April 19, 2024
ডেস্ক রিপোর্ট : শুল্ক খাতে চলমান জটিলতাগুলো নিরসন করতে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘শুল্ক জটিলতার কারণে বাংলাদেশের রফতানি অনেক ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত মোতাবেক উন্নতবিশ্বের দেশগুলো এলডিসিভুক্ত দেশগুলোকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করার কথা। কিন্তু অনেক উন্নত দেশ সে সুবিধা দিচ্ছে না। বিভিন্ন ধরনের শুল্ক জটিলতার কারনে রফতানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন উদ্যোগ নিয়ে শুল্ক ক্ষেত্রে চলমান জটিলতাগুলো দূর করলে উন্নতবিশ্বে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি আরও বাড়বে।’
সোমবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে বাংলাদেশে সফররত ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কোনিও মিকুরিয়া’র সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
কোনিও মিকুরিয়া’র সঙ্গে সাক্ষাতে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রফতানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ৩৪ দশমিক ৮৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। ২০২১ সালে এর পরিমাণ হবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে অনেক দেশে শুল্ক জটিলতার কারণে পণ্য রফতানি করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে উচ্চ শুল্কহার ও নতুন নতুন নামে শুল্ক আরোপ রফতানির জন্য বড় বাধা। ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন এ ক্ষেত্রে কাজ করতে পারে।’
সফররত ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা এর সদস্য দেশগুলোর কাস্টমস সমস্যা সমাধানে কাজ করছে। শুল্কায়নের ক্ষেত্রে পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্য সহজ করতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করে যাচ্ছে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন। কাস্টমস জটিলতার কারণে যেন বিশ্ব বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।’
বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, ডব্লিউটিও মহাপরিচালক মুনির চৌধুরী, রফতানি ২ শাখার অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাংলাট্রিবিউন।