March 28, 2024
ডেস্ক রিপোর্ট : চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা নিরসনে অর্থ না মিললেও এলিভেটেড এক্সেপ্রেসের জন্য ৩ হাজার ২’শ ৫০ কোটি বরাদ্দ পেয়ে গেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, সিডিএ। গত ১ বছর ধরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসের অর্থের যোগান নিয়ে সরকারি নানা সংস্থার সঙ্গে সিডিএ’র টানাপোড়েন চললেও শেষ পর্যন্ত একনেকে এ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হতে যাচ্ছে নগরীর লালখান বাজার থেকে বিমান বন্দর পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটারের এ উড়াল সড়কের কাজ।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বর্তমানে জলাবদ্ধতা প্রধান সমস্যা হলেও সমস্যা দূরীকরণে রয়ে গেছে বাজেট স্বল্পতা। যে কারণে দীর্ঘমেয়াদী কোনো প্রকল্পই নিতে পারছে না সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মাঝে এলিভেডেট এক্সপ্রেস রোডের জন্য তিন বছর মেয়াদী ৩ হাজার ২শ ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
নগরীর লালখান বাজার থেকে শুরু হয়ে শাহ আমানত বিমান বন্দরে শেষ হবে এ বিশেষ উড়াল সড়ক। সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পাশাপাশি ৯টি পয়েন্টে যানবাহন ওঠা-নামার জন্য থাকবে সাড়ে ১২ কিলোমিটারের ২৪টি র্যাম্প।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, ‘চট্টগ্রামের ৬গ লক্ষ মানুষ এটির সুবিধা ভোগ করতে পারবে। চট্টগ্রামকে যানযটমুক্ত, উন্নত করতে এই এলিভেটেড এক্সেপ্রেসের কোনো বিকল্প ছিল না।’
নগরীতে জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যা বিদ্যমান থাকায় উড়াল সড়ক নির্মাণের পেছনে এত খরচকে সহজভাবে নিতে পারছেন না নগর বিশেষজ্ঞরা।
ফোরাম ফর প্লান্ড চিটাগাং সাধারণ সম্পাদক স্থপতি সুভাষ বড়ুয়া বলেন, ‘এই যে আমি ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করবো এটা কি শুধু ২ শতাংশ লোকের জন্য? এটা তো কোনো সমতা হলো না।’
ফোরাম ফর প্লান্ড চিটাগাং-এর সদস্য প্রকৌশলী আলী আশরাফ বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সেপ্রেসে গণপরিবহন এবং ইমার্জেন্সি যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। এবং বাকি রিক্সা, কার, ভ্যান এগুলো চলবে নিচে দিয়ে।’
যানজট নিরসনের জন্য এ এলিভেটেড এক্সপ্রেস রোড তৈরি হলেও গণ পরিবহন যাতায়াতের ব্যবস্থা না হলে এটি অন্যান্য উড়াল সড়কের মতো যানবাহন শূন্য থাকবে। আগ্রাবাদ, বারিক বিল্ডিং, কাস্টম মোড়, সল্টগোলা এবং ইপিজেডের মতো প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে লুপ বা র্যাম্প দেয়ার পরামর্শ নগর বিশেষজ্ঞদের।
নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, ‘যদি আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট গুলোতে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেস ব্যবহারের সুযোগ না রাখি তাহলে যেভাবে আশা করছি সেভাবে এটি কাজে আসবে না।’
নগরীতে বহদ্দরহাট থেকে মুরাদপুর, স্টেশন রোড থেকে কদমতলী এবং কদমতলী থেকে দেওয়ানহাট পর্যন্ত তিনটি উড়াল সেতু নির্মাণ করেছে সিডিএ। এছাড়া মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত সাড়ে ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের অপর একটি উড়াল সেতুর কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
সূত্র : সময়টিভি অনলাইন।