May 4, 2024
ডেস্ক রিপোর্ট : বগুড়ায় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও মাসহ তার মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় দায়ের মামলায় কাউন্সিলর মর্জিয়া হাসান রুমকিসহ সাত জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর মধ্যে রুমকির চারদিনের রিমান্ড এবং বাকি ছয় আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। সোমবার (৩১ জুলাই) বগুড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম সুন্দর রায় এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন বগুড়া পৌরসভার ২ নম্বর সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর রুমকি, তার বোন তুফানের স্ত্রী আশা, তাদের মা রুমা খাতুন, বাবা জামিলুল রহমান রুনু, তুফানের গাড়িচালক জিতু, তুফানের সহযোগী মুন্না।
এর আগে রবিবার তুফান সরকার (২৮), তার সহযোগী আলী আজম দিপু (২৫) ও রুপমের (২৪) তিনদিনের মঞ্জুর করেন আদালত।
উল্লেখ্য, বগুড়ার এক কিশোরীকে কলেজে ভর্তি করানোর নামে গত ১৭ জুলাই তাকে নিজ বাড়িতে কৌশলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে। তুফানের স্ত্রী এ ঘটনা জানতে পেরে স্বামীকে দায়ী না করে কিশোরীটিকেই ঘটনার জন্য দায়ী করে এবং সংরক্ষিত আসনের স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার মর্জিয়া হাসান রুমকির মাধ্যমে শুক্রবার (২৮ জুলাই) শালিস সভা বসিয়ে নির্যাতিতা ও তার মায়ের চুল কেটে দেয়। পরে নাপিত ডেকে তাদের ন্যাড়া করিয়ে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেয়। স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে ভর্তি করালে সে রাতেই তুফানসহ তার তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২৯ জুলাই শনিবার তুফানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নির্যাততের শিকার ওই কিশোরী। এ ঘটনার পর রবিবার তুফানকে শ্রমিকলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ছিলেন।
ডেস্ক রিপোর্ট : প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে সুইস ব্যাংকে ৯৬ হাজার কোটি টাকা রাখার বিষয়ে অস্বচ্ছ হিসাব দাখিল ও ২ কোটি ১৭ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ অর্থপাচার (মানিলন্ডারিং) প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে। সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) জাকির হোসেন বাদী হয়ে সোমবার (৩১ জুলাই) গুলশান থানায় মামলাটি করেছেন। শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান একথা জানিয়েছেন।
মামলাটি তদন্ত করবেন শুল্ক গোয়েন্দারা। এর আগে গোয়েন্দা অনুসন্ধানে মুসার বিরুদ্ধে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা একটি রেঞ্জ রোভার গাড়ি ভুয়া কাগজ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন, বেনামে অবৈধ আর্থিক লেনদেন ও মানি লন্ডারিং অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।
গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রিন্স মুসা লিখিতভাবে জানান, সুইস ব্যাংকে তার ৯৬ হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত আছে। কিন্তু তিনি এই টাকার কোনও ব্যাংক হিসাব বা বৈধ উৎস দেখাননি। কয়েকবার নোটিশ দিলেও তিনি তা জমা দেননি।
এদিকে, প্রিন্স মুসা ১৭ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ দেখিয়ে ভুয়া বিল অব অ্যান্ট্রি প্রদর্শন করে একটি রেঞ্জ রোভার গাড়ি বেনামে রেজিস্ট্রেশন করেন। কিন্তু শুল্ক গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই গাড়ি আনার ক্ষেত্রে তিনি ২ কোটি ১৭ লাখ টাকার শুল্ক ও কর ফাঁকি দিয়েছেন। ২১ মার্চ তার গুলশানের বাড়িতে শুল্ক গোয়েন্দারা অভিযান চালিয়ে রেঞ্জ রোভারটি আটক করেন।
গাড়িটি কারনেট সুবিধায় আনা হয়েছিল। তবে এই সুবিধার অপব্যবহার করে এবং ব্যক্তিগতভাবে তিনি আর্থিক লাভবান হওয়ার লক্ষ্যে ভুয়া শুল্ক পরিশোধের কাগজ দিয়ে গাড়িটি ব্যবহার করছিলেন।
এর আগে এবিষয়ে ঢাকা কাস্টম হাউসে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির সংযোগ থাকায় তা পৃথকভাবে তদন্তের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনকে অনুরোধ করা হয়।
সূত্র : বাংলাট্রিবিউন।
ডেস্ক রিপোর্ট : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরী আত্মহত্যা করেননি বলে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। দিয়াজের মৃত্যু হত্যামূলক বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।রবিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দিয়াজ হত্যাকাণ্ডের তদন্তকারী সংস্থার কাছে এই রিপোর্ট হস্তান্তর করেছে।দিয়াজ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং চট্টগ্রাম সিআইডির সিনিয়র এএসপি হুমায়ূন কবীর দিয়াজের মৃত্যুর ঘটনার পর দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করলেও প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি।তবে তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, দিয়াজের দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে দিয়াজ আত্মহত্যা করেননি বলে উল্লেখ করে বলা হয়েছে দিয়াজের মৃত্যু ‘হত্যামূলক’।উল্লেখ্য, গত ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নম্বর ফটক এলাকার নিজ বাসায় ঝুলন্ত অবস্থায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মরদেহ পাওয়া যায়। ঘটনার দুদিন পর ২৩ নভেম্বর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়
আত্মহত্যাজনিত শ্বাসরোধ হয়ে দিয়াজের মৃত্যু হয়েছে।দিয়াজের পরিবার এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দাবি করে দিয়াজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তার মরদেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।পরবর্তী সময়ে ২৪ নভেম্বর দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদী হয়ে চট্টগ্রামের আদালতে ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত কবর থেকে লাশ তুলে দিয়াজের দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।
সূত্র : বাংলাদেশে প্রতিদিন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘আমাদের দেশে কোনো মাদক তৈরী হয়না। সব পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আসে। কিন্তু এরপরও মাদকের গ্রাস থেকে আমরা মুক্তি পাচ্ছিনা। ফলে আমাদের যুব সমাজ পথ হারাচ্ছে। ’
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে ভারত সরকারের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, সীমান্ত এলাকায় ফেনসিডিলের সব কারখানা বন্ধ করে দেয়া হবে। এবং অন্যান্য মাদকও তারা নিয়ন্ত্রণ করবেন। ‘
রবিবার দুপুরে নগরীর অ্যাড. তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে মাদক বিরোধী বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইয়াবা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আমাদের যুবসমাজের কাছে ইয়াবা একটি ভয়ংকর নেশায় পরিণত হয়েছে। তাই এটির ওপর আমরা সর্ব্বোচ্চ শাস্তির বিধান করতে যাচ্ছি। খুব দ্রুত আইনের মাধ্যমে আমরা সেটা ব্যবস্থ্যা করতে পারবো।
বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ এমপি, নাজিম উদ্দিন আহমেদ এমপি, সালাহ উদ্দিন আহমেদ এমপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ এবং রেঞ্জ ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থি ছিলেন দি ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ এর সভাপতি শিল্পপতি আমিনুল হক শামীম।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, জেলা আ’লীগের সভাপতি অ্যাড. জহিরুল হক খোকা, পৌর মেয়র ইকরামুল হক টিটু, মহানগর আ’লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলসহ প্রমুখ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে যাবো এবং ২০৪১-এ উন্নত বাংলাদেশ হবে। এমন বাংলাদেশকেই এখন আমরা স্বপ্ন দেখছিএবং হৃদয়ে ধারন করি। সেখান থেকে যদি মাদকের কারনে আমাদের পথ হারিয়ে যায়, স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যায় সেই দু:খের সীমা থাকবেনা। সেজন্যই প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। ’
তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা যতই প্রভাবশালী হোক তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা। সকলকে মাদক ব্যবসায়ীদের বিষয়ে সচেতন থাকারও আহবান জানান তিনি।
অনেকটা হতাশা নিয়ে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, সর্বাত্মক প্রচেষ্টার পরও কোথায় যেনো সেই শক্ত গিড়টা ফসকে যাচ্ছে। সেজন্যই জনগণকে উদ্বুদ্ধ এবং সচেতন করার লক্ষ্যে বিভাগীয়, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে মাদক বিরোধী সমাবেশ করছি।
মাদক বিরোধী আলোচনা সভা শেষে মন্ত্রী শামীম এন্টারপ্রাইজ প্রা: লিমিডের বেনাপোল এবং কক্সবাজারের দুটি এসি বাস উদ্বোধন করেন। পরে বিকেলে মন্ত্রী পুলিশ লাইন্সে পুলিশ ব্যারাক-২ এর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন এবং মাদক ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য রিকশা প্রদান করেন।
সূত্র : বাংলাদেশে প্রতিদিন।
ডেস্ক রিপোর্ট :বগুড়ায় সদ্য এসএসসি পাস করা এক ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং পরে বিচারের নামে মা সহ তার মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার তিন আসামির তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রবিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম সুন্দর রায় তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন-বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার (২৮), কসাইপাড়ার দুলু আকন্দের ছেলে আলী আজম দিপু (২৫) ও কালিতলার জহুরুল হকের ছেলে রুপম (২৪)। গ্রেফতারের পর পুলিশের হেফাজতে থাকা অন্য আসামি হলেন খান্দার সোনারপাড়ার মোখলেসার রহমানের ছেলে আতিক (২৫)। সে গ্রেফতারের পরপরই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়নি।
এদিকে জেলা প্রশাসক নূরে আলম সিদ্দিকীর নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবদুস সামাদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নূরে আলম সিদ্দিকী সকালে বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মা ও মেয়েকে দেখতে যান। সেখানে তিনি বলেন, এখন থেকে তাদের দুইজনের চিকিৎসা ব্যয় জেলা প্রশাসন বহন করবে। এবং ওই ছাত্রীর লেখাপড়ার সব খরচও সরকার বহন করবে।
জেলা শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক সামছুদ্নি শেখ হেলাল জানান, অনেতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে তুফান সরকারকে শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, কলেজে ভর্তির বিষয়ে সাহায্যের নাম করে গত ১৭ জুলাই ওই ছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে তুফান। পরে স্থানীয় এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সহযোগিতায় উল্টো মেয়েটিকেই এ ঘটনার জন্য দায়ী করে এবং বিচারের নামে মাসহ মেয়েটিকে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। এরপর তাদের এলাকা ছাড়া করার জন্য এসিড মারার হুমকি দেওয়া হয়। শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুরে তাদের চুল কেটে দিলে নির্যাতনের শিকার ওই মা-মেয়ে থানায় মামলা করেন। এরপর শুক্রবার রাতেই চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তুফান ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অন্যরা সহযোগিতার কথা স্বীকার করেছে। তুফানের বিরুদ্ধে একটি মাদক আইনের মামলা বিচারাধীন রয়েছে। শিগগিরই কাউন্সিলর রুমকি ও অন্য আসামিরা গ্রেফতার হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
সূত্র : বাংলাট্রিবিউন।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক রিপোর্ট : বিচারিক আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নে আইন মন্ত্রণালয় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের পরামর্শ নেয়নি। রবিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
সেই সঙ্গে বিধিমালার বিষয়ে সুরাহার জন্য প্রধান বিচারপতির বৈঠকের প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালার বিষয়ে কয়েকদিন আগে আইনমন্ত্রী প্রধান বিচারপতির কাছে একটা খসড়া দিয়েছেন। আজকে এ বিষয়ক মাসদার হোসেন মামলা তালিকাভুক্ত ছিল। প্রধান বিচারপতি ওই খসড়ার কয়েকটি ধারা সম্পর্কে উনাদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে আমাকে আদালত জানিয়েছেন,আপিল বিভাগের বিচারপতিরা আইনমন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বা যাদেরকে সরকার পাঠাতে চান তাদের সঙ্গে বসতে চান এ ব্যাপারটা সুরাহা করতে। বৈঠক করার ব্যাপারে আমি আইন মন্ত্রণালয়কে জানাবো। আগামী বুধবার আপিল বিভাগ আলোচনা বসতে চান।’
এর আগে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেটের খসড়া গ্রহণ করেননি আপিল বিভাগ। এছাড়া
এই বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত।
এসময় সরকারের উদ্দেশে আপিল বিভাগ বলেন,‘বিষয়টি নিয়ে আসুন আমরা বৈঠকে বসি। রবিবার দুপুর ২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত যে কোনও সময় বৈঠক হতে পারে।’
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন,‘বৈঠকে আপিল বিভাগের সব বিচারপতি উপস্থিত থাকবেন। একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং এ বিষয়ে কোনও বিশেষজ্ঞকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়।’
রবিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানিকালে এই বৈঠকের আহ্ববান জানান।
সূত্র : বাংলাটিবিউন।
ডেস্ক রিপোর্ট : শুলিয়ার বড় রাঙ্গামাটিয়া এলাকায় এসির যন্ত্রাংশ আমদানি কারক ও বিক্রির একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান জিহাদী বই ও সিডি উদ্ধার করেছে র্যাব। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে জঙ্গি কর্মকান্ড সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আলামত উদ্বার করা হয়েছে।রবিবার ভোররাতে র্যাব-১ এর একটি বিশেষ দল আশুলিয়ার বড় রাঙ্গামাটিয়া এলাকায় অবস্থিত হারুন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ওয়্যার হাউজে অভিযানটি পরিচালনা করে।
তবে অভিযানের সময় ওই কারখানা থেকে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।র্যাব-১ এর মেজর ইশতিয়াক জানান, জঙ্গি কর্মকাণ্ড মদদ দেওয়া হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হারুণ ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ওয়্যার হাউজে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কারখানাটির ভিতর থেকে জঙ্গিদের উদ্ধুতকরণের কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ জিহাদী বই ও সিডি উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১ এর সিইও লে. কর্নেল সরোয়ার বিন কাশেম জানান, গত ১০ মে ২০১৭ তারিখে ইউকে থেকে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন হারুন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ওয়্যার হাউজের মালিক মো. হারুন। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদেরকে অর্থ ও বিভিন্ন সরঞ্জামাদি নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছেন।
এছাড়া গত ২২ জুন ওই কারখানার ড্রাইভার জাকির বিপুল পরিমাণ জিহাদী বই অন্যত্র সরিয়ে ফেলেন।এখানে কোন জঙ্গি নেই উল্লেখ করে
তিনি আরও জানান, মূলত এখান থেকে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে মদদ দেওয়া হলেও এটি কোন জঙ্গি আস্তানা নয়। কারখানাটির মালিক হারুন জঙ্গিদেরকে মদদ ও অর্থের যোগান দিয়ে থাকে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আমাদের নজরদারিতেই আছেন। খুব শিঘ্রই তাকে আটক করা সম্ভব হবে।
অভিযানে প্রাপ্ত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইসলামিক স্টাডিজ স্টুডেন্ট টেক্সট বুক ১৪৬, জিহাদি সিডি, কোরআন-হাদিসের দলিলসহ নাস্তিক-মুরতাদের শাস্তি, এয়ায়েতুল্লাহ আলতামাস হেজাযের তুফান, ইসলামি সমাজ বিপ্লবের ধারা, ইসলামি দৃষ্টিতে গণতন্ত্রের আসল রূপ যে কারণে ইমান ক্ষতিগ্রস্থ হয়, দুই শতাধিক ইমাম দাইদের ফতওয়া, আল্লাহর পথে অবরুদ্ধ ফকির যারা, যে সকল ক্ষেতে কুফর প্রকাশ করা বৈধ, পার্যালোচনা ও চ্যালেঞ্জ, ফিতনাতুত তাকফির করা।
সূত্র : জনকন্ঠ।
ডেস্ক রিপোর্ট : বগুড়ায় বাড়ি থেকে ক্যাডার দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। তবে এখনো ধরা পড়েননি নির্যাতনকারী নারী কাউন্সিলর ও অন্যরা।
আজ রোববার বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম শ্যামসুন্দর রায়ের আদালতে আসামি বগুড়ার শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার, তাঁর সহযোগী শহরের চকসূত্রাপুর কসাইপট্টির আলী আজম ওরফে ডিপু এবং কালীতলা এলাকার রূপমকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তি দেওয়ায় আতিকুর রহমানকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়নি।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, নতুন কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। নির্যাতনকারী নারী কাউন্সিলর ও অন্যদের ধরার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও জানান, তুফান সরকারের বিরুদ্ধে মাদকের দুটি মামলা রয়েছে। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে যুবদল নেতা ইমরান হত্যা মামলা ছিল। মেয়েটির ধর্ষণের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আজ আবেদন করা হবে।
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান আব্দুল মোত্তালেব হোসেন বলেন, মেয়েটির শরীরে লোহা বা রড জাতীয় বস্তু দিয়ে সাত থেকে আট জায়গায় আঘাত করা হয়েছে। ফোলা ও জখম আছে। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত।
জেলা প্রশাসক নূরে আলম সিদ্দিকী বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা-মেয়েকে দেখতে যান। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনি মেয়েটিকে চিকিৎসা ও আইনি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন। মেয়েটির ফলাফলের ভিত্তিতে তার কলেজে ভর্তির ব্যবস্থাও করবেন বলে জানান।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সামাদ প্রধানের নেতৃত্বে কমিটিতে আছেন, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক শহীদুল ইসলাম খান ও জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম।
উল্লেখ, শুক্রবার বিকেলে কলেজে ভর্তি-ইচ্ছুক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন বগুড়ার শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তিনি ও তাঁর সহযোগীরা দলীয় ক্যাডার ও এক নারী কাউন্সিলরকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পেছনে লেলিয়ে দেন। চার ঘণ্টা ধরে তাঁরা ছাত্রী ও তার মায়ের ওপর নির্যাতন চালান। এরপর দুজনেরই মাথা ন্যাড়া করে দেন।এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার, তাঁর স্ত্রী আশা সরকার, আশা সরকারের বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে দুটি মামলা করেছেন। –
সূত্র : জনকন্ঠ।
ডেস্ক রিপোর্ট :অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত নতুন বিধিমালার যে খসড়া আইন মন্ত্রণালয় দিয়েছে, তা সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশ অনুসারে নয় বলে অভিহিত করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তিনি বলেছেন, ‘এটি উল্টো। এভাবে চলতে পারে না।’
নতুন বিধিমালা পর্যালোচনা করে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে এ কথা জানিয়ে চলতি সপ্তাহে বেলা দুইটার পরে যেকোনো সময় এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে আলোচনায় বসতে বলেছেন আদালত। আইনমন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা এই আলোচনায় থাকতে পারবেন জানিয়ে আদালত আগামী রোববার পরবর্তী আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আজ রোববার আদেশের এই দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি নতুন এই বিধিমালার খসড়া প্রধান বিচারপতির কাছে হস্তান্তর করেন।
২৩ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ এক সপ্তাহ সময় মঞ্জুর করেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি আদেশের জন্য কার্যতালিকার এক নম্বর ক্রমিকে ছিল। দাখিল করা বিধিমালার নতুন খসড়া তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বলতে কী বোঝায়, প্রত্যেক আইনে সংজ্ঞায়িত করা আছে। তা আমি আইনমন্ত্রীকে দেখিয়েছি। কর্তৃপক্ষ বলতে বিচার বিভাগের জন্য রাষ্ট্রপতিকে রাখলেন। তাহলে তো আইন মন্ত্রণালয়ই থাকছে। এ বিষয়ে সমাধানে না গেলে চলবে না।’
পর্যালোচনা করে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘সরকার কর্তৃক নির্ধারিত গেজেটের তারিখ থেকে কার্যকর হবে বলা আছে। অথচ মাসদার হোসেন মামলায় নির্দেশনা আছে, সুপ্রিম কোর্ট যে তারিখ থেকে কার্যকরের পরামর্শ দেবেন, সেই তারিখ থেকে কার্যকর হবে। উল্টো পাঠিয়েছেন। ১৬ বছরেও হয়নি। এভাবে হলে ১৬০০ বছরেও গেজেট হবে না।’
১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন। রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর ২০১৫ সালের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় বিধিমালার একটি খসড়া তৈরি করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়। ওই বিধিমালা সংশোধন করে দেন আপিল বিভাগ। এই খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এই বিধিমালা গেজেট আকারে জারি করে তা দাখিল করতে গত বছরের ২৮ আগস্ট আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ কয়েক দফা সময় নেয়।
সূত্র : প্রথম অলো ।
ডেস্ক রিপোর্ট :নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেটের খসড়া গ্রহণ করেননি আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে এই বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত।
এসময় সরকারের উদ্দেশে আপিল বিভাগ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আসুন আমরা বৈঠকে বসি। রবিবার দুপুর ২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত যে কোনও সময় বৈঠক হতে পারে বলে জানান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ওই বৈঠকে আপিল বিভাগের সব বিচারপতি উপস্থিত থাকবেন। একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং এ বিষয়ে কোনও বিশেষজ্ঞকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়।’
রবিবার (৩০ জুলাই) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানিকালে এই বৈঠকের আহ্বান জানান।
এর আগে গত ২৭ জুলাই প্রধান বিচারপতির সঙ্গে এক বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার কাছে ওই বিধিমালার খসড়া হস্তান্তর করেছিলেন।
পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘আজকে (২৭ জুলাই) আমি বিধিমালার খসড়া প্রধান বিচারপতির কাছে হস্তান্তর করেছি। এটি এখন তিনি দেখবেন। পরে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।’
এছাড়াও ২০ জুলাই প্রধান বিচারপতির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ওই বৈঠকের পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে সরকার।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। ১২ দফার মধ্যে ইতোমধ্যে কয়েক দফা বাস্তবায়ন করেছে সরকার। এজন্য বারবার আদেশ দিতে হয়েছে আপিল বিভাগকে। এমনকি ২০০৪ সালে আদালত অবমাননার মামলাও করতে হয়েছে বাদীপক্ষকে। এরপর ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক ঘোষণা করেন।