May 5, 2024
ডেস্ক রিপোর্ট : বগুড়ায় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও মাসহ তার মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় দায়ের মামলায় কাউন্সিলর মর্জিয়া হাসান রুমকিসহ সাত জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর মধ্যে রুমকির চারদিনের রিমান্ড এবং বাকি ছয় আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। সোমবার (৩১ জুলাই) বগুড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম সুন্দর রায় এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন বগুড়া পৌরসভার ২ নম্বর সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর রুমকি, তার বোন তুফানের স্ত্রী আশা, তাদের মা রুমা খাতুন, বাবা জামিলুল রহমান রুনু, তুফানের গাড়িচালক জিতু, তুফানের সহযোগী মুন্না।
এর আগে রবিবার তুফান সরকার (২৮), তার সহযোগী আলী আজম দিপু (২৫) ও রুপমের (২৪) তিনদিনের মঞ্জুর করেন আদালত।
উল্লেখ্য, বগুড়ার এক কিশোরীকে কলেজে ভর্তি করানোর নামে গত ১৭ জুলাই তাকে নিজ বাড়িতে কৌশলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে। তুফানের স্ত্রী এ ঘটনা জানতে পেরে স্বামীকে দায়ী না করে কিশোরীটিকেই ঘটনার জন্য দায়ী করে এবং সংরক্ষিত আসনের স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার মর্জিয়া হাসান রুমকির মাধ্যমে শুক্রবার (২৮ জুলাই) শালিস সভা বসিয়ে নির্যাতিতা ও তার মায়ের চুল কেটে দেয়। পরে নাপিত ডেকে তাদের ন্যাড়া করিয়ে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেয়। স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে ভর্তি করালে সে রাতেই তুফানসহ তার তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২৯ জুলাই শনিবার তুফানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নির্যাততের শিকার ওই কিশোরী। এ ঘটনার পর রবিবার তুফানকে শ্রমিকলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ছিলেন।