পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

সর্দি, কাশি থেকে বাঁচার জার্মান টোটকা

36845_bডেস্ক,ঢাকা: স্বাস্থ্য সেবায় জার্মানি বেশ উন্নত। তাই চিকিৎসা নিয়ে বিশেষ চিন্তা-ভাবনার দরকার নেই জার্মানদের। তারপরেও তারা নিজেরাই ডাক্তারি করতে চান। আর শীতের হাত থেকে বাঁচতে তাদের রয়েছে নিজস্ব কিছু কৌশল। চলুন সেগুলো জানা যাক।

পায়ের ‘ডায়াপার’!কোনো জার্মানকে যদি দেখেন পায়ে ভেজা কাপড় জড়িয়ে শুয়ে আছেন, তাহলে বুঝবেন যে তিনি জ্বরের সাথে লড়ছেন। আসলে কপালের চেয়ে পায়ে খোলা জায়গা অনেক বেশি। তাই পায়ে ভেজা কাপড় জড়ালে তাপমাত্রা দ্রুত কমে আসে। এক্ষেত্রে জার্মানদের পরামর্শ হচ্ছে, কাপড়টি কুসুমকুসুম গরম পানিতে ডুবিয়ে পায়ে পানিপট্টির মতো ধরুন এবং ৩০ মিনিট পর সরিয়ে নিন।

স্কার্ফ ইঙ্গিত বহন করে !ঘরের মধ্যে ঢিলেঢালা স্কার্ফ পরে থাকাটা জার্মানে ফ্যাশন। তবে সেটা ‘টাইট’ করে বসে পরে থাকাটা অসুস্থতার লক্ষণ। জার্মানরা স্কার্ফ ব্যবহার করেন গলা ব্যাথা কমানোর এবং ভাইরাস যাতে ‘টন্সিলাইটিস’-এর রূপ না নেয়, তা ঠেকানোর জন্য।

ঘাড়ে ঠাণ্ডা! জার্মানরা বিশ্বাস করেন যে, ঘরের মধ্য থেকে বয়ে যাওয়া বাতাস ঘাড়ে লাগলে ঘাড় ব্যথা, মাথা ব্যথা, ঠাণ্ডা, এমনকি ইনফুয়েঞ্জাও হতে পারে। তবে জার্মান ভাইরোলজিস্টদের মত হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণ ভুল একটি তত্ত্ব।

দুইবার সেঁকা বিস্কুট এবং কোকাকোলা ! অসুস্থতা থেকে রক্ষার আরেকটি জার্মান টোটকা হচ্ছে দুইবার সেঁকা রুটি বা বিস্কুট খাওয়া। ডায়রিয়া বা বমি হলে জার্মানরা এ ধরনের বিস্কুট খান। সাথে সাথে আবার কোকাকোলাও পান করেন অনেকে। এতে নাকি খাওয়ার সহজে হজম হয়। কথা হচ্ছে, বিস্কুট উপকারী হতে পারে, কেননা এতে লবণ রয়েছে। কিন্তু কোক কীভাবে উপকারী হয়? কোকে থাকা ক্যাফেইন যে ‘মূত্রবর্ধক’!

শান্তি দেয় ক্যামোমিল ! জার্মানরা বিশ্বাস করেন ঠাণ্ডার বিভিন্ন উপসর্গ, এমনকি ব্যথা এবং যন্ত্রণা বিলুপ্ত হতে পারে যদি ক্যামোমিল লবণ মেশানো পানির মধ্যে শরীর ডুবিয়ে রাখা যায়। বিজ্ঞানও বলছে ক্যামোমিলে ব্যথা কমানোর উপাদান রয়েছে। এবং এটা শুধু জার্মান নয়, সবার জন্যই প্রযোজ্য। তবে ডাক্তররা বলছেন, এটা ২০ মিনিটের বেশি করলে উল্টে ক্ষতি হতে পারে।

দয়া করে সাহায্য করুন! ভাইরাস পুরোপুরি হত্যার উপায় কী? ‘সাওনা’ স্টিম বাথ কি ‘নকল জ্বর’ তৈরি করতে পারে, যা ভাইরাস ধ্বংস করবে? ভাইরোলজিস্ট এডামস মনে করেন, জ্বর ভাইরাস ধ্বংস করতে পারে না, ফলে এই পন্থা কার্যকর নয়। আর ‘সাওনা’ শরীরের তাপমাত্রা সেই পর্যায়ে নিতে পারবে না, যে পর্যায়ে রাইনোভাইরাস বা ইনফুয়েঞ্জা ধ্বংস হতে পারে।

দুধ এবং মধু : শুকনো, বিরক্তিকর কাশি ঠেকাতে কি মধু মেশানো এক কাপ গরম দুধ কাজে লাগতে পারে? মধু আসলেই উপকারী। ২০০৭ এবং ২০১২ সালে মার্কিন গবেষণায় দেখা গেছে পরিমিত মাত্রার মধু রাতের বেলা শিশুদের কাশি প্রতিরোধে সহায়তা করে।

পেয়াজও নাকি উপকারী! গুজব রয়েছে, পেয়াজ নাকি ভাইরাস সারাতে জাদুর মতো কাজ করে। আর তাই জার্মানিতে পেয়াজের জুস পানের প্রবণতা রয়েছে। তবে বৈজ্ঞানিকভাবে ভাইরাস সারাতে পেয়াজের জুস উপকারী হতে পারে, এমন কোনো প্রমাণ নেই। তাছাড়া এটি দেহে বমির ভাব সৃষ্টি করতে পারে।

পুরুষরা ব্যথায় কাতর! জার্মান মেয়েরা বিশ্বাস করে, পুরুষরা অসুস্থ হলে বাচ্চাদের মতো আচরণ করে। ব্যথা তাদের কাছে অনেক বেশি অসহ্যকর মনে হয়। সত্যিই কি তাই? স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন হাসপাতালে থাকা একলাখ ৬০ হাজার নথিপত্র ঘেঁটেছে, যেগুলোতে ২৫০ রকম রোগে কোন রোগী কতটা ব্যথার কথা জানিয়েছেন, তার উল্লেখ আছে। সেগুলো বলছে, ব্যথার কথা নারীরা বেশি বলেন, পুরুষরা নয়। সূত্র : ডয়চে ভেল

Posted in জতীয় সংসদ | Comments Off on সর্দি, কাশি থেকে বাঁচার জার্মান টোটকা

২১ অবৈধ হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছে সরকার

নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন অভিযোগে ঢাকা ও খুলনার ২১টি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মো, নাসিমের নির্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের দপ্তরের যৌথ অভিযানে এসব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের এক

BD MAP copy

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এসব প্রতিষ্ঠান অবৈধ বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। বন্ধ করে দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-ঢাকার ডক্টরস চেম্বার, ন্যাশনাল কেয়ার জেনারেল হাসপাতাল, স্টার কিউর মেডিকেল হাসপাতাল, ন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শাহজালাল জেনারেল হাসপাতাল, সালেমা জেনারেল হাসপাতাল, মোহনা ক্লিনিক, হেভেন ডেন্টাল কেয়ার, জান্নাত ডেন্টাল কেয়ার, গার্ডেন ডেন্টাল কেয়ার, আল-হেরা ডেন্টাল কেয়ার, আল-মদিনা ডেন্টাল কেয়ার, তৌহিদা জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা ব্লাড সেন্টার, রোগী কল্যাণ ব্লাড ব্যাংক, ডে কেয়ার সেন্টার, খুলনার মিম নার্সিং হোম, শাহবুদ্দিন মেমোরিয়াল ডেন্টাল কেয়ার, ইয়েমেন ডেন্টাল কেয়ার, সেবা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও খুলনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এছাড়া অভিযান চলাকালে বিভিন্ন অভিযোগে ৪২টি বেসরকারি হাসপতালকে শোকজ নোটিস দেয়া হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

Posted in জতীয় সংসদ | Comments Off on ২১ অবৈধ হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছে সরকার

চর্বি কমাতে চর্বিযুক্ত খাবার

স্বাস্থ্য ডেস্ক: যারা স্বাস্থ্য সচেতন বা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তারা সব সময়ই চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলেন। তবে সব চর্বিযুক্ত খাবারই কি ওজন বাড়াতে দায়ী! খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়, বৈজ্ঞানিকরা দেখিয়েছেন চর্বি খাওয়া মানেই মোটা হওয়া নয়। যেসব খাবারে শরীরের জন্য ক্ষতিকর চর্বিতে ভরপুর সেগুলোই ওজন বাড়ায়। পাই ক্রাসট এবং অন্যান্য বেইক করা খাবারে ট্র্যান্স ফ্যাট থাকে। প্রক্রিয়াজাত করা এবং শস্য খাওয়া পশুর মাংসে স্যাচারেইটেড ফ্যাট থাকার পাশাপাশি অত্যধিক ক্যালোরি থাকে যা শেষ পর্যন্ত শরীরের পুষ্টির সীমারেখায় ক্ষতিগ্রস্ত করে। কিন্তু স্বাস্থ্যকর চর্বি ঠিক তার উল্টোটা করে যেমন: ক্ষুদা নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীর থেকে প্রতিদিনের খাওয়া বাড়তি ক্যালোরি ঝরিয়ে ফেলে। তাই হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং বিপাকক্রিয়া সচল থাকে।
ঘাস খাওয়া পশুর মাংস
‘ঘাস খাও’ বলতে অকর্মা বুঝালেও ঘাস খাওয় পশুর মাংস কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। দামে একটু বেশি হলেও এর চর্বি স্বাস্থ্যের জন্য এত উপকারি যে তা দাম পুষিয়ে দেয়। নিউট্রিশন জার্নালের এক গবেষণায় দেখা গেছে- ঘাস খাওয়া পশুর মাংসে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য পরিচিতি। আর সাধারণ মাংসের তুলনায় এই মাংস প্রাকৃতিকভাবেই চর্বিহীন ও কম ক্যালোরি যুক্ত।
চর্বি ছাড়া ৭ আউন্সের একটি ফালি করা সাধারণ স্টেক থেকে ৩৮৬ ক্যালোরি এবং ১৬ গ্রাম চর্বি শরীরে ঢুকে যেতে পারে। সেখানে একই পরিমাণ ও আকারের ঘাস খাওয়া পশুর মাংস খেলে ২৩৪ ক্যালোরি ও ৫ গ্রাম চর্বি শরীরে ঢুকে।
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েলে আছে ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধকরা পলিফেনল উপাদান ও হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক মনোআনস্যাচারেইটেড ফ্যাট। সম্প্রতি স্থূলতা বিষয়ের উপর করা এক গবেষণায় জানা যায়- শর্করা বা আমিষ সমৃদ্ধ খাবারের তুলনায় অলিভ অয়েল দিয়ে তৈরি খাবার শরীরে অ্যাডিপোনেক্টিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। অ্যাডিপনেক্টিন হচ্ছে এমন একটি হরমোন যা শরীর থেকে চর্বি কমাতে সাহায্য করে এবং যত বেশি অলিভ অয়েল খাওয়া হবে ততবেশি বিএমআই কমার প্রবণতা থাকবে।
ডার্ক চকলেট
যারা চকলেট খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য সুখবর, চকলেট পেট মেদহীন করতে পারে, তবে সেটা ডার্ক চকলেট। তবে এই উপকার পেতে ডেজার্ট পর্যন্ত অপেক্ষা না করাই ভালো।junkfood
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে- যারা খাবার খাওয়ার দুই ঘন্টা আগে ৩.৫ আউন্স চকলেট খেয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ডার্ক চকলেট গ্রহণকারীরা মিল্ক চকলেট গ্রহণকারীদের তুলনায় ১৭ শতাংশ কম ক্যালোরি গ্রহণ করেন। গবেষকদের মতে, ডার্ক চকলেটে আছে বিশুদ্ধ কোকো বাটার, যা হজম প্রক্রিয়া ধীর করার জন্য দায়ী স্টিয়ারিক অ্যাসিডের অন্যতম উৎস। ডার্ক চকলেট হজম হতে সময় নেয়, ফলে ক্ষুধা কম লাগে এবং ওজন কমাতে ভুমিকা রাখে।
কাঠ বাদামের মাখন
উচ্চ মাত্রার চর্বি থাকার পরেও কাঠবাদাম ওজন কমাতে সহায়তা করে।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল ৬ মাস ধরে স্থুলতা ও বিপাকীয় রোগের উপর দুই ধরনের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে তুলনামূলক গবেষণা করে।
গবেষণায় একদল কম-চর্বি ও সীমিত ক্যালোরিযুক্ত খাবার খায় (যাতে ছিল ১৮ শতাংশ চর্বি)। অন্য দল পরিমিত-চর্বি যুক্ত খাবার (৩৯ শতাংশ চর্বি) খায় যেখানে অতিরিক্ত চর্বি হিসেবে কাঠবাদাম খেতে দেওয়া হয়েছে।
দেখা গেছে আগের দলের তুলনায় পরের দল বেশি ওজন হারিয়েছে। যদিও দুই দল সমপরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করেছিল। আরও দেখা গেছে যারা কাঠ বাদাম খেয়েছেন তাদের কোমরের মেদ ৫০ শতাংশ বেশি কমেছে।
একটা কীভাবে হল? কাঠবাদামে থাকা উপাদানসমুহ শরীরকে বেশি চর্বি শোষণ করতে দেয় না। ফলে কিছু চর্বি হজম না হয়ে শরীর থেকে বের হয়ে যায়। কাঠবাদামের মাখন ওটমিলের সঙ্গে মিশিয়ে টোস্টে মাখিয়ে কলা দিয়ে খেতে পারেন, বা কয়েক চামচ কাঠবাদাম হালকা খাবার হিসেবেও খাওয়া যায়।

Posted in জতীয় সংসদ | Comments Off on চর্বি কমাতে চর্বিযুক্ত খাবার

ভালোবাসুন অন্তত দুবার

sex-500x388স্বাস্থ্য ডেস্ক: মাসে যেসব পুরুষ মাত্র একবার কিংবা তারও কম সঙ্গম করছেন তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এই ঝুঁকি, যারা সপ্তাহে দুই কিংবা তিনবার মিলিত হচ্ছেন তাদের ৪৫ ভাগ কম। আমেরিকান জার্নাল অব কার্ডিওলজি এই তথ্য দিচ্ছে। আপনার হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায় যৌনমিলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কাজ করুন, বাদাম খান

Posted in জতীয় সংসদ | Comments Off on ভালোবাসুন অন্তত দুবার

জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী হিসেবে বড়ি কতটা কার্যকর?

নিউজ ডেস্ক: কোনো জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী সবার জন্য ভালো হয় না। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী হিসেবে বড়ি যথেষ্ট কার্যকর। এর মাধ্যমে জন্মনিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যাও দূর করা সম্ভব। এক প্রতিবেদনে এ বিষয়গুলো তুলে ধরেছে হাফিংটন পোস্ট।
১. মুখ ও গলায় কালো দাগ নিরাময়birth-control-pills-brands
মুখ ও গলায় একধরনের কালো দাগকে অনেকেই মেছতা বলেন। এ দাগগুলো কোনো বড় সমস্যা নয়। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন করলে এ দাগগুলো দূর হয়ে যায়। এস্ট্রোজেন হরমোনের কারণেই এমনটা হয় বলে জানা যায়।
২. মাসিকের যন্ত্রণা উপশম
অনেক মেয়েকেই প্রত্যেক মাস শেষে যন্ত্রণাকর সময় পার করতে হয়। এ যন্ত্রণা কমাতে সহায়তা করে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি।
৩. অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ কমায়
মাসিকে অনেক নারীরই অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণ হয়ে থাকে। তবে এ রক্তক্ষরণ কমাতে সহায়তা করে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি।
৪. মেনোপজ পরবর্তী সমস্যা
মেনোপজ পরবর্তী নারীদের কিছু শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হতে পারে। এ সমস্যার মধ্যে মাথাব্যথা থেকে শুরু করে মুড খারাপ হওয়া পর্যন্ত থাকে। আর এ সমস্যা উপশম করতে সাহায্য করে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি।
৫. এন্ডোমেট্রিওসিস
জননেন্দ্রীয় ও ক্ষেত্রবিশেষে (৪-১০%) উদরে এন্ডোমেট্রিওসিস কোষগুলো থাকে। সেখানেই প্রতি মাসে কোষগুলো বেড়ে ওঠে এবং মাসশেষে বের হয়ে যায়। এগুলো উদরে থাকলে তা থেকে প্রতি মাসে যন্ত্রণা তৈরি হয়। জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবনে এন্ডোমেট্রিওসিসের প্রভাবে হওয়া যন্ত্রণা কমে যায়।
৬. সংক্রমণ
কিছু জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িতে ব্যবহৃত উপাদান গর্ভাশয়ে ডিম্বানু প্রবেশ করতে বাধা দেওয়ার উদ্দেশে সেখানকার তরলগুলো ঘন করে দেয়। এতে করে সে স্থানের সংক্রমণও প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
৭. জরায়ুর টিউমার
ত্রিশোর্ধ প্রতি পাঁচজনে একজন নারী জরায়ুর টিউমারে আক্রান্ত হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর অস্তিত্ব জানা যায় না। তবে এ বিষয়ক জটিলতা প্রতিরোধে কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি।
৮. জননেন্দ্রীয়ের ক্যান্সার
জননেন্দ্রীয়ের ক্যান্সার নারীদের অন্যতম বড় শত্রু। আর এ ক্যান্সার প্রতিরোধে কিছুটা ভূমিকা রাখে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি।
৯. এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার
জরায়ুর আরেক ধরনের ক্যান্সারের নাম এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার। এটি প্রতিরোধেও সামান্য ভূমিকা রাখে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি।

Posted in জতীয় সংসদ | Comments Off on জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী হিসেবে বড়ি কতটা কার্যকর?

ভুঁড়ি পালাবে ৩০ দিনেই

belly-2স্বাস্থ্য ডেস্ক
ভুঁড়ি পালাবে ৩০ দিনেইযা খুশি খান, কিন্তু যদি পরিশ্রম না করেন, তাহলে ভুঁড়ি হবেই। তাই রসনা বিলাসের পাশাপাশি যদি সামান্য একটু ব্যায়াম করেন তাহলে ভুঁড়ি পালাবে ৩০ দিনেই।
আসুন জেনে নেয়া যাক সেই সামান্য ব্যায়ামের ধরণ-

• প্রথমে মেঝেতে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন।
• হাত দুটো মাথার পেছনে রাখুন। দুটো পা সোজা করে একটু ওপরে তুলুন।
• এবার বাম পা সোজা রেখে ডান পা ভেঙে বুকের কাছে আনুন।
• কোমর থেকে ওপরের অংশে বাম দিকে একটু কাত করুন।
• একইভাবে ডান পা সোজা রেখে বাম পা ভেঙে আবার করুন, যেন মনে হয় আপনি শুয়ে শুয়ে সাইকেল চালাচ্ছেন।

এই ব্যায়ামটি এক মিনিট করে প্রতিদিন ৩ বার করার চেষ্টা করুন। এটি আপনার পেটের পেশীর ওপর চাপ সৃষ্টি করবে, আর ভুঁড়ি পালাবে ধেই ধেই করে।

নৌকা চালানোর মতো ব্যায়াম করুন
এই ব্যায়ামের ভঙ্গিমাটা অনেকটা নৌকা চালানোর মতো।
• প্রথমে মেঝেতে বসুন।
• পা দুটো সোজা করে সামনের দিকে ছড়িয়ে দিন।
• হাত দুটো সোজা করে হাঁটু বরাবর রাখুন।
• মেরুদণ্ড সোজা রাখুন। এবার ডান দিকে দুই হাত দিয়ে বৈঠা চালান। একইভাবে বাম দিকে করুন। এভাবে তিন মিনিট করুন। মনে রাখবেন, শুধু বৈঠা চালানোর মতো ভঙ্গি করলেই হবে না, দূর থেকে কেউ দেখে যেন মনে করতে পারে আপনি অনেক পরিশ্রম করে বৈঠা চালাচ্ছেন।

এই দুটি ব্যায়ামই আপনার পেট ও পাঁজরের নিচের অংশের চর্বি ঝরিয়ে দেবে। তবে তা করতে হবে নিয়ম মেনে এক্কেবারে পাক্কা ৩০ দিন। দেখবেন ভুঁড়ির জন্য আর কেউ বলবে না, পেটুক।

Posted in জতীয় সংসদ | Comments Off on ভুঁড়ি পালাবে ৩০ দিনেই

গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসায়ও ভুয়া চিকিৎসক

প্রতিবেদক : বিনা অনুমতিতে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা এবং ভুয়া চিকিৎসক ও নার্স দিয়ে চিকিৎসা সেবার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর কদমতলীর রায়েরবাগে ‘সালেমা হাসপাতাল অ্যান্ড ল্যাব’ নামে একটি হাসপাতাল সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। ভুয়া চিকিৎসক ও নার্স দিয়ে গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের সিজারসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে হাসপাতালটিতে। র‌্যাব-১০ এর একটি দল রবিবার দুপুর থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ‘সালেমা হাসপাতাল অ্যান্ড ল্যাব’ নামের ওই হাসপাতালে অভিযান চালায়। অভিযানে ভুয়া স্বামী-স্ত্রী দুই চিকিৎসক ও দুই নার্সকে জেল ও জরিমানা করা হয়। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম আনোয়ার পাশা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পাশা জানান, হাসপাতালের মালিক ও ভুয়া চিকিৎসক এস এম রবিউল আউয়াল (৪৩) ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগমকে (৩৬) দুই বছর কারাদণ্ড এবং তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া নার্স সোনিয়া আক্তার (২২) ও তার সহযোগী লুৎফুন নাহারকেও (২৮) এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

আনোয়ার পাশা জানান, হাসপাতালটির কোনো লাইসেন্স নেই। এর মালিক রবিউল আউয়াল ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগম চিকিৎসা বিজ্ঞানে পড়ালেখা না করেই চিকিৎসক সেজে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। হাসপাতালের সকল নার্স ও টেকনিশিয়ানও ভুয়া। এমনকি ল্যাবে বিভিন্ন পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্টও দেওয়া হতো। অভিযানের সময় দেখা গেছে, ভুয়া চিকিৎসক রবিউল তার চেম্বারে সিজারের রোগী হোসনেয়ারার পেটের ড্রেসিং করছিলেন। হোসনেয়ারার স্বামী খোরশেদ জানান, ৬ ডিসেম্বর এখানে সিজার করে আজ সেলাই কাটতে এসেছেন। হোসনেয়ারার পেটে বর্তমানে ইনফেকশন দেখা দিয়েছে বলেও স্বামী অভিযোগ করেন। তিনি আরও জানান, মাতোয়াইলের শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখান থেকে কয়েক দালাল এ হাসপাতালে তাদের নিয়ে আসে।

অভিযানের সময় পারভেজ হোসেন দিপু (১৬) নামে এক রোগী হাতে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে আসেন। ভুয়া চিকিৎসক রবিউল তার হাতে ব্যান্ডেজ ও প্লাস্টার করে দেন। এ সময় সেখানে চিকিৎসা নিতে আসা আকলিমা বেগম, নূর নাহার রুপা, জেসমিন আক্তার ও ফাতেমা বেগমসহ আরও ১০ রোগীকে দেখা যায়। যাদের অধিকাংশই সন্তান সম্ভাবনা। র‌্যাব জানায়, সালেমা নামের হাসপাতালটিতে ২৭টি শয্যা রয়েছে। নিয়মানুযায়ী প্রতিটি সিফটে তিন চিকিৎসক এবং ছয় নার্স সার্বক্ষণিক থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু সে নিয়ম লঙ্ঘন করে রবিউল ও তার স্ত্রী মমতাজ সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের কাজ করেন। তারা এ বিষয়ে কখনোই পড়াশোনা করেননি। রবিউলের স্ত্রী মমতাজ অন্য হাসপাতালে নার্স হিসেবে কিছু দিন কাজ করেছেন। পরে তিনি চিকিৎসক সেজে বসেন। র‌্যাব আরও জানায়, অভিযানের সময় হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় পাওয়া যায় নার্স সোনিয়া আক্তার ও লুৎফুন নাহারকে। জিজ্ঞাসাবাদ তারা জানায়, তাদেরও কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই।

Posted in জতীয় সংসদ | Comments Off on গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসায়ও ভুয়া চিকিৎসক

মাছ-মুরগি থেকে সাবধান!

ঢাকা: মাছ-মুরগিতে ঢুকছে ক্রোমিয়ামসহ ২০ ধরনের বিষাক্ত পদার্থ। মূলত মাছ ও মুরগির খাবারে এসব বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহার করা হচ্ছেে।আর এর মাধ্যমেই Fresh_tilapia copyমুরগি ও মাছের শরীরে বিষাক্ত পদার্থ প্রবেশ করছে। আর মুরগি বা মাছ ক্রোমিয়াম হজম করতে না পারায় এই বিষাক্ত রাসায়নিক সরাসরি চলে যাচ্ছে মানুষের শরীরে। এতে বাড়ছে ক্যান্সার, কিডনি নষ্ট হওয়া থেকে শুরু করে নানা ধরনের রোগ-ব্যাধি। চিকিৎসকরা বলছেন, বিষাক্ত এসব মাছ বা মুরগি খেলে গর্ভবতী মা ও তাঁর গর্ভের সন্তান ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন। এমনকি ডায়াবেটিস নিয়ে জন্ম নিতে পারে শিশু। আবার জন্মের সময়ই নবজাতকের একটি কিডনি নষ্ট হতে পারে। আর এসব এখন অহরহই হচ্ছে। তাই সামাজিক আন্দোলন ছাড়া এসব ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহার প্রতিরোধ করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। শুক্রবার রাজধানীর হাজারীবাগে হাইপো ফিড কারখানায় র‌্যাব-২ এর সহযোগিতায় অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম আনোয়ার পাশা। কারখানা পরিচালনাকারী সাইফুল ইসলাম জানান, কারখানার মালিক খলিল ক্যান্সারে
আক্রান্ত এবং গত ছয় মাস যাবৎ কারখানায় আসেন না। তার অবর্তমানে সাইফুলই সব কিছু পরিচালনা করছেন। মালিক তাকে ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য দিয়ে ফিড তৈরি করতে নিষেধ করলেও তিনি তাকে না জানিয়ে সহযোগী জামালকে নিয়ে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। আদালত সাইফুলকে ২ লাখ টাকা জরিমানা ও ২ বছরের জেল ও জামালকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ বছর ধরে এখানে এভাবে ফিড তৈরি হচ্ছে। মুরগি বা মাছের খাবারে ৩০ পিপিএম মাত্রার বেশি ক্রোমিয়াম থাকা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও এই কারখানায় উৎপাদিত ফিডে প্রায় পাঁচ হাজার পিপিএম মাত্রার ক্রোমিয়াম পাওয়া  গেছে। সাইফুল জানান, ট্যানারি থেকে চামড়ার বর্জ্য এনে কারখানায় সিদ্ধ করে ছাদে শুকিয়ে শুঁটকি বানানো হয়। এ শুঁটকি ১৭ টাকা কেজি হিসেবে পাইকারি বিক্রি করেন এবং নিজেই গুঁড়া করে ফিড তৈরি করেন। তার কাছ থেকে শুঁটকি কিনে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ক্ষতিকর ফিড তৈরি করছে বলে তিনি জানান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত দু’টি কারণে ক্ষতিকর ট্যানারি বর্জ্য মাছ ও মুরগির খাবারে ব্যবহূত হয়। প্রথমত, এটি খাওয়ালে মুরগি বা মাছের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে এবং ডিমের আকার বড় হয়। দ্বিতীয়ত, এটি দামে সস্তা।

শুটকি মাছের গুঁড়া এবং আমদানি করা ‘মিটবন্ড’ ব্যবহার করে সাধারনত ফিড তৈরি করা হয়। কিন্তু এগুলোর দাম বেশি হওয়ায় বিকল্প হিসেবে চামড়ার বর্জ্য ব্যবহার করা হয়। অথচ মারাত্মক ক্ষতিকর ক্রোমিয়াম এসব ফিডের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করছে। এ ফিড মাছ বা মুরগি খেলে মলমূত্রের মাধ্যমে খানিকটা বের হয়ে গেলেও একটা বড় অংশ তাদের শরীরে জমা হতে থাকে। এমনকি ডিমেও জমা হয়। এই মাছ, মুরগি বা ডিম খেলে মানুষের শরীরে ক্রোমিয়াম প্রবেশ করে এবং মলমূত্রের মাধ্যমে সবটা বের হতে না পেরে শরীরে জমা হতে থাকে এবং নানা রোগ সৃষ্টি করে। চিকিত্সকরা জানান, মানবদেহে অতিরিক্ত ক্রোমিয়াম প্রবেশ করলে নানা রোগব্যাধি হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে, ক্যান্সার (বিশেষত ফুসফুসে ক্যান্সার), টিউমার, পাকস্থলি ও ক্ষুদ্রান্ত্র আলসার, পুরুষত্বহীনতা, অকাল প্রসব, বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট ও চর্মরোগ। এছাড়া  এর প্রভাবে শিশু ও সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। এ প্রসঙ্গে প্রখ্যাত কিডনি বিশেষজ্ঞ, কিডনি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশীদ বলেন, ক্রোমিয়াম হেভি মেটাল। এতে দ্রুত কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, এগুলো যারা করছে তাদের কঠোর শাস্তি দরকার। কারণ এটা জঘন্যতম অপরাধ। এসব কারণে  দেশে রোগী মৃত্যুর হারও বাড়ছে বলে তিনি জানান। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. আকরাম হোসেন বলেন, এসব কেমিক্যালের কারণেই ক্যান্সার সৃষ্টি হচ্ছে। আগে কিন্তু এত ক্যান্সারের রোগী ছিল না।  তিনি বলেন, এসিড নিক্ষেপের শাস্তি মৃত্যুদন্ড ঘোষণার

পর থেকে এসিড নিক্ষেপ অনেক কমে গেছে। এসব ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহারের শাস্তিও মৃত্যুদন্ড করলে এর ব্যবহার কমবে। ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক ও শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মঞ্জুর হোসেন বলেন, কেমিক্যাল শিশুদের ব্রেন ধ্বংস করে দেয়। ফলে শিশু মোটা হয়ে যায়, বিকলাঙ্গ হয়। তাই এসব ক্ষতিকর কেমিক্যাল যারা ব্যবহার করে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত্।  বিষাক্ত খাবারের কারণে গর্ভবতী মা ও সন্তানের ক্যান্সার হতে পারে বলে জানিয়েছেন গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রাশিদা বেগম।

Posted in জতীয় সংসদ | Comments Off on মাছ-মুরগি থেকে সাবধান!

ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি কমানোর এক অভিনব পদ্বতি

DSS copyস্বাস্থ্য ডেস্ক: নগ্ন হয়ে ঘুমালে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। এক খবরে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।  ডায়াবেটিস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, নগ্ন হয়ে ঘুমালে বেশি ক্যালরি খরচ হয় এবং ঘুমও গাঢ় হয়। চার মাস ধরে ৫ জন সুস্থ এবং পূর্ণ বয়স্ক পুরুষের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা এ তথ্য জানতে পেরেছেন। এজন্য ওই ব্যক্তিদের জন্য নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রার বেডরুমে ঘুমানোর ব্যবস্থা করা হয়। প্রথম মাসে তাদের বেডরুমের তাপমাত্রা ছিল ২৪ ডিগ্রি, পরের মাসে ১৯ ডিগ্রি, তৃতীয় মাসে ২৪ ডিগ্রি এবং সর্বশেষ মাসে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় তারা একই পরিমাণের ক্যালরি গ্রহণ করেন এবং তাদের শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ প্রতিদিন পরিমাপ করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, যে মাসে তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল, সে মাসে অংশগ্রহণকারীদের শরীরে সবচেয়ে বেশি ক্যালরি খরচ হয়েছে। একইসাথে তাদের শরীরে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। গবেষকরা জানান, নগ্ন হয়ে ঘুমালে শরীরে ব্রাউন ফ্যাটের পরিমাণ বাড়ে, যার মানে শরীর বেশি ক্যালরি খরচ করছে। এতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমে আসে বলে জানান তারা।

Posted in জতীয় সংসদ | Comments Off on ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি কমানোর এক অভিনব পদ্বতি

ধূমপানে হারিয়ে যাচ্ছে পুরুষ!

স্বাস্থ্য ডেস্ক: ধূমপানের কারণে পুরুষের রক্তকোষ থেকে ওয়াই ক্রোমোজোম হারিয়ে যেতে পারে। সুইডেনের গবেষকেরা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য পেয়েছেন।  গবেষকেরা দাবি করছেন, তাঁদের এই গবেষণা ধূমপানে নারীর তুলনায় পুরুষের মৃত্যুহার বেশি হওয়ার কারণ জানতে সাহায্য করবে। ফিনল্যান্ডের গবেষকেদের Smoking copyএকটি দল এরই মধ্যে দেখিয়েছে, যেসব পুরুষের রক্তকোষের ওয়াই ক্রোমোজোম হারিয়ে যায়, তাঁদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে ঠিক কী কারণে এটা ঘটে, সে প্রশ্নের উত্তর এখনো বের করতে পারেননি তাঁরা।  সাম্প্রতিক গবেষণাসংক্রান্ত এ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে সায়েন্স সাময়িকীতে। গবেষকেরা জানিয়েছেন, ছয় হাজারের বেশি পুরুষের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে দেখেছেন তাঁরা। এ ছাড়াও জীবনযাপনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়, বয়স, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস কিংবা মদ্যপানের অভ্যাসের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে তাঁরা গবেষণা করেছেন। গবেষকেরা বলছেন, পুরুষ যত বেশি ধূমপান করেন, ততই তাঁদের রক্তকোষ থেকে ওয়াই ক্রোমোজোম হারিয়ে যেতে শুরু করে। কিন্তু যাঁরা ধূমপান ছেড়ে দেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আবারও ওয়াই ক্রোমোজোম ফিরে আসতে থাকে।  সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক লার্স ফর্সবার্গের নেতৃত্বে এই গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের এই আবিষ্কার ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহ জোগাবে।’ বংশগতিতে (ডিএনএ) ওয়াই ক্রোমোজোম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়াই ক্রোমোজোমের উপস্থিতির কারণেই একজন পুরুষ বলে নির্ধারিত হন। ক্রোমোজোমের কাজ হলো বাবা-মার কাছ থেকে জিন সন্তান সন্ততিতে বহন করে নিয়ে যাওয়া। মানুষের চোখের রং, চুলের প্রকৃতি, চামড়ার গঠন ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য ক্রোমোজোম কর্তৃক বাহিত হয়ে বংশগতির ধারা অক্ষুণ্ন² রাখে। এ কারণে ক্রোমোজোমকে বংশগতির ভৌত ভিত্তি বলা হয়।
জীবকোষের নিউক্লিয়াসে অবস্থিত নিউক্লীয় প্রোটিন জাতীয় পদার্থ নির্মিত জটিল তন্তুই ক্রোমোজোম, যার মাধ্যমে জীব তার সব ধরনের বৈশিষ্ট্য বংশানুক্রমে পরিবাহিত করে নিজ নিজ বৈশিষ্ট্য বজায় রাখে। ক্রোমোজোম সূত্রাকার ক্রোমাটিন দ্বারা গঠিত। নির্দিষ্ট প্রজাতির জীবের কোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা নির্দিষ্ট। প্রতিটি ক্রোমোজোম বহুসংখ্যক জিন দ্বারা গঠিত। নারীর দুটি ক্রোমোজোমই এক্স আর পুরুষের ক্রোমোজোম এক্স ও ওয়াই।
ফিনল্যান্ডের গবেষকেদের মতে, ওয়াই ক্রোমোজোম পুরুষ হরমোনের উৎপাদন ছাড়াও ক্যানসারের বিরুদ্ধে শরীরকে সমর্থ করে।
গবেষকেরা দাবি করছেন, শুধু ওয়াই ক্রোমোজোমই নয়, সাধারণভাবে পুরো ডিএনএর ক্ষতি করছে ধূমপান। অবশ্য এ ক্ষেত্রে আরও গবেষণার প্রয়োজন বলে মনে করছেন তাঁরা।
সুইডেনের গবেষকেরা বলছেন, অধূমপায়ী পুরুষের চেয়ে ধূমপায়ী পুরুষের ক্রোমোজোম তিনগুণ দ্রুত হারিয়ে যায়। ওয়াই ক্রোমোজোম হারানোর সঙ্গে মানুষের আয়ু কমার সম্পর্ক রয়েছে বলেও প্রমাণ পেয়েছেন তাঁরা। (এনবিসি নিউজ ও ডেইলি মেইল)

Posted in জতীয় সংসদ | Comments Off on ধূমপানে হারিয়ে যাচ্ছে পুরুষ!

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud