February 11, 2025
নিজস্ব প্রতিবেদক : রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলায় ২০১৪-১৫ সালে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের নৃশংসতায় নিহত পরিবার ও আহতদের মধ্যে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঐ ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের ২৪ জন সদস্যের মাঝে প্রধানমন্ত্রী এই আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করেন। খবর বাসস’র।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় সেদিনের বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের কথা স্মরণ করে বলেন, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ এই তিনটি বছর বিএনপি’র আন্দোলনের নামে সাধারণ জনগণ অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়। যাদের অনেকেই কষ্ট সহ্য করে মারাই গেছে। আবার অনেকে চিরদিনের মতো পঙ্গুত্ববরণ করে নিতে বাধ্য হয়েছে।
পরে প্রধানমন্ত্রী তার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) এর পক্ষ থেকে দেয়া অনুদানের চেক গ্রহণ করেন। প্রেস সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে ৮৫ কোটি টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ব্যাংকারদের দেশের সব রকম দুর্যোগের মুহূর্তে সহযোগিতার হাতকে প্রসারিত করে এগিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ জানান। জনগণের কল্যাণেই এই অর্থ ব্যয় করা হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান। শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার বন্যার পানি কমে যাবার পর থেকেই নতুন ফসল উৎপাদনে পদক্ষেপ নেবে, কেননা পাহাড়ী ঢল এবং অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট এই বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বন্যাপরবর্তীতে কোন ধরনের রোগ যেন ব্যাপক আকার ধারণ করতে না পারে সেজন্যও তাঁর সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সামরিক এবং বেসামরিক প্রশাসন এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বানভাসী জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার বন্যাদুর্গত এলাকার জনগণের মধ্যে পাঠ্য বই পুনরায় বিতরণ করবে এবং পানি কমার সঙ্গে সঙ্গেই সড়ক মহাসড়কগুলোর সংস্কার কাজ শুরু হবে। শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার জনগণের পাশে এসে দাঁড়াবার জন্য জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে এবং সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ- কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক সকলে সরকারের এই প্রচেষ্টায় শামিল রয়েছেন।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতির বেসরকারী খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং চেয়ারম্যান অব বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস নজরুল ইসলাম মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
ডেস্ক রিপোর্ট : বন্যার কারণে যদি ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, ট্রেনের টিকিটের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। আজ শনিবার দুপুরে মুঠোফোনে এ তথ্য জানান তিনি।
সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কমলাপুর রেলস্টেশনে সরেজমিনে দেখা গেছে, উত্তরাঞ্চল, বিশেষ করে রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট—এসব রেলপথের টিকিট কাউন্টারগুলোতে দীর্ঘ সারি। বন্যার কারণে সড়কপথে যাতায়াতে অনেক সময় লাগতে পারে ভেবে অনেকে ট্রেনের টিকিটের সন্ধানে এসেছেন।
যাত্রীদের চারটি করে ট্রেনের টিকিট দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন। অনেকে বলছেন, প্রথম শ্রেণির টিকিট পাচ্ছেন না। এসব অভিযোগ সম্পর্কে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুঠোফোন প্রথম আলোকে বলেন, যাত্রীদের টিকিট কম দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। তবে লালমণি এক্সপ্রেসের প্রথম শ্রেণির টিকিট আগে শেষ হয়ে গেছে। এখন শোভনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। যাঁরা লাইনে দাঁড়াবেন, তাঁরা পাবেন।
অনেক যাত্রী অভিযোগ করছেন, এসি কামরার টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী জানান, সব কাউন্টারে এসির টিকিট বুকিং দেওয়ার সুযোগ নেই। যে কটা আছে, প্রথমে যিনি দাঁড়ান, তিনিই পেয়ে যান।
কাল রোববার থেকে তিনটি রেলপথের বিশেষ ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে।
ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার্সেলোনা এবং স্পেনের অন্যান্য শহরে সন্ত্রাসী হামলায় নিরীহ ১৩ ব্যক্তি নিহত এবং আরো অনেককে আহত করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয়ের কাছে গতকাল পাঠানো এক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘বার্সেলোনা এবং স্পেনের অন্যান্য শহরে সন্ত্রাসী হামলায় নিরীহ ১৩ জন লোক নিহত এবং আরো অনেককে আহত করার ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত ও দুঃখিত।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাপুরুষোচিত এই ভয়াবহ হামলায় বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার স্পেনের জনগণ এবং সরকারের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে এবং এর নিন্দা জানাচ্ছেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের কোনো জাত নেই, ধর্ম বা বর্ণ নির্বিশেষে কোন সভ্য সমাজে তাদের স্থান নেই। আমরা সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধের সঙ্গে আছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছে এই কঠিন সময়ে আমাদের প্রার্থনা শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি এবং স্পেনের জনগণের প্রতি আমি আমাদের গভীর শোক এবং সমবেদনা প্রকাশ করছি। বাসস
ডেস্ক রিপোর্ট : বন্যা দুর্গত এলাকার পরিস্থিতি সরাসরি দেখতে আগামী রোববার দিনাজপুর ও কুড়িগ্রামে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকার প্রধানের এই সফরের কথা বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় দফার বন্যায় এ পর্যন্ত ২২ জেলার ৩৩ লাখ ২৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের তথ্য।
কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, নীলফামারী, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, দিনাজপুর, জামালপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজবাড়ী, নওগাঁ, জয়পুরহাট, যশোর ও রাঙামাটি জেলার ১২২টি উপজেলা ও ৩৮টি পৌরসভা এখন বন্যায় প্লাবিত।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বন্যাজনিত কারণে গত জুলাই মাস থেকে এ পর্যন্ত ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৯২ জনেরই মুত্যু হয়েছে পানিতে ডুবে।
দুর্গত জেলাগুলোতে কয়েক লাখ হেক্টরের বেশি ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় খাদ্য সঙ্কটের পড়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।
গত এপ্রিলে দেশের সিলেট অঞ্চলে আগাম বন্যায় বাঁধ ভেঙে হাওর এলাকার ছয় জেলা প্লাবিত হলে বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সে সময়ও প্রধানমন্ত্রী সুনামগঞ্জে গিয়ে দুর্গত এলাকার পরিস্থিতি নিজে চোখে দেখেন এবং ত্রাণ বিতরণ করেন।
যতীন সরকার : বঙ্গবন্ধুর নিহত হওয়ার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি নিজেদেরকে সংহত করতে পেরেছে। সেটা এখনো আমরা অতীতকালে পরিণত করতে পারিনি। যে অপশক্তি এ রকম একটা অন্যায় ও জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আমরা যারা নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে মনে করি, তারা সত্যি সত্যিই সেক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধভাবে সেই কাজটি করতে পারিনি। এই আগস্ট মাসে আমাদের সেই প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করতে হবে যেÑ এই অপশক্তির বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ‘সোনার বাংলা’ গড়তে চেয়েছিলেন, আমরা তা বাংলা গড়ে তুলব। তিনি যে বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। সেই স্বাধীনতার সংগ্রামকে যথার্থ সফল করতে হবে।
মুক্তির সংগ্রামে আমাদের মনোনিবেশ করতে হবে। এভাবে আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথার্থ সম্মান জানাতে পারি। আমরা যে তার শূন্যতা পূরণ করতে পারিনি। তবে বঙ্গবন্ধু যদি নিহত না হতেন, তার তো স্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারত? বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, এটা পূরণের দায়িত্ব আমাদেরই। আমাদের সেই দায়িত্ব পূরণ করতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে আমরা অনেক দূরে সরে গেছি, এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর অনুসারি মনে করি, তার আদর্শ ফিরিয়ে আনার জন্য তাদেরকে যথার্থ অর্থে মুক্ত মনে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
পরিচিতি: শিক্ষাবিদ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইটি নিয়ে ‘বইআড্ডা’র আয়োজন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৫টায় শাহবাগ পাঠক সমাবেশ কেন্দ্রে ‘বই নিউজ’ এই আড্ডার আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম। এছাড়াও বইটি নিয়ে আলোচনা করবেন সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, প্রণব সাহা প্রমুখ।
ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর অবদান অস্বীকারকারীদের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে কিছু লোক আছেন যারা সব সময়ই জাতির সামনে বিকৃত ইতিহাস তুলে ধরার অপচেষ্টা চালান।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত ২১টি বছর বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা চালানো হয়। স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়েও বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ একধাপ এগিয়ে বলেন, কোন ব্যক্তির একক প্রচেষ্টায় দেশ স্বাধীন হয়নি। কিন্তু যার একক উদ্যোগ, প্রেরণা এবং সাংগঠনিক শক্তি এর নেপথ্যে ছিল তিনি হচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর একক অবদান অস্বীকার করে তাদের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ সত্যটি যারা উপলদ্ধি করতে পারবে না তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় আদৌ বিশ্বাস করে কিনা আমার সন্দেহ রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল রাতে গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক মন্ডলীর যৌথ সভার সূচনা ভাষণে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতিকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘সেই স্বাধীনতা বিরোধীরা, যারা মুক্তিযুদ্ধ চায়নি, গণহত্যায় জড়িত, এদেশে লুটপাট, নারী ধর্ষণ, নৃশংসতার সাথে জড়িত তাদের প্রেতাত্মা এখনও বাংলাদেশে রয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, জাতির দুর্ভাগ্য যে, যারাই এ জাতির ভাগ্য পরিবর্তন এবং মুখে হাসি ফোটাবার জন্য কাজ করে, যখনই মানুষ এর সুফল পেতে শুরু করে তখনই ষড়যন্ত্র দানা বাঁধতে শুরু করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুযোগ পেলেই তারা ছোবল মারার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে জাতিকে সতর্ক থাকতে হবে এবং তাদেরকে বুঝতে হবে যে, কারা তাদের মঙ্গল ও কল্যাণ করে এবং তাদের উন্নয়নে কাজ করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই তাদের মূল্যায়ন এবং জনগণের কল্যাণ হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা জাতির পিতাকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করেছিল তারা স্বাধীনতা বিরোধীদেরকেই ক্ষমতায় বসিয়েছিল। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না তাদের নিয়ে ক্ষমতায় গিয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বেতারের নাম পাকিস্তানী স্টাইলে রেডিও বাংলাদেশ হয়ে গেল। এভাবে ’৭৫-এর পর বাংলাদেশের নামটাও পাল্টে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি আগেই বলেছি ইতিহাসকে কেউ চাপা দিয়ে রাখতে পারে না। ইতিহাস কখনও চাপা থাকে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হতে শুরু করে। মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে জাতির পিতা একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলেছিলেন। তিনি অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নের পথে যাত্রাও শুরু করেছিলেন। যদি ১৫ই আগস্টের মতো কালো দিবস বাঙালি জাতির জীবনে না আসতো তাহলে স্বাধীনতা অর্জনের ১০ কছরের মধ্যেই বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতো। আর এটা যে করা যায় তাতো আমরা দেখেছি, মাত্র সাড়ে ৩ বছরে একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ তিনি কিভাবে গড়ে তুললেন।
তিনি বলেন, আজকে সরকার চালাতে গিয়ে দেখি যেখানেই আমরা হাত দেই, প্রত্যেকটা আইন, সবকিছু তিনিই করে দিয়ে গেছেন। এতো অল্প সময়ের মধ্যেও এমন কোন কাজ বাকী নেই যেটা তিনি করেননি।
শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু দেশটা স্বাধীন করলেন তাই সেই চিন্তা চেতনা সবসময়ই তাঁর মাঝে ছিলো। সেজন্য তাঁর প্রস্তুতিও ছিল। পাকিস্তানের একটা প্রদেশ, সবচেয়ে শোষিত, বঞ্চিত একটা ভূখন্ড, সেই প্রদেশকে একটা রাষ্ট্রে উন্নীত করা, একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা-মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে-এত সহজ কাজ ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার মতো নেতৃত্ব ছিল বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। ইতিহাসের অমোঘ নিয়মেই সত্য প্রকাশিত হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সত্যকে যে যতই মুছতে চেষ্টা করুক সত্যটা একদিন উদ্ভাসিত হবেই।
তিনি বলেন, যারা দু’বেলা দুমুঠো খেতে পারত না, অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র সীমার নীচে বাস করতো, ৯০-৯৯ ভাগ লোকই দরিদ্র ছিল, কোনরকম দিন এনে দিন খায়, বিদেশ থেকে পুরনো মোটা কাপড় এনে যাদেরকে পড়তে দেয়া হত, রোগে ধুঁকে ধুঁকে মারা যেত, চিকিৎসা পেত না, এরকম একটি জাতিকে জাতির পিতা স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয় এনে দিয়েছিলেন।
স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনই অবকাশ নেই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানী বাহিনী ২৫ মার্চ নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর আক্রমণ চালানোর পরপরই জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। পাকিস্তানীরা ধানমন্ডী ৩২ নম্বরে জাতির পিতার বাড়ি আক্রমণ করে এবং তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
শুধু তাই নয়, ২৬ মার্চ ইয়াহিয়া খান জাতির উদ্দেশ্যে যে ভাষণ দেন তাতে বঙ্গবন্ধুকেই দোষারোপ করেন। ইয়াহিয়া বলেন, তাঁর বিচার হবে এবং তাঁকেই পাকিস্তানের শত্রু হিসেবে ঘোষণা করেন। ইয়াহিয়া খান তাঁর ভাষণে আর কারো নাম বলেননি বা কাউকে দোষারোপ করেননি। মানে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়াটা যেন বড় ছিল অপরাধ। আর সেই অপরাধে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট অপরাধী করেছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে। জিয়াউর রহমানতো তার চাকরী করতো। একজন মেজর ছিল সেনাবাহিনীর। তাকে কি গ্রেফতার করেছিল বা তার কি চাকরী খেয়েছিল? তাও খায়নি বা এরকম আরো অনেকেই ছিল। কিন্তু, বঙ্গবন্ধুকেই তারা শত্রু হিসেবে দেখেছিল। তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় এবং প্রহসনের বিচার করে ফাঁসির রায়ে সই পর্যন্ত করেছিল।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সেই ইতিহাস বিকৃত করে আরেকজনকে ঘোষক বানিয়ে দেয়া হলো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘোষক কাকে করেছিলো- যে সেনা কর্মকর্তাকে ধরে এনে আওয়ামী লীগ এবং স্বেচ্ছাসেবকেরা স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র ঘোষণা পাঠ করায়। তাকেই ঘোষক বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াবার চেষ্টা করা হয়।
তিনি বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের বক্তৃতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেরশের মানুষ যে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলা, যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে পাকিস্তানী হানাদারবাহিনীর মোকাবেলা করা, যারা তখন সমস্ত রাস্তা-ঘাট সবকিছু অচল করার জন্য বেরিকেড দিতে শুরু করেছিল এবং চট্টগ্রামেই যারা বেরিকেড দিয়েছিল পাকিস্তানী শাসকদের পক্ষ হয়ে জিয়াউর রহমান তাদের ওপর গুলি চালিয়ে আন্দোলন-সংগ্রামরত মানুষকে হত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, ২৭ মার্চ যখন বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বারবার প্রচার করা হচ্ছিল তখন জহুর আহমদ চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের নেতা। তিনি বলেছিলেন এটা যেহেতু যুদ্ধ তাই সেনাবাহিনীর কাউকে নিয়ে এলে তাকে দিয়ে ঘোষণা করালে যুদ্ধ যুদ্ধ মনে হবে। কারণ ২৬ মার্চ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হান্নান সহ আরো অনেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা তখন পর্যন্ত পাঠ করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমান পাকিস্তানী জাহাজ সোয়াত থেকে অস্ত্র নামাতে গেলে আমাদের ভলান্টিয়াররা তাকে বেরিকেড দেয় এবং আটকায়। বাসস
ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় সন্দেহভাজন জঙ্গি, তাদের আস্তানা ও বিস্ফোরক শনাক্তে অত্যাধুনিক ‘রোবট টিম’ ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। অভিযান পরিচালনাকারী সদস্যদের মৃত্যুঝুঁকি কমাতে ও আস্তানায় অভিযান পরিচালনার কৌশল নির্ধারণে এ রোবট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব রোবট আমদানি করা হবে। যার দাম পড়বে প্রায় এক কোটি টাকা। রোবটগুলোতে হাই রেজুলেশনের একাধিক ক্যামেরা, ছবি স্ক্যান করার ব্যবস্থা ও বিস্ফোরক শনাক্তকণের ক্ষমতা থাকবে। বিশেষ করে আস্তানায় কী পরিমাণ বিস্ফোরক আছে, সন্দেহভাজন জঙ্গিদের অবস্থান ও তাদের কাজের কৌশল তাৎক্ষণিকভাবে জানতে সাহায্য করবে রোবটগুলো। যা সিটিটিসির অগ্রগামী অভিযানকারী সদস্য হিসাবে ব্যবহার করা হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের সিটিটিসি’র বোম্ব ডিসপোসাল টিমের কর্মকর্তারা বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন জঙ্গি আস্তানায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়েছে। এতে অভিযান পরিচালনাকারী টিমের কর্মকর্তা ও সদস্যদের প্রাণ হারাতে হয়েছে। এছাড়া জঙ্গিরা আত্মঘাতী হওয়ায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ঝুঁকিতে পরতে হয়। সন্দেহভাজন আস্তানায় জঙ্গিদের অবস্থান জানার জন্য তাই প্রথমেই রোবট পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানে এ রোবট ব্যবহার করা হবে।
তারা আরও জানান, বিশেষ করে সিলেটের আতিয়া মহলে অভিযানের সময় র্যাব ও বোম্ব ডিসপোজাল টিমের কর্মকর্তা ও সদস্য নিহতের পর কৌশলী হয়েছে সিটিটিসি। এছাড়া রাজশাহীর গোদাগাড়িতে জঙ্গিদের অবস্থান ও বিস্ফোরকের ধারণা না থাকায় সেখানেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই আমেরিকা থেকে ওই অত্যাধুনিক রোবট আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিটিটিসির একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘একাধিক রোবট ক্রয়ের জন্য একটি চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে অনেক আগেই। সেই মোতাবেক ক্রয় সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল টিমের সঙ্গে ‘রোবট টিম’ যুক্ত হবে।’
সংশ্লিষ্টরা জানান, রোবট নিয়ন্ত্রণ করা হবে মূল অভিযান স্থলের বাইরে থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে। রিমোর্ট কন্ট্রোলের সহায়তায় রোবটকে প্রথমে আস্তানায় পাঠানো হবে। রোবটগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য—এটি স্থল, জল ও বন্ধুর পথে দ্রুতগতিতে চলতে সক্ষম, যাওয়ার পথে কোনও ধরনের বাধা পেলে সহজেই ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে, আস্তানায় প্রবেশের রাস্তা বন্ধ থাকলে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাস্তা তৈরি করতে পারবে ও আস্তানার ভেতরের ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলের ছবি তাৎক্ষণিকভাবে পাঠাতে পারবে। এসব তথ্য পাওয়ার পরপরই মূল অভিযান পরিচালনাকারী টিম ঘটনাস্থলে অভিযান চালাবে।
জঙ্গি আস্তানায় রোবট ব্যবহারের কারণ জানতে চাইলে সিটিটিসির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নিরাপদে বোমা এবং বিস্ফোরক পদার্থ পর্যবেক্ষণ এবং নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে বোম্ব ডিসপোজাল রোবটের পরিবর্তে আমরা এতদিন মানুষ ব্যবহার করছিলাম, যা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।’
ডেস্ক রিপোর্ট : সাংবাদিকদের জন্য নতুন কোনো বেতন কাঠামোর প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের যে বিদ্যমান বেতন কাঠামো আছে, যে পাঁচটি বেতন স্তর আছে, তা প্রায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পে-স্কেলের সমান। কাজেই সাংবাদিকদের জন্য নতুন করে আর বেতন কাঠানোর প্রয়োজন নেই।’ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ অমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিউজ পেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা থেকে যত পত্রিকা প্রকাশিত হয়, এরমধ্যে দশ/বারোটি ছাড়া অল আর রাবিশ, বোগাস। এসব পত্রিকায় কোনো সাংবাদিক নেই। এসব পত্রিকা বিনা শুল্কে কাগজ তোলে, সরকারের কাছ থেকে বিজ্ঞাপন নেয়। এসব পত্রিকার জন্য ওয়েজবোর্ড দেব?’
এ সময় অর্থমন্ত্রীকে সাংবাদিকরা বলেন, ‘আপনাকে ভুল বোঝানো হয়েছে। বেসরকারি টেলিভিশন ওয়েজবোর্ডের আওতায় নয়, এখানে কোনো বেতন কাঠামো নেই। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের এই বক্তব্য ঠিক নয়। সব সমান। সবার জন্যই ওয়েজবোর্ড আছে।’ তখন সাংবাদিকরা বলেন, ‘স্যার আপনাকে ভুল বোঝানো হয়েছে।’
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নোয়াব নেতারা অর্থমন্ত্রীকে সাংবাদিকদের বেতন কাঠামোর যে ৫টি ধাপ দেখিয়েছেন, সেখানে সর্বনিম্ন বেতন দেখানো হয়েছে ১৮ হাজার ৫০০টাকা। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দেখেছি, আপনাদের সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো আর সরকারি কর্মচারীদের সর্বনিম্ন বেতন স্কেলও প্রায় সমান।’
এ সময় সাংবাদিকরা অর্থমন্ত্রীকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে একজন শিক্ষানবিস সাংবাদিক মাত্র ‘৮ হাজার টাকায় টেলিভিশনে কাজ করেন।’ জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা সত্য নয়।’
ঢাকা শহরে দশ/বারোটার বাইরে থাকা সব পত্রিকাকে বোগাস বলা প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা বলেন, ‘বোগাস পত্রিকাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন?’ জবাবে অর্থন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছি।’
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাংবাদিকদের বেতন কাঠামো সমান নয় উল্লেখ করে সাংবাদিকরা অর্থমন্ত্রীকে বলেন, ‘আপনাকে ভুল বোঝানো হয়েছে। আপনি সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে বসুন।’ এ সময় তিনি বলেন, ‘আপনাদের এত সংগঠন, আমি কার সঙ্গে বসব।’
জবাবে সাংবাদিকরা বলেন, ‘ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)Ñএই চার সংগঠনের সভাপতি ও সাংবাদিক সম্পাদকের সঙ্গে বসুন।’ সাংবাদিকদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘দেখি, আমি বসব।’
নোয়াবের সঙ্গে বৈঠক বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই মিটিংয়ে আমরা তাদের কথা শুনেছি। কোনও সিদ্ধান্ত নেইনি। আমরা সরকারের লোকজনের সঙ্গে পরে বসব। তারপর সিদ্ধান্ত নেব।’
অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, নোয়াবের সভাপতি প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, সমকাল প্রকাশক এ কে আজাদ, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মর্তুজা আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, ডিএফপির মহাপরিচালক ইসতাক আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। আমাদের সময় ডটকম
ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। পৃথিবীর কোনও দেশই বলতে পারবে না যে, তার দেশে জঙ্গি হামলা হবে না। তবে দেশে জঙ্গিদের অপারেশনাল ক্যাপাসিটি ধ্বংস করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। এই মুহুর্তে দেশে বড় ধরনের হামলার সক্ষমতা জঙ্গিদের নেই।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত ‘স্পোকেন ইংলিশ কোর্স’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট গঠন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইউনিটটি গঠিত হলে জঙ্গি দমনে সক্ষমতা আরও বাড়বে।
জঙ্গি বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,
ভারতে গ্রেফতার বাংলাদেশী নাগরিক আব্দুল্লাহ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আব্দুল্লাহ’র গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দায়। সে ৮ বছর আগে ভারতে যায় এবং সেখানকার একটি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। সেখান থেকেই সে জঙ্গিবাদে উদ্ভুদ্ধ হয় বলে মনে করছি।’ নিখোঁজ হওয়াদের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কেউ মিসিং হলে আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। পিছনে কোন ঘটনা আছে কিনা তা জানার পাশাপাশি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হয়।’ হলি আর্টিজান হামলা মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মামলাটির গুরুত্বপূর্ণ এক আসামী এখনও রিমান্ডে রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার চেষ্টা চলছে। তাকে জিজ্ঞাসবাদ শেষ হলেই চার্জশিট তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হবে কিনা সে বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার আলম। এ সময় প্রধান অতিথি সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম ও বিশেষ অতিথি ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমানকে ক্র্যাবের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি- ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার দেখা মতে, ক্র্যাব আয়োজিত ইংলিশ স্পোকেন কোর্স একটি সেরা প্রোগ্রাম। ইংরেজি শুধুমাত্র একটি ভাষাই নয়, জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় বিচরনের জন্য ইংরেজি জানতে হয়।’ তিনি ইংরেজি স্পোকেন শেখার গুরুত্ব ও তাৎপর্যও তুলে ধরেন।
এই কোর্সের উদ্বোধন করেন সভাপত্বি করেন ক্র্যাব সভাপতি আবু সালেহ আকন।
’অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মোঃ মাসুদুর রহমান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানী, স্পোকেন কোর্সের সহযোগীতাকারী প্রতিষ্ঠান ‘বিডি ইয়াং স্টারজ’ এর চেয়ারম্যান মোঃ সাব্বির সরকার। এছাড়া অনুষ্ঠানে ক্র্যাবের যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল লতিফ রানা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক শাহীন আলম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক কামাল হোসেন তালুকদার, দপ্তর সম্পাদক রুদ্র রাসেল, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিলানী মিল্টন, নির্বাহী সদস্য মাইনুল হাসান সোহেল, ‘বিডি ইয়াং স্টারজ’ এর পরিচালক তৌফিকুল ইসলামসহ ক্র্যাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আমাদের সময় ডটকম