March 26, 2025
পবিত্র রমজান ইবাদতের বসন্তকাল। মহান আল্লাহ মুমিন বান্দার একটি ফরজ আদায়ে ৭০ টি ফরজের সমপরিমাণ ছওয়াব দেন । আর একটি নফল আদায়ে একটি ফরজের সমপরিমাণ ছওয়াব দেন। তারাবির ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। আর এ বিধান নারী পুরুষ সকলের জন্যই ধর্তব্য । নি¤েœ নারী তারাবি নামাজ কোথায় পড়বে এ নিয়ে আলোচনা করা হলো :
বিশুদ্ধ হাদিসে রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন নারীদের মসজিদে না এসে ঘরে নামাজ আদায় করার নির্দেশ দেন, তখন একজন নারী সাহাবি রাসুল (সা.)-এর খেদমতে এসে বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমার মন চায় আপনার পেছনে নামাজ পড়তে, আমাকে অনুমতি দিন। রাসুলুল্লাহ (সা.) তদুত্তরে যা বললেন তার মর্ম হলো, আমি তোমার আগ্রহের মূল্যায়ন করি, তা সত্তে¡ও মসজিদে নববীতে এসে ৫০ হাজার রাকাতের সাওয়াব পাওয়া এবং আমার পেছনে নামাজ পড়া থেকে তোমার ঘরে একা নামাজ পড়াই উত্তম।
তাই রাসুল (সা.)-এর অবর্তমানে তাঁর প্রিয় সাহাবিরা বিশেষ করে হজরত ওমর ও আয়েশা (রা.) মহিলাদের মসজিদে যেতে নিষেধ করেছেন। যার অনুসরণে দেড় হাজার বছর পর্যন্ত কোনো আলেম নারীদের মসজিদে এসে নামাজ পড়ার জন্য উৎসাহিত করেননি এবং এর জন্য কোনো ব্যবস্থাও করেননি। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৮৬৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৭০৯০)
নারীদের জন্য তারাবির নামাজ ও অন্য সব নামাজ ঘরে একাকি পড়াই শরিয়তের বিধান। এর বিপরীত করা ইসলামের মূল চেতনাপরিপন্থী। (আল বাহরুর রায়েক ১/৬২৭, রদ্দুল মুহতার ২/৪৬
রহমত, বরকত, নাজাত,। এ মাসের প্রতিটি দশকে আল্লাহ তায়ালার বিশেষ উপহার রোজাদারদের জন্য রেখে দিয়েছেন। রহমত বরকত শেষ হয়ে ২১ রমজানের মধ্য দিয়ে শুরু হলো নাজাতের বিশেষ দশদিন। নাজাতের অর্থই হচ্ছে পরিত্রাণ কিংবা মুক্তি। যেহেতু সিয়াম সাধনা তথা এবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে বান্দা গুনাহ থেকে মুক্তি পান, পরকালে কঠিন শাস্তি তথা দোজখ থেকে মুক্তি পেয়ে থাকেন, এজন্যই মাহে রমজানকে নাজাতের মাস বলা হয়েছে।
মাহে রমজানের যত ফজিলত রয়েছে তার শেষ কথাই হচ্ছে নাজাত। এই একমাসে ইফতার, সাহরি, সিয়াম সাধণা, নামাজ দোয়া, এবাদত বন্দেগী, দান সদকা ও ভাল কাজের সফলতাই হচ্ছে মহান আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি তথা এই নাজাত। মাহে রমজানকে মহানবী (সা.) নিজেই রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি (সা.) বলেছেন, এটি এমন একটি মাস, যার প্রথম ভাগে আল্লাহর রহমত, মধ্যভাগে গুনাহের মাগফেরাত এবং শেষ ভাগে দোজখের আগুন থেকে মুক্তিলাভ রয়েছে।’ (মিশকাত)। হযরত হুযাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলে করিম (সা.) এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি শুধু আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টির জন্য কালেমা পড়েছে সে জান্নাতে প্রবেশ করেছে এবং তার শেষ নিঃশ্বাসও কালেমার উপর হবে। যে ব্যক্তি কোনো দিন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রোজা রাখলো তার শেষ নিঃশ্বাসও সেটার উপর হবে এবং সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সদকা করেছে তার শেষ নিঃশ্বাসও সেটার উপর হবে এবং সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুসনাদে ইমাম আহমদ ৯ম খÐ, ৯০ পৃষ্ঠা)।
মাহে রমজানের এই নাজাতের দিনগুলিতে এবাদত বন্দেগী করে, আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে নিজের মুক্তি অর্জন করতে না পারলে সে প্রকৃত অর্থেই সবচেয়ে বড় দুর্ভাগা মুসলমান। কারণ, সে জীবনে এই মাহে রমজান আর নাও পেতে পারে, এটিই তার শেষ রমজান হতে পারে। তাই প্রত্যেক বান্দার উচিত এই সুবর্ণ সুযোগকে কাজে লাগানো। এক হাদিসে রয়েছে, হযরত জিবরাইল (আ.) এসে নবীজী (সা.) কে বললেন, ধ্বংস হোক ওই ব্যক্তি, যে রমজান মাস পাওয়ার পরও নিজের গুনাহ মাফ করে নিতে পারলো না। তখন নবীজী (সা.) বললেন, আমীন। (মুসতাদরাকে হাকেম)
তাই বান্দার উচিত পবিত্র রমজানের শেষ দশদিনে আগের যত গাফিলতি, ত্রæটি বিচ্যুতি রয়েছে তা দূর করে একাগ্রচিত্তে সিয়াম সাধনা করে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জন করার মধ্য দিয়ে নাজাত প্রাপ্ত হওয়া। কোনোভাবেই যেন আমরা মাহে রমজানের মতো আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নেয়ামতকে হেলায় শেষ করে না দেই। উম্মুল মুমেনিন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন রমজানের শেষ দশক আসত তখন নবী করীম (সা.) তাঁর লুঙ্গি কষে নিতেন (বেশি বেশি এবাদতের প্রস্তুতি নিতেন) এবং রাতে জেগে থাকতেন ও পরিবার পরিজনকে জাগিয়ে দিতেন। (সহিহ বুখারী) আল্লাহ তাআলা এ মাসের প্রতি রাত্রে অসংখ্য জাহান্নামীকে মুক্তি দান করেন। সুতরাং আমাদের কর্তব্য, বেশি বেশি নেক আমল এবং তাওবা-ইস্তিগফারের মাধ্যমে নিজেদের এই শাহী ফরমানের অন্তর্ভুক্ত করা। এ প্রসঙ্গে অন্য হাদীসে হযরত জাবির রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অবশ্যই আল্লাহ তাআলা রমযান মাসে প্রতি ইফতারের সময় অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। প্রতি রাতেই তা হয়ে থাকে। সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস-১৬৪৩, মুসনাদে আহমদ, হাদীস-২২২০২, তবারানী হাদীস-৮০৮৮. বায়হাকী ৩৬০৫ হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রমযান মাস লাভকারী ব্যক্তি যে উত্তমরূপে সিয়াম ও কিয়াম (রোযা, তারাবী ও অন্যান্য আমল) পালন করে-তার প্রথম পুরস্কার এই যে, সে রমযান শেষে গুনাহ থেকে ঐ দিনের মতো পবিত্র হয় যেদিন মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল। মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদীস-৮৯৬৬
সূত্র : আমাদের সময় ডটকম।
আরবিতে রোযাকে সাওম বলা হয়।সাওম অর্থ বিরত থাকা।পরিভাষায় সুবহে সাদিক থেকে নিয়ে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোযার নিয়তে সকল প্রকার পানাহারও কামাচার থেকে বিরত থাকাকে সাওম বা রোযা বলা হয়। সকল বালেগ,মুকীম ও সুস্থ মুসলিমের উপর রমযানের পুরো মাস রোযা ফরজ।
আতœশুদ্বির শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হলো রোযা। রোযা মানুষকে সংযমী হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি আদর্শ সমাজ গঠনেও তাৎপর্যপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে। সামাজিক জীবনেও রোযার গুরুত্ব অপরিসিম।
ইসলাম যে সাম্যের ধর্ম,রোযার মাধ্যমে তা প্রমাণিত হয়।ধনী-দরিদ্র,ছোট-বড় সবাই একসাথে তারাবিহর নামায আদায় করে,সাহরি খায়, ইফতার করে।এতে বিরাট সাম্যের ছবি ভেসে উঠে। রোযার মাধ্যমে একজন বিত্তশালী নিরন্নের ক্ষুধার যন্তনা অনুধাবণ করতে পারে।ফলে তার মাঝে গরীবদের প্রতি সহানূভ‚তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হয়।রাসুল (সা.) বলেছেন “রমযান মাস সহানুভ‚তির মাস।”
রোযা সমাজের অবহেলিত দিনমজুর মানুষের প্রতি উদারতা ও সদ্ব্যবহারের শিক্ষা দেয়।রাসুল (সা.)রমযান মাসে শ্রমিকের কাজ হালকা করার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া এ মাসে ধনীদের যাকাত-ফিতরা ও দান সদকার মাধ্যমে দরিদ্র-অভাবগ্রস্তদের আর্থিক উন্নতি হয়।
রোযা ধৈর্যধারণের শক্তি যোগায়।মহানবী (সা.) বলেছেন, রোযা ধৈর্যের মাস।আর ধৈর্যের প্রতিদান জান্নাত।ধৈর্য সামাজিক পরিমন্ডলে এক অনন্য মূল্যবোধ সৃষ্টি করে।ফলে সমাজে শান্তিও ইনসাফের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
রোযা নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙখলাবোধ শিক্ষা দেয়। রোযার মাসে নিদ্রিষ্ট সময়ে খাওয়া,ইফতার করা ,তারাবিহর নামায আদায় করা ইত্যাদী নিয়মানুবর্তিতার প্রশিক্ষণ হয়।ফলে রোযাদার সময়ের মূল্য অনুধাবণ করে দৈনন্দিন কার্যাবলী ঠিকমত পরিচালনা করতে সক্ষম হয়।
রোযার মাধ্যমে মানুষের নৈতিকতার বিকাশ সাধিত হয়। একজন রোযাদার ব্যক্তি সবসময় আল্লাহর স্মরণে থাকে।ফলে সে কোন অন্যায় -অশ্লিল কাজের প্রতি হাত বাড়াতে ভয় পায়।
রোযাদার যাবতীয় ঝগড়া-বিবাদ থেকে নিজেকে সংযত রাখে।ফলে সমাজে অনেক দ্বন্দ-কলহ থেকে পরিত্রপরিত্রাণ পায়। রোযা রাখলে পাকস্তলি পরিস্কার হয় এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়।তা সাস্তের জন্যে বিশেষ উপকারী।এতে স্বাস্তের উন্নতি ঘটে,মনোবলও সাহস বৃদ্ধি পায়।ফলে রোযাদার উৎসাহ -উদ্দিপনার সাথে সৎকাজে অংশগ্রহণ করতে পারে।
রোযার মাধ্যমে মানুষ ষড়রিপুর তাড়না থেকে মুক্তি পায়।যার ফলে রোযাদার লোভ-লালসা,কামনা-বাসনা ক্রোধ,নেশা,মিথ্যা,প্রতারণা এবং অশ্লীলতার চর্চা থেকে পূত পবিত্র হয়ে একটি সুন্দর ও আদর্শ জীবন লাভ করে।
আর আদর্শ জীবনের মাধ্যমে আদর্শ সমাজ গড়ে ওঠে। সুতরাং আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে রোযার গুরুত্ব অপরিসিম।
সূত্র : অামাদের সময় ডটকম।
শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৬ অথবা ২৭ জুন পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে। সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকলে বায়তুল মোকাররমে সকাল ৯টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে ধর্মমন্ত্রী মওলনা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। এ সময় ধর্মমন্ত্রণালয়ের সচিব এমএ জলিল উপস্থিত ছিলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদের জামাতে রাষ্ট্রপতিসহ মন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া বাংলাদেশে অবস্থানরত কূটনীতিবীদদের এ জামাতে অংশ নিতে ধর্মমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঈদের জামাতের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এবং ঈদের নামাজের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে ঢাকা দিক্ষণ সিটি করপোরেশন।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, ‘ঈদের দিনের নিরাপত্তা বিধানে ঈদের জামাতসহ দেশের সব জায়গায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে। এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা।’
মুসলিমের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হচ্ছে আল কোরআন। আল্লাহর কালাম ও আদেশ নিষেধ বর্ণিত হয়েছে কোরআন পাকে। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মানুষকে আইন ও জীবন ব্যবস্থা দিয়েছেন। আর এ কোরআন নাজিল হয়েছে মাহে রমজানে। এ সম্পর্কে রাব্বুল আলামিন বলেছেন, ‘রমজান মাসে কোরআন নাজিল করা হয়েছে। এতে রয়েছে মানুষের জন্য হেদায়াত এবং পথ চলার নির্দেশিকা ও সত্য-মিথ্যা পার্থক্য করার সুস্পষ্ট দলিল।’ –(সূরা বাক্বারা-১৮৫)
কোরআন পাঠে অশেষ নেকি লাভ হয়। আর রমজান মাসে কোরআন তেলাওয়াতে সওয়াবের পরিমাণ আরো অনেক বেশি। পবিত্র এই গ্রন্থকে যত্ন করে রেখে দিলে কিংবা সুন্দর গিলাফ পরিয়ে আলমারির তাকে সাজিয়ে রাখলে হেদায়াত পাওয়া যাবে না। কোরআনকে বুঝতে হবে এবং তা থেকে জীবনের সব ক্ষেত্রে রাব্বুল আলামিন প্রদত্ত বিধান খুঁজে নিতে হবে। সুতরাং হেদায়াত পেতে হলে আমাদের নিয়মিত কোরআন পাঠ করতে হবে।
কোরআন নাজিল করা প্রসঙ্গে সূরা ক্বদরে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আমি এই কোরআন ক্বদরের রাতে নাজিল করেছি।’ এ ক্বদরের রাত হচ্ছে রমজান মাসে। বোখারি ও মুসলিম শরিফে বর্ণিত আছে- ‘হযরত জিবরাইল (আ.) রমজান মাসে প্রতি রাতে রাসূলকে (সা.) কোরআন শিক্ষা দিতেন। অপর এক বর্ণনায় এসেছে- ‘জিবরাইল (আ.) প্রতি বছর রমজানে একবার রাসূলে করিমের (সা.) কাছে কোরআন অবতীর্ণ করতেন। কিন্তু তাঁর ইন্তেকালের বছর দুবার রাসূলের (সা.) কাছে কোরআন পেশ করেন।’
রাসূল (সা.) রমজান মাসে ভাল করে কোরআন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণা করতেন। তিনি কোরআনের শিক্ষা ও এর অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ করতেন। অর্থ্যাৎ কোরআন নিয়ে সর্বাধিক ব্যস্ত থাকতেন তিনি। রাসূল (সা.) কোরআন মুখস্থ করতেন, মুখস্ত করা অংশ পুনরায় পড়তেন এবং স্মরণ শক্তিকে তাজা রাখতেন।
এই রমজানে মাসেই অন্যান্য কয়েকটি আসমানি কিতাব তথা আল্লাহর হেদায়েতের বাণী এসেছিল। এদিক থেকে রমজান হচ্ছে মহা কল্যাণ, পুরস্কার ও হেদায়েতে ভরা মওসুম। তাই রমজানে কোরআন পড়া ও শেখা আরো উত্তম। এ সম্পর্কে রাসূলে করিম (সা.) বলেছেন- ‘তোমরা কোরআন পড়। হাশরের দিন কোরআন নিজ সাথীদের জন্য সুপারিশ করবে।’ –(মুসলিম)
কোরআন পড়া বা পাঠ করার মানে শুধু তেলাওয়াত করা নয়, বুঝে শুনে পড়া দরকার । শুধু তেলাওয়াতে সওয়াব হবে। কিন্তু অর্থসহ কোরআন পড়া এবং সে অনুযায়ী আমল করলে ইহকাল ও পরকাল দুই জগতেই লাভবান হওয়া যাবে। আমাদের পূর্বের নেক পুরুষরা এক সঙ্গে ১০টি আয়াতের অর্থ, ব্যাখ্যা বুঝে এবং এলেম অর্জন করে এর ওপর আমল করা ব্যতীত অধিক আয়াত তেলাওয়াত করতেন না।
রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে কোরআন শিখে ও শিক্ষা দেয়।’ –(বোখারি)
এখানে শেখা এবং শিক্ষা দেওয়ার অর্থ শুধু পাঠ করা নয়, বরং আয়াতের অর্থ ও ব্যাখ্যা এর অন্তর্ভুক্ত। তাই শুধু কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। অর্থ ও ব্যাখ্যা বুঝে পড়তে হবে। কোরআন হচ্ছে আল্লাহর শিক্ষা ও চিরন্তন শাসনতন্ত্র। কোরআন এসেছে মানুষকে সহজ সরল পথ দেখাতে। কোরআন হচ্ছে অন্তরের শিক্ষা ও আলো এবং জ্ঞান ও দলিল।
তেলাওয়াতের সময় নিম্নোক্ত বিষয়সমূহের প্রতি নজর দেওয়া উচিত-
যেখানে বসে কোরআন তেলাওয়াত করা হবে সে স্থান এবং শরীর পবিত্র থাকা। এখলাস এবং বিসমিল্রাহ সহকারে তেলাওয়াত করা। মনকে চিন্তামুক্ত করা এবং কেবলমাত্র কোরআনের প্রতি মনযোগী হওয়া। ধীরে সুস্থে কোরআন পড়া এবং যে আয়াতগুলো পড়া হচ্ছে সেগুলোর গভীর অর্থ চিন্তা। তাড়াহুড়ো করে শেষ না করা। জীবনের ওপর আয়াতের বাস্তব প্রভাব কি তা জানা। কোরআনের আয়াতের অর্থের ওপর গভীর আস্থা রাখা।
কোরআনের অর্থ, ব্যাখ্যা ও তাৎপর্য নিয়ে চিন্তা না করা আবদ্ধ অন্তর কিংবা তালাযুক্ত অন্তরের পরিচায়ক। রাব্বুল আলামিন আমাদের অন্তরকে খুলে দিন ও অর্থ বুঝে সহিহ শুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াতের তাওফিক দান করুন। -আমিন।
এতিম ও প্রতিবন্ধী শিশুদের প্লেটে ইফতার সাজিয়ে দিয়েই শেষ করেনননি, শিশুদের মুখে ইফতার তুলেও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৩ জুন) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বসভবন গণভবনে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, এতিম ও প্রতিবন্ধী শিশু এবং আলেম-ওলামাদের সম্মানে দেওয়া ইফতার অনুষ্ঠানে এমন একটি দৃশ্য চোখে পড়ে।
সন্ধ্যায় গণভবন ব্যাংকোয়েটে ইফতার অনুষ্ঠান মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী তার দুই পাশে দু’টি শিশুকে বসান। তাদের প্লেটে ইফতার তুলে দেন এবং খাইয়েও দেন। ইফতার করার পাশাপাশি শিশু দু’টির খোঁজ নেন, তারা ঠিক মতো খাচ্ছে কিনা।
নিউজ ডেস্ক: ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান নিয়ামাতা, লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাকা।’ অর্থাৎ হাজির হে আল্লাহ হাজির, আপনার মহান দরবারে হাজির। আপনার কোন শরিক নেই। সব প্রশংসা, নিয়ামত এবং সব রাজত্ব আপনারই।
হজযাত্রীদের সমস্বরে এ উচ্চারণে আজ প্রকম্পিত হচ্ছে পবিত্র, ঐতিহ্যবাহী আরাফাতের ময়দান। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাওয়া হজযাত্রীরা সব ভেদাভেদ ভুলে আজ মহান আল্লাহর ডাকে সমবেত হচ্ছেন এখানে। এই সেই আরাফাতের ময়দান যেখানে দাঁড়িয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই স্মৃতি বুকে ধরে হজযাত্রীরা এখানে ইবাদত বন্দেগিতে কাটিয়ে দেবেন সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
এই ময়দানে আজ তারা একসঙ্গে আদায় করবেন যোহর ও আছরের নামাজ। তার আগে খুৎবা দেয়া হবে পবিত্র মসজিদে নামিরা থেকে। এখানে আজ সবাই মিলে এক জাতি মুসলিম। সবাই এক আল্লাহর অতিথি। আরাফাতের ময়দানে সমবেত হওয়া ও সেখানকার ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করাকেই হজের প্রধান অংশ বলা হয়। তাই এ দিনকে হজের দিন বলা হয়।
দুপুরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত হজযাত্রীরা অবস্থান করবেন এখানে। এর মধ্যে মসজিদে নামিরা থেকে খুৎবা দেয়া হবে। হজযাত্রীরা ইমামের পিছনে একসঙ্গে জোহর ও আছরের নামাজ আদায় করবেন। এর আগে গতকাল জোহরের নামাজের আগেই মিনায় পৌঁছেন লাখ লাখ হজযাত্রী।
এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় পবিত্র হজের ৫ দিনের আনুষ্ঠানিকতা। শনিবার দিবাগত রাত মিনাতেই অবস্থান করেন হজযাত্রীরা। সেখানে আজকের ফজরসহ মোট পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় শেষে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে তারা ছুটেছেন আরাফাতের ময়দানে। মিনা থেকে আরাফাতের ময়দান ১০ কিলোমিটার বা ৬ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে। আজ মিনায় ফজরের নামাজ আদায় করেই কেউ পায়ে হেঁটে, হুইল চেয়ারে, বাসে করে, যে যেভাবে পারেন সেভাবেই ছুটছেন আরাফাতের ময়দানে। দু’টুকরো সাদা কাপড়ে ঢাকা হজযাত্রীতে যেন আরাফাতের ময়দান ও এর আশপাশ সফেদ রূপ ধারণ করেছে। আজ এখানে মাগরিবের নামাজ আদায় না করেই হজযাত্রীরা রওনা দেবেন মুজদালিফার দিকে। এবার হজ করছেন প্রায় ২০ লাখ মুসলিম।
নিউজ ডেস্ক: আজ পবিত্র হজ। ‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা, ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়াল্মুল্ক্, লা শারিকা লাকা’ (আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার)—এই ধ্বনিতে মুখরিত হবে আরাফাতের ময়দান।
তালবিয়া পাঠ করে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়ে পাপমুক্তির আকুল বাসনায় লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান (হাজি) আজ রোববার মিনা থেকে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হবেন। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তাঁরা আরাফাতের ময়দানে থাকবেন। কেউ পাহাড়ের কাছে, কেউ সুবিধাজনক জায়গায় বসে ইবাদত করবেন।
পবিত্র হজ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি। আর্থিক ও শারীরিকভাবে সমর্থ পুরুষ ও নারীর জন্য হজ ফরজ। এবার যাঁরা হজে এসেছেন তাঁরা সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকবেন। হজের দিনে সারাক্ষণ আরাফাতে অবস্থান করা ফরজ। হজের প্রতিটি অনুষ্ঠান পালনের ক্ষেত্রে হাজিরা একই সারিতে সমবেত হন। সবাই আল্লাহর বান্দা ও রাসুলের উম্মত।
জানা গেছে, হজ ভিসা নিয়ে যাঁরা সৌদি আরবে গিয়ে অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাঁদেরও অ্যাম্বুলেন্সে করে আরাফাতের ময়দানে স্বল্প সময়ের জন্য আনা হবে। কারণ, আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়া হজের অন্যতম ফরজ।
পবিত্র হজ পালন করতে গত শুক্রবার সারা বিশ্বের অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান মিনায় পৌঁছান। বিশ্বের প্রায় ১৭২টি দেশের প্রায় ২৫ লাখ মুসলমান আজ মিনা থেকে আরাফাতে যাবেন। বাংলাদেশ থেকে এ বছর এসেছেন ১ লাখের বেশি হাজি। মূলত ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজ।
আরাফাহ ও আরাফাত এই দুটো শব্দই আরবিতে প্রচলিত। দৈর্ঘ্যে দুই মাইল, প্রস্থেও দুই মাইল। এই বিরাট সমতল ময়দানের নাম আরাফাত। ময়দানের তিন দিক পাহাড়বেষ্টিত। জাবাল মানে পাহাড়। জাবালে রহমত হলো রহমতের পাহাড়। হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই পাহাড়ের কাছে দাঁড়িয়ে বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। এই পাহাড়ে একটি উঁচু পিলার আছে। একে কেউ কেউ দোয়ার পাহাড়ও বলেন। পিলারের কাছে যাওয়ার জন্য পাহাড়ের গায়ে সিঁড়ি করা আছে।
আজ আরাফাতের ময়দানে খুতবার পর জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন মুসল্লিরা। তাঁরা সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। রাতে সেখানে অবস্থান করবেন খোলা মাঠে। শয়তানের প্রতিকৃতিতে পাথর নিক্ষেপের জন্য প্রয়োজনীয় পাথর (৭০টি) সংগ্রহ করবেন সেখান থেকে।
মুজদালিফায় ফজরের নামাজ আদায় করে হাজিরা কেউ ট্রেনে, কেউ গাড়িতে, কেউ হেঁটে মিনায় যাবেন এবং নিজ নিজ তাঁবুতে ফিরবেন। মিনায় বড় শয়তানকে সাতটি পাথর মারার পর পশু কোরবানি দিয়ে মাথার চুল ছেঁটে (ন্যাড়া করে) গোসল করবেন। সেলাইবিহীন দুই টুকরা কাপড় বদল করবেন। এরপর স্বাভাবিক পোশাক পরে মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করবেন। মসজিদুল হারাম সম্প্রসারণের ফলে এখন প্রতি ঘণ্টায় ১ লাখ ৭ হাজার মানুষ তাওয়াফ করতে পারেন।
কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় ‘সাঈ’ (সাতবার দৌড়াবেন) করবেন। সেখান থেকে তাঁরা আবার মিনায় যাবেন। মিনায় যত দিন থাকবেন, তত দিন তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট ) শয়তানকে ২১টি পাথর করবেন। আবার মক্কায় বিদায়ী তাওয়াফ করার পর নিজ নিজ দেশে ফিরবেন।
হাজিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সৌদি কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছে। হাজিদের বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দিতে মিনায় কিছু দূর পরপর রয়েছে হাসপাতাল। রয়েছে মোয়াচ্ছাসা, দমকল বাহিনী, পুলিশ বাহিনীর সদস্য। হাজিরা পথ হারিয়ে ফেললে স্বেচ্ছাসেবক, স্কাউট ও হজকর্মীরা তাঁদের নির্দিষ্ট তাঁবু বা গন্তব্যে পৌঁছে দেন।
সৌদি হজ মন্ত্রণালয় ও মোয়াচ্ছাসা কার্যালয় সূত্র জানায়, মক্কা, মিনা ও আরাফাতের ময়দানে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে সব হাজিকে বিনা মূল্যে খাবার, বিশুদ্ধ পানিসহ সব সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান হাজিদের নানা উপহার দিচ্ছে।
পবিত্র হজ পালন করতে এসে এ পর্যন্ত স্বাভাবিক কারণে ৩৩ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন।
আজ কাবা শরিফে গিলাফ পরানো হবে
আজ কাবা শরিফের গায়ে পরানো হবে নতুন গিলাফ। প্রতিবছর (৯ জিলহজ) হজের দিন হাজিরা সব আরাফাতের ময়দানে থাকেন এবং মসজিদে হারামে মুসল্লির সংখ্যাও থাকে কম। হাজিরা আরাফাত থেকে ফিরে এসে কাবা শরিফের গায়ে নতুন গিলাফ দেখতে পান।
কাবা শরিফের দরজা ও বাইরের গিলাফ দুটোই মজবুত রেশমি কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়। গিলাফের মোট পাঁচটি টুকরা বানানো হয়। চারটি টুকরা চারদিকে এবং পঞ্চম টুকরাটি দরজায় লাগানো হয়। টুকরাগুলো পরস্পর সেলাইযুক্ত। কাবার গিলাফের প্রতিটি কাপড়ের জন্য প্রয়োজন হয় ৬৭০ কেজি রেশম, ১৫০ কেজি সোনা ও রুপার চিকন তার। ৪৭ থান সিল্কের কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয় এই গিলাফ, মোট আয়তন ৬৫৮ বর্গমিটার। প্রতিটি থান ১ মিটার লম্বা, ৯৫ সেন্টিমিটার চওড়া। একটা আরেকটার সঙ্গে সেলাই করা। প্রতিবছর দুটি করে (একটি সতর্কতামূলক) গিলাফ তৈরি হয়। একটি হাতে তৈরি, বানাতে সময় লাগে আট-নয় মাস। অন্যটি মেশিনে মাত্র এক মাসে তৈরি করা হয়। উম্মুল জুদ কারখানায় মদিনায় হুজরায়ে নববির গিলাফও তৈরি করা হয়।
নিউজ ডেস্ক: সৌদি আরবে পদদলনে নিহত হাজিদের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনা ও স্বজনদের কাছে হস্তান্তর, হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া ইত্যাদি কার্যক্রম আগামী ১২ নভেম্বরের মধ্যে সমাপ্ত হবে। আজ বুধবার সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. বোরহান উদ্দিন এ কথা জানিয়েছেন। ড. বোরহান বলেন, চিকিৎসাধীন হাজিদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ব্যবস্থা নেবে সরকার। এ জন্য প্রয়োজনীয় খরচও বহন করা হবে। সৌদি আরবের স্থানীয় সময় গত সোমবার দিবাগত রাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ জানান, মিনায় পদদলিত হয়ে ২৬ বাংলাদেশি হাজি নিহত হন। তাঁদের মধ্যে ১৩ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ৫২ বাংলাদেশি হাজি নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা এক হাজার ১০০-তে পৌঁছেছে। সৌদি আরব সরকার বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের কাছে নিহত হাজিদের ছবি দিয়েছে। এর আগে দেশটির পক্ষ থেকে নিহতের সংখ্যা জানানো হয়েছিল ৭৬৯ জন। আর আহতের সংখ্যা বলা হয়েছিল ৯৩৪ জন।