May 6, 2024
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেয়া ১০ শিক্ষার্থীর ফল বাতিল ও ছয় শিক্ষার্থীর ফল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো.শাহজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
টিসি জালিয়াতির অভিযোগে সাফা মোতালেব উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ জন, আসিয়া মোতালেব উচ্চ বিদ্যালয়ের ১ ও বাকলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২জনের ফল বাতিল করা হয়। এছাড়া রিট জালিয়াতির অভিযোগে খাজা আজমেরি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীর ফল বাতিল করা হয়।
অন্যদিকে ছয় শিক্ষার্থীর ফল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এরমধ্যে কামাল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ জন ও সাফা মোতালেব কলেজিয়েট স্কুলের একজন রয়েছেন।
এসব বিষয় নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান বাংলামেইলকে বলেন, ‘ছয় শিক্ষার্থীর টিসি ও চার শিক্ষার্থীর রিট জালিয়াতির সত্যতা পাওয়ায় ১০ জনের ফল বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া আরো ছয় জনের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তাদের ফল স্থগিত রাখা হয়েছে।’
এদিকে অনিয়মে যুক্ত বিদ্যালয়গুলোর প্রধানদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান।
প্রসঙ্গত নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ চার শিক্ষার্থীকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার আদেশ সংক্রান্ত হাইকোর্টের একটি রিটের কপি খাজা আজমেরী স্কুলে যায়। ১২০১৮/১৫ নম্বরধারী ওই রিটে স্কুলের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আবদুল রাসেল, দুর্জয় রায়, মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম ও মুনায়েম তাজওয়ার আবীরকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার আদেশ দেয়া হয়। এ রিটে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে চার সপ্তাহের রুলও জারি করার নির্দেশ দেয়া হয়।
গত ৫ এপ্রিল ৭ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর রিট ভুয়া হিসেবে শনাক্ত হওয়ার পর এসএসসির ওই চার পরীক্ষার্থীর রিটগুলোও যাচাই করে দেখার উদ্যোগ নেয় শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ। তদন্তে রিটগুলো ভুয়া হিসেবে শনাক্ত হয় বোর্ডের কাছে।