May 6, 2024
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৮৭. ০৪ শতাংশ। মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৯০. ০২ শতাংশ। আর কারিগরিতে পাসের হার ৮৩.০১ শতাংশ।
মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ এগারো হাজার ৯০১ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল এক লাখ বেয়াল্লিশ হাজার ২৭৬ জন।
আটটি শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাস করেছে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষার্থীরা। বোর্ডটিতে ৯৪.৯৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে পনেরো হাজার ৮৭৩ জন। তবে ৯০.০২ শতাংশ পাস নিয়ে পাসের হারে এগিয়ে আছে মাদ্রাসা বোর্ড।
অন্য সাতটি বোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৮.৬৫ শতাংশ। এ বোর্ডের মোট ৩৬ হাজার ৮০১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৮৪.২২। জিপিএ-৫ পেয়েছে দশ হাজার ১৯৫ জন। চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৮২.৭৭। জিপিএ-৫ পেয়েছে সাত হাজার ১১৬ জন। দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৮৫.০৫। জিপিএ-৫ পেয়েছে সাত হাজার ১১৬ জন। বরিশাল বোর্ডে পাসের ৮৪.৩৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন হাজার ১৭১ জন। সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৮১.৮২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ৫২ জন। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৮৪.০২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে সাত হাজার ১৮১ জন।
এ বছর মোট ১৪ লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১২ লাখ ৮২ হাজার ৬১৮ জন। এর মধ্যে পাঁচ হাজার ৯৫টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী শতভাগ পাস করেছে।
স্কুলে পাস করেছে নয় লাখ ৬১ হাজার ৪০৫ জন। পাসের হার ৮৬. ৭২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৩ হাজার ৬৩১ জন।
মাদ্রাসা বোর্ডে দুই লাখ ৫৪ হাজার ৬২২ জন পরীক্ষার্থী। জিপিএ-৫ এর সংখ্যা এগারো হাজার ৩৩৮ জন। কারিগরিতে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা ছয় হাজার ৯৩১ জন।
দেশের বাইরে আটটি কেন্দ্রের মধ্যে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল দুইশ’ ৯৯ জন। এর মধ্যে পাস করেছেন দুইশ’ ৯২ জন। পাসের হার ৯৭.৬৬ শতাংশ। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭২ জন।
গত বছর এসএসসিতে পাসের হার ছিল ৯১.৩৪ শতাংশ। শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজার ৯৩টি।
শনিবার (৩০ মে) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এসময় সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। পরীক্ষার ফল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও মোবাইলে এসএমএস করে ও ইন্টারনেটে পাওয়া যাবে।
বিগত কয়েক বছর ধরে পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করে আসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ৩ জুন পরীক্ষা শেষ হওয়ায় ৬০ দিন পূর্ণ হবে।
২০১৪ সালে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯৩.৯৪ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৯১.৪০ শতাংশ, রাজশাহীতে ৯৬.৩৪ শতাংশ, সিলেটে ৮৯.২৩, বরিশালে ৯০.৬৬, কুমিল্লায় ৮৯.৯২, যশোরে ৯২.১৯ ও দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৯৩.২৬ শতাংশ। এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮১.৯৭ শতাংশ।