পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

পাচার হওয়াদের একমাসের মধ্যেই ফিরিয়ে আনা হবে

 

migrantsপাচার হওয়া বাংলাদেশিদের আগামী একমাসের মধ্যেই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক। আর পাচার বাংলাদেশির সংখ্যা ১২০০ থেকে ১৫০০ হবে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

সচিব বলেন, ‘সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে পাচার হওয়া বাংলাদেশিদের আগামী একমাসের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এ ব্যাপারে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক সম্মেলনেও জানানো হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘অবৈধভাবে সমুদ্রপথে মানবপাচার বন্ধে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার। এক সঙ্গে কাজ করলে এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধ সম্ভব হবে। মানবপাচারের সঙ্গে শুধু এ অঞ্চলের নয়, আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্র জড়িত।’ এই চক্র অস্ট্রেলিয়া থেকে ইরান পর্যন্ত বিস্তৃত বলেও জানান সচিব।

মানবপাচারের আসল কারণ অভাব কিংবা দারিদ্র্য নয়, এর পেছনে আরও পারিপার্শ্বিক কারণ রয়েছে বলে মনে করেন সচিব। তিনি বলেন, ‘লিগ্যাল উপায় যখন বন্ধ হয়ে যায়। তখনই অবৈধভাবে মানবপাচার বেড়ে যায়। যা শত শত বছর চলে আসছে।’
মানবপাচার রোধে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে ভারতে সঙ্গেও একটি চুক্তি হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি সচিব। তবে আগামী বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

Posted in জতীয় সংসদ | Comments Off on পাচার হওয়াদের একমাসের মধ্যেই ফিরিয়ে আনা হবে

তাহলে প্রধানমন্ত্রীর দাবিই ফললো!

hasinaঢাকা: ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা তুঙ্গে। এ যেন জাতীয় নির্বাচন- মনে হচ্ছে ব্যালট পেপারে নৌকা আর ধানের শীষ প্রতীক! কাগজে কলমে এটি স্থানীয় সরকার নির্ধারণের ভোট। কিন্তু দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের তৎপরতা আর ভোটারদের মনোভাব- সব মিলিয়ে তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন যেন রূপে নিয়েছে জাতীয় নির্বাচনে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশ নেয়া আইনে নিষিদ্ধ থাকলেও, আইনকে পাশ কাটিয়ে নানা রূপে পরোক্ষভাবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত এবং বাম ও অন্যান্য ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল। রয়েছে সিপিবি, বিকল্পধারা, জাসদের মতো ছোট ও মাঝারি দলগুলো।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের কার্যক্রম শুরু করে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। দলীয় প্রধান স্বয়ং চূড়ান্ত করে দিয়েছেন মেয়র পদপ্রার্থী। একই এলাকায় দলের একাধিক মেয়র প্রার্থী থাকলে তাদের ডেকে সমঝোতা করা হয়েছে। এমনকি কাউন্সিলর পদে একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে বাকিদের মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করার মতো ঘটনাও ঘটেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দলে ভালো পদ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তাদের নিবৃত্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা স্বাধীন না হওয়ায় এসব ঘটনার পুনঃবৃত্তি হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন নানা সময় হম্বিতম্বি করলেও সরকারি দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে না পারায় অন্যদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বাংলামেইলকে বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণের বিধান নেই। যে কারণে দলীয়ভাবে কাউকে মনোনয়ন, সমর্থন বা অন্য কোনো ধরনের অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। কিন্তু কাউন্সিলরদের ক্ষেত্রে মনোনয়ন দেয়ার মতো প্রক্রিয়া চালানো হয়েছে। জোর করে আগ্রহী প্রার্থীদের বসিয়ে দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। প্রার্থীরাই এসব অভিযোগ করেছেন। এটি শুধু আচরণবিধির লঙ্ঘনই নয়, সরাসরি আইনের লঙ্ঘন।’
গত বছরের ৫ জানুয়ারির ‘একতরফা’ নির্বাচনের পর আসন্ন তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের উপলক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এতে বিজয়ের লক্ষ্যে প্রথম থেকেই সরব রাজনৈতিক দলগুলো। এর আগে সারাদেশে উপজেলা নির্বাচন হলেও, এর উত্তাপ ছিল স্থানীয়। কিন্তু রাজধানী ও বাণিজ্যিক রাজধানীর সিটি নির্বাচনের উত্তাপ ছড়াচ্ছে দেশজুড়ে।
দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে ইতোমধ্যে প্রচারণার মাঠে নেমে পড়েছেন স্বয়ং তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সরকারের লাভজনক পদে থাকায় মাঠে নামতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। অবশ্য প্রধানমন্ত্রী নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে স্থানীয় নির্বাচনকে রাজনৈতিক নির্বাচন করার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। এবং এর সপক্ষে ভারতসহ অন্যান্য দেশের উদাহরণও উপস্থাপন করেছিলেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন ও সংযোজনের সুপারিশও করেন তিনি।
তবে তিনি নামতে না পারলেও তার হয়ে মাঠে আছেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। মাঠে নামার প্রস্তুতিতে মুখিয়ে আছেন প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ও। কিন্তু তিনি মন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা। এ জন্য কিছুটা দ্বিধা রয়েছে।
তারপরও অবৈতনিক হওয়ায় এ নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিতে পারবেন বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। নির্বাচন কমিশন থেকে সবুজ সংকেত পেলেই দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে মেয়র থেকে শুরু করে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন এতোটাই প্রকাশ্য ও স্পষ্ট যে সাধারণ ভোটাররা পর্যন্ত বুঝে গেছেন কে কোন দলের সমর্থনপ্রাপ্ত। এমনকি দলীয় সমর্থন পাওয়া প্রার্থীদের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ বা বিএনপির প্রার্থী বলে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে ভোট চাওয়া হচ্ছে ‘খুন, গুমসহ স্বৈরাচার সরকারের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর দাবি নিয়ে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ভোট চাওয়া হচ্ছে ‘সাম্প্রতিক জ্বালাও-পোড়াও এর নেতৃত্বদানকারী খুনি খালেদাকে’ রুখে দাঁড়ানোর স্লোগান নিয়ে। এসব স্লোগানের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে একে অপরের প্রতিপক্ষকে স্পষ্ট করে দিচ্ছে।
নির্বাচনী ইশতেহারে ঢাকার স্থানীয় সমস্যাগুলোর প্রাধান্য থাকলেও দলীয় নেতাদের প্রচারণায় থাকছে জাতীয় রাজনীতির নানা কথা।
অভিযোগ রয়েছে- দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘জাতীয় পার্টির’ অবস্থান যা ছিল এবারো তা-ই রয়েছে। দলীয়ভাবে প্রার্থী সমর্থন দিলেও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ক্ষতি হয় এমন কোনো কার্যক্রমে নেই ‘সরকারি বিরোধী দল’ হিসেবে পরিচিত জাতীয় পার্টি। আবার চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর হয়ে প্রচারণার অভিযোগ আছে খোদ জাপা মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর বিরুদ্ধে।
জাতীয় নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে দেখা যায়, ছোট ছোট অনেক দল ও সংগঠন বড় দলকে সমর্থন দেয়। এবারো তা-ই হতে যাচ্ছে। গণমাধ্যমের ভূমিকাও জাতীয় নির্বাচনের থেকে এ নির্বাচনে কোনো অংশে কম না। পত্রিকার পাতায় গুরুত্ব সহকারে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের গণসংযোগের সংবাদ প্রচার, টেলিভিশনে সরাসরি সংবাদ প্রচার, টকশো, বিশেষ আলোচনা হচ্ছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে।
২০১০ সালে প্রণীত সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ২(ঙ) ধারায় বলা আছে, “নির্বাচনী প্রচারণায় কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিজ ছবি ও প্রতীক ব্যতীত কোন রাজনৈতিক দলের নাম বা প্রতীক বা কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম বা ছবি ছাপাইতে বা ব্যবহার করিতে পারিবে না।”
এ আইন অনুযায়ী, সিটি নির্বাচন নির্দলীয় নির্বাচন হলেও, রাজনৈতিক দলগুলো দলীয় ভিত্তিতে প্রার্থী মনোনয়ন, প্রচারণাসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। শুধু মেয়র পদেই নয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী আসনেও প্রার্থিতা ঘোষণা করছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যারা প্রার্থী হবেন তাদের দল থেকে বহিষ্কার এবং পদ-পদবি কেড়ে নেয়ার হুমকিও দেয়া হচ্ছে।
অনেক ক্ষেত্রে ভিন্ন কৌশল হাতে নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। নিজেরা প্রচারাভিযানে না নেমে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনগুলো দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছে। এ কাজে প্রধান দুটি রাজনৈতিক জোট সমমনা পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে নাগরিক কমিটি গঠন করেছে।
‘সহস্র নাগরিক কমিটি’ নামে ঢাকায় এবং ‘নাগরিক কমিটি’ নামে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের একটি ফোরাম তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি সমর্থক বুদ্ধিজীবীরা ‘আদর্শ ঢাকা আন্দোলন’ এবং ‘চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলন’-এর প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে। চলচ্চিত্র শিল্পীদেরও প্রচারণার মাঠে দেখা যাচ্ছে।
ভোটাররাও এই নির্বাচনকে অরাজনৈতিক বলে মনে করছেন না। তারাও প্রার্থীর অবস্থান ও নিজেদের পছন্দ বিবেচনা করছেন সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে সমর্থনকারী রাজনৈতিক দলটির পরিচয়ের ভিত্তিতে। ধারণা করা হচ্ছে, ২৮ এপ্রিল গোপন ব্যালট পেপারে ভোটটা হাতি, কাপ, ইলিশ, বাস নাকি অন্য কোনো প্রতীকে পড়বে সেটা নির্ধারণ করবে সেখানে অদৃশ্যভাবে সেঁটে থাকা নৌকা, ধানের শীষ, লাঙ্গল, লাল নিশান-কাস্তে বা এমন অন্যান্য প্রতীক।

Posted in জতীয় সংসদ, জাতীয় | Comments Off on তাহলে প্রধানমন্ত্রীর দাবিই ফললো!

জামায়াতের বিচারে আইন সংশোধন বাজেট অধিবেশনে

02_Anisul+Huq_Discussion_Criminal+Justice+Day_170714_0002নিউজ ডেস্ক: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সংগঠন হিসেবে জড়িত থাকার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর বিচার করতে জাতীয় সংসদে এ-সংক্রান্ত আইনের সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আসছে বাজেট অধিবেশনের শেষভাগে এ সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। রোববার সকালে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ১২৬তম রিফ্রেশার্স কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান আইনমন্ত্রী। জ্যেষ্ঠ সহকারী বিচারকরা এ কোর্সে অংশ নিচ্ছেন। শনিবার জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকর করার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের ব্যাপারে কখনোই পিছপা হয়নি, হবেও না। এই বিচার সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানের হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। অপরাধ সংগঠনের প্রায় ৪৪ বছর পর এই বিচারকাজের পর বাংলাদেশে আইনের ভিত আরো শক্ত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন আনিসুল হক। সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচারপ্রক্রিয়াও শুরু হবে বলে জানান তিনি।

Posted in জতীয় সংসদ | Comments Off on জামায়াতের বিচারে আইন সংশোধন বাজেট অধিবেশনে

দেহ গঠনে ৭ ব্যায়াম!

exercise-1আপনি নিজেকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করতে চান? কিন্তু কি করে কি করতে হবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। তাদের জন্যই এ সাত প্রকার ব্যায়াম। এগুলো আপনার দেহ গঠনে ভূমিকা রাখবে।
পাশাপাশি অতিরিক্ত চর্বি পুড়িয়ে দেহকে মুটিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে। তবে এর সঙ্গে অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। সুতরাং অন্য কিছু না করে চলুন ব্যায়াম সাতটি করা যাক:
দড়ি লাফ:
সর্বশেষ কবে দড়িতে লাফিয়েছেন? নিশ্চয়ই ছোট থাকতে। কিন্তু এর উপকারিতার কথা জানলে এ বয়সেও লাফাতে মন চাইবে। দড়ি লাফ সবচেয়ে সহজে সবখানে করা যায় এমন একটি ব্যয়াম। যেকোনো ব্যায়ামের চেয়ে এটি প্রতি মিনিটে দ্রুত ক্যালোরি পোড়ায়।
স্কোয়াটস:
দেহের কোনো বিশেষ অঙ্গ নয়, স্কোয়াটসের মাধ্যমে পুরো দেহের ব্যায়াম হয়। শক্তিশালী এ ব্যায়াম আপনার দেহের মাংসপেশী শক্ত করে ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করবে।
পুশআপ:
কষ্টদায়ক বলে অনেকেই পুশআপ এড়িয়ে চলেন। কিন্তু এটি আপনার দেহের জন্য অত্যন্ত দরকারি। বিভিন্ন ধরনের পুশআপে বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। এছাড়া হার্ট, কার্ডিওভাসকুলার, ব্যাকপেইন ও পোশ্চারের জন্যও পুশআপ উপকারি।
লাঙ্গস:
পায়ের মাংসপেশি গঠনে লাঙ্গস খুব দরকারি। প্রতিদিন ৩ সেটের ১০টি লাঙ্গস সবচেয়ে ভালো ফল দেয়।
সাঁতার:
সাতারপ্রেমীদের জন্য সুখবর-দেহ গঠনের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যায়াম হচ্ছে সাতার। যেহেতু সাঁতারে দেহের প্রতিটি অঙ্গপ্রতঙ্গ নড়াচড়া করে, তাই মাংসপেশি মজবুত করতে সাঁতারের বিকল্প নেই। সেসঙ্গে রক্তচাপ ও হৃদপিণ্ডের জন্যও এটি কার্যকরী।
দৌঁড়ানো:
দৌঁড়ের উপকারিতা অনেক। চাপমুক্ত রাখতে, হৃদপিণ্ড সবল করতে, হতাশা দূর করতে ও ক্যালোরি ধবংস করতে এর বিকল্প নেই।
সাইক্লিং:
নিজেকে ফিট রাখতে সাইক্লিং অনেক উপকার করে থাকে। এটি আপনার পা, মাংসপেশি ও দেহের পেছনের অংশ ঠিক রাখবে। হৃদপিণ্ড সচল রেখে ওজন কমাবে।

Posted in জতীয় সংসদ | Comments Off on দেহ গঠনে ৭ ব্যায়াম!

কোমর ব্যথায় কাজ করে না প্যারাসিটামল

waist-pain(2)শাশ্বতী মাথিন: প্যারাসিটামল বা ব্যথানাশক ওষুধ কোমরের ব্যথা সারাতে কোনো কাজ করে না- এমনই এক তথ্য জানিয়েছেন গবেষকরা। এ ছাড়া আরথ্রাইটিসের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও ব্যথানাশক ওষুধ তেমন কোনো কাজ করে না। সম্প্রতি ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয় গবেষণাটি। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত হয়েছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন। জার্নালের প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, কোমর ব্যথার (লো ব্যাক পেইন) চিকিৎসায় প্যারাসিটামলের কোনো ভূমিকা নেই। অস্টিওআরথ্রাইটিসের কারণে যারা পৃষ্ঠদেশ (হিপ) এবং হাঁটুর ব্যথায় আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রেও ব্যথা উপশমে প্যারাসিটামল তেমন কার্যকর নয়।

গবেষণার ফলাফলে আরো বলা হয়েছে, বর্তমানে এক কোটি ব্রিটিশ কোমর ব্যথায় আক্রান্ত। এর ফলে তাদের কাজকর্ম বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হেলথ অ্যান্ড কেয়ার এক্সিলেন্ট জানিয়েছে, গত বছর অস্টিআরথ্রাইটিসের জন্য প্যারাসিটামল খাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করেন গবেষকরা। তাঁরা জানান, এখনো পর্যন্ত এসব ব্যথায় প্যারাসিটামলের কোনো কার্যকারিতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই যাঁরা এধরনের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত; যদি ওজনের কারণে সমস্যা হয় তবে ওজন কমানো জরুরি।

গ্লোবাল হেলথ সিডনির ১৩টি আলাদা গবেষণায় দেখা গেছে, প্যারাসিটামল কোমর ব্যথায় একেবারেই অকার্যকর। উপরন্তু এটি লিভারের কার্যক্ষমতার ওপর বাজে প্রভাব ফেলে। গবেষণায় বলা হয়েছে, অস্টিওপোরোসিসের ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল সামান্য কাজ করতে পারে, তবে এটি দীর্ঘস্থায়ী কোনো সমাধান না। প্রতিদিন যদি কেউ চার হাজার মিলিগ্রাম ওষুধ খায়, তাহলে এটি লিভার ফেইলিউরের কারণও হতে পারে।

এসব কারণে ব্যথায় প্যারাসিটামল খাওয়া নিয়ে আরো ভাবনার বিষয় রয়েছে বলে মনে করেন গবেষকরা। তাঁদের মতে, ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার চেয়ে ব্যয়াম করা ঢের ভালো। গবেষকদের পরামর্শ, যাঁরা এসব ব্যথা দূর করতে ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করেন, তাঁরা এটি এড়িয়ে চললে ভালো থাকবেন।

Posted in জতীয় সংসদ | Comments Off on কোমর ব্যথায় কাজ করে না প্যারাসিটামল

গোপন তবু জানতে হবে, মূত্রাশয়ে সংক্রমণ

urenariস্বাস্থ্য ডেস্ক : আমাদের দেশের অধিকাংশ নারী জীবনে অন্তত একবার হলেও মূত্রাশয়ের সংক্রমণে আক্রান্ত হন। এই সংক্রমণ প্রধানত ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে। বিশেষ করে গরমের সময়টাতে ঘাম, ধুলাবালি আর জীবানুর আক্রমণ বেশি থাকায় সংক্রমণটি বেশি হয়। একবার এই সংক্রমণ হরে, পরবর্তীতে আবার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। জরিপে দেখা গেছে, মূত্রাশয়ের সংক্রমণের ঝুঁকি পুরুষদের তুলনায় নারীদেরই বেশি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোসার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডাঃ বিশ্বজিৎ দাশ।
তবে, মূত্রাশয়ে সংক্রমণ যেকোনো বয়সের নারী, পুরুষের হতে পারে। এই সমস্যায় মানুষ সংকোচ করেন। অনেকে আবার এ বিষয়ে সরাসরি কারোর সঙ্গে কথা বলতে চান না। মূত্রাশয়ের এই ‘ইনফেকশন’ বা সংক্রমণে জ্বর, মূত্রনালীতে ব্যথা বা প্রস্রাবের সময় জ্বালা পোড়াও থাকতে পারে। বেশিদিন ধরে সমস্যা বয়ে বেড়ালে জটিল অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায় অনেক বেশি।
জীবাণুমুক্ত মূত্রনালি ও মূত্রাশয় ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রমিত হলে মূত্রাশয়ে জ্বালা ও ব্যথা হয়। জীবাণু সাধারণত পাকস্থলী ও অন্ত্রের নীচের অংশে থাকে, যা যৌনমিলনের সময় ছড়িয়ে পড়তে পারে। জীবাণু মূত্রনালি দিয়ে মূত্রাশয়ে ঢুকলে সাধারণত প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যায়। তবে জীবাণু বংশবিস্তার শুরু করলে মূত্রাশয়ে সংক্রমণ ঘটে। বিশেষজ্ঞের মতে, সহবাসের পর জীবাণু ধুয়ে ফেলার জন্য প্রস্রাব করা এবং পরিষ্কার করা উচিৎ।
মূত্রনালির সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে দরকার শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তাছাড়া সুস্থ ব্লাডারের জন্য প্রয়োজন বিশেষ ব্যায়াম। এছাড়া ব্লাডার বা মূত্রাশয়কে ঠিক মতো পরিষ্কারের জন্য দিনে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান প্রয়োজন। ভিটামিন সি, জিংক এবং সেলেনিউম ব্লাডারের রোগের প্রতিরোধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে বেদানায় থাকা উপাদানও ‘ইউরেনারি ইনফেকশন’ হওয়া থেকে দূরে রাখে। খাবারে সরিষার তেলের ব্যবহার মূত্রাশয়ে সক্রমণের ঝুঁকি অনেক কমিয়ে দেয়। যারা ডায়াবেটিস, ব্যথানাশক ওষুধ বেশি সেবন করেন, তাঁদের মূত্রাশয়ের সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
এই সংক্রমণ থেকে বাঁচার মোক্ষম উপায় হল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করা। এক্ষেত্রে প্রতিবার অন্তর্বাস ব্যাবহারের পর তা পরিষ্কার করতে হবে। তীব্র গরমে পরনের কাপড় সুতি হওয়া উত্তম। পলিয়েস্টার কাপড়ের তৈরি অন্তর্বাস সহজেই গোপন জায়গায় ছত্রাক ও জীবাণু ছড়াতে পারে। তাছাড়া প্রস্রাবের বেগ হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘ সময় প্রস্রাব ধরে রাখা এ রোগ হওয়ার আরো একটি কারণ, তাই গোপন হলেও আর চেপে রাখা নয়।

Posted in জতীয় সংসদ | Comments Off on গোপন তবু জানতে হবে, মূত্রাশয়ে সংক্রমণ

যে অসুখে ঘুম নেই

Slipফিচার ডেস্ক : সময়টা ১৯৮৪। সিলভানো নামে এক নৃত্যশিল্পী থাকতেন ইতালির ভেনিস শহরে। তার বয়স তখন ৫৩। কিন্তু হঠাৎ করেই কদিন ধরে কিছুতে তার ঘুম আসছিল না। সারারাত নির্ঘুম কাটানোর পর দিনের বেলায়ও চোখে একবিন্দু ঘুম নেই। তীব্র ইনসোমনিয়ায় অস্থির হয়ে শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তিনি। চার মাস পর তিনি কোমা’য় চলে যান এবং অবশেষে ওই ইনসোমনিয়াতেই তার মৃত্যু হয়।
সিলভানোর মৃত্যুতে চিকিৎসাবিজ্ঞানের নতুন এক রহস্য উদঘাটিত হয়। রহস্যময়, ভূতুড়ে এক প্রচণ্ড বিরল দুরারোগ্য ব্যাধি যাকে বলে ‘ফ্যাটাল ফ্যামিলিয়াল ইনসোমনিয়া’ (এফএফআই); সিলগভানোই ছিলেন এই রোগের প্রথম ডকুমেন্টেড কেস। পরবর্তীতে গবেষণায় বেরিয়ে আসে অনেক গা শিউরে ওঠা তথ্য।
ধারণা করা হয়, এফএফআই’র উৎপত্তি কোনো এক ইতালিয় পরিবারে ১৭৬৫ সালের দিকে। এই ২৫০ বছরে সারা পৃথিবীতে মাত্র ৪০টি পরিবারের ১০০ জনকে চিহ্নিত করা গেছে এ রোগের শিকার হিসেবে।
এফএফআই কী?
এটি একটি অটোসোমাল ডোমিন্যান্ট জেনেটিক ডিজিস। অর্থাৎ পিতা-মাতার যে কারো যদি একটি মারণঘাতী জিনের কপি থাকে তাতেই সন্তান-সন্ততিতে রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ। আমাদের মস্তিষ্কে অনেক প্রিয়ন প্রোটিন আছে। এসব প্রোটিনকে এনকোডকারী কোনো জিনে যদি মিউটেশন ঘটে, তাহলে স্নায়ু ধ্বংসকারী টক্সিক প্রোটিন তৈরি হয়। শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে ফাঁকি দিয়ে এরা মস্তিষ্কে চেইন বিক্রিয়ার মতো ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে মস্তিষ্কের থ্যালামাস অংশে (যা ঘুম নিয়ন্ত্রণ করে) এসব সংক্রামক প্রিয়ন প্রোটিন বেশি জমা হয়। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি স্বাভাবিক ঘুম থেকে বঞ্চিত হয়, এমনকি জেগেও থাকতে পারে না।
এফএফআই’র লক্ষণ প্রকাশের প্রথম দিকে কেবল ইনসোমনিয়াই থাকে। এরপর কয়েক মাসের ব্যবধানে একে একে ভর করে হ্যালুসিনেশন, কনফিউশন, ওজন হ্রাস, স্মৃতিশক্তি লোপ ও অবশেষে মৃত্যু। শেষের দিনগুলিতে রোগী হাঁটতে বা কথা বলতে পর্যন্ত পারে না এবং কোমাতে পৌঁছায়। এফএফআই’র লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে ১৮-৬০ বছরের মধ্যে যে কোনো সময়। তবে ৪০-এর পরেই বেশিরভাগ রোগীর উপসর্গ দেখা যায়। উপসর্গ প্রকাশের কয়েক মাস থেকে বছর দেড়েকের মধ্যেই রোগীর মৃত্যু ঘটে।
সবচেয়ে ভয়ের কথা হচ্ছে- এ রোগের এখনো কোনো সঠিক প্রতিকার আবিষ্কৃত হয়নি। স্লিপিং পিল অথবা বারবিচুরেট জাতীয় ওষুধে রোগের আরো অবনতি ঘটতে দেখা গেছে। বিভিন্ন দেশে এ নিয়ে এখনো চলছে নিরন্তর গবেষণা। তাই এফএফআইকে নিয়ে একটা কথাই আপাতত বলা যাচ্ছে- ‘When sleep doesn’t come, death does.’

Posted in জতীয় সংসদ | Comments Off on যে অসুখে ঘুম নেই

পেটের মেদ জমার ৮টি কারণ জেনে নিন

exercises-reduce-fatপেটে মেদ জমা কম-বেশি সবারই সমস্যা। এর কারণে আপনাকে দেখতে খারাপ লাগতে পারে, আপনার পছন্দের পোশাক আপনার জন্য আঁটসাঁট হয়ে যেতে পারে।
এমনকি হতে পারে শারীরিক সমস্যাও। মেদ কীভাবে কমাবেন তা নিয়ে তো অনেক লেখালেখি হয়। কিন্তু কেন এই মেদ আপনার পেটে জমে তা জানেন তো ?
শুধু বেশি খাবার খাওয়ার জন্যই কিন্তু পেটে মেদ জমে না। এমন অনেক বদঅভ্যাস আছে যার কারণে আপনার পেটে মেদ জমে। পেটে কেন মেদ জমে এখানে কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো।
অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া
পেটে মেদ জমার অন্যতম কারণ হচ্ছে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার। যদি স্লিম পেট চান তাহলে চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া বাদ দিন। বাদ না দিতে পারলে এসব খাওয়া কমিয়ে দিন। যেমন সপ্তাহে ২/৩ বার।
অপরিমিত ঘুম
ঘুম মানুষের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আপনি যদি রাতে অপরিমিত ঘুমান তাহলে কিন্তু পেটে মেদ জমতে পারে। এজন্য প্রতি রাতে অন্তত টানা ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে।
প্রতিদিন সোডা/সফট ড্রিঙ্কস/অ্যালকোহল সমৃদ্ধ পানীয় পান করা
সফট ড্রিঙ্কস খেতে আপনার চাই চাই-ই। এসব ছাড়া আপনার দিনই চলে না? অথবা বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের প্রতি রয়েছে আসক্তি? তাহলে কখনো স্লিম পেট পাবেন না। এসব না ছাড়লে পেটে মেদ জমতেই থাকবে।
লো-ফ্যাটজাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া
লো-ফ্যাটজাতীয় খাবার বেশি খেলে শরীরের আকার কন্ট্রোলে থাকবে ভেবে যদি সারাদিন এ জাতীয় খাবারই খেতে থাকেন তাহলেও কিন্তু পেটে মেদ জমবে। লো-ফ্যাটজাতীয় খাদ্যে ফ্যাটের পরিমাণ কমানোর জন্য সুগারের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি থাকে, যা মেদ জমাতে ওস্তাদ। তাই সাবধান লো-ফ্যাটজাতীয় খাবার থেকেও দূরে থাকতে হবে।
পরিমিত পানি পান না করা
পরিমিত পানি পান না করলেও এই সমস্যায় পরতে পারেন। কেননা আপনি যত বেশি পানি খাবেন আপনার পেট তত কম খালি থাকবে। এর ফলে আপনি খেতেও পারবেন কম। তাই খাবার খাওয়ার আগে ১ গ্লাস পানি অবশ্যই খেয়ে নিবেন এবং দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করবেন।
মানসিক চাপ/চিন্তা/কষ্টে থাকা অবস্থায় অনেক খেয়ে ফেলা
খাবার, বিশেষ করে সুস্বাদু খাবার কিন্তু মানসিক কষ্ট ও চাপ কমিয়ে দিতে পারে। এটি অনেকের ক্ষেত্রেই সত্যি। যাদের জন্য এটি সত্যি তারা কিন্তু কষ্টকে ভুলে যেতে বিরিয়ানি বা বড় এক বাটি আইসক্রিম হাতে নিয়ে খেতে বসবেন না। তাহলে পরে আয়নার সামনে দাড়িয়ে পেটে মেদ জমতে দেখে আরো মন খারাপ হতে পারে কিন্তু।
রাতে দেরি করে খাওয়া
রাতে খেতে আপনার যত বেশি দেরি হবে ততই মেদ জমার আশঙ্কা বেড়ে যাবে। তাই রাত ৯ টার আগে খেয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন ও রাতে হাল্কা খাবার খাবেন।
খাওয়ার সময় বড় আকারের প্লেট বেছে নেয়া
আপনার প্লেটের আকার যত বড় হবে আপনি খাবেনও তত বেশি। ছোট আকারের প্লেট নিলে বারবার তাতে খাবার তুলতে আপনার কষ্ট হবে, তাই ধীরে ধীরে আপনার খাওয়ার পরিমাণও কমে যাবে। তাই খাওয়ার আগে ছোট প্লেট নিয়ে নিন।
এসবের সাথে সাথে আপনি যদি ব্যায়াম না করে থাকেন, অগোছালো হয়ে থাকেন, প্রোটিনজাতীয় খাবার কম খেয়ে থাকেন তাহলেও পেটে মেদ জমতে পারে। এই বদঅভ্যাসগুলোকে মুক্তি দিলে মেদও আপনার পেটকে মুক্তি দেবে।

Posted in জতীয় সংসদ | Comments Off on পেটের মেদ জমার ৮টি কারণ জেনে নিন

প্রতিদিন একটি ডিম খান

eggsফিচার ডেস্ক : সকালের নাশতায় ডিম না হলে অনেকেরই চলে না। আবার কেউ কেউ ডিম দেখলেই মুখ ফিরিয়ে নেন। তবে সারা বিশ্বে ডিম ভালোবাসেন এমন মানুষের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। তবে জেনে রাখুন, ডিম আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারী।
ডিমে আছে মানব দেহকে সুস্থ রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে কলিন। এই কলিন নিউরোট্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করে মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। ফলে শরীরও থাকে সুস্থ।
কারও শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব থাকলে ডিম খেতে পারেন। ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি। আর ভিটামিন ডি মানব দেহের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে। শরীরের হাড় মজবুত করতেও ডিমের তুলনা নেই।
ক্ষীণকায় স্বাস্থ্য নিয়ে যাদের আফসোস আছে তারা প্রতিদিন নিয়ম করে একটি ডিম খান। ডিমে থাকা প্রোটিন পেশি ও দেহের ওজন গঠনে সাহায্য করে।
অনেকেরই নখ ভেঙ্গে যাওয়ার রোগ আছে। তারাও ডিমের শরণাপন্ন হতে পারেন। ডিমে থাকা সালফার-সমৃদ্ধ অ্যামিনো অ্যাসিড নখের স্বাস্থ্য উন্নত করার পাশাপাশি চুলকেও মজবুত ও আকর্ষণীয় করে তোলে।
দৃষ্টিশক্তি কম থাকলেও ডিম খেতে পারেন। ডিমে আছে লুটিন ও জেক্সানথিন। সুস্থ চোখের জন্য এই দুটি ক্যারটিনয়েড খুবই দরকারি।
স্তন ক্যান্সার বর্তমান সময়ের একটি অভিশাপ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সপ্তাহে অন্তত ছয়টি ডিম খেলে স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ৪০ শতাংশ কমে যায়।
যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তাদের জন্য ডিম দারুন উপকারী খাবার। কারণ ডিম খুব দ্রুত হজম হয়।

Posted in জতীয় সংসদ | Comments Off on প্রতিদিন একটি ডিম খান

মাথা ব্যাথা হলেই ওষুধ নয়

ডেস্ক,ঢাকা:

মাথা ব্যথার কষ্ট কম-বেশি আমরা সবাই জানি। একেক জনের একেক রকমের মাথা ব্যথা হয় এবং এর কারণও থাকে ভিন্ন ভিন্ন।

কারণ খুঁজে পাওয়া কঠিন : মাথা ব্যথা এমনই একটি রোগ যে রোগের আসল কারণ খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। কারণ প্রশ্ন হলো, অতিরিক্ত অর্থাৎ পুরো মাথা ব্যথা, মাথার যেকোনো একদিকে ব্যথা, নাকি হালকা ব্যথা? অন্যদিকে ব্যথার কারণ স্ট্রেস, ভয়, শারীরিক কোনো সমস্যা, বিষণœতা, ওষুধ সেবন, অ্যালকোহল পান, কম ঘুম, পরীক্ষার চাপ, আবহাওয়া বা তাপমাত্রার ওঠানামা নাকি অন্য কোনো মানসিক সমস্যা, সেটা খুঁজে পাওয়া খুব সহজ নয়।

 সাধারণ ব্যথা : ছোটখাটো কোনো কারণেই সাধারণ বা হালকা মাথা ব্যথা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্যারাসিটামলের মতো কোনো ওষুধেই সেরে যেতে পারে ব্যথা। নিয়মিত কোনো ব্যায়ামও উপকারে আসবে।

মাইগ্রেন : মাথার একপাশে ব্যথা এবং ব্যথার সাথে বমি বমি ভাবও হয় যাকে মাইগ্রেন বলা হয়ে থাকে। স্নায়ুকোষের প্রদাহ মাইগ্রেনের কারণ হয়ে থাকে। নিয়মিত ব্যায়াম, যোগব্যায়াম, করা যেতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ আছে কিনা লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। তাছাড়া বমি বমি ভাবের জন্য আলাদা ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।

 নিয়মিত মাথা ব্যথা : যাদের নিয়মিত মাথা ব্যথা বা ক্রনিক মাথাব্যথা অর্থাৎ মাসে ১০ থেকে ১৫ বার, তাদের ওষুধ সেবন করতে হয়। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ১৫ বার ওষুধ সেবন করা উচিত নয়, খুব বেশি হলে ১০ বার খাওয়া যেতে পারে। খুঁজে বের করা প্রয়োজন যে রোগী নিয়মিত কোনো ওষুধ সেবন করেন কিনা।

মাইগ্রেন অ্যাটাক : একপাশে ব্যথা এবং যা কয়েক ঘণ্টা তো থাকেই। আবার অনেক সময় আস্তে আস্তে বেড়ে তিনদিনও স্থায়ী হয়। ডাক্তাররা বলেন, মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস অংশের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাতই এর প্রধান কারণ। তবে এ সম্পর্কে এর চেয়ে বেশি গবেষণা এখনো করা হয়নি।

মন এবং ব্যথা : ‘মাথা ব্যথার সাথে মনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। যারা অতিরিক্ত নিয়মকানুনের মধ্যে চলে, তাদের ক্ষেত্রেও সাধারণ মাথা ব্যথা হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।’ একথা বলেন মিউনিখ ব্যথাকেন্দ্রের ডাক্তার প্রফেসর টোমাস ট্যোলে। ‘আমি এমনও দেখেছি যে একজন রোগী অন্যের মাথা ব্যথা হওয়ার কথা শুনে তারও মাথা ব্যথা শুরু হয়েছে।’ তার মতে, এ সব ক্ষেত্রে স্ট্রেচিং ব্যায়াম খুব কাজে লাগে।

পজিটিভ চিন্তা করুন : অযথা কোনো টেনশন বা চিন্তাভাবনা না করে পজিটিভ চিন্তা করা উচিত। এর ফলে মাথাব্যথা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, ক্রনিক বা মাইগ্রেন মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পেতে হলে, সময় মতো ঘুমাতে যাওয়া, খাওয়া এবং কিছুটা শারীরিক পরিশ্রম, ব্যায়াম বা মনের ভাব প্রকাশ করার মতো ভালো বন্ধু থাকা প্রয়োজন সকলেরই। সূত্র : ডয়চে ভেল

Posted in জতীয় সংসদ | Comments Off on মাথা ব্যাথা হলেই ওষুধ নয়

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud