April 26, 2024
ডেস্ক রিপোর্ট : অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে উদ্দেশ করে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ‘আপনারা প্রধান বিচারপতি ও কোর্টের স্বাধীনতা খর্ব করতে করতে এমন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন, আমরা কি কিছুই বলতে পারবো না? আমরা কি কোর্টে বসে মন্তব্য করতে পারবো না?’
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা সংক্রান্ত আপিল শুনানিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এ মন্তব্য করা হয়।
আদালত বলেন, ‘আপনারা জাজদের (বিচারকদের) মধ্যে ডিভিশন সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন। আমরা কি কোর্টে বসে মন্তব্য করতে পারবো না? ‘কিছু কিছু মন্ত্রী এজলাসে বসে কথা বলার বিষয়ে মন্তব্য করেন। এটা কি ফেয়ার? আপনাকে প্রশ্ন করছি।’
তখন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন,‘দুই দিক থেকে বক্তব্য আসে। বক্তব্য মিডিয়া লুফে নেয়।’
প্রধান বিচারপতি জবাবে বলেন, ‘আপনি কেন এ কথা বলছেন? বিচারে আমরা পলিটিক্যাল মন্তব্য দেই না। বিচার বিভাগ সংক্রান্ত বক্তব্য দেই। বিচার বিভাগে যখন যে ইস্যু চলে আসে। যেমন আজকে (মঙ্গলবার) মোবাইল কোর্ট সম্পর্কে না বললে কী থাকলো। আমরা পলিটিক্যাল কথা বলছি না।’
এ সময় বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহাব মিঞা বলেন, ‘শৃঙ্খলা বিধির খসড়ায় গেজেট প্রকাশের বিষয়টি আমরা সুপ্রিম কোর্টের কথা অনুসারে বলেছিলাম। কিন্তু আপনারা সেখানে সরকারের কথা বলেছেন।’
এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘পলিটিক্যাল কথা বলছি না। মি. অ্যাটর্নি জেনারেল, আপনারা জাজদের মধ্যে ডিভিশন সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন। পত্রিকায় এসেছে একজন, একজন বলেছেন। কোর্ট প্রসিডিং-এ আদালতের কার্যক্রমে যা হয়, তা নিয়ে পার্লামেন্ট এবং পাবলিকলি কথা বলার সুযোগ নেই।’
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘মাসদার হোসেন মামলার ১১৬ অনুচ্ছেদ এবং ১১৬ অনুচ্ছেদের ‘ক’ এর ব্যাখ্যা দিয়ে ওই মামলার রায় হয়েছে। এখন যদি আপনাদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা শুনতে হয় তাহলে দুঃখজনক। ’
উল্লেখ্য, বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলাবিধি-সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতিকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তা সুপ্রিম কোর্ট নিয়ে নিতে চান বলে এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘তারা (সুপ্রিম কোর্ট) সংশোধন করে যেটা দিয়েছিলেন,সেখানে দেখা গেছে, ১১৬ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতিকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেটা তারা নিয়ে নিতে চান। আমি কী করে সেটা দেই?’
সোমবার (৩১ জুলাই) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ আয়োজিত সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির পরিচিতি সভায় আইনমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
সূত্র :
তানিয়া আলম তন্বী: পার্টির পর এক কিশোরীকে দুইবার ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে মার্কিন এক কৃতি এথলেটের বিরুদ্ধে। বেটন রোজের অধিবাসী ১৭ বছর বয়সী জুরিয়েল রেক্স পেডিগোর বিরুদ্ধে আনীত এই ধর্ষণ অভিযোগের পর তিনি ধর্ষিতার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
ধর্ষিতা তার বিবৃতিতে জানায়, পার্টি শেষে রান্নাঘরে তাকে দুইবার ধর্ষণ করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পেডিগো বলেন, তিনি তার কর্মের জন্য নিজেকে একটি দৈত্য হিসেবেই মনে করছেন।
মদ্যপানের আগে ২৫ মে উভয়েই লুইসিয়ানায় একটি প্রম পার্টিতে ছিল। এই ঘটনার পর একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৫ জুলাইয়ের আগ পর্যন্ত পুলিশকে কিছুই জানানো হয়নি। পরবর্তীতে পেডিগো লজ্জিত বোধ করে ও নিজেকে দৈত্য মনে করে। অ্যাডভোকেটের তথ্য অনুযায়ী এমনটাই জানা গেছে।
পার্টি ও ঘটনার মধ্যে দিয়েও পেডিগো ২০১৭ লুইসিয়ানা স্পোর্টস রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের খেলায় মুগ্ধ করে সবাইকে।
তারা উভয়েই এই ঘটনা সম্পর্কে আলোচনা করেছে। ওই কিশোরী পুলিশকে জানায়, পেডিগো সবসময়ই বলত, ‘আমি যা করেছি তার জন্য আমি খুবই লজ্জিত। আমি প্রতি মুহুর্তেই ভাবি আমি কি করেছি। আমি নিজেকে দৈত্য মনে করি।’
এই অপরাধের জন্য বারবার ক্ষমা প্রার্থনা করেছে সে। সে মাতাল ছিল বলেই এমনটা করেছে।’
পেডিগোর বিরুদ্ধে দুইবার ধর্ষণ অভিযোগ আনা হলেও সবকিছু বিবেচনা করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাকে। ডেইলি মেইল
ডেস্ক রিপোর্ট : শুল্ক খাতে চলমান জটিলতাগুলো নিরসন করতে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘শুল্ক জটিলতার কারণে বাংলাদেশের রফতানি অনেক ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত মোতাবেক উন্নতবিশ্বের দেশগুলো এলডিসিভুক্ত দেশগুলোকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করার কথা। কিন্তু অনেক উন্নত দেশ সে সুবিধা দিচ্ছে না। বিভিন্ন ধরনের শুল্ক জটিলতার কারনে রফতানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন উদ্যোগ নিয়ে শুল্ক ক্ষেত্রে চলমান জটিলতাগুলো দূর করলে উন্নতবিশ্বে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি আরও বাড়বে।’
সোমবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে বাংলাদেশে সফররত ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কোনিও মিকুরিয়া’র সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
কোনিও মিকুরিয়া’র সঙ্গে সাক্ষাতে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রফতানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ৩৪ দশমিক ৮৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। ২০২১ সালে এর পরিমাণ হবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে অনেক দেশে শুল্ক জটিলতার কারণে পণ্য রফতানি করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে উচ্চ শুল্কহার ও নতুন নতুন নামে শুল্ক আরোপ রফতানির জন্য বড় বাধা। ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন এ ক্ষেত্রে কাজ করতে পারে।’
সফররত ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা এর সদস্য দেশগুলোর কাস্টমস সমস্যা সমাধানে কাজ করছে। শুল্কায়নের ক্ষেত্রে পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্য সহজ করতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করে যাচ্ছে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন। কাস্টমস জটিলতার কারণে যেন বিশ্ব বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।’
বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, ডব্লিউটিও মহাপরিচালক মুনির চৌধুরী, রফতানি ২ শাখার অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাংলাট্রিবিউন।
ডেস্ক রিপোর্ট : ‘শুনেছিলাম দালাল ছাড়া পাসপোর্ট করা যায় না। কিন্তু এখানে এসে দেখলাম সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। পরিবেশ অনেক ভালো। কোন ঝামেলা ছাড়াই পাসপোর্টের ফরম জমা দিতে পেরেছি। কাজ শেষ হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট একজন হাসিমুখে একটি চকলেটও উপহার দিলেন!’ উত্তরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নিচতলায় দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন খন্দকার এম তামাসুল। শুধু তামাসুল নন, আজ রবিবার এই অফিসে পাসপোর্ট সংক্রান্ত সেবা নিতে আসা অনেকেই পেয়েছেন এমন ‘উপহার’! ভোগান্তি ছাড়া সেবার সঙ্গে অমন ‘প্রতীকী উপহার’ পেয়ে খুশিই হয়েছেন সেবাপ্রার্থীরা। জানা গেল, জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস পালন উপলক্ষে অফিস কর্তৃপক্ষ ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ নেয়। এদিন বাক্সভর্তি চকলেট নিয়ে জনসাধারণকে বিভিন্ন সেবা দিয়েছেন কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক থেকে শুরু করে প্রায় সবাই। তবে দিবসটিকে শুধু উপহার প্রদানেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়নি। এদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়েছে ‘বেল চাপুন’ সিস্টেম। বিশেষ এই সেবাটি পাবেন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা। প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা দিয়ে কার্যালয়ের নিচতলায় লাগানো হয়েছে বিশেষ বেল। কার্যালয়ে ঢুকে যে কোন ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যাক্তি এই বেলে চাপ দিলে সংশিষ্ট কর্মকর্তা এসে হাজির হবেন। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রয়োজনীয় সেবাপূরণের ব্যবস্থাও তিনি করবেন। এ প্রসঙ্গে উত্তরা পাসপোর্ট কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক আজিজুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, পাসপোর্ট অধিদফতর থেকে কিছু দিন আগে চিঠির মাধ্যমে দেশের সব আঞ্চলিক পাসর্পোট অফিসে প্রতিবন্ধীদের জন্য এই বিশেষ সেবা চালুর নির্দেশনা দেয়া হয়। আমরা পাবলিক সার্ভিস দিবসেই এটি চালু করেছি। ভোগান্তি নয়, সাধারণ মানুষকে সেবা দেয়াই আমাদের কাজ। এটা বোঝাতেই আজ সবাইকে চকলেট উপহার দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, কার্যালয়ের ভেতরে দালালদের তৎপরতা বন্ধ করা হয়েছে। আমাদের জনবলের অভাব রয়েছে। কার্যালয়ের নিজস্ব কর্মকর্তা ২১ জন। এছাড়া ৫ জন আনসার সদস্য ও চার জন আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে এখানে কাজ করছেন। তবে এই জনবল দিয়েই সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভাড়া ভবন ছেড়ে নিজস্ব ছয়তলা ভবনে এ কার্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। রবিবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ভবনটির প্রতি তলায় প্রতিটি বিভাগেই মানা হচ্ছে শৃঙ্খলা ও সারিবদ্ধতা। নেই কোনো ঠেলাঠেলি, হইহুল্লোড় কিংবা সারি ভেঙে সামনে যাওয়ার তাড়া। তৃতীয় তলায় পাসপোর্ট প্রদান অংশে গিয়ে দেখা যায় লোহার রেলিং তৈরি করা হয়েছে সেখানে। নারী-পুরুষের জন্য পৃথক সারি। চতুর্থ তলায় শৃঙ্খলার একই দৃশ্য। ছবি তোলার জন্য পৃথক দুটি লাইনে একজন করে ভেতরে যাচ্ছেন। আঙুলের ছাপ দিচ্ছেন আর ছবি তুলছেন। ভবনের প্রতিটি তলাতেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আছে টেলিভিশন দেখার সুবিধা, নামাজের জন্য কক্ষ। সেবাগ্রহীতা নারীদের জন্য কার্যালয়ের চতুর্থ তলায় আছে ‘ব্রেস্ট ফিডিং কক্ষ’। এ প্রসঙ্গে আজিজুল ইসলাম বলেন, আমার জানামতে, পাসপোর্ট অফিসগুলোর মধ্যে উত্তরাতেই ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার চালু আছে। পাসপোর্ট আবেদন জমা দেয়া ও সংশ্লিষ্ট কাজ করতে কিছুটা সময় লাগে। নারী সেবাগ্রহীতারা যাতে স্বচ্ছন্দে আবেদন সম্পন্ন করতে পারেন সেজন্য এটি চালু করা হয়েছে।
ডেস্ক রিপোর্ট : সরাদেশে এইচএচসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হচ্ছে আজ (২৩ জুলাই)। দুপুর দেড়টার পর ফলাফল প্রত্যাশীরা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট
(http://www.educationboard.gov.bd) থেকে ফলাফল সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়া মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফলাফল সংগ্রহ করা যাবে।
এসএমএসে ফল
যেকোন মোবাইল থেকে এসএমএস করে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল জানতে আপনার মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে এ জন্য HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
আলিমের ফল জানতে Alim লিখে স্পেস দিয়ে Mad লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল পাওয়া যাবে।
এছাড়া এইচএসসি ভোকেশনালের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
এবারের পরীক্ষায় ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন।
ডেস্ক রিপোর্ট : প্রতিবছরের মতো এবারও উচ্চশিক্ষার ভর্তিযুদ্ধে নামতে যাচ্ছে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর লাখ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রতিযোগিতা শেষেই একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে তার আসন নিশ্চিত করেন। তাই এ ভর্তি পরীক্ষা আসলে মেধাবীদের যুদ্ধ। তবে এবার তাদের প্রতিযোগিতা কিছুটা হলেও কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ৯২টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন সংখ্যা ছয় লাখ ৩৬ হাজার ৩৪৩টি। এর মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসনসংখ্যা চার লাখ ৪৭ হাজার ৩৪৩টি, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এক লাখ ৮৯ হাজার।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট আসনের প্রায় অর্ধেক আসনই রয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে। এর সংখ্যা তিন লাখ ৯৯ হাজার। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার ৭০০। এছাড়া শীর্ষ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) এক হাজার ৩০টি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই হাজার দুইশ, জগন্নাথে প্রায় তিন হাজার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চার হাজার সাতশ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চার হাজার ছয়শ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হাজার একশ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হাজার দুইশ আসন রয়েছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য।
পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে আসন আছে চার হাজার তিনশ ৪৪টি। আর অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট আসনের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার, যা গত বছর ছিল সাড়ে ১১ হাজার।
এদিকে, এ বছর ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয় ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ জন শিক্ষার্থী। আগামী ২৩ জুলাই এই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এরপরই শুরু হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধ।
গত কয়েক বছরের ফল মূল্যায়ন করে দেখা গেছে, এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্তির চাইতে মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজ এবং প্রকৌশল ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা কম থাকে। গত বছর জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার দুইশ ৭৬। অথচ পাবলিক উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আসন সংখ্যা ছিল ৫২ হাজার। তাই সর্বোচ্চ ফল পেয়েও অনেকেরই এসব প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ হয়নি।
এ বছরও আসন সংকট রয়েছে কিনা জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যারা এইচএসসি পাশ করে, তাদের সবাই উচ্চশিক্ষায় যায় না। অনেকেই বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত হয়, অনেকে দেশের বাইরে পড়তে যায়। এছাড়া শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে চলে যায়। কারণ, দেশে এখন এই বিষয়ে চাহিদা বেড়েছে। ফলে বিভিন্ন বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বরং আসন খালি থেকে যায়।’
নিজস্ব প্রতিনিধি : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ‘এই বানভাসী মানুষদের নিয়ে কেউ রাজনীতি করবেন না। কোনো রকম দুষ্টামি করবেন না।’ তিনি আরো বলেন, ‘দুর্গত মানুষের কষ্টের জিনিস নিয়ে যদি কেউ ছিনিমিনি করে, দুর্নীতির আশ্রয় নেন, তাকে ক্ষমা করা হবে না।’
মঙ্গলবার দুপুরে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী সিন্দুর্না এলাকার নদীভাঙন পরিদর্শন ও বন্যাকবলিত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করতে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ত্রাণমন্ত্রী।
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘কে কোন দল সেটা ব্যাপার না। সবাইকে আসার জন্য আমি অনুরোধ করতে চাই। এই দুঃসময়ে যত কষ্টই হোক জনগণের পাশে থাকা দরকার। কিন্তু আজ আমরা দেখছি অজুহাত দেখিয়ে অনেকে বিদেশে চলে গিয়েছে। দুঃস্থ মানুষের কথা ভাবেন না, নিজের কথা ভাবেন। কীভাবে আখের গোছাবেন, কীভাবে আগামীতে ক্ষমতায় যাওয়া যায় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। এই বানভাসী মানুষ নিয়ে কেউ রাজনীতি করবেন না। কোনো রকম দুষ্টামি করবেন না। আর ত্রাণসামগ্রী নিয়ে কোনো রকম যেন কথা না উঠে সেদিকে আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে। দুর্গত মানুষের কষ্টের জিনিস নিয়ে যদি কেউ ছিনিমিনি করে, দুর্নীতির আশ্রয় নেন, তাকে ক্ষমা করা হবে না।’
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একজন বানভাসীও না খেয়ে থাকবে না। আমরা সেজন্যই কাজ করছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বীরের জাতি। আমরা দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে জানি।’
