পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

বেনাপোল ও পেট্রাপোল স্থলবন্দর ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত

ডেস্ক রিপোর্ট : বেনাপোল ও পেট্রাপোল স্থলবন্দর সপ্তাহের সাত দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ব্যবসায়ীদের দাবি ও আমদানি-রফতানি বাণিজ্যকে সহজ ও গতিশীল করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান। বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।

শাহজাহান খান বলেন, ‘আগামী ১ আগস্ট একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে বন্দরের অটোমেশন ব্যবস্থাকে উন্নত করার চেষ্টা চলছে। অন্যান্য স্থলবন্দরগুলোও পর্যায়ক্রমে সক্ষমতা বাড়িয়ে এ অবস্থায় আনা হবে। এরপর সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরকে এ অবস্থায় আনা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম স্থলবন্দরের সমস্যা সমাধানে এখন তিনটি রাবার টায়ার ও গেনটি ক্রেন আনা হবে। এছাড়া ২০১৮ সালের মধ্যে আরও আটটি রাবার টায়ার ও গেনটি ক্রেন আনা হবে। এ সময়ের মধ্যে চট্টগ্রামের পতেঙ্গাসহ তিনটি নতুন টার্মিনাল যুক্ত হবে। ’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নৌ-পরিবহন অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার তদন্ত চলছে। তাই এ বিষয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’

বৈঠকে নৌ-মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়সহ পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাংলাট্রিবিউন।

Posted in ব্যবসা-অর্থনীতি, রাজনীতি | Comments Off on বেনাপোল ও পেট্রাপোল স্থলবন্দর ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত

যুক্তরাষ্ট্রে এসডিজি বাস্তবায়ন বিষয়ক আলোচনা পরিকল্পনা মন্ত্রীর

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট :যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে চলতি ‘হাই লেভেল পলিটিক্যাল ফোরাম’-এ ‘টেকসই উন্নয়ন’ বিষয়ক সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ইকোসকের উচ্চপর্যায়ের এই আলোচনায় বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল এলডিসি’র দেশগুলোর পক্ষে বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ এলডিসি’র দেশসমূহের বৈশ্বিক সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছে। পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল এইচএলপিএফ-এ অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

মন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল তার বক্তব্যে বলেন, “দারিদ্র্য নির্মূলের এই এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এলডিসি’র দেশসমূহ জাতীয় পর্যায়ে প্রয়োজনীয় আইনী, প্রশাসনিক ও কাঠামোগত সংস্কার সাধন করছে। আমরা সকল জনগণের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন, মানসম্মত শিক্ষা, তথ্য ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা, আইনের শাসন ও বেসরকারি খাতের জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরির উপর জোর দিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “এ সকল পদক্ষেপ সত্ত্বেও এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তার বিরাট ঘাটতি আমাদের প্রচেষ্টাকে প্রতিনিয়ত বাধাগ্রস্ত করছে। তাই উদার আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা এলডিসি এবং এলডিসি থেকে উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর জন্য সম্পদের যথাযথ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করার আহ্বান রাখছি।”

উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “তারা যেন স্বল্পোন্নত দেশসমূহকে আর্থিক, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ টেকসই এবং সময়োপযোগী সহযোগিতা দেন।”

মন্ত্রী জানান, দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে স্বল্পোন্নত দেশসমূহ অনেক পিছিয়ে রয়েছে এবং এখনও এর ৪৫ শতাংশেরও বেশি মানুষ চরমদারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে।

এলডিসি’র দেশগুলোতে ওডিএ, এফডিআই এবং বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাচ্ছে উল্লেখ করে পরিকল্পনা মন্ত্রী এক্ষত্রে বিদ্যমান প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণের জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতি জোরালো আহ্বান জানান।

প্রযুক্তির সহজলভ্যতা ও এর ব্যবহার এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে মর্মে উল্লেখ করে মন্ত্রী সদ্যগঠিত টেকনোলজি ব্যাংকের পূর্ণ কার্যক্রমের উপর জোর দেন।

এলডিসি’র দেশগুলোতে এসডিজি’র অভিষ্ট ও লক্ষ্যসমূহের পূর্ণ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক সদ্বিচ্ছা থাকতে হবে বলেও মন্ত্রী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী, এইচএলপিএফ-এর এবারের প্রতিপাদ্য, “দারিদ্র্য নিমূল এবং পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থায় সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা”-কে অত্যন্ত সময়োপযোগী বলে উল্লেখ করেন। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বল্পোন্নত দেশসমূহের উপর বিরূপ প্রভাবের কথা উল্লেখ করে তিনি এ বিষয়টি সুরাহার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

জেনারেল ডিবেটে অংশগ্রহণ ছাড়াও বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল জাতিসংঘে অনুষ্ঠিত আরও বেশ কয়েকটি এসডিজি বিষয়ক সাইড ইভেন্টে অংশ নেয়।

দিনব্যাপী এ সকল কর্মসূচিতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, পরিকল্পনা কমিশনের জেনারেল ইকোনোমিকস ডিভিশনের সদস্য শামসুল আলম ও পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল করিম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জিআইইউ-এর মহাপরিচালক আব্দুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বিডিনিউজ২৪।

Posted in আন্তর্জাতিক, ব্যবসা-অর্থনীতি | Comments Off on যুক্তরাষ্ট্রে এসডিজি বাস্তবায়ন বিষয়ক আলোচনা পরিকল্পনা মন্ত্রীর

এলিভেটেড এক্সেপ্রেসের জন্য বড় বরাদ্দ পেলো সিডিএ

ডেস্ক রিপোর্ট : চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা নিরসনে অর্থ না মিললেও এলিভেটেড এক্সেপ্রেসের জন্য ৩ হাজার ২’শ ৫০ কোটি বরাদ্দ পেয়ে গেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, সিডিএ। গত ১ বছর ধরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসের অর্থের যোগান নিয়ে সরকারি নানা সংস্থার সঙ্গে সিডিএ’র টানাপোড়েন চললেও শেষ পর্যন্ত একনেকে এ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হতে যাচ্ছে নগরীর লালখান বাজার থেকে বিমান বন্দর পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটারের এ উড়াল সড়কের কাজ।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বর্তমানে জলাবদ্ধতা প্রধান সমস্যা হলেও সমস্যা দূরীকরণে রয়ে গেছে বাজেট স্বল্পতা। যে কারণে দীর্ঘমেয়াদী কোনো প্রকল্পই নিতে পারছে না সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মাঝে এলিভেডেট এক্সপ্রেস রোডের জন্য তিন বছর মেয়াদী ৩ হাজার ২শ ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
নগরীর লালখান বাজার থেকে শুরু হয়ে শাহ আমানত বিমান বন্দরে শেষ হবে এ বিশেষ উড়াল সড়ক। সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পাশাপাশি ৯টি পয়েন্টে যানবাহন ওঠা-নামার জন্য থাকবে সাড়ে ১২ কিলোমিটারের ২৪টি র‌্যাম্প।  
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, ‘চট্টগ্রামের ৬গ লক্ষ মানুষ এটির সুবিধা ভোগ করতে পারবে। চট্টগ্রামকে যানযটমুক্ত, উন্নত করতে এই এলিভেটেড এক্সেপ্রেসের কোনো বিকল্প ছিল না।’
নগরীতে জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যা বিদ্যমান থাকায় উড়াল সড়ক নির্মাণের পেছনে এত খরচকে সহজভাবে নিতে পারছেন না নগর বিশেষজ্ঞরা।
ফোরাম ফর প্লান্ড চিটাগাং সাধারণ সম্পাদক স্থপতি সুভাষ বড়ুয়া বলেন, ‘এই যে আমি ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করবো এটা কি শুধু ২ শতাংশ লোকের জন্য? এটা তো কোনো সমতা হলো না।’
ফোরাম ফর প্লান্ড চিটাগাং-এর সদস্য প্রকৌশলী আলী আশরাফ বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সেপ্রেসে গণপরিবহন এবং ইমার্জেন্সি যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। এবং বাকি রিক্সা, কার, ভ্যান এগুলো চলবে নিচে দিয়ে।’
যানজট নিরসনের জন্য এ এলিভেটেড এক্সপ্রেস রোড তৈরি হলেও গণ পরিবহন যাতায়াতের ব্যবস্থা না হলে এটি অন্যান্য উড়াল সড়কের মতো যানবাহন শূন্য থাকবে। আগ্রাবাদ, বারিক বিল্ডিং, কাস্টম মোড়, সল্টগোলা এবং ইপিজেডের মতো প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে লুপ বা র‌্যাম্প দেয়ার পরামর্শ  নগর বিশেষজ্ঞদের।
নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, ‘যদি আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট গুলোতে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেস ব্যবহারের সুযোগ না রাখি তাহলে যেভাবে আশা করছি সেভাবে এটি কাজে আসবে না।’
নগরীতে বহদ্দরহাট থেকে মুরাদপুর, স্টেশন রোড থেকে কদমতলী এবং কদমতলী থেকে দেওয়ানহাট পর্যন্ত তিনটি উড়াল সেতু নির্মাণ করেছে সিডিএ। এছাড়া মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত সাড়ে ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের অপর একটি উড়াল সেতুর কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
সূত্র : সময়টিভি অনলাইন।

Posted in ব্যবসা-অর্থনীতি | Comments Off on এলিভেটেড এক্সেপ্রেসের জন্য বড় বরাদ্দ পেলো সিডিএ

‘ভিসা মুক্ত প্রবেশাধিকার পেলে লাভবান হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা’

ডেস্ক রিপোর্ট : মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবং ভিসা মুক্ত প্রবেশাধিকার পেলে বর্তমান বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারবে বলে মনে করেন দু’দেশের ব্যবসায়ীরা। সফরকারী শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার উপস্থিতিতে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক সংলাপে দু’দেশের ব্যবসায়ীরা এমন মন্তব্য করেন।

রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা এবং চুক্তির কাজ সেরেছেন সফরের দ্বিতীয় দিনেই। শেষ দিনের সকালে ব্যবসা ও বাণিজ্য বিষয়ক সংলাপে সিরিসেনার উপস্থিতিতেই, তাই উঠে আসে আগের দিনই দু’দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের বৈঠকে সম্পন্ন হওয়া ১টি চুক্তি ও ১৩টি সমঝোতা স্মারকের বিষয়টি। দু’দেশের বিপুল যে সম্ভাবনা, তাকে কাজে লাগিয়ে যৌথ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব বলেও মনে করেন আলোচকরা।

এক বক্তা বলেন, ‘‘আমরা দুই দেশ পরস্পরের মধ্যে যে পরিমাণ বাণিজ্য করি, তা আমাদের দু’পক্ষেরই সক্ষমতার তুলনায় খুবই কম। নতুন করে এখন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।’’

অপর এক বক্তা বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ব্যবসা করতে এসে সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি। নতুন করে দুদেশের সরকার যে চুক্তিগুলো করতে যাচ্ছে, তা কার্যকর করা গেলে বিনিয়োগে গতি আসবে।’’

আরেক বক্তা বলেন,‘‘আমাদের এমন ভাবে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যাতে দু’দেশের মধ্যে একটা উইন উইন পরিস্থিতি তৈরি হবে।’’

ব্যবসায়ীরা সমস্যা, সম্ভাবনার কথা যখন বলছেন, তখন সরকারি পর্যায়েও নিজেদের আন্তরিকতার কথা তুলে ধরেন দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘একটা সময় আমাদের অর্থনীতি অন্ত:মুখী ছিলো। ২০১৫ সালের পর তা পাল্টেছে। এখন আমরা এটাকে প্রসারিত করতে চাই। কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল ভিসা ফ্রি করা হলেও ব্যবসায়ী এবং পর্যটকদের জন্যও এ সুযোগ থাকা উচিত।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ বলেন, ‘‘সময় এখন এগিয়ে যাওয়ার। দুদেশের চেষ্টা এবং আন্তরিকতা থাকলে পারষ্পরিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগে শ্রীলঙ্কার আগ্রহ প্রশংসনীয়।’’

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ কোন দেশের সঙ্গে যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে যাচ্ছে, তা কার্যকর করা গেলে দ্বিপক্ষীয় অর্থনীতিই একটি ভারসাম্যপূর্ণ লাভের মুখ দেখবে বলে আলোচনায় উঠে আসে।

সূত্র : সময়টিভি অনলাইন।

Posted in জাতীয়, ব্যবসা-অর্থনীতি | Comments Off on ‘ভিসা মুক্ত প্রবেশাধিকার পেলে লাভবান হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা’

ইকনোমিক ডায়ালগ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি

ডেস্ক রিপোর্ট : রাজধানীর রেডিসন হোটেলে ইকনোমিক ডায়ালগ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন সফররত শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি মাইথ্রিপালা সিরিসেনা।

মেট্রপলিটন চেম্বার , পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডার আয়োজন এ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে শ্রীলাংকা ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও।

আলোচনায় অংশ নেয়া দু দেশের ব্যবসায়ীরা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলে তা কাজে লাগিয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরো এগিয়ে নিতে কাজ করার আগ্রহ জানিয়েছেন।পাশাপাশি, শ্রীলংকার ব্যবসায়ীরা সেদেশে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।

সূত্র : সময় টিভি অনলাইন।

Posted in ব্যবসা-অর্থনীতি | Comments Off on ইকনোমিক ডায়ালগ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি

সহযোগিতা বাড়াতে একটি চুক্তি, ১৩টি সমঝোতা বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার

ডেস্ক রিপোর্ট : দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কূটনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের ভিসাবিহনি যাতায়াতে একটি চুক্তি এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে ১৩টি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।

শুক্রবার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এসব চুক্তি ও সমঝোতায় সই হয়।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। আর বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে বাংলাদেশে প্রথম সফরে আসা সিরিসেনা সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান শেখ হাসিনা।

দুই নেতার একান্ত বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলি হলে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। পরে করবীতে তাদের উপস্থিতিতে চুক্তি ও সমঝোতায় সই হয়।
চুক্তি:

দুই দেশের কূটনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ভিসা ছাড়া যাতায়াতে চুক্তি
সমঝোতা:
>> কৃষি খাতে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক
>> বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) ও সিলন শিপিং করপোরেশনের (সিএসসি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক
>> উচ্চ শিক্ষা খাতে সহযোগিতা বিষয়ে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক
>> বাংলাদেশ ফরেইন সার্ভিস একাডেমি (এফএসএ) ও শ্রীলঙ্কার বন্দরনায়েক ডিপ্লোমেটিক ট্রেইনিং ইনস্টিটিউটের (বিআইডিটিআই) মধ্যে সমঝোতা স্মারক
>> বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) ও লক্ষণ কাদিরাগামার ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (এলকেআইআইআরএসএস) মধ্যে সমঝোতা স্মারক
>> আর্থিক খাতে সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক
>> বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগ বোর্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক
>> দুই দেশের মান নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বিএসটিআই ও সিএলএসআইয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক
>> তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক
>> বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ও শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংবাদ সংস্থা লঙ্কাপুভাত লিমিটেডের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক
>> দুই দেশের রেডিও, টিভি ও চলচ্চিত্র শিল্পে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক
>> চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (সিবিআইএফটি) ও শ্রীলঙ্কা ইনস্টিটিউট অব অ্যাপারেল অ্যান্ড টেক্সটাইলের (এসএলআইটিএ) মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে সমঝোতা স্মারক
>> বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক
দ্বিপক্ষীয় বৈঠক এবং চুক্তি স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “আজ সন্ধ্যায় বা কাল একটা জয়েন্ট স্টেটমেন্ট আমরা ইস্যু করব। জয়েন্ট স্টেটমেন্টের নেগোশিয়েশন হয়ে গেছে। এটা ৩৫ প্যারার।”

এই প্রথম বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার একটি যৌথে বিবৃতি আসছে জানিয়ে সচিব বলেন, এর মধ্যে দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক একটি কাঠামো (ফ্রেমওয়ার্ক) পাচ্ছে।
“আগে যেটা ছিল যে, এই সম্পর্কটা ভাসা ভাসা থাকত। হয়তো কোনো সময় কিছু একটা ইমপ্লিমেন্টেশন হয়েছে, অনেকদিন পর আমরা ভুলে যেতাম কি হয়েছে। এই ১৪টা ইন্সট্রুমেন্ট ও জয়েন্ট স্টেইটমেন্টের মধ্য দিয়ে  দুই দেশের সম্পর্কের একটা স্ট্রাকচার হল।”

এই যৌথ ঘোষণায় দুই দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার  করার অঙ্গীকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক সম্পর্কের রূপরেখাও আরও স্পষ্ট হবে বলে পররাষ্ট্র সচিব জানান। 

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট তিন দিনের সফরে বৃহস্পতিবার ঢাকায় পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান।
এই সফরে সিরিসেনা থাকছেন ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বাংলাদেশে এটা তার প্রথম সফর হলেও এর আগে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি ঢাকা ঘুরে গেছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা। সেখানে তার সম্মানে দেওয়া এক ভোজেও অংশ নেবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সেখানে থাকবেন।
শনিবার ঢাকা ছাড়ার আগে একটি বাণিজ্য সংলাপে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার।

Posted in আন্তর্জাতিক, জাতীয়, ব্যবসা-অর্থনীতি, রাজনীতি | Comments Off on সহযোগিতা বাড়াতে একটি চুক্তি, ১৩টি সমঝোতা বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার

৩৫ কোটি ডলারের ৭৫ প্রস্তাব পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

অর্থ ডেস্ক : বিশ্ব ব্যাংকের ‘ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর সাপোর্ট প্রজেক্ট (এফএসএসপি)’ থেকে দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে রফতানিভিত্তিক কোম্পানিগুলোর করা প্রায় ৩৫ দশমিক ২৯ কোটি মার্কিন ডলারের ৭৫ টি প্রকল্প প্রস্তাব পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
 
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার বলেন,‘ আমরা ইতোমধ্যে ৪৩ টি প্রস্তাবের ১৯ দশমিক ২৮ কোটি মার্কিন ডলার অনুমোদন করেছি। এর মধ্যে ৩১টি প্রস্তাবের মার্কিন ১০ দশমিক ০১ ডলার বিতরণ করা হয়েছে। অনুমোদিত অবশিষ্ট অর্থ বিতরণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।’ তিনি বলেন, অনুমোদিত মোট ফান্ড থেকে কিছু আংশিক বিতরণ করা হয়েছে এবং আরো কিছু মেশিনারি আমদানির জন্য বিতরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে, যা এলসি খোলার পর বিতরণ করা হবে।
 
বিবি সূত্র জানায়, আবেদনপত্রগুলো বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে পাঠানো হয়, যার মধ্যে তিনটি প্রস্তাব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রক্রিয়ায় রয়েছে এবং ১৬টি বিশ্ব ব্যাংক বাতিল করেছে।
 
সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল বাতেন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা চারটি কোম্পানির ৩ দশমিক ৪৬ কোটি মার্কিন ডলারের প্রস্তাব জমা দিয়েছি। এতে ইতোমধ্যে দুটি কোম্পানির ২ কোটি ১ লাখ মার্কিন ডলার ফান্ড অনুমোদন হয়েছে।’ দেশের উৎপাদন খাতে এফএসএসপি-র দীর্ঘমেয়াদী এই ফান্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
 
বাংলাদেশ ব্যাংক অংশগ্রহণকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে পৃথকভাবে চুক্তি করেছে, যা দেশের রফতানিমুখি শিল্পে ৩১টি ব্যাংকের মাধ্যমে ফান্ড বিতরণ করবে।মোট টাকার মধ্যে বিশ্ব ব্যাংক ৩০ কোটি ও বাকি অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক তার নিজস্ব তহবিল থেকে প্রদান করবে। এই প্রকল্পের মেয়াদ ১ জুলাই ২০১৫ থেকে ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত।

Posted in ব্যবসা-অর্থনীতি | Comments Off on ৩৫ কোটি ডলারের ৭৫ প্রস্তাব পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

অর্থবছর পরিবর্তন এখনই সম্ভব নয়: অর্থমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট : বিভিন্ন মহলের দাবি থাকলেও আগামী ‘দুই-তিন বছরের মধ্যে’ অর্থবছরের সময় জুলাই-জুন কাঠামো থেকে পরিবর্তন করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “এটা এত জলদি হবে না। এটা হতে হতে আরও দু’তিন বছর লাগবে। আলোচনাটা শুরু হোক, এখন পর্যন্ত (আলোচনা শুরু) হয় নাই।”

বাংলাদেশে অর্থবছর শুরু হয় প্রতিবছর ১ জুলাই থেকে। জুন মাসে অর্থমন্ত্রী সরকারের ব্যয়ের পরিকল্পনা ও আয়ের উৎস হিসাব করে পরবর্তী এক বছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। সংসদে পাস হওয়ার ওপর অর্থবছরের শুরু থেকে সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হয়।

বর্তমান ব্যবস্থায় অর্থবছরের শেষ দিকে এসে বর্ষার মধ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শেষ করার তোড়জোর লেগে যায়।  
বর্তমানে বিশ্বে অস্ট্রেলিয়া, মিশর, ভুটান পাকিস্তানের মত কয়েকটি দেশ জুলাই-জুন সূচিতে অর্থবছর হিসাব করে। পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশও ওই কাঠামো অনুসরন করে আসছে। 

প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও মিয়ানমার অর্থবছর শুরু করে ১ এপ্রিল থেকে। শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপে শুরু হয় ১ জানুয়ারি থেকে। আর নেপাল ১৬ জুলাই থেকে অর্থবছর হিসাব করে।
যুক্তরাজ্য, কানাডা ও জাপানে পহেলা এপ্রিল থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এবং যুক্তরাষ্ট্রে ১ অক্টোবর থেকে অর্থবছর হিসাব করে।
বাংলাদেশেও জুলাই থেকে শুরু না করে বঙ্গাব্দের সঙ্গে মিল রেখে এপ্রিল থেকে অথবা বছর শুরুর সঙ্গে জানুয়ারি থেকেই নতুন অর্থবছর শুরুর দাবি রয়েছে বিভিন্ন মহলের।

এর আগে গত ৫ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছিনে, বেশিরভাগের মত তিনি পেয়েছেন ডিসেম্বর-জানুয়ারি অর্থবছরের পক্ষে। তবে এ নিয়ে আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সূত্র : বিডিনিউজ২৪।

Posted in জতীয় সংসদ, ব্যবসা-অর্থনীতি | Comments Off on অর্থবছর পরিবর্তন এখনই সম্ভব নয়: অর্থমন্ত্রী

নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর না হওয়ায় প্রকল্পের অর্থায়নে অনিশ্চয়তা

ডেস্ক রিপোর্ট : বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প চালু থাকলেও চলতি অর্থবছরে কার্যকর হচ্ছে না নতুন ভ্যাট আইন। এমন অবস্থায় প্রকল্পের পুরো অর্থায়ন নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। বিশ্ব ব্যাংক বলছে, চলতি মাসে সরকারের সঙ্গে আলোচনার পরই তারা এ-ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে এনবি আর বলছে, ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের অর্থ ছাড় করার কথা প্রকল্পের বাস্তবায়িত অংশের ফলাফলের ভিত্তিতে। তাই এ-কার্যক্রমে বিশ্বব্যাংকের অর্থ পেতে সমস্যা হবে না।

ভ্যাট ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করতে ২০১৩ সালে শুরু হয় ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প। প্রকল্পের অর্থসংস্থানে এগিয়ে আসে বিশ্বব্যাংক। ৫৫১ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পে ৪৪৯ কোটি টাকার যোগান দেয়ার কথা বিশ্বব্যাংকের। বাকি অর্থ আসবে সরকারি তহবিল থেকে। উদ্দেশ্য ছিল, চলতি বছরের জুলাই থেকে কার্যকর করা হবে ‘নতুন ভ্যাট আইন’।

কিন্তু ভ্যাট আইনের বাস্তবায়ন ২ বছর পিছিয়ে যাওয়ায় প্রকল্পের অর্থায়নের সূচি ঠিক থাকছে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। ভ্যাট আইনের বাস্তবায়ন পিছিয়ে যাওয়ার পরও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন ঠিক থাকবে কিনা, জানতে চেয়ে সংস্থাটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, ই-মেইলে উত্তর পাঠায় তারা। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের উদ্ধৃতি দিয়ে ওই ই-মেইলে জানানো হয়, চলতি মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশ সফরে আসবেন সংস্থাটির একটি প্রতিনিধি দল। সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই এই অর্থায়ন বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন তারা।

তবে, ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প পরিচালক রেজাউল হাসান বলেন বলছেন, প্রকল্পের বাস্তবায়িত অংশের ফলাফলের ভিত্তিতে অর্থছাড় করবে বিশ্বব্যাংক। তাই প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ প্রকল্পের যেসব কাজ চলত থাকবে সেসব অংশের অর্থ পেতে সমস্যা হবে না।

সরকারি অর্থে আগে প্রকল্প পুরো বাস্তবায়নের পর অর্থ চেয়ে পাঠালে বিশ্বব্যাংকের আপত্তি থাকার কথা নয় বলেও জানান তিনি।

সূত্র : সময় টিভি

Posted in ব্যবসা-অর্থনীতি, সারা দেশ | Comments Off on নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর না হওয়ায় প্রকল্পের অর্থায়নে অনিশ্চয়তা

পাইকারিতে চালের দাম কমলেও খুচরায় প্রভাব নেই

ডেস্ক রিপোর্ট : আমদানি বেড়ে যাওয়ায় মোকাম ও পাইকারি বাজারে চালের দাম কমলেও খুচরায় এখনও তার প্রভাব দেখা যাচ্ছে না।

দোকানিরা ভারত থেকে আসা মোটা চাল কিছুটা কম দামে বিক্রি করলেও আগের মতোই চড়া দামেই স্বর্ণা, বিআর আটাশ ও মিনিকেট চাল বিক্রি করছেন।

শুক্রবার মহাখালী অন্তত তিনটি মুদি দোকান ঘুরে দেখা যায়, বিআর আটাশ ৫০/৫২ টাকা, বিআর ঊনত্রিশ ৫৪ টাকা, মিনিকেট ৫৮ টাকা, নাজিরশাইল ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

হাজী হায়দার আলী স্টোরের দোকানি জানান, বৃহস্পতিবার কচুক্ষেত থেকে নাজিরশাইল চালের বস্তা (৫০ কেজি) ২৭৩০ টাকায় কিনেছেন তিনি। মিনিকেট কিনেছেন ২৬৮০ টাকায়।

সে কারণে প্রতি কেজি ৫৮ টাকায় মিনিকেট, ৫৪ টাকায় বিআর আটাশ ও বিআর ঊনত্রিশ চাল বিক্রি করছেন।

একই দিন উত্তর বাড্ডায় সাতারকুল রাইস এজেন্সির ব্যবস্থাপক বিপ্লব হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত এক সপ্তাহে মিল থেকে অন্তত ৭০ টাকা কমে মিনিকেট চালের বস্তা সংগ্রহ করতে পারছেন তারা।

তার ভাষ্য, মোটা চালের বস্তায় দেড়শ’ টাকা, বিআর আটাশ ও নাজিরশাইল চাল বস্তায় ১০০ টাকা করে কমেছে। এখন মিনিকেটের বস্তা ২৬৩০ টাকা, বিআর আটাশ ২৪৫০ টাকা থেকে কমে ২৩৫০ টাকা, নাজিরশাইল ২৭৫০ টাকা থেকে কমে ২৬৫০ টাকা এবং মোটা চাল ২২০০ টাকা থেকে ২০৫০ টাকায় নেমেছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি মিল থেকে শুক্রবারের চালান এসেছে জানিয়ে বিপ্লব বলেন, চাল আমদানির প্রভাব মিল পর্যায়েও পড়েছে। সে কারণেই সব ধরনের চালই কেজিতে ২/৩ টাকা কমেছে।

অন্যদিকে মহাখালীর খুচরা চাল বিক্রেতা মানিক মিয়া দাবি করেন, কেবল ভারত থেকে আসা নূরজাহান স্বর্ণা (মোটা চাল) ছাড়া দেশি চালের দাম তেমন একটা কমেনি। খুচরায় এই চাল বিক্রি করছেন ৪৭ টাকা। বস্তা বিক্রি করছেন ২২০০ টাকা। মিনিকেটের বস্তা ২৭০০ টাকা, খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকা।

মহাখালীর পাইকারি বিক্রেতা মুরাদ জানান, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের আমদানিকারকদের কাছ থেকে ২০৫০ টাকায় ভারতীয় মোটা চাল সংগ্রহ করছেন তারা। বিআর আটাশ ২৩৫০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকায় বস্তা, আর মিনিকেট ২৬৫০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা।

বৃহস্পতিবার বাদামতলী-বাবুবাজার চালের আড়ত সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি মোটা চাল (গুটি, স্বর্ণা, বিআর-২৮, পারিজা) ৪২ থেকে ৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে এই চাল ৪৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৪৬ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল।

আর সরু চাল (মিনিকেট, নাজিরশাইল) বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৫৩ টাকায়। ঈদের আগে এই চাল ৫১ থেকে ৫৪ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।

মজুদ তলানীতে নেমে আসা এবং হাওরের পর উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার পদধ্বনির পর সরকার চালের বাজার সহনীয় করতে তৎপর হয়ে ওঠে। আমদানি বাড়াতে ঈদের আগে বিদ্যমান শুল্কহার ২৮ শতাংশ থেকে এক লাফে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেয় সরকার।

এরপর চলতি জুলাই মাসের প্রথম চার দিনেই ৬০ হাজার মেট্টিক টন চাল আমদানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের পুরো সময়ের আমদানির প্রায় অর্ধেক।

এখন পর্যন্ত যে চাল আমদানি হয়েছে তার পুরোটাই বেসরকারি পর্যায়ে। সরকারি পর্যায়ে আমদানির কোনো চাল এখনও দেশে পৌঁছেনি।

চালের দরের ঊর্ধ্বগতির জন্য অসাধু ব্যবসায়ীদেরই দায়ী করে আসছে সরকার। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলছেন, আমদানি সহজ হওয়ায় এখন ধীরে ধীরে কমে আসবে চালের দাম।

সূত্র : বিডিনিউজ২৪।

Posted in ব্যবসা-অর্থনীতি | Comments Off on পাইকারিতে চালের দাম কমলেও খুচরায় প্রভাব নেই

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud