পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

চীনা বিশ্বায়নে ভারসাম্যের চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ

বেল্ট অ্যান্ড রোড (বিআরআই) ফোরামের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়া ২৯ জন রাষ্ট্রনেতার মধ্যে বাংলাদেশের কেউ ছিলেন না। বাংলাদেশ পাঠিয়েছিল মন্ত্রী–মর্যাদার প্রতিনিধিদল। অথচ ভারত ছাড়া দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আর সব দেশের অংশগ্রহণ ছিল শীর্ষ পর্যায়ের। এ সম্মেলনে বাংলাদেশ মাত্র দুটি চুক্তি সই করেছে। কিন্তু গত বছরের শেষাশেষি চীনের প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরের সময় স্বাক্ষরিত ২৭টি চুক্তিকে আমলে নিলে বোঝা যায়, বিআরআই বিষয়ে বাংলাদেশ এগিয়েই আছে। এবারে সম্পাদিত ওই দুটি চুক্তির অধীনে চীন বাংলাদেশে শিল্প ও বাণিজ্য যোগাযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি জ্বালানি-উৎপাদন উচ্চপর্যায়ে নেওয়া, তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, কয়লাখনির আধুনিকীকরণ এবং গাড়ির টায়ারের কারখানা প্রকল্পেও অর্থায়ন করবে। এসবই চীনের নয়া সিল্ক রোড কর্মসূচির খণ্ড খণ্ড অংশ।

বিআরআই ফোরামে বাংলাদেশের শীর্ষ নেতৃত্বের অনুপস্থিতিকে এ প্রকল্পে ভারতের আপত্তির প্রতিক্রিয়াজনিত সতর্কতা হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকেরা। বিপরীতে চীনের কৌশল ছিল ‘শতাব্দীর বৃহত্তম প্রকল্পের’ পক্ষে বৈশ্বিক সমর্থন প্রদর্শন করা। রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুতিন, তুর্কি নেতা রিসেপ এরদোয়ানসহ ছিলেন ২৯ জন রাষ্ট্রনেতা। এ ছাড়া ১০০ দেশের প্রতিনিধি এবং জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাসহ বিশ্বব্যাংক, এডিবি, আইআইবির মতো বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এতে যোগ দেয়। এসবই চীনের অর্থনৈতিক-কূটনীতির সক্ষমতার প্রমাণ। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী, মিয়ানমারের অং সাং সু চি, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ বুঝিয়ে দেয়, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রেশমপথে চীন মোটেই নিঃসঙ্গ পথিক নয়। ভারত বিআরআই ফোরামের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে।

ভারত মহাসাগরে চীনের অন্যতম প্রবেশপথের দেশ হিসেবে বিআরআই প্রকল্পে বাংলাদেশের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ যতটা, ততটাই ঝুঁকিপূর্ণ। বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য তাই জোর দিয়েছেন ভারসাম্যের নীতির ওপর। তাঁর মতে, ‘চীনের এই উদ্যোগে বাংলাদেশের জড়িত হওয়াকে বৃহত্তর চিন্তার আলোকে দেখতে হবে। ভূরাজনৈতিক কারণে এসব প্রক্রিয়া ঝুঁকিও সৃষ্টি করে।’ দেশের শীর্ষ নীতি-গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির এই বিশেষ ফেলো বলেন, ‘আমাদের দুই পাশে দুই বৃহৎ প্রতিবেশী। এই দুই শক্তির দ্বন্দ্বের সুযোগ আমরা নিতে চাইছি। এটা থেকে যাতে আমরা আহত না হয়ে বেরিয়ে আসতে পারি, তা দেখতে হবে। এর জন্য দক্ষতা, দূরদৃষ্টি এবং কূটনৈতিক প্রজ্ঞা দরকার।’

বাংলাদেশ ইতিমধ্যে বেশ কটি বহুমাত্রিক বাণিজ্যিক ও যোগাযোগপ্রক্রিয়ার অংশ। বিবিআইএম, বিবিআইএন, বিমসটেকের কথা বলা যায়। এগুলো মূলত পণ্য পরিবহন ও যোগাযোগের ক্ষেত্র। বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমারের মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর (বিসিআইএম) বিদ্যমান থাকলেও ভারত-চীনের দ্বন্দ্বে এগুলোর কোনোটাই বাস্তবায়িত হতে পারছে না। বিসিআইএমের অধীনে কক্সবাজার-কুংমিং সড়ক তৈরি হলে তা চীন-মিয়ানমার-বাংলাদেশের পণ্য চলাচল সহজ করে দেবে। কিন্তু ‘ভারত চায় না এটা বাস্তবায়িত হোক। তাই তারা কক্সবাজার-কুংমিং সড়কের প্রস্তাবকে সিলেটের দিকে নিতে চাইছে। অথচ আমাদের কুংমিং হয়ে মিয়ানমার হয়ে চীনে পণ্য নিয়ে যাওয়ার সুযোগ দরকার’, বলছিলেন চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত আশফাকুর রহমান।image-2″>সমুদ্রপথের সিল্ক রোডে বঙ্গোপসাগর ও চট্টগ্রাম বন্দর টানছে বিপুল সম্ভাবনাসমুদ্রপথের সিল্ক রোডে বঙ্গোপসাগর ও চট্টগ্রাম বন্দর টানছে বিপুল সম্ভাবনাভারতের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কের ঢালাই শক্তিশালী করার যে কৌশল চীন নিয়েছে, ভারত কি তা সহজভাবে নেবে? ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর মন্তব্য করেছেন, ‘কানেকটিভিটির উদ্যোগ ও কৌশলগত স্বার্থের পারস্পরিক যোগাযোগ আমাদের উপমহাদেশে খুবই দৃশ্যমান। এই বাস্তবতার প্রতি আমরা উদাসীন থাকতে পারি না…।’ ভারত ইতিমধ্যে আগের ‘লুক ইস্ট’ বা পূর্বমুখী কূটনীতি থেকে ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ অর্থাৎ পূর্বমুখী পদক্ষেপের নীতিতে পা দিয়েছে। দেশটি বাংলাদেশ, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, আসিয়ানভুক্ত দেশসমূহ এবং অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের সঙ্গে অর্থনৈতিক ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোয় কাজ করছে। এ দিক থেকে চীনের বিআরআই ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলওয়ার হোসেন । প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে পড়ে বাংলাদেশকে ভারসাম্যের কূটনীতি ধরে রাখার চাপ সামলাতে হচ্ছে। আমাদের উচিত হবে অন্য রাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সমস্যার ভেতর প্রবেশ না করা।’

কিন্তু চীনা সিল্ক রোড প্রকল্পের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার অর্থনৈতিক ও প্রাযুক্তিক সামর্থ্য ভারতের নেই। চীনের কাছাকাছি কোনো বিকল্প ভারতের দিক থেকে হাজিরও করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র-জাপান-অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠতা কোনো বিকল্প প্ল্যাটফর্মেরও জন্ম দেয়নি। ড. দেলওয়ার ইস্ট এশিয়া স্টাডি সেন্টারেরও পরিচালক। তাঁর দৃষ্টিতে, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাহিদা পূরণের সামর্থ্য একমাত্র চীনেরই রয়েছে। ইতিমধ্যে চীনের প্রেসিডেন্ট ঢাকা সফর করে বিপুল ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন। চীন বাস্তববাদী বলেই কূটনীতির মাধ্যমে সবাইকে উন্নয়নের অংশীদার করার কৌশল নিয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও আগের অবস্থান থেকে সরে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছেন। জাপানও চীনের উদ্যোগকে এড়াতে পারেনি।’

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য মনে করেন, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ একই সঙ্গে সুযোগ ও ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। এই ঝুঁকির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক দিক রয়েছে। যেহেতু বর্তমান সরকার রাজনৈতিকভাবে বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ, সেহেতু আরেকটি প্রথাগত বৃহৎ প্রতিবেশীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। আগে কোনো উদ্যোগে পাকিস্তান থাকলে ভারত অস্বস্তিতে থাকত, এখন চীন থাকলেও প্রতিক্রিয়া করে।’ দেবপ্রিয়ের মতে, ‘কাগজপত্রে ওয়ান বেল্ড ওয়ান রোড বা OBOR যত বড় হয়ে দেখা দিক, বাধাবিপত্তি আগামী দিনে বড় হবে। দেখতে হবে, এ থেকে কে কতটা উপকৃত হচ্ছে। অপরের লাভের জন্য কেউ তো ছাড় দেবে না।’
.

রাজনৈতিক ঝুঁকির পাশাপাশি অর্থনৈতিক ঝুঁকির দিকে মনোযোগ টেনে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগ-ক্ষুধার্ত দেশ, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ সংস্থান বড় বিষয়। অন্যদিকে, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশের দিকে যাওয়ার কারণে ক্রমান্বয়ে ঋণের সুদের রেয়াত পাওয়া আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। ভারত ও চীনের থেকে নেওয়া ঋণের বেলায়ও যথেষ্ট পরিমাণ স্বচ্ছতা নেই। এর ফলে দীর্ঘ মেয়াদে যে দায়দেনা সৃষ্টি হবে, তা বহনের সামর্থ্য আমাদের আছে কি না, তা ভাবা দরকার। বিআরআইয়ে যে বিপুল অবকাঠামো তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে, তার অর্থনৈতিক ক্ষমতা আমাদের আছে কি না, তা ভাবা দরকার। যে ঋণ নিচ্ছি, তার দায়বহন ক্ষমতা (Debt-Sustenibility) আমাদের আছে কিনা, তাও উদ্বেগের বিষয়।’

অব্যাহত লোডশেডিং, শিল্পে গ্যাস-বিদ্যুতের ঘাটতি এবং প্রতিবছর যোগ হওয়া হাজারো শিক্ষিত বেকারের জন্য কর্মসংস্থান বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। ড. দেলওয়ার হোসেন মনে করেন, ‘তথা বিআরআইয়ে বাংলাদেশ যে সময়ে আগ্রহী হয়েছে, সে সময়টায় আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নও জোরদার হচ্ছে। এ উন্নয়নকে স্থায়িত্ব দিতে এমন আঞ্চলিক যোগাযোগজালে আমাদের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে, যা গতিশীল ও বিশ্বায়িত। বাংলাদেশের যোগাযোগ ও জ্বালানি অবকাঠামো বিআরআইয়ের দ্বারা উপকৃত হবে। অর্থনীতির বর্তমান গতিবেগ ধরে রাখতে হলে অবকাঠামো দ্রুত উন্নত করতে হবে। অপেক্ষা করে থাকলে উন্নয়নের মহামুহূর্ত আমাদের হাতছাড়া হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।’

চীনা প্রেসিডেন্টের সফরকালে বাংলাদেশ ২৭টি চুক্তি সই করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে সময় বলেছিলেন, ‘আমাদের দুটি দেশ নতুন উচ্চতায় সহযোগিতা করছে।’ ইতিমধ্যে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে একাধিক লেনের সুড়ঙ্গসড়ক, দাসেরকান্দি বর্জ্যনিষ্কাশন প্ল্যান্ট, পদ্মা সেতু, জাতীয় ডেটা সেন্টার নির্মাণকাজ চলছে। বিনৌবাহিনীর জন্য কেনা হয়েছে দুটি সাবমেরিন ও ছয়টি যুদ্ধজাহাজ। ২০১৭ সালকে ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রীবর্ষ।

এ ধরনের সহযোগিতা কত দূর যেতে পারে এবং ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বের’ রাষ্ট্রীয় নীতি কীভাবে রক্ষা করা হবে? দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য যেমন মনে করেন, ‘বাংলাদেশের প্রতি বৃহৎ রাষ্ট্রের আগ্রহ যেমন মাহেন্দ্রক্ষণ, একই সময় তা নতুন ঝুঁকিও বয়ে আনছে। এ কারণেই আন্তর্জাতিক কোনো বলয়ে কীভাবে আমরা অংশ নেব, তা নিয়ে দেশের ভেতর রাজনৈতিক ঐকমত্য দরকার, গবেষণা দরকার। যে দেশে অভ্যন্তরীণ ঐক্য যত ভালো, বাইরের সঙ্গে সম্পর্ক রচনায় তারা তত সফল। অথচ কী দেখলাম, ভারত বা চীনের কোনো বিষয়েই কি যথেষ্ট আলোচনা হলো? মন্ত্রিপরিষদ, সংসদ কিংবা সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে এসব নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে?’

তবে আশফাকুর রহমান মনে করেন, ‘বাংলাদেশে যে সরকারই আসুক, তারা এমন উদ্যোগে বাধা দেবে না। গভীর সমুদ্রবন্দরও সব সরকারই চাইবে, কারণ তা আমাদের খুবই প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী খুবই বিজ্ঞ। চীন বন্দর নির্মাণ করতে চাইলে ভারত আপত্তি করল। প্রধানমন্ত্রী বললেন, তোমারা দুজন মিলেই করো। আমি মনে করি, দরকার হলে, ভারত-চীন-নেদারল্যান্ডস মিলে কনসোর্টিয়াম করে করুন।’

সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সামরিক, অর্থনৈতিক চুক্তি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বাংলাদেশ বৈশ্বিক ভূমিকা পালনে উৎসাহী হয়ে উঠছে। কিন্তু তার প্রস্তুতি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকেরা। দেবপ্রিয়র ভাষায়, ‘দেখতে হবে এসব যেন আমাদের মৌল স্বার্থের পরিপূরক হয়। বর্তমানে সরকার একেকটা ইস্যুতে একেকভাবে পক্ষ নিচ্ছে। যেহেতু বর্তমান সরকার রাজনৈতিকভাবে ভৌগোলিক বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ, সেহেতু আরেকটি প্রথাগত বৃহৎ প্রতিবেশীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। যেমন চীনের কাছ থেকে সাবমেরিন কেনার কারণে ভারতের প্রতিক্রিয়া সামলাতে ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করলাম। সব সময় এভাবে রাজনৈতিক ভারসাম্য সফলভাবে রক্ষা করা যায় না। কখনো কখনো সংকটের উদয় হতে পারে, যেমনটা প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের আগে হয়েছিল। বঙ্গোপসাগর ঘিরে পরাশক্তিগুলোর প্রতিযোগিতা মানসিক চাপ তৈরি করে রেখেছ, যা আমলে নেওয়া দরকার। এই অবস্থায় ঝুঁকি সামলানোই গুরুত্বপূর্ণ।’

তবে এই ঝুঁকি কমিয়ে আনার পথ হিসেবে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্কের যৌথতার কথা বলেন দেবপ্রিয়। বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথভাবে ভারত-চীনের টানাপোড়েনকে প্রশমিত করতে পারে। তাঁর ভাষায়, ‘ভারসাম্য রক্ষা করেই বহুপক্ষীয় সেতুবন্ধের দেশ হতে পারে বাংলাদেশ।’

অবশ্য বিআরআইকে ভারসাম্য রক্ষারই কৌশল ভাবছেন আশফাকুর রহমান, ‘বিআরআই তো রাজনৈতিক কিছু না। এতে ৬৮টি দেশ জড়িত। এটা সফল হলে আমাদের যোগাযোগ অবকাঠামো ভালো হবে। যাতে সবাই একসঙ্গে এগোতে পারি। চীনের টাকা আছে, আমাদের দরকার উন্নয়ন-অবকাঠামো ও বাণিজ্যের প্রসার। চীনের সঙ্গে তো ভারতেরও ১০০ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা রয়েছে।’

বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক সুপ্রাচীন। ২ হাজার ৪০০ বছর আগে চীনারা বাংলার মাটিতে এসেছে। বৌদ্ধধর্ম বাংলা থেকেই চীনে প্রসারিত হয়েছে। চীনের মিং সাম্রাজ্যের সময় চীনের জাহাজ বাংলার উপকূলে এসেছে। পনেরো শতকের শেষে সুলতানি আমলে বাংলার বাণিজ্যিক জাহাজও চীনে নোঙর করেছে। ড. দেলওয়ার হোসেন চীনের পররাষ্ট্রনীতির বৈশিষ্ট্যকে বহুপাক্ষিকতা বলে বর্ণনা করে বলেন, ‘চীন দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক জটিলতার মধ্যে ঢুকতে চায় না বলেই দেখা গেছে। বাংলাদেশ-ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে তারা বাণিজ্যের জন্য বাধা মনে করে না। উন্নয়নমুখীনতাকে তারা যে গুরুত্ব দিচ্ছে, তা আমাদের অর্থনৈতিক আকাঙ্ক্ষার জন্যও জরুরি। এই বৈশ্বিক উদ্যোগকে খাটো করে দেখলে আমরা দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হব। এক ঝুড়িতে সব ডিম রাখা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। ভারত যা–ই করুক, বিআরআই থেকে চীনকে বিচ্যুত করা যাবে না। ভারতের উদ্বেগ বাংলাদেশকে কূটনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে।’

পাক-চীন সম্পর্কের যে ধরন, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক কিন্তু তেমন নয়। তাই পাক-চীন সম্পর্ককে ভারত যেভাবে দেখে, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ককে সেভাবে দেখা যাবে না।

আগামীকাল: নীল অর্থনীতিতে বড়বাজারের সামনের সারিতে বাংলাদেশ

Posted in জাতীয় | Comments Off on চীনা বিশ্বায়নে ভারসাম্যের চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ

গোপালগঞ্জে হত্যার দায়ে ৫ জনের ফাঁসির রায়

গোপালগঞ্জে দেড় যুগ আগে এক গ্রাম্য মহাজনকে হত্যার দায়ে পাঁচজনের ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত।

গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. নাজির আহমেদ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন – জাকারিয়া শাপু, আলীউজ্জামান খোকন মাস্টার, শাহাদত হোসেন, হেমায়েত উদ্দিন ও শাজাহান। তাদের মধ্যে শাপু ও শাজাহান পলাতক।

পাঁচজনকে সর্বোচ্চ সাজার আদেশ দেওয়ার পাশাপাশি ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং তিনজনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।

এ আদালতের এপিপি শহীদুজ্জামান পিকু জানান, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সাজার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আর ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত তিনজনকে দশ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে, তা না হলে আরও ছয় মাস জেল খাটতে হবে তাদের।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ১৭ জনের মধ্যে তিনজন পলাতক। ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত তিনজনের মধ্যে দুইজন পলাতক।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, কাশিয়ানী উপজেলার আড়ুয়াকান্দি গ্রামের মহাজন সিরাজুল হক ছিরু মোল্লাকে ১৯৯৯ সালের ১০ অক্টোবর কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

ওইদিন দুপুরে জুমার নামাজ পড়ে ছিরু মোল্লা নৌকায় বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা নৌকায় হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।

ছিরুর স্ত্রী আমেনা বেগম পরদিন ৩৭ জনের বিরুদ্ধে কাশিয়ানী থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

Posted in আইন-আদালত | Comments Off on গোপালগঞ্জে হত্যার দায়ে ৫ জনের ফাঁসির রায়

সারাদেশে জামায়াতের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল

anigif

ঢাকা: জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের শীর্ষ তিন নেতাকে জেল-জরিমানার প্রতিবাদে সোমবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে দলটি। রোববার জামায়াতের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে বেলা দেড়টা পর্যন্ত এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক দলের পক্ষ থেকে কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি। বিকেলের মধ্যেই বিবৃতির মাধ্যমে গণমাধ্যমগুলোকে এ বিষয়ে জানানো হবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।

এরআগে সোমবার সকালে আদালত অবমাননার অভিযোগে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর নায়েবে আমির হামিদুর রহমান আযাদ এমপিকে তিন মাসের কারাদ- ও তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের অপর সদস্য ও ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি সেলিম উদ্দিন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করায় এক হাজার টাকা জরিমানা ও আদালত চলাকালে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ৪ ফেব্র“য়ারি মতিঝিলে জামায়াতের সমাবেশে ঢাকা মহানগর নায়েবে আমির হামিদুর রহমান আযাদ, ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মো. সেলিম উদ্দিন বলেছিলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাজনৈতিক ট্রাইব্যুনাল। এখানে প্রহসনের বিচার চলছে।’ পর দিন রাজধানীর একটি সমাবেশে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল অবৈধভাবে জামায়াতের ওপরে নির্যাতন চালাচ্ছে।’
এসব বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ ফেব্র“য়ারি জামায়াতের এ তিন নেতার বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে শোকজ নোটিশ জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

Posted in জাতীয় | Leave a comment

শাহজালালে দেড় কেজি স্বর্ণসহ চোরাচালানি গ্রেফতার

gold4ঢাকা: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিনব কায়দায় জুতার ভেতরে স্বর্ণের চোরাচালান করার সময় এক কেজি ৩০০ গ্রাম স্বর্ণ ও ৮৮ হাজার ৪১২ মালয়েশিয়ান রিংগিতসহ গোলাম নব্বানী (৩৯) নামে এক আন্তর্জাতিক চোরাচালানিকে গ্রেফতার করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ (এবিপিএন)।

শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে দেশে আসার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে।
উদ্ধারকৃত স্বর্ণের মূল্যে প্রায় ২০ লাথ টাকা। এ সময় গ্রেফতারকৃতের অপর সহযোগী শহিদুল পালিয়ে যায়। তবে তার ফেলে যাওয়া ৮৮ হাজার ৪১২ মালেয়শিয় রিংগিত ও পার্সপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তির গ্রামের বাড়ি নরসিংদীতে।

Posted in ইসলাম | Leave a comment

১১ মামলায় জেসমিনের জামিন নামঞ্জুর

Jesminঢাকা: হলমার্কের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রতিষ্ঠানটির ঋণ জালিয়াতি সংক্রান্ত ১১ মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত। রবিবার সকালে মহানগর দায়রা জজ জহুরুল হকের আদালতে জামিন শুনানি শেষে বিচারক ১১ মামলায়ই তার জামিন নামঞ্জুর করেন।

ইতিপূর্বে একই আদালত থেকে এ ১১ মামলায় জামিনে মুক্তি পান জেসমিন। কিন্তু দুদকের আবেদনে হাইকোর্ট তার জামিন বাতিল করলে তিনি সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পন করেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

Posted in ইসলাম | Leave a comment

তাজরীনের ঘটনায় নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ

high-couঢাকা: সাভারের আশুলিয়ার তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকা-ের ঘটনায় ‘নিখোঁজ ৩৭’ জনের পরিবার সদস্যদের ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে ১৯ জুনের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেন আদালত।
রোববার তাজরীনের মালিক দেলোয়ার হোসেন আদালতে হাজির হওয়ার পর বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এছাড়া তাজরীন অগ্নিকা-ের ব্যাপারে গঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন ওই দিন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি তাজরীনের মালিক দেলোয়ারকেও ওই দিন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
নিখোঁজ ৩৭ জনের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার জোর্তিময় বড়ুয়া। তবে আদালতে তাজরীনের মালিক দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, ১১২ জনের মধ্যে দুই দফায় ৯৮ জন শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে। বাকিদের ডিএনএ সনাক্ত হয়নি। তাই ক্ষতিপূরণ দেয়া সম্ভব হয়নি।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন, ব্যারিস্টার জোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম। দেলোয়ার হোসেনের পক্ষে ছিলেন, ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল।
এর আগে ২৮ এপ্রিল এ রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ মে তাজরীনের মালিক দেলোয়ারের দেশত্যাগের বিরুদ্ধে নির্দেশনা জারি করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ৩০ মে তাকে আদালতে হাজির করতেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদালত নির্দেশ দেয়। ৩০ মে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল না করায় ৯ জুন রোববার পর্যন্ত সময় বেধে দেন হাইকোর্ট। কিন্তু রোববার এ প্রতিবেদন দিতে সময় চান রাষ্ট্রপক্ষ। ওই দিন আদালতের আদেশে দেলোয়ার হোসেন হাইকোর্টে হাজির ছিলেন। রোববার ৯ জুনও তাকে ফের হাজিরের নির্দেশ দেন আদালত।

Posted in জাতীয় | Leave a comment

অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার ফল প্রকাশ

national-university[2]ঢাকা: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার ২২টি বিষয়ের ফল রোববার সকালে প্রকাশিত হয়েছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার ২২টি বিষয়ের ফল রোববার সকালে প্রকাশিত হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে শেষ হওয়া ২০১০ সালের পরীক্ষার ২৮টি বিষয়ের মধ্যে ২২টি বিষয়ের ফল প্রকাশ হল। নিজ নিজ কলেজ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট   www.nubd.info |www.nuadmission.info থেকে ফল জানা যাবে।
এ ২২টি বিষয় হল বাংলা, আরবি, ইসলামের ইতিহাস, দর্শন, ইসলামী শিক্ষা, সমাজবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, অর্থনীতি, ব্যবস্থাপনা, হিসাববিজ্ঞান, মার্কেটিং, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং, পদার্থবিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা, ভূগোল, মৃত্তিকাবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, গণিত, লাইব্রেরি সায়েন্স, নৃ-বিজ্ঞান ও গার্হস্থ্য অর্থনীতি।
বাকি ছয়টি বিষয়ের ফল এ সপ্তাহেই প্রকাশ করা হবে। ১৮৪টি কলেজের এক লাখ তিন হাজার ৬১৮ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেন।

Posted in শিক্ষা ও সংস্কৃতি | Leave a comment

নারীদের জন্য ভারত পশ্চাদগামী দেশ: মল্লিকা

mollika-bg20130526025223[1]ভারত হচ্ছে ‘মেয়েদের জন্য পশ্চাদগামী’ এবং বাস করার জন্য ‘বিষন্ন’ একটা দেশ। কথাটা কোন অভারতীয়’র নয়। স্বয়ং বলিউড অভিনেত্রী মল্লিকা শেরওয়াত এমন মন্তব্য করেছেন নিজের দেশ সম্পর্কে।

৬৬ তম কান উৎসবের একটি মত বিনিময় পর্বে নিজ দেশ ভারত সম্পর্কে এ সমালোচনামূলক কথাগুলো বলেন তিনি। পরে মল্লিকা তার টুইটার পেজে সাক্ষাৎকারটির লিংক দিয়ে দেন।

ভ্যারাইটি স্টুডিওর এই অনুষ্ঠানে মল্লিকাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কেন আপনি বছরের অনেকটা সময় দেশের বাইরে কাটান?

জবাবে ভারতকে নারীদের জন্য পশ্চাদগামী এবং বিষন্ন উল্লেখ করে মল্লিকা বলেন, “আমি সচেতনভাবে আমার সময়কে ভারত এবং লস অ্যাঞ্জেলসে ভাগ করে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

যখন আমি যুক্তরাষ্ট্রে থাকাবস্থায় সামাজিক স্বাধীনতা ভোগ করার পর ভারতে ফিরে আসি, যেটি (ভারত) নারীদের জন্য পশ্চাদগামী এবং বিষন্নতার; একজন স্বাধীনচেতা নারী হিসেবে তখন আমি সত্যিই বিষন্নতা বোধ করি।”

Posted in বিনোদন | Leave a comment

বিসমিল্লাহ গ্র“পের ঋণ জালিয়াতি: সন্দেহভাজন কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ

bismillah and dudokঢাকা: বিসমিল্লাহ গ্র“পের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় তিনটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) সন্দেহভাজন মোট ৭ ব্যাংক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের ডাক পাওয়া তিন এমডি হলেন- ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রাইম ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের এমডি ও প্রাইম ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি এহসানুল হক এবং ব্যাংক এশিয়ার এমডি ও প্রাইম ব্যাংকের সাবেক এসইভিপি মো. মাহমুদ হোসেন।
অন্য চার কর্মকর্তা হলেন- প্রিমিয়ার ব্যাংকের এএমডি ও প্রাইম ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি রিয়াজুল করিম, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি ও প্রাইম ব্যাংকের সাবেক এসএভিপি গোলাম রব্বানী, প্রাইম ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি নাসির উদ্দিন আহমেদ ও মাহবুবুল আলম।
রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বিসমিল্লাহ গ্র“পের দুর্নীতি অনুসন্ধান দলের প্রধান উপ-পরিচালক সৈয়দ ইকবাল। দুদক সূত্র জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ এ জিজ্ঞাসাবাদ চলতে পারে বিকাল পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, অসাধু কর্মকর্তাদের সহায়তায় দেশের পাঁচটি ব্যাংক থেকে নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ গ্র“প প্রায় ১১শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুদক। ঋণ জালিয়াতির ঘটনা অনুসন্ধানে ২৬ ফেব্র“য়ারি পাঁচ সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করে দুদক।
দুদক সূত্র জানায়, বিসমিল্লাহ গ্র“পের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় মোট পাঁচটি ব্যাংক জড়িত রয়েছে। ব্যাংকগুলো হলো- জনতা ব্যাংক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক এবং প্রাইম ব্যাংক।
ইতোমধ্যেই দুদকের অনুসন্ধান টিম ব্যাকগুলোর নথি পর্যালোচনাপূর্বক প্রায় শতাধিক ব্যাংক কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ সম্পন্ন করেছে।
মূল জালিয়াতি প্রক্রিয়ায় গ্র“পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরীর সঙ্গে প্রতিটি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কিছু না কিছু সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানান সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে এ অনুসন্ধান টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- সহকারী উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম, গুলশান আনোয়ার প্রধান, উপ-সহকারী পরিচালক সরদার মঞ্জুর আহমেদ এবং মো. আল আমিন।

Posted in স্বাস্থ্য | Leave a comment

‘২০১৬ সালের মধ্যে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি থাকবে না’

Muhit-0120120822133247ঢাকা: ২০১৬ সালের মধ্যে দেশের বিদ্যুতের চাহিদার সঙ্গে উৎপাদনের কোনো পার্থক্য থাকবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। রবিবার সকালে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সংগঠনের সভাপতি হারুন-আর রশীদ হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে উপজেলা পরিষদ স্থাপনায় সৌরবিদ্যুতায়ন করার প্রকল্পে বরাদ্দদানের বিষয়ে আগামী বাজেটে প্রস্তাবের সুপারিশের উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে হাতে নেয়া প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে ২০১৬ সালের মধ্যে প্রয়োজনের সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কোনো পার্থক্য থাকবে না।

Posted in নির্বাচন কমিশন | Leave a comment

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud