পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

এটি উল্টো, এভাবে চলতে পারে না: প্রধান বিচারপতি

Posted on July 30, 2017 | in আইন-আদালত | by

ডেস্ক রিপোর্ট :অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত নতুন বিধিমালার যে খসড়া আইন মন্ত্রণালয় দিয়েছে, তা সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশ অনুসারে নয় বলে অভিহিত করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তিনি বলেছেন, ‘এটি উল্টো। এভাবে চলতে পারে না।’

নতুন বিধিমালা পর্যালোচনা করে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে এ কথা জানিয়ে চলতি সপ্তাহে বেলা দুইটার পরে যেকোনো সময় এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে আলোচনায় বসতে বলেছেন আদালত। আইনমন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা এই আলোচনায় থাকতে পারবেন জানিয়ে আদালত আগামী রোববার পরবর্তী আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আজ রোববার আদেশের এই দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি নতুন এই বিধিমালার খসড়া প্রধান বিচারপতির কাছে হস্তান্তর করেন।

২৩ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ এক সপ্তাহ সময় মঞ্জুর করেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি আদেশের জন্য কার্যতালিকার এক নম্বর ক্রমিকে ছিল। দাখিল করা বিধিমালার নতুন খসড়া তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বলতে কী বোঝায়, প্রত্যেক আইনে সংজ্ঞায়িত করা আছে। তা আমি আইনমন্ত্রীকে দেখিয়েছি। কর্তৃপক্ষ বলতে বিচার বিভাগের জন্য রাষ্ট্রপতিকে রাখলেন। তাহলে তো আইন মন্ত্রণালয়ই থাকছে। এ বিষয়ে সমাধানে না গেলে চলবে না।’
পর্যালোচনা করে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘সরকার কর্তৃক নির্ধারিত গেজেটের তারিখ থেকে কার্যকর হবে বলা আছে। অথচ মাসদার হোসেন মামলায় নির্দেশনা আছে, সুপ্রিম কোর্ট যে তারিখ থেকে কার্যকরের পরামর্শ দেবেন, সেই তারিখ থেকে কার্যকর হবে। উল্টো পাঠিয়েছেন। ১৬ বছরেও হয়নি। এভাবে হলে ১৬০০ বছরেও গেজেট হবে না।’

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন। রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর ২০১৫ সালের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় বিধিমালার একটি খসড়া তৈরি করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়। ওই বিধিমালা সংশোধন করে দেন আপিল বিভাগ। এই খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এই বিধিমালা গেজেট আকারে জারি করে তা দাখিল করতে গত বছরের ২৮ আগস্ট আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ কয়েক দফা সময় নেয়।

সূত্র : প্রথম অলো ।

Comments are closed.

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud