পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

‘বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন দৃশ্যমান’

ডেস্ক রিপোর্ট : জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এখন দৃশ্যমান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার গৃহীত একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প গ্রামীণ অর্থনীতি তথা সার্বিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে, যা অনুসরণযোগ্য।

বাংলাদেশে নিযুক্ত মরক্কোর রাষ্ট্রদূত মাজিদ হালিম রবিবার তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি একথা বলেন। সাক্ষাৎকালে তারা দুই দেশের সংসদীয় কার্যক্রম, বাণিজ্য সুবিধা, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, অবকাঠামোগত ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।

মরক্কোতে অনুষ্ঠিত জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে এখন উন্নয়নের রোল মডেল।

রাষ্ট্রদূত বলেন, মরক্কোর জাতীয় সংসদে ৩৯৫ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন- যার মধ্যে ৮১ জন নারী। এ সময় তিনি ঢাকায় অনুষ্ঠিত ১৩৬তম আইপিইউ সম্মেলনে মরক্কোর অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করেন এবং সম্মেলনের সফল আয়োজনের জন্য স্পিকারের প্রশংসা করেন।

দুই দেশের মধ্যে সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করে স্পিকার বলেন, এতে করে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।

Posted in জতীয় সংসদ, জাতীয় | Comments Off on ‘বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন দৃশ্যমান’

গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঈদ: সহি বানানের ইদ!

ঈদকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে তৃণমূলের রাজনীতি। সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপি ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের এলাকায় যাকাতের অর্থ-বস্ত্র, চাল, চিনি-সেমাই বিতরণের মাধ্যমে এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী আমেজ।

মানুষের হাতে পয়সা আসছে। সেটার হাতবদল হচ্ছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে পড়েছে তার ইতিবাচক প্রভাব। ঈদ উৎসবকে কাজে লাগিয়ে ‘গণসংযোগ’ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনেক সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী-এমপি-নেতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আসন্ন নির্বাচনে তাদের দলীয় নমিনেশন নির্ভর করছে এলাকায় তাদের রাজনৈতিক অবস্থান, ইমেজ ও কর্মী-এলাকাবাসীর সমর্থনের ওপর। আগামী দিনের দলীয় রাজনীতি ও নির্বাচনে কার কি অবস্থান হবে সেটা ঈদ উপলক্ষে কর্মী সংযোগ, গণসংযোগ ইত্যাদির মাধ্যমে যাচাই করে নিতে চায় বড় বড় দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সর্বত্রই গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, মাঠের বিরোধী দল বিএনপি, সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ বামধারা ও ইসলামী ধারার দলগুলোর নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে নির্বাচনী প্রস্তুতি। ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপি, ছাত্রলীগ-যুবলীগের আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী ও বিএনপির সাবেক মন্ত্রী-সিনিয়র নেতারা ঈদ করবেন নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায়। তাদের এই ঈদ উৎসব কার্যত নির্বাচনী মাঠ ঝালাই প্রস্তুতির নামান্তর। ঈদ উপলক্ষে তারা দলের নেতাকর্মী-এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ-সামাজিক-সাংস্কৃতির প্রতিষ্ঠানের সংগঠকদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ এবং ভোটারদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। কেউ কেউ ঈদের আগেই এলাকায় সেটা শুরু করে দিয়েছেন।

ইতোমধ্যেই পাড়ায়-মহল্লায় ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ছবি সংবলিত বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুনে এমনকি মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়েও উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অধিকাংশ মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে ফেলা হয়েছে জেলা-উপজেলা ও গ্রামগঞ্জের হাটবাজারগুলো বাড়িঘরের দেয়াল। এবার নেতারা ঈদের সবকিছুই করছেন কার্যত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা মাথায় রেখেই। বিদেশ ভূঁইয়ে থেকে যারা ঈদ করতে দেশে ফিরেছেন তাদের রেমিট্যান্সও গ্রামীণ অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিদেশে ও ঢাকায় থাকা পরিবারের সদস্যদের কাছে পেয়ে অনেক পরিবারে বয়ে যাচ্ছে আনন্দের ঢেউ।
 
নির্বাচনী আসনের সীমানা নির্ধারণ না হলেও ঈদের উৎসবকে ইস্যু করে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় কোনো পক্ষই পিছিয়ে নেই। জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়নের হাট-বাজারের চিত্র দেখলে বোঝা যায় নৌকা ও ধানের শীষ উভয় পক্ষ্যই সমান তালে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, মাঠের বিরোধী দল বিএনপি, সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির বর্তমান ও সাবেক এমপি-মন্ত্রীরা ছুটছেন নিজ নিজ এলাকায়। শুধু এমপি-মন্ত্রীরাই নন, মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বেশিরভাগই এবার ঈদ উদযাপন করবেন নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকা গ্রামে।

এ উপলক্ষে গণসংযোগ কর্মসূচিও দিয়েছেন। নেতাদের অনেকেই ইতিমধ্যে নিজ নিজ এলাকায় চলে গেছেন। তাদের পদচারণায় বেশ জমে উঠেছে গ্রামীণ ঈদ রাজনীতি। যারা এখনো কাজের চাপে ঢাকা ছাড়েননি তারাও ঈদের আগেই গ্রামে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নেতানেত্রীদের পক্ষে যাকাতের অর্থ-বস্ত্র, চাল, চিনি-সেমাই বিতরণে এরই মধ্যে ঈদের আমেজ নির্বাচনী উৎসবে রূপ নিয়েছে। বলা যায় এবার ঈদ উপলক্ষে ‘নির্বাচনের বাতাস’ গ্রামগঞ্জের পুরো চিত্র পাল্টে দিয়েছে। বাজার-হাটে সর্বত্রই নির্বাচনী শোরগোল। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মধ্যে এই শোরগোল সবচেয়ে বেশি। নির্বাচনী এলাকায় জনপ্রিয়তা নিয়ে গোয়েন্দারা কি রিপোর্ট দিয়েছে, কোন মিডিয়ায় কোন নেতা প্রার্থী হতে পারেন বলে আগাম বার্তা দিয়ে রিপোর্ট করেছে, কোন নেতার প্রতি কেন্দ্রীয় কোন নেতার আশীর্বাদ বা বিরোধ রয়েছে, কারা প্রার্থী হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন, কারা প্রার্থী হয়ে আসছেন, মনোনয়ন দৌড়ে কোন দলের কোন নেতা-নেত্রী বেশি এগিয়ে, কারা গ্রাম ও গ্রামের মানুষের প্রতি আন্তরিক, এমন নানা বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক ও চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে গ্রামের হাটবাজার ও পাবলিক প্লেসে।

ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠন ছাত্র লীগ, যুব লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা লীগের নেতাদের মধ্যে দলীয় নমিনেশন প্রত্যাশায় বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার ছাপিয়ে প্রচারণা চলছে তো অনেক আগ থেকেই। এতোদিন গর্তে লুকিয়ে থাকা বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরাও পিছিয়ে নেই।
 
এতোদিন মনে হতো গ্রামের রাজনীতিতে শুধুই আওয়ামী লীগ আর নৌকা। বিএনপি ও ধানের শীষের লোকজন ছিল নীরব। পরিস্থিতি এখন পাল্টে গেছে। প্রতিকুল রাজনৈতিক আবহাওয়ার কারণে এতদিন বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের পিছুটান লক্ষ্য করা গেলেও স¤প্রতি তারা বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। রমজানের শুরু থেকেই ইফতার ও বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে তাদের উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়। জেলা-বিভাগ-উপজেলা শহরে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে দলীয় নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যেও ঈদ নিয়ে নির্বাচনী উৎসব উৎসব ভাব লক্ষ্যনীয়।

সংসদের এমপি এবং গুরুত্বপূর্ণ পদে সক্রিয়দের পাশাপাশি দীর্ঘদিন যারা এলাকাবিমুখ ছিলেন; নেতাকর্মীর ভয়ে যে এমপিরা এলাকায় যেতে ভায় পেতেন; তারা নির্বাচন সামনে রেখে ঈদ উপলক্ষ্যে নিজ নিজ এলাকায় পা রাখছেন। দলীয় নেতাকর্মী ও গ্রামগঞ্জের নিজ ভোটারদের খুশি করতে অন্যান্য বারের চেয়ে এবার কয়েকগুণ বেশি নগদ টাকা নিয়ে এলাকায় যাচ্ছেন ওই মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈদ বকশিসের নামে অনেককেই দিচ্ছেন নগদ টাকা। এলাকায় প্রভাব রয়েছে এমন নেতাদের কাছে টানতে তাদের বকশিসের পরিমাণ একটু বেশি দিচ্ছেন।

সে টাকায় মফস্বল শহরের মার্কেটগুলোতে কেনাকাটা হচ্ছে। সবমিলে নির্বাচনী আমেজে গ্রামীণ অর্থনীতিও এবার বেশ চাঙ্গা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অধিকাংশই ইতিমধ্যে প্রথমপর্ব জাকাতের কাজ শেষ করেছেন। পাশাপাশি ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ছবি সংবলিত বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুনে এমনকি মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়েও নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান এমপি ও দলের নেতারা।

গ্রামগঞ্জে ঈদ উপলক্ষে চলছে এখন নির্বাচনী আমেজ। নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের কর্মকাণ্ডের সবকিছুই হয়ে গেছে নির্বাচন কেন্দ্রীক।
রাজধানী ঢাকার মতোই জেলা-উপজেলা শহর ও গ্রামে রমজান মাসে যেমন একাধিক ইফতার পার্টির আয়োজনের মাধ্যমে গণসংযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য তারা যেমন কেন্দ্রের দায়িত্বশীল নেতাদের আশীর্বাদের পাশাপাশি তৃণমূল নেতাদের মতামত নিজেদের পক্ষে নেয়ার চেষ্টা করছেন। ঈদ উপলক্ষে মন্ত্রী-এমপিরা নেতাকর্মীদের পাঞ্জাবী-পায়জামা, ঈদ বকশিস, সেলামী ইত্যাদির দিচ্ছেন। দলের অভ্যন্তরে যারা প্রতিপক্ষ তাদেরও কাউকে কাউকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন।

হামলা মামলার কারণে দীর্ঘদিন দৌড়ের মধ্যে ছিল বিএনপির নেতাকর্মীরা। কেউ কেউ ঝামেলা এড়াতে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন অনেক সাবেক মন্ত্রী-এমপি। দীর্ঘ ১০ বছরে বিপর্যস্ত ওই নেতারা নির্বাচন উপলক্ষে ঈদ ইস্যুতে হঠাৎ করে চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। রাজধানী ঢাকার শুরু করে তৃণমূল সর্বত্রই এই চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে। কিছু দিন আগেও যেখানে বিএনপি নেতা-নেত্রীরা দ্বিধাদ্বদ্ব ছিলেন সেখানে ঈদে বেশ দৃঢ় মনোবল নিয়ে হাজির হয়েছেন রাজনীতির মাঠে। নেতাকর্মীদের মধ্যে চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে।

এ জন্য অবশ্য বেগম খালেদা জিয়ার ‘দৃঢ় বক্তব্য’ ও ‘ভিশন-২০৩০’ ভূমিকা রেখেছে। রমজান মাসজুড়েই ঢাকায় বিভিন্ন সংগঠনের ইফতার অনুষ্ঠানের খালেদা জিয়ার দৃঢ়চেতা বক্তৃতায় হতাশা কাটিয়ে নেতাকর্মীরা ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি সঞ্চয় করেছেন। কয়েক বছর ধরে ঈদে হয় কারাগার নয়তো, পালাতক থাকায় স্বাভাবিকভাবে ঈদ উদযাপন বিএনপির অনেক নেতার পক্ষে সম্ভব হয়নি। নির্বাচনী হাওয়ার কারণে এবারের ঈদ হবে তাদের একটু ভিন্ন আমেজের। অন্যান্য বছর রাজনীতিতে হানাহানি ও ধরপাকড় থাকলেও এবার তুলনামূলক কম। বলা যায় রাজনীতি অনেকটাই স্থিতিশীল।

এতে অনে নেতাকর্মীই বাড়িঘরে ফিরেছে। এদিকে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঢেউ লাগায় এবার ঈদ অনেকটা রূপ নিয়েছে নির্বাচনী উৎসবের আমেজে।

ঈদ সামনে রেখে রাজনীতির মাঠ গোছাতে দলের সংসদ সদস্যসহ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

ঢাকায় বসে না থেকে যার যার নির্বাচনী এলাকায় ছুটে যেতে এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এরশাদের নির্দেশনা পেয়ে দলের অধিকাংশ সংসদ সদস্য নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ছুটেছেন। সংসদ সদস্য নন, কিন্তু আগামী সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির টিকিটে নির্বাচন করতে চান, এমন সম্ভাব্য প্রার্থীরা অনেক আগেই ছুটে গেছেন এলাকার মানুষের সঙ্গে ঈদ করতে। এরশাদ নিজেও রমজানে নিজ নির্বাচনী এলাকা রংপুর সফল করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন।
জিএম কাদের ও রওশন এরশাদও নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকা ঘুরে এসেছেন রমজান মাসে। নির্বাচন ইস্যুর কারণেই এবারের ঈদ দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীদের জন্য হয়ে উঠেছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
উৎসঃ ইনকিলাব

Posted in জতীয় সংসদ, জাতীয়, সারা দেশ | Comments Off on গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঈদ: সহি বানানের ইদ!

`উৎপাদিত বিদ্যুতের অর্ধেকের বেশি আবাসিক খাতে ব্যবহার হচ্ছে’

দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের অর্ধেকের বেশিই ব্যবহৃত হয় আবাসিক খাতে। এ খাতে ব্যয় হয় ৫০ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এছাড়া শিল্প খাতে ৩৪ দশমিক ২৮ শতাংশ, বাণিজ্যিক খাতে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ, কৃষি খাতে ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং অন্যান্য খাতে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ বিদ্যুত ব্যয় হয়।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকার দলের এমপি ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে ‍উপস্থাপিত হয়।

প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ হাজার ৩৭৯ মেগাওয়াট। দৈনিক চাহিদা গড়ে সাড়ে আট হাজার থেকে ৯ হাজার মেগাওয়াট। প্রতি বছর ৮ থেকে ১০ শতাংশ করে চাহিদা বাড়ছে।

সংরক্ষিত আসনের পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ চুরি অতীতের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। বিদ্যুতের সিস্টেম লস সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে এসেছে। তারপরও কিছু অসাধু কর্মচারীর যোগসাজশে অসাধু গ্রাহকরা বিদ্যুৎ চুরি করে থাকে।’

সরকার দলের হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিদ্যুৎ বিল আদায়ের হার ৯৮ দশমিক ২০ শতাংশ এবং সিস্টেম লস ১৬.৮৫% হতে ১৩.১০% এ হ্রাস পেয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।’

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, গ্যাসের অবৈধ সংযোগের প্রকৃত কোনও তথ্য সরকারের জানা নেই। তবে আবাসিক খাতে ব্যবহৃত অবৈধ গ্যাস সংযোগের তথ্য রয়েছে। বর্তমানে চিহ্নিত অবৈধ গ্যাস সংযোগের ডাবল বার্নারের সংখ্যা এক লাখ ৮ হাজার ৮শটি। এতে মাসে প্রায় ৯ এমএমসিএম গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে।

সংরক্ষিত আসনের সানজিদা খানমের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ৪৫টি মিল-কলকারখানা রয়েছে। এরমধ্যে ৩৬টি চালু রয়েছে, ৯টি বন্ধ অবস্থায় আছে। বন্ধ কারখানাগুলো চালু করতে সরকার ইতোমধ্যেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’

Posted in জতীয় সংসদ, সারা দেশ | Comments Off on `উৎপাদিত বিদ্যুতের অর্ধেকের বেশি আবাসিক খাতে ব্যবহার হচ্ছে’

এখন জাতীয় গ্রিডে ১৩ হাজার ১৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত (১৯৭২-২০১৭) বিভিন্ন সরকারের আমলে দেশে মোট ১৩ হাজার ৫৯৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন। তিনি জানান, বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে কিছু পুরনো কেন্দ্র বিভিন্ন সময়ে অবসরে যাওয়ায় বর্তমানে জাতীয় গ্রিডে ১৩ হাজার ১৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে। বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা বর্তমানে ক্যাপটিভসহ ১৫ হাজার ৩৫১ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।

বুধবার (২১ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকার দলের মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তরসহ অন্যান্য মন্ত্রীদের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ৯ হাজার ৫৪৮ এবং  খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারের দুই আমলে ১ হাজার ৮২৮ মেগাওয়াট বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২-১৯৮১ সালে ২৮৬ মেগাওয়াট, ১৯৮২-১৯৯০ সালে ১ হাজার ৫৮৮ মেগাওয়াট, ১৯৯১ সালের মার্চ-১৯৯৬ সালের মার্চ পর্যন্ত ৫৮৮ মেগাওয়াট, ১৯৯৬ সালের জুন থেকে ২০০১ সালের জুলাই পর্যন্ত ১ হাজার ২০৮ মেগাওয়াট, ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ২৪০ মেগাওয়াট, ২০০৬ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৪৬ মেগাওয়াট এবং ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের মে পর্যন্ত ৮ হাজার ৩৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।

বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে গৃহীত পরিকল্পনার অগ্রগতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, বর্তমানে সরকারি খাতে ৬ হাজার ৭০৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৬টি এবং বেসরকারি খাতে ৪ হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ মোট ১১ হাজার ৩৬৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রসমূহ ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে বলে আশা করা যায়।

তিনি বলেন, সরকারি খাতে ২ হাজার ৭৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৮টি এবং বেসরকারি খাতে ২ হাজার ৮৪৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সর্বমোট ৪ হাজার ৯১৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্দেশ্যে দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি খাতে ৬ হাজার ৪১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে। আগামী জুলাই ২০১৮ নাগাদ ভারত থেকে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির কার্যক্রম চলছে। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে ২০২৩ সালের মধ্যে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট এবং ২০২৪ সালের মধ্যে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।

সরকার দলের সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নে সরকার প্রধান বলেন,প্রতি বছর ২ লাখের বেশি মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে এবং প্রতি ১০ লাখ মানুষের জন্য মাত্র একজন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ রয়েছে।

সরকার দলের ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা জানান, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মোট সদস্য ২৮ লাখ ৪৭ হাজার।

সরকার দলের কামরুল আশরাফ খানের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে মোট প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ১৫ লাখ ২৪ হাজার।

Posted in জতীয় সংসদ, রাজনীতি | Comments Off on এখন জাতীয় গ্রিডে ১৩ হাজার ১৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

‘বাজেট উন্নয়নমূলক হলেও এর বাস্তবায়ন বড় চ্যালেঞ্জ’

চার লাখ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উন্নয়নমূলক হলেও এর বাস্তবায়নই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা। বরাদ্দ যা ই থাক বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতেরও তাগিদ দেন তারা। নতুন ভ্যাট আইনে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনও কঠিন হবে বলে মত তাদের।

বৃহস্পতিবার সংসদে ৪ লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এই বাজেট ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা বেশি। রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯১ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। আর এনবিআর যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর করে এই লক্ষ্যমাত্রা বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

প্রায় সব মন্ত্রণালয় বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। বরাদ্দ রাখা হয়েছে বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে।

Posted in জতীয় সংসদ, ব্যবসা-অর্থনীতি | Comments Off on ‘বাজেট উন্নয়নমূলক হলেও এর বাস্তবায়ন বড় চ্যালেঞ্জ’

দেশে শূন্য পদ রয়েছে ৩ লাখ ২৮ হাজার: জনপ্রশাসনমন্ত্রী

বর্তমানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে শূন্য পদ রয়েছে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৩১১টি। জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জাতীয় সংসদে একথা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
শূন্য পদ পূরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ মন্ত্রী বলেন, শূন্য পদ পূরণের কাজ চলছে। মন্ত্রণালয় ও বিভাগের চাহিদার অনুযায়ী কর্ম কমিশনের মাধ্যমে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির (৮ম-১২তম গ্রেড) শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ১৩-২০তম গ্রেডে (তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি) নিজ নিজ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকে।
তরিকত ফেডারেশনের এম এ আউয়ালের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী জানান, জনপ্রশাসনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকৃত কর্মকর্তার সংখ্যা ২৬৫ জন। বর্তমানে দেশে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৮২ হাজার ৩৯৩ জন। এর মধ্যে প্রথম-নবম গ্রেড পর্যন্ত প্রথম শ্রেণির পদে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৮১৯টি।
দেশ দুধ ও ডিমের ঘাটতি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক জানান, দেশে প্রতিদিন দুধের ঘাটতি ২ কোটি ৩ লাখ ১৭ হাজার ৮০৮ লিটার। আর ডিমের ঘাটতি ১ কোটি ৩২ লাখ ২৬০টি।
এমপি পিনু খানমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, বর্তমানে প্রতিদিন ৪ কোটি ২ লাখ ৪৯ হাজার ৩১৫ লিটার দুধের চাহিদার বিপরীতে ১ কোটি ৯৯ লাখ ৩১ হাজার ৫০৭ লিটার এবং ৪ কোটি ৫৮ লাখ ৭৩ হাজার ৯৭৩টি ডিমের বিপরীতে ৩ কোটি ২৬ লাখ ৩৬ হাজার ৭১৩টি ডিম উৎপাদিত হয়।
এই সংসদ সদস্যের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে ২৬০ প্রজাতির মিঠাপানির মাছ, ৪৭৫ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ১২ টি বিদেশি প্রজাতির মাছ, ২৪ প্রজাতির মিঠাপানির চিংড়ি ও ৩৬ প্রজাতির সামুদ্রিক চিংড়ি রয়েছে। আইইউসিএন তথ্য অনুযায়ী, ২৮ প্রজাতির মিঠা পানির মাছ বিলুপ্তির পথে, ৫৪টি প্রজাতি হুমকিতে, ১২টি প্রজাতি খুবই বিপদগ্রস্ত ও ১৪টি প্রজাতি ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
বৈশ্বিক উষ্ণতায় টেকসই উন্নয়নে বাধা: সরকার দলের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ক্ষতিকর প্রভাবের ফলে বাংলাদেশ একটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
সরকার দলের এমপি আবুল কালামের প্রশ্নের জবাবে পানি সম্পদ মন্ত্রী জানান, ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিস্তা ছাড়াও ফেনী নদীর অন্তবর্তীকালীন পানি বন্টন চুক্তির ফ্রেমওয়ার্ক চূড়ান্ত করা হয়েছে। এছাড়া মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতী, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বণ্টন বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র : বাংলাট্রিবিউন।
Posted in জতীয় সংসদ, জাতীয়, রাজনীতি | Comments Off on দেশে শূন্য পদ রয়েছে ৩ লাখ ২৮ হাজার: জনপ্রশাসনমন্ত্রী

বিজ্ঞান গবেষণায় ২০০ কোটি টাকা

Posted in জতীয় সংসদ, জাতীয়, ব্যবসা-অর্থনীতি | Comments Off on বিজ্ঞান গবেষণায় ২০০ কোটি টাকা

বাজেটে যেসব পণ্যের দাম কমছে

ফারুক আলম : ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেশকিছু পণ্যে শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক কমানো বা প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছেন।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী বেশকিছু পণ্যের ক্ষেত্রে এসব প্রস্তাবনা দেন।এসব প্রস্তাব অনুমোদন পেলে যেসব পণ্যের দাম কমবে তা হলো :

দেশীয় মোবাইল, ল্যাপটপ, আইপ্যাড : আইসিটি খাত রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে বিশেষ অবদান হিসেবে শুল্ক-কর প্রণোদনা এবং নীতিসহায়তা প্রদানের জন্য মোবাইল, ল্যাপটপ, আইপ্যাডের স্থানীয় সংযোজন ও উৎপাদনকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এ খাতের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য উপকরণ আমদানিতে শুল্ক রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হবে।

দেশীয় মোটরসাইকেল ও হাইব্রিড গাড়ি : মোটরসাইকেলের স্থানীয় উৎপাদন স¤প্রসারণের লক্ষ্যে এ খাতের জন্য শর্তসাপেক্ষে রেয়াতি সুবিধা প্রদান করে বিগত অর্থবছরে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। মোটরসাইকেল শিল্পে অগ্রসরমান দেশসমূহে অনুসৃত পদ্ধতি পর্যালোচনা করে ওই প্রজ্ঞাপনটিকে আরো যুগোপযোগী ও বিনিয়োগবান্ধব করে নতুনভাবে জারির প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে অতি দ্রæত মোটরসাইকেলের স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করি। একই সঙ্গে হাইব্রিড যানবাহন বৃদ্ধি করতে শুল্কহার পুনঃনির্ধারণ করা হচ্ছে।
দেশীয় ব্যাটারি : দেশে উৎপাদিত ব্যাটারি দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রপ্তানিও হচ্ছে। ইতিমধ্যে তৈরি পণ্যের আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক এবং কাঁচামালে নিম্ন শুল্কহার রয়েছে। আগামী বাজেটে এই সেক্টরের কাঁচামাল জিংক ক্যালট, আর্সেনিক, এন্টিমনির শুল্কহার হ্রাসের প্রস্তাব করা হয়েছে।
কৃষি যন্ত্রপাতি : কৃষিকাজে আধুনিক পদ্ধতি অর্থাৎ যান্ত্রিক পদ্ধতির ব্যবহার পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। কম খরচে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা যায় সে লক্ষ্যে বিদ্যমান ১ শতাংশ আমদানি শুল্কের আওতায় আরো কিছু কৃষি উপকরণ যোগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে কৃষি যন্ত্রপাতির মূল্য কমতে পারে।

সিরামিক : বর্তমানে দেশে সিরামিক শিল্পের ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে। বাজেটে এই শিল্পের প্রতিরক্ষণ সুবিধা অধিকতর স¤প্রসারণের লক্ষ্যে ট্যাল্ক, মাইকা, অ্যালুমিনা লাইনার ইত্যাদি কাঁচামালের শুল্ক আরো হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
ক্যান্সার প্রতিরোধক ঔষধসহ অন্যান্য ঔষধ : বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশে বাংলাদেশের ঔষধ রপ্তানি হচ্ছে। প্রচুর সম্ভাবনাময় এই খাতকে আরো বিকাশিত করার জন্য এই শিল্পে ব্যবহৃত বেশ কিছু কাঁচামালে শুল্ক রেয়াত সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে ক্যান্সার প্রতিরোধক ঔষধের কাঁচামালও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কৃষি, মৎস্য, পোল্ট্রি ও ডেইরি খাতে পণ্য : কৃষিখাতের আরো উন্নতিতে বিভিন্ন ধরনের চারাগাছের পরিচর্যায় ব্যবহৃত মালচ (গঁষপয) এবং গ্রিন হাউস প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত শেডিং নেটের ওপর শুল্কহার হ্রাস করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফলে কৃষিপণ্যের বেশকিছু পণ্যের দাম কমতে পারে। একই সঙ্গে কৃষির অন্যতম উপখাত মৎস্য, পোল্ট্রি ও ডেইরি শিল্পের খাদ্যসামগ্রী ও নানাবিধ উপকরণ আমদানিতে প্রয়োজনীয় আরো কতিপয় পণ্যে শুল্ক সুবিধা তথা প্রণোদনা প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

চামড়াজাত শিল্প যন্ত্রপাতি : চামড়া দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি শিল্প এবং এক্ষেত্রে কাঁচামালের সিংহভাগ দেশেই উৎপন্ন হয়। এই খাতে ব্যবহৃত সব রাসায়নিক পণ্যকে অনেক আগে থেকেই শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। রপ্তানি বাজার স¤প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে এই শিল্পের প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিদেশি ক্রেতাদের বিভিন্ন শর্ত অনুযায়ী নিরাপদ কারখানা স্থাপন করতে হচ্ছে। সে কারণে এই শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ইঁংনধৎ ঃৎঁহশরহম ংুংঃবস এবং ঊষবপঃৎরপধষ চধহবষ কে মূলধনী যন্ত্রপাতির রেয়াতি সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

Posted in জতীয় সংসদ, জাতীয়, সারা দেশ | Comments Off on বাজেটে যেসব পণ্যের দাম কমছে

ব্যাংকে আমানতকারীদের জন্য দুঃসংবাদ!

প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংকের আমানতকারীদের জন্য কোনও সুসংবাদ নেই। উল্টো আছে দুঃসংবাদ। এখন থেকে যারা ব্যাংকে এক লাখ টাকা রাখবেন, বছর শেষে তাদের আবগারি শুল্ক গুনতে হবে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতাকালে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এই প্রস্তাব করেন।

আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করে অর্থমন্ত্রী বলেন,  ‘১ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত কেউ ব্যাংকে টাকা রাখলে, তাকে আবগারি শুল্ক দিতে হবে ৮০০ টাকা, ১০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত কেউ আমানত রাখলে তাকে আবগারি শুল্ক আরোপ করা হবে ২ হাজার ৫০০ টাকা;  ১ কোটি থেকে ৫ কোটি টাকা অ্যাকাউন্টে রাখলে তার ওপর আবগারি শুল্ক আরোপ করা হবে ১২ হাজার টাকা। এছাড়া ৫ কোটি টাকার ওপরে ব্যাংকে টাকা রাখলে তাতে  আবগারি শুল্ক আরোপ করা হবে ২৫ হাজার টাকা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর লক্ষ্য বছরের যেকোনও সময় ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ডেবিট কিংবা ক্রেডিট হয়, এমন অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে তা আগের আবগারি শুল্ক আরোপ করা হয় না।

প্রসঙ্গত, সুদের হার কম থাকায় এমনিতেই ব্যাংকে আমানত রাখার হার এখন অনেক কম। আমানতকারীরা এখন আর ব্যাংকে টাকা রাখতে উৎসাহী হচ্ছেন না। এমন অবস্থায় আসছে স্থায়ী আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাবে বেশ শঙ্কিত আমানতকারীরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আবগারি শুল্ক বাড়ানো হলে ব্যাংকে আর টাকা রাখবেন না আমানতকারীরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ব্যাংকগুলোর আমানতের গড় সুদ ৫ দশমিক ১ শতাংশের মধ্যে। এদিকে বর্তমানে মূল্যস্ফীতির হার ৫ থেকে সাড়ে ৫ শতাংশ। এখন ব্যাংকে এক লাখ টাকা আমানত থাকলে বছর শেষে যে ৫ হাজার টাকা পাওয়া যাবে তার মধ্যে উৎসে কর আবগারি শুল্ক ও মূল্যস্ফীতি বাবদ কেটে রাখার পর মূল মূলধনই কমে যাবে আমানতকারীর।

ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান ও বেসরকারি মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাবে আমানতকারীরা নিরুৎসাহিত হবেন।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘ব্যাংক সুদের হার এখন অনেক কম, এর ওপর এমনিতে মূল্যস্ফীতি, উৎসে কর, মেইনট্যানেন্স চার্জ মিলিয়ে যা কেটে রাখা হয়, আমানতকারীর লাভ বলতে আর কিছুই থাকবে না।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি ব্যাংকগুলো এখন সাড়ে ৪ থেকে ৫ শতাংশ সুদে মেয়াদি আমানত নিচ্ছে। বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর বেশিরভাগ সঞ্চয় স্কিমেও সুদহার নেমে এসেছে একই পর্যায়ে। অনেক ব্যাংকের সুদহার ৫ শতাংশের কম। বাংলাদেশ ব্যাংকের মার্চ মাসের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট ৫৭টি ব্যাংকে আমানত হিসাবের সংখ্যা প্রায় আট কোটি। এর মধ্যে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে নয় লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর অর্ধেকের বেশি মেয়াদি আমানত। সঞ্চয়ী আমানত রয়েছে ২০ শতাংশের মতো। মোট আমানতের মধ্যে বেসরকারি খাতের অংশ ৮৩ শতাংশ। বাকিটা সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের। গ্রাহকের আমানত থেকে যে মুনাফা আসে, তার ওপর ১০ শতাংশ কর নেয় সরকার। আর টিআইএন না থাকলে কাটা হয় ১৫ শতাংশ। এর পাশাপাশি আমানত ও ঋণ উভয় হিসাব থেকে বছরে একবার আবগারি শুল্ক কাটা হয়।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যারা ব্যাংকে টাকা রাখেন, তারা একটি নিদিষ্ট হারে কর দেনই। ব্যাংকে যে টাকা থাকে, তা আয়কর রিটার্নে প্রদর্শিত হয় ও ট্যাক্স দেওয়া হয়। কাজেই একই টাকার ওপরে আবার ‘আবগারি শুল্ক’ নামে ট্যাক্স কেটে নেওয়া উচিত নয়।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘এতে  ব্যাংকের গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে। অন্যান্য সোর্স না বাড়িয়ে একই জায়গা থেকে বার বার ট্যাক্স নেওয়া কোনও ভালো লক্ষণ নয়।’

প্রসঙ্গত, সুদের হার কম থাকায় এমনিতেই ব্যাংকে আমানত রাখার হার এখন অনেক কম। আমানতকারীরা এখন আর ব্যাংকে টাকা রাখতে উৎসাহী হচ্ছেন না। এমন অবস্থায় আসছে স্থায়ী আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাবে বেশ শঙ্কিত আমানতকারীরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আবগারি শুল্ক বাড়ানো হলে ব্যাংকে আর টাকা রাখবেন না আমানতকারীরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ব্যাংকগুলোর আমানতের গড় সুদ ৫ দশমিক ১ শতাংশের মধ্যে। এদিকে বর্তমানে মূল্যস্ফীতির হার ৫ থেকে সাড়ে ৫ শতাংশ। এখন ব্যাংকে এক লাখ টাকা আমানত থাকলে বছর শেষে যে ৫ হাজার টাকা পাওয়া যাবে। তার মধ্যে উৎসে কর আবগারি শুল্ক ও মূল্যস্ফীতি বাবদ কেটে রাখার পর মূল মূলধনই কমে যাবে আমানতকারীর।

Posted in জতীয় সংসদ, জাতীয় | Comments Off on ব্যাংকে আমানতকারীদের জন্য দুঃসংবাদ!

সর্বোচ্চ বরাদ্দ শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে

২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে। যৌথভাবে এ খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬৫ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন।

বাজেটে জনপ্রশান খাতে (জন প্রশাসন নিট, ভর্তুকি ও প্রনোদনা, পেনশন অ্যন্ড গ্রাচ্যুয়িটি, সুদ, শেয়ার ও ইক্যুয়িটিতে বিনিয়োগ, এডিপি বহির্ভুত প্রকল্প, আইএমএফ’র সঙ্গে নগদ লেনদেন ও অন্যান্য খাত মিলে) বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ১৬ কোটি টাকা।

বাজেটে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫০ হাজার ৯৯ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ১২ দশমিক ৫ শতাংশ। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাত। এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৭ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ২৫ হাজার ৭৭১ কোটি এবং সামাজিক অবকাঠামো খাতে বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৩০২ কোটি টাকা। খাদ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতের জন্য বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ১২ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ৩ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ৮ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা। ভৌত অবকাঠামো খাতে প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৯ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ৩১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫২ হাজার ১২৮ কোটি টাকা। কৃষি মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ১৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ৫ হাজার ৯২৬ কোটি টাকা। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা। জনশৃঙ্খলা ও সেবা খাতে বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ২২ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা। পিপিপি, ভর্তুকি ও দায় পরিশোধ বাবদ বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে ৭ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা। নিট ঋণদান ও অন্যন্য ব্যয় নির্বাহের জন্য বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে ১০ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ২ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

সূত্র : বাংরাট্রিবিউন।

Posted in জতীয় সংসদ, জাতীয় | Comments Off on সর্বোচ্চ বরাদ্দ শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud