পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

ষোড়শ সংশোধনী যতবার বাতিল হবে ততবারই সংসদে পাস হবে : অর্থমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট : বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আদালত যতবার বাতিল করবে ততবারই সংসদে এই সংশোধনী পাস করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

শুক্রবার দুপুরে সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিচারপতিদের চাকরি সংসদই দেয়, সুতরাং তাদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতেই থাকা উচিত।

আবুল মাল আবদুল মুহিত, বিচারকরা জনগণের প্রতিনিধিদের ওপর খবরদারি করেন। অথচ আমরা তাদের নিয়োগ দেই। বিচারকদের এমন আচরণ ঠিক নয়।

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের বিরুদ্ধে করা সরকারের আপিল গত ৩ জুন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ খারিজ করে দেন। এর ফলে উচ্চ আদালতের বিচারপতি অপসারণে ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে ন্যস্ত রইল বলে জানান আইনজীবীরা।

এনিয়ে প্রধান বিচারপতি ও সরকারের কর্তাব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকদিন ধরেই বাদানুবাদ চলছে।

Posted in আইন-আদালত, রাজনীতি | Comments Off on ষোড়শ সংশোধনী যতবার বাতিল হবে ততবারই সংসদে পাস হবে : অর্থমন্ত্রী

সংশোধনী বাতিলের সঙ্গে সরকারের পদত্যাগের সম্পর্ক নেই: ইনু

ডেস্ক রিপোর্ট : সংবিধানের কোনো সংশোধনী আদালত যদি বাতিল করেন, তার সঙ্গে সরকারের পদত্যাগের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

আজ শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়া সার্কিট হাউসে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের কাছে এই মত প্রকাশ করেন তথ্যমন্ত্রী।
হাসানুল হক ইনু বলেন, সংবিধানের কোনো আইন আদালত যদি পর্যালোচনা করে বাতিল করেন, তার সঙ্গে সরকারের পদত্যাগের কোনো সম্পর্ক নেই।

এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগ বিচার বিভাগের কাজ করেছে। আইন বিভাগ আইন বিভাগের কাজ করেছে। যদি সংবিধান-সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো মতবিরোধ থাকে, সেটা আদালতের মধ্য দিয়েই নিষ্পত্তি হচ্ছে। সেখানে গণতন্ত্র শক্তিশালী হচ্ছে। এখানে সরকারের পদত্যাগের প্রশ্নই ওঠে না।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটা ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তারের চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেন জাসদ সভাপতি।
হাসানুল হক ইনু বলেন, পঁচাত্তরের খুনি, তাদের ধারক-বাহক ও দোসরেরা এখনো বাংলাদেশে সক্রিয় রয়েছে। পঁচাত্তরের খুনিরা সংবিধানের বাইরে বাংলাদেশকে ঠেলে দিয়েছিল। তারা মুক্তিযুদ্ধকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল। তাদেরই ধারক-বাহক রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী, সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং তাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি-জামায়াত এখনো চক্রান্ত করছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মা তখনই শান্তি পাবে, যদি বাংলাদেশে আর রাজাকার-সমর্থিত অথবা সামরিক-সমর্থিত কোনো সরকার না হয়।
মতবিনিময়ে জাসদের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আমাদের সময়ডটকম

Posted in আইন-আদালত, সারা দেশ | Comments Off on সংশোধনী বাতিলের সঙ্গে সরকারের পদত্যাগের সম্পর্ক নেই: ইনু

‘অসুস্থ’ আইনমন্ত্রী আসছেন না প্রধান বিচারপতির বৈঠকে

ডেস্ক রিপোর্ট : নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালার বিষয়ে সুরাহা করতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ডাকা বৈঠকে আসেননি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। যদিও গত সোমবার (৩১ জুলাই) আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি প্রধান বিচারপতিকে ফোন করে বলেছিলেন যে, বৃহস্পতিবারে (০৩ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টে আসবেন।

গত রোববার (৩০ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দুপুর ২টা থেকে আমি ও আপিল বিভাগের বিচারপতিরা রাত ১২টা পর্যন্ত আপনাদের (সরকার) সময় দেবো। বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালা নিয়ে আর রশি টানাটানি নয়। আইনমন্ত্রীসহ সরকারের যেকোনো বিশেষজ্ঞ আসবেন, বৈঠকে বসবো। আপনিও থাকবেন’।

বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সময়ের শেষ দিনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি খুবই অসুস্থ। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে জানিয়ে দিয়েছি, আজ আসতে পারছি না’।

প্রধান বিচারপতির বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানোর দিনই দুপুরে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, প্রধান বিচারপতির বৈঠকের প্রস্তাবের ব্যাপারে আমি আইন মন্ত্রণালয়কে জানাবো। বৈঠক অনুষ্ঠানের ব্যাপারে তাদের মতামত কি সেটি জানানোর জন্য’।

পরের দিন সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এক সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘তারা (বিচারপতিরা) মাসদার হোসেন মামলায় ডিসিপ্লিনারি রুলসের কথা বলেছেন। কেউ কিন্তু ডিসিপ্লিনারি রুলস করেননি। আমি আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পরে এ রুলসটা করি। যেহেতু ১০৯ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘হাইকোর্ট বিভাগের অধঃস্তন সকল আদালত ও ট্রাইব্যুনালের ওপর ওই বিভাগের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা থাকবে, যেটি হাইকোর্ট, নট আপিল বিভাগ ……। তাদেরকে জানানোর জন্য এটি (রুলস) তাদের কাছে পাঠিয়ে ছিলাম’।

‘তারা সংশোধন করে যেটা দিয়েছিলেন, সেখানে দেখা গেছে, আমার কাছে ডকুমেন্ট আছে, ১১৬ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতির যে ক্ষমতা, সেটি তারা নিয়ে নিতে চান। আমি কি করে সেটি দেই?। আপনারা আমাকে রায় দিয়ে দেন, বলেন?। আমি তো দিতে পারি না’।
আনিসুল হক বলেন, ‘আমি বললাম, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আসুন, শেষ করে দেই। আমি একটি খসড়া পাঠিয়েছি। আপনারা সংশোধন করে দিয়েছেন। আমরা সেটির ওপরে সেটুকুই হাত লাগিয়েছি- যেখানে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ১১৬ অনুচ্ছেদ ( বিচার-কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালনে রত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধান রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত থাকবে এবং সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তা প্রযুক্ত হবে) মতে, সেটি আমি শুধু বলেছি, না, এটি দেওয়া যাবে না। ওটি ফেরত পাঠিয়েছেন’।

‘আমি তো এসে তাকে (প্রধান বিচারপতি) দিয়েছি। আমিতো এমন নয় যে, পিয়ন বা আমার সচিবকে দিয়ে তার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। আমি এসে তাকে দিয়েছি। বলেছি, আপনি পড়েন, আপনি দেখেন। তার পরে যদি কোনো বক্তব্য থাকে, আমাকে জানান। তারপরেও আলোচনা করবো’।

‘তিনি এজলাসে উঠে বলেন, যে হাইকোর্টটা তাহলে উঠিয়ে দেন। হাইকোর্টতো বঙ্গবন্ধু করে দিয়ে গেছেন। আমরা কি করে উঠিয়ে দেবো? তাহলে এ কথা কি অপ্রাসঙ্গিক না? । তিনি প্রধান বিচারপতি। আমার তার প্রতি যথেষ্ট সম্মান আছে। আমি সেই সম্মান ও অধিকার রেখে মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে বলতে চাই, আমিতো হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট ওঠানোর কথা বলিনি’।

‘ডিসিপ্লিনারি রুলস দিয়ে হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট ওঠে না। আপনার এজলাসে বসে এগুলো তো বলার তো দরকার হয় না। আলাপ-আলোচনা তো আমি করবোই। আমি কালকে যশোরে ছিলাম। তার কথা শুনে আমি ফোন করে বলেছি, আমি আসছি, বৃহস্পতিবারে বসবো। আমাদের সদিচ্ছা আছে’।

১৯৯৯ সালের ০২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেনের মামলায় (বিচার বিভাগ পৃথককরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। আপিল বিভাগের এ নির্দেশনার পর গত বছরের ০৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়।

গত বছরের ২৮ আগস্ট শুনানিকালে আপিল বিভাগ খসড়ার বিষয়ে বলেন, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিলো ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ। যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থি।

এর পরই সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান। গত ১৬ জুলাই প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ সংক্রান্ত গেজেট শিগগিরই প্রস্তুত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আইনমন্ত্রী। পরবর্তীতে ফের ২৭ জুলাই বিকেলে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খসড়াটি হস্তান্তর করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

কিন্তু রোববার (৩০ জুলাই) সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির বেঞ্চ আইনমন্ত্রীর দেওয়া খসড়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হলো। তিনি খসড়া দিয়ে গেলেন। আমি তো খুশি হয়ে গেলাম। যদিও খুলে দেখিনি। কিন্তু এটি কি?’

এরপর বৈঠক ডেকেছিলেন সর্বোচ্চ আদালত।

Posted in আইন-আদালত | Comments Off on ‘অসুস্থ’ আইনমন্ত্রী আসছেন না প্রধান বিচারপতির বৈঠকে

সুইডিশ মিউজিক ফেস্টিভালে ৪ কিশোরী ধর্ষিত, শ্লীলতাহানি ১১ জনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সুইডেনের এম্মাবোডার এক সঙ্গীতানুষ্ঠানে ৪ কিশোরী ধর্ষনের কথা নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ১১জন নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে বলে জানায় তারা।

স্থানীয় রোববার এ বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে পুলিশ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৫-১৭ বছর বয়সী ৪ কিশোরীকে ধর্ষন করা হয় ২৪-২৯ তারিখ পর্যন্ত চলা এম্মাবোডার ওই মিউজিক ফেস্টিভালে। বাকি ১১জন নারীর বয়স ১৮ বা তার অধিক।

ঘটনায় ৬ জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায়, স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র এওয়া-গান ওয়েস্টফোর্ড ।

এবারের এই ফেস্টিভালে ২৫১ টি মাদক ব্যবহার মামলা, ১১৩টি মাদক বিষয়ক দূর্ঘটনা এবং ১০টি মাদক চালানের মামলা পুলিশের খাতায় অর্ন্তভুক্ত হয়েছে।

পরিসংখ্যান জানাচ্ছে গত বছরের ফেস্টিভালে দাখিলতকৃত মামলার থেকে এবছরের মামলার হার প্রায় দ্বিগুন। এসব মামলায় অনুষ্ঠানে কর্মরত অনেকেই জড়িত থাকতে পারে বলে জানায় পুলিশ। আরটি

Posted in আইন-আদালত, আন্তর্জাতিক | Comments Off on সুইডিশ মিউজিক ফেস্টিভালে ৪ কিশোরী ধর্ষিত, শ্লীলতাহানি ১১ জনের

অভিজিৎ হত্যা মামলা, প্রতিবেদন দাখিল ১৩ সেপ্টেম্বর

ডেস্ক রিপোর্ট : বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা ডিবি পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী এ দিন ধার্য করেন।উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ব্লগার অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হন অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ। পরে শাহবাগ থানায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক ড. অজয় রায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন পর আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা (একিউআইএস) ওই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকারের খবর দেয় জঙ্গীগোষ্ঠীর ইন্টারনেটভিত্তিক তৎপরতা নজরদারি করা ওয়েবসাইট ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ।’বাংলাদেশ সরকার অবশ্য বরাবরই বলে আসছে, এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর কোনো সম্পর্ক নেই।

Posted in আইন-আদালত, সারা দেশ | Comments Off on অভিজিৎ হত্যা মামলা, প্রতিবেদন দাখিল ১৩ সেপ্টেম্বর

ঢাবির ভিসি মনোনয়ন ॥ গঠিত প্যানেল স্থগিত

ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাবির ভিসি মনোনয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য মনোনয়নের জন্য গঠিত তিন সদস্যের প্যানেলের কার্যক্রম স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।একইসঙ্গে এ বিষয়ে জারি করা রুল চার সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এস এম মেজবাহউদ্দিন।

Posted in আইন-আদালত | Comments Off on ঢাবির ভিসি মনোনয়ন ॥ গঠিত প্যানেল স্থগিত

৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ বন্ধ হওয়া জরুরি: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বন্ধের চেয়ে অপপ্রয়োগ বন্ধ হওয়া জরুরি।

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মেট্রোরেলের ট্র্যাক ও এলিভেটেড স্টেশন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

খুলনার সাংবাদিক আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা ও গ্রেফতার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তুচ্ছ কিছু ঘটলো আর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হলো-এটি ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ। এ ধারা বাতিলের চেয়ে এর অপপ্রয়োগ বন্ধ করা দরকার।’

তিনি বলেন, সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণের জন্য ৫৭ ধারা করা হয়েছিল। কিন্তু তুচ্ছ কারণে এর অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। তুচ্ছ কারণেও এই ধারার ব্যবহার হচ্ছে।

এ ব্যপারে তথ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। বলেন, এ আইন বাদ দেয়ার কথা আমি বলব না, তবে অপপ্রয়োগ ঠেকাতে বলবো। সূত্র:বাসস

Posted in আইন-আদালত, তথ্যপ্রযুক্তি, সারা দেশ | Comments Off on ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ বন্ধ হওয়া জরুরি: ওবায়দুল কাদের

পূর্ণাঙ্গ রায় না পড়া পর্যন্ত মন্তব্য করব না : আইনমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট : সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে আপিল বিভাগ যে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘রায় প্রকাশ হয়েছে বলে শুনেছি। পূর্ণাঙ্গ রায় না পড়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু মন্তব্য করব না।’

মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, বিচারপতিদের অপসারণসংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে মঙ্গলবার সকালে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়েছে।

রায় প্রদানকারী প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ সাত বিচারপতির স্বাক্ষরের পর ৭৯৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। রায়ে বিচারপতিদের অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বিধান বহাল রাখা হয়েছে।

Posted in আইন-আদালত | Comments Off on পূর্ণাঙ্গ রায় না পড়া পর্যন্ত মন্তব্য করব না : আইনমন্ত্রী

আরও দুই সপ্তাহ ভ্রাম্যমাণ আদালত

ডেস্ক রিপোর্ট :নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে জরুরি বিচারিক বিধানসংক্রান্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও দুই সপ্তাহ বেড়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এর ফলে পরবর্তী দুই সপ্তাহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন মামলার আইনজীবীরা।

গত ১১ মে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসংক্রান্ত আইনের কয়েকটি ধারা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এর ফলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সুযোগ নেই বলে আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন।

পরে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২১ মে আপিল বিভাগ ২ জুলাই পর্যন্ত রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। এরপর ৪ ও ১৮ জুলাই দুই দফায় আরও দুই সপ্তাহ করে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভবন নির্মাণ আইনের কয়েকটি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর এসথেটিক প্রপার্টিজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খানকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। সে বছরের ২০ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি।পরে কামরুজ্জামান ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের (মোবাইল কোর্ট অ্যাক্ট-২০০৯) কয়েকটি ধারা ও এসব ধারার উপর ভিত্তি করে তাকে দেওয়া সাজার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ১১ অক্টোবর কামারুজ্জামান হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল দেন।রুলে রিট আবেদনকারীর (কামরুজ্জামান) সাজা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি সাজার আদেশ স্থগিত করা হয়।এ ছাড়া ভবন নির্মাণ আইনের কয়েকটি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর টয়নবি সার্কুলার রোডে অবস্থিত এক বাড়ির মালিক মো. মজিবুর রহমানকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।আইনের বিধান চ্যালেঞ্জ ও অর্থ ফেরতের নির্দেশনা চেয়ে ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর রিট করেন মজিবুর। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই দিন হাইকোর্ট রুলসহ সাজার আদেশ স্থগিত করেন। রায়ে আদালত তার জমিরানার ১০ লাখ টাকা ৯০ দিনের মদ্যে ফেরতের নির্দেশ দেন।এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের কয়েকটি বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১২ সালে ২ মে দিনাজপুরের বেকারি মালিকদের পক্ষে মো. সাইফুল্লাহসহ ১৭ জন আরেকটি রিট করেন। এতে বেকারিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষেত্রে খাদ্য বিশেষজ্ঞ ও পরীক্ষার জন্য যন্ত্রপাতি সঙ্গে রেখে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চাওয়া হয়। শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৮ মে হাইকোর্ট রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন।সেই তিনটি রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১১ মে এই রায় দেন হাইকোর্ট।

সূত্র : জনকন্ঠ।

Posted in আইন-আদালত | Comments Off on আরও দুই সপ্তাহ ভ্রাম্যমাণ আদালত

ষোড়শ সংশোধনী বাতিল, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

ডেস্ক রিপোর্ট : বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় প্রকাশ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাসহ আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির স্বাক্ষরের পর আজ মঙ্গলবার এ রায় প্রকাশ করা হয়।

এর আগে ১ জুন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণ-সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শেষ হয়। পরে যেকোনো দিন এ রায় ঘোষণা করার জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়। শুনানি শুরু হওয়ার ১১তম দিনের শেষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখে। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন— বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।

গত ৩০ মে দশম দিনের আপিল শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরিদের মতামত প্রদান শেষ হয়। মোট ১০ জন অ্যামিকাস কিউরি আদালতে মতামত দিয়েছেন। যার মধ্যে নয়জনই ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পক্ষে মতামত দেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার আপিল শুনানিতে সহায়তার জন্য আদালত ১২ জ্যেষ্ঠ আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। ১২ জনের মধ্যে ১০ জন আদালতে তাঁদের মতামত উপস্থাপন করেন। অ্যামিকাস কিউরি নিযুক্ত হলেও ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ও ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ মতামত দেননি।

বক্তব্য প্রদান করা ১০ জনের মধ্যে শুধু ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি ষোড়শ সংশোধনী রাখার পক্ষে মত দেন। বাকিরা এই সংশোধনী বাতিলের পক্ষে নিজেদের যুক্তি তুলে ধরেন। সংশোধনী বাতিলের পক্ষে মত দেয়া নয় আইনজীবী হলেন— ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, বিচারপতি টি এইচ খান, ড. কামাল হোসেন, এ এফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, এম আই ফারুকী এবং এ জে মোহাম্মদ আলী। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের বিধানটি তুলে দিয়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয়। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ৯৬ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন এনে বিচারকের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

যেটি ১৯৭২ সালের সংবিধানেও ছিল। সংবিধানে এই সংশোধনী হওয়ায় মৌল কাঠামোতে পরিবর্তন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করবে, এমন যুক্তিতে ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছরের ৫ নভেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর রুল জারি করেন। গত বছরের ১০ মার্চ মামলাটির চূড়ান্ত শুনানি শেষে ৫ মে রায় দেয় আদালত।

সূত্র : জনকন্ঠ।

Posted in আইন-আদালত | Comments Off on ষোড়শ সংশোধনী বাতিল, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud