May 6, 2024
ডেস্ক রিপোর্ট : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ (ফাইল ফটো)ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশের অধিকাংশ পোশাক কারখানার উন্নয়ন করা হলেও সে অনুযায়ী পণ্যের দাম বাড়েনি বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদের জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইইউ’র সঙ্গে বাংলাদেশের তৃতীয় বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়। ডায়ালগ শেষে তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘রানা প্লাজা ধসের পর আমাদের দেশের অনেক কারখানা উন্নয়ন করা হয়েছে। সেজন্য আমাদের বিনিয়োগকারীদের অনেক টাকা ব্যায় করতে হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের ২৭০টি কারখানা গ্রিণ করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের পণ্যের দাম সে অনুযায়ী বাড়ায়নি ক্রেতারা। আজকের এ মিটিংয়ে বাংলাদেশি পণ্যে দাম বাড়াতে ইইউ’র ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছি। ইইউ প্রতিনিধিরা তাদের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের সিদ্ধান্ত জানাবে বলে তারা জানিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেক্সিটের পর পাউন্ড ও ইউরোর দাম কমেছে। তবে বাংলাদেশি টাকার অবস্থান ছিল মজবুদ। ফলে এ বিষয়টি বিবেচনা করে হলেও আমাদের পণ্যের দাম বাড়ানো প্রয়োজন।’
তৃতীয় বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাণিজ্য সচিব সুভাশিষ বোস, এনবিআর’র চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নিয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আমিনুল ইসলাম। এছাড়া ইইউ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুন। আরও উপস্থিত ছিলেন- স্পেনের, ব্রিটেন ও ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতরা।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৮ সালের মে মাসে শেষ হচ্ছে ইইউ’র ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ডের মেয়াদ। আজ ইইউ’র পক্ষ থেকে অ্যাকর্ডের মেয়াদ ২০২১ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে আমরা অ্যাকর্ডের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। তাদের জানিয়েছি, মেয়াদ শেষ হলেই চুক্তির মেয়ার বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম বৈঠকে বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের সমস্যা সমাধানে ৫টি কমিটি করা হয়। সেই কমিটিগুলোতে বিডা, এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংক যৌথভাবে ১০টি সমস্যা চিহ্নিত করেছে। সমস্যাগুলোর অধিকাংশ ইতোমধ্য সমাধান করা হয়েছে বলে ইইউ প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়েছে।’