January 24, 2025
ডেস্ক রিপোর্ট : ইজারাদারদের সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের কোরবানির পশুর হাট। দফায় দফায় টেন্ডার আহ্বান করেও সরকার নির্ধারিত কাঙ্ক্ষিত দর পাওয়া যাচ্ছে না। গত বছরের তুলনায় এবছর দর কম পড়েছে পাঁচটি হাটের। যাতে সিটি করপোরেশন বাধ্য হয়েই কম দরে হাট ইজারা দেয়। সেজন্য সিন্ডিকেটটি এ কাজ করছে। ওই হাটগুলোর বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না সিটি করপোরেশন। ফলে দুই সিটি করপোরেশনের কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা রাজস্ব হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।
এ বছর দুই সিটি করপোরেশন ২২টি হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ সিটিতে ১৩টি এবং উত্তর সিটিতে ৯টি। দক্ষিণের হাটগুলো হচ্ছে-মেরাদিয়া বাজার,উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারসংলগ্ন মৈত্রী সংঘের মাঠ,কমলাপুরের ব্রাদার্স ইউনিয়ন সংলগ্ন বালুর মাঠ,কমলাপুর স্টেডিয়ামের আশপাশের খালি জায়গা,জিগাতলা হাজারীবাগ মাঠ, লালবাগ রহমতগঞ্জ খেলার মাঠ,কামরাঙ্গী চর ইসলাম চেয়ারম্যানের বাড়ির মোড় থেকে দক্ষিণ দিকে বুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধ সংলগ্ন জায়গা,আরমানিটোলা খেলার মাঠ ও আশপাশের খালি জায়গা,ধূপখোলা ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব মাঠ, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন খালি জায়গা,দনিয়া কলেজ মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গা,শ্যামপুর বালুর মাঠ ও সাদেক হোসেন খোকা মাঠ সংলগ্ন ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল ও সংলগ্ন খালি জায়গা।
এই হাটগুলোর মধ্যে প্রথম দফায় ২৬ জুলাই ধূপখোলা ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব মাঠ ও ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল ও সংলগ্ন খালি জায়গার হাটের বিপরীতে কোনও দরপত্রই জমা পড়েনি। এছাড়া গোপীবাগের ব্রাদার্স ইউনিয়ন সংলগ্ন বালুর মাঠ, কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন হাট এবং আরমানিটোলা হাটের বিপরীতে সরকারি মূল্যের (হাটের গত তিন বছরের ইজারা মূল্যের গড়) চেয়ে কম মূল্য দেওয়া হয়। পরে এ পাঁচটি হাটের দ্বিতীয় দফায় দরপত্র আহ্বান করা হয়।
দ্বিতীয় দফায়ও সাদেক হোসেন খোকা মাঠের জন্য একটি দরপত্রও জমা পড়েনি। তৃতীয় দফায় হারুন-অর রশীদ নামে একজন সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন ৬৮ লাখ টাকা। যা সরকারি মূল্য এক কোটি ১২ লাখ ১২ হাজার ৯১৬ টাকা থেকে ৪৪ লাখ ১২ হাজার টাকা কম।
গরুর হাট (ছবি: সংগৃহীত)
বাকি চারটির মধ্যে শুধু ধূপখোলা ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব মাঠের জন্য সরকার নির্ধারিত মূল্য ৬১ লাখ ২৮ হাজার ৭৫০ টাকা থেকে মাত্র ২১ হাজার ২৫০ টাকা বেশি মূল দিয়ে হাজী মো.শামসুজ্জোহা নামে এক ব্যক্তি ইজারা পান। বাকি তিনটি হাটের বিপরীতে বাধ্য হয়েই তৃতীয় দফার জন্যও দরপত্র আহ্বান করে সিটি করপোরেশন। এতেও সরকারি মূল্য থেকে কম মূল্য দিয়েছে ইজারায় অংশগ্রহণকারীরা। এছাড়া প্রতিটি হাটেই মাত্র দুজন করে দরপত্র জমা দিয়েছে।
আরমানিটোলা খেলার মাঠ ও আশপাশের খালি জায়গা নিয়ে গঠিত হাটের বিপরীতে দ্বিতীয় দফার টেন্ডারে ইংলিশ রোডের আশিকুর রহমান সর্বোচ্চ দর দিয়েছিলেন এক কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা সরকারি মূল্যে থেকে তিন কোটি ৫২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা কম। তৃতীয় দফায় তিনি দরপত্রেই অংশই নেননি। এ হাটের বিপরীতে তৃতীয় দফায় অংশ নেন দুজন। এতে সর্বোচ্চ দর এক কোটি ৩৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭৫০ টাকা দিয়েছেন এরফান এন্টারপ্রাইজের জাহাঙ্গীর আলম। ফলে এ হাটে সরকারি মূল্য চার কোটি ৮৬ লাখ ৩৬ হাজার ৬৭০ টাকার মধ্যে তিন কোটি ৫০ লাখ ৬০ হাজার ৯২০ টাকা দর কম উঠেছে।
একইভাবে কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন হাটের সরকারি মূল্য ৪৭ লাখ ৭৬ হাজার ১৭৩ টাকা। কিন্তু আমির খান নামে এক ইজারা প্রত্যাশী দর দিয়েছেন মাত্র ১৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। যা সরকারি মূল্যের চেয়ে ৩২ লাখ ১৬ হাজার ১৭৩ টাকা কম।
একই অবস্থা গোপীবাগের ব্রাদার্স ইউনিয়ন সংলগ্ন বালুর মাঠের হাটের। এ হাটটির সরকারি মূল্য এক কোটি চার লাখ ৩৯ হাজার ৪২৭ টাকা। দ্বিতীয় দফায় সৈয়দ মাসুম আলী সর্বোচ্চ দর দিয়েছিলেন ৬২ লাখ টাকা। তৃতীয় দফা দরপত্রেও তিনি ২০ হাজার টাকা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন। ফলে এ হাটে ৪২ লাখ ১৯ হাজার ৪২৭ টাকা কম দর উঠেছে।
কাঙ্ক্ষিত দর না পাওয়ায় এ হাটগুলোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে নীতিমালা অনুযায়ী স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে ফাইল পাঠিয়েছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এখন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে হাট ইজারার সিদ্ধান্ত।
ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ও হাটবাজার ইজারা কমিটির সদস্যসচিব মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চারটি হাটের কাঙ্ক্ষিত দর না পাওয়ায় নীতিমালা অনুযায়ী তিনটি হাটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। আর আরমানিটোলা খেলার মাঠের হাটটি বাতিল করা হয়েছে।’
সিন্ডিকেটের বিষয়ে জনতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এমন অভিযোগ আমরা পাইনি। ব্যবসায়ীরা তাদের পলিসি অনুযায়ী কাজ করে থাকেন।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় এ বছর ৯টি হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে সাতটি হাটের ইজারাদার চূড়ান্ত হয়েছে। বনরূপা ও আশিয়ান সিটির পশুহাটের ইজারা চূড়ান্ত হয়নি। বনরূপার হাটে ৫১ লাখ এবং আশিয়ান সিটির হাটে ৫৩ লাখ টাকা সর্বোচ্চ দর পাওয়া গেছে। কাঙ্ক্ষিত দর না পাওয়ায় এ দুটি হাটের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পেলে হাট দুটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’বাংলাট্রিবিউন।
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মঞ্জুর আহমেদ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৬৭ বছর।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কণ্ঠযোদ্ধা মঞ্জুর আহমেদ লস অ্যাঞ্জলসের সন্নিকট শহর গ্লেনডেন সিটির একটি হাসপাতালে স্থানীয় সময় ভোর ৩টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর বোন রীনা আহমেদ। তিনি স্ত্রী, এক পুত্র এবং এক কন্যা রেখে গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রোস্টেট ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি।
রীনা আহমেদ জানান, “মৃত্যুর আগে ইউরিন ব্লাডারে তার একটি টিউমারও ধরা পড়েছিল।”
মাদারীপুর জেলার চিকিৎসক আলাউদ্দিন আহমদের ছেলে মঞ্জুর আহমেদ দীর্ঘদিন যাবত লসঅ্যাঞ্জেলসে সপরিবারে বাস করছিলেন। মঞ্জুরের মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংস্কৃতিক অঙ্গন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা সৈয়দ মহিউদ্দিন হায়দার খোকা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মঞ্জুর আহমেদের অনেক গান বাঙালিদের উজ্জীবিত করেছে।”
নিউ ইয়র্কে বসবাসরত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অপর দুই কণ্ঠযোদ্ধা শহীদ হাসান, রথীন্দ্রনাথ রায় ও যুক্তরাষ্ট্র সফররত সংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ আহমেদ এবং সেক্রেটারি রেজাউল বারী গভীর শোক জানিয়েছেন তার মৃত্যুতে। আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার এবং সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম এক বিবৃতিতে কন্ঠযোদ্ধা মঞ্জুরের মরদেহ সরকারি ব্যবস্থাপনায় ঢাকায় নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
লাইফস্টাইল ডেস্ক : ডালিমে রয়েছে ভাইরাস ও টিউমার-রোধী উপাদান। পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন এ, সি এবং ই’সহ ফলিক অ্যাসিডের ভালো উৎস।
খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ডালিমে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান শরীর সুস্থ ও সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।
বয়সের ছাপ কমায়: ডালিম উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে বাধা দেয়। সূর্যের তাপ ও পরিবেশের ক্ষতিকারক পদার্থ ত্বকের ক্ষতি করে। যা থেকে রক্ষা করতে ডালিম সাহায্য করে।
রক্তের তারল্য ঠিক রাখে: ডালিমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তের ঘনত্ব ঠিক রাখে এবং এর বীজ রক্তের প্লাটিলেট জমাট বাঁধতে ও ঘন হতে বাধা দেয়। পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
রক্ত জমাট বাঁধা দুই ধরনের। প্রথমটা হল, কোথাও কাটে গেলে, সেই ক্ষত স্থানে রক্ত জমাট বাঁধা যা শরীরের জন্য ভালো। অন্যদিকে, শরীরের অভ্যন্তরে রক্ত জমাট বাঁধা যেমন- ধমনী বা হৃদপিণ্ডে। এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। যা রক্ষা করে ডালিমের দানা।
রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা: রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ায় এই ফল। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে ‘ফ্রি রেডিক্যাল’, কোলেস্টেরল এবং রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
আর্থ্রাইটিস থেকে রক্ষা করে: ডালিম তরুণাস্থির ক্ষয় ঘটায় এমন এনজাইমের সঙ্গে যুদ্ধ করে হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
হৃদরোগ ও ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ডালিমের রস ‘প্রস্টেইট ক্যানসার’ প্রতিরোধে সাহায্য করে, ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি কমায় এমনকি ধ্বংসও করতে পারে। রক্তের ঘনত্ব ঠিক রাখায় এটা হৃদরোগ প্রতিহত করে।
ডালিমের পুষ্টিগুণ
এক কাপ ডালিমের বীজে ২৪ গ্রাম শর্করা এবং ১৪৪ ক্যালরি থাকে।
প্রতি এক কাপ ডালিমের বীজ থেকে- ৭ গ্রাম আঁশ, ৩ গ্রাম প্রোটিন, ১২ শতাংশ পটাশিয়াম, ৩০ শতাংশ ভিটামিন সি এবং ৩৬ শতাংশ ভিটামিন কে’ পাওয়া যায়।
স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: মনে রাখায় সমস্যা আছে এমন কিছু ব্যক্তিদের প্রতিদিন ২৩৭ মি.লি ডালিমের রস খাওয়ানো হয়। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, নির্দিষ্ট সময় পর তাদের স্মৃতিশক্তির উন্নতি হয়েছে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: ডালিমের রসে ‘পিউনিসিক অ্যাসিড’ রয়েছে যা কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
হজমে সহায়তা: আঁশ হজমে সাহায্য করে। আমরা প্রতিদিন সবজি ও ফলমূল না খেয়ে নানান ‘জাঙ্ক ফুড’ খেয়ে থাকি যা শরীরের ক্ষতি করে। প্রতিদিন আঁশের চাহিদা মেটানোর জন্য খাদ্যতালিকায় ডালিম যোগ করুন। একটি ডালিমে ৪৫ শতাংশ আঁশ থাকে যা প্রতিদিনের চাহিদা পূরণ করে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ডালিমে অ্যান্টি-ইনফ্লামাটরি যৌগ থাকায় তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন সি বেশি থাকায় শরীরে অ্যান্টিবডি বৃদ্ধি করে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত ডালিম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ফলে সাধারণ রোগবালাই ও সংক্রমণ থেকে সুস্থ থাকা যাবে।
প্লাক দূর করে: ডালিমে এমন কিছু উপাদান আছে যা মুখে ‘প্লাক’ তৈরি হওয়া থেকে রক্ষা করে। বাজারের অ্যালকোহল সমৃদ্ধ মাউথওয়াশের চাইতে এটা অনেক বেশি কার্যকর।
গবেষণায় দেখা গেছে, ডালিমের হাইড্রোঅ্যালকহলিক উপাদান দাঁতে অণুজীবের কারণে সৃষ্টি হওয়া প্রায় ৮৪ শতাংশ প্লাক থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।
সতর্কীকরণ
হৃদরোগীদের জন্য ডালিমের রস উপকারী। তবে অনেক সময় ওষুধের সঙ্গে বিক্রিয়া করে থাকে। তাই সচেতন থাকতে হবে এবং কোনো ওষুধ খাওয়ার মধ্যে থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।বিডিনিউজ২৪
আমাদের দেশের বিয়ের আসরগুলোর ধরণ পাল্টে গেছে, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত আর উচ্চবিত্তের বিয়ের অনুষ্ঠানের পুরোনো আবেগ ইদানিং হারিয়ে গেছে চাকচিক্যের ডামাডোলে। আপনি কল্পনা করুন তো, শেষ কবে একটা বিয়ের অনুষ্ঠান আপনার চোখে পড়েছে যেখানে জাকজমকপূর্ণ স্টেজ সাজানো নেই, হিন্দি গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কোমর দুলানো নেই, কিংবা সাধ্যের বাইরে গিয়ে খরচ করার বিলাসিতা নেই? আর সবচেয়ে বিরক্তিকর এবং সর্বাপেক্ষা প্রচলিত যে জিনিসটা, সেটা অবশ্যই শরীরভর্তি কৃত্রিম সাজসজ্জার বাহার। এই যুগে একটা বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে, অথচ বর-কনে নামীদামী পার্লার বা বিউটিশিয়ানের শরণাপন্ন হয়নি, দামী দামী শাড়ী-গয়না-পাঞ্জাবী-শেরোয়ানী শরীরে জড়ায়নি- এমনটা ভাবতেও সাহস লাগে। কিন্ত আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব এই কাজটা করে ফেলেছেন একজন, নাম তাঁর তাসনিম জারা।
মানুষটাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাস এবং বিয়ের ছবিটাই শুধু দেখেছি। শরীরে কোনরকম কৃত্রিম সাজের ছোঁয়া না লাগিয়ে, সম্পূর্ণ নিরাভরণ অবস্থায় দাদীর সাদা কাতান শাড়ী পরেই বিয়ের আসরে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। এর পেছনের যুক্তিটাও তিনি তুলে ধরেছেন ফেসবুক স্ট্যাটাসে, লিখেছেন- “কয়েক পরত মেকাপ, ভারী পোষাক কিংবা বাহারি ডিজাইনের অলঙ্কার দিয়ে শরীরের ওজন বাড়ানোর পক্ষপাতী নই আমি। এই কৃত্রিমতাগুলো আমার সামাজিক বা অর্থনৈতিক অবস্থান তুলে ধরবে না কখনও।” এই সিদ্ধান্ত নিতে তাসনিমকে নিজের পরিবারের অনেক সদস্যের সাথেও যুদ্ধ করতে হয়েছে। অবশেষে সবাইকে রাজি করিয়েছেন। তার এই ভাবনায় সায় জুগিয়েছেন ভালোবাসার মানুষ খালেদ সাইফুল্লাহও।
তবে বিয়ের দিনটায় নিজেদের ইচ্ছেমতো সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে চাওয়ার বাসনাটায় কোন দোষও দেখেননি তিনি, তাঁর ভাবনাটা একটা জায়গাতেই, তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, আমাদের সমাজের বানিয়ে দেয়া বাজে কিছু অসামাজিক নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে মেয়েরা নিজেদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে কিনা।
তাসনিম জারা’কে ধন্যবাদ। তিনি কোন বিপ্লব করেননি, সমাজ সংস্কারেও হাত দেননি, তিনি কোন মানদণ্ড বা আদর্শও নন। তবে স্রোতের উল্টোদিকে হাঁটার দুঃসাহসটা দেখিয়েছেন, এটা সবাই পারে না। খুব রূঢ় কিছু বাস্তবতার সঙ্গে বাস করি আমরা এই সমাজে। এখানে মানুষের অর্থনৈতিক সামর্থ্য নির্ধারণ করা হয় বিয়ের অনুষ্ঠানে সে কত বড় জাকজমক করতে পারলো সেটা দিয়ে। এখানে মানুষের মানসিকতা ছোট না বড় সেটা মাপা হয় শ্বশুরবাড়ীতে কি কি গিফট পাঠানো হলো সেসব দিয়ে। অদ্ভুত কিছু অনিয়মকে নিয়ম বানিয়ে এরমধ্যে বাস করছি আমরা, সেই জায়গায় তাসনিম জারা তো উজ্জ্বল ব্যতিক্রম!
তাসনিম তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘এখন পর্যন্ত এমন কোনো বিয়ে আমি এটেন্ড করিনি যেখানে লোকজন ফিসফাস করছে, ”বউটা দেখতে কি যথেষ্ট সুন্দর… কয় ভরি স্বর্ণের গয়না পরেছে… তার জামাটা কতটা দামী হয়েছে?” আসলেও তো তাই! শুধু বিয়ের সময়ই যে এরকম আলোচনা তা না। কারো শ্বশুরবাড়ী থেকে বেশী কিছু আসেনি শুনলে শুরু হয়ে যায় তাদের লোকসঙ্গীত- “অমুক ভাবীর ছেলের বিয়েতে মেয়ের বাড়ী থেকে এটাসেটা এত কিছু দিল… আসলে ভাবী, সবার তো আর মন মানসিকতা একরকম হয় না, কি করবেন বলেন…”; এমনটাই থাকে তাদের কথার ধরণ। নারী-পুরুষ দুই দলেই এরকম মানুষের অভাব নেই আমাদের দেশে!
এই বাজারে একটা ছেলেমেয়ের মাস্টার্স শেষ করে মোটামুটি চল্লিশ-পঞ্চাশ হাজার টাকা বেতনের চাকুরী ম্যানেজ করতে করতে বয়স ত্রিশ ছুঁয়ে ফেলে। বিয়ে করতে গেলে দশ লাখ টাকা দেনমোহর দিয়ে, পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, বাহারী সাজপোষাক আর হাজারখানেক মানুষের খাবারের টাকা যোগাড় করতে করতে তো মাথার চুল পড়ার বয়স হয়ে যাবার কথা। বিয়েটা কি তবে বাপ-দাদার জমি বিক্রি করে করতে হবে? কেন একটা মেয়েকে নিজের বাড়ী থেকে উপহার নামে যৌতুকের ডিজিটাল ভার্সন সঙ্গে করে নিয়ে আসতে হবে? কেন উৎসবে পার্বণে দু’পক্ষ একে অন্যকে বাধ্যতামূলকভাবে উপহার দিয়ে খুশী করতে হবে? মানুষের মঙ্গলের জন্যেই নাকি সামাজিক রীতিনীতির সৃষ্টি, আমি তো এখানে কোথাও মঙ্গলটাই খুঁজে পাচ্ছি না। কারো যদি টাকাপয়সা বেশী থাকে, সে বাড়তি খরচ করবে, কারো সাজতে মন চাইলে সে পার্লারে গিয়ে সাজবে, কেউ ইচ্ছে করলে একশো ভরি স্বর্ণের গয়না দিয়ে শরীর মুড়িয়ে রাখবে। পুরোটাই ব্যক্তিগত সামর্থ্যের ব্যাপার। কিন্তু এগুলো ‘নিয়ম’-এ পরিণত হলো কেন? এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা কি এভাবেই চলতে থাকবে?
তাসনিম জারা পেশায় একজন ডাক্তার। ‘আরোগ্য’ নামক একটি সংগঠনের প্রেসিডেন্ট হিসেবেও আছেন। এটি মূলত একটি ক্রাউডফান্ডিংয়ের প্ল্যাটফর্ম, যেখানে গরীব অসুস্থ রোগীদের জন্য ফাণ্ড রেইজ করার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়। গত বছর সংগঠনটি ইয়ুথ লিডারশিপ পুরস্কারও জিতেছে। প্রচলিত ধ্যানধারণার বিপক্ষে গিয়ে স্রোতের উল্টো দিকে হাঁটার যে দুঃসাহস দেখিয়েছেন তাসনিম জারা, একটা স্যালুট তো তার প্রাপ্যই!
বিনোদন ডেস্ক : প্রথমবারের মতো স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে হাজির হচ্ছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় দুই মুখ তৌসিফ মাহবুব ও মেহজাবিন। নির্মাতা ও অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদের ‘মধ্যদুপুর’ নাটকে জুটি বেঁধেছেন তারা।
আগে অনেক নাটকেই দেখা গেছে এই জুটিকে। তবে বেশিরভাগ নাটকেই ছিলেন প্রেমিক-প্রেমিকার চরিত্রে। নাটকের গল্পটা সদ্য বিবাহিত দম্পতিদের ঘিরে আবর্তিত হয়েছে।
এই নাটকের মধ্য দিয়েই প্রথমবারের মতো স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করলেন তৌসিফ। তার ভাবনায়, “আগে হাজব্যান্ডের চরিত্রে কাজ করিনি। ভেবেছিলাম হয়তো আমাকে মানাবে না। যতবারই হাজব্যান্ডের চরিত্রে অভিনয়ের অফার পেয়েছি, ‘না’ করেছি।”
তাহলে কেন এই নাটকে কাজ করছেন? তৌসিফ জানালেন, “গল্পটা পছন্দ হয়েছে। গল্প শুনেই সিদ্ধান্ত নিলাম কাজটা করা যায়। নাটকটি নতুন কাপলকে ঘিরে লেখা।”
গতকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন লোকেশনে শুটিং শুরু হয়েছে। আজও চলছে শুটিং। শেষ হবে আগামীকাল। এতে তৌসিফ-মেহজাবিন ছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ। নাটকটি এবার ঈদে একটি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হবে।
ডেস্ক রিপোর্ট :‘বিনা নোটিশে’ গুলশানের বাড়ি থেকে রাজউক কর্তৃক উচ্ছেদ কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন করা হয়।
সোমবার (৭ আগস্ট) ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘এই বাড়ি নিয়ে নিম্ন আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা থাকায় আমরা হাইকোর্ট থেকে মামলা প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছি। আগামীকাল (মঙ্গলবার) এই আবেদনের উপর শুনানি হবে।’
মওদুদের করা রিভিউ খারিজ করে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর ৭ জুন গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের ১৫৯ নম্বর প্লটের বাড়ির মালামাল উচ্ছেদ করে বাড়িটি নিয়ন্ত্রণ নেয় রাজউক।
বিনা নোটিশে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ৮ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। বর্তমানে মওদুদ আহমদের করা রিটের শুনানি হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর বেঞ্চে মুলতবি রয়েছে।
ডেস্ক রিপোর্ট : গত ৫ মাসে বিজিবি সীমান্ত থেকে ১৯টি পিস্তল, একটি রিভলবার ও ২৬টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র আটক করেছে। কুরিয়ার সার্ভিস বা সীমান্তে পার্সেলের মাধ্যমে প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে এধরনের অস্ত্র আসার বিষয়টি নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন। গত চার বছরে বিজিবি ২৩৭টি পিস্তল, ২৬টি রিভলবার, ১৫২টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র, ৫ হাজার ১৫৯টি গুলি, ১৯৬টি ম্যাগজিন, ৬০টি বোমা, ৩টি গ্রেনেড, ৪৭টি কাঁচা বোমা, ৩৬ কেজি বিস্ফোরক ও ৬৯ কেটি গানপাউডার আটক করেছে। এসব অস্ত্র ও বিস্ফোরকের অধিকাংশই এসেছে পার্সেলে। দেশে ৫০টি কুরিয়ার সার্ভিসের মধ্যে একটির ঠিকানায় এসব অস্ত্র আসছে।
কুরিয়ার সার্ভিসেস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান হাজিজুর রহমান পলক এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা প্রতিদিন হাজার হাজার পার্সেল আনা নেওয়া করি, প্রতিটি প্যাকেট সঠিকভাবে তা যাচাই বাছাই করা খুব কঠিন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে স্ক্যানার মেশিন দেওয়া হলে তারা তা করতে পারবেন বলে পলক জানান। কারণ স্ক্যানার মেশিনের দাম খুব বেশি এবং কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলো সে ব্যয় বহন করতে পারবে না।
পলক আরো জানান, স্ক্যানার মেশিন পাওয়া গেলে কোনো কুরিয়ার সার্ভিসে অস্ত্রের চালান ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা কিংবা প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিল করা যেতে পারে।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকে মানি লন্ডারিং সম্পর্কিত এক বৈঠকে পার্সেলে অস্ত্রের চোরাচালান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের আশঙ্কা জঙ্গিরা পার্সেলে অস্ত্রের চোরাচালানের সুযোগ নিতে পারে এবং বিনা বাঁধায় দেশের এক স্থান থেকে অন্যস্থানে অস্ত্র আনা নেওয়া করতে পারে। গত ৩০ জুন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অস্ত্রের ডিলার মুনিরুল ইসলাম চৌধুরী মুকুলকে কুতুবদিয়া থেকে গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে ১৯টি অস্ত্র ও ৬২১টি বুলেট উদ্ধার করে। র্যাব ও বিজিবি বলছে এসব অস্ত্রের বেশিরভাগ এসেছে মিয়ানমার থেকে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব অস্ত্র পাঠানোর কথা ছিল। বেশিরভাগ অস্ত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বেনাপোল, সাতক্ষীরা, কুমিল্লা, ব্রাহ্মনবাড়িয়া সীমান্ত দিয়ে আসছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সম্প্রতি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে এধরনের অস্ত্র চোরাচালান ঠেকাতে কার্যকর সার্ভিলেন্স ডিভাইস ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সদরদফতরের এআইজি(মিডিয়া) শাহেলি ফেরদৌস জানান, পুশিশের পক্ষে একা সবসময় কাভার ভ্যান তল্লাশী করা সম্ভব নয়। কোনো অভিযোগ বা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তা তল্লাশী করা হয়ে থাকে।
অস্ত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্মিথ এন্ড আনভিল লিমিটেডের এমডি আব্দুল হালিম জানান, কোনো লাইসেন্সধারী অস্ত্র ব্যবসায়ীর পক্ষে কুরিয়ার সার্ভিসে অস্ত্র পাঠানো সম্ভব নয়, কারণ সরকারের অনুমতি নিয়ে অস্ত্র আমদানির পর তা যথাযথ তদারকির মাধ্যমে দেশে এসে থাকে।
মানি লন্ডারিং ও টেরর ফাইনান্সিং তদারককারি প্রতিষ্ঠান দি বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বিষয়টি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে পার্সেলে অস্ত্র চোরাচালান রোধে সমন্বয়মূলক পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বারোপ করে। ঢাকা ট্রিবিউন থেকে অনুবাদ
ডেস্ক রিপোর্ট : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামালের ৬৮তম জন্মবার্ষিকী আজ (৫ আগস্ট)। ১৯৪৯ সালের এই দিনে তিনি তদানীন্তন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে মাত্র ২৬ বছর বয়সে শাহাদাত বরণ করেন। দিনটি পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন ক্রীড়া ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলো শনিবার সকাল ৮টায় ধানমন্ডির আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে শহীদ শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে। একইভাবে আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগ সকাল ১১টায় এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গনে আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে।
আবাহনী লিমিটেড সমর্থক গোষ্টী শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত ১২টা ১ মিনিটে ক্লাব চত্বরে স্থাপিত আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পন করে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শনিবার বিকালে আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে স্মৃতিচারণ সভা । আওয়ামী যুবলীগ এ উপলক্ষে সকাল ১০টায় শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
বহুমাত্রিক অনন্য সৃষ্টিশীল প্রতিভার অধিকারী তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক শহীদ শেখ কামাল শাহীন স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে বি.এ. অনার্স পাস করেন। বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি অঙ্গনের শিক্ষার অন্যতম উৎসমুখ ‘ছায়ানট’-এর সেতার বাদক বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
তিনি ছিলেন ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। অভিনেতা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যাঙ্গনে জড়িত ছিলেন। শৈশব থেকে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধূলায় প্রচন্ড উৎসাহ ছিল তাঁর। তিনি উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠন, বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
শেখ কামাল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশন লাভ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর শেখ কামাল সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি নিয়ে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করেন।
তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ছিলেন এবং শাহাদাত বরণের সময় বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠন জাতীয় ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।
সূত্র: বাসস
ডেস্ক রিপোর্ট : শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ স্বাভাবিক বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে ছয় মাস থেকে এক বছর বয়সী শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দেশের ১ লাখ ৪০ হাজার টিকা কেন্দ্রে শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সারাদেশে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সের ২ কোটি ২৫ লাখ শিশুকে এই ভিটামিন এ ক্যাপসুল বিনামূল্যে খাওয়ানো হবে।
ছয় মাস থেকে এক বছর বয়সী শিশুকে নীল ক্যাপসুল এবং এক বছর থেকে ৫৯ মাস পর্যন্ত শিশুকে একটি লাল রংয়ের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তবে, খালি পেটে এবং অসুস্থ শিশুদের এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে না। বাস-ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনাল, সেতুর টোল প্লাজা ও বিমানবন্দরেও ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য ভ্রাম্যমাণ দল থাকবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
দেশের প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য পরবর্তী চারদিন (১১ থেকে ১৪ ডিসেম্বর) বিশেষ ব্যবস্থা।
আমাদের সময়ডটকম
ডেস্ক রিপোর্ট : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা মাঠের রাজনীতিতে ততোটা সরব না থাকলেও আগামীতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। তবে সেই নির্বাচনে তিনি গোপালগঞ্জ থেকেই অংশ নিবেন নাকি অন্য কোন আসন থেকে অংশ নিবেন তা এখনও চুড়ান্ত হয়নি। বিষয়টি আলোচনাই করেই সিদ্ধান্ত নিবেন প্রধামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়েরও সম্ভাবনা রয়েছে নির্বাচনে পীরগঞ্জ থেকে অংশ নেওয়ার।
শেখ রেহানার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন এটা বলতে পারি তিনি গোপালগঞ্জের রাজনীতিতে জড়িত হয়েছেন। তবে এই জন্য আগামী নির্বাচনে অংশ নিবেন এটা নিশ্চিত হয়নি কিন্তু সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ রেহানা অনেক ভেবে চিন্তে ও ধীর স্থিরভাবে সিদ্ধান্ত নিবেন। তিনি দ্রুত কোন সিদ্ধান্ত নেন না।
তিনি গোপালগঞ্জের একটি আসন থেকে নির্বাচন করবেন বলে কেউ কেউ মনে করছেন এই ব্যাপারে শেখ রেহানা কোন ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, শেখ রেহানা অনেক ধীর স্থির। তিনি হুট করে কোন সিদ্ধান্ত নেন না। অনেক ভেবে চিন্তেই সিদ্ধান্ত নেন।
তার টুঙ্গিপাড়ায় রাজনীতিতে জড়িত হওয়া একটি সূদূর প্রসারী চিন্তার অংশ।
শেখ হাসিনার একটি ঘনিষ্ট সূত্রের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত এইটুকু জানি তিনি গোপালগঞ্জে ভোট দিবেন। ভোট দেওয়ার জন্য উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হয়েছেন। ভোট দেওয়ার জন্যতো পদে জড়িত হতে হয় না। তিনি যে এলাকার ভোটার সেখান থেকেই ভোট দিতে পারেন।
ওই সূত্র জানায়, আগামীতে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় ভোট দিবেন।
এদিকে একটি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের তিনটি পদ খালি রাখা হয়েছে। একটিতে শেখ রেহানা। একটিতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা কেন্দ্রীয় কমিটিতে না থাকলে দুই জনই তৃণমূল রাজনীতিতে রয়েছেন। জয় রংপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
সূত্র জানায়, দুটি পদে তাদের নেওয়া হতে পারে। আর আর একটি পদে সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের নাম শোনা যায়।
সূত্র জানায়, আগামী নির্বাচনের আগেও এটা হতে পারে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি চান। তবে তিনি আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের আগে, কাউন্সিলে এবং কাউন্সিলের পরেও নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করার কথা বলেছেন। তিনি বার বারই এটা বলেছেন। তার ওই কথার মধ্যে নতুন নেতা নির্বাচনের ইঙ্গিত ছিল।
সূত্র জানায়, শেখ রেহানাকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা করা হয়েছে বিষয়টি শনিবার রাতে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ইলিয়াস হক এই কথা বলেছেন।
গত ১৭ জুলাই জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে ৫৭ জন কার্যনিবাহী কমিটির মধ্যে ১৪ জন উপদেষ্টামন্ডলরি সদস্য। শেখ রেহানাকে উপদেষ্টামন্ডলীর ৩ নম্বর সদস্য।
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান এ কমিটির অনুমোদন দেন।
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ইলিয়াস হক গণমাধ্যমকে জানান, ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শেখ আব্দুল হালিম ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শেখ আল বাশার খায়েরের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
গত ১৭ জুলাই আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে ৫৭ জনকে কার্যনির্বাহী কমিটিতে ও ১৪ জনকে উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য করা হয়।
সরকারের নীতি নির্ধারক একজন মন্ত্রী বলেন, শেখ রেহানা ও সজীব ওয়াজেদ জয় রাজনীতিতে আছেন। তবে তারা যেহেতু আরও অন্যান্য কাজ করেন এই কারণে পুরোপুরি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে পারছেন না। তবে আগামী দিনে তাদের দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা আগামী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটাতো হতেই পারে। তবে এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিবেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদেরকে প্রেসিডিয়ামের সদস্য করা হবে এই ব্যাপারে নেত্রী বলতে পারবেন। তিনি সিদ্ধান্ত নিবেন। তাছাড়া যাদের নিয়ে আলোচনা তাদেরও মতামতের দরকার হবে। আগামী নির্বাচনে তারা অংশ নিবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা হতে পারে।
সূত্র : আমাদের সময়ডটকম