May 5, 2024
নিউজ ডেস্ক: দেশের দুই মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড এবং এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড একীভূত হওয়ার জন্য গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিটিআরসি বরাবর আবেদন করেছে। আগামীকাল বুধবার বিটিআরসির ১৮৯ তম বৈঠকে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর অনুমোদন দেবে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এরপর আগামী সপ্তাহেই একীভূত হতে চায় রবি-এয়ারটেল। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিটিআরসির সচিব মো. সারওয়ার আলম জানিয়েছেন, রবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও এয়ারটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের স্বাক্ষরিত একীভূত হওয়ার একটি আবেদনপত্র পেয়েছি। (বুধবার) কিমিশন মিটিং পরবর্তী এসব বিষয়ে চূড়ান্ত তথ্য জানানো যাবে। যৌথভাবে আবেদনপত্রে জানানো হয়েছে, রবি আজিয়াটা ৭৫ শতাংশ শেয়ার পাবে আর এয়ারটেল পাবে ২৫ শতাংশ। রবি যে ৭৫ শতাংশ পাবে তার মধ্যে ৫ শতাংশ পাবে রবির আরেক সহযোগী জাপানের এনটিটি ডকোমো। এদিকে রবিতে আজিয়াটার শেয়ার আছে ৯১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
আর ডকোমোর শেয়ার আছে ৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। ২০০৭ সালে ডকোমো তখনকার একেটেলের ৩০ শতাংশ শেয়ার কিনে যাত্রা করলেও পরে এখানকার বাজারে আর কোনো বিনিয়োগ করেনি। ফলে তাদের শেয়ার কমতে থাকে। আর বাড়তে থাকে আজিয়াটার শেয়ার। মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন হবে কিনা এ ব্যাপারে দুইটি প্রতিষ্ঠানের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে আগামী ২ বছর ০১৬ নাম্বার থাকবে। এরপর প্রয়োজন হলে নাম্বার পরিবর্তনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নিয়ম আনুসারে কোম্পানি এক্ট ১৯৯৪ অনুযায়ী রবি এবং এয়ারটেল একীভূত হবে। এর আগে বিটিআরসির আগামীকাল বুধবারের কমিশন বৈঠকে অনুমোদন পেলে সেটি সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে যাবে। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে। আদালত অনাপত্তি জানালে রবি ব্র্যান্ড নামেই এয়ারটেল যাত্রা শুরু করবে।
বিটিআরসির সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে প্রায় ১৩ কোটি মোবাইল গ্রাহকের মধ্যে রবির গ্রাহক রয়েছে ২ কোটি ৭৯ লাখ আর এয়ারটেলের রয়েছে ৯০ লাখ গ্রাহক। দুটি প্রতিষ্ঠান একীভূত হলে রবির মোট গ্রাহক সংখ্যা হবে ৩ কোটি ৭ লাখ। ফলে বাংলালিংককে ছাড়িয়ে রবি হয়ে যাবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর। ২০১২ সাল থেকে লাভে থাকা রবির বাৎসরিক আয় ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং এয়ারটেলের ২ হাজার কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, গত মাসের শেষ সপ্তাহে মালয়েশিয়ার কুয়ালামপুরে রবি আজিয়াটা ও এয়ারটেল একীভূত হওয়ার আলোচনা শুরু করে। যদিও তখন ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছিল ফ্রান্সের কোন একটি মোবাইল অপারেটর বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার এয়ারটেল কিনে নিতে পারে। তবে শ্রীলংকা এয়ারটেলের কোন খবর জানা না গেলেও বাংলাদেশের এয়ারটেল শেষ পর্যন্ত রবি কিনে নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ওয়ারিদ টেলিকমের হাত ধরে এয়ারটেল প্রবেশ করে ২০১০ সালে। তখন ওয়ারিদের ৭০ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয় এয়ারটেল।
২০১৩ সালে এসে বাকি ৩০ শতাংশও নিয়ে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। তাদের বাংলাদেশে লাইসেন্স-এর মেয়াদ রয়েছে ২০১৮ সাল পর্যন্ত। এদিকে রবি বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করে ১৯৯৭ সাল থেকে। তখন তাদের ব্র্যান্ড নাম ছিল একটেল। প্রতিষ্ঠানটি ২০১১ সালে তাদের প্রথম ১৫ বছরের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ করে দ্বিতীয় দফায় লাইসেন্সের অনুমোদন পেয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কোনকিছু পছন্দ হলে সাথে সাথেই ‘লাইক’। আর অপছন্দ হলে ছিলনা ‘ডিসলাইক’ অপশন। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অনেকেই এতদিন এ বিষয়টির অভাববোধ করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষও বেশ কিছুদিন আগেই ভাবনা-চিন্তার কথা জানিয়েছিল। এবার ফেসবুক নিশ্চিত করল তারা শিগগিরই নিয়ে আসছে ‘ডিসলাইক’ অপশন। অর্থাৎ এখন আর মন্তব্য করে বোঝাতে হবে না। ‘লাইক’ বাটনের মতই ‘ডিসলাইক’ বাটনে ‘ক্লিক’ করলেই হবে।
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ বলছেন, ডিসলাইক অপশনের দাবি দীর্ঘদিনের। শিগগিরই এটি চালু করা হবে।
সামাজিক যোগাযোগের এই জনপ্রিয় ওয়েবসাইটটির প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ এমনটাই জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার ফেসবুকের সদরদপ্তরে আয়োজিত এক প্রশ্নোত্তর সেশনে ৩১বছর বয়সী জুকারবার্গ বলেন, অনুভূতি প্রকাশের একটি মাধ্যম হিসেবে এই ডিসলাইক অপশনটি চালু করা হচ্ছে।
তিনি জানান, খুব শিগগিরিই ব্যবহারকারীরা নিজেরাই এটি যাতে প্রয়োগ করতে পারে সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ অনেকটাই তৈরি।
২০০৯ সালে লাইক অপশনটি চালুর পর থেকে অনেক ব্যবহারীর পক্ষ থেকেই ডিসলাইক অপশন চালুর জন্য ধারাবাহিকভাবে অনুরোধ করে আসছিলেন।
জুকারবার্গ নিজেও বলেন, এই দাবিটি বেশ কয়েক বছর ধরেই ছিল এবং আজ একটি বিশেষ দিন কারণ আজ আমি নিশ্চিত করে জানাতে পারছি যে, এই বিষয়ে আমরা কাজ করছি। শিগগিরই এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। বিবিসি বাংলা।
বিজ্ঞান- প্রযুক্তি ডেস্ক: নতুন প্রজন্মের দুটি মডেলের আইফোন বাজারে ছাড়বে বলে ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। ৬ এস ও ৬ এস প্লাস নামের এই ফোন দুটিতে ফিচার হিসেবে এসেছে থ্রিডি টাচ প্রযুক্তি। বিশেষ একটি ‘রোজ-গোল্ড’ রঙের আইফোন সংস্করণের ঘোষণাও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন আইফোনসহ আইপ্যাড ও অ্যাপল টিভিরও ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিল গ্রাহাম সিভিক অডিটোরিয়ামে আইফোন ৬ এস ও বড় মাপের ৬ এস প্লাস ঘোষণা দেওয়ার সময় অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক বলেন, ‘আইফোনের মতো নতুনত্ব অন্য কোনো পণ্যে নেই।’ নতুন আইফোনে যে থ্রিডি টাচ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে তাতে ব্যবহারকারী ট্যাকটাইল ফিডব্যাক বা উন্নত ভাইব্রেশন প্যাটার্ন সুবিধা পাবেন। এ ছাড়াও শর্টকাট মেনু তৈরিতেও বিশেষ সুবিধা হবে।
আগে থেকেই এ ধরনের প্রযুক্তি অ্যাপল পণ্যে রয়েছে। অ্যাপল ওয়াচ, ম্যাকবুক ও ম্যাকবুক প্রোতে ‘ফোর্স টাচ টেকনোলজি’ নামের এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে বিক্রি শুরু হবে নতুন আইফোন। ফোরকে মানের ভিডিও ধারণ করার জন্য এই ফোনের পেছনে উন্নত আই-সাইট ক্যামেরা যুক্ত করেছে অ্যাপল। ফোরকে ডিসপ্লেতে রেজুলেশন থাকে ৩৮৪০ বাই ২১৬০ যাতে পিক্সেল ঘনত্ব হয় ইঞ্চি প্রতি ৮০৬। গত বছরে বাজারে আসা আইফোন ৬ এ আট মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকলেও নতুন আইফোনের পেছনে ১২ মেগাপিক্সেল ও সামনে পাঁচ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা যুক্ত হয়েছে। লাইভ ফটোজ নামের নতুন একটি ফিচারও যুক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
১৬ জিবি, ৬৪ জিবি ও ১২৮ জিবি এই তিনটি সংস্করণে বাজারে পাওয়া যাবে নতুন আইফোন। যুক্তরাজ্যের বাজারে ৬ এসের দাম হবে যথাক্রমে ৫৩৯,৬১৯ ও ৬৯৯ পাউন্ড। এস প্লাসের দাম হবে ৬১৯,৬৯৯ ও ৭৮৯ পাউন্ড। নতুন আইফোন দুটির মাপ হবে চার দশমিক সাত ইঞ্চি ও সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি। স্মার্টফোনে ব্যবহৃত হচ্ছে ৬৪ বিটের এ৯ চিপ। অ্যাপলের বার্ষিক আইফোন ঘোষণা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রযুক্তি বিশ্বে গুজব ছিল। গতকাল আইফোন ঘোষণার অনুষ্ঠানে ‘রোজ-গোল্ড’ রঙের বিশেষ একটি মডেল বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে সোনলি, রুপালি ও ধূসর রঙের আইফোন বাজারে ছিল। অ্যাপলের দাবি, নতুন মডেলের এই আইফোনে আরও উন্নত অ্যালুমিনিয়ামের কাঠামো ব্যবহার করা হয়েছে।
নতুন আইফোন সম্পর্কে টিম কুক বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত স্মার্টফোন।’ এই স্মার্টফোন চলবে অ্যাপলের আইওএস ৯ অপারেটিং সিস্টেমে। এ বছরের গ্রীষ্মের সময় ওয়ার্ল্ডওয়াইড ডেভেলপার সম্মেলনে (ডব্লিউডব্লিউডিসি) এই অপারেটিং সিস্টেমের ঘোষণা দেয় অ্যাপল কর্তৃপক্ষ। আইওএস ৯ এ ফিচার হিসেবে রয়েছে ডিজিটাল সহকারী সিরির উন্নত সংস্করণ। এমনকি এটি ব্যাটারির চার্জ বাড়তি এক ঘণ্টা পর্যন্ত বাঁচাতে পারে। ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে আইওএস ৯ ডাউনলোড করা যাবে। বাজার বিশ্লেষকেদের মতে, অ্যাপলের আয়ের সিংহভাগ আসে আইফোন বিক্রি থেকে। এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসে বিভিন্ন সংস্করণের চার কোটি ৭৫ লাখ ইউনিট আইফোন বিক্রি হয়েছে। অ্যাপল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন দুটি মডেলের আইফোনের আগাম ফরমাশ নেওয়া শুরু হবে। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানো হবে।
নতুন আইপ্যাড
নতুন আইফোন নিয়ে আসার কথা ঘোষণার অনুষ্ঠানে অ্যাপলের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিল শিলার ‘আইপ্যাড প্রো’ নামের বড় মাপের নতুন একটি ট্যাবলেটের ঘোষণা দিয়েছেন। ১২ দশমিক ৯ ইঞ্চি মাপের এই আইপ্যাডে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে দাবি করেছেন তিনি। এটি ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে পারে। গত এক বছরে বাজারে আসা যত ট্যাব আছে, এর চেয়ে এটি ৮০ শতাংশ দ্রুতগতির বলেও দাবি করেন তিনি।
ঢাকা: কলেজছাত্র রিয়াদুল করিম বেসরকারি একটি মোবাইল টেলিকম অপারেটরের সিমকার্ড ব্যবহার করেন ভয়েস কলের জন্য। একই মোবাইল ফোন সেটে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিটক মোবাইল অপারেটরের সিমকার্ড ব্যবহার করে ইন্টারনেটে যুক্ত থাকেন। অপারেটর ভেদে ভিন্ন ভিন্ন ভয়েস ও ডাটাচার্জ এবং নেটওয়ার্কজনিত কারণে একাধিক সিম ব্যবহার করেন বেশির ভাগ গ্রাহকই।
সম্প্রতি, একটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মোবাইল ফোন গ্রাহকরা একাধিক টেলিকম অপারেটেরের সিমকার্ড ব্যবহার করছেন বলে তথ্য জানানো হয়েছে। সরকারি হিসাবে সর্বশেষ জুলাই মাসের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ছয়টি মোবাইল টেলিকমের মোট গ্রাহক সংখ্যা ১২ কোটি ৮৭ লাখ। আর ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা পাঁচ কোটি সাত লাখ সাত হাজার। মোবাইল ফোন অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন গ্রুপ স্পেশাল মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন-জিএসএমএ’র ‘এশিয়া-প্যাসিফিক মোবাইল ইকোনমি-২০১৫’ শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশে ইউনিক বা একক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছয় কোটি ৭০ লাখ।
জিএসএমএ’র তথ্য অনুযায়ী, এ দেশের মোট জনসংখ্যার ৪২ শতাংশ মানুষ প্রকৃত মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী। প্রতিবেদনে একজন ব্যক্তির একাধিক সিমকার্ড থাকলেও তাকে একক ব্যবহারকারী হিসেবেই গণ্য করে তার একটি সিম কার্ডই বিবেচনায় নেওয়া হয়।
জিএসএমএ এবং সরকারি তথ্য বিশ্লেষণে বলা যায়, দেশের প্রত্যেক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী গড়ে দুটি সিম কার্ডের মালিক। দুইয়ের অধিক সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বেশি। মোবাইল ফোন অপারেটররাও বলছে, একজন ব্যক্তি একাধিক সিম ব্যবহার করেন।
গ্রাহকরা জানান, অপারেটর ভেদে কল ও ডাটাচার্জের ভিন্নতা, নেটওয়ার্ক সুবিধার কারণে তারা একাধিক সিম ব্যবহার করেন। মোবাইল ফোন নম্বর পোর্টেবিলিটি (মোবাইল ফোনের নম্বর একই রেখে এক সার্কেল থেকে অন্য সার্কেলের গ্রাহক হওয়ার) সুবিধা না থাকায় একাধিক সিম ব্যবহারের প্রবণতাও বেশি। আর বেশির ভাগ হ্যান্ডসেটে ডুয়েল সিম ব্যবহারের সুবিধাও রয়েছে।
জিএসএমএ’র তথ্যমতে, ২০১৪ সালে বাংলাদেশে একক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ছয় কোটি ৪০ লাখ, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ। এক বছরে একক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ২ শতাংশ।
জিএসএমএ’র প্রতিবেদনে বাংলাদেশে একক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী বাড়াতে ও মোবাইল ফোন সংক্রান্ত সেবাগুলোকে সহজ করতে কর ব্যবস্থায় সংস্কারের ওপর জোর দেওয়া হয়। একেকটি মোবাইল ফোন কিনতে মোট খরচের ১৮ শতাংশ যায় কর সম্পর্কিত খরচে।
তবে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের হিসাবে এই হার আরো প্রায় ৪ শতাংশ বেশি।
আমদানি শুল্কসহ অন্যান্য কর হার কমানো হলে তা জনগণের মোবাইল ফোন প্রাপ্তিকে আরো সহজতর করবে বলে জিএসএমএ’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
জিএসএমএর প্রতিবেদনে বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের একক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম হলেও তা অপারেটরদের জন্য সম্ভাবনাময় বলে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, ২০২০ সাল পর্যন্ত অপারেটরদের আয়ে ৪-৭ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হবে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল বাজারগুলোতে একক ব্যবহারকারী বাড়ানোর সুযোগ এখনো আছে।
মোবাইলে ফোনে করহার সম্পর্কে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন বিজনেসম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নিজামউদ্দিন বলেন, প্রতিটি মোবাইল সেট আমদানিতে ২১ দশমিক ৭৫ শতাংশ শুল্ক সংক্রান্ত খরচ পড়ে। এর মধ্যে ভ্যাট ১৫ শতাংশ, ট্যাক্স ৫ শতাংশ, এআইটি ১ শতাংশ এবং অন্যান্য ৭৫ শতাংশ।
প্রতিটি ফোনসেটের জন্য তারা ফ্ল্যাট রেটে শুল্ক দাবি করে আসছেন।
মাত্র ১২৯ ডলারে (বাংলাদেশী টাকায় ১০ হাজারের একটু বেশি) পিসি (পার্সোনাল কম্পিউটার) স্টিক আনছে আসুস, যা আকারেও হবে সবচেয়ে ছোট। ভিভোস্টিক নামের ওই স্টিকে থাকবে উইন্ডোজ-১০ ভার্সন চালানোরও সুবিধা।
পকেটে বহনযোগ্য এই এইচডিএমআই (হাই-ডেভিনিশন মাল্টিমিডিয়া ইন্টারফেস) পিসি স্টিকটি কোনো টিভি বা সামঞ্জস্যপূর্ণ মনিটরে সংযোগ দিলেই একটি পূর্ণাঙ্গ কম্পিউটারের কাজ করবে। ছোট্ট এ স্টিকে যেমন থাকছে ২ জিবি (গিগাবাইট) র্যাম (র্যানডম অ্যাক্সেস মেমোরি) তেমনি থাকছে ৩২ জিবি ডাটা সংরক্ষণের ক্ষমতা। পাশাপাশি থাকছে দুটি ইউএসবি (ইউনিভার্সাল সিরিয়াল বাস) পোর্ট এবং হেডফোন ব্যবহারের সুবিধা।
৭০ গ্রাম ওজনের এই স্টিকের দৈর্ঘ্য হবে মাত্র ১৩৮ মিলিমিটার, প্রস্থ হবে ৩৪ মিলিমিটার এবং উচ্চতা হবে ১৫ মিলিমিটার। ব্লুটুথ-৪ এর সুবিধাসম্পন্ন এই স্টিকে থাকছে ১১এন ওয়াই-ফাই সুবিধা। আসুস এসব তথ্য প্রকাশ করলেও স্টিকটি কবে নাগাদ বাজারে আসছে সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি। সূত্র : দ্য ভার্জ ডটকম।
প্রযুক্তিবিশ্বে এক প্রতিষ্ঠানের অন্য প্রতিষ্ঠানকে কিনে নেওয়া নতুন কোনো ঘটনা নয়। নতুন নতুন স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠানগুলোকে টেক জায়ান্টদের কিনে নেওয়া তো হরহামেশাই ঘটে যাচ্ছে। এ ছাড়া ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক নানা দিকের কারণে অনেক সময় বড় বড় কোম্পানিগুলোও বিক্রি হয়ে যায় অন্য কোনো কোম্পানির কাছে। মটোরোলা এবং নকিয়া যার বড় প্রমাণ। তবে খুব বেশি চাপে না থেকেও কোনো কোম্পানির নিজে থেকেই বিক্রি হয়ে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করার ঘটনা একটু বিরল বটে। তেমনটিই ঘটলো বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম পিসি নির্মাতা তাইওয়ানের এসারের বেলায়। এসারের প্রতিষ্ঠাতা স্ট্যান শিহ জানিয়েছেন, এসারকে কোনো কোম্পানি কিনে নিতে চাইলে তাতে আপত্তি নেই এসারের। তবে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে আগ্রহী কোনো ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ হয়নি এসারের। আগ্রহীদের এসার কিনে নিতে বড় অংকের অর্থ খরচ করতে হবে বলেও জানিয়েছেন স্ট্যান শিহ।
ক্রমেই পিসি বাজার অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে ওঠায় অনেক পিসি নির্মাতাই নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে পারছে না। কিছুদিন আগে আরেক পিসি নির্মাতা ডেলের বিক্রি হয়ে যাওয়ার আলোচনাও সাড়া ফেলেছিল প্রযুক্তিবিশ্বে। এসারের বিক্রি হয়ে যাওয়ার অনাপত্তির সংবাদও তেমনি সাড়া ফেলেছে। এর পেছনে অবশ্য ভূমিকা রেখেছে এসারের আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি। চলতি বছরের জুলাই মাসে এসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এসারের পিসি বিক্রি কমে গেছে প্রায় ৩৩ শতাংশ। আবার চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গার্টনারের হিসাবে পঞ্চম স্থানে থাকা এই পিসি নির্মাতার দখলে ছিল পিসির ৬.৭ শতাংশ বাজার। গার্টনার জানাচ্ছে, আগের বছর একই সময়ে এসারের দখলে ছিল ৭.৬ শতাংশ বাজার। ফলে এসারের পড়তি অবস্থার কথা সহজেই অনুমেয়। এর প্রভাব পড়েছে তাদের রাজস্ব আয়েও। এই বছরের প্রথম ছয় মাসেই এসারের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ২৮৯ কোটি তাইওয়ানিজ ডলার (প্রায় ৯ কোটি মার্কিন ডলার)। এই সময়ের রাজস্ব আয় আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৮ শতাংশ কম। কাজেই নিজেদের বিক্রি হওয়ার প্রস্তাবে এসারের আপত্তি না থাকার যথেষ্ট কারণ খুঁজে পাচ্ছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা।
তবে স্ট্যান শিহ এসারের বিক্রির সিদ্ধান্তের বিষয়ে অনাপত্তি জানালেও এসার যে শীঘ্রই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, বিষয়টি তা নাও হতে পারে। শিহ’র বক্তব্যের পরেও এসারকে কিনে নিতে আগ্রহী কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম না পাওয়াই তার প্রমাণ দেয়। পিসির এই পড়তি সময়ে নাজুক অবস্থায় থাকা এসারকে কিনতে তেমন কেউ আগ্রহী হবে না বলেও মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা।
গ্যালাক্সি নোট ৫ এবং গ্যালাক্সি এস৬ এজ প্লাস বাজারে আনার ঘোষণা দেওয়ার দিন দুয়েক পরই দুই ডিসপ্লে সমৃদ্ধ একটি ফ্লিপ স্মার্টফোন বাজারে এনেছে স্যামসাং। তবে স্মার্টফোনটি প্রাথমিক অবস্থায় শুধুমাত্র চীনের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
G9198 মডেলের স্মার্টফোনটির বড় আকর্ষণ হলো এর ডুয়েল ডিসপ্লে। স্মার্টফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৮০৮ চিপসেট। এতে আছে দুটি ৩.৯ ইঞ্চি সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে যার রেজুলেশন ১২৮০x৭৬৮ পিক্সেল। এছাড়া আছে ২ জিবি র্যাম, ১৬ জিবি স্টোরেজ।
G9818
স্মার্টফোনটিতে আরও আছে ১৬ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা, এলইডি ফ্ল্যাশ এবং ৫ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। এছাড়া আছে হার্ট রেট সেন্সর, ডুয়েল সিম, ২,০২০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি।
চীনের বাইরের অন্য কোন দেশের বাজারে স্মার্টফোনটি পাওয়া যাবে, সে ব্যাপারে স্যামসাংয়ের পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ৫০ ভাষার সুবিধা নিয়ে ট্রান্সলেটর অ্যাপ উন্মুক্ত করেছে সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট। আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড দুই অপারেটিং সিস্টেমেই এটি ব্যবহার করা যাবে।
চলতি সপ্তাহে উন্মুক্ত অ্যাপটি স্মার্টফোন, ট্যাব ছাড়াও চলবে স্মার্টওয়াচে।
ব্যবহারকারী যে শব্দটি অনুবাদ করতে চান তা লিখে বা উচ্চারণ করলে এটি দ্রুত ট্রান্সলেট হয়ে পর্দায় ভেসে উঠবে। ট্রান্সলেট হওয়া শব্দটি কপি ও পেস্ট করতে পারবেন ব্যবহারকারী।
অনুবাদ সুবিধায় স্থান পাওয়া ৫০টি ভাষার মধ্যে রয়েছে ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, হিব্রু, চীনা, ইতালিয়ান, জাপানিজ, স্প্যানিশ ও রাশিয়ান।
অনেক আগে থেকেই বিং ওয়েবসাটের মাধ্যমে মোবাইল ও ডেস্কটপের জন্য তৈরি আলাদা অ্যাপে উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের ট্রান্সলেটর সেবা দিয়ে আসছে মাইক্রোসফট। এছাড়া স্কাইপে ট্রান্সলেটর প্রোগ্রামের মাধ্যমেও অনুবাদের সুবিধা দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।
তবে মাইক্রোসফটের নতুন এ অ্যাপ ২৭ ভাষা সার্পোট করা গুগল ট্রান্সলেটরকে একরকম ‘চ্যালেঞ্জ’ ছুড়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন প্রযুক্তিবিদরা।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক :
মহাকাশচারীরা এতদিন পেটপুজো করতেন বাসী খাবার দিয়ে। যা সরবরাহ করা হতো পৃথিবী থেকে। কিন্তু তাদের খাবার টেবিলে যোগ হতে যাচ্ছে মুখোরোচক খাবার। যে খাবার পৃথিবী থেকে পাঠানো নয়। এসব খাবার মহাকাশেই উৎপাদনকরা হচ্ছে। বিশেষ করে টাটকা শাক-সবজি।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে ছোট আকারে সবজি চাষ করা হচ্ছে। এসবই স্পেসশিপের মধ্যেই। এটি একটি ছোট আকারের গ্রিণ হাউজ। এটার নাম লাডা। এই গ্রিণ হাউজটিতে ২০০২ সাল থেকে চাষবাস করার জন্য গবেষণা করা হচ্ছে। মাইক্রোগ্যাভিটিতে চাষ করে ইতোমধ্যে সাফল্য পেয়েছেন মহাকাশচারীরা। তারা লাল রঙের লেটুস পাতা ফলাতে সক্ষম হয়েছেন।
মহাকাশচারীরা স্পেসস্টেশনে সবজি চাষের জন্য নতুন ধরণের একটি পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। এটাকে বলা হচ্ছে ‘ভেজ্জি’। গ্রিণ হাউজে চাষের জন্য বিশেষ আলো ব্যবহার করা হয়েছে। এজন্য লাল এবং নীল এলইডি বাতি ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও তারা ২০১৪ সালেই মহাকাশে সবজি চাষ করতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য পৃথিবীতে পাঠানো হয়। এসব সবজি পরীক্ষাগারে গবেষণা শেষে নাসা জানিয়েছে এগুলো খাওয়ার উপযোগী।
নাসা জানিয়েছে, পৃথিবী থেকে পাঠানো প্যাকেটজাত খাবার দুই থেকে তিন বছর ভালো থাকে। এদিকে নভোচারীদের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য এসব সবজি বেশ কাজে দেবে বলে নাসা ধারণা করছে। বিশেষ করে টাটকা সবজি এবং ফল তাদের শারীরিক ও মানসিক শক্তি যোগাবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : গ্রাহকদের অভিযোগের মুখে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবার মান পর্যবেক্ষণে সারাদেশে মনিটরিং টিম পাঠাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বিটিআরসি মনিটরিং টিম দেশের ১০০টি স্থানে সরেজমিনে মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের সেবার মান পর্যবেক্ষণ করবে।
বিটিআরসি জানায়, দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা বাড়লেও গ্রাহকরা প্রায়ই উচ্চমূল্যের পাশাপাশি ধীরগতি নেট প্রাপ্তি, নেটওয়ার্ক সমস্যা, কল ড্রপ (কানেকশনের সময় কল কেটে যাওয়া), সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ব্যবহারের চেয়ে বেশি টাকা কেটে নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ করে আসছেন।
বিটিআরসি’র স্পেকট্রাম বিভাগের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, যে গতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হচ্ছে তা যথাযথ কিনা, কল ড্রপ বেড়েছে কিনা, বরাদ্দ করা তরঙ্গের অতিরিক্ত ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা- প্রভৃতি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
বর্তমানে রাষ্ট্রয়ত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিটকসহ মোট ৬টি মোবাইল ফোন অপারেটর সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ চলতি বছরের জুন মাসের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা ১২ কোটি ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার। আর ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা চার কোটি ৮৩ লাখ ৪৭ হাজার।
ছয়টি মোবাইল অপারেটরের মধ্যে সিটিসেল ছাড়া থ্রি-জি সেবা দিচ্ছে পাঁচটি অপারেটর। থ্রি-জি সেবার মান নিয়েও গ্রাহকদের রয়েছে নানান অভিযোগ। অনেক জায়গায় থ্রি-জি’র মূল্য কাটা হলেও গ্রাহকদের দেওয়া হচ্ছে টু-জি সেবা।
আগামী দেড় মাসব্যাপী নিয়ন্ত্রক সংস্থার একাধিক মনিটরিং টিম এ কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। এরপর অপারেটরগুলো যে পরিমাণ সুবিধা দেওয়ার কথা, তা দেওয়া হচ্ছে কি না- তা নিয়ে অপারেটরদের সঙ্গে পর্যালোচনাও করা হবে।
মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট সেবার মান নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগের পর্যবেক্ষণ করতে এসব মনিটরিং টিম পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি’র একজন কর্মকর্তা। খুব দ্রুতই মনিটরিং টিম মাঠে নামছে।
গ্রাহকদের অভিযোগের বিষয়ে ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত অভিযোগ বক্সও স্থাপন করেছে বিটিআরসি। ‘কমপ্লেইন ফর ইন্টারনেট’ নামে বিটিআরসিতে গত এপ্রিলে একটি অভিযোগ বক্স স্থাপন করা হয়।