পরে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে সিন্দুর্ণা লোকমান হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন মন্ত্রী।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট ১ আসনের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সফুরা বেগম রুমী, লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক, হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারমান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ এনামুল কবির, আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ সরওয়ার হায়াত খান ও সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নূরল আমিন।
এর আগে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বিশেষ সভায় বন্যায় আপৎকালীন মজুদ হিসেবে ১০০ টন চাল, দুই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার ও পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন মন্ত্রী। পাশাপাশি নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৫০০ বান্ডেল টিন ও ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়ারও কথা জানান ত্রাণমন্ত্রী।
ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণ এখনো আওয়ামী লীগ ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমর্থন করে বলে জানিয়েছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট-আরডিসি পরিচালিত একটি জনমত জরিপ। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট ও রিসার্চ ডেভলোপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি) ২০১৭ সালের প্রথমার্ধে চালানো এক জনমত জরিপ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এই জরিপের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, দেশের অধিকাংশ মানুষ তাদের জীবনযাত্রার মান নিয়ে সন্তুষ্ট এবং সার্বিক উন্নয়নের বিষয়ে আশাবাদী। জরিপ অনুসারে, দেশের মানুষের কাছে সবচাইতে বড় দুটি সমস্যা সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং জ্বালানী ও বিদ্যুতের উচ্চ মূল্য।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিএনপির তুলনায় আওয়ামী লীগের প্রতি জন সমর্থন বেশি। সেই সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার তুলনায় জনপ্রিয়তায় অনেক এগিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১৭ সালের মার্চ মাসে ১ হাজার ৫ জন প্রাপ্ত বয়স্ক বাংলাদেশের নাগরিককে ফোনে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।
এই জনমত জরিপে অংশ নেয়া ৬৪ ভাগ মানুষ মনে করেন তাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। ২৪.৫ ভাগ মানুষ তাদের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটেনি বলে জানায়। জীবনমান অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানান ১১.৪ ভাগ উত্তরদাতা। পারিবারিক আর্থিক উন্নয়ন ঘটেছে কিনা জানতে চাইলে ইতিবাচক উত্তর পাওয়া যায় ৫৪.৫ ভাগ মানুষের কাছে। অন্যদিকে আয় বাড়েনি বলে জানান ২৫.৫ ভাগ মানুষ। পূর্বের কয়েক বছরের তুলনায় পারিবারিক আয় একই আছে বলে মতামত আসে ১৯.৯ ভাগ।
বর্তমানে নিজ পরিবারের ক্ষেত্রে শারীরিক বা সার্বিক নিরাপত্তা বেড়েছে বলে মতামত দিয়েছে অধিকাংশ উত্তরদাতা। ৬৩ ভাগ মনে করেন তাদের পরিবারের সার্বিক নিরাপত্তা বেড়েছে। ১৬.৯ ভাগ উত্তরদাতা মনে করেন তাদের নিরাপত্তা হ্রাস পেয়েছে। ২০ ভাগ উত্তরদাতা জানান তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি অপরিবর্তিত আছে।
দেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে ৬৮.৬ ভাগ মানুষ জানায়, সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। দেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে না বলে জানান ১৩.৭ ভাগ মানুষ। অন্যদিকে এ বিষয়ে উত্তর দেয়নি বা উত্তর নেই বলে জানান ১৭.৭ ভাগ উত্তরদাতা।
দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য করা প্রশ্নে ৫৬.৯ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগ সম্পর্কে ‘ভাল’ মত প্রদান করেন। বিএনপি পক্ষে ‘ভাল’ মত প্রকাশ করেন ১৮.৫ ভাগ উত্তরদাতা। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির সম্পর্কে ‘ভাল’ মত প্রকাশ করেছেন ১৫ ভাগ।
সূত্র : বিডিলাইভ।
ডেস্ক রিপোর্ট : জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণ দামের দেড়গুণ থেকে বাড়িয়ে তিনগুণ করতে সংসদে ‘স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল বিল-২০১৭’ উত্থাপিত হয়েছে।
সোমবার ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বিলটি উত্থাপন করলে পরে তা পরীক্ষা করে সংসদে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৮২ সালের ‘অ্যাকিউজিশন অ্যান্ড রিকিউজিশন অফ ইমমুভেবল প্রোপার্টি অর্ডিন্যান্স’ বাতিল করে নতুন আইন করতে বিলটি সংসদে আনা হয়েছে।
সামরিক শাসনের সময় জারি করা ওই অধ্যাদেশ উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাংলা করে নতুন করে এই আইন করা হচ্ছে।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, সরকারি প্রয়োজনে ভূমি অধিগ্রহণ করলে বাজারদরের ওপর অতিরিক্ত ২০০ ভাগ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বেসরকারি কোনও প্রতিষ্ঠানের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করলে বাজার দরের ওপর অতিরিক্ত ৩০০ ভাগ দাম দিতে হবে।
বিলে বলা হয়েছে, ধর্মীয় উপাসনালয়, কবরস্থান, শ্মশানের জমি অধিগ্রহণ করা যাবে না। তবে জনস্বার্থে একান্ত অপরিহার্য হলে প্রত্যাশিত ব্যক্তি বা সংস্থার অর্থে স্থানান্তর ও পুনর্নির্মাণ সাপেক্ষে কেবল ওই সম্পত্তি অধিগ্রহণ করা যাবে।
বিদ্যমান আইনে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পর্যায়ের
কর্মকর্তাকে আরবিট্রেটর নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রস্তাবিত আইনে যুগ্ম-জেলা জজ বা সাব-জজ পর্যায়ের কর্মকর্তাকে ওই পদে নিয়োগ দেওয়াও বিধান রাখা হয়। তবে আপিলে থাকবেন জেলা জজ পর্যায়ের কর্মকর্তা।
বিলে বলা হয়েছে, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সময় ১২ মাসের জমি কেনাবেচার দলিলের গড় বিবেচনায় নিয়ে জমির দাম নির্ধারণ করা হবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘‘বর্তমান অধ্যাদেশে অধিগ্রহণ পদ্ধতি সময়োপযোগী না হওয়ায় এবং অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের যুক্তিসঙ্গত পরিমাণে ক্ষতিপূরণের বিধান না থাকায় ‘স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন-২০১৭’ সময়োপযোগী বিধিবিধান ও ক্ষতিপূরণের পরিমাণবৃদ্ধি অন্তর্ভুক্ত করে আইন প্রণয়ন আবশ্যক।”
সূত্র : বাংলাট্রিবিউন।
বিনোদন রিপোর্ট : আবার অসুস্থ হলেন কপিল শর্মা। কয়েক সপ্তাহ আগেই হাসপাতাল থেকে ফিরেছেন তিনি। এবার শুটিং শুরু হওয়ার আগেই সেটের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিখ্যাত এই কমেডিয়ান, তথা সঞ্চালক। এবার তাঁর অনুষ্ঠানের অতিথি ছিলেন বলিউডের সুপারস্টার শাহরুখ খান ও পরিচালক ইমতিয়াজ আলী। কপিল অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেদিনের শো বাতিল করা হয়।
এর আগেও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল। বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল ‘কপিল শর্মা শো’-এর সেটে আসেন তাঁর ‘গেস্ট ইন লন্ডন’ ছবির প্রচার পর্বের শুটিংয়ে। শুটিং শুরুর আগে অনুষ্ঠানটির চিত্রনাট্য পড়তে পড়তে কপিল অসুস্থতা বোধ করেন। তখন সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আন্ধেরির হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শরীরে শর্করার পরিমাণ কম থাকায় এবং উচ্চ রক্তচাপের জন্যই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। কয়েক সপ্তাহ আগেই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন তিনি।
আর এবার শাহরুখ খান ও আনুশকা শর্মা অভিনীত ছবি ‘যব হ্যারি মেট সেজল’ ছবিটির প্রচার পর্বের শুটিং হওয়ার কথা ছিল। এদিন শুটিং শুরু হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে পেছনের মঞ্চে অচেতন হয়ে যান কমেডি অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক কপিল। তড়িঘড়ি করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে শাহরুখ এবং ইমতিয়াজের এই পর্বটি শুট করা হবে। শাহরুখের মতো বলিউড ব্যক্তিত্ব তাঁর অনেক মূল্যবান সময় থেকে সময় বের করে এদিন উপস্থিত ছিলেন। এর আগে কপিল একবার ‘ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানের মহড়ার সময় বলিউডের বাদশাকে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে রেখেছিলেন। না, তখন তিনি অসুস্থ ছিলেন না। তাঁর অভ্যাসবশত তিনি এই কাজ করেন। বলিউডের ‘সুলতান’ সালমান খানকেও ‘কপিল শর্মা শো’-এর সেটে অপেক্ষা করিয়ে রেখেছিলেন কপিল। তাই সাল্লু মিয়া বেজায় চটেছেন তাঁর ওপর। বলিউডের ভাইজান তাঁর বন্ধু শাহরুখকে অপেক্ষা করিয়ে রাখায় এখন কপিলের মুখদর্শনও করতে চান না আর। তবে এবার সাল্লু ভাই নিশ্চয় রাগ করবেন না কপিলের ওপর।
সূত্র : প্রথমআলো।