April 24, 2024
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : খুব হাকডাক করে ক্ষমতায় এসেছিলেন ফ্রান্সের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো। নেপোলিয়ন বোনাপার্টের পর সবচেয়ে কম বয়সি ফ্রান্সের ক্ষমতাধর ব্যক্তি তিনি। প্রায় নায়কোচিত ছিল তার উত্থান। এলাম আর জয় করলাম, ব্যাপারটা ছিল এ রকম। নিজের জয়কে তিনি ফ্রন্সের বিপ্লবের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। বিজয়ী ভাষণে বলেছিন, আরেকটি ফরাসি বিপ্লব হতে চলেছে।
ইতোমধ্যেই ১০০ দিন শেষ হয়েছে, কিছুই হয়নি। ২৭ জুন থেকে ৯ আগস্ট পর্র্যন্ত গ্রীষ্মকালীন অফিস শেষ করেছেন। ফলাফল মোটেই আশানুরূপ নয়, বরং শূন্য। কিছু ক্ষেত্রে তিনি বরং পিছিয়ে পড়েছেন। তাই সমালোচান উঠছে তার বিরুদ্ধে, শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে গেল ম্যাঁক্রোর বিপ্লব।
এ যেন যে-ফুল ফুটিবার আগেই ঝরে পড়ার অবস্থা। ম্যাঁক্রোকে দেখা হয়েছিল ট্রাম্পের বিপরীত অবস্থান থেকে। ট্রাম্প যেখানে বর্ণবাদ আর যুক্তরাষ্ট্রকেই প্রাধান্য দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছিলেন, ম্যাঁক্রো সেখানে পৃথিবীকেই আবার মহান করার দিকে এগিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। ডান আর বাম করে এক করে মধ্যপন্থি এক দল গঠন করে ছিলেন তিনি। ডান আর বামকে কেন্দ্রে করে যখন ফ্রান্স বিভক্ত হয়ে যাচ্ছিল তখন তিনি ডাক দিয়েছিলেন ফ্রান্সকে একত্রিত করার। কিন্তু, দীর্ঘদিন ধরে চলমান সংকট আসলে এতো দ্রæত নিরসন হওয়ার নয়।
চূড়ান্ত ডানপন্থি ম্যারিন লি পেন আর কট্টর বামপন্থি জাঁ লুক ম্যানকনের দূরত্ব ক্রমাগত বাড়ছে। মধ্যবিত্তের যে অর্থনৈতিক সংকট দূরীকরণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে ম্যাঁক্রো নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছিলেন তারও কোনো নিরাসন হয়নি এখনো। হাজার হাজার তরুণ বেকার। এইসব সমস্যার সমাধান কীভাবে হবে তা জানেন না ম্যাক্রোঁ। রাজনীতি বিশ্লেষকরা তাই সমালেচনা করছেন, বক্তৃতা দেয়া আর দেশ চালানো এক কথা নয়। এই তিনমাসে তার জনপ্রিয়তা কমে গেছে অনেক।
ইনস্টিটিউট ফ্রান্সিস ডি ল’ওপিনিয়ন পাবলিক থেকে প্রকাশিত এক জরিপে জানা গেছে গত একশো দিনে ম্যাঁক্রোর জনপ্রিয়তা ৬৫ শতাংশ থেকে ৫৪ শতাংশে নেমে এসেছে। এফপি