বর্তমানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে শূন্য পদ রয়েছে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৩১১টি। জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জাতীয় সংসদে একথা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
শূন্য পদ পূরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ মন্ত্রী বলেন, শূন্য পদ পূরণের কাজ চলছে। মন্ত্রণালয় ও বিভাগের চাহিদার অনুযায়ী কর্ম কমিশনের মাধ্যমে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির (৮ম-১২তম গ্রেড) শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ১৩-২০তম গ্রেডে (তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি) নিজ নিজ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকে।
তরিকত ফেডারেশনের এম এ আউয়ালের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী জানান, জনপ্রশাসনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকৃত কর্মকর্তার সংখ্যা ২৬৫ জন। বর্তমানে দেশে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৮২ হাজার ৩৯৩ জন। এর মধ্যে প্রথম-নবম গ্রেড পর্যন্ত প্রথম শ্রেণির পদে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৮১৯টি।
দেশ দুধ ও ডিমের ঘাটতি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক জানান, দেশে প্রতিদিন দুধের ঘাটতি ২ কোটি ৩ লাখ ১৭ হাজার ৮০৮ লিটার। আর ডিমের ঘাটতি ১ কোটি ৩২ লাখ ২৬০টি।
এমপি পিনু খানমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, বর্তমানে প্রতিদিন ৪ কোটি ২ লাখ ৪৯ হাজার ৩১৫ লিটার দুধের চাহিদার বিপরীতে ১ কোটি ৯৯ লাখ ৩১ হাজার ৫০৭ লিটার এবং ৪ কোটি ৫৮ লাখ ৭৩ হাজার ৯৭৩টি ডিমের বিপরীতে ৩ কোটি ২৬ লাখ ৩৬ হাজার ৭১৩টি ডিম উৎপাদিত হয়।
এই সংসদ সদস্যের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে ২৬০ প্রজাতির মিঠাপানির মাছ, ৪৭৫ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ১২ টি বিদেশি প্রজাতির মাছ, ২৪ প্রজাতির মিঠাপানির চিংড়ি ও ৩৬ প্রজাতির সামুদ্রিক চিংড়ি রয়েছে। আইইউসিএন তথ্য অনুযায়ী, ২৮ প্রজাতির মিঠা পানির মাছ বিলুপ্তির পথে, ৫৪টি প্রজাতি হুমকিতে, ১২টি প্রজাতি খুবই বিপদগ্রস্ত ও ১৪টি প্রজাতি ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
বৈশ্বিক উষ্ণতায় টেকসই উন্নয়নে বাধা: সরকার দলের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ক্ষতিকর প্রভাবের ফলে বাংলাদেশ একটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
সরকার দলের এমপি আবুল কালামের প্রশ্নের জবাবে পানি সম্পদ মন্ত্রী জানান, ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিস্তা ছাড়াও ফেনী নদীর অন্তবর্তীকালীন পানি বন্টন চুক্তির ফ্রেমওয়ার্ক চূড়ান্ত করা হয়েছে। এছাড়া মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতী, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বণ্টন বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র : বাংলাট্রিবিউন।