পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

সানির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ৩১ আগস্ট

ডেস্ক রিপোর্ট : নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলায় ক্রিকেটার আরাফাত সানির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে আগামী ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম জিয়ারুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের এই দিন ধার্য করেন।

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) হরলাল মল্লিক সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন।

জিআরও জানান, ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করায় সময়ের আবেদন করে। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন করে দিন ধার্য করেন।

গত ২২ জানুয়ারি সকালে ঢাকার আমিনবাজার এলাকা থেকে সানিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় একদিনের রিমান্ড ভোগ করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের দুটি মামলা করা হয়। সেসব মামলা থেকেও জামিন পান সানি।

Posted in আইন-আদালত, খেলাধুলা | Comments Off on সানির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ৩১ আগস্ট

দিয়াজ হত্যা: আসামিদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিলেন আদালত

ডেস্ক রিপোর্ট : কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে আসামিদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৭ আগস্ট) চট্টগ্রামের মুখ্য বিচারিক হাকিম মুন্সি মশিয়ার রহমান এই আদেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি আসামিরা যেন দেশত্যাগ করতে না পারে, সেজন্য তাদের পাসপোর্ট জব্দ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। অন্য এক আদেশে আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
দিয়াজের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু মনসুর আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আজ (সোমবার) এক আদেশে আদালত বলেছেন, তদন্তের প্রয়োজনে আসামিদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবদ করার প্রয়োজন হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তা করতে পারবেন। আসামিরা যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন, সেজন্য তাদের পাসপোর্ট জব্দ করার অনুমতিও আদালত ওই একই আদেশে দিয়েছেন।’
অ্যাডভোকেট আবু মনসুর আরও বলেন, ‘আদালত অন্য এক আদেশে তদন্ত কর্মকর্তাকে আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার নিজ বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে প্রথম ময়নাতদন্ত হয়।
২৩ নভেম্বর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়, দিয়াজকে হত্যা করা হয়েছে— এমন আলামত পাওয়া যায়নি। পরে বিষয়টিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি করে দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী ছাত্রলীগ নেতা ও সহকারী প্রক্টরসহ ১০ জনকে আসামি করে ২৪ নভেম্বর আদালতে মামলা দায়ের ও পুনঃময়নাতদন্তের আবেদন করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন— বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামশেদুল আলম, সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সদ্য স্থগিত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপু, অর্থনীতি বিভাগের ২০০৯-১০ সেশনের রাশেদুল আলম জিসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০০৮-০৯ সেশনের আবু তোরাব পরশ, অর্থনীতি বিভাগের ২০০৭-০৮ সেশনের মো. মনছুর আলম, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২০০৮-০৯ সেশনের আব্দুল মালেক, ইতিহাস বিভাগের ২০০৯-১০ সেশনের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান, সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের আরিফুল হক অপু ও বাংলা বিভাগের ২০০৯-১০ সেশনের মো. আরমান।
আসামিদের মধ্যে পরশ, মনছুর ও মালেক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সহ-সভাপতি, মিজানুর রহমান আপ্যায়ন সম্পাদক, মো. আরমান সাংগঠনিক সম্পাদক এবং অপু সহ-সম্পাদকের পদে ছিলেন।
গত ১০ ডিসেম্বর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে দিয়াজের মরদেহ ফের ময়নাতদন্ত করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের পর মরদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। গত ২ আগস্ট (রবিবার) পুনঃময়নাতদন্ত রিপোর্টে দিয়াজের মৃত্যুকে শ্বাসরোধজনিত হত্যামূলক উল্লেখ করা হয়।

আমাদের সময় ডটকম

Posted in আইন-আদালত | Comments Off on দিয়াজ হত্যা: আসামিদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিলেন আদালত

ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসছেন আইনমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট : সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে বেলা ১২টায় এই সংবাদ সম্মেলন হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মীরা।

আইন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সোমবার বিকালে মুঠোফোনে সংবাদ সম্মেলনের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন আইনমন্ত্রী।’

বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদে ফিরিয়ে এনে বর্তমান সরকারের আমলে পাস করা সংবিধানের ষোড়শ সংধোশনী বাতিল হয়ে গেছে উচ্চ আদালত। গত ১ আগস্ট এই মামলার যে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়েছে, তাতে শাসন ব্যবস্থা, সংসদ নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে নানা মন্তব্য এসেছে।

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর বিএনপি সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছে। আর এই রায়ে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছে সরকার। মন্ত্রিসভার বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে এই রায় নিয়ে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রকাশ্যে বলেছেন, ষোড়শ সংশোধনী বাতিল হলেও আবার তা পাস করা হবে। প্রয়োজনে বারবার পাস করা হবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই মতামতকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বক্তব্য বললেও মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়েও কথা হয়েছে।

একজন মন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের সবার কথা, আমাদের সংসদ আছে, আমরা নতুন আইন করব, এটা তো আর তিনি (প্রধান বিচারপতি) বন্ধ করতে পারবেন না।’

মন্ত্রিসভার বৈঠকে ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায় নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেন আইনমন্ত্রী। এই আলোচনা অংশ নেন মন্ত্রিসভার সব সদস্য।আমাদের সময় ডটকম

Posted in আইন-আদালত, জাতীয় | Comments Off on ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসছেন আইনমন্ত্রী

পুলিশের তদন্ত, টিয়ারশেলই লেগেছে সিদ্দিকুরের চোখে

ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময় তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুরের চোখে পুলিশের টিয়ারশেলই লেগেছে বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশের তদন্ত কমিটি। এই ঘটনায় সাত পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়ী করা হয়েছে।

আজ সোমবার এই তদন্ত প্রতিবেদন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার কাছে জমা দেয়ার কথা রয়েছে। তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্যরা হচ্ছেন- ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) আশরাফুল আলম।

জানা যায়, অভিযুক্তরা হলেন- শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু জাফর আলী বিশ্বাস ও পরিদর্শক (অভিযান) আবুল কালাম আজাদ। এ ছাড়া দাঙ্গা দমন বিভাগের (পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট-পিওএম) পাঁচ কনস্টেবলের নামও আছে।

গত ২০ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচির সময় পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান চোখে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন। ঘটনার পর প্রথমে তাকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এবং পরবর্তীতে সরকারি খরচে ভারতের চেন্নাই পাঠানো হয়।

ঘটনার পর অভিযোগ উঠে, পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেলের (কাঁদানে গ্যাস) আঘাতে সিদ্দিকুর চোখে আহত হন। কিন্তু ডিএমপির পক্ষ থেকে প্রথমে তা অস্বীকার করা হয়। পরে বিষয়টি গণমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচিত হতে থাকলে সরকার সিদ্দিকুরের চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়। এছাড়া পুলিশ ঘটনাটি তদন্তে দুটি পৃথক কমিটি গঠন করে।

বর্তমানে চেন্নাইয়ের শংকর নেত্রালয়ে চিকিৎসাধীন আছেন সিদ্দিকুর। গত শুক্রবার তার অপারেশন হয়। শনিবার চোখের ব্যান্ডেজ খোলা হলে বাম চোখে সামান্য আলো দেখতে পান তিনি। তবে দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসেনি। তার দৃষ্টিশক্তি ফিরবে কি ফিরবে না তা নিশ্চিত হতে আরও দুই মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছে শংকর নেত্রালয়ের চিকিৎসকরা। জনকন্ঠ

Posted in আইন-আদালত | Comments Off on পুলিশের তদন্ত, টিয়ারশেলই লেগেছে সিদ্দিকুরের চোখে

বিশ্বজিৎ হত্যা: ২ জনের ফাঁসির রায় হাই কোর্টে বহাল

ডেস্ক রিপোর্ট : পুরান ঢাকার দর্জি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আট আসামির মধ্যে দুজনের ফাঁসির রায় বহাল রেখেছে হাই কোর্ট।

পাঁচ বছর আগের আলোচিত এ মামলায় নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বাকি ছয়জনের মধ্যে চারজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ১৩ আসামির মধ্যে যে দুজন আপিল করেছিলেন, তারা হাই কোর্টে খালাস পেয়েছেন।

পলাতক থাকা বাকি ১১ জনের বিষয়ে হাই কোর্টের রায়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। ফলে তাদের ক্ষেত্রে আগের সাজাই বহাল থাকছে।

এ মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যৃদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের আপিলের রায়ের শুনানি করে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার এ রায় দেয়।

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধের মধ্যে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একটি মিছিল থেকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে বিশ্বজিৎকে হত্যা করা হয়।

ওই ঘটনার খবর ও ছবি সারা বিশ্বে আলোড়ন তোলে। আসামিরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মী হওয়ায় সরকারকে সে সময় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।

হাই কোর্টের রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, “বর্তমানে ছাত্রনেতারা হলের রুম পর্যন্ত ভাড়া দেয়। তারা দলীয় স্বার্থে ব্যবহৃত হচ্ছে।”

রায়ে বলা হয়, “এটা পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড না হলেও আসামিদের সম্মিলিত হামলার ফলেই বিশ্বজিতের মৃত্যু হয়েছে।”

কিন্তু সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে ‘গাফিলতির’ কারণে নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা হাই কোর্টে এসে কমে গেছে। সুরতহাল ও ময়নাতদন্তে আঘাতের যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে আসামিদের জবানবন্দি ও সাক্ষীদের বর্ণনার মিল পায়নি আদালত।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুজ্জামান জানান বলেন, বিশ্বজিতের লাশের সুরতহাল করার ক্ষেত্রে সূত্রাপুর থানার এসআই জাহিদুল হকের দায়িত্বে অবহেলা ছিল কি না- তা তদন্ত করে আইজিপিকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আর ময়নাতদন্ত করার ক্ষেত্রে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের শিক্ষক মাকসুদুর রহমানের কোনো গাফিলতি ছিল কি না- তা তদন্ত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ডেন্টাল কাউন্সিলকে প্রতিবেদন দিতে বলেছে হাই কোর্ট।

এই আদেশ ঠিকমত বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না- সে বিষয়ে মানবাধিকার বিষয়ে অভিজ্ঞ আইনজীবী মনজিল মোরসেদকে সময়ে সময়ে আদালতে জানাতে বলা হয়েছে।

‘তা কী করে হয়!’

রায়ের পর বিশ্বজিতের বাবা অনন্ত কুমার দাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা কী যে দুঃখ পেয়েছি, তা বলার মতো না।”

“আটজন মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামির মধ্যে দুজন খালাস পেল! তা কী করে হয়,” প্রশ্ন রেখেছেন তার ভাই উত্তম কুমার দাস।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান রায়ের পর সাংবাদিকদের বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত তারা পূর্ণাঙ্গ রায় দেখার পর নেবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পলাতক যে ১১ আসামির বিষয়ে হাই কোর্ট রায়ে কোনো মন্তব্য করেনি, গ্রেপ্তার হলে বা আত্মসমর্পণ করলে তাদের বিষয়ে পরবর্তী বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হবে।

অন্যদিকে হাই কোর্টের রায়ে খালাসপ্রাপ্ত সাইফুল, কাইয়ুম এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শাকিলের আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন,সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণ হয়নি বলেই আদালত সাইফুল ও কাইয়ুমকে খালাস দিয়েছে।

“এ মামলায় চাক্ষুস কোনো সাক্ষী নেই। ভিডিও ফুটেজের উপর ভিত্তি করে সাজা দেওয়া হয়েছে। রফিকুল ইসলাম শাকিল সেদিন বিশ্বজিৎকে ধাওয়া করেছিলেন। তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।”

খালাস পাওয়া মোস্তফার আইনজীবী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম সবুজ সাংবাদিকদের বলেন, “বিচারিক আদালত অন্য এক অভিযুক্তের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির উপর ভিত্তি করে যাবজজ্জীবন দিয়েছিল। হাই কোর্টে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। ফলে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে, আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।”

বিচার পরিক্রমা

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামি করে সূত্রাপুর থানায় মামলা করেন ওই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল আহমেদ।

তিন মাসের মধ্যে তদন্ত করে ২০১৩ সালের ৫ মার্চ ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক তাজুল ইসলাম।

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হক ৬ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।

বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত করতে সরকারের সিদ্ধান্তে ওই বছরজুলাই মাসে মামলাটি পাঠানো হয় দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে।

২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক এ বি এম নিজামুল হক যে রায় দেন, তাতে ২১ আসামির মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এছাড়া বেআইনি সমাবেশের আরেকটি ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই ১৩ জনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ

“সামগ্রিকভাবে অপরাধের মাত্রা ও গভীরতা বিবেচনা করে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করলে ন্যায়বিচার সমুন্নত হবে বলে এ ট্রাইব্যুনাল মনে করে।”

বিচারক বলেন, “রাজনৈতিক কর্মসূচি হরতাল অবরোধের কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নামধারী এই ছাত্ররা বিশ্বজিৎকে রক্তাক্ত জখম করায় মিটফোর্ড হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। কাজেই এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি হরতাল অবরোধের ক্ষেত্রে আহ্বানকারী পক্ষ ও বিরোধীপক্ষকে গণতন্ত্র রক্ষা ও আইনের শাসনকে সমুন্নত রাখার জন্য গভীর সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যাতে মানুষের জীবন বিপন্ন হওয়া আশঙ্কা, জন সাধারণের শান্তিভঙ্গ বা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা, সম্পত্তির ক্ষতিসাধন না হয়।”

ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয় গত ১৬ মে। শুনানি শেষে গত ৭ জুলাই রায়ের দিন ঠিক করে দেয় আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান। আর আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী, এস এম শাহজাহান, লুতফর রহমান মণ্ডল, সৈয়দ আলী মোকাররম, সৈয়দ শাহ আলম, মো. আব্দুস সালাম, মো. ইসা, সৈয়দ মাহমুদুল আহসান।

পলাতক আসামিদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন মোমতাজ বেগম।

যেভাবে হত্যা

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেস্বর গ্রামের তরুণ বিশ্বজিৎ পুরান ঢাকার শাখারী বাজারে একটি দরজি দোকানে কাজ করতেন। ঘটনার দিন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধের মধ্যে বাহাদুর শাহ পার্কের কাছ দিয়ে তিনি কাজে যাচ্ছিলেন।

মামলার সাক্ষীদের জবানবন্দিতে বলা হয়, অবরোধের ওই দিন বাহাদুর শাহ পার্কের পাশ দিয়ে ছাত্রলীগের একটি মিছিল যাওয়ার সময় বোমা বিস্ফোরণ হলে সবাই যখন পালাচ্ছিল, তখন পলায়নরত বিশ্বজিৎকে মিছিল থেকে ধাওয়া করে তার ওপর হামলা চালানো হয়।

সাক্ষী রিকশাচালক রিপন রায় হত্যাকাণ্ডের বর্ণনায় বলেন, “বোমার শব্দে এক ব্যক্তি (বিশ্বজিৎ) পার্কসংলগ্ন পেট্রল পাম্পের দিকে দৌড় দেয়। ওই মিছিল থেকে ধাওয়া করে কয়েকজন ওই ব্যক্তিকে মারতে থাকে।

“ওই ব্যক্তি মার খেতে খেতে পাশের ভবনে উঠে যান। লোকগুলো সেখানেও তাকে চাপাতিসহ বিভিন্ন জিনিস দিয়ে মারতে থাকে। এরপর তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়ে নিচে নেমে শাঁখারীবাজারের গলির মুখে গিয়ে পড়ে যান। তখন ওই ব্যক্তি পানি চাইলে পাশের এক দোকানি পানি খাওয়ান।”

এরপর রিপনের রিকশায় মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বিশ্বজিৎকে, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থলে থাকা পরিবহনকর্মী ইউসুফ বেপারী ও আব্দুর রাজ্জাক আদালতে আসামি রফিকুল ইসলাম শাকিলকে সনাক্ত করে বলেন, তারা তাকে চাপাতি দিয়ে বিশ্বজিৎকে কোপাতে দেখেছেন।

সমালোচনা, অনুপ্রবেশকারী ও ‘অবহেলা’

মামলার তদন্ত চলাকালে আসামি শাকিল, শাওন ও নাহিদ আদালতে যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন, তাতে বলা হয়, ঘটনার সময় শাকিলের হাতে চাপাতি ও রাজনের হাতে ড্যাগার ছিল। অন্যদের হাতে ছিল রড ও লাঠি।

শাকিলের জবানবন্দিতে বলা হয়, অন্যরা রড দিয়ে মারতে থাকলে বিশ্বজিত তার নাম বলে না মারার অনুরোধ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে রাজন ড্যাগার দিয়ে আঘাত করেন এবং শাকিল চাপাতি দিয়ে বিশ্বজিতের হাত-পা, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপাতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিশ্বজিৎ লুটিয়ে পড়েন।

কিন্তু সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজিতের পিঠে ‘হালকা ফোলা জখম’, ডান বগলের নিচে তিন ইঞ্চি কাটা জখম এবং বাঁ হাঁটুর নিচে ছেঁড়া জখম ছিল।

আর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজিতের ডান বগলের নিচে সাড়ে তিন ইঞ্চি চওড়া দেড় ইঞ্চি গভীর একটি ছুরিকাঘাতের জখম এবং বাঁ হাঁটুর জোড়ায় থেঁতলানো জখম ছিল। বগলের নিচে একটি বড় ধমনি কাটা যাওয়ায় বেশি রক্তক্ষরণ হয়েছে। শরীরের ভেতরের অঙ্গগুলো স্বাভাবিক ও ফ্যাকাশে ছিল, হৃৎপিণ্ডের দুটি প্রকোষ্ঠই ছিল রক্তশূন্য।

এছাড়া মামলার সাক্ষীরা বিশ্বজিতের ওপর হামলার যে বিবরণ দিয়েছেন, তার সঙ্গেও সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের পার্থক্য পেয়েছে হাই কোর্ট। এ কারণেই পুলিশ ও চিকিৎসকের গাফিলতি ছিল কি না, তা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে।

বিশ্বজিত হত্যাকাণ্ডের পর জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ছবি ও ভিডিও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনায় মুখর হন বিরোধী দলের নেতারা।

এর প্রতিক্রিয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী।

পরিবেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদও বলেন, “বিশ্বজিৎকে যারা হত্যা করেছে, তারা ছাত্রলীগের কর্মী নয়, তারা ছিল ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী।”

এদিকে পুলিশের তদন্তের মধ্যেই গণমাধ্যমে যাদের নাম ও ছবি আসছিল, তাদের একে একে বহিষ্কার করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ হত্যাকাণ্ডের বিচার পেছাতে বিভিন্ন উদ্যোগ ছিল আসামিপক্ষের। মামলার কার্যক্রম স্থগিতে ছয় আসামির পক্ষে আবেদন করা হলে হাই কোর্ট সে সময় তা খারিজ করে দেয়।

মামলার কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করায় আসামি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ শাহ আলমকে এক হাজার টাকা জমা দিতেও নির্দেশ দেয়া হয়।বিডিনিউজ২৪।

Posted in আইন-আদালত | Comments Off on বিশ্বজিৎ হত্যা: ২ জনের ফাঁসির রায় হাই কোর্টে বহাল

শাহজালালে ৩১ কেজি সোনা জব্দ

লাইফস্টাইল ডেস্ক : বরাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে ৩১ কেজি সোনা জব্দ করেছে ঢাকা কাস্টমস হাউস।

গতকাল এক যাত্রীর কাছ থেকে ২৫ কেজি এবং আজ রবিবার সকালে ফের এক যাত্রীর কাছ থেকে ছয় কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

ঢাকা কাস্টমস হাউসের পাঠানো মোবাইল বার্তায় বলা হয়, শনিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের এসকিউ৪৪৬ ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করে। সেই ফ্লাইটের যাত্রী মো. জামিল আক্তার হুইলচেয়ারে করে গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময় তাঁকে চ্যালেঞ্জ করা হয়।

এ সময় জামিলের কাছ থেকে ১০০ গ্রাম ওজনের আড়াইশ স্বর্ণবার উদ্ধার করা হয়। এসব বারের ওজন ২৫ কেজি। এর মূল্য আনুমানিক সাড়ে ১২ কোটি টাকার হতে পারে। জামিলের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ ঘটনার পর আজ সকালে আরো ছয় কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়।

ঢাকা কাস্টমস হাউস জানায়, সকালে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস ৩১৪ নম্বর ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করে। ফ্লাইটের একটি টয়লেট থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এক কেজি ওজনের ছয়টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এর মূল্য হতে পারে তিন কোটি টাকা।

Posted in আইন-আদালত, সারা দেশ | Comments Off on শাহজালালে ৩১ কেজি সোনা জব্দ

বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি: গেজেট প্রকাশে আরো দুই সপ্তাহ সময় বাড়লো

ডেস্ক রিপোর্ট : নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশে সরকারকে আরো দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এরআগে গেজেট প্রকাশে চার সপ্তাহ সময় চেয়ে আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এসময় প্রধান বিচারপতি, শৃঙ্খলাবিধি নিয়ে মতবিরোধ নিরসনে আবারো আলোচনায় বসার আহ্বান জানান। গত রোববার শৃঙ্খলাবিধি নিয়ে আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের অসুস্থতার জন্য বৈঠকটি হয়নি। সময়টিভি অনলাইন

Posted in আইন-আদালত | Comments Off on বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি: গেজেট প্রকাশে আরো দুই সপ্তাহ সময় বাড়লো

আজ বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার রায়

ডেস্ক রিপোর্ট : আলোচিত বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার হাইকোর্টের রায় আজ। বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।

এর আগে গত ১৬ ই মে আলোচিত এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষ হয়।২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর পুরনো ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করায় হয় দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাসকে। এ মামলায় ২০১০৩ সালের ১৮ ই ডিসেম্বর ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়।দণ্ডপ্রাপ্তদের সবাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী।

Posted in আইন-আদালত | Comments Off on আজ বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার রায়

নৌকার প্রার্থী হতে চান অ্যাটর্নি জেনারেল

ডেস্ক রিপোর্ট : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ-২ (লৌহজং ও টুঙ্গিবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হতে চান দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম। এই লক্ষ্যে তিনি ওই এলাকায় জনসংযোগ করছেন।

এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও যুদ্ধাপরাধীদের মামলার সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম। আমি এসব মামলা সুষ্ঠু ও সফলভাবে পরিচালনা করেছি এখনও করছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য।

শনিবার মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার চারটি স্কুলে বই বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

তিনি বলেন, আমি আগামী নির্বাচনের প্রত্যাশা নিয়ে মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে বিচরণ করছি। যদি দল আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি জনগণের সেবা করার সুযোগ পাব। আমি এর আগেও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম ও জাতীয় নির্বাচনে জেনারেল ওসমানীর পক্ষে নির্বাচন করেছি।

গতকাল শুক্রবার (০৫ আগস্ট) লৌহজং উপজেলা কার্যালয়ে ওয়ার্কিং কমিটির সভার হট্টগোল প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, গতকালের ঘটনা প্রতিহত করা নিন্দনীয়। তৃণমূল নেতারা আমার সঙ্গে আছে। কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে আমি ভাবি না। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, সে আওয়ামী লীগের নির্বাচন করবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ড. আবু ইউসুফ ফকির, অতিরিক্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মাছুদ হাসান চৌধুরী পরাগ, অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র তরফদার, অ্যাডভোকেট মো. ছগির হোসেন, অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বিশিষ্ট সংগঠক নাছির উদ্দিন জুয়েল, কনকশার ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন লৌহজং কেন্দ্রের সমাজ ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. নাছিম আলম কাজল, মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি রাসেল মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ভবতোষ চৌধুরী নুপুর, অ্যাডভোকেট লাবলু মোল্লা ও অ্যাডভোকেট সেতু ইসলাম প্রমুখ।

শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার হলুদিয়া উচ্চবিদ্যালয়, ব্রহ্মণগাঁও বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়, যশলদিয়া উচ্চবিদ্যালয়, মেদিনীমন্ডল আনোয়ার চৌধুরী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়ার জন্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীসহ বিভিন্ন গুণী লেখকদের বই প্রধান শিক্ষকদের হাতে তুলে দেন অ্যাটর্নি জেনারেল।জাগনিউজ২৪

Posted in আইন-আদালত, সারা দেশ | Comments Off on নৌকার প্রার্থী হতে চান অ্যাটর্নি জেনারেল

গৃহকর্মী হত্যা মামলায় বনশ্রীর বাড়ি থেকে গৃহকর্ত্রী গ্রেপ্তার

ডেস্ক রিপোর্ট : রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় গৃহকর্মী লাইলী বেগমের (২৫) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলায় গৃহকর্ত্রী সাহানা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ (শনিবার) দুপুরে পুলিশ তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল শুক্রবার গৃহকর্তা মইনুদ্দিন ও বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক তোফাজ্জ্বল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মতিঝিল জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শিবলী নোমান। খিলগাঁও থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা মো. মনসুর আহমেদ সকালে জানান, গতকাল রাত ১১টার দিকে মামলা দুটি করা হয়।

বেলা একটার দিকে রামপুরা থানায় শিবলী নোমান সাংবাদিকদের বলেন, গৃহকর্মী লাইলী বেগমের ভাশুর শহীদুল ইসলাম গৃহকর্তা, গৃহকর্ত্রী, ও বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক তোফাজ্জলকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। স্থানীয়দের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় কর্তব্যকাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশ। এতে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

শিবলী নোমান আরও জানান, তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে গৃহকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, নাকি ঘটনাটি আত্মহত্যা।

গতকাল বনশ্রীর ৪ নম্বর সড়কে জি ব্লকের একটি বাসায় গৃহকর্মী লাইলী বেগমের রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। লাইলীকে হত্যার অভিযোগ এনে তাঁর পরিবার ও এলাকার বিক্ষুব্ধ লোকজন ওই বাড়িতে হামলা চালায় এবং সড়কে গাড়ি ভাঙচুর করে। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক দফা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। রাত ১০টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

লাইলীর জা শাহনাজ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, লাইলীকে হত্যা করা হয়েছে। গৃহকর্তা মইনুদ্দিন বলছেন, লাইলী বাসায় কাজ করতে আসার পর বাড়ির একটি ঘরে ঢুকে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেন। পরে দরজার ছিটকিনি ভেঙে ঘরের ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় লাইলীকে পাওয়া যায়।

লাইলী বনশ্রীর পাশে হিন্দুপাড়া বস্তিতে থাকতেন। তাঁর ছোট দুই সন্তান রয়েছে। গৃহকর্তা মইনুদ্দিন গতকাল জানান, লাইলীর স্বামী নজরুল ইসলাম ভারতের কারাগারে বন্দী।

প্রথম আলো থেকে

Posted in আইন-আদালত | Comments Off on গৃহকর্মী হত্যা মামলায় বনশ্রীর বাড়ি থেকে গৃহকর্ত্রী গ্রেপ্তার

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud