April 26, 2024
মৌসুমি ফল দিয়ে ফারহিন রহমানের রেসিপিতে তৈরি করুন শীতল পানীয়।
উপকরণ:
পাকাআম ১টা ( ডিপ ফ্রিজে রাখা)। কলা ১টা। তরল দুধ ২০০ মি.লি.। দই ১৫০ গ্রাম। বরফকুচি, প্রয়োজন মতো।
পদ্ধতি: আম ও কলা টুকরা করে কেটে নিন। সব উপকরণ ব্লেন্ডারে নিয়ে ব্লেন্ড করুন।
আম ও কলা যেহেতু পাকা এবং মিষ্টি তাই কোনো চিনি ব্যবহার না করলেও চলবে।
ইফতারের আগে আগে তৈরি করবেন যেন ঠাণ্ডা অবস্থায় পরিবেশন করতে পারেন।
সমন্বয়ে: ইশরাত জে. মৌরি।
সন্ত্রাসীদের ধরতে ফেইসবুক, গুগল আর ইউটিউব আর টুইটারের মতো প্রযুক্তি জায়ান্টগুলোর একত্র হয়ে কাজ করা উচিৎ, এক প্রতিবেদনে এমনটা বলা হয়েছে।
প্রতারকদের ধরতে ক্যাসিনোগুলো যেভাবে একে অন্যের সঙ্গে তথ্য শেয়ার করে, ঠিক সেভাবে ব্যবহারকারীদের তথ্য একে অপরের সঙ্গে শেয়ার করতে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। এর মাধ্যমে হ্যাকিং, ম্যালওয়্যার, ভুয়া সংবাদ ও শিশু পর্নোগ্রাফিসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা লড়াইয়ে সহায়তা পাওয়া যাবে। ইন্টারনেট নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংগঠন ডিজিটাল সিটিজেনস অ্যালায়েন্স’স এর নতুন প্রকাশ করা ‘ট্রাবল ইন আওয়ার ডিজিটাল মিডস্ট’ প্রতিবেদনে এই ‘বিতর্কিত’ পরামর্শগুলো দেওয়া হয়, বলা হয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট-এর প্রতিবেদনে।
সংগঠনটির প্রতিবেদনে বলা হয়, “যখন ডিজিটাল প্লাটফর্মগুলো নীতিমালা ও কারিগরি বিষয়গুলোতে সমন্বিতভাবে কাজ করছে, তখন তারা বাজে লোকদের নিয়ে তথ্য শেয়ার করছে কিনা তার কোনো প্রমাণ নেই। তারা অপরাধী ও বাজে লোকদের কোনো ঝামেলা ছাড়াই এক প্লাটফর্ম থেকে অন্যটিতে যাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।”
“অপরাধমূলক আচরণের বিষয়ে তথ্য শনাক্ত ও শেয়ারে একত্রিত হয়ে কাজ করার উদাহরণ অনেক খাতেই রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ক্যাসিনোগুলো প্রতারণার বিষয়ে তথ্য শেয়ার করে, আর কয়েক দশক ধরে খুচরা বিক্রির খাতে জাল ক্রেডিট কার্ডের তথ্য শেয়ার করা হচ্ছে।”
“গ্রাহকদের ক্ষতি করতে প্লাটফর্মগুলোকে যারা ব্যবহার করতে চায় তাদের আরও দ্রুত ঠেকাতে ও শনাক্ত করতে ডিজিটাল প্লাটফর্ম ও আইন প্রণয়নকারী সংস্থাগুলোর মধ্যেও এমন কিছু করা যেতে পারে।”
বড় প্রতিষ্ঠান আর সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে ডেটা শেয়ারের এই ধারণা ‘বিশাল উদ্বেগের’ বিষয়, এর মাধ্যমে নাগরিকদের অধিকারকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করেছে দৈনিকটি।
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্তেফান লফভ্যানের আমন্ত্রণে আগামী ১৫ এ ১৬ জুন সুইডেন দ্বিপাক্ষিক সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও গভীর ও প্রসারিত হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। এটাই হবে বাংলাদেশের কোনও সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানের প্রথম সুইডেন সফর।
প্রধানমন্ত্রীর এ সফর উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পরররাষ্ট্র এ এইচ মাহমুদ আলী বলেন, ‘সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক ও একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন। তিনি সুইডেনের রাজার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎও করবেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি সুইডিশ কোম্পানির প্রধান নির্বাহীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং তিনি বাংলাদেশ সুইডেন বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামে অংশ নেবেন। ৪৭ সদস্যদের উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়ী দলও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেন সফরে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এই সফরের ফলে বাংলাদেশ ও সুইডেনের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পারস্পরিক সহযোগিতা, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিনিয়োগে অধিকতর গতিশীলতা আনয়ন, অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাস ও সহিংস উগ্রবাদ নিরোধসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বিষয়ে দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও গভীর ও প্রসারিত হবে।’
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা আগামী ১৩ জুন মঙ্গলবার ঢাকা ত্যাগ করবেন। প্রধানমন্ত্রী সুইডেনে যাওয়ার পথে লন্ডনে যাত্রাবিরতি করবেন। ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
পুঁইশাক, আলু, পুদিনা-পাতা, কাঁচামরিচ, ডিম, ময়দা, তেল এবং নর্ নাগেটস মিক্স।
পদ্ধতি
প্রথমেই ৭৫ গ্রাম পুঁইশাক, ৩০ গ্রাম আলু, ২ গ্রাম পুদিনা পাতা, ১৩ গ্রাম কাঁচামরিচ কুচি করে কেটে নিন। সবগুলো একটি বাটিতে নিয়ে তাতে ৪৫ গ্রাম ফেটে নেওয়া ডিম ও ৬ গ্রাম নর্ নাগেটস মিক্স ঢেলে সবকিছু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
এই মিশ্রণে আরও যোগ করুন ৫০ গ্রাম ময়দা। আবারও ভালোভাবে মিশিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিন।
কড়াইতে ৫শ’ মি.লি.লিটার তেল গরম করে এবার বাটিতে রাখা মিশ্রনটি থেকে অল্প করে নিয়ে ছোট ছোট বড়ার আকারে তেলে ছাড়ুন। আলুগুলো বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভেজে নামিয়ে নিন।
হয়ে গেল ভেজিটেবল পাকোড়া উইথ নর্ নাগেটস মিক্স।
আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য ভিডিও দেখুন।
ইফতারে ঘরে বসে তৈরি করে নিতে পারেন মজাদার আম দই। কিভাবে তৈরি করবেন আম দই তা জানালেন পলিজ কিচের সত্ত্বাধীকার পলি জামান আজকের খবর পাঠকদের জন্য তুলে ধরেছে।
উপকরণ
১ কাপ টক দই (ঘন হতে হবে / পাতলা কাপড়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে)।
১ কেজি দুধ।
১/২ কাপ চিনি।
১/২ কাপ পাকা আমের ঘন কাঁথ। প
দ্ধতি দুধ কে জ্বাল করে ১/২ কেজি করে নিন। ঘন ঘন নেরে নিন যাতে সর না পরে।
যেভাবে তৈরি করবেন-
দুধে চিনি দিয়ে আরও ১৫ মিনিট চুলায় ফুটিয়ে নিন। তারপর বেশি গরম বা বেশি ঠাণ্ডা না হয় এরকম অবস্থায় এনে তাতে টক দই আর আমের কাঁথ হালকা করে মিশিয়ে নিন। যে পাত্রে দই বসাবেন তাতে ঢেলে নিন। একটি পাতিল অল্প আঁচে ১০ মিনিট গরম কারুন। পাতিলে স্ট্যান্ড বসিয়ে তাতে দই এর পাত্র টি বসিয়ে দিন। পাতিলের উপর একটি তোয়ালে দিয়ে ঢেকে তার উপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। চুলার আঁচ অল্প করে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। তারপর বের করে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন। ব্যাস হয়ে গেলো দারুন মজার আম দই।
মাংসের নানা পদের পাশাপাশি ‘বিশেষ নিরামিষ পদের’ ইফতারের স্বাদ নিতে হলে রোজাদার আর ভোজনরসিকদের পা ফেলতে হবে ঢাকা সেনানিবাস সংলগ্ন কচুক্ষেত এলাকায়।
এই এলাকায় ১৯৯৫ সাল থেকে ব্যবসা করে আসছেন আব্দুল মজিদ। শুরুতে মাখানো মুড়ি বিক্রি শুরু করলেও, কিছুদিনের মধ্যে হাতের জাদুতে পুরো এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেন তিনি। তার রেস্তোরাঁ ‘আব্দুল মজিদের স্পেশাল ঘরোয়া খাবারকে’ এক নামে চেনেন এলাকাবাসী।
ক্যাপসিকামের চপ, ধনীয়া পাতার চপ, পুদিনাপাতার চপ, লাউ পাতা চপ, পুঁইশাক চপ, কলমী পাতা চপ, ঢেঁড়শের চপ, কুমড়ার চপ, সিমের চপ, মরিচের চপ, বরবটির চপ, ফুলকপি চপ, কাকরোলের চপ, পেঁয়াজ পাতা চপসহ ২০ পদের নিরামিষ চপের আয়োজন দেখা যায় তার কাছে।
মাত্র এক টাকা থেকে শুরু করে ১০ টাকায় মিলবে এসব চপ।
আব্দুল মজিদ বলেন, “রোজায় স্বাস্থ্যকর ইফতার খুব দরকার, সবাই মাংস খেতেও পারে না। তাদের কথা বিবেচনায় রেখেই এই আয়োজন করেছি।”
আব্দুল মজিদের গরুর মাংসের হালিমও সমান জনপ্রিয়। কোন হাঁড় ছাড়া মাংসে ভরপুর এই হালিমকে ‘স্বর্গীয়’ বলে আখ্যা দেন এলাকার ব্যবসায়ী সাইমন আহমেদ।
“মজিদ মিয়ার হাতে জাদু আছে, যা আপনার উদর হয়ে হৃদয়ে জায়গা করে নেবে। আর খুব কম দামে অথচ স্বাস্থ্যকর নিরামিষ পদের খাবার মিলছে এখানে, আমি প্রতিদিনই কিছু না কিছু কিনি এখান থেকে।”
কচুক্ষেতের আরেক ঐতিহ্যবাহী আদি ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারেও মাংসের পদের আয়োজন নেই। ব্যাপক জনপ্রিয় এই দোকানে জিলাপি ভেজে তোলার আগেই ফুরিয়ে যায়; তাই লাইনে দাঁড়িয়ে জিলাপি নিচ্ছেন বলে জানান অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক শ্যামল রায় বলেন, “২৭ বছর ধরে এই এলাকায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডার।”
এখানে রেশমি ও শাহী জিলাপি মিলবে কেজি প্রতি ৩০০ ও ১৬০ টাকায়। এছাড়াও রয়েছে স্পোশাল দই বড়া, যা বাটিপ্রতি (১০-১২ পিস) ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
‘আজওয়াহ’ নামের আরেক খাবারের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে ব্রেড-ক্রিম পুডিং। বিশেষ এই পুডিং মিলবে বাটিপ্রতি ২৫০ টাকায়।
এছাড়াও আজওয়াহর বিফ কোপ্তা, চিকেন কোপ্তা, চিকেন জালি রোল, চিকেন জ্যাম কাবাব সমানভাবে জনপ্রিয় বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারী নাঈম ইসলাম।
বোরহানি, লাবাং ও মাঠার জন্য খ্যাত ‘নিউ জাহান ফাস্ট ফুডে’ স্পেশাল লাবাং ও বোরহানি মিলবে লিটারপ্রতি ১৬০ ও ১৩৫ টাকায়। মাঠা মিলবে লিটারপ্রতি ৭৫ টাকায়।
কচুক্ষেতে ৩৮ বছর ধরে ব্যবসা করে আরেক জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ সানমুন হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের বিরিয়ানি ও হালিমে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতারা।
ত্রিশ বছর ধরে কর্মরত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মোহাম্মদ খোকন বলেন, “আমাদের খাসির হালিম খুবই জনপ্রিয়। ইফতারের আগেই শেষ হয়ে যায়।”
লাইফস্টাইল ডেস্ক : স্বাদে নতুনত্ব আনতে রান্না করে ফেলতে পারেন মজাদার আম-চিংড়ি। সামান্য কাঁচা আমের রস টক ভাব আনবে তরকারিতে, আবার চিনি নিয়ে আসবে মিষ্টির আমেজ। টক-ঝাল-মিষ্টি আইটেমটি পরিবেশন করতে পারেন রাতের খাবারে।
জেনে নিন কীভাবে রান্না করবেন-
উপকরণ-
চিংড়ি- ২৫০ গ্রাম
সরিষা- ২ চা চামচ
আমের রস- ৩ চা চামচ
সরিষার তেল- ১ চা চামচ
মরিচ গুঁড়া- আধা চা চামচ
লবণ- স্বাদ মতো
নারকেলের দুধ- ১ কাপ
চিনি- ১ চা চামচ
কাঁচামরিচ- ৪টি
হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ
যেভাবে রান্না করবেন-
চিংড়ি পরিষ্কার করে নিন। সরিষা, কাঁচামরিচ, নারকেল দুধ এবং অল্প পানি একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। কড়াইয়ে পরিমাণ মতো সরিষার তেল গরম করে কাঁচামরিচ ভেজে নিন। চিংড়ি দিয়ে জ্বাল কমিয়ে কিছুক্ষণ ভাজুন। চিংড়ি খয়েরি রং ধারণ করলে আমের রস এবং লবণ দিয়ে নাড়তে থাকুন। আমের গন্ধ কমে আসলে সরিষা, হলুদ গুঁড়া এবং মরিচ গুঁড়া দিন। কিছুক্ষণ পর নারকেল দুধ ও মসলার মিশ্রণ, লবণ এবং চিনি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নেড়ে পাত্র ঢেকে দিন। রান্না হয়ে গেলে নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন টক-ঝাল আম-চিংড়ি।
রন্ধন ডেস্ক: কোরমা নামটির সাথেই যেন জড়িয়ে আছে একটা শাহী গন্ধ। সাধারণত মুরগির কোরমাটাই বেশী খাওয়া হয়, তবে গরুর মাংস দিয়ে কোরমা রাঁধলেও কিন্তু দারুণ লাগে খেতে। আজ জেনে নেই গরুর মাংসের কোরমার রেসিপি।
উপকরণ:
– ১ কেজি গরুর মাংস
– ১ কাপ টক দই
– আধা কাপ পেঁয়াজবাটা
– ১ টেবিল-চামচ রসুন, আদা, জিরাবাটা
– ৩, ৪টি ফালি করা কাঁচামরিচ
– ১ চা-চামচ গরম মসলাগুঁড়া
– ৫টি এলাচ
– ৩ টুকরা দারুচিনি
– ২টি তেজপাতা
– ৪, ৫টি গোলমরিচ
– ৩টি লবঙ্গ
– তেল পরিমাণমতো
– মিহি পেঁয়াজকুচি আধা কাপ
– ৩ টেবিল-চামচ ঘি
– ১ টেবিল-চামচ চিনি
– ৩, ৪টি আস্ত কাঁচামরিচ
পদ্ধতি:
– মাংস একটু বড় বড় টুকরা করে কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
– দই, পেঁয়াজবাটা, আদা-রসুনবাটা, জিরাবাটা, সব গরম মসলা, লবণ, কাঁচামরিচ-ফালি এবং ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ তেল দিয়ে মাংস মাখিয়ে দুই ঘণ্টা রেখে দিন।
– তারপর মাংস ঢেকে ভালো মত কষিয়ে রান্না করুন। কোনো পানি দেবেন না। মাংসের পানি সব শুকিয়ে আসলে অল্প অল্প পানি দিয়ে মাংস সিদ্ধ করুন। লক্ষ রাখুন পুরে যেন না যায়।
– এবার অন্য একটি হাঁড়িতে আধা কাপ তেল গরম করে, পেঁয়াজকুচি দিয়ে বেরেস্তা করে তুলে নিন। এই গরম তেলেই সিদ্ধ করা মাংসগুলো দিয়ে দিন।
– ভাজতে থাকুন। লবণ চেখে নিন। কোরমাতে বেশি লবণ হলে ভালো লাগেনা। লবণ একটু কম কম হতে হবে।
– ঝোলের জন্য অল্প পানি দিন।
– ফুটে উঠলে পেঁয়াজ বেরেস্তা, চিনি, ঘি ও আস্ত ৩, ৪টি কাঁচামরিচ দিয়ে অল্প আঁচে রেখে দিন। ঝোল তেলের উপর উঠলে নামিয়ে নিন। তবে খুব বেশি পানি টানিয়ে ফেলবেন না। একটু ঝোল রাখলে খেতে ভালো লাগে। ইচ্ছে হলে সামান্য লেবুর রস দেওয়া যেতে পারে।
– পরিবেশন করুন পোলাও, পরোটা, নান কিংবা ভাতের সঙ্গে।