পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

আজ বাজেট ২০১৭-১৮ বাজেট পেশ

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের চতুর্থ বাজেট ঘোষণা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১ জুন)। ‘উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের’ শিরোনামে এটি হবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের পূর্ণাঙ্গ বাজেট। জনসাধারণের ওপর নানা উপায়ে নতুন কর ও ভ্যাট আরোপ করেই তৈরি করা হয়েছে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। জানা গেছে, এবার বাজেটের সম্ভাব্য আকার হতে পারে চার লাখ দুইশ ৬৬ কোটি টাকা। এ বছর ১ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (এনইসি) অনুমোদন করা হয়েছে। সামনের বছর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে এবার পরিধি বাড়ানো হতে পারে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের সুবিধাভোগীদের জন্য। একইসঙ্গে বাড়ানো হবে এ খাতের বরাদ্দ। উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনে এবারের বাজেটে গুরুত্ব পাচ্ছে সরকারের অবকাঠামো উন্নয়ন, গ্যাস ও বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য সামাজিক ও মানবসম্পদ উন্নয়ন। এ বছর বাজেটে বেশি বরাদ্দ পাবে বিদ্যুৎ খাত। একইভাবে গুরুত্ব পাবে মানবসম্পদ খাত। উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ রাখা হবে পদ্মা সেতুসহ সরকারের মেগা প্রকল্প খাতে। তবে বাড়ানো হতে পারে ব্যক্তিখাতের করমুক্ত আয়সীমা। বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
শেখ হাসিনা সরকারের টানা দ্বিতীয় মেয়াদের চতুর্থ বাজেট হলেও এটি হবে অর্থমন্ত্রীর টানা নবম বাজেট। এর আগে আবুল মাল আবদুল মুহিত এরশাদ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে ১৯৮২-৮৩ ও ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরের জন্য দুই বার জাতীয় বাজেট পেশ করেছিলেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট করা হয়েছে জিডিপির ১৭ শতাংশ হারে। বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ৫ শতাংশ। এ বছরের বাজেটের সম্ভাব্য আকার হতে পারে চার লাখ দুইশ ৬৬ কোটি টাকা। রেওয়াজ অনুযায়ী সংসদে উপস্থাপনের আগে সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য মন্ত্রিপরিষদের বিশেষ সভায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করা হবে। রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ আগে থেকেই সংসদ ভবনস্থ নিজ দফতরে বসেই মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদিত প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাক্ষর করবেন। এর পরেই সংসদে তা উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ৮৪ বছর বয়স্ক অর্থমন্ত্রী পাজামার সঙ্গে পাঞ্জাবি ও মুজিব কোট গায়ে জড়িয়ে এবং কালো চামড়ায় তৈরি বেল্টওয়ালা সেন্ডেল পায়ে দিয়ে সংসদে আসবেন বাজেট উত্থাপন করতে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাজেটের মূল দলিলপত্র সঙ্গে নেওয়ার জন্য প্রথা অনুযায়ী এরই মধ্যে কালো ব্রিফকেস কেনা হয়েছে। চিকিৎসকরাও বারবার অর্থমন্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন বলে পাবিারিক সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘টেনশন ফ্রি রয়েছি। কাল সংসদে দেখা হবে।’
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গুরুত্বপূর্ণ আট মেগা প্রকল্পের সঙ্গে এবার এডিপিতে যুক্ত হয়েছে কিছু নতুন প্রকল্প। নতুন বাজেটে সরকারের নানা চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ থাকছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন। যদিও এর হার কত হবে, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত। আরও রয়েছে— রাজস্ব খাতে পরিকল্পিত সংস্কার কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, পদ্মা সেতুসহ সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর জন্য অর্থ সরবরাহ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষি ও খাদ্যখাতে ভর্তুকিসহ কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যয় হ্রাস। এছাড়া, জ্বালানি খাতে স্বয়ংক্রিয় মূল্য সমন্বয় প্রদ্ধতি বাস্তবায়ন, মূল্যস্ফীতি সহনীয় রাখা, বিদেশি অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধি, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণ এবং বৈদেশিক মুদ্রার কাঙ্ক্ষিত স্তর এবং বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখাও আগামী বাজেটের অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হয়েছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী এবারের বাজেটে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ।
সদ্যসমাপ্ত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ। এ বছর তা বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যা সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্ধারিত রয়েছে। গড় মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের নিচে রাখার ঘোষণা দেওয়া হতে পারে প্রস্তাবিত বাজেটে।
উল্লেখ্য, এর আগে বিএনপি সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে সাইফুর রহমান ব্যক্তিগত ১২টি বাজেট উত্থাপন করে শীর্ষে থাকলেও তিনি টানা পাঁচ বারের বেশি বাজেট দিতে পারেননি। তবে অর্থমন্ত্রী মুহিতের এবারের ঘোষিত বাজেট হবে টানা নবম বাজেট। আর এর মাধ্যমে তার উত্থাপিত মোট বাজেটের সংখ্যা হবে ১১টি।
এদিকে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা শাহেদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞিপ্তিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিবারের ন্যায় এবারও ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্থাৎ পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে বাজেট উপস্থাপন করা হবে। ওই দিন অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা, বাজেটের সংক্ষিপ্তসার, বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি, সম্পূরক আর্থিক বিবৃতি, মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি, বিকশিত শিশু: সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে অগ্রযাত্রা: হালচিত্র ২০১৭, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা, জেন্ডার বাজেট প্রতিবেদন, সংযুক্ত তহবিল-প্রাপ্তি, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা -২০১৭, মঞ্জুরি ও বরাদ্দের দাবি (অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন), বিস্তারিত বাজেট (উন্নয়ন), মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট সংক্ষিপ্তসার ওয়েবসাইটে প্রকাশসহ জাতীয় সংসদ থেকে সরবরাহ করা হবে। একইসঙ্গে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রণীত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যাবলী (২০১৬-১৭) জাতীয় সংসদে পেশ করা হবে।
বাজেটকে আরও অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mof.gov.bd -এ বাজেটের সব তথ্য ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যেকোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবেন। দেশ বা দেশের বাইরে থেকে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফিডব্যাক ফরম পূরণ করে বাজেট সম্পর্কে মতামত ও সুপারিশ পাঠানো যাবে। প্রাপ্ত সব মতামত ও সুপারিশ বিবেচনা করা হবে। জাতীয় সংসদ কর্তৃক বাজেট অনুমোদনের সময়ে ও পরে তা কার্যকর করা হবে।
ব্যাপকভিত্তিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারি কয়েকটি ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাবে বাজেট সংক্রান্ত তথ্য। এসব ওয়েবসাইটের মধ্যে রয়েছে— বাজেট উপস্থাপনের পরদিন
শুক্রবার (২ জুন) বিকাল ৩টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র : বাংলাট্রিবিউন।
Posted in জতীয় সংসদ, জাতীয় | Comments Off on আজ বাজেট ২০১৭-১৮ বাজেট পেশ

সংসদ ভবনের এক চিলতে জমিতে ফল-সবজির সমারোহ

শাইখ সিরাজ: জাতীয় সংসদ ভবনের মাঠের কোণে এক চিলতে জমিতে গড়ে উঠেছে ফল আর সবজির সমারোহ। কমপে ষাট রকমের শাক-সবজি ফলের ওই বাগান নিজে হাতে গড়ে তুলেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা গিনি। অন্যান্য সংসদ সদস্যের জন্য যা হয়ে উঠেছে অনুসরণীয়।

জাতীয় সংসদ ভবন। দেশের সবকটি এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিধিরা এখানে বসেন আইন প্রণেতার ভূমিকায়। ২’শ ১৫ একর জায়গার ওপর দাঁড়িয়ে জাতির গর্বের এ প্রতিষ্ঠানের চারদিকে অপরূপ বাগান শোভিত। এর ভেতরেই রয়েছে খোলা মাঠ ও পরিত্যক্ত ত্রে।8KDeeEAxz2FO t67XqeVVLozK

এমন এক টুকরো জায়গাকেই সৌন্দর্য আর ফসলে সুশোভিত করে তুলেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা গিনি।

বাগান করা নিয়ে মাহবুব আরা গিনি বলেন, ‘স্পিকারকে বলার পর তিনিও ও অন্যান্যরাও সবাই উৎসাহ দেন। তারাই বললেন, জায়গাটা পড়েই আছে, তুমি সবজি বাগান করবে এটাতো বেশ ভালো কথা। কথায় কথায় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত কথাটি গেলো। তিনিও উৎসাহ দিলেন’।

বিষমুক্ত সবজি ফসল উৎপাদনের েেত্রও এটি এক অনুকরণীয় ত্রে। হুইপ আরও বলেন, জৈবিক সার-কীটনাশক ব্যবহার করা হয় বাগানে। বাগানটি দেখভাল করার েেত্র সহযোগিতা দিচ্ছেন উদ্যান বিশেষজ্ঞরা। সঙ্গে রয়েছে ফল উন্নয়ন প্রকল্পও।

ফল উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মেহেদী মাসুদ জানান, আমরা এখানে ৫২ ধরণের সবজি এবং ফল এখানে চাষ করেছি।

ইতোমধ্যেই এ উদ্যোগ দৃষ্টি কেঁড়েছে অন্যান্য সংসদ সদস্যেরও। দৃষ্টিনন্দন বাগানটি দিনে দিনে হয়ে উঠছে এক টুকরো কৃষি পর্যটন কেন্দ্র, উদ্যোগ হিসেবে যা অনন্য বলে মনে করেন অনেকেই।
সুত্র..চ্যানেল আই অনলাইন

Posted in জতীয় সংসদ | Comments Off on সংসদ ভবনের এক চিলতে জমিতে ফল-সবজির সমারোহ

জিএসপি ফিরিয়ে না দিলে টিকফা নয় সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী

Tofayel20160203124445সংসদ প্রতিবেদক: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যের অবাধ বাজার সুবিধা (জিএসপি) না দিলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা কাঠামো চুক্তি (টিকফা) কখনই কার্যকর হবে না। বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের শামীম ওসমানের সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী একথা বলেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, পোষাক শিল্পের উন্নয়নের জন্য আমাদের যা যা করণীয় আমরা তাই করেছি। পোষাক শিল্প নিয়ে যত মিটিং হয় তাদেরকে (যুক্তরাষ্ট্র) জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, আমরা অনেক উন্নতি করেছি, আরো করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমার আর কী করবো, তা খুঁজে পাচ্ছি না। আমরা এত কিছু করার পরও কেন তারা জিএসপি ফিরিয়ে দিচ্ছে না? বিষয়টি রাজনৈতিক। তোফায়েল আহমেদ বলেন, যদিও আমরা বার বার বলেছি, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন। জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে না দিলে টিকফা চুক্তি হবে না।

Posted in জতীয় সংসদ | Comments Off on জিএসপি ফিরিয়ে না দিলে টিকফা নয় সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী

১ সেপ্টেম্বর থেকে বসছে সংসদ অধিবেশন

ঢাকা: দশম জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশন বসছে আগামী ১ সেপ্টেম্বর। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সংসদ অধিবেশন আহ্বান করেছেন।bangladesh parliament
১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় বসবে এ অধিবেশন। নিয়ম অনুযায়ী, অধিবেশনের আগে স্পিকারের সভাপতিত্বে বৈঠকে বসবে কার্যউপদেষ্টা কমিটি। ওই বৈঠকেই অধিবেশনের মেয়াদ ও কার্যাবলি নির্ধারণ করা হবে। এদিকে একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে পরের অধিবেশন বসার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর আগে গত ৮ জুলাই শেষ হয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশন। যা ছিল বাজেট অধিবেশন।

Posted in জতীয় সংসদ | Comments Off on ১ সেপ্টেম্বর থেকে বসছে সংসদ অধিবেশন

পেট্রলবোমা: খালেদার বিচারে ট্রাইব্যুনালে পরিকল্পনা

07-07-15-PM_Perliament-1ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পেট্রল বোমা হামলার নির্দেশকারী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো বিচারের জন্য সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ২৭ ধারা অনুযায়ী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান রয়েছে। এ আইনের ২৭ধারা অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল গঠনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনে সংরক্ষিত মহিলা-৬ আসনের সংসদ সেলিনা বেগমের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ট্রাইব্যুানাল গঠন করা পর্যন্ত এ আইনের অধীন অপরাধসমূহের দ্রুত বিচার কার্য সম্পন্ন করার জন্য দায়রা জজ বা দায়রা জজ কর্তৃক অতিরিক্ত দায়রা জজকে বিচারকার্য সম্পন্ন করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এসকল মামলার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মামলাসমূহ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এ বছরের ৫ জানুয়ারি হতে চলমান হরতাল, অবরোধে এবং শবে বরাতের রাতে কুমিল্লায় যাত্রীবাহী বাসে ৬ জনসহ পেট্রল বোমা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ১৩৪ জনকে হত্যা করা হয়। বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতায় এক হাজার তিনশত ৯৫টি যানবাহন, ১৩ দফা ট্রেনে এবং ছয়টি ট্রেনে নাশকতা চলানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিহতদের স্বজন ও আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহিবল থেকে ২০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও আরো এক কোটি ৩৬ লাখ টাকার চেক প্রস্তুত রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ৮৬০টি যানবাহনের মালিকদের নয় কোটি ৫৭লাখ ৭৯হাজার ১৪০টাকা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ২৮৫টি গাড়ির মালিকদের মধ্যে সাত কোটি ২১ লাখ ১২ হাজার টাকার চেক প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, পেট্রল বোমায় গুরুতর আহত এসএসসি পরীক্ষার্থী অনিক, হৃদয়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল কাদের এবং ট্রাক ড্রাইভার লিটন মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য একাধিকবার বিদেশে পাঠানো হয়েছে।

Posted in জতীয় সংসদ, জাতীয় | Comments Off on পেট্রলবোমা: খালেদার বিচারে ট্রাইব্যুনালে পরিকল্পনা

এ বাজেট আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও কল্যাণের পথ সুগম করবে

23-06-15-PM_Parliament-1স্টাফ রিপোর্টার : আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত জোট জ্বালাও পোড়াও না চালালে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.৩% অর্জন সম্ভব হতো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার দুপুরে সংসদে বাজেট বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই বাজেট বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আরো একধাপ এগিয়ে যাবে এবং দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে।তিনি সোমবার সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন।প্রস্তাবিত বাজেটকে জনকল্যাণমুখী আখ্যা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ বাজেট জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও কল্যাণের পথ সুগম করবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।শত প্রতিকুলতার মাঝেও ভোট দিয়ে এ সরকারকে ক্ষমতায় আসার সুযোগ করে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জনগণ এ সরকারকে নির্বাচিত না করলে এ বাজেট উপস্থাপন সম্ভব হতো না।সপ্তমবারের মতো বাজেট উপস্থাপন করায় অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তার এ বাজেট বাংলাদেশকে প্রতি পদে পদে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে বাংলাদেশকে জাতির পিতার আদর্শ বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে নেয়া সম্ভব হচ্ছে, যা ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ হিসেবে বাঙালি জাতিকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আজ আর কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফর তথ্যমতে বাংলাদেশের অর্থনীতি ১ বছরের ব্যবধানে ৫৮তম স্থান থেকে ১৪ ধাপ এগিয়ে এখন ৪৪তম স্থানে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, অর্থনৈতিকভাবে তারা স্বাবল¤ি\^তার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ক্রয় ক্ষমতার যে সমতা ভিত্তিতে বাংলাদেশ ২০১৩ সালের ৩৬তম অবস্থান থেকে তিন ধাপ এগিয়ে ২০১৫ সালে ৩৩তম অবস্থানে এসেছে। বাংলাদেশ স্বাবল¤ি\^তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বলেই এবার ২ লাখ ৯৫ হাজার ১শ? কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করতে পেরেছে। ৬ বছরে বাজেটের পরিমাণ প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।তিনি বলেন, বাজেটের আকার বড় হলেও এ বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য। বিগত অর্থবছরে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য, লাগাতার ৩ মাস হরতাল-অবরোধের পরেও সরকার বাজেটের ৯৫.৬৭ ভাগ বাস্তবায়ন করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের কল্যাণের জন্য এ সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জনগণের সেবা এবং জনগণের জন্য কাজ করাই হচ্ছে এ সংগঠনের মূল লক্ষ্য। আওয়ামী লীগের কাছে মানুষের প্রত্যাশা বেশি। সে প্রত্যাশা পূরণই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য। এ জন্য আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করে, তখন দেশে বিনিয়োগ বাড়ে, অর্থনীতি শক্তিশালী হয়, গরীব মানুষের উন্নয়ন হয়। কারণ আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে।তিনি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর এদেশের মানুষের জীবনে দুঃখ-দুর্দশা নেমে আসে। ২১ বছর মানুষ অনেক কষ্ট করেছে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখন মানুষ বুঝতে পারে, জনগণের জন্য সরকার কাজ করে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল ছিল স্বর্ণ যুগ। পরবর্তী ৭ বছর দেশের মানুষের জীবনে আবারও অমানিষার অন্ধকার নেমে আসে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব ধরনের আর্থ-সামাজিক সূচকে বর্তমান সরকার সাফল্য অর্জন করেছে। দারিদ্র্যের হার ২০০৫ সালে ছিল ৪০ শতাংশ, ২০১৫ সালে তা ২২ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে এসেছে। অতি দারিদ্র্যের হার ৭ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। অতি দারিদ্র্যদের সরকার বিনামূল্যে খাদ্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও গত ৫ বছরে গড় প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং এ বছর তা ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ। মুদ্রাস্ফীতি এখন ৬ দশমিক ৫৭ শতাংশে রয়েছে। চলতি বছরে রফতানি আয় বেড়ে দাঁড়াবে ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ছিল ১০ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ৭০ দশমিক ৭ বছরে উন্নীত হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৫ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। প্রায় দেড় কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ৫ কোটি মানুষ মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে উন্নীত হয়েছে এবং মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৪৩ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য উৎপাদন হয়েছে। মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। মানুষের পুষ্টি, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার মাছ, মাংস ও ডিমসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার উৎপাদন বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকার বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণের ফলে বর্তমানে দেশের ৭০ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। বর্তমানে ১৩ হাজার ৭২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে। এরপরও সোলার, পারমাণবিক ও কয়লা ভিত্তিক বিভিন্ন বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ভারত, নেপাল ও ভুটানের সাথে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে ওঠায় নেপাল ও ভুটান থেকে পানি বিদ্যুৎ আমদানির সুযোগ সৃষ্টি রয়েছে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সমালোচকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্থান থেকে সুন্দরবনের দূরত্ব অনেক। ফলে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিবেশের ওপর কোন বিরূপ প্রভাব ফেলবে না। এ ক্ষেত্রে তিনি দিনাজপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় স্থাপিত দিনাজপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র যদি প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষতি না হয়, তাহলে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের ক্ষতি কিভাবে করবে। বাংলাদেশের উন্নতি অনেকের সহ্য হয় না বলেই তারা এ ধরনের সমালোচনা করেন।তিনি বলেন, বর্তমান কৃষকবান্ধক সরকার কৃষককে ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খুলে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। কৃষকদের বিভিন্ন উপকরণে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। ফলে কৃষকরা উৎপাদনমুখী হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ ২০১৮ সালে শেষ হবে এবং আরো ১৩টি বৃহৎ সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবায় ১৬ হাজার ৪৩৮ কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হচ্ছে। এসব ক্লিনিকে বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ দেয়া হচ্ছে। মাতৃমৃত্যু প্রতিহাজারে ১ দশমিক ৭ জন এবং শিশুমৃত্যু ৩৩ জনে নেমে এসেছে।তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় ২৭ লাখ ২২ হাজার ৫শ? জন বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও বয়স্ক মানুষ ৪শ টাকা হারে ভাতা পাচ্ছে। ৪ লাখ প্রতিবন্ধী বর্তমানে ভাতা পাচ্ছে। এ হার ৬ লাখে উন্নীত করা হবে। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ১০ হাজারে উন্নীত করা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। ৪ হাজার ৫৪৭টি ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে মানুষকে তথ্যসেবা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে দেশের ১২ কোটি ৪৭ লাখ মানুষ মোবাইল সিম ব্যবহার করছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ৪ কোটি ৫৭ লাখে উন্নীত হয়েছে। কৃষি খাতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। সারাদেশে ২৪৫টি কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্রে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন।শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে ক্রীড়া ক্ষেত্রেও ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেট টিমকে হোয়াইট ওয়াশ করার পর ভারতের সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেট সিরিজ জয় করেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমকে শিগগিরই সম্মাননা দেয়া হবে বলে তিনি জানান।তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শেয়ারবাজারকে গতিশীল করতে এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের প্রণোদনা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর ফলে শেয়ার বাজারের স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে। যুব সমাজকে শেয়ারবাজার সম্পর্কে সচেতন করতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ক্যান্সার রোগীদের ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতে সকল শুল্ক কর প্রত্যাহার, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিউশন ফির ওপর আরোপিত ১০ শতাংশ কর কমিয়ে ৭ দশমিক ৫-এ আনা, ইউনানী ও ভেষজর ওষুধের মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহার, পোল্ট্রি শিল্পের আয়ের প্রথম ১৯ লাখ টাকা পর্যন্ত কর মওকুফ করে ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ ও ৩০ লাখের অধিক অর্থের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর আরোপ করার প্রস্তাব করেন। রফতানি আয়ের ওপর উৎসে কর কর্তনের হার ০ দশমিক ৬০ শতাংশ করার সুপারিশ করেন। মাছ চাষের ওপর অর্জিত আয়ের প্রথম ১৯ লাখ টাকা পর্যন্ত কর মওকুফ করে ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ ও ৩০ লাখের অধিক অর্থের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর আরোপ করার প্রস্তাব করেন।

Posted in জতীয় সংসদ, জাতীয় | Comments Off on এ বাজেট আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও কল্যাণের পথ সুগম করবে

আমরা কি শুধু গুলিই খাবো?

Selim1আমাদের বর্ডার গার্ড কেন এখন পর্যন্ত রাজ্জাককে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারেনি তার তুমুল সমালোচনা করলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিম।
তিনি বলেন, ‘রাজ্জাককে ধরে নেয়ার পর মিয়নমারের বর্ডার গার্ড তাদের ফেসবুকে যে কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে তার মধ্যে একটি ছবিতে রয়েছে রাজ্জাককে হাতে হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়েছে। যে হাতকড়া শুধু রাজ্জাকের হাতেই পরিয়ে রাখেনি, এটি ১৬ কোটি মানুষের হাতে পরানো হয়েছে।’
সোমবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচানায় হাজি মো. সেলিম এ কথা বলেন।
হাজি সেলিম বলেন, ‘মিয়নমারের বিজিপি আমাদের সঙ্গে বেয়াদবি করছে, আমরা কিছুই করতে পারছি না। আমরা এতো টাকা খরচ করছি আমাদের বিজিবির পেছনে, তাদের কাছ থেকে কি পাচ্ছি? মিয়ানমারের বিজিপি আমাদের সদস্যদের গুলি করে, তুলে নিয়ে যায়। এখানে আমরা কেন প্রতিরোধ গড়তে পারি না, তাদের পাল্টা গুলি করতে পারি না? তার মানে কি আমাদের বিজিবি শক্তিশালী না?’
তিনি বলেন, ‘সবাই জানে মিয়নমারের বিজিবি সদস্যরা ইয়াবা, মাদকসহ এমন কিছু নেই তারা করে না। তারা আমাদের বিল্পব কুমারকে গুলি করে রাজ্জাককে তুলে নিয়ে গেলো। এতো দিন হওয়ার পরও কেন আমরা এর কোনো সুরাহা করতে পারছি না। রাজ্জাককে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।’
কুটনৈতিক তৎপরতার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘সবাই জানে আমাদের কূটনৈতিক নীতি হচ্ছে বন্ধুত্বপূর্ণ। আর সরকারের সকল চালিকাশক্তি থাকা সত্ত্বেও কেন আমরা পারি না, তাহলে আমরা কি শুধু গুলিই খাবো?’ সূত্র বাংলামেইল

Posted in জতীয় সংসদ | Comments Off on আমরা কি শুধু গুলিই খাবো?

ভারতের দুই বিলিয়ন ডলার ঋণের ব্যাপারে কোনো শর্ত নেই: প্রধানমন্ত্রী

a8af56435f3b339d390a0e2f2e9762beনিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক সফরে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ অর্থ কোন কোন খাতে ব্যয় করা হবে তা আলাপ-আলোচনা করে ঠিক করা হবে। এ ব্যাপারে কোনো শর্ত নেই। আমরা আমাদের মতো করে এ অর্থ ব্যয় করতে পারব।’

বুধবার রাতে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ, স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ রেখেই বন্ধুত্বপূর্ণভাবে ভারতের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা গ্রহণ করা হয়েছে। কোনো শর্ত দিয়ে আমরা কিছু নেই না।‘

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারতের কাছ থেকে এর আগে এক বিলিয়ন ডলার পাওয়া গিয়েছিল। এর মধ্যে ২০০ মিলিয়ন ডলার অনুদান হিসেবে এসেছিল। এগুলো মূলত অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। এ সব উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলমান।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন দ্রুত অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসর হচ্ছে। বাংলাদেশের জিডিপির পরিমাণ বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিশ্বব্যাংক থেকে একটি রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টে দেখা যায়, জিডিপির পরিমাণ বৃদ্ধির দিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ যে জিডিপির টার্গেট করেছে তা পূরণ করে দেশকে যেভাবে দ্রুত উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাওয়া যাবে, সেভাবে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে যে যে খাতে অর্থ ব্যয় করা প্রয়োজন সেগুলো মাথায় রেখে অগ্রাধিকার খাত নির্ধারণ করা হবে।’

এদিকে, সরকারি দলের সদস্য এস এম মোস্তফা রশিদীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের আইনসভায় সীমান্ত চুক্তি পাস হওয়ায় ৬৮ বছরের সমস্যার সমাধান হয়েছে। এটি আওয়ামী লীগ সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ১১১টি ছিটমহলের আয়তন ১৭ হাজার ১৬০ একর। অন্যদিকে ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের আয়তন সাত হাজার ১১০ একর। চুক্তি অনুযায়ী যে ছিটমহল যে দেশের অভ্যন্তরে আছে, সেই দেশ ওই ছিটমহলের মালিক হবে। এই বিনিময়ের ফলে ছিটমহলবাসীর মানবিক সমস্যার সমাধান হবে। এ ছাড়া ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি হয়েছে, তার প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ লাভবান হবে।’

মোস্তফা রশিদীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৪ সালের স্থলসীমান্ত চুক্তিকে অনেকে ‘দেশ বেচা’, ‘গোলামির’ ও ‘দাসত্বের চুক্তি’ বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছিল। তারাই এখন এই চুক্তিকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। এটি আসলে এদের রাজনৈতিক চরিত্র।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের সঙ্গে পানি বণ্টন চুক্তি করেছে। বিরোধীরা বলেছিলেন, “এই পানিতে মাছ পাওয়া যাবে না। অজুও করা যাবে না।” তখন আমি বলেছিলাম, আপনাদের নেত্রীকে পানিতে নামান। দেখেন সেখানে কোমর পানি না হাঁটু পানি। আমার এই কথায় তাঁরা ক্ষেপেও গিয়েছিলেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরকালে যেসব প্রটোকল ও চুক্তি সই হয়েছে। এতে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা সম্প্রসারিত হয়েছে। ভারত, নেপাল ও ভুটানের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্মুক্ত হয়েছে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হওয়ার সুযোগ হয়েছে। এতে অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক প্রাণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হবে। এভাবে প্রতিটি চুক্তি প্রটোকল এবং অন্যান্য সমঝোতা স্মারকগুলো দেখলে দেখা যাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অর্জন করেছে। উপর দিয়ে ঝগড়াঝাটি করে ভিতরে ভিতরে তোষামোদি করবেন, এভাবে কোন অর্জন হয় না। বরং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমেই অর্জন করা যায়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৬-৭ জুন বাংলাদেশ সফরকালে মোট ৬টি চুক্তি, ৬টি প্রটোকল ও অন্যান্য ১০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বর্তমানে নতুনমাত্রা লাভ করেছে।

Posted in জতীয় সংসদ, জাতীয় | Comments Off on ভারতের দুই বিলিয়ন ডলার ঋণের ব্যাপারে কোনো শর্ত নেই: প্রধানমন্ত্রী

২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস

image_129111_0নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদে আজ চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জন্য ৯ হাজার ৫০৮ কোটি ৫৭ লাখ ১২ হাজার টাকার সম্পূরক বাজেট পাস হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত ৪ জুন ২০১৫- ১৬ অর্থ বছরের বাজেট পেশের সাথে এই সম্পূরক বাজেটও পেশ করেন।
মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রীর পক্ষে অর্থ পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান উত্থাপিত নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) বিল-২০১৫ পাসের মধ্য দিয়ে এই সম্পূরক বাজেট পাস হয়।

চলতি অর্থবছরের জন্য মূল বাজেটে মোট বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে মোট বরাদ্দ দাঁড়ায় ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটেও ১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৫ কোটি টাকা রাখা হয়েছে।

সম্পূরক বাজেটে পরিকল্পনা বিভাগে ১ হাজার ৮১৯ কোটি ৯৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, স্থানীয় সরকার বিভাগে ১ হাজার ৫৩৭ কোটি ২৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় খাতে ১ হাজার ৪২৩ কোটি ৬৯ লাখ ২৩ হাজার টাকা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খাতে ১ হাজার ৩৭২ কোটি ৯৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় খাতে ১ হাজার ২৭১ কোটি ১৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে খাতে ৬৫৭ কোটি ৮৬ লাখ ৩৪ হাজার টাকা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় খাতে ৩৯২ কোটি ১৩ লাখ ৯২ হাজার টাকা, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ খাতে ২২৩ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে ১৪২ কোটি ৮৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ১২০ কোটি ৮০ লাখ ৭৭ হাজার টাকা, খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এদিকে চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি খাতে বরাদ্দ ছিল ৮০ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা ৭৫ হাজার কোটি টাকা করা হয়।

মঙ্গলবার সংসদে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে ২২টি মঞ্জুরি দাবি উত্থাপন এবং কণ্ঠভোটে তা পাসের মধ্য দিয়ে সম্পূরক বাজেট পাস হয়। এর আগে সম্পূরক বাজেটের ওপর বিরোধী দলের সদস্যরা মোট ১৭০টি ছাঁটাই প্রস্তাব আনেন। এর মধ্যে ৬টি দাবির ওপর আনা ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হয়। তবে এ ছাঁটাই প্রস্তাবসহ সব প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

এর আগে মঙ্গলবার সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দলের সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, ফখরুল ইমাম ও সেলিম উদ্দিন।

এর পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের পক্ষে অর্থ ও প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান সম্পূরক বাজেটের ওপর সমাপনি বক্তৃতায় বিভিন্ন সমালোচনার জবাবে বলেন, ভর্তুকি সরকার বিনিয়োগ হিসাবে প্রদান করে থাকে। যেমন কৃষিতে ভর্তুকি প্রদান করা হয় দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন করতে। আর এ পদক্ষেপের ফলে দেশ এ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন। এছাড়া কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির দেশ হিসাবে কৃষিতে উচ্চ ফলন নিশ্চিত হওয়ায় অর্থনীতিও শক্তিশালী হয়েছে।

তিনি এবার ধানের দাম কম বিষয়ে বলেন, এবার সারা বিশ্বে খাদ্র উৎপাদন বেশী হয়েছে। আর এ অতিরিক্ত উৎপাদনের ফলে বিশ্ব বাজারে খাদ্য পণ্যের দাম হ্রাস পেয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতির অংশ হিসাবে বাংলাদেশেও বিশ্ব খাদ্য মূল্যের প্রভাব পড়েছে। তবে সরকার যথাসময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ায় বর্তমানে ধানের বাজার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বিনিয়োগের ব্যাপারে বলেন, সরকার দেশে দেশী বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে অনেক কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে। এর ফলাফলও পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, সুশাসন নিশ্চিত ও দুর্নীতি রোধেও সরকার বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে। এর ফলে দুর্নীতি ধীরে ধীরে কমে আসবে। আর সুশাসন নিশ্চিত করতে জনপ্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর ব্যবস্থার সাথে সাথে কর্মকর্তা- কর্মচারিদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি দক্ষতা বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অচিরে এর সুফল পাওয়া যাবে।

এর আগে সম্পুরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বাজেট পেশ এবং সম্পূরক বাজেট উপস্থাপনের আগে তা অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে যাতে যায় এ ব্যাপারে কার্যপ্রণালী বিধি সংশোধনের প্রস্তাব করেন।

তিনি বলেন, সম্পূরক আর্থিক বিবৃতিতে যেসব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বরাদ্দকৃত অর্থ খরচ করতে পারেনি তাদের নাম উল্লেখ করে কেন এসব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ খরচ করতে পারলো না তা লিপিবদ্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘বাজেটের টাকা খরচের ব্যাপারে আমি বিরোধিতা করছি না। কিন্তু কোন মন্ত্রণালয় কত টাকা কোথায় খরচ করলো, এগুলো আর্থিক বিবরণীতে থাকা উচিত ছিলো। টাকাগুলো কোথায় গেলো? ৫৯টি মন্ত্রণালয়ের কয়েকটি মন্ত্রণালয় কোনো কাজই করতে পারেনি। কিন্তু কেন পারেনি? ওইসব মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রীদের নাম থাকতে হবে।’

রমজানে যাতে দ্রব্যমূল্য না বাড়ে সেজন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বাণিজ্যমন্ত্রীকে আহবান জানান।

সরকারি দলের সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি-জামায়াতের আমলে প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে সেদেশের সাথে বৈরী সম্পর্ক তৈরী করেছিল। অথচ বর্তমান সরকার দেশের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপনসহ কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, ভবিষ্যতেও এগিয়ে যাবে।

জাতীয় পার্টির সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, বাজেট উপস্থাপনের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করতে হলে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন ও সরকারি কর্মকর্তাদের অভিজ্ঞ করে তোলার কোন বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, বাজেটের সুফল পেতে হলে সকল ক্ষেত্রে দক্ষ জনবল, সুশাসন ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করে সমাজের সর্বত্র শৃংখলা আনতে হবে। জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে দুষ্টু লোকদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।

শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য সুবিধা দিতে হবে।

Posted in জতীয় সংসদ, জাতীয় | Comments Off on ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস

কাল বাজেট পেশ

muhitপার্লামেন্ট করেসপন্ডেন্ট : দশম জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুন) বিকেল তিনটায় আসন্ন ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
এদিন প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। এটি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে তিনি নবমবারের মতো প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করবেন; যা বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক বাজেট উত্থাপন। এর আগে বিএনপির অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান সর্বোচ্চ ১২টি বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। আওয়ামী লীগের আরেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত শাহ এএমএস কিবরিয়া সাতটি বাজেট উত্থাপন করেন। আর টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি এই সরকারের দ্বিতীয় বাজেট।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, ৪ জুন সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট, চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ও ২০১৫ সালের অর্থবিল উপস্থাপন করা হবে। চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের ওপর আলোচনা হবে ৭ ও ৮ জুন; এরপর এটি পাস হবে। নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হবে ৯ জুন এবং শেষ হবে ২৮ জুন। আর ২৯ জুন প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সমাপনী বক্তব্য দেবেন।
২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট পাস হবে ৩০ জুন।

Posted in জতীয় সংসদ | Comments Off on কাল বাজেট পেশ

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud