May 15, 2024
ঢাকা: বিসমিল্লাহ গ্র“পের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় তিনটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) সন্দেহভাজন মোট ৭ ব্যাংক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের ডাক পাওয়া তিন এমডি হলেন- ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রাইম ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের এমডি ও প্রাইম ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি এহসানুল হক এবং ব্যাংক এশিয়ার এমডি ও প্রাইম ব্যাংকের সাবেক এসইভিপি মো. মাহমুদ হোসেন।
অন্য চার কর্মকর্তা হলেন- প্রিমিয়ার ব্যাংকের এএমডি ও প্রাইম ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি রিয়াজুল করিম, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি ও প্রাইম ব্যাংকের সাবেক এসএভিপি গোলাম রব্বানী, প্রাইম ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি নাসির উদ্দিন আহমেদ ও মাহবুবুল আলম।
রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বিসমিল্লাহ গ্র“পের দুর্নীতি অনুসন্ধান দলের প্রধান উপ-পরিচালক সৈয়দ ইকবাল। দুদক সূত্র জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ এ জিজ্ঞাসাবাদ চলতে পারে বিকাল পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, অসাধু কর্মকর্তাদের সহায়তায় দেশের পাঁচটি ব্যাংক থেকে নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ গ্র“প প্রায় ১১শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুদক। ঋণ জালিয়াতির ঘটনা অনুসন্ধানে ২৬ ফেব্র“য়ারি পাঁচ সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করে দুদক।
দুদক সূত্র জানায়, বিসমিল্লাহ গ্র“পের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় মোট পাঁচটি ব্যাংক জড়িত রয়েছে। ব্যাংকগুলো হলো- জনতা ব্যাংক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক এবং প্রাইম ব্যাংক।
ইতোমধ্যেই দুদকের অনুসন্ধান টিম ব্যাকগুলোর নথি পর্যালোচনাপূর্বক প্রায় শতাধিক ব্যাংক কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ সম্পন্ন করেছে।
মূল জালিয়াতি প্রক্রিয়ায় গ্র“পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরীর সঙ্গে প্রতিটি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কিছু না কিছু সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানান সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে এ অনুসন্ধান টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- সহকারী উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম, গুলশান আনোয়ার প্রধান, উপ-সহকারী পরিচালক সরদার মঞ্জুর আহমেদ এবং মো. আল আমিন।