May 19, 2024
লাইফ স্টাইল ডেস্ক: পায়ে পায়ে ৪০ বছরে এসে দাঁড়িয়েছে বয়স। কখন এতটা পেরিয়ে গেল তা বুঝে ওঠার আগেই শরীর জানান দিতে শুরু করেছে নানা অস্বস্তির কথা। বেশিরভাগ সময়ে সেই সব সিগনাল আপনি এড়িয়ে যান, কিন্তু সময় থাকতে যদি এখনই সচেতন হওয়া যায়, তবে ভবিষ্যতে ব্রাউনি পয়েন্ট আপনিই পাবেন। ধীরে ধীরে যে আপনার পেট স্ফীত হচ্ছে, অথবা ঘাড়ে-কোমরে ব্যাথার প্রকোপ বাড়ছে তার মোকাবিলায় এবার কিছু করতে হবে। তবে তার জন্য আপনাকে প্রতিদিন জিমে ছুটতেই হবে- এমন কোন কথা নেই। কয়েকটি সহজ উপায় মেনে চললেই ফিট থাকতে পারবেন আপনিও।
১. সকালে ওঠার অভ্যাস যদি আপনার না থাকে, তবে অকারণে ভোরবেলা অ্যালার্ম দিতে যাবেন না। বরং প্রতিদিন যে সময়ে ওঠেন তার থেকে দশ পনেরো মিনিট আগে উঠে ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ, স্ট্রেচিং এবং যোগাসন অভ্যাস করুন। প্রতিদিন আধা ঘণ্টা করলেই দেখবেন শরীর ঝরঝরে লাগছে।
২. যদি অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে চান এবং মেটাবলিক রেট বাড়াতে চান, তবে লো বা মিডিয়াম ইনটেনসিটি কার্ডিও এক্সারসাইজ করতে পারেন।
৩. সারা দিনে ৪০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা হাঁটুন। শুরুতে ধীরে হাঁটলেও আস্তে আস্তে বাড়াতে থাকুন হাঁটার গতি। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে পারলে খুবই ভালো হয়, তবে কাজের চাপে যদি সেই সময়টা বের করতে না পারেন, তবে সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফেরার সময় খানিকটা পথ হেঁটেই ফিরুন। অফিসে চা-কফি বা জলের জন্য অন্য কাউকে না বলে, নিজেই উঠে গিয়ে নিয়ে আসুন।
৪. একটা কথা অবশ্যই মাথায় রাখবেন। এক্সারসাইজ শুরু করার আগে ওয়ার্ম আপ এক্সারসাইজ করে নেবেন।
৫. হাঁটতে অথবা জগিং করতে যাওয়ার সময় সঙ্গে এক বোতল জল নিন। মাঝে মধ্যে অল্প জল খাবেন। এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকে।
৬. খালি পেটে এক্সারসাইজ করতে যাবেন না। এক্সারসাইজ করার ১৫ মিনিট আগে হালকা কিছু খেয়ে নিন। এক মুঠো আমন্ড বা একটা পেয়ারা অথবা আপেল খেতে পারেন।
৭. ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ অথবা ডিনারের ঠিক পরই ওয়ার্কআউট করতে যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে।
৮. এই কথাটি অনেকবার হয়তো শুনেছেন। তার একটাই কারণ ফিট এবং মেদহীন থাকার এ এক মোক্ষম উপায়। লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করুন। একটি ছয়তলা বাড়ি যদি আপনি দিনে পাঁচবার ওঠানামা করতে পারেন, তবে তা ৩০ মিনিটের জগিংয়ের সমান।
৯। একটা কথা না বললেই নয়। এক্সারসাইজের সময়ে রুটিন মেনে চলতেই হবে। নইলে কোনো লাভ হবে না। তিন দিন এক্সারসাইজ করার পর মনে হল অনেক হয়েছে দুই দিন একটু জিরিয়ে নিই, তাহলে হবে না। ইচ্ছে না করলেও, নিয়মিত এক্সারসাইজ করতে হবে। শরীর খারাপ হলে আলাদা কথা। শুরুতে যদি ১৫ মিনিট দিয়ে শুরু করেন, তবে টার্গেট রাখুন মাসের শেষে গিয়ে আপনি টানা ৩০ মিনিট এক্সারসাইজ করবেন। এভাবে করলে দেখবেন, কাজে উত্সাহ পাচ্ছেন।
প্রেম নিয়ে কত গান, কত কবিতাই না লিখেছে মানুষ। প্রেমের জন্য জীবন দিয়েছে, সমুদ্র পাড়ি দিয়েছে, তুলে এনেছে ১০৮টি নীল পদ্ম। প্রতিটি প্রেমিক মনই ভাবে পৃথিবীতে তার প্রেমই সবচেয়ে বড়। প্রতিটি মানুষই মনে করে, সেই বোধহয় প্রেমের জন্য করতে পারে সব কিছু। তবে শুধু মানুষই না, পাখিরাও প্রেমে পড়ে। আর তারাও নিশ্চয় প্রেমের জন্য সব কিছু করতে পারে। তবে কিছু করতে পারুক আর না পারুক সঙ্গী পছন্দ না হলে যে তাদেরও ভালো লাগে না সে কথাই জানাচ্ছে নতুন একটি গবেষণা।
আশ্চর্য শোনালেও গবেষকরা এমনটাই বলছেন। নারী প্রজাতির পাখিরা পুরুষ পাখিদের উদ্দীপনা দেখে সঙ্গী নির্বাচন করে। পুরুষ পাখির উদ্দীপনা দেখে নারী পাখি তার সাথে সক্রিয় সঙ্গমের সম্ভাবনা বিচার করে। এর পরই তাকে সঙ্গী হিসেবে বেছে নেয় সে। আর যদি সঙ্গী পছন্দ না হয় বা জোর করে কারো সাথে জোড়া বেঁধে দেওয়া হয় তাহলে রীতিমতো আয়ু কমে যায় তাদের।
জার্মানির ইনস্টিটিউট অব অরনিথোলজির গবেষক ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক পাখির এই আচরণের সাথে মানুষের সঙ্গী নির্বাচনের আচরণের আশ্চর্য মিল খুঁজে পেয়েছেন। এনডিটিভি তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গবেষণার জন্য সামাজিকভাবে একগামী পাখি জেবরা ফিঞ্চকে বেছে নেওয়া হয়। এরপর নারী ও পুরুষ পাখিদের একটি কক্ষে রাখা হয়।
১৬০টি পাখির মধ্যে ২০টি নারী পাখিকে ২০টি পুরুষ পাখির মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর স্বাধীনভাবে তাদের সঙ্গী নির্বাচন করতে সুযোগ দেওয়া হয়। এই পাখিদের বংশবৃদ্ধির জন্য আলাদাভাবে বাস করার সুযোগ দিয়ে অন্যস্থানে পাঠিয়ে দেন গবেষকরা।
এরপর অন্য পাখিদের জন্য জোড়া ঠিক করে দেন গবেষকরা। এটাকে অনেকটা এ রকম বলতে পারেন যে, মা-বাবা জোর করে সন্তানের নিজেদের পছন্দে বিয়ে দিয়ে দিলেন। বা পিতৃতন্ত্রের ধারা হিসেবে পরিবার থেকেই সঙ্গী নির্বাচন করে দেওয়া হলো।
এরপর এই জোড়াদেরও বংশবৃদ্ধির জন্য আলাদা বাস করতে বা সংসার করতে পাঠানো হয়।
এরপর এই সুখী বা কিছু অসুখী দম্পতি যাই বলি না কেন তাদের আচরণ পর্যালোচনা করতে শুরু করেন গবেষকরা। সেই সাথে পাখিদের মৃত্যুহার, সন্তানের জন্মহার ও বেঁচে থাকার লড়াইও পর্যবেক্ষণ করা হয়।
গবেষণায় দেখা যায়, যারা নিজেরা সঙ্গী নির্বাচন করেছিল তাদের ডিম উৎপাদন ও বাচ্চা জন্মের হার অন্যদের চেয়ে ৩৭ শতাংশ বেশি। যাদের জোর করে জোড়া বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সেই পাখিদের ডিম ফুটে বাচ্চা হওয়ার হার স্বেচ্ছায় সঙ্গী নির্বাচন করা পাখিদের চেয়ে তিন গুণ কম। জোর করে জোড়া বেঁধে দেওয়া পাখিদের ডিম নষ্ট হয়ে যায় বা হারিয়ে যায়। এ ছাড়া জন্মের পর এদের সন্তানদের মৃত্যুর হারও বেশি।
গবেষকরা জানান, জন্মের প্রথম ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই এই পাখির বাচ্চারা মারা যায়। অর্থাৎ জোর করে বেঁধে দেওয়া জোড়াদের মধ্যে সন্তান লালন পালনের ক্ষেত্রেও অনীহা দেখা যায়। এমনকি এই জোড়ার পুরুষ পাখিরাও ছানার বা বাসার দেখাশোনা করার প্রয়োজনীয় দায়িত্ব পালন করে না।
এই দুই ধরনের দম্পতির জীবনাচারণে লক্ষ্যণীয় কিছু পার্থক্য দেখা যায়। বিশেষ করে নারী পাখিরা কোনোভাবেই জোর করে নির্বাচন করে দেওয়া সঙ্গীকে সহজে মেনে নিতে পারে না বা তার প্রতি প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিতে পারে না।
ফলে এর প্রভাব পড়ে তাদের প্রতিদিনকার জীবনে। যৌন জীবন থেকে শুরু করে সন্তান লালন পালন সবকিছুতেই অনীহা দেখা দেয় তাদের। অন্যদিকে যারা নিজের পছন্দের সঙ্গী বেছে নেয় তাদের যৌনজীবন হয় আনন্দের। ডিম উৎপাদন করে বেশি পরিমাণে আর ডিম ফুটে যে বাচ্চারা বের হয় তারাও তুলনামূলক সুস্থ থাকে। এ ছাড়া এই জোড়ার পুরুষ ও নারী উভয় পাখিই মিলেমিশে সন্তান ও পাখির বাসার প্রতি দায়িত্ব পালন করেছে।
আর এই স্পষ্ট পার্থক্য থেকেই বোঝা যায়, পাখিদের জীবনেও প্রেমের কী দারুণ প্রভাব।
রান্না বান্না: আজকের রেসিপির নাম চিংড়ির মালাইকারি। জেনে নিন কী কী উপকরণ লাগবে এই রেসিপিতে এবং কীভাবে তৈরি করবেন চিংড়ির মালাইকারি।
উপকরণ
চিংড়ি মাছ এক কেজি, তেল ১৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ চারটি, দারুচিনি দুই টুকরা, এলাচ ছয়টি, লবঙ্গ চারটি, জিরা গুঁড়া দুই টেবিল চামচ, আদা বাটা দুই টেবিল চামচ, জিরা বাটা দুই টেবিল চামচ, মরিচের গুঁড়া এক টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া এক টেবিল চামচ, চিনি এক টেবিল চামচ, গরম মসলা এক টেবিল চামচ, নারিকেলের দুধ দুই কাপ, ঘি দুই টেবিল চামচ এবং লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে চিংড়ি মাছ, হলুদ গুঁড়া, লবণ, পেঁয়াজ, আদা ও জিরা গুঁড়া একসঙ্গে মেখে মেরিনেটের জন্য রেখে দিন। একটি মিক্সারে পেঁয়াজ ও আদা ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। একটি প্যানে ঘি গরম করে চিংড়িগুলো লাল করে ভেজে আলাদা তুলে রাখুন। এবার তেলের মধ্যে দারুচিনি, এলাচ ও লবঙ্গ দিয়ে ভাজতে থাকুন। আদা-পেঁয়াজের মিশ্রণটি এর মধ্যে দিয়ে চার থেকে পাঁচ মিনিট কষিয়ে নিন।
এরপর এতে একে একে হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, লবণ, গরম মসলা দিয়ে নাড়তে থাকুন। নারিকেলের দুধ ও পানি দিয়ে ফুটাতে থাকুন। এর মধ্যে কাঁচা মরিচ ও ভাজা চিংড়ি দিয়ে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট রান্না করুন। ঘন হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন চিংড়ির মালাইকারি।
ডিম খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার তাতে সন্দেহ নেই। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, ভিটামিন এ ডি, বি৬ ইত্যাদি যা দেহের সুরক্ষায় অনেক বেশি কার্যকরী। তবে ডিম শুধুমাত্র শারীরিক সুস্থতাতেই নয়, সৌন্দর্য চর্চায় আরও অনেক বেশি কার্যকরী। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়েছে কিংবা চুল পড়ে যাচ্ছে? সবকিছুর সমাধান করে ফেলতে পারবেন ডিমের সাহায্যে। বিশ্বাস হচ্ছে না? আজকে চলুন জেনে নেয়া যাক এমনই অসাধারণ অজানা কিছু ব্যবহার যা সত্যিই অবাক করবে আপনাকে।
১) ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে
ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে অনেকেই অনেক অ্যান্টিএইজিং ক্রিম ও নানা কেমিক্যাল সমৃদ্ধ মাস্ক ব্যবহার করে থাকেন। এর চাইতে ব্যবহার করুন সহজলভ্য এবং কার্যকরী ডিমের মাস্ক। একটি ডিমের সাদা অংশে কয়েক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এরপর এতে দিন ক্লে, যদি ক্লে দিতে না চান তাহলে চন্দনগুঁড়ো মেশাতে পারেন। মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগিয়ে নিন। এই মাস্কটি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার ব্যবহারে বেশ ভালো ফলাফল পাবেন।
২) ত্বকের মরা কোষ দূর করতে
ত্বকের উপরে মরা কোষ জমলে ত্বক অনেক কালচে হয়ে যায় এবং ত্বকের আসল সৌন্দর্য হারাতে থাকে। এই সমস্যা সমাধান করে দেবে ডিম। কয়েকটি ডিমের খোসা ব্লেন্ডারে দিয়ে একেবারে মিহি গুঁড়ো করে নিন। এরপর তা একটি বাটিতে নামিয়ে নিয়ে এতে মেশান মধু ও লবণ। ভালো করে মিশিয়ে এই পেস্টটি পুরো দেহের ত্বকে আলতো ম্যাসাজ করে নিন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। খুব সহজেই ত্বকের মরা কোষ দূর হয়ে যাবে।
৩) নখের ভঙ্গুরতা দূর করতে
খুব সহজেই নখ ভেঙে যায়? একটি কাজ করুন। ১/৪ কাপ দুধের মধ্যে ১ টি ডিমের কুসুম খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে হাত ডুবিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। নিয়মিত ব্যবহারে নখ মজবুত হবে এবং নখ সংক্রান্ত সমস্যা দূর হবে।
৪) চুলের ঘনত্ব বাড়াতে
চুল পড়ে একেবারেই পাতলা হয়ে গিয়েছে? এই সমস্যার সমাধানও করবে ডিম। একটি ডিমের সাদা অংশ নিয়ে এতে একটি মাঝারি আকারের লেবু চিপে দিন। এবারে খুব ভালো করে ফেটিয়ে ফেনা করে ফেলুন। এই মিশ্রণটি চুলের গোঁড়ায় ঘষে লাগান এবং পুরো চুলে লাগিয়ে নিন ভালো করে। আধা ঘণ্টা এভাবে রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার ব্যবহারে চুল পড়া কমে যাবে এবং চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি পাবে।
ইসলাম ডেস্ক: আপনার স্বামী যদি হন এমন একজন, যিনি নামাজ পড়েন না, অথবা দাড়ি শেভ করেন, অশালিন গান শোনায় অভ্যস্ত, খারাপ সিনেমায় আসক্ত, সবসময় নোংরা ভাষায় কথা বলেন, অথবা যদি হয় সেন্টিমেন্টাল বা গোঁয়ার টাইপের, কিংবা কৃপণ প্রকৃতির, অথবা এমন বহু রকমের দোষে দুষ্ট। আর আপনি তার এসব আচরণ বদলাতে চান। প্রাণপণে কামনা করেন, যেনো সে শুধরে যায়। যন্ত্রণায় আর পরিতাপে দগ্ধ হয়ে আপনি নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করেন− কীভাবে আমি তার ওপর প্রভাব খাটাতে পারি? কী করে তাকে আমি শোধরাতে পারি? তাকে বদলাতে পারি? তাকে ভালো করে, সুস্থ করে সুপথে ফিরিয়ে আনতে পারি? তাহলে আপনার জন্যে এই টিপসগুলো অবলম্বন করা একান্ত জরুরি।
১. নিজে ত্রুটিমুক্ত থাকুন: আপনি যেসব দোষ আপনার স্বামীর দেহ-মন কিংবা আচরণ থেকে বদলে ফেলতে চান, প্রথমত আপনাকে সে-সব আচরণ থেকে অবশ্যই দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কোনোক্রমেই সে সব আচরণ যেনো না হয়, সে জন্যে সাবধান থাকুন।
২. তাকে বলুন, সে একজন ভালো মানুষ: এটা আপনাকে ও আপনার স্বামীকে সব রকমের মনমালিন্য থেকে দূরে রাখবে। তাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। তার দোষগুলো তার সামনে উপস্থাপন না করে বরং কৌশলে বোঝানোর চেষ্টা করুন, তার এ কাজটি করা তেমন ভালো হয় নি।
৩. চূড়ান্ত সময় বেঁধে দেবেন না: অনেকবার হয়তো ভেবেছেন চূড়ান্ত কোনো সময় বেঁধে দেবেন। ভেবেছেন বলবেন, ‘যদি এটা বন্ধ না হয়, তাহলে কিন্তু চললাম, নিজের পথ বেছে নিলাম।’ এভাবে সময় বেঁধে দিয়ে সম্পর্ক আদৌ ঠেকানো যায় না। আপনি যদি সত্যিই সম্পর্ক অথবা সংসার টিকিয়ে রাখতে চান, তাহলে এহেন ‘শেষ কথা তত্ত্ব’ থেকে বেরিয়ে আসুন।
৪. তাকে ভালো বই পড়তে দিন: হ্যাঁ, ভালো বই তাকে পড়তে দেয়া একটি অসাধারণ কাজ হবে। তবে এটা তাকে সরাসরি দিলে, সে অন্যকিছু ভাবতে পারে। তাই ভালো কিছু বই তার চারপাশে রেখে দেয়ার ব্যবস্থা করুন। তার শোবার ঘরে, গাড়ির সামনের বক্সে কিংবা ড্রয়িংরুমেও রাখতে পারেন। তবে তাকে পড়তে অনুরোধ করবেন না।
৫. ক্ষমতা দেখানোর চেষ্টা পরিহার করুন: ‘তোমার আচরণ অসহনীয়। আমি এর শেষ দেখে ছাড়বো’এ ধরনের হুঁশিয়ারি কিছুটা ক্ষমতায়নের কাজ করে। ভাবখানা এমন যেন পুরো ব্যাপারটির নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে চলে আসছে। কিন্তু একবারও কি ভেবেছেন আখেরে এর পরিণতি কী। মনে রাখবেন, পরিবারে পুরুষ তার থেকে ক্ষমতাধর কাউকে সহ্য করে না।
৬. তার সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করুন: স্বামী অথবা সঙ্গীটি যদি আরেকটি সম্পর্ক বজায় রাখেন, আসক্ত হন, পরিবারের চেয়ে কর্মক্ষেত্র অথবা অন্যত্র বেশি আগ্রহী হন, তাহলে বুঝতে হবে সে নিজের ভেতরে সুখী হবার প্রেরণা পাচ্ছে না। সে জানে, তার কাজটি ভুল। তার যে অনুতাপ হয় না, তা নয়। সমস্যা হলো, তার মনের ভেতরে সুপথে আসার, শুদ্ধ হওয়ার তাগিদ নেই। সঙ্গীকে সুপথে আসতে প্রাণিত করতে তার সঙ্গে সম্পর্ক গাঢ় করতে হবে।
৭. প্রমাণ করুন, আপনি তার একান্ত অনুগত: নারীর ভালোবাসায় পুরুষ গলে যাবে ঠিকই, কিন্তু সেজন্য নারীকে হতে হবে এমন নম্র ও শান্ত এবং এতটা ধীমতি ও প্রণতিপরায়ণা যে, পুরুষ অনুভব করে যেনো আপনি তার ‘একান্ত অনুগত’ এবং ‘তার বাসনায় পরিচালিত’। আপনি তার হাতের থেকেও বেশি অনুগত হয়ে যান এবং তার দিবাস্বপ্নের চেয়ে অধিক সজাগ থাকুন।
৮. তাকে বেশি বেশি সময় দিন: স্বামীর আচরণ ভালো লাগছে না বলে তার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন না। এতে সে আরো মন্দ লোকদের দলে ভিড়ে যাবার সুযোগ পাবে। তার কাছাকাছি থাকুন। তাকে আপনার কাজে সহায়তা করার সুযোগ দিন। বোঝান, সে ছাড়া আপনার একদম ভালো লাগে না। এ চেষ্টায় একবার নিরত হলেই পেয়ে যাবেন তাকে প্রভাবিত করার চাবিকাঠি।
৯. আপনিই আগে ক্ষমা চান: দাম্পত্যে ঝগড়া কার হয়না বলুন? কিন্তু ঝগড়া হলেই গাল ফুলিয়ে বসে থাকবেন না, কিংবা স্বামীর থেকে নিজেকে আলাদা করে নেবেন না। নিজের দোষ কম হোক অথবা বেশি, নিজেই উদ্যোগী হয়ে ক্ষমা প্রাথনা করুন। যদি স্বামীর দোষ হয়ে থাকে, তাহলেও তাকে দোষারোপ করবেন না। তাতে সে কখনও আপনার কাছে ক্ষমা চাইতে পারবে না।
১০. রাগের কারণ বুঝতে চেষ্টা করুন: বিয়ের পর আবিষ্কার করলেন আপনার স্বামী মাঝেমধ্যে রেগে যান। প্রথম থেকেই এ ব্যাপারে সচেতন হোন। রাগের কারণ বুঝতে চেষ্টা করুন। তারপর তাকে জানান যে, এখন আর সে একা নয়, আপনিও তার সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করতে পারেন।
মনে রাখবেন, নারীকে সৃষ্টি করা হয় নি পুরুষের মাথার অংশ থেকে, যেনো সে মর্যাদায় পুরুষকে ছাড়িয়ে না যায়। পুরুষের পায়ের অঙ্গ থেকেও সৃষ্টি করা হয় নি তাকে, যেনো সে পুরুষের কাছে অবহেলার পাত্র না হয়। নারীকে বের করা হয়েছে পুরুষের পাঁজর থেকে, যেনো সে থাকে তার বাহুর নীচে, হৃদয়ের কাছে। যেনো পুরুষ তাকে ভালোবাসতে পারে এবং তার থেকে ভালোবাসা পেতেও পারে। নারীর ভালোবাসা ও সহমর্মিতা এমন চমৎকার এক ঝরনার উৎসরণ ঘটাতে পারে, যার পরশ পেলে অনায়াসে গলে যাবে পুরুষের মস্তিষ্ক। যেমন পানির গভীরতা পাথরকেও নরম করে ফেলে এবং গলিয়ে দেয়। কেবল ভালোবাসার মাধ্যমেই জেগে উঠবে তার হৃদয়, তার বিবেক। ঘুম ভাঙবে তার চেতনার। সচেতন হবে সেতার সম্পদ ও ভবিষ্যতের ভাবনায়।
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
ভোলার মা। ছোট বেলা থেকে চারপাশের মানুষ তাকে এই নামেই ডাকতো। কিন্তু তার কোনো সন্তান নেই, কখনো বিয়েই হয়নি তার শারীরিক কিছু ত্রুটি রয়েছে (হিজড়া, তৃতীয় লিঙ্গ)। তারপরও সে মা। আসলেই সে মায়ের আদরে স্নেহে সবাইকে আপন করে নেয়।
অন্য অনেক হিজড়ার সঙ্গে তার জীবনের কিছুটা পার্থক্য দেখা যায়। কারণ সে পরিবার পেয়েছিল।
তার আসল নাম বেগম। কিন্তু এলাকার ছোট বড় সবার কাছেই সে পরিচিত ভোলার মা নামেই। ফরিদপুর জেলার বাহিরদিয়ায় তার জন্ম। দরিদ্র পরিবারের অনেকগুলো ভাইবোন ছোট রেখে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে তার বাবা মারা যায়।
অনেকগুলো ছেলেমেয়ে নিয়ে তার মা যখন কষ্টের সাগরে, তখন তাদের এক আত্মীয় ভোলার মাসহ তাদের পাঁচ ভাইবোনের দায়িত্ব নেয়। অন্য ভাই-বোনরা কিছুটা বড় হলে বিভিন্ন কাজ জোগাড় করে দেন সেই আত্মীয়। ছোট বোনটার বিয়েরও ব্যবস্থা করেন।
একে একে সবাই সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজেদের মতো সংসার গোছালেও রয়ে যায় ভোলার মা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই আত্মীয়ের পরিবার ঢাকামুখী হওয়ায় এক সময় সে পরিবারে ভোলার মার প্রয়োজনীয়তাও কমতে থাকে।
সে তার পরিবারের সবাইকে আগলে রেখেছে সারা জীবন। নিজের ভাগের খাবারটুকু নিয়ে গেছে ছোটভাইটির জন্য।
আজ জীবনের শেষ দিকে এসে বড় অসহায় সে। কারণ ডাক্তার জানিয়েছে তার দুটি কিডনিই অকেজো। হাসপাতালে সব সময় রেখে দেখাশোনা করার জন্য তার পাশে আজ তেমন কেউ নেই। কারণ ভাইবোন সবারই দিন আনে দিন খায় অবস্থা।
দিনের পর দিন তাকে নিয়ে হাসপাতালে থাকলে নিজেদের ঘরে চুলা জ্বলবে না।
হিজড়া হওয়ার জন্য কখনো সে মন খারাপ করেনি। কিন্তু আজ কি সে ভাবছে যদি সে একজন পরিপূর্ণ নারী হতো? তবে তারও নিজের একটি সংসার থাকতো, হয়তো একটা ছেলেও হতো যারা নাম সত্যি সত্যি ভোলা…
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
লক্ষ্য করেছেন কি, সদ্য বিয়ে হয়েছে এমন দম্পতির মধ্যে প্রায়ই ওজন বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়? বিশেষ করে নারীদের। এদের দেখা যায় খাওয়া শেষের পরও খাবার নষ্ট হবে এই চিন্তায় বাড়তি খাবারগুলোও খেয়ে নেয় যার পরিণতিতে ওজন বাড়তে থাকে।
আমাদের দেশের নারীরা স্বামী বা সন্তানের প্লেটের বাড়তি খাবারও খেয়ে নেন এজন্যও অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীরে যুক্ত হয়ে, ওজন বাড়তে পারে।
আর পুরুষরা সাধারণত বাড়িতে ভালো অংশটি যেমন মাছের মাথা, মুরগীর রানটাই খেয়ে থাকেন এবং বাইরের খাবারও বেশি সময় খান। এজন্য তাদের ওজনও বেড়ে যায়।
তবে বাড়তি ওজন কমিয়ে যদি ঝরঝরে ফিট আর সুন্দর ফিগারেই থাকতে চান তবে যা করতে হবে:
অনেকেরই অভ্যেস আছে প্রতিদিন বাড়ি ফেরার সময় বাইরের মুখরোচক খাবার নিয়ে আসেন। এসব তেলে ভাজা বা ফাস্টফুড খাবারের পরিবর্তে সন্ধ্যায় একবাটি ফল কেটে দু’জন মিলে খেতে পারেন।
বাইরের খাবার যদি খুব পছন্দের হয় তবে ছুটির দিনে রাতে একসঙ্গে বাইরে গিয়েই খান। বাইরে গিয়ে খাবারের অর্ডার দেওয়ার সময় যতটুকু খাবার তৃপ্তি নিয়ে খেতে পারবেন ততটুকুই অর্ডার করুন।
মেইন ডিস আসার আগে সালাদ এবং ক্লিয়ার সুপ খেয়ে নিন। ডেজার্ট খেতে চাইলে একটি আইটেম নিয়ে ভাগ করে খান। ঘরে বা বাইরে খাবার যতোই পছন্দের হোক না কেন, নিজের ইচ্ছা বা কারও অনুরোধে অতিরিক্ত খাবেন না।
নিজের এবং পরিবারের সুস্বাস্থ্য রক্ষার দায়িত্ব কিন্তু আমাদের। তাই বাড়ির রান্না স্বাস্থ্যসম্মত করতে রান্নায় তেলের পরিমাণ কমিয়ে দিন। মাংসের পরিবর্তে মাছের ওপর নির্ভরতা বাড়ান। আর প্রতিবেলায় খাবারে প্রচুর শাক-সবজি রাখুন। সুস্বাস্থ্যের বিষয়টি সামনে আনতে পারলে দেখবেন পরিবারের অন্যরা ঝামেলা ছাড়া এগুলো খেয়ে আপনাকে এবিষয়ে সাহায্যই করবে।
একটি মজার বিষয় হচ্ছে নারীরা যখন বাইরে খান তখন খাবার ছোট পরিমাণে মুখে দেন এবং খুব ধীরে ধীরে অনেক সময় নিয়ে খান। এতে তাদের পরিমাণের চেয়ে কম খাবার খেলেও পেট ভরে যায়। কারণ আমরা যখন খুব দ্রুত খেতে থাকি তখন পেট ভরে যাওয়ার সংকেত আমাদের মস্তিস্কে পৌঁছতে বেশি সময় লাগে। এজন্য বেশি খাবার খাওয়া হয়। ধীরে ধীরে খেলে অনেক বেশি পরিমাণে খাবার খাওয়ার স্পৃহা থাকে না বলেই বিশেষেজ্ঞরা পুরুষদেরও এমন নারীর মতো করেই খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
বাড়তি ওজন মানেই হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, রক্তে কলেস্টরেলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, হতাশার মতো নানা ঝামেলা সব মিলে আমাদের মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়।
শরীরের সুস্থ থাকতে এবং ওজন ঠিক রাখতে প্রথমে খাবার নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি তারপর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিয়মিত অন্তত আধাঘণ্টা ব্যায়াম করা।
বন্ধু আপনাকেই বলছি, যদি আপনি বা আপনার প্রিয়জন বাড়তি ওজনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চান তবে আজ থেকেই মেনে চলুন খুব সহজ এই পদ্ধতি।
ফিচার ডেস্ক : ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর’। স্পেস স্টেশন থেকে জীবনানন্দকে পৃথিবী দেখালে হয়তো লাইনটি ঘুরিয়ে লিখতেন। বা লিখতেনই না!
পৃথিবীর আলো ঝলমলে সব শহর ও সুউচ্চ দালানগুলোকে ২শ ৪৯ মাইল উপর থেকে দেখলে মনে হবে নিছক রঙের কণা। সাগর-মহাসাগরগুলো আলতো তুলির আঁচড়। আর পাহাড়-পর্বত, বন-বাদাড়? সে বরং নিজেই দেখে নিন। হয়তো বলবেন, এ আর নতুন কী!
বলি, নতুনত্ব আছে। পৃথিবীর সাম্প্রতিক রূপ-রঙের ভিডিও ফুটেজ এসেছে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন থেকে। মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা সেটি পোস্ট করলে, আলাদা করে সম্পাদনা করেছেন দিমিত্রি পিসাঙ্কো নামে এক ভদ্রলোক। লুডোভিকো আইনাদি সঙ্গে আবার মনোহরা সঙ্গীতও যোগ করে দিয়েছেন।
সব মিলিয়ে কেমন দাঁড়ালো বরং নিজেই দেখে নিন ভিডিওতে। তবে এটুকু নিশ্চিত করতে পারি, ঘর অন্ধকার করে দেখলে মনেই হবে না আপনি স্পেস স্টেশনে বসে নেই!
প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় নতুন বোতলে পুরোনো মদ হিসেবে স্পেস স্টেশনের কিছু তথ্য দেওয়া যেতে পারে।
ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস) একটি বাসযোগ্য কৃত্রিম উপগ্রহ। পাঁচটি মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সমন্বিত এ প্রকল্প ১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি স্পেস স্টেশন থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। দুই লাখ ৪৫ হাজার ৭শ ৩৫ কেজি ভরের এ স্টেশনটির দৈর্ঘ্য ১শ ৯১ ফুট, প্রস্থ ১শ ৪৬ ফুট ও উচ্চতা ৯০ ফুট। এটি প্রতিদিন ১৫ দশমিক সাত বার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে।
তাহলে আর দেরি না করে উড়াল দিন মহাগগন মাঝে..
রন্ধন পদ্ধতি: দুই দিন না হয় শাহী খাবার হলো। এবার একটু অন্যরকম হলে কিন্তু মন্দ হয় না। ঈদের তৃতীয় দিনে এমন একটা মাজার খাবার প্রস্তুত করা যাক, যা খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলবে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুর দল। এই আত্মবিশ্বাস থেকেই কাযরিয়া কায়েস দিলেন গোটা মুরগী দিয়ে করা চমৎকার একটি রান্নার রেসিপি। শুধু বাংলা ট্রিবিউন লাইফস্টা্লের পাঠকের জন্য।
উপকরণ:
মুরগি ১টি (চামড়া সহ)
পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ
পেঁয়াজ আস্ত ১টা
আদা বাটা ১ ১/২ চা চামচ
রসুন বাটা ১ চা চামচ
মধু ১ টেবিল চামচ
গোল মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ
শুকনা মরিচের গুঁড়া হাফ চামচ
বড় লেবু ১ টা
মাখন ২৫০ গ্রাম
লবন স্বাদ মত
যেভাবে প্রস্তুত করবেন:
একটি ছোট কড়াইতে মাখন গলিয়ে তার মধ্যে পেঁয়াজ গুলো ছেড়ে দিতে হবে, পেঁয়াজ লাল লাল হয়ে আসলে এক এক করে আদা বাটা, রসুন বাটা, গোল মরিচের গুঁড়া, শুকনা মরিচের গুঁড়া, লাল মরিচের গুঁড়া, লবন দিয়ে ভাল ভাবে কসাতে হবে। মশলা কষে আসলে মধু ধেলে দিতে হবে। বলক আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করতে হবে।
মশলা ঠাণ্ডা হয়ে গেলে, মুরগিতে ভালভাবে মাখাতে হবে। চামড়ার ভিতরে হাত দিয়ে ভাল ভাবে মশলাটি মাখাতে হবে যেন মাংশে মশলা ঢুকে। মশলা মাখানো হয়ে গেলে মুরগির ভিতরে একটা আস্ত পেঁয়াজ এবং আস্ত লেবু দিয়ে ২২০ ডিগ্রি তে ১ ঘণ্টা রোস্ট করতে হবে! মাঝে মুরগিটি উলটিয়ে দিলে ভাল হয়। ১ ঘন্টা পর স্কিন মচমচে হয়ে গেলে, ওভেন থেকে নামিয়ে ১০ মিনিট রেস্ট এ রাখুন এর পর গরম গরম পরিবেশন করুন। ওভেন না থাকলে একি পদ্ধতিতে ভারী পাতিলেও রোস্ট করা যাবে।
ফিচার ডেস্ক : বাংলা শব্দার্থবিধি অনুসারে ‘অলস’ শব্দের অর্থ হলো যার কর্মে উৎসাহ বা উদ্যম নেই। মানবকূলের কার্য এবং কারণের ইতিহাস ঘাটলে আমরা দেখতে পাবো যে কার্যের একছত্র অধিপতি হিসেবে মানুষ নিজেকে দাড় করিয়েছে। আর এই কর্মের প্রতি মানুষের আধিপত্যের কারণে কার্যের সকল গুনাগুনই মানুষের কাধে বর্তায়। যেমন ধরা যাক, মানুষকে বলা হচ্ছে কঠোর পরিশ্রমী কিংবা নোংরা। তেমনি আবার মানুষের কার্যের গতিপ্রকৃতি অনুসারে মানুষকে আলসেও বলা হয়। কিন্তু আজ আমরা প্রকৃতির এমন একটি সৃষ্টিকে দেখবো, যাকে দেখলে আপনি নিজেও তাকে অলস বলবেন।
উষ্ণতা এবং আর্দতাপূর্ণ জলবায়ুর জন্য ইন্দোনেশিয়া বেশ সুপরিচিত। বর্হিদেশিয় পর্যটকদের জন্য ইন্দোনেশিয়ায় ঘুরে বেড়ানো কিছুটা হলেও কষ্টকর। একই দিনের মধ্যে রোদ-বৃষ্টি সহ্য করে খুব কম মানুষেরই ঘুরতে ভালো লাগে। তবু এরকম আবহাওয়ার মাঝেই আলোকচিত্রী কুরিত আফসেন ঘুরে বেড়িয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে। অনেক জায়গা ঘুরে যখন তিনি নিজ বাড়িতে ফিরলেন তখন নিজের বাড়ির পেছনেই আবিষ্কার করলেন এক অভূতপূর্ব দৃশ্য এবং সঙ্গে সঙ্গে তা বন্দী করলেন ক্যামেরায়।
৩৪ বছর বয়সী কুরিতের তোলা ছবিতে দেখা যায় একটি ব্যাঙ খুব আরামে চলমান একটি শামুকের পিঠে চড়ে ঝিমুচ্ছে। প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী ব্যাঙ হাটতে বা দৌড়াতে পারে না, কিন্তু তার রয়েছে লাফ দেবার বিচিত্র প্রবনতা। এই লাফ দিতে দিতেই একটা সময় ব্যাঙ পেড়িয়ে যায় অনেকটা পথ। অথচ সেই ব্যাঙই যখন খুবই শ্লথ গতিতে হাঁটা শামুকের পিঠে চড়ে বেড়ায় তখন সেটা অবশ্যই দেখার মতো কোনো বিষয় হয়।