May 19, 2024
ডেস্ক রিপোর্ট : হলো শোকাবহ আগস্ট। বাঙালি জাতির জন্য এই মাসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ । ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের বুলেটের আঘাতে সপরিবারে নিহত হন বাংলাদেশের স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
ঘাতকরা চেয়েছিল জাতির জনককে হত্যার মাধ্যমে সদ্য স্বাধীন দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে। আর সেই জন্য বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শিশু শেখ রাসেলও বাঁচতে পারেনি তাদের হিংস্রতা থেকে।
শুধু তাই নয়, সেই ঘটনার ত্রিশ বছর পর ঘাতকরা এ মাসেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকেও হত্যার নীল নকশা এঁকেছিল। জাতির ইতিহাসের আরও একটি দূর্বিষহ বিয়োগান্তক ঘটনা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো হয় ইতিহাসের ভয়াবহতম গ্রেনেড হামলা। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে চালানো ওই গ্রেনেড হামলা থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও ঝরে যায় মহিলা আওয়ামী লীগ নেতা আইভি রহমানসহ ২৪টি তাজা প্রাণ। আহত হন আরো ৫ শতাধিক নেতাকর্মী।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালোরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি। তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। ঘাতকদের ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নীপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিণী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ সদস্য।
১৫ আগস্টের রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য গুলি করে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুকে। এর পরই গোটা বিশ্বে নেমে আসে শোকের ছায়া এবং ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণা।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির নোবেল জয়ী নেতা উইলি ব্রানডিট বলেন, মুজিবকে হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে তারা যেকোন জঘন্য কাজ করতে পারে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক নীরদ সি চৌধুরী বলেন বাঙালিরা বিশ্বাসঘাতক। বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবকে হত্যার মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানুষের কাছে নিজেদের আত্মঘাতী চরিত্রই তুলে ধরেছে তারা।
দ্য টাইমস অব লন্ডন এর ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট সংখ্যায় উল্লেখ করে, সবকিছু সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকে সবসময় স্মরণ করা হবে। কারণ তাকে ছাড়া বাংলাদেশের বাস্তব কোন অস্তিত্ব নেই।
একই দিন লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের লাখ লাখ লোক শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকাণ্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে।
মৃত্যুঞ্জয়ীর তিরোধান দিবস মিলেছে আগস্টে। তাইতো, এই মাস বেদনার হয়েও অফুরান শক্তি যোগায় বাঙালিকে। বাংলাদেশের সত্তার অন্বেষায়, তাদের পাবো বাঙালির পরম আপনজন হিসাবে। মৃত্যুর সাথে সাথে জাতির পিতা নতুন করে জন্ম নিয়েছেন বাঙালির অন্তরে। সেখানে প্রবলভাবে আলোড়িত করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়তই। আর এভাবেই তিনি বেঁচে থাকবেন শ্রদ্ধায় আর স্মরণে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে।
ডেস্ক রিপোর্ট : বর্ষার প্রতিকূল পরিবেশকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েই কাজ এগুচ্ছে পদ্মা সেতুর। তার সঙ্গে এবার বাড়তি যোগ হয়েছে হ্যামার জটিলতা। এ প্রকল্পে বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হ্যামার আনা হলেও গত এক মাস ধরে অচল হয়ে আছে তিনটি হ্যামারই। এর মধ্যে দুইটি হ্যামার দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট, আরেকটি হ্যামার সার্ভিসিংয়ে থাকায় ব্যাহত হচ্ছে সেতুর পাইল ড্রাইভিংয়ের কাজ। প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, জটিলতা এড়াতে শীঘ্রই আনা হচ্ছে আরো দুটি নতুন হ্যামার।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি। নদী উত্তাল, থেমে থেমে দমকা হাওয়া। প্রস্তুতি আছে, কিন্তু নেই কাজ করার মতো অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ। পদ্মা সেতুর কাজে তাই বড় বাধা মনে করা হয় বর্ষায় নদীর অশান্ত এ রূপকে। তার সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হয়েছে যান্ত্রিক জটিলতা। শুরুতে পাইল ড্রাইভিং হতো ২ হাজার কিলোজৌল ক্ষমতাসম্পন্ন একটি হাইড্রোলিক হ্যামার দিয়ে। পরে ২৪শ কিলোজৌল আর বিশ্বের সর্বোচ্চ ৩৬শ কিলোজৌল ক্ষমতার আরও দুটি হ্যামার তাতে যোগ করা হয়। এর মধ্যে এমএনকে কোম্পানির দুটি হ্যামারই দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে আছে। ২৪শ কিলোজৌলের একটি হ্যামার দিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়া হলেও পুরো জুলাই মাস জুড়ে সেটারও সংস্কার কাজ করতে হয়েছে। এ অবস্থায় কাজের গতি স্বাভাবিক রাখতে ১৯শ ও ৩৫শ কিলোজৌলের আরো দুটি নতুন হ্যামার আনা হচ্ছে।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইলেকট্রনিক জিনিস যেকোনো সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর এই হ্যামার শুধুমাত্র পদ্মা সেতুর জন্য বানানো হয়েছে। চলতি মাসে একটা আসবে আর চলতি বছরের শেষে আর একটা আসবে।’
পুরো সেতুর ২৭২টি পাইলের মধ্যে এখন পর্যন্ত বসানো হয়েছে ৩৪টি পাইল। এ ক্ষেত্রে আগে ড্রাইভ করা ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারকে কংক্রিট ঢালাই, ক্যাপ পড়ানোর কাজ শেষে পুরো প্রস্তুত করে ফেলা হচ্ছে। কয়েক দফা পেছানো হলেও এ দুটি পিলারের মধ্যে পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যানটি বসানো হবে আগামী মাসে।
এছাড়া সেতু থেকে সড়কে নামার জন্য জাজিরা প্রান্তে ভায়াডাক্ট তৈরির কাজ প্রায় ৭০ ভাগ শেষ হলেও মাওয়া প্রান্তে এ কাজ ধরা হবে চলতি মাসে। এখন পর্যন্ত মূল সেতুর ৫৯ ভাগ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ হয়েছে ৪৫ ভাগ।
ডেস্ক রিপোর্ট : বরগুনা সদর উপজেলার আলোচিত নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী তারিক সালমানকে ইউএনও পদ থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদন্নোতি দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আমন্ত্রণপত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিকৃত করা ছবি ব্যবহারের অভিযোগে সাত জুন তারিক সালমানের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ওবায়েদুল্লাহ সাজু। পরে এ মাসের ১৮ জুলাই মামলায় তারিক সালমান আদালতে আত্মসমর্পন করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বরিশালের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। এ নিয়ে পরে সমালোচনায় মুখে পড়েন মামলার বাদি, বিচারকসহ অন্যান্যরা।
ডেস্ক রিপোর্ট : শুরু হল শোকের মাস আগস্ট। এই মাসেই সপরিবারে হত্যা করা হয় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। সে ঘটনার ত্রিশ বছর পর ঘাতকরা এ মাসেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকেও হত্যার নীল নকশা এঁকেছিল। এখনো থেমে নেই ঘাতকদের সেই তৎপরতা। বিশ্লেষকরা বলছেন, শোককে শক্তিতে পরিণত করে এগিয়ে যেতে হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে।
আকস্মিক কিংবা অপ্রত্যাশিত নয়। তিনি এসেছিলেন বাংলার মাটি থেকে জেগে। ভালোবেসেছিলেন মাটি আর মানুষকে। তিনি রাজনীতির কবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মাটি আর মানুষকে ভালবাসার অপরাধে তার বিরুদ্ধে ঘাতকের বুলেট গর্জে উঠেছিল। ৭৫ পনের আগস্ট, সপরিবারে হত্যা করা হয় জাতির পিতাকে। তাইতো আগষ্ট বাঙ্গালির জীবনে ঘোর অমানিশার। তবুও যুগ সন্ধিক্ষণে তিনি এমন এক বাণী বাঙ্গালির অন্তরে রোপিত করে দিয়েছিলেন, যা স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যায়নি। এখনও তা নানাভাবে আন্দোলিত করে তুলেছে বাঙ্গালিকে।
ঘাতকদের নীল নকশা পঞ্চাত্তর পেরিয়ে ২০০৪। সেই আগষ্ট পুরাতন ভয়াবহতা নতুন রূপে। এবারের লক্ষ ছিল বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা।
মৃত্যুঞ্জয়ীর তিরোধান দিবস মিলেছে আগস্টে। তাইতো, এই মাস বেদনার হয়েও অফুরান শক্তি যোগায় বাঙালিকে।
বাংলাদেশের সত্তার অন্বেষায়, তাদের পাবো বাঙালির পরম আপনজন হিসাবে। মৃত্যুর সাথে সাথে জাতির পিতা নতুন করে জন্ম নিয়েছেন বাঙালির অন্তরে। সেখানে প্রবলভাবে আলোড়িত করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়তই। আর এভাবেই তিনি বেঁচে থাকবেন শ্রদ্ধায় আর স্মরণে।
সময়টিভি অনলাইন।
ডেস্ক রিপোর্ট : রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক- ই-এলাহী। তিনি বলেছেন, ‘ইউনেস্কো’র ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির প্রতিবেদনেও বলা আছে, এই প্রকল্পের কাজে কোনও বাধা নেই।’
সোমবার (৩১ জুলাই) বিকালে বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত এক জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. তৌফিক- ই-এলাহী ব্রিফিংয়ে জানান, ইউনেস্কো’র ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ছোট ছোট অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাওয়া যাবে। তবে এই কেন্দ্রের আশপাশে বড় আকারে কোনও শিল্প কারখানা বা কোনও ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না।
তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনের কোনও ক্ষতি হোক, তা আমরাও চাই না। হেরিটেজ কমিটি বাংলাদেশকে এনভায়রনমেন্টাল স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট তৈরি করতে বলেছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে এই রিপোর্ট তৈরি করা হবে। পাশাপাশি আগামী ২০১৮ সালের মধ্যেই আমরা ওই কমিটিকে অগ্রগতি প্রতিবেদন দেবো।’
গণমাধ্যমে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে হেরিটেজ কমিটির অনুমোদন নেই- গণমাধ্যমে এ বিষয়ে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলো বিভ্রান্তিকর।’
প্রেস ব্রিফিংয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ এবং পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : সময় অনলাইন।
ডেস্ক রিপোর্ট : দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে বসে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক করছেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
এ জন্য দেশে ফেরার পর তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার সকালে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘তিনি সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নয়, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। কারণ তিনি রাজনীতি করেন যারা বাংলাদেশকে চাইনি তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে। আমি সরকারকে আহ্বান জানাবো তিনি যখনই দেশে আসবেন, তখনই তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ডেস্ক রিপোর্ট : নাশকতার উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটালে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে বিদ্যুৎ আইন-২০১৭ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সকালে সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আইনে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র, বিতরণ কিংবা সঞ্চালন লাইন অথবা বিদ্যুতের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় কেউ নাশকতার উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটালে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
এছাড়া উভয়দণ্ডেরও বিধান রয়েছে আইনটিতে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান।
ডেস্ক রিপোর্ট : ক্যান্সার, আলঝেইমার, এ্যান্টি-এজিং ক্রিমসহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত মেরিন জেনেটিক রিসোর্সেস (এমজিআর) গভীর সমুদ্র থেকে আহরণের প্রযুক্তি চায় বাংলাদেশ। এজন্য উন্নয়নশীল দেশসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আলোচনা করে একটি দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চায় সরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম ইউনিটের সচিব এবং গ্লোবাল সি বেড কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমরা জানতাম সূর্যের আলো পানির নিচে যতটুকু পৌঁছায় ততটুকু পর্যন্ত প্রাণী বেঁচে থাকে কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আবিষ্কার হয়েছে সমুদ্রের ৫ হাজার এমনকি দশ হাজার ফিট নিচে পর্যন্ত প্রাণী বেঁচে থাকে। তাদের অনেকের জেনেটিক উপাদান ক্যান্সার, আলঝেইমারের মতো প্রাণঘাতী রোগের চিকিৎসা থেকে শুরু করে ত্বকের প্রসাধন বা এ্যান্টি-এজিং ক্রিম তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।’
গত ১৫ বছরে মেরিন জেনেটিক রিসোর্সেস ব্যবহৃত হয় এমন ১৪ হাজার পণ্যের পেটেন্ট নিয়েছে বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানি। এরমধ্যে বেশিরভাগই ওষুধ কোম্পানি।
মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, ‘দুই বছর আগে এ সম্পদের সুষম বণ্টনে একটি বৈশ্বিক ব্যবস্থা সৃষ্টির জন্য জাতিসংঘে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ মাসে আমরা আমাদের চূড়ান্ত সুপারিশমালা জাতিসংঘের মহাসচিবের দফতরে জমা দিয়েছি। আশা করছি আসন্ন সাধারণ অধিবেশনে এটি নিয়ে আলোচনা করে একটি বৈশ্বিক লিগ্যালি বাইন্ডিং সুষ্ঠু বণ্টন ব্যবস্থা তৈরির দিক নির্দেশনা আসবে।’
সুপারিশমালায় কী আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি হস্তান্তর, উন্নয়নশীল দেশগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, পণ্যের উৎসমূল বা ট্রেসেবিলিটি, ক্লিয়ারিং হাউস মেকানিজমসহ আরও অনেক বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘গভীর সুমদ্র থেকে মেরিন জেনেটিক রিসোর্সেস সংগ্রহে অত্যন্ত উচ্চপ্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। এ প্রযুক্তি উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দেওয়ার জন্য সুপারিশ করার পাশাপাশি এ প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করারও প্রস্তাব করা হয়েছে।’
অনেক প্রতিষ্ঠান মেরিন জেনেটিক রিসোর্সেস থেকে পণ্য উৎপাদন করেও এর ঘোষণা দেয় না। সুপারিশমালায় বলা হয়েছে, মেরিন জেনেটিক রিসোর্সেস উপাদান ব্যবহার করে কেউ পণ্য উৎপাদন করলে ক্লিয়ারিং হাউস মেকানিজমের মাধ্যমে সবাইকে অবহিত করতে হবে।
এছাড়া ট্রেসেবিলিটির মাধ্যমে একটি পণ্যের কাঁচামাল থেকে শুরু করে এর উৎপাদন প্রক্রিয়া কিভাবে সম্পন্ন হয়েছে সেটিরও উল্লেখ থাকতে হবে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সক্ষমতা বৃদ্ধি ছাড়া আরও তিনটি সুপারিশে উন্নত বিশ্বের আপত্তি আছে কিন্তু আমরা আশা করছি সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সবাই একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবে।’
ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমানা নির্ধারণের পর থেকে সুমদ্র সম্পদ আহরণের জন্য বাংলাদেশ বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। সর্বশেষ গভীর সমুদ্রে জেনেটিক সম্পদে বিশ্বের সব দেশের অধিকার রক্ষায় সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনা করবে সরকার।
উল্লেখ্য, সমুদ্রসীমানার ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মাছ ও সব ধরনের সম্পদের উপর বাংলাদেশের নিরঙ্কুশ অধিকার আছে অর্থাৎ অন্য কোনও দেশ এ সম্পদ আহরণ করতে পারবে না। ২০১ মাইল থেকে ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মাছ ব্যতীত অন্যান্য সম্পদ যেমন তেল, গ্যাস বা খনিজ পদার্থের উপর বাংলাদেশের অধিকার আছে। এর বাইরের সম্পদ সারা বিশ্বের জন্য উন্মুক্ত অর্থাৎ সেখানকার সম্পদ আহরণের জন্য কোনও অনুমতির প্রয়োজন হয় না।
সূত্র : বাংলাট্রিবিউন।
ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনে নতুন যুক্ত হওয়া ১৬টি ইউনিয়নে ৩৬টি ওয়ার্ড গঠন করেছে সরকার। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত্র গেজেট জারি করা হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে নতুন করে যুক্ত হওয়া বাড্ডা, ভাটারা, সাতারকুল, বেরাঈদ, ডুমনি, উত্তরখান, দক্ষিণখান ও হরিরামপুর ইউনিয়নকে ৩৭ থেকে ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নতুন করে যুক্ত হওয়া শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল, সারুলিয়া, ডেমরা, মান্ডা, দক্ষিণগাঁও ও নাসিরাবাদ ইউনিয়নকে ৫৮ থেকে ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে।
গত বুধবার (২৬ জুলাই) প্রকাশিত গেজেট প্রকাশের পর ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে এ নিয়ে মোট ওয়ার্ড হল ১২৯টি।
এর আগে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) গত ৯ মে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সঙ্গে নতুন করে মোট ১৬টি ইউনিয়ন যুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়। এতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের আয়তন বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়। এরপর গত ২৯ জুন ঢাকা সিটি করপোরেশনের আয়তন বাড়িয়ে গেজেট প্রকাশ করে সরকার।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত আসনের ১৩ আসন গঠন করা হয়েছে সম্প্রসারিত ৩৮, ৩৯ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে । সংরক্ষিত ১৪ নম্বর আসন গঠন করা হয়েছে সম্প্রসারিত ৩৭, ৪১ ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে। সংরক্ষিত ১৫ আসন গঠন করা হয়েছে সম্প্রসারিত ৪৩, ৪৪ ও ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে । সংরক্ষিত ১৬ নম্বর আসন গঠন করা হয়েছে সম্প্রসারিত ৪৬, ৪৭ ও ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে। সংরক্ষিত ১৭ নম্বর আসন গঠন করা হয়েছে সম্প্রসারিত ৪৯, ৫০ ও ৫১ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে। সংরক্ষিত ১৮ আসন গঠন করা হয়েছে সম্প্রসারিত ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে।
আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত ২০ নম্বর আসন গঠন করা হয়েছে সম্প্রসারিত ৭৩, ৭৪ ও ৭৫ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে। সংরক্ষিত ২১ নম্বর আসন গঠন করা হয়েছে সম্প্রসারিত ৭০, ৭১ ও ৭১ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে। সংরক্ষিত ২২ আসন গঠন করা হয়েছে সম্প্রসারিত ৬৭, ৬৮ ও ৬৯ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে। সংরক্ষিত ২৩ নম্বর আসন গঠন করা হয়েছে সম্প্রসারিত ৬৪, ৬৫ ও ৬৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে। সংরক্ষিত ২৪ নম্বর আসন গঠন করা হয়েছে সম্প্রসারিত ৬১, ৬২ ও ৬৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে। সংরক্ষিত ২৫ নম্বর আসন গঠন করা হয়েছে সম্প্রসারিত ৫৮, ৫৯ ও ৬০ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে।
সূত্র : বাংলাট্রিবিউন।
ডেস্ক রিপোর্ট : আগামী ৮ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিনটি জাতীয়ভাবে পালনের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে বিষয়টি মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব আকারে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ।
সংসদ ভবনে রবিবার অনুষ্ঠিত মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদয়ি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এবিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি রেবেকা মমিন। কমিটি সদস্য ফজিলাতুন নেসা, মনোয়ারা বেগম, আমিনা আহমেদ, সালমা ইসলাম ও রিফাত আমিন এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব নাসিমা বেগমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য রিফাত আমিন সাংবাদিকদের জানান, তরুণ প্রজন্মের কাছে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর জীবন সংগ্রাম, শেখ মুজিবুর রহমানের কারাবাসকালীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোকে প্রত্যক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সংগঠিত করা এবং তাঁর দেশপ্রেমের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে জাতীয়ভাবে দিবসটি পালনের সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশটি মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদিত হলে বঙ্গমাতার জন্মদিন জাতীয়ভাবে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদানকে তুলে ধরা সম্ভব হবে।
সূত্র : বাংলাদেশে প্রতিদিন।