April 24, 2024
সেনাবাহিনীর জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও) এবং সার্জেন্ট পদবির মর্যাদা উন্নীত করা হয়েছে। রোববার বিকেলে আইএসপিআর’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও) পদকে দ্বিতীয় শ্রেণি হতে প্রথম শ্রেণি (নন ক্যাডার) এবং সার্জেন্ট পদকে তৃতীয় শ্রেণি হতে দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদায় উন্নীত করা হয়েছে। এর ফলে জেসিও পদবিধারীরা দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে আর সার্জেন্ট পদবিধারীরা তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, জেসিওদের প্রথম শ্রেণি (নন ক্যাডার) এবং সার্জেন্টগণকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীতকরণে শুধুমাত্র পদমর্যাদা এবং বেতন কাঠামো পরিবর্তিত হবে।
এছাড়া সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী সকল প্রশাসনিক, অপারেশনাল এবং বিভিন্ন দায়িত্ব/কর্তব্য পালনের বিদ্যমান নিয়মাবলী পূর্বের ন্যায় অপরিবর্তিত ও চলমান থাকবে বলে জানানো হয়।
ঢাকা : কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে আমির হোসেন (২৯) নামে এক বাংলাদেশি সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়েছে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে এ তথ্য জানা গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানায়, গত ৮ মার্চ স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৮টায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আমির হোসেনের মৃত্যু হয়। আইএসপিআর আরো জানায়, আমির হোসেন কঙ্গোতে নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ ব্যাটালিয়নে (ব্যানব্যাট-১/১৫) কর্মরত সৈনিক ছিলেন। আমির হোসেন ২০০৩ সালের ১৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং ২৯ অক্টোবর ২০১৩ সালে ব্যানব্যাট-১/১৫ এর সঙ্গে কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যান।
ঢাকা: লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কবিরুল ইসলামের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৮০ জন শান্তিরক্ষী কঙ্গোর উদ্দেশ্যে শুক্রবার জাতিসংঘের ভাড়া করা উড়োজাহাজে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। বর্তমানে কঙ্গোতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দু’টি ব্যাটালিয়নসহ ৫টি কন্টিনজেন্ট শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এই কন্টিনজেন্টগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার (কনস্ট্রাকশন) কোম্পানির ১৮০জন সদস্যকে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। শুক্রবার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কবিরুল ইসলামের নেতৃত্বে সেনা দলটি ঢাকা ত্যাগ করেন। সেনাসদরের ইঞ্জিনিয়ার্স পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইফুর রহমান হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহির্গমন লাউঞ্জে সেনা দলটিকে বিদায় জানান। এ সময় তিনি সেনাসদস্যদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। ২০০৩ সাল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। কঙ্গোর বিবদমান সংঘাত নিরসনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অত্যন্ত দক্ষতা, পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সে দেশের সরকার ও আপামর জনসাধারণের আস্থা অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে। জাতিসংঘ মিশনের চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে বিমানবন্দর ত্যাগের আগে অগ্রজদের অর্জিত সুনাম ও সাফল্য অক্ষুণ্ণ রাখার পাশাপাশি ভবিষ্যতে আরও উৎকর্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে সেনাদলটি দেশবাসীর দোয়া কামনা করেন।
ঢাকা: টাঙ্গাইলের ঘাটাইল সেনানিবাসে মর্টারশেল দুর্ঘনায় নিহত দুই সেনা ও তিন বিজিবির সদস্যদের তাৎক্ষণিকভাবে ৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিজিবি। বুধবার পৌনে ৫ টার সময় বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহম্মেদ টাঙ্গাইলের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঢাকার সিএমএইচে আহতদের খোঁজ খবর নেওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘোষণা দেন। হতাহতদের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যা যা প্রাপ্য ও প্রয়োজন তার সবই সরকার করবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। তিনি বলেন, নিহত ৫ জনের মধ্যে ৩ জন বিজিবি সদস্য। তারা হলেন- মোহাম্মদ আলী, সুফিয়ান ইকরাম ও আনোয়ার হোসেন। এরা সবাই বিজিবি-৩ ব্যাটালিয়নের সদস্য। এ ছাড়াও নিহত ২ সেনা অফিসার হলেন- ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মঞ্জু এবং ২০তম বেঙ্গল রেজিমেন্টের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার পারভেজ।
বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল আজিজ আরো বলেন, নিহত সকলকে রাজধানীর সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেখানে তাদের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত এবং কিছু দাপ্তরিক কাজ শেষে আগামীকাল জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর স্বজনদের কাছে তাদের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় আহত ১৪ জনের মধ্যে ৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১১ জনকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ৪ জন সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
তিনি আরো জানান, কি কারণে বিস্ফোরণ ঘটলো তা খতিয়ে দেখা হবে।
যশোর: যশোর সদর উপজেলার মাহিদিয়া গ্রামের ধানখেতে একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে বিমানের দুই পাইলট ফারুক ও জামী অক্ষত রয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দুই পাইলটকে উদ্ধার করে যশোর বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় ধানখেতে কর্মরত মিরাজ নামে এক ব্যক্তি জানান, হঠাৎ করে একটি বিমান আকাশ থেকে ভূমির কাছাকাছি চলে আসে। এ সময় বিমানের জানালা দিয়ে একজন হাত নেড়ে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বাড়তি নিরাপত্তার জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি সদস্যরা মেলা প্রাঙ্গণের ভেতরে ও প্রবেশ পথের আশপাশে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবেন। সোমবার ১৯মত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ১৭মত দিনে প্রথম বারের মতো বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল থেকেই এক প্লাটুন বিজিবি সদস্য মেলা প্রাঙ্গণ ও এর আশপাশে দায়িত্ব পালন করছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দায়িত্বরত বিজিবির এক সদস্য বলেন, মেলার নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার আমাদের নিয়োগ করেছে। সরকার যতক্ষণ আমাদের এখানে থাকতে বলবে আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবো।
মেলায় বিজিবি মোতায়েনে কোনো বিশেষ কারণ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমারা সাধারণত জরুরি প্রয়োজনে বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করি। মেলায় তেমন কোনো কিছু ঘটেছে কি না তা আমার জানা নেই। তবে আজ (সোমবার) প্রথম বিজিবি সদস্য মেলায় দায়িত্ব পালন করছে। বিজিবির ওই সদস্য আরো বলেন, তারা মেলা প্রাঙ্গণ ও প্রবেশ পথগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন। মেলায় দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যদের কমান্ডার নায়েব সুবেদার সারওয়ারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, মেলার নিরাপত্তার জন্য সরকার আমাদের নিয়োগ করেছেন। বিজিবি সদস্য মোতায়েনের কারণ কি জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
এদিকে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে মেলার প্রবেশ পথের ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মী মেলা সচিবালয়ে ঢুকে ইপিবির নির্বাহী পরিচালক ও সদস্য সচিব (মেলা) বিকর্ণ কুমার ঘোষকে মারধর করেন। এ কারণেই মেলা প্রাঙ্গণে বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিকর্ণ কুমার ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, মেলার বাড়তি নিরাপত্তার জন্য বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এসময় ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের র্দুব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলেননি।
ঢাকা: পুনঃভোটের আট নির্বাচনী এলাকায় ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে নির্বাচন কমিশনার মো, শাহনেওয়াজ জানান। অবশ্য এর আগে আন্তবাহিনী গণসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) গত শুক্রবার জানিয়েছিল, ইসির চাহিদা অনুযায়ী পুনঃভোট হতে যাওয়া আট আসনে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনা থাকবে। শাহনেওয়াজ জানান, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, লক্ষ্মীপুর ও যশোর আট সংসদীয় আসনের স্থগিত ভোটকেন্দ্রে ১৬ জানুয়ারি পুনঃভোট হচ্ছে। এ নির্বাচনী এলাকায় ১৭ জানুয়ারির পরিবর্তে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। “নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে শেষ করার জন্য যা যা করার সবই করা হচ্ছে।
সেনাবাহিনীকে আরো দুইদিন বেশি রাখার বিষয়ে কমিশনে সিদ্ধান্ত হয়েছে।” পাশাপাশি নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে বলে অপর নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ জানান। তিনি জানান, নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনা সদস্যের পাশাপাশি সব কেন্দ্রই ‘পুলিশ র্ফোস’ বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়া নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের চারদিনের বদলে ৬দিন রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে । দিনাজপুর-৪ আসনের ৫৭টি, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের দুটি, গাইবান্ধা-১ আসনের ৫৪টি, গাইবান্ধা-৩ আসনের ৮০টি, গাইবান্ধা-৪ আসনে ৭২টি, বগুড়া-৭ আসনে ৪৬টি, যশোর-৫ আসনে ৬০টি ও লক্ষ্মীপুর-১ আসনে ২১টি স্থগিত কেন্দ্রে পুনঃভোট হবে বৃহস্পতিবার।
‘বাকি জেলায় মহড়ার কাজে সেনা’ দশম সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের ৫৯ জেলার ১৪৭ আসনে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি ১৫ দিন সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ জানান, বৃহস্পতিবারের পর দেশের ৫৩ জেলায় সশস্ত্রবাহিনীর নির্বাচনী দায়িত্ব শেষ হয়েছে। তবে আট আসনে পুনঃভোটের কারণে বাকি ৬ জেলায় তারা ভোটের কাজে থাকবে। ৯ জানুয়ারির পরও অনেক এলাকায় সেনা অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, “শীতকালীন মহড়ার কাজে তারা ফিল্ডে আছে। যখন মহড়া শেষ হবে তখন ফিরে যাবে।”
ঢাকা: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়া আসনগুলোতে পুনরায় ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীর উপস্থিতির সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ অধিদপ্তর শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, ১৬ জানুয়ারি ৮টি নির্বাচনী এলাকার (দিনাজপুর-৪, কুড়িগ্রাম-৪, বগুড়া-৭, যশোর-৫, লক্ষ্মীপুর-১, গাইবান্ধা-১, ৩ ও ৪) স্থগিত/বন্ধ ঘোষিত ৩৯২ টি ভোটকেন্দ্রে পুনঃভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ পুনঃভোটগ্রহণ সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য আইন শৃঙ্খলা-রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন রাখার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এই ৮টি নির্বাচনী এলাকায় আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
ঢাকা: নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা রোধে সারা দেশে সেনা মোতায়েন থাকছে। বৃহস্পতিবার সেনাসদস্যদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে আইনশৃঙ্খলা-পরিস্থিতির তেমন উন্নতি না হওয়ায় সেনা প্রত্যাহারের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে কত দিন সেনা মোতায়েন থাকবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে বলেছে না কমিশন। শনিবার এ-সংক্রান্ত একটি বৈঠক হবে জাতীয় অর্থনীতি পরিষদের সম্মেলনকক্ষে। তবে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থগিত আট আসনের ৩৯২টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে ছয়টি জেলায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছে। সারা দেশে কত দিন সেনা মোতায়েন থাকবে, সে বিষয়ে আগামী শনিবার সিদ্ধান্ত হতে পারে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত বছর ২৭ ডিসেম্বর থেকে প্রতিটি জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। ৯ জানুয়ারি সেনাসদস্যদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক-সংক্রান্ত চিঠি আজই সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল অব স্টাফ, পুলিশ, বিজিবি, আনসার, এনএসআই, ডিজিএফআই, ডিবি ও কোস্টগার্ডসহ সব ফোর্সের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
ঢাকা: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থগিত হয়ে যাওয়া ৬টি জেলায় নতুন করে নির্বাচন উপলক্ষে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। জেলাগুলো হচ্ছে, দিনাজপুর , যশোর, বগুড়া, লক্ষ্মীপুর, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের একটি সূত্র বলেছেন, ওই ৬টি জেলার ৮ আসনে আগামী ১৬ জানুয়ারি নতুন করে নির্বাচন হবে। যে কারণে ওই জেলাগুলোতে যে সংখ্যক সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন রয়েছে তারা আরো ৯ দিন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। একই সঙ্গে এখানে যে সংখ্যক অন্যান্য আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ছিল তারাও মোতায়েন থাকবে। প্রয়োজন মনে করলে ওই আসনগুলোতে নির্বাচনের দিন আরো আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করতে পারে নির্বাচন কমিশন। এদিকে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সময় ৯ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে। যদিও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ জানিয়েছিলেন, সরকার প্রয়োজন মনে করলে আরো কিছুদিন সেনাবাহিনী মোতায়েন রাখতে পারে।