October 15, 2024
ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট অন ফেসিলিটেশন অফ ক্রস-বর্ডার পেপারলেস ট্রেড ইন এশিয়া এন্ড দি প্যাসিফিক চুক্তিতে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর করেছে।
ইউএনএসকাপ-এর সদরদপ্তরে জাতিসংঘের ইকোনমিক এন্ড সোস্যাল কমিশন ফর এশিয়া এন্ড দি প্যাসিফিক (ইউএনএসকাপ)-এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশের পক্ষে থাইল্যান্ড সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশ এ চুক্তিতে প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ। এছাড়া চীন ও কম্বোডিয়া এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে ।
এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ‘হাইলেভেল ডায়ালগ অন এনহানসিং রিজিওন্যাল ট্রেড থ্রো ইফেকটিভ পার্টিসিপেশন ইন দি ডিজিটাল ইকোনমি’ শীর্ষক ডায়ালগে প্রথম প্যানেলিষ্ট হিসেবে বক্তৃতা করেন।
এসকাপ-এর আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এন্ড এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি ড. শামসাদ আক্তার-এর সভাপতিত্বে ডায়ালগে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন থাইল্যান্ডের অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার কিয়েটচাই সোফাসটিনফং, কম্বোডিয়ার কমার্স মিনিস্টার পান সোরাসাক এবং থাইল্যান্ডে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বৈদেশিক বাণিজ্যে সক্ষমতা অর্জনে পেপারলেস ট্রেড সহায়ক ভূমিকা রাখবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালি জাতির স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়তে সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি বাঙ্গালী জাতিকে একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, আজ তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙ্গালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তি তথা দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করে ভিশন ২০২১ ঘোষণা করেছেন। ২০২১ সালে বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল মধ্য আয়ের দেশ। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিদেশী বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন খুবই আকর্ষনীয়। বর্তমান সরকারের বিনিয়োগ বান্ধব নীতি ও পরিবেশের কারণে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ছে। ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশ এখন একটি বড় বাজার।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, সরকার আইন করে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করেছে। এরফলে বিনিয়োগকারীরা এখন শিল্পে শতভাগ বিনিয়োগ ও বিনিয়োগকৃত অর্থ লাভসহ যে কোন সময় ফেরত নেওয়ার সুবিধা পাচ্ছেন । প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ১শ’টি স্পেশাল ইকনোমিক জোনে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ছে। সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ গত বছরের চেয়ে ৪৪ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, বাণিজ্যে জটিলতা দূর ও দ্রুত কাজ সম্পাদন করতে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানি অফিস, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি অফিস, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোসহ গুরুত্বপূর্ণ অফিসগুলোকে অটোমেশনের আওতায় আনা হয়েছে।
এছাড়া তিনি ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য ইনফরমেশন পোর্টাল ও গ্লোবাল ট্রেড ডানা চালুসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের সব ধরনের কার্যক্রমে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করার বিষয়টি তুলে ধরেন।
মন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রায় ৩৪.৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। এ বছর ৩৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সার্ভিস সেক্টরসহ এ রপ্তানি আয়ের পরিমান হবে ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে বাংলাদেশের রপ্তানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ ঘোষিত এমডিজি অর্জন করে পুরষ্কার লাভ করেছে। এখন ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন করতে সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
পরে তোফায়েল আহমেদ কম্বোডিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে একান্ত বৈঠক করেন। এ সময় থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনিম বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
এদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী ৩০ আগষ্ট শ্রীলংকা যাবেন। সেখানে শ্রীলংকার ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং এফটিএ সম্পাদন বিষয়ে মতবিনিময় করবেন।
এছাড়া তিনি ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর কলম্বোয় অনুষ্ঠিতব্য ‘সেকেন্ড ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স-২০১৭’-এ যোগদান করে ১ সেপ্টেম্বর মিনিস্টার প্যানেলে বক্তৃতা করবেন।
এতে ২৯টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নিবেন। এ কনফারেন্সের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘পিস, প্রোগ্রেস এন্ড প্রোসপারিটি।’
কনফারেন্সে বাণিজ্যমন্ত্রী ভারত মহাসাগরের তীরবর্তী অঞ্চলের দেশসমুহের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও নীতিনির্ধারকদের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করবেন। এতে করে বাংলাদেশের সাথে দেশগুলোর বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাসস
ডেস্ক রিপোর্ট : প্যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিস ওয়েলস বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলের পথিকৃত হবে এবং অদূর ভবিষ্যতে মার্কিন বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।
বৈঠকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একজন কর্মকর্তা জানান, মডারেট মুসলিম দেশ হিসেবে তিনি বাংলাদেশের প্রশংসা করেন এবং উন্নয়নের রোল মডেলের পথিকৃত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার হবে বলেও তিনি আশা করেন। তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী মন্ত্রী এলিস ওয়েলস প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জ্বালানি উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন। এ অঞ্চল সফরের অংশ হিসেবে আজ সকালে তিনি ঢাকা পৌঁছেন।
এলিস ওয়েলস জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে বলেন, এই দ্রুত অগ্রগতির কারণে জেনারেল ইলেক্ট্রিস-এর মতো মার্কিন কোম্পানিগুলো জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে।
ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জি দেশের ভেতর এলএনজি গ্যাস সরবরাহে যাতে যথাসময়ে ভাসমান স্টেশন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করে সে ব্যাপারে এলিস ওয়েলসের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের সকল সূচকে বাংলাদেশের সাফল্য অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর ক্ষমতা গ্রহণের পর বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ এখন বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। ২০০৯ সালে ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় ছিল।
প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদুল আযহার দিন (২ সেপ্টম্বর) সকাল ৯টা থেকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ, রাজনীতিক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা এবং সর্বস্তরের জনসাধারণের সাথে শুভেচ্ছা বিনময় করবেন।
আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার একথা জানিয়ে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে এই শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও বেলা ১১টা থেকে বিচারপতি ও কূটনীতিকদের সাথে শেখ হাসিনা শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক : রেণ্য কন্ঠশিল্পী আবদুল জব্বারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পৃথক শোক বার্তায় তারা এ কিংবদন্তী শিল্পীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। এছাড়া শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মহান মুক্তিযুদ্ধে আবদুল জব্বারের ভূমিকা স্মরণ করেন। তারা বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে এ কালজয়ী শিল্পীর অবদানকে কোনো কিছুর বিনিময়ে শোধ করার নয়।
আজ বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া শিল্পী আবদুল জব্বার। গত সাড়ে ৩ মাস ধরে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
অনলাইন রিপোর্টার ॥ বরেণ্য কন্ঠশিল্পী আবদুল জব্বারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পৃথক শোক বার্তায় তারা এ কিংবদন্তী শিল্পীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। এছাড়া শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মহান মুক্তিযুদ্ধে আবদুল জব্বারের ভূমিকা স্মরণ করেন। তারা বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে এ কালজয়ী শিল্পীর অবদানকে কোনো কিছুর বিনিময়ে শোধ করার নয়।
আজ বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া শিল্পী আবদুল জব্বার। গত সাড়ে ৩ মাস ধরে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন সড়কে যান চলাচল বেড়ে গেলে এবং বৃষ্টি হলেও ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়বেন না।
আজ বুধবার সকালে গাবতলী বাস টার্মিনালে পরিদর্শনে এসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বৃষ্টি-বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো অনেকাংশে মেরামতের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাই এবার ঈদযাত্রায় বৃষ্টি হলেও যাত্রীদের ভোগান্তি হবে না।
তিনি বলেন, আজ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত যান চলাচলের হার বেড়ে যাবে। যান চলাচলের চাপ বাড়লে গতি হয়তো ধীর হয়ে যেতে পারে। তবে যানজট হবে না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ঈদকে সমানে রেখে বিআরটিসির ৫০টি বাস রিজার্ভ রাখা হয়েছে। যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ থাকলে এই বাসগুলো নামানো হবে।
পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া নিলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেসব পরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া নিবে তাদের কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হবে।
প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উত্তরাঞ্চলের বন্যাদুর্গত জনরগণের পুনর্বাসনে তাঁর সরকার ১১৭ কোটি টাকার পুনর্বাসন প্রকল্প শুরু করেছে।
এই কর্মসূচির আওতায় আগামী বোরো ফসল ঘরে তোলার আগ পর্যন্ত কৃষকরা নানা সুবিধা পাবেন। উত্তরবঙ্গের ছয় জেলার ৬ লাখ কৃষক আগামী ফসল তোলার আগে পর্যন্ত বোরো ফসলের ৫ কেজি করে বীজ, ২০ কেজি ডিএপি, ৫ কেজি করে এমওপি এবং প্রত্যেক কৃষককে ১ হাজার করে টাকা দেয়া হবে।
একইসঙ্গে সরকার কৃষকদের সহযোগিতার জন্য ৫৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকার একটি প্রণোদনা প্রকল্পও গ্রহণ করেছে। যাতে একজন কৃষক ১০ থেকে ২০ কেজি ডিএপি সার এবং ৫ কেজি থেকে ১৫ কেজি এমওপি সার পাবেন। কাজেই কৃষকদের আর সার এবং বীজ নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কৃষকরা ধান ব্যতীত অন্য ফসল উৎপাদন করতে চান এমন স্বল্প সংখ্যক কৃষকের মাঝে বিভিন্ন জাতের বীজ, ডাল এবং অন্যান্য শস্য ও দেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকালে গাইবান্ধার গেবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে সাধারণ জনগণের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে একথা বলেন।
তিনি বলেন, ধানের চারা এই আগষ্ট মাসের ২৪ তারিখ থেকে দেয়া শুরু হবে এবং উত্তরবঙ্গের বন্যা দুর্গত এলাকায় তা বিতরণ চলবে, যাতে পানি নেমে যাবার সাথে সাথেই কৃষকেরা চাষবাস শুরু করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ধানের চারা বর্তমানে সরকার নিয়ন্ত্রিত দেশের সকল কৃষি গবেষণা এবং উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন করা হচ্ছে। প্রায় এক হাজার ভাসমান বীজতলা তৈরী করে এই চারা উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এক একজন কৃষক ১ কেজি করে গম এবং দুই কেজি যব বীজ, এক কেজি সরিষা বীজ, ১ কেজি বাদাম বীজ এবং বিভিন্ন রকমের ডাল চাষের জন্য দেয়া হবে। যাতে কৃষকদের যার যা পছন্দ তা তারা মূল ফসলের পরে চাষ করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোন জমি অনাবাদি পড়ে থাকবে না। একটা মানুষও না খেয়ে মারা যাবে না। আমরা সকলের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা, পূণর্বাসন ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জ্বল হোসেন চৌধূরী মায়া বীর বিক্রম, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম বক্তৃতা করেন।
পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, হুইপ মাহবুব আরা গিনি উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বন্যার পরে রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এই প্রাদুর্ভাব যাতে দেখা না দেয় তাই ইতোমধ্যে ব্লিচিং পাউডারসহ ওষুধপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। মেডিকেল টিম আছে, তারা কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার শুধু ভাত খাইয়ে পেট ভরাতে চায়না, সাথে পুষ্টি নিশ্চিত করাও লক্ষ্য। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই মাছের উৎপাদন, আমিষের উৎপাদন যাতে বৃদ্ধি পায়- তা দেখা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের জন্যই আমাদের কাজ এবং আমরা রাষ্ট্র পরিচালনায় এসে নিজেরা বিত্ত-বৈভবে বড় হতে চাই না। আমার বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ যাতে সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, প্রতিটি মানুষ যাতে উন্নত জীবন পায়, মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা এই মৌলিক চাহিদাগুলি যেন পূরণ হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সরকার। কাজেই জনগণের সেবা করা, জনগণের কাজ করা-এটাই আমাদের কাজ।
বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করে, যারা প্রিসাইডিং অফিসার, সহ-প্রিসাইডিং অফিসার হত্যা করে, যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর সদস্যদের হত্যা করে তারা এদেশের কোনদিন কল্যাণ আনতে পারে না। তারা শুধু ধ্বংস করতে পারে।
‘এই ধ্বংসের হাত থেকে এই দেশ এবং দেশের মানুষকে রক্ষা করা-এটাই আমাদের কর্তব্য,’ উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকার প্রধান তাঁর ভাষণে বলেন, ‘আমি আপনাদের এটুকুই বলব, যে দোয়া করবেন। আমরা আপনাদের পাশে আছি, আপনাদের পাশে থাকবো। কৃষিঋণ অব্যাহত থাকবে এবং আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য যা যা করণীয়, আমরা তা করবো।’
এই বন্যা দুর্গত এলাকায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত তারা মনোবল নিয়ে থাকবেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আপনাদের পাশে আছি। সেকথা বলার জন্যই আজকে এখানে আমি উপস্থিত হয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় জনগণের কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, ‘বাবা-মা, ভাই সব হারিয়ে,স্বজন হারাবার বেদনা নিয়েই আপনাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আপনাদের মাঝেই আমি খুঁজে পেতে চাই আমার হারানো বাবা-মা-ভাইদের ¯েœহ।’
তিনি বলেন, যে ঘাতকের দল বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য কেড়ে নিতে চায় তাদের বিরুদ্ধে সবসময় রুখে দাঁড়াবেন।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির পুনরোল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই বাংলাদেশে কোন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের স্থান হবে না। আপনারা অভিভাবকেরা খেয়াল রাখবেন- আপনার সন্তান কোথায় যায় এবং কার সঙ্গে মেশে।
তিনি সমাজের সকল শ্রেণীপেশার মানুষ, প্রশাসন এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ এবং মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
‘মাদক ও জঙ্গিবাদ যেন আমাদের ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যত নষ্ট করতে না পারে। তার জন্য সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা চালাবেন,’-যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা করে তারা যেন সুন্দর ভাবে বাঁচতে পারে এবং তাঁদের মেধা ও মনন দিয়ে এই দেশ যেন সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারে, তারা যেন বিপথে না যায়- সেদিকে সকলকে লক্ষ্য রাখার এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা গ্রহণের জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
পরে প্রধানমন্ত্রী, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কনফারেন্স হলে জেলা এবং উপজেলার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বন্যার পানি নেমে যাবার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে জেলা-উপজেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সচেতন করেন।
প্রয়োজনে রাস্তা কেটে হলেও বন্যার পানি বের করে দেয়ার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী এবং ঐ সমস্ত স্থানে পরে সেতু বা কালভার্ট নির্মাণ করে দেয়ার জন্য বলেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নদী খনন অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নদী খনন করে পুণরায় ভরে যাওয়া সব চ্যানেল উন্মুক্ত করে দিতে হবে। এ সময় তিনি বালু সংগ্রহের জন্য সবসময় একইস্থান ব্যবহার না করে ঘুরে ঘুরে সংগ্রহের আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক উপজেলার জন্য গৃহনির্মাণ এবং চরের জমি সঠিকভাবে ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি জেলার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের চলাচলের জন্য যানবাহনের বন্দোবস্তো করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, হুইপ মাহবুব আরা গিনি, মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাসস
ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তাঁর সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুর্নব্যক্ত করে বলেছেন, কেউ খাদ্যের অভাবে কষ্ট পাবে না।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি কেউ খাদ্যের অভাবে কষ্ট পাবেনা। আমরা চাই দেশের মানুষ যাতে কোন ভাবেই কষ্ট না পাক, সে ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি’।
প্রধানমন্ত্রী শনিবার বিকেলে বগুড়ার সারিয়াকান্দি ডিগ্রী কলেজ মাঠে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ধানের বীজ বিতরণকালে একথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আওয়ামী লীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যে সমস্ত এলাকায় ধান ছাড়াও অন্যান্য ফসল হতে পারে সেগুলোর জন্য সাহায্য দেয়ার আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছি।
যেমন, গম, সরিষা ও ডাল সহ রবি শষ্যের আবাদ যেন আপনারা করতে পারেন তার ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি।
’৯৮ সালে দেশের বন্যার প্রসংগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তখন থেকেই আমরা বর্গাচাষিদের কৃষিব্যাংকের মাধ্যমে বিনা জমানতে কৃষিঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করি। কাজেই এই কৃষিঋণ বিতরণ আমাদের অব্যাহত থাকবে এবং যেসব এলাকায় বন্যায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের কৃষিঋণের সুদ যাতে না নেয়া হয় এবং বিনা জামানতে যেন আবারো প্রয়োজনে কৃষিঋণ নিতে পারেন সেই ব্যবস্থাও আমরা করার নির্দেশ দিয়েছি। তাছাড়া, আমরা ইতোমধ্যে ১২ জেলার ৭৭৮০ জন কৃষকের প্রত্যেককে এক বিঘা করে জমির ধানের চারা বিতরণের কার্যক্রম ২৪ আগস্ট থেকে শুরু করে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ৩৭টি হর্টিকালচার সেন্টার এবং ১৬টি এটিআইতে বিএডিসির ১১টি খামারে আমনধানের চারা চাষ করা হয়েছে। এ বছর ১ হাজার বেডের ভাসমান বীজতলাও তৈরী করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার সারাদেশে মাসকলাই, গম, ভুট্টা, সরিষা, চীনাবাদাম খেসারি, বেগুন , মুগ ও তিল উৎপাদন বৃদ্ধি যাতে হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকদের জন্য প্রণোদনা কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।
৫১ কোটি ৭৭ লাখ ১৯ হাজার ৩১৫ কোটি টাকার প্রণোদনা কৃষকদের মাঝে প্রদান করা হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যাতে করে এই ফসল তারা লাগাতে পারেন। ৫ লাখ ৪১ হাজার ২০১ জন কৃষক এই সহায়তা পাচ্ছেন। তাছাড়া প্রায় ১ কোটি কৃষক ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ পেয়েছেন। ভতুর্কির টাকা যেন সরাসরি কৃষকদের হাতে পৌঁছতে পারে সেজন্য।
তিনি বলেন, একজন কৃষক যদি একবিঘা জমির জন্য (ক্ষেত্রভেদে) সর্বনিম্ন ১ কেজি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০ কেজি ডিএপি সার এবং সর্বনিন্ম ৫ কেজি থেকে সর্বোচ্চ ১৫ কেজি এমওপি সার পাবেন- সে ব্যবস্থাও আমরা করে দেব।
যাতে সহজভাবে কৃষকরা চাষাবাস করতে পারেন সেজন্যই সরকারের এই উদ্যোগের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক ১ বিঘা জমির জন্য ২০ কেজি গমবীজ অথবা ২ কেজি ভুট্টা বীজ অথবা ১ কেজি সরিষার বীজ অথবা ১ কেজি চীনাবাদাম বীজ অথবা ৫ কেজি মুগ বীজ অথবা ৮ কেজি খেসারি বীজ অথবা ৮ কেজি মাসকলাই বীজ অথবা ৭ কেজি হেলন বীজ অথবা ১ কেজি তীল বীজ অথবা ১০গ্রাম ভিটি বেগুনোর বীজ বিনামূল্যে পাবেন-সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোন আবাদি জমি খালি পড়ে থাকবে না। সবটা যাতে চাষবাস হয় সেব্যবস্থাও তাঁর সরকার নেবে এবং ভিজিডি-ভিজিএফ’র মাধ্যমেও তাঁর সরকার এই সময়ে খাদ্য বিতরণ অব্যাহত রাখবে।
দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন, আর নদীর ভাঙ্গন থেকে সমগ্র বাংলাদেশকে রক্ষার বিভিন্ন প্রকল্প তাঁর সরকার হাতে নিয়েছে।
তিনি বলেন, এসব এলাকার জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নদী ভাঙ্গন রোধে তিনটি প্রকল্প আমরা হাতে নিয়েছি। তাছাড়া সড়ক ও জনপদ বিভাগে বগুড়া-সারিয়াকান্দি রাস্তা যাতে সম্প্রসারণ হতে পারে সে ববস্থাও তাঁর সরকার করবে।
সরকার প্রধান বলেন, সোনাতলায় যে ব্রীজের কথা বলা হয়েছে সেই গার্ডার ব্রীজ সহ সমস্ত ব্রীজগুলি নতুনভাবে করে দেয়ার পদক্ষেপ নেবে তাঁর সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করতে চাই এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন হলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। মানুষের কর্মসংস্থান হয়। কাজেই আপনাদের কাছে আমার আহবান থাকবে আপনারাও আমাদের সহযোগিতা করেন।
বিগত নির্বাচনে নৌকাকে ভোট দেয়ায় তিনি স্থানীয় জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘২০০৮ এবং ২০১৪’র নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা আমাদের প্রার্থীকে জয়যুক্ত করেছেন। সেজন্য আমি আপনাদের কৃতজ্ঞতা জানাই।’
বাংলাদেশকে নদী মাতৃক দেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যা মাঝে মাঝে আসবে। তাই নৌকা ছাড়া আসলে গতি নাই বাঙালির। নৌকা আমাদের সময় সময় কাজে লাগবেই। এটা হলো বাস্তবতা। আর এই নৌকা মার্কা যখন ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর জীবনে আর চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে বলেন, আমি আপনাদের এইটুকুই বলতে চাই- বাবা, মা, ভাই- সব হারিয়েছি। আমারতো আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই।
বঙ্গবন্ধু তাঁর সারাটা জীবন দেশের মানুষের সেবায় জীবন উৎসর্গ করে গেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘তিনি জেল,জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেছেন বাংলার দু:খী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে গিয়ে তিনি তাঁর জীবন দিয়ে গেছেন। জীবন দিয়ে গেছেন আমার মা, আমার ভাইয়েরা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা, ঘরবাড়ি ও উন্নত জীবন পাবে- সেই লক্ষ্যই জাতির পিতার ছিল। আর সেই লক্ষ্য ইনশাল্লাহ পূরণ করে দু:খী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে বাংলাদেশকে ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী আমরা উদযাপন করতে চাই। যেখানে কোন দরিদ্র থাকবে না। মানুষরা প্রত্যেকে উন্নত জীবনের অধিকারি হবে।
সরকার প্রধান দেশবাসী সহ বন্যা দুর্গতদের প্রতি দেশের প্রতি ইঞ্চি ভূখন্ড উৎপাদনের কাজে ব্যয় করার আহবান জানিয়ে বলেন, ১ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। কারণ ভিক্ষা চাইলে ভিক্ষুক জাতির কোন ইজ্জত থাকে না তা জাতির পিতাই বলে গেছেন।
বিএনপি সবসময় চাইতো এই বাংলাদেশের মানুষকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৯৮ সালে বন্যার পর বাংলাদেশকে যখন আমরা খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করি তখন ঐ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এবং তাদের অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান ঐ সংসদে দাঁড়িযে বলতেন-খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো নয়, কেননা এতে করে বিদেশ থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ ভিক্ষা পাওয়া যাবেনা’
শেখ হাসিনা তখন সংসদে বলেছিলেন, আমরা ভিক্ষুকের জাতি হতে চাইনা। কিন্তু আপনারা যদি ভিক্ষুকের সর্দার হতে চান তবে, তাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা বাংলাদেশকে ভিক্ষুক, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো ।
আমাদের মাটি আছে, মানুষ আছে খাদ্য উৎপাদনের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো এবং সন্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে চলবো। এটাই আমাদের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় দ্বার্থহীন কন্ঠে ঘোষণা করেন- বাংলাদেশ আজকে বিশ্বে সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলতে পারে, বাংলাদেশকে আজকে সকলে উন্নয়নের রোল মডেল বলে, অন্তত এইটুকু সন্মান আওয়ামী লীগ আপনাদের জন্য এনে দিয়েছে। এতে আপনারাই সহযোগিতা করেছেন। আপনারা নৌকায় ভোট দিয়েছেন তাই আপনাদের জীবনমান যেন উন্নত হয় সেই ব্যবস্থা আমরা করতে সক্ষম হয়েছি। আপনাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি।
প্রত্যন্ত অঞ্চলেও যাতে ত্রাণ সামগ্রি পৌঁছায় তাঁর সরকার সেজন্য ইতোমধ্যেই অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি অঞ্চলেই খাদ্য পৌঁছে যাবে। ওষুধ পৌঁছে যাবে। চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে, একটি মানুষ যাতে কষ্ট না পায় আপনারাও সেটা লক্ষ্য রাখবেন। আমাদের সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আমি বলবো এ বিষয়টি লক্ষ্য রাখার জন্য।
প্রধানমন্ত্রী ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের আগুণ সন্ত্রাসের প্রসংগ উল্লেখ করে বলেন, আমার অবাক লাগে একটা রাজনৈতিক দলের নেতা কিভাবে মানুষকে পুড়িয়ে মারতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দু:খের কথা কি বলবো জাতির পিতা, বেগম মুজিব, ছোট্ট রাসেল সহ আমার পরিবারের সদস্যদের যারা হত্যা করেছে সেই খুনীদের বিচার না করে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স (বিচার করা যাবে না) জারি করে এই জিয়াউর রহমান সেই খুনীদের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চাকুরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল।
তিনি বলেন, একদিকে যেমন তাঁদের বিদেশ থেকে দেশে ফিরতে দেয়নি অন্যদিকে খুনীদের পুরস্কৃত করেছে।
তিনি বলেন, যারা খুনীদের পুরস্কৃত করে তাদের বিচারের হাত থেকে রেহাই দিয়ে চাকুরি দিয়ে পুরস্কৃত করে তাদের কাছ থেকে দেশের মানুষ কি আশা করতে পারে। তারাতো মানুষ খুন করা ছাড়া, পুড়িয়ে মানুষ মারা ছাড়া আর কিছু জানে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আসলে জনগণ ভালো থাকে। আওয়ামী লীগ সরকারের আসলে এদেশের মানুষ দু’বেলা পেটভরে ভাত পায়। আওয়ামী লীগ সরকারে আমলে বিনা পয়সায় বই পায়। রোগে চিকিৎসা পায়, মানুষের কর্মসংস্থান হয়। দারিদ্র হ্রাস পায়।
তিনি বলেন, আমরা দেশের সেবা করি, মানুষের সেবা করি। তাইতো আজকে ছুটে এসেছি- আপনাদের মাঝে, আপনাদের স্বচক্ষে দেখতে। আমি জানি সারা বাংলাদেশের যেখানে যেখানে বন্যা সেখানে মানুষ কত কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তুু আল্লাহর রহমতে এইটুকু কথা দিতে পারি এই বন্যায় কাউকে আমরা কষ্ট পেতে দেব না। আপনাদের যাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে তাদের প্রত্যেককে আমরা ঘরবাড়ি তৈরী করে দেব। আমরা টিন দেব, নগদ টাকা আমরা ইতোমধ্যে দেয়া শুরু করেছি, আরো দেব।
সরকার প্রধান বলেন, নদীতে যাদের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে যারা নি:স্ব, ভূমিহীন হয়ে গেছেন তাদের প্রত্যেককে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে জমি দেব। যেসব স্কুল কলেজ ধ্বংস হয়েছে সেগুলো আমরা মেরামত এবং তৈরী করে দেব।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক হাজার জনের মধে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাঁওতাল পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী সারিয়াকান্দি ডিগ্রী কলেজে জেলা এবং উপজেলা পরিষদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। বিকেলেই তিনি রাজধানীতে ফিরে আসেন। বাসস।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বন্যার্তদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বন্যার্তদের মনোবল না ভাঙারও আহ্বান জানান।
আজ শনিবার সকালে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
বন্যা পরিস্থিতি দেখতে এবং দুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করতে সকালে গোবিন্দগঞ্জে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সকাল ১০টায় দিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার গোবিন্দগঞ্জের বোয়ালিয়ায় অবতরণ করে। সেখানে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতারা তাঁকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীকে এক নজর দেখার জন্য সকাল থেকেই হাজার হাজার মানুষ গোবিগঞ্জে জড়ো হয়।
সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে যান। সেখানে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে চারা বিতরণ করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বন্যা দুর্গত এলাকায় প্রতিটি মানুষের খাদ্যের নিশ্চয়তা দেয়া হবে। বন্যা দুর্গত এলাকায় রাস্তাঘাট শিগগির মেরামত করে দেওয়া হবে। সরকারের কৃষি ঋণ অব্যাহত থাকবে। বন্যার পানি নেমে গেলে সাধারণত রোগ, অসুখ-বিসুখ দেখা দেয়। পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। নিরাপদ খাবার পানির ব্যবস্থা আমরা করে দেব।’
‘আপনাদের জন্য সরকারের যা যা করার দরকার আমরা করব। আপনারা মনোবল ভাঙবেন না। আওয়ামী লীগ আপনাদের পাশে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। এই সাহস দেওয়ার জন্য আমি আজকে আপনাদের এখানে এসেছি।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প তুলে ধরে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। আমরা শুধু মানুষের ভাতের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই না। আমরা তাদের পুষ্টির নিশ্চয়তাও নিশ্চিত করতে চাই।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি আরো বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করতে এসে নিজেদের বিত্তবৈভব গড়ে তুলতে চাই না। মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণ করাই আওয়ামী লীগের প্রধান কাজ। আর যারা আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে তাঁরা মানুষের কল্যাণ চায় না। তাঁরা মানুষকে ধ্বংস করতে চায়। তাদের প্রতিরোধ করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও মাদকাসক্ত থেকে মানুষকে দূরে থাকার আহ্বান জানান।
পরে প্রধানমন্ত্রী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ হলরুমে রাজনৈতিক নেতা, স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বন্যা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বিকেলে বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলায় যাবেন এবং সেখানে সারিয়াকান্দি হাই স্কুলমাঠে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে বীজ বিতরণ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী পরে সারিয়াকান্দি ডিগ্রি কলেজ হলরুমে রাজনৈতিক নেতা, স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বন্যা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। তিনি বিকেলে ঢাকায় ফিরে আসবেন।
এর আগে শেখ হাসিনা গত ২০ আগস্ট দেশের উত্তরাঞ্চলীয় বন্যাদুর্গত দুটি জেলার বন্যার্তদের অবস্থা দেখতে দিনাজপুর ও কুড়িগ্রাম সফর করেন।
ডেস্ক রিপোর্ট : রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বন্যার্ত এলাকায় জানমালের ক্ষতি যাতে কম হয় সেদিকে লক্ষ রাখার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের পূনর্বাসনে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। বন্যার্তদের সাহায্যে বিত্তবানদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সিলেটের আতিয়া ভিলায় জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহতদের স্বজনদের আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজি উপস্থিত ছিলেন। চেক প্রদান অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকটি সংস্থার প্রতিনিধি ত্রাণ তহবিলের চেক প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে আবার যাতে কৃষকরা চাষাবাস শুরু করতে পারে সে বিষয়েও উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সময়টিভিঅনলাইন
নিজস্ব প্রতিবেদক : ষোড়শ সংশোধনীর রায় যুক্তিনির্ভর নয়, তাই এটি অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
তিনি বলেন, রায় নিয়ে যেহেতু প্রধান বিচারপতি বিতর্কের সূচনা করেছেন, পদত্যাগের মধ্য দিয়ে তিনি এই বিতর্কের অবসান ঘটাতে পারেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিফ্রিংয়ে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, রায় নিয়ে প্রধান বিচারপতির উদ্দেশ্য বিচারবিভাগের স্বাধীনতা নয়, এটি মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বকে বিতর্কিত করার পাশাপাশি একটি বিদ্বেষমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায়।