পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

মূলধন ভাঙছে ব্যাংকগুলো

ডেস্ক রিপোর্ট : দেশের ব্যাংকগুলোর মূলধনে আঘাত এনেছে খেলাপি ঋণ। বড় গ্রাহকদের প্রতি ব্যাংকগুলো বেশি ঝুঁকে পড়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের। তারা মনে করছেন, বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে বড় অংকের ঋণগুলো আছে বেশি ঝুঁকিতে। দেশের অর্ধেকের বেশি ব্যাংক মূলধন হারিয়ে দেউলিয়ার পথে হাঁটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

খেলাপি ঋণের প্রভাবে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ছে দেশের ব্যাংকিং খাত। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এখন ব্যাংকের মূলধনও ভাঙতে হচ্ছে। মূলত যথাসময়ে ঋণ ফিরে না আসায় এমন বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দেশের ৫৬টি ব্যাংক থেকে পাওয়া ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তথ্যের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি বিভাগ। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, বড় গ্রাহকদের প্রতি ব্যাংকগুলো বেশি ঝুঁকে পড়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও এখন বিষয়টির দ্রুত পর্যালোচনা শুরু করেছে।
আর্থিক স্থিতিশীলতার ওপর তৈরি করা ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ব্যাংকগুলোর মূলধনে আঘাত এনেছে খেলাপি ঋণ। গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর মূলধনের ৭৪ শতাংশই পরিণত হয় খেলাপিতে। ওই সময়ে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৬২ হাজার ১৭২ কোটি টাকা। তখন ব্যাংকগুলোর মূলধনের পরিমাণ ছিল ৮৩ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা। ২০১৫ সালে একই সময়ে মূলধনের ৬০ শতাংশ ছিল খেলাপি। চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা মূলধনের প্রায় ৮০ শতাংশ।

প্রতিবেদনটির মোড়ক উন্মোচনের সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেছেন, ‘বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে বড় অংকের ঋণগুলো আছে বেশি ঝুঁকিতে। তাই আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে ও খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে বড় ঋণ দেওয়ার হার কমিয়ে আনতে হবে। এজন্য বড় আকারের ঋণ না দিয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের মধ্যে ঋণ বিতরণ করতে হবে।’

এদিকে মূলধন হারিয়ে সরকারের কাছে দ্বারস্থ হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ব মালিকানা ব্যাংকগুলো। জনগণের করের টাকা দিয়ে এসব ব্যাংককে রক্ষার চেষ্টা করছে সরকার। ‘মূলধন পুনর্গঠনে বিনিয়োগ’ নামে ব্যাংকগুলোতে ইতোমধ্যে ১৪ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে বড় গ্রাহকদের প্রতি আরও বেশি ঝুঁকে পড়েছে ব্যাংকগুলো। শুধু তিনজন শীর্ষ গ্রাহকের কাছে নিজেদের ভাগ্য সঁপে দিয়েছে দেশের ২৩টি ব্যাংক।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, শীর্ষ ১০ জন গ্রাহক খেলাপি হলে ৩৭টি ব্যাংক এবং তিনজন গ্রাহক খেলাপি হলে ২৩টি ব্যাংক ঝুঁকিভারিত সম্পদের বিপরীতে মূলধন (সিআরএআর) সংরক্ষণে ব্যর্থ হবে। এছাড়া সাতজন খেলাপি হলে মূলধন হারাবে ৩৩টি ব্যাংক। এসব কারণে মূলধন হারিয়ে দেউলিয়ার পথে হাঁটবে দেশের অর্ধেকের বেশি ব্যাংক।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বললেন, ‘ব্যাংকগুলো ডুবানোর জন্য মূলত অসৎ কর্মকর্তা ও গ্রাহকরাই দায়ী। কারণ তারা অসৎ গ্রাহকদের ঋণ দিয়ে ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। ১০০ জন ছোট উদ্যোক্তা খেলাপি হলে একটি ব্যাংক যতটুকু ঝুঁকিতে পড়ে, একজন বড় গ্রাহক খেলাপি হলে তার চেয়েও বেশি ঝুঁকিতে পড়ে।’

জানা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ব সোনালী ব্যাংকের মোট ঋণের ৫২ শতাংশ নিয়েছে বেক্সিমকো, হলমার্ক, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সসহ ১২টি শিল্প গ্রুপ। এগুলো ব্যাংকটি থেকে ১৯ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এছাড়া জনতা ব্যাংক থেকে ১২টি গ্রুপের ঋণের পরিমাণ সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ২৯ শতাংশ। আর অগ্রণী ব্যাংকের দেওয়া মোট ঋণের ২৩ শতাংশই নিয়েছে ১৩টি শিল্প গ্রুপ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনটিতে উঠে এসেছে— খেলাপি ঋণ ৩ শতাংশ বাড়লে ৫টি ব্যাংক, ৯ শতাংশ বাড়লে ২৭টি ব্যাংক এবং ১৫ শতাংশ বাড়লে ৩৫টি ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে পড়বে। ব্যাংক খাতের মোট খেলাপি ঋণের মধ্যে ৩২ হাজার ১৮১ কোটি টাকা পাঁচটি ব্যাংকে রয়েছে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে। এ পরিমাণ খেলাপি ব্যাংক খাতের মোট খেলাপি ঋণের ৫১ দশমিক ৮০ শতাংশ। বাকি ৫২টি ব্যাংকে রয়েছে ২৯ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা, যা মোট খেলাপি ঋণের ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ। আর শীর্ষ ১০ ব্যাংকে রয়েছে ৪১ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা।

প্রতিবেদনে বাজার ঝুঁকির বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ঋণে সুদের হার মাত্র ১ শতাংশ কমালে পাঁচটি ব্যাংক তাদের প্রয়োজনীয় মূলধন সংরক্ষণে ব্যর্থ হবে। ঋণের সুদহার ২ ও ৩ শতাংশ কমলে ৯টি ব্যাংক মূলধন সংরক্ষণে ব্যর্থ হবে। আর ব্যাংক খাতের ইক্যুইটির মূল্য ১০, ২০ ও ৪০ শতাংশ কমলে মূলধন সংরক্ষণে ব্যর্থ হবে তিন থেকে চারটি ব্যাংক। ঋণের বিপরীতে ঋণগ্রহীতারা যেসব সম্পদ ব্যাংকের কাছে জামানত রাখেন, সেই সম্পদের ১০ শতাংশ কমলে মূলধন সংরক্ষণে ব্যর্থ হবে দুটি ব্যাংক। একইভাবে ৪০ শতাংশ করে জামানতের সম্পদমূল্য কমলে ৮টি ব্যাংক মূলধন সংরক্ষণ করতে পারবে না।

২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সার্বিক ব্যাংকিং খাতে সম্পদের ৩২ দশমিক ২০ শতাংশ পাঁচটি ব্যাংকে কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়েছে বলে উল্লেখিত হয়েছে প্রতিবেদনে। আর ১০টি ব্যাংকের অনুকূলে এই সম্পদ কেন্দ্রীভূত হওয়ার পরিমাণ ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ। বাংলাট্রিবিউন

Posted in ব্যবসা-অর্থনীতি | Comments Off on মূলধন ভাঙছে ব্যাংকগুলো

মিরপুরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ ॥ ওসিসহ আহত ১০

ডেস্ক রিপোর্ট : রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর সংলগ্ন চিড়িয়াখানা রোডের ঈদগাহ এলাকায় বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে গাড়ি ভাংচুর করেছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। বাধা দিলে পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় শাহআলী থানার ওসি অপারেশনসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।

হামলায় মাথা ফেটে গেছে শাহআলী থানার ওসি (অপারেশন্স) মেহেদি হাসানের।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী পুলিশ-শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। উপস্থিত হয়েছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

শাহআলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে শাহআলী থানাধীন সি ওয়ান বিডি লিমিটেড নামে গার্মেন্টসটির শ্রমিকরা বেতন-ভাতার দাবিতে রাস্তায় নামেন। শ্রমিকরা রাস্তায় যানচলাচলে বিঘ্ন ঘটালে পুলিশ বাধা দেয়, তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে আহত হয়েছেন ওসি অপারেশন্স মেহেদি হাসান। হামলায় তার মাথা ফেটে গেছে। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আনোয়ার আরও বলেন, পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে থেমে থেমে বিক্ষোভ করছেন কয়েক শ’ শ্রমিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী মজিবর রহমান নামে স্থানীয় বাসিন্দা গণম‍াধ্যমকে জানান, দীর্ঘদিন থেকে সি ওয়ান কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছিল। আজ তারা ঘোষণা দিয়ে রাস্তায় নেমেছে। শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় গাড়ি ভাংচুর শুরু করলে পুলিশ বাধা দেয়।

ওই সময় ইটের আঘাতে পুলিশ কর্মকর্তাকে রক্তাক্ত হতে দেখা গেছে। আরও ১২ জনের মতো আহত হয়েছেন।

এরপর শুরু হয় পুলিশ-শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।

Posted in ব্যবসা-অর্থনীতি, সারা দেশ | Comments Off on মিরপুরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ ॥ ওসিসহ আহত ১০

রিজার্ভ চুরির মামলাকে কারণ দেখালেন মুহিত

ডেস্ক রিপোর্ট : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না করার জন্য এবার ফিলিপিন্সের মামলাকে কারণ দেখালেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

তিনি শনিবার সিলেটে সাংবাদিকদের বলেছেন, “তদন্ত প্রতিবেদন আমরা প্রকাশ করতে পারছি না। ফিলিপিন্সে মামলার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত এটি সম্ভব না।” গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাইবার জালিয়াতির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক থেকে বাংলাদেশের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পাঠানো হয় ফিলিপিন্সের রিজল ব্যাংকে। ওই অর্থের অধিকাংশ জুয়ার টেবিলে চলে গিয়েছিল; তবে উদ্ধার করা দেড় কোটি ডলার বাংলাদেশকে ফেরত দেয় ফিলিপিন্স।

বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলা এই ঘটনায় সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি অর্থমন্ত্রীর কাছে এক বছর আগে প্রতিবেদন জমা দিলেও কয়েকদফা ঘোষণা দিয়েও তা প্রকাশ করেননি অর্থমন্ত্রী।

বাকি অর্থ উদ্ধারের আশা এখনও ছাড়েনি বাংলাদেশ। চুরির সব টাকা ফেরত আনার পর তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন বলে কয়েক মাস আগে মুহিত জানিয়েছিলেন। শনিবার সিলেটের একটি হোটেলে সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে মামলার কারণ দেখান তিনি।

“ইতোমধ্যে রিজল ব্যাংক বলেছে, আমরা টাকা দেব না। এ অবস্থায় তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করলে একটু অসুবিধা হবে।” রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকের মাকাতি শহরের জুপিটার স্ট্রিট শাখা, যার মাধ্যমে লেনদেন হয় বাংলাদেশের রিজার্ভের।

বিশ্বজুড়ে আলোচিত পানামা পেপার্সে যেসব বাংলাদেশির নাম এসেছে, তাদের বিষয়ে সরকার কী করবে, সে বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন মুহিতকে।

তিনি বলেন, “অনেকের নাম এসেছে। তবে আমাদের এখানে আমি যেটা শুনেছি এটা এত অথেনটিক না। বিষয়টি নিয়ে দুদক তদন্ত করছে।”

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মুহিতের সঙ্গে ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে আব্দুল মোমেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন প্রমুখ।

Posted in ব্যবসা-অর্থনীতি | Comments Off on রিজার্ভ চুরির মামলাকে কারণ দেখালেন মুহিত

বাংলাদেশ ব্যাংকের রির্জাভ চুরির ঘটনায় দুই চীনা নারগরিক গ্রেফতার

ডেস্ক রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরির ঘটনায় এবার দুই চীনা নাগরিকের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এরইমধ্যে ওই দুই চীনা নাগরিককে গ্রেফতার ও তাদের ক্যাসিনোর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

গত ৩ আগস্ট ব্লুমবার্গ.কমে প্রকাশিত এক দীর্ঘ প্রতিবেদনে ডিং (৪৫) ও গাও শুহুয়া (৫৩) ওই দুই চীনা নাগরিক সম্পর্কে বলা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্যাসিনো ব্যবসায়ী ডিং ২০১৬ সালের মার্চে ও শুহুয়া আগস্টে চীনে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ জুয়াকেন্দ্র ম্যাকাওতে ডিং ২০০৭ সালে একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান চালু করেন। তিনি জুয়ারিদের এনে এখানকার ক্যাসিনোতে জুয়ার আসর বসাতেন। অন্যদিকে, শুহুয়া পেইচিংয়ে একটি ক্যাসিনো চালান। ফিলিপাইনে অন্তত ২৯টি জায়গায় তার ক্যাসিনো নেটওয়ার্ক রয়েছে।

তারা দুজন বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা সরিয়ে নিতে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের সহায়তা নিতে পারেন বলে হংকং পুলিশের ধারণা। ওই অর্থ তারা উত্তর কোরিয়াতেও পাঠিয়ে দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রিজার্ভ চুরির ঘটনায় এরআগে চলতি বছরের এপ্রিলে এক প্রতিবেদনে উত্তর কোরিয়ার জড়িত থাকার অভিযোগের স্বপক্ষে আরও প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করে বহুজাতিক সাইবার নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিবিষয়ক অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি। উত্তর কোরিয়ার প্রসিদ্ধ হ্যাকার গ্রুপ ল্যাজারস এতে জড়িত বলে দাবি করা হয়।

তবে রিজার্ভ চুরির ঘটনায় পিয়ংইয়ং জড়িত বলে অনেক আগে থেকেই বলে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ)। সংস্থাটির দাবি, চীনের মধ্যস্বত্বভোগীদের সহায়তায় উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা ওই বিপুল অংকের অর্থ লোপাট করে বলে তদন্তে জেনেছেন এফবিআই কর্মকর্তারা।

ব্লুমবার্গের ৩ আগস্টের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে ডিং ও শুহুয়ার যোগসাজশে পাতানো জুয়ার মাধ্যমে রিজার্ভের চুরির অর্থ ভাগাভাগির বিষয়টিও। বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার ক্যাসিনো সোলারির একটি ভিআইপি কক্ষে জুয়ার আসর বসান চীনা জুয়ারি ডিং, শুহুয়া ও কয়েক সঙ্গী। খেলার সময় তারা যে ছোট পাতলা চিপ দিয়ে বাজি ধরেন, তার প্রতিটির দর ২০ হাজার মার্কিন ডলার। মূলত ওই খেলা ছিল পাতানো এবং জুয়ারীরাদের উদ্দেশ্য ছিল হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে আনা রিজার্ভের টাকা ভাগাভাগি করে নেওয়া।

হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ চুরিতে সম্পৃক্ততা ডিং ও শুহুয়ার জন্য প্রথম নয়। ক্যাসিনো পরিচালনা ও জুয়ার আসরের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরেই তারা এর সঙ্গে জড়িত।

২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে সংরক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়ে যায়। চুরি যাওয়া অর্থের কিছু পরিমাণ ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকের কয়েকটি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে হ্যাকাররা। চুরি যাওয়া অর্থের মধ্যে ২ কোটি ডলার শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক শুরুতেই আটকে দেয় এবং পরে তা ফিরিয়ে দেয়। বাকি অর্থ এখনও ফেরত পায়নি বাংলাদেশ। পর ধারাবাহিক তদন্তে আসতে থাকে উত্তর কোরিয়া ও চীনা হ্যাকারদের নাম। আমাদের সময়ডটকম

Posted in ব্যবসা-অর্থনীতি | Comments Off on বাংলাদেশ ব্যাংকের রির্জাভ চুরির ঘটনায় দুই চীনা নারগরিক গ্রেফতার

উন্নয়নের মূল ধারায় সকলকে সম্পৃক্ত করতে হবে : ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ

ডেস্ক রিপোর্ট : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন দারিদ্র্য বিমোচন ও গ্রামীণ জীবনমান উন্নয়নে পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর যথাযথ দায়িত্ব পালনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশের প্রতিটি মানুষকে উন্নয়নের মূল স্রোত ধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন দক্ষ কর্মীর।

মন্ত্রী গবেষণা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য কর্মী গড়ে তোলার পাশাপাশি সমবায় ও ক্ষুদ্রঋণকে দারিদ্র্য বিমোচনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের উপায় খুঁজে বের করারও আহবান জানিয়েছেন।

ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে কুমিল্লাস্থ বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) পরিচালনা পর্ষদের ৭০তম সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এ আহবান জানান।

সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল,স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মাফরূহা সুলতানা, কুমিল্লা বার্ডের মহাপরিচালক মুহম্মদ মউদুদউর রশীদ সফদার এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

এলজিআরডি মন্ত্রী বার্ড সচল রাখতে নিয়মিত বোর্ড সভা অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, মরহুম আখতার হামিদ খান প্রতিষ্ঠিত বার্ডই দ্বি-স্তর বিশিষ্ট সমবায় ব্যবস্থা ও ক্ষুদ্র ঋণের সূচনা করে।

মন্ত্রী সারা দেশের ৫৭ লাখ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও ২ কোটি হাওড়বাসীর উন্নয়নে কাজ করার জন্যও বার্ডকে নির্দেশনা দেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রায়োগিক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচী বাস্তবায়নের তাগিদ দেন।

তিনি বলেন, উপকারভোগী সৃষ্টিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে কথা বলার জন্যও বার্ডের কর্মীদের প্রতি আহবান জানান।

সভায় বার্ডের প্রশিক্ষণ গবেষণা ও প্রায়োগিক গবেষণাসহ সার্বিক কার্যক্রমের পর্যালোচনা এবং ভবিষৎ পরিকল্পনার জন্য পলিসিগত নির্দেশনা দেয়া হয়।

Posted in ব্যবসা-অর্থনীতি, সারা দেশ | Comments Off on উন্নয়নের মূল ধারায় সকলকে সম্পৃক্ত করতে হবে : ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ

চালের দাম কমেছে দ্রুত পেঁয়াজের দাম কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়বে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোরবানির ঈদে যাতে কোনোভাবে পণ্যের দাম না বাড়ে সেজন্য আমারা সচেষ্ট আছি। বরং পণ্যের দাম যাতে আরো কমানো যায় তার জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। চালের দাম কমে এসেছে।
 
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের নতুন রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এটা সাময়িক। দ্রুত পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।
 
বাণিজ্যসচিব সুভাশিষ বোস বলেন, বাজারে চালের দাম কমেছে চার টাকা। তবে খুচরা বাজারে একেক ধরনের পণ্যের দাম একেক ধরনের। তারপরও বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

Posted in ব্যবসা-অর্থনীতি, সারা দেশ | Comments Off on চালের দাম কমেছে দ্রুত পেঁয়াজের দাম কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

খেলাপি ঋণের অর্ধেকেরও বেশি ৫ ব্যাংকে

দেশের ব্যাংকিং খাতে পাঁচ ব্যাংকের দাপট বেড়েছে। পুরো ব্যাংকিং খাতের মোট খেলাপি ঋণের অর্ধেকেরও বেশি এই পাঁচটি ব্যাংকেরই। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট-২০১৬-এর তথ্য অনুযায়ী, এই পরিমাণ ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ। খেলাপি ঋণের বাকি ৪৮ দশমিক ২ শতাংশ আছে বাকি ৫২টি ব্যাংকে। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রিপোর্টে খেলাপি ঋণের পাহাড় গড়া ব্যাংক পাঁচটির নাম উল্লেখ করা না হলেও এই তালিকায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর থাকার সম্ভাবনাই বেশি।

অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত বলেন, ‘রিপোর্টে ব্যাংকের নাম না থাকলেও দেখা যাবে ওই পাঁচ ব্যাংক হলো রাষ্ট্রায়ত্ত পুরনো ও বড় ব্যাংক। এ কারণেই খেলাপির পরিমাণ এই ব্যাংকগুলোতেই বেশি। এছাড়া, সরকারি ব্যাংক হওয়ায় কিছুটা শিথিলতাও তো আছে। রাজনৈতিক চাপ, প্রভাবশালীদের কারণেও খেলাপির পরিমাণ বাড়ে।’

সোমবার (৩১ জুলাই) ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্টের মোড়ক উন্মোচন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, চরম ঋণ ঝুঁকিতে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকসহ ১০টি ব্যাংক। বাকি পাঁচ ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে তিনটি বেসরকারি ব্যাংক, বিশেষায়িত খাতের এক ব্যাংক ও বিদেশি একটি ব্যাংক। এই ১০টি ব্যাংকে খেলাপি ঋণ রয়েছে ব্যাংকিং খাতের মোট খেলাপি ঋণের ৬৫ দশমিক ৯ শতাংশ। বাকি ৪৭ ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩৪ দশমিক ১ শতাংশ।

এ প্রসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খেলাপি ঋণ এখন ব্যাংকিং খাতের একটি প্রকট সমস্যা। এ কারণে রাজনৈতিক বিবেচনায় আর কোনও ঋণ দেওয়া যাবে না, আদায়ের ক্ষেত্রে কোনও শিথিলতা দেখানো যাবে না।’ খেলাপি ঋণ আদায়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয় ও অ্যাটার্নি জেনারেলের কার্যালয়কে একসঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি।

এখানে উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বিশেষ সুবিধায় বিপুল অঙ্কের খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠন করা হয়েছে। তারপরও এই খাতে মন্দ মানের খেলাপি ঋণ বেড়েছে। রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, খেলাপি থেকে বাঁচতে টাকা ফেরত না দিয়ে বরং ঋণ পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠন করেছে কয়েকটি ব্যাংক। ৫৭টি ব্যাংকের মধ্যে মাত্র ১০টি ব্যাংক ৬৫ দশমিক ৩ শতাংশ ঋণ পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠন করেছে। আর পাঁচটি ব্যাংক করেছে ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ ঋণ পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠন। আবার মোট ঋণের দুই-তৃতীয়াংশ বিতরণ করেছে মাত্র ১০টি ব্যাংক মিলে।
ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্টে দেখা গেছে, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সার্বিক ব্যাংকিং খাতে সম্পদের ৩২ দশমিক ২০ শতাংশ পাঁচটি ব্যাংকে কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়েছে। আর ১০টি ব্যাংকের অনুকূলে এই সম্পদ কেন্দ্রীভূত হওয়ার পরিমাণ ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ। এই ১০টি ব্যাংকের মধ্যে চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ও ছয়টি বেসরকারি ব্যাংক।

রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, বিশেষ সুবিধায় বিপুল পরিমাণের খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার পরও ব্যাংকিং খাতে অনাদায়যোগ্য (কু-ঋণ) খেলাপি ঋণের পরিমাণ উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ খাতে মোট খেলাপি ঋণের ৮৪ দশমিক ৪ শতাংশই মন্দমানের বা কু-ঋণ।

রিপোর্টের মোড়ক উন্মোচনের সময় ফজলে কবির বলেন, ‘বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে বড় অঙ্কের ঋণগুলো বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।’ খেলাপি ঋণ কমানোর জন্য বড় ঋণ কমাতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে এবং খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হলে বড় ঋণ দেওয়ার হার কমিয়ে আনতে হবে। এজন্য বড় আকারের ঋণ না দিয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের মধ্যে ঋণ বিতরণ করতে হবে।’

বাংলাদেশের সামগ্রিক আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা ও সক্ষমতার চিত্র তুলে ধরা ওই রিপোর্টে দেখা গেছে, ২০১৫ সালে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ ছিল ৮ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০১৬ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ২ শতাংশ। এসময়ে মোট খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা।

এদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষে দেশের ব্যাংকিং খাতে মোট ঋণের পরিমাণ প্রায় সাত লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭৩ হাজার ৪০৯ কোটি টাকা। এর সঙ্গে অবলোপন করা খেলাপি ঋণের প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা যোগ করলে প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় এক লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা।

সূত্র : বাংলাট্রিবিউন।

Posted in ব্যবসা-অর্থনীতি | Comments Off on খেলাপি ঋণের অর্ধেকেরও বেশি ৫ ব্যাংকে

গুটিকয়েক মানুষকে ঋণ দেওয়ার সংস্কৃতি থেকে বের হওয়ার নির্দেশ গভর্নরের

ডেস্ক রিপোর্ট : নির্দিষ্ট খাতের গুটি কয়েক মানুষকে ঋণ দেওয়ার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত ‘ফিন্যান্সিয়াল ইন্সট্যাবলিটি রিপোর্ট-২০১৬’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশ দেন। অনুষ্ঠানে দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

ফজলে কবির বলেন, ‘খেলাপি সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এজন্য বড় অঙ্কের ঋণ দেওয়া থেকে সরে এসে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে হবে। ঋণ দেওয়ার আগেই দেখতে হবে তারা ঋণ ফেরত দেওয়ার উপযোগী কিনা।’

এ জন্য গুণগত মানের ঋণ বিতরণের পরামর্শ দিয়ে গভর্নর বলেন, ‘ঋণ যাতে একক খাতে পুঞ্জিভূত না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।’

রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান, এসএম মনিরুজ্জামান, চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাডভাইজার আল্লা মালিক কাজেমি, প্রধান অর্থনীতিবিদ ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ।

সূত্র : বাংলাট্রিবিউন।

Posted in ব্যবসা-অর্থনীতি | Comments Off on গুটিকয়েক মানুষকে ঋণ দেওয়ার সংস্কৃতি থেকে বের হওয়ার নির্দেশ গভর্নরের

রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ৪১ বিলিয়ন ডলার

ডেস্ক রিপোর্ট :বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৭.৮ শতাশ প্রবৃদ্ধি ধরে নতুন ২০১৭-১৮ অর্থবছরের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। পণ্য ও সেবা খাত মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের মোট রফতানির লক্ষ্যমাত্রা দাড়িয়েছে ৪ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার।

রবিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ নতুন অর্থবছরের রফতানি আয়ের এই লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এ অর্থবছরে রফতানি আয় ঘুরে দাড়াবে এবং রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। মন্ত্রী জানান, রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নতুন নতুন রফতানি খাতকে প্রনোদনা দেয়া হবে। এছাড়া শ্রীলংকা ও তুরস্কের সঙ্গে চলতি বছরই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করা হবে। পাশাপাশি বিদেশে অবস্থিত বাণিজ্য উইংগুলোকে আরও সক্রিয় করা হবে। চলতি অর্থবছরে মোট ৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার রফতানি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে পণ্য রফতানির মাধ্যমে ৩ হাজার ৭৫০ কোটি ডলার এবং সেবা রফতানির মাধ্যমে ৩৫০ কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা হবে।

এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে পণ্য রফতানিতে ৮.২১ শতাংশ এবং সেবা রফতানিতে ৪.৪২ শতাংশ। সব মিলিয়ে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৭.৮৭ শতাংশ। সদ্য সমাপ্ত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা খাত মিলিয়ে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ১২ কোটি ডলার। এরমধ্যে পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার এবং সেবা খাতের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩১২ কোটি ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে তিন হাজার ৮০০ কোটি ডলারেও বেশি। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১.৯৯ শতাংশ। এক্ষেত্রে পণ্য রফতানিতে ১.৬৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫.৫৭ শতাংশ। অবশ্য সেবা খাতের এই রফতানি আয়ের হিসাব গত মে মাস পর্যন্ত। আগামী মাসে সেবা রফতানির পুরো হিসাব পাওয়া গেলে এ খাতে আায় বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের পুরো রফতানি আয় আরও বৃদ্ধি পাবে।

সূত্র : জনকন্ঠ।

Posted in ব্যবসা-অর্থনীতি | Comments Off on রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ৪১ বিলিয়ন ডলার

ভবিষ্যতে দেশে বিড়ি থাকবে না : অর্থমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট : তামাক পণ্য স্বাস্থ্যের জন্য খুব বেশি ক্ষতিকারক উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ভবিষ্যতে দেশে আর বিড়ি থাকবে না।  

রবিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে তামাক ও তামাকজাত পণ্যের কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।  
বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, তামাক বাজারের ৮০ শতাংশ বিড়িসহ অন্যান্য কম দামি সিগারেটের দখলে। এসব তামাক পণ্য স্বাস্থ্যের জন্য খুব বেশি ক্ষতিকারক উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এগুলো কীভাব নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে সরকার ডেফিনেটলি পলিসি গ্রহণ করবে।

সিগারেটের মূল্যস্তর পুনর্বিন্যাসের উদ্যোগ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, “এ বিষয়ে কারখানা মালিকরা তাদের প্রস্তাব দিয়েছেন। এখন আমরা নিজেরা বসে সিদ্ধান্ত নেব-কোনটা কি করব। ”

বিড়ি বন্ধ হলে এর প্রভাব রাজস্ব আয়ে পড়বে কিনা- এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, “রাজস্ব আয়ে এমন কিছু হবে না। তবে চাহিদা কমলে রাজস্ব আয় একটু কমতে পারে। ”  

Posted in ব্যবসা-অর্থনীতি | Comments Off on ভবিষ্যতে দেশে বিড়ি থাকবে না : অর্থমন্ত্রী

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud