ফল প্রকাশ হলো।
চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৮ লাখ ১ হাজার ৭১১ জন। এবার ১০টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৮.৯১ শতাংশ।

কারিগরিতে পাস ৮১.৩৩ শতাংশ,  ৮টি সাধারণ বোর্ডে পাসের হার ৬৬.৮৪ শতাংশ এবং মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৭.০২ শতাংশ। সারাদেশে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭ হাজার ৭২৬। এর মধ্যে ৮টি সাধারণ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩ হাজার ২৪১ জন। আর মাদ্রাসা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৮১৫ জন। আর কারিগরিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৬৬৯ জন শিক্ষার্থী।
দিনাজপুর বোর্ডে পাস করেছে ৬৫.৪৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৯৮৭ জন। রাজশাহী বোর্ডে পাস করেছে ৭১.৩০ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫২৯৪ জন। বরিশাল বোর্ডে পাস করছে ৭০.২৮ শতাংশ।

এর আগে রবিবার সকাল ১০ টার দিকে সব বোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান। আর যারা পাস করতে পারেনি তাদের আরও অধ্যাবসায়ী হওয়ার পরামর্শ দেন।

দুপুর ১টার দিকে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী।

পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট (www.educationboard.gov.bd) থেকে ফল জানতে পারবে। যে কোনও মোবাইল থেকে এসএমএস পাঠিয়ে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। 

মাদ্রাসা বোর্ডের অধীন আলিম পরীক্ষার ফল জানতে AlIM লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন বর্ণ লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল পাওয়া যাবে। 
এছাড়া এইচএসসি ভোকেশনালের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে TEC লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৬ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

Posted in শিক্ষা ও সংস্কৃতি | Comments Off on ফলাফলে মেয়েরা এগিয়ে

এইচএসসিতে গড় পাসের হার ৬৮.৯১ শতাংশ

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার গড় পাসের হার ৬৮.৯১ শতাংশ। কারিগরিতে পাস ৮১.৩৩ শতাংশ,  ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৬৬.৮৪ শতাংশ এবং মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৭.০২ শতাংশ। সারাদেশে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭ হাজার ৭২৬। এর মধ্যে ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩ হাজার ২৪১ জন।

মাদ্রাসা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৮১৫ জন শিক্ষার্থী। আর কারিগরিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৬৬৯ জন শিক্ষার্থী।
দিনাজপুর বোর্ডে পাস করেছে ৬৫.৪৪ শতাংশ। রাজশাহী বোর্ডে পাস করেছে ৭১.৩০ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫২৯৪ জন। বরিশাল বোর্ডে পাস করছে ৭০.২৮ শতাংশ।
রবিবার সকাল ১০ টার দিকে সব বোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন। দুপুর ১টার দিকে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী।
সকালে ফল প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হলেও দুপুর ২টার পর শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট,নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ও টেলিটক মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান জানান, ‘শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট, নিজস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ও মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে।’
এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। গত ২ এপ্রিল থেকে ১৫ মে এইচএসসির তত্ত্বীয় এবং ১৬ থেকে ২৫ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

Posted in শিক্ষা ও সংস্কৃতি | Comments Off on এইচএসসিতে গড় পাসের হার ৬৮.৯১ শতাংশ

যারা ফেল করেছে তাদের উৎসাহ দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট : এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় যারা পাস করেছে তাদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যারা ফেল করেছে তাদেরকে পড়ালেখার প্রতি উৎসাহ দিতে হবে। তাদের পড়ালেখার প্রতি আরও মনোনিবেশ করতে হবে, তাদের আরও ভালো করতে হবে।’

রবিবার (২৩ জুলাই) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এইচএসসি পরীক্ষার ফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। পরে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন। আজ দুপুর ২টার পর শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট, নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ও টেলিটক মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে আমরা শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছিলাম। নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়তে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। আজকে আমাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। তবে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি তাদের আগ্রহ কম। কিন্তু এ শিক্ষার প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগে কম্পিউটার স্বপ্নের মতো ছিল। অনেকে চিনতোই না। আমরাই প্রথম কম্পিউটারের ওপর থেকে ট্যাক্স তুলে নিয়েছিলাম। এছাড়া বিজ্ঞান শিক্ষা প্রসারের জন্য ১২টি বিশ্ববিদ্যালয় করেছিলাম। আমাদের মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না, আমি প্রথম করেছি। দেশে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, আমি আরও চারটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করেছিলামা।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি ছেলেমেয়েদের কাছে চাই- তারা পড়াশুনা করুক। তাদের শিক্ষার জন্য আমি বৃত্তি দিচ্ছি। ট্রাস্ট ফান্ড করেছি যাতে উচ্চ শিক্ষা নিতে পারে। আমরা কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ সবাই একই ধারার শিক্ষা নেবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন পরীক্ষার রেজাল্ট হলে পত্রপত্রিকা নানা কথা লেখে। তারা ভুলে যান আমরা ক্ষমতায় আসার আগে কতজন পাস করতো, আর এখন কতজন পাস করে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বহুমুখী শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছি। কারিগারি শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে টেক্সটাইল ও ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। সারাদেশে ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছি ৫ হাজার ২৭৫টি। এছাড়া লার্নিং অ্যান্ড আর্নিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে গ্রামের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি আয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ১০টি ভাষার অ্যাপস তৈরি করে দিয়েছি, যাতে বিভিন্ন ভাষা শিখে তারা বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরাই প্রথম ৬০ দিনের মধ্যেই রেজাল্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আগে পরীক্ষার সময় ও ফল প্রকাশের সময়ের কোনও ঠিক ছিল না। আমরা নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে এনেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ভর্তির ফরম সংগ্রহ, চাকরির জন্য তথ্য বাতায়ন করে দিয়েছি। এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায়। ফলে ছোটছুটি করে সময় নষ্টের প্রয়োজন হয় না। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করে দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কত শতাংশ পাস বা ফেল করলো তা বিবেচ্য বিষয় না। শিক্ষার্থীদের আরও পড়তে হবে, পড়াশুনার প্রতি মন দিতে হবে। প্রতিদিন পড়ার জন্য কোন সময় ভালো সেটা বেছে নিতে হবে। অভিভাবকদের সঠিক গাইডলাইন দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। নিজের ছেলেমেয়েদের প্রতি আন্তরিক হতে হবে, যেকোনও কথা যেন বলতে পারে তেমন পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যাতে জঙ্গি পথে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তারা কোথায় যায়, ক্লাসে অনুপস্থিত থাকছে কিনা সেটা দেখতে হবে। তাহলে তারা জঙ্গি পথে যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে এ দেশের দায়িত্ব এ ছেলেমেয়েদের নিতে হবে। ভালো বিজ্ঞানী, শিক্ষক হতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এখনকার ছেলেমেয়েদের নেতৃত্ব দিতে হবে। অনেক রক্ত দিয়ে দেশটা স্বাধীন করেছি। বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদামপূর্ণ স্থানে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। প্রতিটি মানুষ যে মর্যাদা নিয়ে চলতে পারে। স্বাধীনতার পর সামরিক শাসকরা দেশকে ভিক্ষুকের জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিল। কয়েক বছর রিফুজি হিসেবে বিদেশে বাস করেছি। তখন বাংলাদেশের নাম শুনলে সবাই তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতো।’
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষায় সঠিক মূল্যায়ন হওয়ায় এ বছর পাসের হার কম। সৃজনশীল উত্তরপত্র অতিমূল্যায়ন ও অবমূল্যায়ন নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে সরকার।

উল্লেখ্য, সারাদেশের পরীক্ষার্থী ছিল ১১ লাখ ৬৩ হাজার ৩৭০ জন, পাস করেছে ৮ লাখ এক হাজার ৭১১ জন।

Posted in জাতীয়, শিক্ষা ও সংস্কৃতি | Comments Off on যারা ফেল করেছে তাদের উৎসাহ দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud