May 18, 2024
ডেস্ক রিপোর্ট : বর্ষার প্রতিকূল পরিবেশকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েই কাজ এগুচ্ছে পদ্মা সেতুর। তার সঙ্গে এবার বাড়তি যোগ হয়েছে হ্যামার জটিলতা। এ প্রকল্পে বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হ্যামার আনা হলেও গত এক মাস ধরে অচল হয়ে আছে তিনটি হ্যামারই। এর মধ্যে দুইটি হ্যামার দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট, আরেকটি হ্যামার সার্ভিসিংয়ে থাকায় ব্যাহত হচ্ছে সেতুর পাইল ড্রাইভিংয়ের কাজ। প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, জটিলতা এড়াতে শীঘ্রই আনা হচ্ছে আরো দুটি নতুন হ্যামার।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি। নদী উত্তাল, থেমে থেমে দমকা হাওয়া। প্রস্তুতি আছে, কিন্তু নেই কাজ করার মতো অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ। পদ্মা সেতুর কাজে তাই বড় বাধা মনে করা হয় বর্ষায় নদীর অশান্ত এ রূপকে। তার সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হয়েছে যান্ত্রিক জটিলতা। শুরুতে পাইল ড্রাইভিং হতো ২ হাজার কিলোজৌল ক্ষমতাসম্পন্ন একটি হাইড্রোলিক হ্যামার দিয়ে। পরে ২৪শ কিলোজৌল আর বিশ্বের সর্বোচ্চ ৩৬শ কিলোজৌল ক্ষমতার আরও দুটি হ্যামার তাতে যোগ করা হয়। এর মধ্যে এমএনকে কোম্পানির দুটি হ্যামারই দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে আছে। ২৪শ কিলোজৌলের একটি হ্যামার দিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়া হলেও পুরো জুলাই মাস জুড়ে সেটারও সংস্কার কাজ করতে হয়েছে। এ অবস্থায় কাজের গতি স্বাভাবিক রাখতে ১৯শ ও ৩৫শ কিলোজৌলের আরো দুটি নতুন হ্যামার আনা হচ্ছে।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইলেকট্রনিক জিনিস যেকোনো সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর এই হ্যামার শুধুমাত্র পদ্মা সেতুর জন্য বানানো হয়েছে। চলতি মাসে একটা আসবে আর চলতি বছরের শেষে আর একটা আসবে।’
পুরো সেতুর ২৭২টি পাইলের মধ্যে এখন পর্যন্ত বসানো হয়েছে ৩৪টি পাইল। এ ক্ষেত্রে আগে ড্রাইভ করা ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারকে কংক্রিট ঢালাই, ক্যাপ পড়ানোর কাজ শেষে পুরো প্রস্তুত করে ফেলা হচ্ছে। কয়েক দফা পেছানো হলেও এ দুটি পিলারের মধ্যে পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যানটি বসানো হবে আগামী মাসে।
এছাড়া সেতু থেকে সড়কে নামার জন্য জাজিরা প্রান্তে ভায়াডাক্ট তৈরির কাজ প্রায় ৭০ ভাগ শেষ হলেও মাওয়া প্রান্তে এ কাজ ধরা হবে চলতি মাসে। এখন পর্যন্ত মূল সেতুর ৫৯ ভাগ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ হয়েছে ৪৫ ভাগ।