পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

জঙ্গি-আস্তানা-বিস্ফোরক শনাক্তে আসছে ‘রোবট টিম’

Posted on August 11, 2017 | in আইন-আদালত, জাতীয় | by

ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় সন্দেহভাজন জঙ্গি, তাদের আস্তানা ও বিস্ফোরক শনাক্তে অত্যাধুনিক ‘রোবট টিম’ ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। অভিযান পরিচালনাকারী সদস্যদের মৃত্যুঝুঁকি কমাতে ও আস্তানায় অভিযান পরিচালনার কৌশল নির্ধারণে এ রোবট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব রোবট আমদানি করা হবে। যার দাম পড়বে প্রায় এক কোটি টাকা। রোবটগুলোতে হাই রেজুলেশনের একাধিক ক্যামেরা, ছবি স্ক্যান করার ব্যবস্থা ও বিস্ফোরক শনাক্তকণের ক্ষমতা থাকবে। বিশেষ করে আস্তানায় কী পরিমাণ বিস্ফোরক আছে, সন্দেহভাজন জঙ্গিদের অবস্থান ও তাদের কাজের কৌশল তাৎক্ষণিকভাবে জানতে সাহায্য করবে রোবটগুলো। যা সিটিটিসির অগ্রগামী অভিযানকারী সদস্য হিসাবে ব্যবহার করা হবে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের সিটিটিসি’র বোম্ব ডিসপোসাল টিমের কর্মকর্তারা বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন জঙ্গি আস্তানায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়েছে। এতে অভিযান পরিচালনাকারী টিমের কর্মকর্তা ও সদস্যদের প্রাণ হারাতে হয়েছে। এছাড়া জঙ্গিরা আত্মঘাতী হওয়ায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ঝুঁকিতে পরতে হয়। সন্দেহভাজন আস্তানায় জঙ্গিদের অবস্থান জানার জন্য তাই প্রথমেই রোবট পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানে এ রোবট ব্যবহার করা হবে।

তারা আরও জানান, বিশেষ করে সিলেটের আতিয়া মহলে অভিযানের সময় র‌্যাব ও বোম্ব ডিসপোজাল টিমের কর্মকর্তা ও সদস্য নিহতের পর কৌশলী হয়েছে সিটিটিসি। এছাড়া রাজশাহীর গোদাগাড়িতে জঙ্গিদের অবস্থান ও বিস্ফোরকের ধারণা না থাকায় সেখানেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই আমেরিকা থেকে ওই অত্যাধুনিক রোবট আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিটিটিসির একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘একাধিক রোবট ক্রয়ের জন্য একটি চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে অনেক আগেই। সেই মোতাবেক ক্রয় সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল টিমের সঙ্গে ‘রোবট টিম’ যুক্ত হবে।’

সংশ্লিষ্টরা জানান, রোবট নিয়ন্ত্রণ করা হবে মূল অভিযান স্থলের বাইরে থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে। রিমোর্ট কন্ট্রোলের সহায়তায় রোবটকে প্রথমে আস্তানায় পাঠানো হবে। রোবটগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য—এটি স্থল, জল ও বন্ধুর পথে দ্রুতগতিতে চলতে সক্ষম, যাওয়ার পথে কোনও ধরনের  বাধা পেলে সহজেই  ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে, আস্তানায় প্রবেশের রাস্তা বন্ধ থাকলে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাস্তা তৈরি করতে পারবে ও আস্তানার ভেতরের ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলের ছবি তাৎক্ষণিকভাবে পাঠাতে পারবে। এসব তথ্য পাওয়ার পরপরই মূল অভিযান পরিচালনাকারী টিম ঘটনাস্থলে অভিযান চালাবে।

জঙ্গি আস্তানায় রোবট ব্যবহারের কারণ জানতে চাইলে সিটিটিসির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নিরাপদে বোমা এবং বিস্ফোরক পদার্থ পর্যবেক্ষণ এবং নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে বোম্ব ডিসপোজাল রোবটের পরিবর্তে আমরা এতদিন মানুষ ব্যবহার করছিলাম, যা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।’

Comments are closed.

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud