পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

দ্বিতীয় মেয়াদে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি অবৈধ : হাইকোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দ্বিতীয় মেয়াদে আবাসিক গ্যাসের (গৃহস্থালি) দাম বাড়ানোকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। রোববার দুপুরে বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

এই রায়ের ফলে আগস্ট থেকে দুই চুলার জন্য ৮০০ এবং এক চুলার জন্য ৭৫০টাকা দিতে হবে গ্রাহকদের। এর আগে দুই দফা গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়। আদালতে বিইআরসি’র পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

তিতাস গ্যাসের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইশরাত জাহান। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন সুব্রত চৌধুরী ও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বিইআরসি ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম।

এ মূল্যবৃদ্ধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট আবেদন করেন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কনজুমার কমপ্লেইন হ্যান্ডলিং ন্যাশনাল কমিটির আহ্ববায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।এ আবেদনের শুনানি নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ১ জুন থেকে দ্বিতীয় দফা গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে রুল জারি করেন। পরবর্তীতে বিইআরসির পক্ষে আপিলে আবেদন করার পর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হয়ে যায়। পাশাপাশি আপিল বিভাগ রুল শুনানি করতে নির্দেশ দেন।সে অনুসারে হাইকোর্টে রুল শুনানি শেষ হয়।

বিইআরসি ঘোষণা অনুযায়ী, মার্চ থেকে প্রতি চুলা গ্যাসের দাম ৭৫০ টাকা, এটা জুনে বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৯০০ টাকায়। আর মার্চ থেকে দুই চুলা গ্যাসের দাম ৮০০ টাকা, যা জুনে গিয়ে দাঁড়ায় ৯৫০ টাকায়।

সূত্র : জনকন্ঠ।

Posted in ব্যবসা-অর্থনীতি | Comments Off on দ্বিতীয় মেয়াদে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি অবৈধ : হাইকোর্ট

গ্যাস সরবরাহ বাড়বে ৫০ শতাংশ : জ্বালানি উপদেষ্টা

ডেস্ক রিপোর্ট : সামনের বছর থেকে গ্যাস সরবরাহ ৫০ শতাংশ বাড়বে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী।

শনিবার রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) এর আয়োজনে ‘এনার্জি সিকিউরিটি ২০৩০: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটি’ সেমিনারে একথা বলেন তিনি।

তৌফিক-ই-এলাহী বলেন, “শিল্পায়নের জন্য প্রয়োজন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ; আমাদের একটি ট্রান্সমিশন সিস্টেম রয়েছে। তবে গ্রাহকদের মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করতে একে আরো উন্নত করা প্রয়োজন।

শিল্পোৎপাদন এবং উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সামনের বছর গ্যাস সরবরাহ ৫০ শতাংশ বাড়ানো হবে। এ লক্ষ্যে বছরের প্রথম ছয় মাস ৫০০ এমএম সিএফটি এবং পরবর্তী ৬ মাসে আরো পাঁচশ- মোট ১ হাজার এমএম সিএফটি গ্যাস যোগ হবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা আরো উন্নত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, যেখানে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে একসময় ৩০ শতাংশ সিস্টেম লস ছিল, তা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে তা সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
বর্তমান সরকার শিল্পোদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করার জন্য সব সময় প্রস্তুত। বর্তমান সরকারের সময়েই একাধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও একাধিকবার এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেন। বর্তমানে বাংলাদেশে দৈনিক গ্যাসের সরবরাহ ২৭শ এমএম সিএফটি। এর মধ্যে ১৭শ এমএম সিএফটি গ্যাস সরবরাহ করে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মো. আবুল কাসেম খান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরুল ইসলাম, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি এম তাজুল ইসলাম, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ড. মুশফেকুর রহমান এবং ডিসিসিআই সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Posted in জাতীয়, ব্যবসা-অর্থনীতি | Comments Off on গ্যাস সরবরাহ বাড়বে ৫০ শতাংশ : জ্বালানি উপদেষ্টা

‘ক্ষমতাবানরাই সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিবাজ’

ডেস্ক রিপোর্ট : দুর্নীতিতে সবাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিমজ্জিত বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

বৃহস্পতিবার সকালে সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের সঙ্গে বৈঠকে তিনি আরো বলেন, ক্ষমতাবানরাই সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি করে।

আগামী ৮ থেকে ১০ বছরের মধ্যে দেশে দুর্নীতি থাকবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই কিন্তু দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। আমরা সবাই যদি এরমধ্যে না থাকতাম তাহলে দুর্নীতি চলতে পারতো না। দুর্নীতি করেন এমন কিছু ব্যক্তি যাদের হাতে ক্ষমতা আছে। এই ক্ষমতার প্রয়োগের সময় মূলত তারা দুর্নীতি আশ্রয় গ্রহণ করেন।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘একটা সময় ছিল যখন সরকারি চাকরিজীবীদের খাবার নিয়ে চিন্তা করতে হতো। এখন সে অবস্থা নেই। এখন চাকরিজীবীরা সচ্ছলভাবে চলতে পারেন।’

দুদকের হটলাইন সার্ভিস চালুর প্রশংসা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এর মাধ্যমে সাধারণ জনগণ সহজেই নালিশ করতে পারবেন। প্রযুক্তি দেশের দুর্নীতি দমনে অনেক সুযোগ করে দিয়েছে। সেগুলো আমাদের কাজে লাগাতে হবে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘৮ থেকে ১০ বছরে মধ্যে সব ধরনের দুর্নীতি চলে যাবে। দুদক চাইলে অনেক কিছু করতে পারে। দুর্নীতিকে তাড়াতাড়ি রোধ করা সম্ভব নয়।’

Posted in ব্যবসা-অর্থনীতি, রাজনীতি | Comments Off on ‘ক্ষমতাবানরাই সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিবাজ’

পোশাক কারখানার উন্নয়ন হলেও পণ্যের দাম বাড়েনি: বাণিজ্যমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ (ফাইল ফটো)ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশের অধিকাংশ পোশাক কারখানার উন্নয়ন করা হলেও সে অনুযায়ী পণ্যের দাম বাড়েনি বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদের জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইইউ’র সঙ্গে বাংলাদেশের তৃতীয় বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়। ডায়ালগ শেষে তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘রানা প্লাজা ধসের পর আমাদের দেশের অনেক কারখানা উন্নয়ন করা হয়েছে। সেজন্য আমাদের বিনিয়োগকারীদের অনেক টাকা ব্যায় করতে হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের ২৭০টি কারখানা গ্রিণ করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের পণ্যের দাম সে অনুযায়ী বাড়ায়নি ক্রেতারা। আজকের এ মিটিংয়ে বাংলাদেশি পণ্যে দাম বাড়াতে ইইউ’র ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছি। ইইউ প্রতিনিধিরা তাদের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের সিদ্ধান্ত জানাবে বলে তারা জানিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বেক্সিটের পর পাউন্ড ও ইউরোর দাম কমেছে। তবে বাংলাদেশি টাকার অবস্থান ছিল মজবুদ। ফলে এ বিষয়টি বিবেচনা করে হলেও আমাদের পণ্যের দাম বাড়ানো প্রয়োজন।’

তৃতীয় বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাণিজ্য সচিব সুভাশিষ বোস, এনবিআর’র চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নিয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আমিনুল ইসলাম। এছাড়া ইইউ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুন। আরও উপস্থিত ছিলেন- স্পেনের, ব্রিটেন ও ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতরা।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৮ সালের মে মাসে শেষ হচ্ছে ইইউ’র ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ডের মেয়াদ। আজ ইইউ’র পক্ষ থেকে অ্যাকর্ডের মেয়াদ ২০২১ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে আমরা অ্যাকর্ডের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। তাদের জানিয়েছি, মেয়াদ শেষ হলেই চুক্তির মেয়ার বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম বৈঠকে বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের সমস্যা সমাধানে ৫টি কমিটি করা হয়। সেই কমিটিগুলোতে বিডা, এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংক যৌথভাবে ১০টি সমস্যা চিহ্নিত করেছে। সমস্যাগুলোর অধিকাংশ ইতোমধ্য সমাধান করা হয়েছে বলে ইইউ প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়েছে।’

Posted in ব্যবসা-অর্থনীতি | Comments Off on পোশাক কারখানার উন্নয়ন হলেও পণ্যের দাম বাড়েনি: বাণিজ্যমন্ত্রী

ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের প্রতি শুল্ক জটিলতা দূর করার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

ডেস্ক রিপোর্ট : শুল্ক খাতে চলমান জটিলতাগুলো নিরসন করতে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘শুল্ক জটিলতার কারণে বাংলাদেশের রফতানি অনেক ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত মোতাবেক উন্নতবিশ্বের দেশগুলো এলডিসিভুক্ত দেশগুলোকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করার কথা। কিন্তু অনেক উন্নত দেশ সে সুবিধা দিচ্ছে না। বিভিন্ন ধরনের শুল্ক জটিলতার কারনে রফতানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন উদ্যোগ নিয়ে শুল্ক ক্ষেত্রে চলমান জটিলতাগুলো দূর করলে উন্নতবিশ্বে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি আরও বাড়বে।’

সোমবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে বাংলাদেশে সফররত ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কোনিও মিকুরিয়া’র সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

কোনিও মিকুরিয়া’র সঙ্গে সাক্ষাতে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রফতানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ৩৪ দশমিক ৮৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। ২০২১ সালে এর পরিমাণ হবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে অনেক দেশে শুল্ক জটিলতার কারণে পণ্য রফতানি করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে উচ্চ শুল্কহার ও নতুন নতুন নামে শুল্ক আরোপ রফতানির জন্য বড় বাধা। ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন এ ক্ষেত্রে কাজ করতে পারে।’

সফররত ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা এর সদস্য দেশগুলোর কাস্টমস সমস্যা সমাধানে কাজ করছে। শুল্কায়নের ক্ষেত্রে পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্য সহজ করতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করে যাচ্ছে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন। কাস্টমস জটিলতার কারণে যেন বিশ্ব বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।’

বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, ডব্লিউটিও মহাপরিচালক মুনির চৌধুরী, রফতানি ২ শাখার অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাংলাট্রিবিউন।

Posted in Uncategorized, ব্যবসা-অর্থনীতি | Comments Off on ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের প্রতি শুল্ক জটিলতা দূর করার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

আউটসোর্সিংয়ে ভারতের পরেই বাংলাদেশ, ৩ নম্বরে আমেরিকা

ডেস্ক রিপোর্ট : বিশ্বে আউটসোর্সিং করা দেশগুলোর মধ্যে দুই নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের আগে অবস্থান প্রতিবেশী দেশ ভারতের। আর তিন নম্বরে অবস্থান করছে আমেরিকা।

সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এ চিত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট (ওআইআই)’-এর একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বের মোট আউটসোর্সিং কাজের ১৬ শতাংশ হয়ে থাকে বাংলাদেশে। আর প্রথম স্থানে থাকা ভারতে হয়ে থাকে ২৪ শতাংশ কাজ। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা আমেরিকায় হয় ১২ শতাংশ কাজ। এর পরপরই সেরা দশে অবস্থান করছে পাকিস্তান, ফিলিপাইন, যুক্তরাজ্য, ইউক্রেইন, কানাডা, রোমানিয়া ও মিশর।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ঘরে বসে ফ্রিল্যান্স কাজ করার একটা বড় বাজার তৈরি হয়েছে বিশ্ব জুড়ে। দিন যত যাচ্ছে এই বাজার তত দ্রুত বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি পেশাদারিত্বের নিরিখে মার্কিন মুলুকে গুরুত্ব পাচ্ছে কপি রাইটিং (লিখন) ও ট্রান্সলেশন (অনুবাদ)। আর ভারতীয় উপমহাদেশে গুরুত্ব পাচ্ছে সফটওয়্যার উন্নয়ন ও নিত্যনতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন।

অনলাইনে ফ্রিল্যান্স কাজের ক্রেতা-বিক্রেতাদের চারটি বৃহত্তম প্ল্যাটফর্ম ‘ফাইবার’, ‘ফ্রিল্যান্সার’, ‘গুরু’ ও ‘পিপলপারআওয়ার’ থেকে পাওয়া তথ্যাদির ভিত্তিতেই ওই রিপোর্ট বানানো হয়েছে বলে ‘ওআইআই’-এর দাবি।

Posted in ব্যবসা-অর্থনীতি | Comments Off on আউটসোর্সিংয়ে ভারতের পরেই বাংলাদেশ, ৩ নম্বরে আমেরিকা

ঝুঁকিমুক্ত ঘোষণা মংলা সমুদ্র বন্দরে ১৩৫ কি.মি নৌপথ

ডেস্ক রিপোর্ট : পশুর নদীর চ্যানেলের খনন কাজ শেষ হওয়ায় বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া থেকে মংলা বন্দরের জেটি পর্যন্ত ১৩১ কিলোমিটার নৌপথ ঝুঁকিমুক্ত হয়েছে। এতে দেশের সামুদ্রিক বন্দর মংলায় ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। এখন একসঙ্গে ৩৩টি দেশি-বিদেশি জাহাজ এখানে ভিড়তে পারছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্দরে জাহাজে পণ্য আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। এখন মংলা বন্দর ব্যবহারের কথা ভাবছে নেপাল, ভূটান ও ভারত।

মংলা বন্দরের হারবার বিভাগ জানিয়েছে— সুন্দরবন সংলগ্ন করমজল, জয়মনিরগোল ও হারবাড়িয়া নামক স্থানে নোঙর ফেলে পণ্য খালাস করতো দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজগুলো। বন্দরের প্রবেশদ্বারে পলি জমা পড়ায় বিদেশি নাবিকরা ঝুঁকির কারণে হারবাড়িয়া পর্যন্ত আসতে চাইতেন না।

মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলীর (নৌ) অতিরিক্ষ দায়িত্বে থাকা শওকত আলী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, প্রতি বছর পশুর চ্যানেলে পলি জমতো ১ দশমিক ৪ ফুট। পশুর নদীর নাব্যতা না থাকায় ৯ মিটার গভীরতায় জাহাজগুলো বন্দরের জেটিতে ভিড়তে পারতো না। এ কারণে ১৯৯১-৯২ অর্থবছরে পশুর চ্যানেলে নাব্যতা সৃষ্টির জন্য ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে চায়না হারবার কোম্পানি ৩৫ লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণ করে।

এরপর চ্যানেলে পুনরায় নাব্যতা সংকট দেখা দিলে বিভিন্ন মহলের দাবিতে ২০০৯ সালের ২৬ এপ্রিল একনেকের সভায় পশুর চ্যানেলে ড্রেজিং করার জন্য ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়। পরবর্তীতে বেড়ে যায় এর ব্যয়। ২০১২ সাল থেকে খনন প্রক্রিয়া শুরু করে শেষ হয় ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর। এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ১১১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে ৩৪ লাখ ৮ হাজার মিটার পলি অপসারণ হয়েছে।

মংলা বন্দর (ছবি- সংগৃহীত)মংলা বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার ওলিউল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বন্দরের যাত্রার শুরুতে মংলা নালা ও পশুর নদীর সংযোগস্থলে নদীর গভীরতা ছিল ৩৫ ফুট। এখন জেটিসহ ফেয়ারওয়ে বয়ায় একসঙ্গে ৩৩টি জাহাজ ভিড়তে পারে। এছাড়া চারটি ট্রানজিট শিট ও দুটি ওয়ারহাউস রয়েছে। সেখানে ৬০ হাজার মেট্রিক টন মালামাল রাখার ব্যবস্থা আছে। এছাড়া তিনটি কন্টেইনার ইয়ার্ড ও গাড়ি ইয়ার্ডে দুই হাজার গাড়ি রাখা সম্ভব।

মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান অর্থ ও হিসাররক্ষণ কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৬২৩টি জাহাজ আসা-যাওয়া করেছে। ড্রেজিংয়ের পর থেকে বন্দরের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক পরিচালক গোলাম মোস্তফা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নিজস্ব বন্দর না থাকায় কলকাতার হলদিয়া বন্দর ব্যবহার করে আসছে নেপাল ও ভূটান। এখন মংলা বন্দর ব্যবহারের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে তাদের। এ নিয়ে তারা গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে।’

মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য ভূটানের আট সদস্যের প্রতিনিধি দল ২০১৩ সালের ১১ জুলাই বাংলাদেশ সফর করেন। সূত্র জানায়, আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে খরচ কমানোর লক্ষ্যে ১৯৮৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মংলা বন্দর সফরের সময় সুবিধাগুলো পর্যবেক্ষণ করেন। ১৯৯৭ সালে নেপাল এই বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দিলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তাতে সম্মতি জানায়।

১৯৯৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মংলা বন্দরের মাধ্যমে ৬৩ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি করে নেপাল। ট্রাকযোগে বাংলাবন্দ চেকপোস্ট হয়ে এসব মালামাল নেওয়া হয় সেই দেশে। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ ভারতের বাধার পর এ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯৯ সালে নেপালের পক্ষ থেকে মংলা বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দেওয়া হয় আবারও। কিন্তু পরবর্তীতে দেশটি এগিয়ে না আসায় উদ্যোগটি সাফল্যের মুখ দেখেনি।

সূত্র : বাংলাট্রিবিউন।

Posted in জাতীয়, ব্যবসা-অর্থনীতি | Comments Off on ঝুঁকিমুক্ত ঘোষণা মংলা সমুদ্র বন্দরে ১৩৫ কি.মি নৌপথ

মাত্র ২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ১৩ কোটি টাকা নিয়ে গেলো ভারতীয় কোম্পানি ‘হাঙ্গামা’

ডেস্ক রিপোর্ট : মাত্র ২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে বাংলাদেশ থেকে দুই বছরে প্রায় ১৩ কোটি টাকা লভ্যাংশ নিয়ে গেছে ভারতীয় কোম্পানি হাঙ্গামা। এই টাকা কোম্পানিটির মূলধনের প্রায় ৩২০ গুণ। বিষয়টিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘অস্বাভাবিক ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড’ হিসেবে দেখছে। এই বিষয়ে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানকে ‘হাঙ্গামা (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেডের অনিবাসী শেয়ার হোল্ডারদের অনুকূলে মাত্রাতিরিক্ত লভ্যাংশ প্রেরণ প্রসঙ্গে’ কয়েকটি বিষয়ে অভিমত চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক দুই বার চিঠি দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিটিআরসির সচিব মো. সরওয়ার আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে জানতে চেয়ে বিটিআরসিতে চিঠি দিয়েছে। এ বিষয়ে অপারেটরদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাঙ্গামা’র বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিযোগ, ২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ২০১৫ সালে ৬ কোটি ৭৪ লাখ ৮১ হাজার ২৫০ এবং ২০১৪ সালে ৬ কোটি ৭ লাখ ৩৩ হাজার ১২৫ টাকা লভ্যাংশ বাবদ ভারতে পাঠানো হয়েছে। এই টাকা ওই কোম্পানির মূলধনের প্রায় ৩২০ গুণ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, হাঙ্গামার কর্মী-সংখ্যা মাত্র ১ জন। এছাড়া স্থায়ী কোনও স্থাপনা নেই। স্থায়ী স্থাপনাবিহীন ‘স্বল্প মূলধনী’ এ প্রতিষ্ঠানটি তাদের ১ জন মাত্র কর্মী দিয়ে মূলধনের প্রায় ৩২০ গুণ লভ্যাংশ ভারতে পাঠানোর বিষয়টিকে ‘অস্বাভাবিক ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড’ বলে অভিহিত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিটিআরসিকে দেওয়া চিঠিতে ‘হাঙ্গামা’কে ‘শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন অখ্যাত একটি কোম্পানি’ হিসেবে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রাপ্ত নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ‘হাঙ্গামা’ ভারতের হাঙ্গামা ডিজিটাল মিডিয়া এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড ও নিরাজ রায় (পরিচালক)-এর শতভাগ মালিকানাধীন একটি কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি মোবাইলফোনের ওয়াপ, সিআরবিটি (কলার রিং ব্যাক টোন) আইভিআর (ইন্টারঅ্যাক্টিভ ভয়েস রিকগনিশন) এবং মিউজিক স্ট্রিমিং সেবা দেয়।

‘হাঙ্গামা’র আর্থিক বিবরণী পর্যালোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ধরা পড়েছে, প্রতিষ্ঠানটির আয়ের সিংহভাগ (বেশির ভাগ অংশ) বিভিন্ন মোবাইলফোন অপারেটরগুলোর কাছে বিভিন্ন সেবা বিক্রির মাধ্যমে আসে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগ-প্রফিট, ডিভিডেন্ড রেমিটেন্স শাখা) মো. আলী আকবর ফরাজী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বিটিআরসির কাছে এই ধরনের সেবাদানের জন্য কোনও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে কিনা, এজন্য শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন অখ্যাত একটি কোম্পানিকে অনুমোদন দেওয়ার আদৌ কোনও যৌক্তিকতা আছে কিনা এবং মোবাইলফোন অপারেটরদের এত উচ্চমূল্যে এসব সেবা (ওয়াপ, সিআরবিটি, আইভিআর ও মিউজিক স্ট্রিমিং সেবা) দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপের প্রয়োজন আছে কিনা, এ সব বিষয়ে অভিমত চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া সম্প্রতি বিটিআরসিতে শর্টকোড চেয়ে আবেদন করেছে হাঙ্গামা। শর্টকোডটি ই-এন্টারটেইনমেন্ট (মিউজিক, ওয়ালপেপার, অ্যানিমেশন, গেমস, ভিডিও) সার্ভিসের চাওয়া হয়েছে। শর্টকোড বরাদ্দ দিতে বিটিআরসির অনুকূলে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা (১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ) চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। শর্টকোড চেয়ে টাকা জমা দেওয়ার আবেদনপত্রে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হিসেবে নিরাজ রায়ের স্বাক্ষর রয়েছে। স্বাক্ষরের নিচে ভারতের একটি ফোন নম্বর দেওয়া রয়েছে। প্যাডে প্রতিষ্ঠানটির গুলশানের ঠিকানা দেওয়া থাকলেও তাতে কোনও ফোন নম্বর বা ই-মেইল ঠিকানা নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি পাওয়ার পর বিটিআরসি বিষয়টি আমলে নিয়েছে। শর্টকোডের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানা গেছে।

হাঙ্গামার কার্যালয় গুলশানে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশান এক নম্বরের ১২৬ নম্বর রোডে অবস্থিত কার্যালয়ে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। সিঁড়ির কাছের দেয়ালে সাঁটানো প্লাস্টিকের সাইনবোর্ডে ‘হাঙ্গামা’র লোগো বসানো। নিচে ইংরেজিতে লেখা হাঙ্গামা (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেড। ভবনটির ৪র্থ তলায় সিআইএমএ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং নামের একটি অফিসের সঙ্গে হাঙ্গামার অফিস শেয়ার করা। অফিসে ঢোকার মূল দরজা একটিই। দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকলে ডান পাশের দরজাওয়ালা কক্ষটি হাঙ্গামার। দরজার ওপরে সাদা কাগজে কালো হরফে লেখা হাঙ্গামা (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেড। দরজায় তালা ঝোলানো ছিল। সিআইএমএ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং প্রতিষ্ঠানের কর্মী আজিজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে জানান, ‘অফিস মাঝে মাঝে বন্ধ থাকে। তবে একজন কর্মী অফিসে বসেন।’ আজ (বৃহস্পতিবার) কেন অফিস বন্ধ জানতে চাইলে তিনি তা বলতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘একটি কক্ষেই হাঙ্গামার অফিস।’ তিনি ওই কক্ষটি দেখেছেন বলেও দাবি করেন।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ‘হাঙ্গামা’ বাংলাদেশে নিবন্ধিত (বাংলাদেশ অফিস অব দ্য রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসে) একটি কোম্পানি। যার নিবন্ধন নম্বর সি-৮৬৪৮৪।

বিটিআরসিতে শর্টকোডের জন্য টাকা জমা দিয়ে নম্বর চেয়ে আবেদনের নিচে নিরাজ রায়ের দেওয়া ফোন নম্বরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফোন করা হলে অন্য প্রান্ত (ভারত) থেকে জানানো হয়, এটা হাঙ্গামার ভারতের মুম্বাই অফিসের নম্বর, কথা বলা হয় রিসিপশন থেকে। নিরাজ রায়ের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে এই প্রতিবেদককে জানানো হয়, নিরাজ রায় অফিসে নেই। মোবাইল নম্বর চাইলেও দেওয়া হয়নি। পরে আবার ফোন করলে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করিয়ে প্রিয়াংকা নামের একজনকে দেওয়া হয়, যিনি হাঙ্গামার মুম্বাই অপারেশন দেখেন বলে জানান। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘হাঙ্গামার বাংলাদেশের অফিস চালু রয়েছে। ওই অফিস থেকেই বাংলাদেশের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।’ বৃহস্পতিবার গুলশানে অফিসে গিয়ে বন্ধ থাকার কথা তাকে জানালে, কেন অফিস বন্ধ তা তিনি জানাতে পারেননি। তিনি আরও জানান, ‘বাংলাদেশের মোবাইলফোন ব্যবহারকারীরা তাদের কাছ থেকে কনটেন্ট নিয়ে থাকে।’ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। প্রিয়াংকা এই প্রতিবেদকের নম্বর নিয়ে জানান, ‘কিছুক্ষণের মধ্যে তাদের আইন বিভাগের কর্মকর্তা ফোন করে বিস্তারিত জানাবেন।’ এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত এই প্রতিবেদকের কাছে হাঙ্গামা থেকে কোনও ফোন আসেনি।

এদিকে দেশের একাধিক মোবাইলফোন অপারেটরের কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, তাদের গ্রাহকরা বিভিন্ন কনটেন্ট প্রোভাইডারদের থেকে মোবাইলে গান, ওয়াল পেপার ডাউললোড করেন, রিংটোন বা ওয়েলকাম টিউন সেট (এজন্য মোবাইল গ্রাহকের ব্যালেন্স থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়) করেন, তার জন্য ওই প্রতিষ্ঠান (হাঙ্গামার মতো অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে) সংশ্লিষ্ট অপারেটরের সঙ্গে চুক্তির শর্তানুযায়ী রাজস্ব ভাগাভাগি করে। হাঙ্গামাও বিভিন্ন অপারেটরের কাছ থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব ভাগাভাগির বেশিরভাগ অর্থ থেকে লভ্যাংশ (প্রায় ১৩ কোটি) বাবদ ভারতে পাঠিয়েছে।

কনটেন্ট নিয়ে কাজ করেন, এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করলে ভবিষ্যতে তাদের সমস্যা হতে পারে ভেবে কেউই উদ্ধৃত হয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তবে তারা এজন্য ভ্যাস (ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস) গাইডলাইন না থাকাকে দায়ী করেন। তাদের ভাষ্য, ভ্যাস গাইডলাইন থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সেবা দিতে হলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে লাইসেন্স নিতে হতো। তাহলে জবাবদিহির একটা বিষয় থাকতো। অনুমোদন নেওয়ার কোনও বাধ্যবাধকতা থাকলে যেকেউ যেনতেনভাবে ব্যবসা করে যেতে পারত না। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই চিঠিতে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুমোদন না নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তা যুক্তিযুক্তও কিনা জানতে চাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জানতে চাইলে বিটিআরসির সচিব মো. সরওয়ার আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে জানতে চেয়ে বিটিআরসিতে চিঠি দিয়েছে। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্পষ্ট জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির কোনও স্থায়ী স্থাপনা নেই এবং এর শুধু একজন কর্মী রয়েছে। আমরা সব মোবাইলফোন অপারেটরের কাছে এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চেয়েছি। অপারেটরদের থেকে তথ্য পাওয়ার পর তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Posted in তথ্যপ্রযুক্তি, ব্যবসা-অর্থনীতি | Comments Off on মাত্র ২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ১৩ কোটি টাকা নিয়ে গেলো ভারতীয় কোম্পানি ‘হাঙ্গামা’

‘ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে পূর্বাচল প্রকল্প’

ডেস্ক রিপোর্ট : ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পূর্বাচল প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। প্রকল্পের কাজের সঙ্গেই পূর্বাচল নতুন শহরের সুয়ারেজ, গ্যাস, পানিসহ অন্যান্য সার্ভিস লাইন স্থাপনের কাজ চলবে বলেও জানান তিনি।

শুক্রবার সকালে কুড়িল পূর্বাচল খাল প্রজেক্ট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এই খালে কিন্তু স্বচ্ছ পানি দেখবেন। এর দুই পাশে ওয়াকওয়ে থাকবে, সার্ভিস রুট থাকবে এবং স্পেসওয়ে থাকবে। হাতিরঝিলের পরে এটা হবে আরেকটি নান্দনিক এলাকা। ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যেই আমরা এগুলো সব শেষ করবো। যারা ওখানে প্লট কিনেছেন তারা বড়ি করতে পারবেন।

Posted in ব্যবসা-অর্থনীতি | Comments Off on ‘ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে পূর্বাচল প্রকল্প’

যখন যা চাইবেন তাই পাবেন, তিস্তায় ত্রাণমন্ত্রী মায়া

ডেস্ক রিপোর্ট : দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ভান্ডার খালি নেই, যখন যা চাইবেন তার চেয়ে বেশি পাবেন।

মঙ্গলবার দুপুরে ডিমলা উপজেলার ডালিয়া আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় মাঠে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের মাননীয় সচিব শাহ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ, নীলফামারী- ১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, নীলফামারী-৩ (জলঢাকা-কিশোরীগঞ্জ আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, ডিমলা উপজেলা চেয়ারম্যান তবিবুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম প্রমুখ।

এসময় মন্ত্রী বলেন, এখন বন্যার পানি নেমে গেছে, বন্যাকবলিত ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষ ঘরে ফিরেছে, তাদের গৃহ নির্মাণ ও খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আগামী আরও এক থেকে দেড় মাস তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা আমরা করবো।

মন্ত্রী আরো বলেন, বন্যা মোকাবেলায় আমাদের বাঁধ রক্ষা করতে হবে, বাধ রক্ষা করা গেলে আমরা রক্ষা পাব, এ কারণে বাধ সুরক্ষায় আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

এসময় মন্ত্রী টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্থ তিস্তা নদীর ওপর স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধটি সংস্কারে জন্য ১০০ মেট্রিক টন চাল, একটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ এবং বন্যা উপদ্রুতদের জরুরী প্রয়োজনে ইঞ্জিন চালিত নৌকার জন্য পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দের ঘোষনা দেন। সেখানে মন্ত্রী ডিমলা উপজেলার তিস্তা নদীর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ দুই হাজার ৭শ ২৫টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।

উপস্থিত জনগণের উদ্যেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ১২ হাজার মেগাওয়াড বিদ্যুৎ শেখ হাসিনার জন্য পেয়েছেন আপনারা, না হলে মোমবাতিও পেতেন না, আওয়ামী লীগের কারণে দেশ আজ এখানে এসেছে, তাই নৌকায় ভোট দিলে পেট শান্তিতে থাকবে, দেশের উন্নতি হবে।

জেলা ত্রাণ ও পুর্ণবাসন কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান বলেন, মন্ত্রী ওই অনুষ্ঠানে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে পাঁচ কেজি করে চাল, এক কেজি করে ডাল, চিনি, লবন, চিড়া, আধা কেজি মুড়ি, এক লিটার সোয়াবিন তেল, এক ডজন করে মোমবাতি ও দিয়াশলাই বিতরণ করেছেন।এদিকে বিকাল ৪টায় নীলফামারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে নীলফামারী জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে মতবিনিময় সভা করেন।

Posted in ব্যবসা-অর্থনীতি, সারা দেশ | Comments Off on যখন যা চাইবেন তাই পাবেন, তিস্তায় ত্রাণমন্ত্রী মায়া

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud