May 18, 2024
ডেস্ক রিপোর্ট : শুলিয়ার বড় রাঙ্গামাটিয়া এলাকায় এসির যন্ত্রাংশ আমদানি কারক ও বিক্রির একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান জিহাদী বই ও সিডি উদ্ধার করেছে র্যাব। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে জঙ্গি কর্মকান্ড সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আলামত উদ্বার করা হয়েছে।রবিবার ভোররাতে র্যাব-১ এর একটি বিশেষ দল আশুলিয়ার বড় রাঙ্গামাটিয়া এলাকায় অবস্থিত হারুন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ওয়্যার হাউজে অভিযানটি পরিচালনা করে।
তবে অভিযানের সময় ওই কারখানা থেকে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।র্যাব-১ এর মেজর ইশতিয়াক জানান, জঙ্গি কর্মকাণ্ড মদদ দেওয়া হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হারুণ ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ওয়্যার হাউজে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কারখানাটির ভিতর থেকে জঙ্গিদের উদ্ধুতকরণের কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ জিহাদী বই ও সিডি উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১ এর সিইও লে. কর্নেল সরোয়ার বিন কাশেম জানান, গত ১০ মে ২০১৭ তারিখে ইউকে থেকে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন হারুন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ওয়্যার হাউজের মালিক মো. হারুন। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদেরকে অর্থ ও বিভিন্ন সরঞ্জামাদি নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছেন।
এছাড়া গত ২২ জুন ওই কারখানার ড্রাইভার জাকির বিপুল পরিমাণ জিহাদী বই অন্যত্র সরিয়ে ফেলেন।এখানে কোন জঙ্গি নেই উল্লেখ করে
তিনি আরও জানান, মূলত এখান থেকে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে মদদ দেওয়া হলেও এটি কোন জঙ্গি আস্তানা নয়। কারখানাটির মালিক হারুন জঙ্গিদেরকে মদদ ও অর্থের যোগান দিয়ে থাকে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আমাদের নজরদারিতেই আছেন। খুব শিঘ্রই তাকে আটক করা সম্ভব হবে।
অভিযানে প্রাপ্ত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইসলামিক স্টাডিজ স্টুডেন্ট টেক্সট বুক ১৪৬, জিহাদি সিডি, কোরআন-হাদিসের দলিলসহ নাস্তিক-মুরতাদের শাস্তি, এয়ায়েতুল্লাহ আলতামাস হেজাযের তুফান, ইসলামি সমাজ বিপ্লবের ধারা, ইসলামি দৃষ্টিতে গণতন্ত্রের আসল রূপ যে কারণে ইমান ক্ষতিগ্রস্থ হয়, দুই শতাধিক ইমাম দাইদের ফতওয়া, আল্লাহর পথে অবরুদ্ধ ফকির যারা, যে সকল ক্ষেতে কুফর প্রকাশ করা বৈধ, পার্যালোচনা ও চ্যালেঞ্জ, ফিতনাতুত তাকফির করা।
সূত্র : জনকন্ঠ।