পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

সফলভাবে মুক্তামনির প্রথম অস্ত্রোপচার সম্পন্ন, সংগ্রহ করা হয়েছে টিস্যু

ডেস্ক রিপোর্ট : সফলভাবে মুক্তামনির প্রথম অস্ত্রোপ্রচার সম্পন্ন হয়েছে। বায়োপসির জন্য তার হাত থেকে টিস্যু সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগৃহীত টিস্যু পরীক্ষা করতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, ‘মুক্তামনি এখন ভালো আছে। তাকে এখন আইসিইউতে রাখা হয়েছে। বিকালে কেবিনে দেবো।’

অস্ত্রোপচার করতে সময় লাগে ৪০ মিনিট। অপারেশশের পুরো প্রক্রিয়ার যুক্ত ছিলেন বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক সাজ্জাদ খোন্দকার, অধ্যাপক ডা. রায়হানা আওয়াল, সহকারী অধ্যাপক তানভীর আহমেদ, সহকারী হেদায়েত আলী, কনসালটেন্ট ডা. আবু ফয়সাল, ডা. শারমিন সুমি, আবাসিক সার্জন হুসেন ইমাম, ডা. মাহবুবুর রহমান. ডা. লতা। আর অ্যানেসিথেশিয়ার বিভাগের প্রধান ডা. মোজাফফর আহমেদ, ডা. মৌমিতা তালুকদার ও ডা. জাহাঙ্গীর কবির।

এর আগে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অপারেশনে ঝুঁকি আছে। আজ অপারেশনের পর এ বিষয়ে জানতে চাইলে বার্ন ইউনিউটের পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘প্রত্যাশা অনুযায়ী আমাদের কোনও সমস্যা বা জটিলতা হয়নি। সফলভাবে আমরা টিস্যু কালেক্ট করতে পেরেছি। সমস্যা যাতে না হয় এজন্য অ্যানেসথেশিয়া বিভাগের প্রধান ডা. মোজাফফর হোসেন আমাদের সঙ্গে ছিলেন। বায়োপসির রিপোর্ট আসার পর মুক্তমনির চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড সোমবার (৭ আগস্ট) আমরা আবার বসবো। এরপর পরবর্তী করনীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।’

বায়োপসি রিপোর্ট আসা এবং সোমবার আলোচনায় বসা নিয়ে জানতে চাইলে ডা. তানভীর আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বায়োপসি রিপোর্ট আসতে সাধারণত ৫-৭ দিন সময় লেগে যায়। তবে এটা যেহেতু বিশেষ কেস তাই নির্ধারিত সময়ের আগে চলে আসতে পারে। এমনিতেই আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সোমবার বসবো। এর মধ্যে বায়োপসি রিপোর্ট এসে গেলে তা হবে বিশেষ সুবিধা।’

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার অস্ত্রোপচার শুরু হয়। এর আগে সকাল ৮টার দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১২ জুলাই ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তির পর প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা চারটি রোগের কথা ধারণা করলেও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা গেছে, লিমফেটিক ম্যালফরমেশন রোগে ভুগছে মুক্তামনি। এটি একটি জন্মগত রোগ (কনজিনেটাল ডিজিস)। এর বিশেষত্ব হচ্ছে, জন্মের পরপরই কিছু ক্ষেত্রে এর প্রকাশ পায় কারও কারও ক্ষেত্রে, কারও-কারও ক্ষেত্রে পায় না। তবে মুক্তামনি এতদিন অবহেলা আর অপচিকিৎসার শিকার হয়েছে বলে পরিবার ও চিকিৎসকদের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে।

Posted in জাতীয়, সারা দেশ, স্বাস্থ্য | Comments Off on সফলভাবে মুক্তামনির প্রথম অস্ত্রোপচার সম্পন্ন, সংগ্রহ করা হয়েছে টিস্যু

অর্থ ও ক্ষমতা মানুষ একসাথে হজম করতে পারেনা : চুমকি

ডেস্ক রিপোর্ট : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, অর্থ ও ক্ষমতা এ দুটো জিনিস মানুষ এক সাথে হজম করতে পারেনা, তাই ধর্ষণের মতো অপকর্ম ঘটায়। কেউ এটাকে কোনভাবে গ্রহণ করতে পারেনা। বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সরকারের তরফ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

সাম্প্রতি বগুরায় ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ভাবতেও অবাক লাগে, এধরনের ঘটনা যারা ঘটায় তারা আসলে প্রকৃত মানুষ কি না! বগুরার ঘটনায় সবার সাথে আমিও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

বিভিন্ন সংস্থার হিসেব অনুযায়ী গত ছয় বছরে নারী নির্যাতনের মামলা হয়েছে ৩১ হাজারেরও বেশি। গত ছয় মাসে ৪০০’র বেশি নারী নির্যাতনের মামলা হয়েছে। একই সময়ে শিশু ধর্ষণের ঘটনা গঠেছে অন্তত ২০০টি। মানবাধিকার সংস্থাগুলো মনে করছে, নারী নির্যাতনের বিচারের চিত্র সংখ্যার অনেকটা নগন্য। বিচার না হওয়ার কারণেই এসব অপরাধ কমানো যাচ্ছেনা।

এসম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নানা কারণে এসব ঘটনার অনেকসময় বিচার হয়না। হয়তো শাক্ষ্য প্রমাণের সমস্যা থাকে, কিংবা ভিক্টিম তাৎক্ষনাৎ বিচার চায়না, অনেক পরে বিচার চায়। সেখানেও অনেক জটিলতা থাকে। এসব কারণে হয়তো সব মামলার বিচার সম্পন্ন হয়না। তবে ইতিবাচক দিক হচ্ছে, এখন মানুষ সচেতন হয়েছে। বিচার চাইতে শিখেছে। এভাবেই ধীরে ধীরে ধর্ষণের প্রবণতা কমে আসবে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা

Posted in জাতীয়, রাজনীতি | Comments Off on অর্থ ও ক্ষমতা মানুষ একসাথে হজম করতে পারেনা : চুমকি

বর্তমান তিনবাহিনী প্রধান নির্বাচনের পরেও থাকবেন

ডেস্ক রিপোর্ট : প্রতিরক্ষা বাহিনীসমূহের প্রধানদের (নিয়োগ, বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধা) আইন- ২০১৭ এর খসড়া পাস হওয়ায় বর্তমানে দায়িত্বপালনকারী তিনবাহিনী প্রধানগণ আগামী নির্বাচনের সময় ও এর পরেও কয়েকমাস দায়িত্বে থাকবেন। নিয়ম মোতাবেক আগামী বছরের ২৪ জুন বর্তমান সেনাপ্রধানের চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নতুন আইন অনুযায়ী তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে না।
চাকরির মেয়াদ শেষ করার পরও আরও একবছর অতিরিক্ত সময় পাবেন। তাতে তার মেয়াদ শেষ হবে ২০১৯ সালের ২৪ জুন। নতুন আইনের যে খসড়ায় চুড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেখানে সেনাপ্রধান ছাড়াও নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানদের চাকরির মেয়াদ তিন বছর থেকে চার বছরে উন্নীত করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, এর আগে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন উ আহমেদ সেনাপ্রধানের পদে চার বছর ছিলেন। নিয়োগ পাওয়ার সময় তার মেয়াদ ছিল তিন বছর। সেই সময় শেষ হওয়ার আগে একবছর চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হয়। সেই পথ অনুসরণ করলো সরকার।

সোমবার মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে আইনের খসড়ায় যে চুড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেখানে সেনাপ্রধানসহ অন্যান্য সামরিক বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ চার বছর করা হচ্ছে।

বিভিন্ন বাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল আবু বেলাল মুহম্মদ শফিউল হক, এনএসসি, পিএসসি ১ লা ডিসেম্বর ১৯৫৮ তারিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৮ সালের ১৮ জুন বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে কমিশন লাভ করেন। ২০১৫ সালের ২৫ জুন তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বর্তমান সেনাপ্রধানের বয়স এই বছর ডিসেম্বরে ৫৯ বছর হবে। এরপরও তিনি দেড় বছর থাকতে পারবেন। ২০১৯ সালের ২৪ জুন তার মেয়াদ শেষ হবে।

বিমানবাহিনী প্রধান চিফ অফ এয়ার স্টাফ মার্শাল আবু এসরার বিবিপি, এনডিসি, এসিএসসি ১৯৬১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯ শে সেপ্টেম্বর ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ এয়ার ফোর্স এ যোগ দেন এবং ১৯৮১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি কমিশন লাভ করেন। তিনি ২০০৯ সাল থেকে সহকারী চীফ এয়ার স্টাফ (অপারেশন অ্যান্ড ট্রেনিং) হিসেবে দায়িত্ব¡ পালন করেন। পরে ১২ জুন ২০১৫ তাকে বিমান বাহিনীর প্রধান করা হয়। ১১ জুন ২০১৯ এ এখন তার মেয়াদ শেষ হবে।
চিফ অফ নেভাল স্টাফ অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, ওএসপি, বিসিজিএম, এনডিসি, পিএসসি ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি নৌবাহিনীর প্রধান পদে অধিষ্ঠিত হন। ১৯৭৯ সালের ৩০ জানুয়ারি নৌবাহিনীতে যোগ দেন। ১ আগস্ট, ১৯৮১ তে বাংলাদেশ কমিশন লাভ করেন। তার মেয়াদ ২০১৯ সালের ২৬ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা থাকলে এখন তার মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি।
উল্লেখ্য, এর আগে জেনারেল মঈনকে তিন বছরের জন্য ওই সময়ে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া নিয়োগ করেন। এরপর তিনি তার সহযোগীদের নিয়ে ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেন করেন। ওয়ান ইলেভেনের সরকারের সময়ে দ্বিতীয় বছরে তার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কয়েকদিন আগে তার মেয়াদ বিশেষ ক্ষমতা বলে বাড়িয়ে নেন এক বছর। যদিও তাকে তার ঘনিষ্টজনরা পরামর্শ দিয়েছিল দুই বছর করার জন্য।

রাষ্ট্রপতি প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদের কাছে তার মেয়াদ দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। তবে রাষ্ট্রপতি তাতে রাজি হননি। তিনি বলেছিলেন, এটা এখন হবে না। তাই এক বছর একবছর করে করা যাবে। যে কারণে এক বছর তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। তাছাড়াও এটি ছিল ওই সময়ে নতুন। এর আগে কোন সেনাপ্রধানের চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর একবছর বাড়ানো হয়নি।

Posted in জাতীয় | Comments Off on বর্তমান তিনবাহিনী প্রধান নির্বাচনের পরেও থাকবেন

রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসনে ওআইসির সহযোগিতা কামনা রাষ্ট্রপতির

ডেস্ক রিপোর্ট : রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সহায়তা কামনা করেছেন।
ওআইসির সফররত মহাসচিব ড. ইউসুফ বিন আহমেদ আল-ওসাইমীন আজ বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে
তিনি বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি ফিলিস্তিন ও আল-আকসা মসজিদ সমস্যা সমাধানে মুসলিম উম্মার সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। দেশে চমৎকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, মুসলিম উম্মার সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির লক্ষ্যে সহায়তা করতে বাংলাদেশ সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের কল্যাণে অবদান রাখার জন্য রাষ্ট্রপতি ওআইসি মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে চমৎকার উন্নয়নের প্রশংসা করে ওআইসি মহাসচিব বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অন্যদের জন্য একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইসলাম শান্তি ও কল্যাণে বিশ্বাস করে। এখানে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই।
তিনি বলেন, মুসলিম বিশ্ব ভবিষ্যতে যাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে যেতে পারে সে জন্য ওআইসি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। বিশ্বে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে ওআইসি মহাসচিব আশা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে ৪ দিনের সফরে ওআইসি মহাসচিব গতরাতে ঢাকা পৌঁছেন। এটি বাংলাদেশে তার প্রথম সফর।
এর আগে সুইডেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। রাষ্ট্রপতি সুইডেনে বাংলাদেশীদের কর্মসংস্থানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও সুইডেনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করতে রাষ্ট্রদূতকে নির্দেশ দেন।

Posted in জাতীয় | Comments Off on রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসনে ওআইসির সহযোগিতা কামনা রাষ্ট্রপতির

সমস্যা সৃষ্টিকারী হজ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ধর্মমন্ত্রী

সমস্যা সৃষ্টিকারী হজ এসেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মতিউর রহমান বলেন, ‘হজ যাত্রী পাঠানো নিয়ে যেসব সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। কিছু সংখ্যক হজ এসেন্সির কারণে এ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। যেসব এজেন্সির কারণে এ জটিলত সৃষ্টি হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তাদের জরিমানা করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৫ সালে যারা হজ করেছেন এবার তাদের হজে যেতে সৌদি কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত দুই হাজার সৌদি রিয়াল ফি ধার্য করেছে। সেটি মওকুফের জন্য সৌদি সরকারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি এবং আবেদনও করেছি।’

বাতিল হজ ফ্লাইটের যাত্রীদের কিভাবে সৌদি পাঠাবেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা বিমানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং তাকে বিমানের সংখ্যা বাড়ানোর অনুরোধ করেছি।’

লিখিত বক্তব্যে ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘এবার ১৩টি হজ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। তাই আমরা বিমানমন্ত্রীকে আরও ২০টি ফ্লাইট বাড়ানোর অনুরোধ করেছি।’

মতিউর রহমান বলেন, ‘এ বছর এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে ৪২ হাজার ২শ’ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং এক লাখ ২২ হাজার ৯৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত মোট ৯৭ হাজার ১৪০ জনের ই-হজ সিস্টেমে ভিসা লজমেন্ট করা হয়েছে। ৫২ হাজার ৬শ’ জন ভিসা হাতে পেয়েছেন। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ৫০৪ জন সৌদি পৌঁছেছেন। ভিসা পেয়েছেন আরও এমন ২০ হাজার ৯৬ জন যাত্রী সৌদি যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।’

Posted in জাতীয় | Comments Off on সমস্যা সৃষ্টিকারী হজ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ধর্মমন্ত্রী

ষড়যন্ত্রকারীদের লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা

ডেস্ক রিপোর্ট : বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে বিচার হয়েছে ঠিকই, তবে এই হত্যার সুফলভোগীরা এখনো থেমে নেই। তাদের এখন লক্ষ্য হলো বঙ্গবন্ধু কন্যা তার পরিবারের সদস্যরা। বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে পারলে পাকিস্তান পন্থা কায়েম করা যাবে এটাই ষড়যন্ত্রকারীদের মূল লক্ষ্য। বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে দেশ একশ বছর পিছিয়েছে বলে এসব মন্তব্য করেন দেশের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর। তিনি বলেন, সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশে থাকলে তাদেরও হত্যা করা হতো। তাদের নিশানা ছিল মুজিব পরিবারকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া। শুধু নিশ্চিহ্নই নয়, ছিল জাতির স্বাধীনতার স্বপ্ন একেবারেই মূলোৎপাটন করা। নকশাও ছিল নিখুঁত।

ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর বলেন, যে সময়টায় আক্রমণ করলে বুলেটের নিশানা ভুল হবে না, ঠিক সেই সময়টাই বেছে নিয়েছেন খুনীরা। তাই খুনিদের বুলেট থেকে রক্ষা পায়নি শিশু রাসেলও। ষড়যন্ত্রকারীদের লক্ষ্য ছিল রাজনীতির মাঠ থেকে বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরীদেরও বিদায় করে দেয়া। যে ষড়যন্ত্রের থাবা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পরই তার চলাচলের ওপর অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জিয়াউর রহমানের সামরিক সরকার। দেশে ফেরার প্রথম দিন নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে তাকে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে পর্যন্ত যেতে দেয়া হয়নি। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক পরিধি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তার জীবনও হুমকির মুখে পড়ে।

শাহরিয়ার কবীর বলেন, শেখ হাসিনার উপর প্রথম প্রকাশ্যে হামলা হয় ১৯৮৮ সালের ২২ জানুয়ারি। ওইদিন শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। সেখানে নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। এতে আওয়ামী লীগের কমপক্ষে ২৪ নেতাকর্মী নিহত হন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে যান। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। সবচেয়ে বড় ষড়যন্ত্র ছিল ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। এর আগে তাকে হত্যার ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র করা হয় ২০০০ সালে। ওই বছর ২০ জুলাই টুঙ্গিপাড়ার কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পেতে রাখা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর পুত্র ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কেও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্র করা হয়।

Posted in জাতীয়, রাজনীতি | Comments Off on ষড়যন্ত্রকারীদের লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা

মেট্রোরেলের একাংশ ২০১৯ সালে চালুর পরিকল্পনা

মেট্রোরেলের স্টেশন ও উড়ালপথ (ভায়াডাক্ট) নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনের কাছে এই কাজের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ২০১৯ সালে মেট্রোরেলের একাংশ চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ আট ভাগ বা আটটি প্যাকেজে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্যাকেজ ৩ ও ৪-এর কাজ উদ্বোধন করা হয় আজ। এর আওতায় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত নয়টি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। আর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার উড়ালপথ নির্মাণ করা হবে। এই উড়ালপথেই মেট্রোরেলের লাইন নির্মাণ করা হবে। আর স্টেশনগুলোও হবে উড়ালপথে।

নয়টি স্টেশন ও ১২ কিলোমিটার উড়ালপথ নির্মাণের কাজ পেয়েছে ইটাল-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি। আর প্রকৌশলগত দিক দেখভাল করছে এনকেডিএম অ্যাসোসিয়েশন। এই কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা।

এই মেট্রোরেলের পথটির নাম দেওয়া হয়েছে এমআরটি-৬, দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ কিলোমিটার। শুরু উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে এবং পল্লবী, ফার্মগেট, দোয়েল চত্ত্বর, প্রেসক্লাব হয়ে মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে গিয়ে শেষ হবে। পুরোটাই হবে উড়ালপথে। এই পথে স্টেশন হবে ১৬টি।
উত্তরায় ডিপো নির্মাণকাজ করছে আরেকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। উড়ালপথ নির্মাণের পর লাইন বসানো, ইঞ্জিন-কোচ ক্রয় এবং বিদ্যুতের সাবস্টেশন বসানোর কাজ হবে আলাদা প্যাকেজের অধীনে। আগারগাঁও থেকে উত্তরা পর্যন্ত মেট্রোরেল ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চালু করার কথা রয়েছে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বাকি অংশ ২০২০ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। তবে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে এই প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত।

মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা দেবে জাপানের সংস্থা জাইকা। বাকি ৫ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা জোগাবে সরকার।

আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার কারণে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ আট মাস পিছিয়ে গেছে। এখন একধাপ এগিয়ে যাওয়া হলো। সময়মতোই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছেন, এর মধ্যে মেট্রোরেল অন্যতম। এটি স্বপ্নের প্রকল্প, যা বাস্তবায়ন হতে চলেছে।

উত্তরায় ডিপো নির্মাণকাজ করছে আরেকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। উড়ালপথ নির্মাণের পর লাইন বসানো, ইঞ্জিন-কোচ ক্রয় এবং বিদ্যুতের সাবস্টেশন বসানোর কাজ হবে আলাদা প্যাকেজের অধীনে। আগারগাঁও থেকে উত্তরা পর্যন্ত মেট্রোরেল ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চালু করার কথা রয়েছে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বাকি অংশ ২০২০ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। তবে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে এই প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত।

মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা দেবে জাপানের সংস্থা জাইকা। বাকি ৫ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা জোগাবে সরকার।

আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার কারণে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ আট মাস পিছিয়ে গেছে। এখন একধাপ এগিয়ে যাওয়া হলো। সময়মতোই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছেন, এর মধ্যে মেট্রোরেল অন্যতম। এটি স্বপ্নের প্রকল্প, যা বাস্তবায়ন হতে চলেছে।

মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার একটি কোম্পানি গঠন করেছে। যার নাম ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। সংস্থাটির সূত্র বলছে, প্রতি ৪ মিনিট পরপর ১ হাজার ৮০০ যাত্রী নিয়ে চলবে মেট্রোরেল। ঘণ্টায় চলাচল করবে প্রায় ৬০ হাজার যাত্রী। প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে ৪০ মিনিটের কম।

মেট্রোরেলের প্রস্তাবিত ১৬টি স্টেশন হচ্ছে উত্তরা (উত্তর), উত্তরা (সেন্টার), উত্তরা (দক্ষিণ), পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, সোনারগাঁও হোটেল, জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর, জাতীয় স্টেডিয়াম এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকায়। এর মধ্যে আগারগাঁও পর্যন্ত নয়টি স্টেশন নির্মাণের কাজ আজ উদ্বোধন করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগারগাঁও পরিসংখ্যান ভবনের পাশের বড় সড়কের পূর্ব প্রান্ত ঘিরে ক্রেনসহ যন্ত্রপাতি বসিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এখানেই উড়ালপথ ও স্টেশনের ভিত্তি নির্মাণের কাজ চলবে।

Posted in জাতীয়, রাজনীতি | Comments Off on মেট্রোরেলের একাংশ ২০১৯ সালে চালুর পরিকল্পনা

প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজেদের সংরক্ষিত স্থাপনাগুলোর অবস্থা জানালো রাজউক

রাজউকের সংরক্ষিত স্থাপনাগুলোর সর্বশেষ অবস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তুলে ধরেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ নিয়ে বৈঠক হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বৈঠক কক্ষ মাধবী’তে রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বেশকিছু সংরক্ষিত স্থাপনার বর্তমান অবস্থা নিয়ে বিভিন্ন উপস্থাপনা তুলে ধরেন। এসব ভবন সংরক্ষণে বিভিন্ন নীতিগত বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Posted in জাতীয়, রাজনীতি | Comments Off on প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজেদের সংরক্ষিত স্থাপনাগুলোর অবস্থা জানালো রাজউক

৭৫ এর ষড়যন্ত্রে জিয়া যে জড়িত তাতে সন্দেহ নাই : শেখ হাসিনা

ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৭৫’এর ষড়যন্ত্র মোশতাকের সঙ্গে জিয়া জড়িত ছিল এতে কোন সন্দেহ নেই। মঙ্গলবার বিকেলে শোকের মাস উপলক্ষে কৃষক লীগ আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় তিনি বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দিয়েছিল। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসরদের ক্ষমতায় বসিয়ে জিয়া শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করেছিল বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের শত্রুরা যেটা পারে নাই। আর ঘরের আপনজন হয়ে দিন রাত যারা ঘোরাঘুরি করতো তারাই বেঈমানি করলো আর এমন একটি হত্যাকাণ্ড একইসাথে তিনটি বাড়িতে ঘটালো। সংবিধান লঙ্ঘন করেই মোশতাক নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছিলো। আর প্রেসিডেন্ট হয়েই জিয়াউর রহমানকে সেনা প্রধান নিযুক্ত করলো। মোশতাকের এই ষড়যন্ত্রের জিয়া যে একইভাবে জড়িত এতে আর কোন সন্দেহ থাকে না।’

সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘কারফিউ দেয়া হয়েছিলো, বেশি লোক ঢুকতে দেয়নি। তারা জোর করেই তাকে গোসল দিয়েছিলেন সেই তিব্বত ৫৭০ সাবান দিয়ে। কাফনের কাপড় কেনারও সুযোগ ছিলো না। তিনি রিলিফের কাপড় দিয়ে, যে কাপড় গরীব দুঃখী মা-বোনকে দিতেন সেই কাপড়, ওখানে রেড ক্রিসেন্টের একটা হাসপাতাল ছিলো সেখান থেকে কাপড় এনে সেই কাপড়ের পাড় ছিড়ে তা দিয়েই কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে দাফন করা হয়েছিলো। তার রক্তের ঋণ আমরা শোধ করতে পারবো তখনই যখন এই বাংলাদেশ থেকে দুঃখ দারিদ্র দূর করে প্রতিটি মানুষের জীবনকে আমরা অর্থবহ করতে পারবো।’

Posted in জাতীয়, রাজনীতি | Comments Off on ৭৫ এর ষড়যন্ত্রে জিয়া যে জড়িত তাতে সন্দেহ নাই : শেখ হাসিনা

৪০ হাজার হজযাত্রীর হজ অনিশ্চিত : মেনন

ডেস্ক রিপোর্ট : সহসা ভিসা জটিলতা না কাটলে ৪০ হাজার হজযাত্রীর হজ অনিশ্চিত বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। মঙ্গলবার সকালে হজক্যাম্পে বিমান শ্রমিক লীগের (সিবিএ) হজযাত্রীদের জন্য বিশেষ সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিমান বাংলাদেশ হজযাত্রী পরিবহনে শতভাগ প্রস্তুত হলেও ভিসা না পাওয়ায় তাদের (হজযাত্রীদের) পরিবহন করতে পারছে না। সবচেয়ে বড় সমস্যা হবে ফ্লাইট বরাদ্দ নিয়ে। বাতিল হওয়া ফ্লাইটগুলোর জন্য বিমান আবেদন করেছে। সেগুলো পেলে সমস্যা হবে না। আর না পেলে ৪০ হাজার হজযাত্রীর হজ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে মাসব্যাপী বিমান শ্রমিক লীগের এ কর্মসূচিতে বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) ইনামুল বারী, বিমানের এমডি ও সিইও এএম মোসাদ্দিক আহমেদ, শ্রমিক লীগ (সিবিএ) সভাপতি মো. মশিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য, ভিসা জটিলতার ফলে হজযাত্রী সংকটের কারণে এখন পর্যন্ত বিমানের মোট পাঁচটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

Posted in জাতীয় | Comments Off on ৪০ হাজার হজযাত্রীর হজ অনিশ্চিত : মেনন

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud