পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

প্রতিবেশী দেশ থেকে অস্ত্র ঢুকছে পার্সেলে!

Posted on August 5, 2017 | in Uncategorized | by

ডেস্ক রিপোর্ট : গত ৫ মাসে বিজিবি সীমান্ত থেকে ১৯টি পিস্তল, একটি রিভলবার ও ২৬টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র আটক করেছে। কুরিয়ার সার্ভিস বা সীমান্তে পার্সেলের মাধ্যমে প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে এধরনের অস্ত্র আসার বিষয়টি নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন। গত চার বছরে বিজিবি ২৩৭টি পিস্তল, ২৬টি রিভলবার, ১৫২টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র, ৫ হাজার ১৫৯টি গুলি, ১৯৬টি ম্যাগজিন, ৬০টি বোমা, ৩টি গ্রেনেড, ৪৭টি কাঁচা বোমা, ৩৬ কেজি বিস্ফোরক ও ৬৯ কেটি গানপাউডার আটক করেছে। এসব অস্ত্র ও বিস্ফোরকের অধিকাংশই এসেছে পার্সেলে। দেশে ৫০টি কুরিয়ার সার্ভিসের মধ্যে একটির ঠিকানায় এসব অস্ত্র আসছে।

কুরিয়ার সার্ভিসেস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান হাজিজুর রহমান পলক এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা প্রতিদিন হাজার হাজার পার্সেল আনা নেওয়া করি, প্রতিটি প্যাকেট সঠিকভাবে তা যাচাই বাছাই করা খুব কঠিন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে স্ক্যানার মেশিন দেওয়া হলে তারা তা করতে পারবেন বলে পলক জানান। কারণ স্ক্যানার মেশিনের দাম খুব বেশি এবং কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলো সে ব্যয় বহন করতে পারবে না।

পলক আরো জানান, স্ক্যানার মেশিন পাওয়া গেলে কোনো কুরিয়ার সার্ভিসে অস্ত্রের চালান ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা কিংবা প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিল করা যেতে পারে।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকে মানি লন্ডারিং সম্পর্কিত এক বৈঠকে পার্সেলে অস্ত্রের চোরাচালান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের আশঙ্কা জঙ্গিরা পার্সেলে অস্ত্রের চোরাচালানের সুযোগ নিতে পারে এবং বিনা বাঁধায় দেশের এক স্থান থেকে অন্যস্থানে অস্ত্র আনা নেওয়া করতে পারে। গত ৩০ জুন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অস্ত্রের ডিলার মুনিরুল ইসলাম চৌধুরী মুকুলকে কুতুবদিয়া থেকে গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে ১৯টি অস্ত্র ও ৬২১টি বুলেট উদ্ধার করে। র‌্যাব ও বিজিবি বলছে এসব অস্ত্রের বেশিরভাগ এসেছে মিয়ানমার থেকে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব অস্ত্র পাঠানোর কথা ছিল। বেশিরভাগ অস্ত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বেনাপোল, সাতক্ষীরা, কুমিল্লা, ব্রাহ্মনবাড়িয়া সীমান্ত দিয়ে আসছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সম্প্রতি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে এধরনের অস্ত্র চোরাচালান ঠেকাতে কার্যকর সার্ভিলেন্স ডিভাইস ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সদরদফতরের এআইজি(মিডিয়া) শাহেলি ফেরদৌস জানান, পুশিশের পক্ষে একা সবসময় কাভার ভ্যান তল্লাশী করা সম্ভব নয়। কোনো অভিযোগ বা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তা তল্লাশী করা হয়ে থাকে।

অস্ত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্মিথ এন্ড আনভিল লিমিটেডের এমডি আব্দুল হালিম জানান, কোনো লাইসেন্সধারী অস্ত্র ব্যবসায়ীর পক্ষে কুরিয়ার সার্ভিসে অস্ত্র পাঠানো সম্ভব নয়, কারণ সরকারের অনুমতি নিয়ে অস্ত্র আমদানির পর তা যথাযথ তদারকির মাধ্যমে দেশে এসে থাকে।

মানি লন্ডারিং ও টেরর ফাইনান্সিং তদারককারি প্রতিষ্ঠান দি বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বিষয়টি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে পার্সেলে অস্ত্র চোরাচালান রোধে সমন্বয়মূলক পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বারোপ করে। ঢাকা ট্রিবিউন থেকে অনুবাদ

Comments are closed.

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud