January 24, 2025
স্পোর্টস ডেস্ক : ম্যানচেস্টার টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৭৭ রানে হারিয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। পঞ্চম দিনে ৩৮০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ২০২ রানেই গুটিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। ফলে চার ম্যাচ সিরিজ ৩-১ এ জিতে নিল ইংল্যান্ড।
আগের দিনের দুই উইকেটে ২২৪ রান নিয়ে খেলতে নামা থ্রি লায়নরা চতুর্থ দিনে মাত্র ১৯ রান যোগ করে অলআউট হলে প্রোটিয়াদের সামনে লক্ষ্য দাড়ায় ৩৮০ রানের। টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সফরকারীদের।
মাত্র ৪০ রানেই সাজঘরে ফিরে যান দক্ষিন আফ্রিকার তিন টপ অর্ডার ডেন এলগার, হেইনো কুন ও বাভুমা। তবে চতুর্থ উইকেটে ফাফ ডু প্লেসি ও হাশিম আমলার ১২৩ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলে দক্ষিন অফ্রিকা।
কিন্তু দলীয় ১৬৩ রানে ৮৩ রান নিয়ে খেলতে থাকা আমলা ফিরে গেলে আবারো মড়ক লাগে তাদের ইনিংসে। শেষ পর্যন্ত ডি কক-ডু প্লেসিরা বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হলে হার মেনে নিতে হয় প্রোটিয়াদের। দুই ইনিংস মিলিয়ে সাত উইকেট শিকার ও ৮৯ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছে মইন আলী।
স্পোর্টস ডেস্ক: ৩১তম ব্রাজিলিয়ান হিসেবে নেইমার যোগ দিয়েছেন পিএসজিতেএকটা কথা নিশ্চিত করেই বলা যায়, আর যাইহোক দেশে ফেরার জন্য অত তাড়া থাকবে না নেইমারের। প্যারিস সেন্ত জার্মেইয়েই পাবেন ব্রাজিলের ছোঁয়া! দলবদলের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফরাসি ক্লাবে যোগ দিয়ে পেয়েছেন তিনি ব্রাজিলিয়ান চার সতীর্থকে। যাদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা মেসেজের মাধ্যমে এতদিন যোগাযোগ করতেন, তাদের সঙ্গে নেইমার এখন আড্ডা-গল্পে কাটাবেন অবসর সময়টা।
২২২ মিলিয়ন ইউরোর ট্রান্সফার ফি দিয়ে নেইমার পিএসজিতে যোগ দেওয়ায় দলটিতে ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়ের সংখ্যা দাঁড়াল ৫-এ। শুধু যে এই মুহূর্তে প্যারিসের ক্লাবে ব্রাজিলিয়ানদের সংখ্যা বেশি, ব্যাপারটা তা নয় মোটেও। ১৯৭০ সালে ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ব্রাজিলিয়ানদের সঙ্গে চলছে তাদের সম্পর্কের লাইন। ৩১তম ব্রাজিলিয়ান হিসেবে নেইমার যোগ দিয়েছেন প্যারিসে।
পিএসজি যেন এক টুকরো ব্রাজিল! এবারের মৌসুমের দলটার কথাই ধরুন না। কোনও দলে একটা দেশের অনেক খেলোয়াড়ই থাকতে পারে। তবে মূল একাদশে তাদের দুই-একজনেরই মেলে সুযোগ। কিন্তু পিএসজির ব্রাজিলিয়ানদের ব্যাপারটা একেবারে আলাদা। দ্বিতীয় সারির কোনও খেলোয়াড় নয়, সেরা ব্রাজিলিয়ানদেরই জড়ো করেছে তারা এক ছাদের নিচে।
পিএসজির খেলোয়াড়দের সঙ্গে আর কয়েকজন ব্রাজিলিয়ান যোগ করলে জাতীয় দলের হয়ে খেলা চালিয়ে নিতে পারেন সেলেসাও কোচ তিতে! সত্যি তাই। দলে থাকা পাঁচ ব্রাজিলিয়ানদের নামগুলো দেখুন একবার- নেইমার, থিয়াগো সিলভা, দানি আলভেস, মারকুইনহোস ও লুকাস মোউরা। তিতের ব্রাজিলিয়ান দলে থাকেন এই পাঁচজনের সবাই। পিএসজিতে যে তাদের কদর আরও বেশি থাকবে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। নেইমার ও আলভেস নতুন এলেও একাদশে তাদের জায়গা নিশ্চিত। বাকি তিনজন- সিলভা, মারকুইনহোস ও মোউরা গত মৌসুমে নিয়মিত ছিলেন একাদশে। এবারও ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয়। আর সেটা না হলে পাঁচ ব্রাজিলিয়ানকই নিয়েই দল সাজাবেন পিএসজি কোচ উনাই এমেরি।
ব্রাজিল-পিএসজির এই সম্পর্কটা ফরাসি ক্লাবের জন্মের শুরু থেকে। প্যারিসের বুকে নাম লেখানো পিএসজি যে বছর যাত্রা শুরু করল, সেই ১৯৭০ সালে ব্রাজিল জেতে তাদের তৃতীয় বিশ্বকাপ। খুব চেষ্টা করেছিল সেবার ‘ফুটবলের রাজা’ পেলেকে দলে ভিড়ানোর। যদিও প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি। প্রথম ব্রাজিলিয়ান হিসেবে তাই ফরাসি ক্লাবটিকে যোগ দেন হোয়েল কামারগো। বিশ্বকাপ জেতা এই খেলোয়াড় পিএসজিতে নাম লেখান ১৯৭১ সালে।
এরপর থেকে চলছে। সবশেষ ব্রাজিলিয়ান হিসেবে নাম লেখালেন নেইমার। তার আগে পিএসজি পেয়েছে রোনালদিনহো মতো খেলোয়াড়কে। ড্রিবলিংয়ে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের বোকা বানানো এই ব্রাজিলিয়ান অবশ্য পিএসজিতে জিততে পারেননি একটি শিরোপাও। দুই মৌসুম কাটিয়ে ছিলেন শিরোপা শূন্য। তার সেই ইতিহাস বদলানোর পালা নেইমারের। লক্ষ্য তার গোল আবার শিরোপার বৃষ্টি ঝরিয়ে পিএসজির ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার।
‘ঘরের দলের’ হয়ে কাজটা খুব একটা কঠিন হওয়ার কথা নয় নেইমারের! এপি, বাংলাট্রিবিউন
আমাদের সময় ডটকম
স্পোর্টস ডেস্ক : সব সংশয় দূর করে বাংলাদেশ সফরে আসছে অস্ট্রেলিয়া। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সাফল্যের ব্যাপারে দারুণ আত্মবিশ্বাসী মুশফিকুর রহিম।
সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ফাঁকে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা সব সময় শুনে থাকি অস্ট্রেলিয়া আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে। আমরাও আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়ে ওদের মোকাবেলা করতে প্রস্তুত।’
এরপর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমরা হোম কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো অসম্ভব কিছু নয়। সত্যি কথা বলতে, নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারলে আমরা বিশ্বের যে কোনও দলকে হারাতে পারব। কারণ আমাদের সে সামর্থ্য আছে।’
মুশফিকের আত্মবিশ্বাসে টগবগ করতে থাকার কারণও আছে। ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য। টেস্ট ক্রিকেটেও ক্রমেই উন্নতি করছে টাইগাররা। গত বছর ইংল্যান্ডের সঙ্গে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ড্র করেছিল মুশফিকের দল, মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অতিথিদের হারিয়ে দিয়েছিল ১০৮ রানে। ওই ম্যাচে তামিম ইকবালের চমৎকার সেঞ্চুরি আর মেহেদী হাসান মিরাজের ১২ উইকেট শিকারে গড়ে উঠেছিল জয়ের ভিত।
অথচ তখন অনেকেই ভেবেছিল, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাত্তাই পাবে না বাংলাদেশ। এ বিষয়ে মুশফিকের ভাষ্য, ‘ইংল্যান্ড যখন আসে, তখন কিন্তু কেউ ভাবেনি যে আমরা ওদের সঙ্গে লড়াই করতে পারব। জয় তো অনেক দূরের কথা। গত দুই-তিন বছরে আমাদের দলে বেশ কয়েকজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার এসেছে। মূলত তারাই বড় দলগুলোর বিপক্ষে জয় পেতে অনুপ্রাণিত করছে আমাদের।’ সেই প্রেরণাই অস্ট্রেলিয়া সিরিজে কাজে লাগাতে চান টেস্ট অধিনায়ক, ‘আমাদের মধ্যে এখনও সেই আত্মবিশ্বাস আছে। আমাদের এখন শুধু পাঁচ দিন ধরে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’
অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হতে টাইগাররা যে প্রস্তুত, সে কথা জানিয়ে মুশফিকের মন্তব্য, ‘আমি সত্যিই আনন্দিত যে ওরা টেস্ট সিরিজ খেলতে আসছে। আর আমরাও সেজন্য প্রস্তুত। ওদের মোকাবেলা করার মতো প্রস্তুতি ভালোই হয়েছে আমাদের।’ অবশ্য একটা বিষয়ে তিনি কিছুটা চিন্তিত, ‘আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ হলো, আমরা খুব বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পাই না। তাই টেস্ট খেলার সময় একটু হলেও সমস্যা হয়।’
অবশ্য ব্যাটিংয়ে নিজেদের এগিয়ে রাখতে দ্বিধা করছেন না মুশফিক, ‘আমাদের ব্যাটিং ইউনিট বেশ কয়েকটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের চেয়ে ভালো। টেস্ট হোক বা অন্য ফরম্যাট, আমাদের প্রথম ৭ ব্যাটসম্যান দারুণ ধারাবাহিক। আমি তো মনে করি প্রত্যেকেই ব্যক্তিগতভাবে যথেষ্ট উন্নতি করেছে, যা আমাদের লম্বা রেসের ঘোড়ায় পরিণত করেছে।’
ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তামিম ইকবালের প্রতি একটু বেশিই কৃতজ্ঞ বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক, ‘গত তিন-চার বছর ধরে সে যেভাবে ব্যাটিং করছে আর যেমন ধারাবাহিকতা দেখাচ্ছে, বিশ্ব ক্রিকেটে এটা কোনও সাধারণ ঘটনা নয়। তার মতো একজন খেলোয়াড়ের দলে থাকা আমাদের জন্য বিরাট অনুপ্রেরণা।’
বাংলাট্রিবিউন
স্পোর্টস ডেস্ক :পিএলে আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি সাকিব আল হাসান। পরের ম্যাচেই ঠিকই জ্বলে উঠলেন আগ্রাসী হয়ে। তার ঝড়ো ৪৪ রানে ভর করে ১২ রানে জয় পেয়েছে জ্যামাইকা তালাওয়াস।
টস জিতে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৫৪ রান তোলে জ্যামাইকা। যাতে মূল ঝড় তোলেন ম্যাকার্থি। ৪৪ বলে বিদায় নেওয়ার আগে করেন ৬০ রান। তার এই ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৩টি ছয়। এই ম্যাকার্থির সঙ্গেই পঞ্চম উইকেটে ৮৪ রানের বিশাল জুটি গড়েন সাকিব। এই জুটিই টিকে ছিল ১৯ ওভার পর্যন্ত। সাকিবের ৩২ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ১টি ছয়।
জবাবে খেলতে নেমে ১৪২ রানে গুটিয়ে যায় বারবাডোস ট্রাইডেন্টস। খেলতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বারবাডোস। শুধু মাত্র কিয়েরন পোলার্ড সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন। ৩৩ বলে ২টি চার ও ৪টি ছয়ের মারেই এই রান পূরণ করেন তিনি। শেষ দুই ওভারে ২৫ রান প্রয়োজন ছিল বারবাডোসের। তখন বিধ্বংসী পোলার্ডও ছিলেন ক্রিজে। কিন্তু পেসার সামির গতি ঝড়ে উড়ে যায় সেসব। চতুর্থ উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে সাজঘরে ফরেন পোলার্ড।
সাকিব বল হাতেও এদিন ছিলেন সফল। ৪ ওভার বল করে ২৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। এছাড়া সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন মোহাম্মদ সামি। ক্রিশমার সান্তোকি, ইমাদ ওয়াসিম ও কেসরিক উইলিয়ামসও একটি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন আন্দ্রে ম্যাকার্থি।
নিজের সময়টা একেবারে ভালো যাচ্ছে না জাতীয় দলের ওপেনার সৌম্য সরকারের। দীর্ঘদিন বড় কোন ইনিংস খেলতে পারছে না। সামনে তাই মুখ্য সুযোগ দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার সাথে হোম সিরিজ। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সৌম্য জানালেন, অষ্ট্রেলিয়া সিরিজ নিয়ে তার পরিকল্পনা। নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটা করতে চান অষ্ট্রেলিয়ার সাথে।
সৌম্য আরো জানান, হোম কন্ডিশন বলেই অজিদের বিপক্ষে টেস্টে ইতিবাচক কিছু সম্ভব। তাই, শুধু ব্যাটিংয়ে নয়। বল হাতেও দলের জন্য রাখতে চান অবদান। আর প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া বলেই সৌম্যকে আলাদা রোমাঞ্চ ছুঁয়ে যাচ্ছে। আমার যতটুকু সামর্থ্য আছে সেটা দিয়ে আমি চেষ্টা করবো। অবশ্যই বড় প্রতিপক্ষ। বড় প্রতিপক্ষ হলে খেলাটাও টাফ থাকে। মনোযোগটাও আমার অনেক বেশি থাকবে। যেহেতু টেস্টে এখনো আমার সেঞ্চুরি নাই। আশা আছে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটা সেঞ্চুরি করার।
সৌম্য বলেন, ‘আমরা লাস্ট ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে ম্যাচ খেলেছি সেটা আমাদের দিকেই সব সময় ছিলো। আমরা যদি আমাদের সেরাটা দিতে পারি তাহলে ফলাফলটাও আমাদের পক্ষেই আসবে।’
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে নিজের বোলিং করার অভিজ্ঞকা কাজে লাগাতে চেয়ে সৌম্য আরও বলেন, ‘আমি অবশ্যই প্রস্তুত। এখন নিয়মিত বোলিং করছি। যদি সুযোগ পাই তাহলে চেষ্টা করবো নিজেকে প্রমাণ করে জায়গাটা ধরার। আমি যখনই সুযোগ পাবো নিজেকে প্রুফ করার চেষ্টা করবো।’
সব ঠিক থাকলে অস্ট্রেলিয়ার সাথে সৌম্যকে দেখা যেতে পারে ওপেনার হিসেবে তামিমের সঙ্গী হিসেবে।
স্পোর্টস ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়া সিরিজ সামনে রেখে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় দিনের মতো অনুশীলন করছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
মূলত নিবিড় অনুশীলন করতেই কোচ হাথুরুংসিহের চাওয়াতেই চট্টগ্রামে এই অনুশীলন পর্ব বাংলাদেশের। মোস্তাফিজ, তাসকিন, রুবেল আল আমিনদের নিয়ে নেটে আলাদা বোলিং করিয়েছেন বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। এছাড়া, মুশফিক তামিমরা দীর্ঘ সময় নেটে ব্যাটিং করেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি টেস্ট ম্যাচ সামনে রেখে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নিজেদের মধ্যে ৯ থেকে ১১ আগস্ট তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ২০০৬ সালের পর ১৮ আগস্ট দুটি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে আসবে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল।
সময়টিভি অনলাইন
স্পোর্টস ডেস্ক :নিজের বর্ণিল ক্যারিয়ারের শেষ বড় প্রতিযোগিতায় বোল্ট হেরে গেলেন জাস্টিন গ্যাটলিনের কাছে। পূরণ হলো না ১০০ মিটার ইভেন্টে টানা তৃতীয়বারের মতো স্বর্ণ জয়ের স্বপ্ন।
দু-দুবার ডোপ কেলেঙ্কারিতে জড়ানো গ্যাটলিন যে বোল্টকে এভাবে পেছনে ফেলে দিতে পারবেন, তা হয়তো খুব বেশি মানুষের কল্পনায় ছিল না। দীর্ঘ ১২ বছর পর ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের ১০০ মিটার দৌড়ের স্বর্ণ জিতেছেন গ্যাটলিন। ফিনিশিং লাইন ছুঁয়েছেন ৯.৯২ সেকেন্ডে। বোল্ট এমনকি দ্বিতীয়ও হতে পারেননি। ৯.৯৫ সেকেন্ডের টাইমিংয়ে তৃতীয় হয়েছেন বিশ্বের দ্রুততম মানব। দ্বিতীয় স্থানে থেকে রৌপ্যপদক জিতেছেন গ্যাটলিনেরই স্বদেশি, আমেরিকান অ্যাথলেট ক্রিস্টিয়ান কোলম্যান।
২০০৯ সালে বার্লিনে অনুষ্ঠিত বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে জোড়া রেকর্ড গড়েছিলেন বোল্ট। ১০০ ও ২০০ মিটার ইভেন্টে সেরা টাইমিংয়ের যে রেকর্ড এখনো আছে বোল্টেরই দখলে। তারপর ২০১১, ২০১৩ ও ২০১৫ সালেও বোল্ট ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। ২০১১ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ফলস স্টার্টিংয়ের কারণে বোল্ট বাদ পড়েছিলেন ১০০ মিটারের ইভেন্ট থেকে। স্বর্ণপদক জিতেছিলেন ২০০ ও ১X৪০০ মিটার ইভেন্টে। আর গত দুই আসরেই বোল্ট জিতেছিলেন তিনটি ইভেন্টের স্বর্ণপদক।
এ বছরের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের পরই অ্যাথলেটিকস জগৎ থেকে বিদায় নেওয়ার কথা উসাইন বোল্টের। বিদায়ী এ আসরে এমন অপ্রত্যাশিত ফল নিশ্চয়ই চাননি সর্বকালের অন্যতম সেরা এই অ্যাথলেট। জনকন্ঠ
স্পোর্টস ডেস্ক : ব্রাজিলীয় ‘রত্ন’টিকে ধরে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টাই শেষ পর্যন্ত করেছিল স্প্যানিশ লা লিগা। সংস্থাটি বাইআউট ক্লজের ২২২ মিলিয়ন ইউরোর (প্রায় ২ হাজার ১২২ কোটি টাকা) চেকও গ্রহণ করেনি। কিন্তু তাকে ধরে রাখা যায়নি। আনুষ্ঠানিকভাবে গতকালই প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) খেলোয়াড় হয়ে গেলেন তিনি। ফ্রান্সের স্থানীয় সময় দুপুরে সমর্থকদের সামনে বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়টিকে পরিচয় করিয়ে দেন পিএসজি কর্মকর্তারা।
বিশ্বরেকর্ড ফি দিয়ে কেনা নেইমারের সঙ্গে পিএসজির চুক্তি হয়েছে পাঁচ বছরের। প্রতি বছর তিনি বেতন পাবেন ৩ কোটি ইউরো, যা বার্সেলোনায় পাওয়া বেতনের প্রায় দ্বিগুণ। সেই সঙ্গে থাকবে নানা আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা। যেমন— সাইনিং বোনাস, ব্রাজিলে যাতায়াতের জন্য জেট বিমান ও পিএসজি বোর্ডের মালিকানাধীন হোটেলের লভ্যাংশ প্রাপ্তি।
পিএসজিকে ইউরোপের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী ক্লাব হিসেবে অভিহিত করে নেইমার ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘পিএসজির উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা, আবেগ ও প্রাণশক্তি আমাকে আকর্ষণ করেছে। চ্যালেঞ্জ নিতে আমি তৈরি। নতুন সতীর্থদের সাহায্য করতে সম্ভাব্য সবকিছুই করব আমি।’
এত দিন স্পেনের সংবাদ মাধ্যমগুলো বলে আসছিল, নেইমার পিএসজিতে সই করলে তার বাবা ‘সাইনিং বোনাস’ হিসেবে পাবেন ৩৮ মিলিয়ন ইউরো। তবে গতকাল নেইমার যা বললেন তার মানে দাঁড়ায়, এখানে তার বাবার কিছুই করার ছিল না। তিনি নাকি চেয়েছিলেন তার ছেলে বার্সেলোনাতেই থাকুক। নেইমার জানালেন, বাবার ইচ্ছার বিরুদ্ধেই তিনি পিএসজিতে নাম লিখিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে তল্পিতল্পা গুটিয়ে বার্সেলোনায় নিজ বাসা ত্যাগ করেন নেইমার। এরপর এক ভিডিওবার্তায় বার্সেলোনাকে বিদায় বলেছেন। সেখানেই বাবাকে নিয়ে ওঠা সব সমালোচনা উড়িয়ে দিয়ে ২৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড বলেন, ‘বাবা যা চেয়েছিলেন, তার উল্টোটাই করেছি আমি। একজন খেলোয়াড়কে অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কিছু ট্যাক্সের মতো বিষয়ে, কিছু আমাদের সিদ্ধান্তের কারণে। একজন খেলোয়াড় যা কিছু জিততে পারে তার সবই জিতেছি আমি। কিন্তু একজন খেলোয়াড়কে চ্যালেঞ্জও নিতে হয়।’
স্যান্টোস থেকে বার্সেলোনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদেই যোগ দেয়ার কথা ছিল নেইমারের। মাদ্রিদ জায়ান্টদের হয়ে মেডিকেলও করিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলে তিনি হয়ে যান কাতালান খেলোয়াড়। এ কারণে অনেকেই নেইমারের বাবাকে দায়ী করেছেন। বলা হয়ে থাকে, বার্সেলোনার কাছ থেকে ৪০ মিলিয়ন ইউরো ‘বোনাস’ পেয়েই ছেলেকে বার্সেলোনায় নিয়ে যান নেইমার দ্য সিলভা। সেই সমালোচনার জবাবও এবার দিলেন নেইমার, ‘আমার জীবনে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার বাবা যা বলেছেন, তার উল্টোটা করলাম। এটা একটা কঠিন সিদ্ধান্ত, কিন্তু আমার জীবনের ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা থেকেই এটা করলাম।’
বাবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পিএসজিতে যাচ্ছেন, তাই এক ভিডিওবার্তায় বলেছেন, ‘বাবা, আমি তোমার ইচ্ছার কারণ বুঝি এবং সেটাকে শ্রদ্ধাও করি। কিন্তু আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। আমি চাই, আগের মতোই সমর্থন দেবে তুমি।’
চার বছর খেলেছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেছির ছায়ায়। এবার পিএসজির সাফল্যের নেতা হতে চান। তবে মেসিকে এখনো বিশ্বসেরাই ভাবেন। মেসিকে ‘বিশ্বের সেরা অ্যাথলিট’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘মেসি আমার সতীর্থ ছিলেন, তেমনি মাঠে ও মাঠের বাইরে ছিলেন অকৃত্রিম বন্ধুও। তোমার সঙ্গে খেলতে পেরে আমি গর্বিত। মেসি ও লুই সুয়ারেজকে নিয়ে আমরা যে আক্রমণভাগ গড়ে তুলেছিলাম, তা সারা জীবন আমার মনে থাকবে।’ মার্কা, বিবিসি, এএফপি
স্পোর্টস ডেস্ক : ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার আগে নিজের স্বপ্নের কথা জানিয়ে গিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) নিজের সেরাটা দিয়ে অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার ইচ্ছার কথাও শুনিয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। তবে তার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে মিরাজকে। ২০১৭ সালের সিপিএলে তার দল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের পথচলা শুরু হলেও তাকে থাকতে হয়েছে দর্শক হয়ে। সেন্ট লুসিয়া স্টারসের বিপক্ষে একাদশে সুযোগ হয়নি মিরাজের। দলের বাইরে থেকে অবশ্য জয় উদযাপন করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে মিরাজের দল ত্রিনাবাগো ৯ উইকেটে হারিয়েছে সেন্ট লুসিয়াকে।
ত্রিনবাগোর বোলিং তোপে ব্যাটিংয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি সেন্ট লুসিয়া। নির্ধারিত ২০ ওভারে ড্যারেন সামির দল করতে পারে ৯ উইকেটে ১৩২ রান। যে লক্ষ্য ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও কলিন মুনরোর হার না মানা হাফসেঞ্চুরিতে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে টপকে যায় ত্রিনবাগো।
সেন্ট লুসিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন আন্দ্রে ফ্লেচার। শেষ দিকে কাইল মায়ারের ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান। ব্যর্থ হয়েছেন জনসন চার্লেস (২), কামরান আকমল (৫), মারলন স্যামুয়েলস (১৩) জেসি রাইডার (১৮) ও ড্যারেন সামির (৬) মতো ব্যাটসম্যানরা। ত্রিনবাগোর বোলাররা আসলে মোটেও সুবিধা করতে দেননি। শাদাব খান (২/১৫) ও ডোয়াইন ব্রাভো (২/২৩) ছিলেন সবচেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর। পাকিস্তানি স্পিনার শাদাব জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও।
১৩৩ রানের লক্ষ্যের শুরুতে সুনিল নারিনের উইকেট হারালেও সহজ জয় নিশ্চিত করে মিরাজের দল। ম্যাককালাম ও মুনরো মিলে ঝড় তোলেন সেন্ট লুসিয়ার বোলারদের ওপর। দুজন মিলে শেষ করেন খেলা। ম্যাককালাম ২৭ বলে ২ চার ও ৭ ছক্কায় খেলেছেন অপরাজিত ৫৮ রানের ইনিংস। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মুনরো ৩৯ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় খেলেছেন হার না মানা ৬৬ রানের ইনিংস। ক্রিকইনফো
স্পোর্টস ডেস্ক : জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুক্রবার (বাংলাদেশ সময়ানুযায়ী শনিবার) থেকে পর্দা উঠলো ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) পঞ্চম আসরের। প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স ও সেন্ট লুসিয়া স্টার্স।
ড্যারেন স্যামি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ত্রিনবাগোর দলপতি ডোয়াইন ব্রাভো প্রথমে ব্যাট করার জন্য প্রতিপক্ষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
আসরের প্রথম ম্যাচ দিয়ে ভিনদেশী টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার পাশাপাশি সিপিএলে বাংলাদেশ দলের তরুণ তুর্কি মেহেদি হাসান মিরাজের অভিষেকের সম্ভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। যারফলে ১৯-বছর বয়সী এ অলরাউন্ডারকে তাঁর সিপিএল যাত্রা শুরুর জন্য আরো কয়েকটা দিন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।