পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

কোরবানির পশু কিনতে খামারে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিভিন্ন হাট ঘুরে পছন্দসই পশু কেনার ঝামেলা এড়াতে বিভিন্ন খামার থেকে সংগ্রহ করা যায় গরু বা ছাগল। রাজধানীর আশপাশে এরকম বেশ কয়েকটি খামার রয়েছে।

খামার থেকে গরু কিনতে চাইলে চলে যেতে পারেন রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকায়। আটিবাজার, ভেড়িবাঁধ, জিঞ্জিরা, হযরতপুরে রয়েছে প্রায় ৩শ’র মতো খামার।

এদের মধ্যেই একটি খামার ‘টাইমস অ্যাগ্রো’। আটিবাজার এলাকায় ২০১৬ সালের অক্টোবরে ১০ কাঠা জমিতে মাত্র একটি ভুট্টি গরু নিয়ে টাইমস অ্যাগ্রো গড়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী মাহবুব-ই-খোদা।

তিনি বলেন, “এবারের ঈদ মৌসুমে গরুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ২০টিতে। যার মধ্যে অবশিষ্ট আছে ১শ’ ও ২শ’ কেজি ওজনের দুইটি ভুট্টি গরু, দাম যথাক্রমে ৪৫ হাজার ও ৮০ হাজার টাকা। ৩শ’ কেজি ওজনের একটি পাকরা গরু, দাম দেড় লাখ টাকা এবং দুইটি দেশি গরু, প্রতিটির দাম ৮০ হাজার টাকা।”

“আমাদের খামার থেকে গরু ওজন মেপে কেনার সুবিধা রয়েছে। কেনার সময় আমাদের নিজস্ব পশু চিকিৎসক পশু যাচাই বাছাই করতে সাহায্য করবেন ক্রেতাদের। বিক্রয়োত্তর চিকিৎসা সেবাও পাবেন। তবে চিকিৎসককে পারিশ্রমিক দিতে হবে। ঢাকার ভেতরে যে কোনো স্থানে বিনামূল্যে গরু পৌঁছে দেওয়ার সুবিধাও দিচ্ছি আমরা।”

একই এলাকার আরেকটি খামার ‘বিক্রমপুর অ্যাগ্রো’। খামারের মালিক মোহাম্মদ আজিজ আশরাফ ও ফয়সাল আশরাফ শখের বসে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন।

মোহাম্মদ আজিজ আশরাফ বলেন, “এ বছর ঈদুল আজহায় প্রায় ৭০টি ষাঁড় ও গরু লালনপালন করেছি, যা এখন বিক্রয়যোগ্য। এদের মধ্যে ভারত থেকে আমদানী করা হাসা জাতের গরু, সিলেটের বড় সিংওয়ালা ‘ফাইটার’ ষাঁড়, ভুট্টি গরু ইত্যাদি অন্যতম। আর দেশি গরু তো আছেই।”

মধ্যবিত্তদের কথা মাথায় রেখে পালন করা হয়েছে ভুট্টি গরু।

আজিজ আশরাফ বলেন, “প্রায় দুই বছর ধরে ভুট্টি গরুগুলো পালন করছি। ‘কংগো’ নামের গরুটির চকচকে কালো রং, বড় শিং, বড় গুজ। খাটো হলেও একে বশে আনতে তিন থেকে চার জন শক্তিশালি মানুষ লাগে। বাদামি লাল রংয়ের আরেকটি ভুট্টি গরুর নাম দিয়েছি ‘রাউটার’। ‘কংগো’য়ের ওজন ৩৫০ কেজি এবং ‘রাউটার’য়ের ওজন ২শ’ কেজি। ‘কংগো’য়ের দাম ধরেছি ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা আর ‘রাউটার’য়ের এর দাম ১ লাখ টাকা।”

২০০৯ সালে বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে দুই বিঘা জমির উপর ‘সাদিক অ্যাগ্রো’ খামারটি গড়ে তোলেন ইমরান হোসেন।

তার কথায়, “বর্তমানে আমাদের সংগ্রহে ৫শ’র বেশি গরু আছে। যার মধ্যে শাহিওয়াল, সিন্ধি জাতের গরুই বেশি। এদের ওজন হবে ১৫০ কেজি থেকে ৯০০ কেজি। দাম ৮০ হাজার থেকে শুরু করে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত। ক্রেতাদেরও দেশি গরুতেই আগ্রহ বেশি। ৫শ’ থেকে ৬শ’ কেজি ওজনের দেশি গরুগুলো বিক্রি হচ্ছে বেশি, দাম গড়ে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা।”

“এছাড়াও ভুট্টি গরু আছে প্রায় ৫০টি। ওজনে গরুগুলো প্রায় ১২০ কেজি থেকে ২২০ কেজি পর্যন্ত হয়, দামটা ৭৫ হাজার থেকে ২ লাখ টাকার মধ্যে। এছাড়াও আছে অস্ট্রেলিয়ান বড় গরু যার ওজন হতে পারে ৯শ’ কেজি থেকে ১২শ’ কেজি। দাম পড়বে পাঁচ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা।”

খামারের মালিকের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় এক ক্রেতার সঙ্গে।

রাজধানির কলাবাগানের বাসিন্দা মাহবুব, পেশায় ছাত্র হলেও তিনিও ছোট একটি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ঈদের ৯ মাস আগেই পরিবারের সম্মতি নিয়ে এই ফার্ম থেকে একটি ভুট্টি গরু কিনেছেন।

কথা বলে জানা গেল, তুলনামূলকভাবে বিক্রিমপুর অ্যাগ্রোতে দাম কম এবং ছোট ও মাঝারি গরু বেশি থাকায় তিনি এখান থেকে গরু ক্রয় করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছেন।

নারায়নগঞ্জের আটিবাজারের ‘টাইমস অ্যাগ্রো’। এই খামারে কোরবানি ঈদ উপলক্ষ্যে পালা হচ্ছে দেশি ও বিদেশি জাতের মাঝারি গরু। খামারের পরিচালক মাহবুব-ই-খোদা জানান শখের বসে করা এই খামারে ২০টির মতো গরু আছে। ছোট থেকে মাঝারি সবগরুই এবারের ঈদকে কেন্দ্র করে পালন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “বিক্রমপুর অ্যাগ্রো’র মালিক তপু এবং ফয়সাল শুরু থেকে আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা ও উৎসাহ দিয়ে আসছেন।”

তিনি আরও জানান, এই দেশের গরু মোটা তাজাকরণ ফার্মগুলোর মধ্যে ‘সাদিক অ্যাগ্রো’র মালিক ইমরান হোসেন, ‘দ্যা হাম্বা ফ্যাক্টরি’র আদনান-আল-নাহিয়ান, কাজী শেহজাদ এবং ‘শরিফ অ্যাগ্রো’র রায়হান শরীফ তাকে বেশ উৎসাহ দিয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত যে কোনো ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছেন নতুন খামারী হিসেবে।

মাহবুবের খামারে ‘পাকরা’ জাতের গরুর মূল্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। পাকিস্তানি শাহিওয়াল‘ পাকরা এবং নেপালী জাতের মিশ্রণ এই গরুর ওজন ৩শ’ কেজি।

হাটে যেতে যাদের যন্ত্রণা মনে হয়, এসব খামার থেকে তারা পশু কেনার জন্য ঢুঁ দিতে পারেন। বিডিনিউজ২৪।

Posted in লাইফস্টাইল | Comments Off on কোরবানির পশু কিনতে খামারে

তেল ছাড়া দম বিরিয়ানি

লাইফস্টাইল ডেস্ক : তেলের পরিবর্তে টক দই দিয়ে রান্না এই বিরিয়ানি স্বাদ ও গন্ধে দারুণ।

রেসিপি দিয়েছেন ফেইসবুকের ‘নওরিন’স কুকিং ওয়ার্ল্ড’ পেইজের তাসনুভা রোজ নওরিন।

মাংস মেরিনেইট করতে যা যা লাগবে: মুরগি/খাসি/গরুরু মাংস – আধা কেজির কম (চর্বি ছাড়া)। টক দই আধা কাপ। পেঁয়াজবাটা ৩ টেবিল-চামচ। পেঁয়াজকুচি আধা কাপ। আদাবাটা ১ চা-চামচ। রসুনবাটা ১ চা-চামচ। টমেটোকুচি ১ কাপ। লালমরিচের গুঁড়া ২ চা-চামচ এবং আধা চা-চামচ (মরিচের ঝাল অনুযায়ী কমিয়ে, বাড়িয়ে নেবেন)। ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ (হলুদ অনেক সময় অনেক বেশি রং হয়। সেটা খেয়াল রেখে কমিয়ে-বাড়িয়ে নেবেন)। ধনেগুঁড়া ২ চা-চামচ। কারি পাউডার ১ চা-চামচ (বাজারে কিনতে পাওয়া যায়)। গরম মসলার গুঁড়া – ১/৪ চা-চামচ (ঘরের তৈরি)।

আস্ত গরম মসলা – লং, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, গোলমরিচ আস্ত ৩/৪টি করে মিলিয়ে দেবেন।

লবণ স্বাদ মতো।

পদ্ধতি: মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে আস্ত গোটা মসলাগুলো বাদে সব উপকরণ মিশিয়ে এক ঘণ্টা মেরিনেইট করে রাখুন।

এখানে গরুর মাংস ব্যবহার করা হয়েছে। তাই প্রেসার কুকারে দিয়ে আধা রান্না করে নেওয়া হয়েছে।

এক ঘণ্টা রেখে অথবা সারারাত মেরিনেইট করে রাখলেও বেশ সুস্বাদু হবে। প্রেসার কুকারে মাংস দিয়ে দিন। উপরে গোটা গরম মসলাগুলো দিয়ে মিশিয়ে দেবেন।

চুলার আঁচ যেন বেশি না থাকে। মাঝারি থেকে অল্প জ্বালে মাংস রান্না হবে।

মাংসটা একটু পর পর নাড়া দিন। এভাবে মাংসটা কষানো হলে পরিমাণ মতো পানি ঢেলে প্রেসার কুকারের ঢাকনা লাগিয়ে দিন। দুতিন শিটি দিলে পরখ করে দেখুন। যদি মাংস আধা রান্না হয়ে থাকে তাহলে নামিয়ে নিন। দরকার পরলে আরও দুএক শিটি দিন। মাংস খুব বেশি মাখা মাখা হবে না।

যেহেতু তেল নাই সেহেতু মাংসের ঝোলটা চাল সিদ্ধ হতে সাহায্য করবে। তাই শুধু কষিয়ে আসলে মাংস নামিয়ে নিন।

নোট ১: গরম মসলার গুঁড়া বাসায় তৈরি করা ভালো। বাসায় তৈরি গরম মসলার ঘ্রাণ অনেক জোরালা থাকে। তাই দেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন যেন বেশি না হয়। তাহলে পুরা বিরিয়ানি গরম মসলার গন্ধ আর তিতা ভাব চলে আসবে।

নোট ২: টক দই দিয়ে পুরা রান্নাটা শেষ করা হবে। তাই টক দই মেশানোর সময় খেয়াল রাখবেন মিশ্রণ যেন মাখা মাখা হয়। কারণ টক দই কষে যে পানিটা আসবে সেটা মাংস নরম করবে। আর পুড়ে যাওয়া থেকে বাঁচাবে। তবে বেশি টক দই দিয়ে দিলে সেটার গ্রেইভি বা ঝোল চালের সঙ্গে চিপসে যাবে। ফলে চালটা আর ঝরঝরা হবে না। ভর্তার মতো হয়ে যাবে। তাই টক দই মেশানোর সময় একটু সতর্ক থাকতে হবে।

নোট ৩: মরিচ, হলুদ, ধনেগুঁড়া একেকজন একেক উপকরণ ব্যবহার করেন। তাই এ ক্ষেত্রেও খেয়াল রাখবেন।

বিরিয়ানির জন্য উপকরণ: বাসমতি চাল ৩ কাপ। হলুদ রংয়ের জন্য– সামান্য দুধে হলুদগুঁড়া মিশিয়ে রাখুন (ইচ্ছা)। আস্ত গরম মসলা– এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা ২,৩টি।

সাজানোর জন্য বেরেস্তা: একটা পেঁয়াজ পাতলা ফালি করে কেটে বড় বাটিতে নিয়ে হাতের তিন আঙুলে একটু ’ন্যাচারাল আনসলটেড বাটার’ দিয়ে পেঁয়াজে মেখে দিন। এরপর এক মিনিট করে মোট ছয় মিনিট মাইক্রোওয়েইভ ওভেনে পেঁয়াজ বেরেস্তা করুন। শেষের বার আর একটু বাটার লাগিয়ে সামান্য চিনিগুঁড়া ছিটিয়ে বেইক করুন।

বাটার না থাকলে সাধারণ তেল দিতে পারেন। তেল/বাটার দেওয়ার কারণ পেঁয়াজটা নয়ত পুড়ে যাবে কিন্তু বেরেস্তা হবে না। এভাবে বেরেস্তা করার ক্ষেত্রে একবারে ছয় মিনিট সেট করে দেবেন না। এতে যেমন অঘটন ঘটতে পারে আবার পেঁয়াজ পুড়ে যেতে পারে। তাই এক মিনিট করে দেবেন। আর এক মিনিট পর পর বের করে চামচ দিয়ে নেড়ে আবার দেবেন।

পদ্ধতি:
হাঁড়িতে পানি দিয়ে তাতে গরম মশলা আর পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে পানিটা ফুটিয়ে নিন। পানি ফুটে উঠলে চাল ধুয়ে দিয়ে দিন। চাল যখন একবার বলক আসবে বা আধা সিদ্ধ হবে ঠিক তখনি পানি ঝরিয়ে নিন।

এবার ননস্টিক হাঁড়ি অথবা প্রেসার কুকার নিন।

প্রথমে নিচে ঝোলসহ মাংস বিছিয়ে উপর আধা চাল, তার উপর হলুদ রং ছিটিয়ে দিন। দুতিনটা কাঁচামরিচ ফালি আর ধনেপাতা-কুচি ছিটিয়ে এরপর বাকি মাংস দিয়ে ঠিক একইভাবে আরেক স্তর করুন।

এবার প্রেসার কুকারের ঢাকনা লাগিয়ে প্রথমে ১০ থেকে ২০ মিনিট মাঝারি আঁচে, তারপর ১০ মিনিট অল্প আঁচে দমে রাখুন।

নামিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম দম বিরিয়ানি।বিডিনিউজ২৪

Posted in লাইফস্টাইল | Comments Off on তেল ছাড়া দম বিরিয়ানি

ডাবের পানি পান করবেন কেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক : কেবল গরমের সময়ই নয়, সারা বছরই পান করতে পারেন ডাবের পানি। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ ও জিংকসহ নানা উপকারী উপাদান যা সুস্থ থাকার জন্য অপরিহার্য।

জেনে নিন নিয়মিত ডাবের পানি পান করার উপকারিতা সম্পর্কে-

পানি শূন্যতা দূর করে
ডাবের পানি শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করে। ডাবে থাকা ইলেকট্রোলাইট ডায়ারিয়া, বমি এবং অতিরিক্ত ঘামের পর শরীরের খনিজের ঘাটতি মেটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এ কারণে অতিরিক্ত গরমে দাবের পানি পান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে

ডাবের পানিতে রয়েছে ভিটামিন সি, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। এগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল জানার্লে প্রকাশিত একটি গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে।
হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায়

শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বা এল ডি এল-এর পরিমাণ কমিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি সাহায্য করে ডাবের পানি। এছাড়া শরীরের জন্য উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের আশংকা কমায় এটি।

ওজন কমায়

ডাবের পানিতে বেশকিছু উপকারি এনজাইম রয়েছে। এগুলো হজম ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি খাবার হজমে সাহায্য করে। ফলে খাবার খাওয়া মাত্র তা এত ভালোভাবে হজম হয়ে যায় যে শরীরের ভেতরে হজম না হওয়া খাবার মেদ হিসেবে জমার সুযোগই পায় না। এছাড়া নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে ওয়াটার রিটেনশন বেড়ে গিয়ে ওজন বৃদ্ধির আশংকা কমে যায়।

মাথা ব্যথা দূর করে

ডিহাইড্রেশনের কারণে মাথা ব্যাথা বা মাইগ্রেনের অ্যাটাক হওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে এক গ্লাস ডাবের পানি পান করে নিন। কমে যাবে মাথা ব্যথা।

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে

২০১২ সালে হওয়া জার্নাল ফুড অ্যান্ড ফাংশন স্টাডিসে দেখা গিয়েছিল ডাবের জলে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং ডায়াটারি ফাইবার ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে সহজে বয়সের ছাপ পড়বে না শরীরে। ডাবের পানিতে থাকা সাইটোকিনিস নামক একটি অ্যান্টি-এজিং উপাদান শরীরের কোষকে সহজে বুড়িয়ে যেতে দেয় না। একই সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে ডাবের পানি।

তথ্য: বোল্ডস্কাই

Posted in লাইফস্টাইল | Comments Off on ডাবের পানি পান করবেন কেন?

নারকেল তেল: দূর হবে চুলের রুক্ষতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক : চুল ভেঙে যাওয়া, খুশকি, চুল পড়ার পাশাপাশি চুলের রুক্ষতা দূর করতে অনবদ্য নারকেল তেল। সপ্তাহে অন্তত একবার নারকেল তেল চুলে ব্যবহার করলে চুলের শুষ্কতা দূর হবে।

নারকেল তেল

হট অয়েল ট্রিটমেন্ট

একটি পাত্রে পরিমাণ মতো নারকেল তেল নিন।
কুসুম গরম করে ঘষে ঘষে লাগান চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত।
শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন মাথায়।
সারারাত এভাবেই থাকুন।
পরদিন সকালে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল।
সপ্তাহে দুইবার এভাবে ব্যবহার করুন নারকেল তেল।

হেয়ার মাস্ক

একটি পাত্রে নারকেল তেল নিন।
সমপরিমাণ ক্যাস্টর অয়েল মেশান।
মাথার তালুতে ও চুলে ম্যাসাজ করুন তেলের মিশ্রণ।
তোয়ালে গরম পানিতে ডুবিয়ে নিংড়ে নিন।
গরম তোয়ালে দিয়ে চুল জড়িয়ে রাখুন।
২ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল।

চুলে নারকেল তেল কেন ব্যবহার করবেন?

শুষ্ক ও রুক্ষ চুলের যত্নে নারকেল তেলের কোনও বিকল্প নেই।
মাথার ত্বকের জীবাণু দূর করে নারকেল তেলে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান।
চুলের আগা ফাটা রোধ করে।
প্রাকৃতিকভাবে চুলে ময়েশ্চার ফিরিয়ে আনে নারকেল তেল।
খুশকি দূর করতে পারে গরম নারকেল তেল।
নিয়মিত ব্যবহারে চুলে ফিরে আসে উজ্জ্বলতা।

তথ্য: দ্য ইন্ডিয়ান স্পট

Posted in লাইফস্টাইল | Comments Off on নারকেল তেল: দূর হবে চুলের রুক্ষতা

বালিশ মিষ্টি

লাইফস্টাইল ডেস্ক :নেত্রকোনার প্রসিদ্ধ বালিশ মিষ্টি এখন তৈরি করুন ঘরেই।

মিষ্টির উপকরণ:

ছানা- আড়াই লিটার দুধের ছানা যতটুকু হবে। সুজি ১ টেবিল-চামচ। ময়দা ১ টেবিল-চামচ। চিনি ১ চা-চামচ। ঘি ১ চা-চামচ।
ছানার জন্য: আড়াই লিটার দুধ চুলায় দিয়ে ফুটাতে হবে। দুধ একবার ফুটে উঠলেই চুলা বন্ধ করে দিন। এরপর একটা বাটিতে ৪ টেবিল-চামচ সাদা ভিনিগার ও ৪ টেবিল-চামচ পানি মিশিয়ে নিন। চুলা বন্ধ করার দুতিন মিনিট পর অল্প অল্প করে সিরকাটা গরম দুধে দিতে হবে এবং হালকা ভাবে নাড়তে হবে।
ছানা ও পানি আলাদা হয়ে গেলে একটা পাতলা কাপড়ের উপরে ছানাটা ঢেলে দিয়ে পানি ঝরান। তারপর ছানাটা কাপড়ে রেখে ঠাণ্ডা (ফ্রিজের পানি না) পানি দিয়ে দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে ধুয়ে নিতে হবে যেন ভিনিগারের টক ভাব চলে যায়। এরপর কাপড়ে বেঁধে হালকা ভাবে চিপে পানি ঝরিয়ে ছানাটাকে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ঝুলিয়ে রেখে অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে ফেলতে হবে। এখন ছানা প্রস্তুত মিষ্টি তৈরির জন্য।
সিরার জন্য: চিনি আড়াই কাপ। পানি ৮ কাপ।
প্রথমে একটা বড় হাঁড়িতে চিনি ও পানি দিয়ে নেড়ে জ্বাল দিন। শিরা দুএকবার ফুটে উঠলেই চুলার আঁচটা একদম কমিয়ে রাখতে হবে।
মিষ্টির রংয়ের জন্য: চিনি ১/৪ কাপ (এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ)। পানি আধা কাপ।
একটা ছোট সসপ্যানে চিনি নিয়ে চুলায় রেখে সোনালি করে ঘন ক্যারামেলের মতো করে নিতে হবে। ক্যারামেল হয়ে গেলে, এর মধ্যে আধা কাপ পানি দিয়ে দুতিন মিনিট ফুটিয়ে নামিয়ে রাখতে হবে। এই ক্যারামেলের পানি দিয়েই মিষ্টির বাদামি রংটা আসবে। ক্যারামেলের রং যত গাঢ় হবে মিষ্টির রংও তত গাঢ় হবে।

ঘন ক্ষীর:

আড়াই কাপ তরল দুধের সঙ্গে ১ টেবিল-চামচ চিনি মিশিয়ে অল্প আঁচে নেড়ে নেড়ে জ্বাল দিয়ে ঘন করে ১ কাপ থেকে কমিয়ে নিলেই ক্ষীর তৈরি হয়ে যাবে। ঠাণ্ডা করে বালিশ মিষ্টির উপরে দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

মিষ্টি তৈরি: একটি বড় থালায় ছানাটা হালকা ভাবে হাত দিয়ে খুব ভালো করে দুতিন মিনিট মথে মসৃণ করে নিন।
তারপর মিষ্টি তৈরির বাকি উপকরণ ছানার সঙ্গে মিশিয়ে আরও তিন থেকে চার মিনিট ভালো করে মথে মসৃণ করে নিন। তবে খুব বেশিক্ষণ মথা যাবে না। তাহলে ছানা থেকে তেল বের হয়ে যাবে। তখন আর ওই ছানা দিয়ে মিষ্টির আকার দেওয়া যাবে না।
ছানাটা একটা ডোয়ের মতো হলে দুই ভাগ করে নিতে হবে এবং একটা প্লেটে রেখে লম্বাটে আকারের দুইটি মিষ্টি বানাতে হবে।
এখন চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিয়ে শিরাটা আবার ফুটান। সিরা ফুটতে শুরু করলে খুব সাবধানে মিষ্টি দুইটি সিরাতে ছেড়ে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মাঝারি থেকে একটু বেশি আঁচে ১৫ মিনিট জ্বাল দিতে হবে।
১৫ মিনিট পর ঢাকনা সরিয়ে মিষ্টির হাঁড়িতে ক্যারামেলের (মিষ্টির রংয়ের পানি) পানিটা দিয়ে আবার ঢেকে ১০ মিনিট রান্না করতে হবে।

এর মাঝে অন্য চুলায় দুতিন কাপ পানি গরম করে চুলার আঁচ কমিয়ে রাখতে হবে। ১০ মিনিট পর মিষ্টিগুলো খুবই সাবধানে একবার উল্টে দিয়ে ঢেকে রান্না করতে হবে এক ঘণ্টা।

এই এক ঘন্টায় মিষ্টি রান্না হওয়ার সময়, ১/৪ কাপ ফুটন্ত গরম পানি প্রতি ১০ মিনিট পর পর মিষ্টির উপরে দিয়ে ঢেকে রান্না করতে হবে। এই পদ্ধতিতে মিষ্টি রান্না করলে একদম আসল মিষ্টির মতো স্বাদ এবং চেহারা পাবেন।
প্রথম ১৫ মিনিট আঁচটা বেশি থাকবে এবং বাকি সময়ে আঁচ মাঝারি থাকবে। মাঝে মাঝে হাঁড়ির হাতল ধরে হালকা করে সিরাসহ মিষ্টিগুলো নেড়ে দিতে হবে।
এক ঘণ্টা পর চুলা বন্ধ করে, ঢাকা অবস্থায় মিষ্টিগুলো সিরাতে পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা রেখে দিতে হবে। সারারাত রাখতে পারলে বেশি ভালো হয়।
তারপর ঘন ক্ষীরের সঙ্গে পরিবেশন করুন নেত্রকোনার প্রসিদ্ধ বালিশ মিষ্টি।
কিছু টিপস: ছানা যত নরম হবে মিষ্টিও তত নরম হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন ছানাতে একদম পানি না থাকে। ছানার পানি ভালোভাবে না ঝরালে মিষ্টি ভেঙে যাবে।

এই মিষ্টি দেখতে চমচমের মতো হলেও চমচম থেকে নরম হয়। চমচমের মতো কিছুটা শক্ত আর স্পঞ্জি হয় না।

একটু পর পর অল্প করে গরম পানি দেওয়ার ফলে শিরাটা ঘন হবে না এবং মিষ্টিও শক্ত হবে না। যেহেতু মিষ্টিগুলো আকারে অনেক বড় এবং রান্না করার পর দ্বিগুন হয়ে যাবে, তাই এই কথা মাথায় রেখে মিষ্টির হাঁড়িটা বড় নিতে হবে।
মিষ্টি সিরাতে দেওয়ার পর যখন ফুটতে থাকবে তখন যেন মিষ্টি কোনো ভাবেই হাঁড়ির তলায় না লাগে এবং পর্যাপ্ত সিরাতে ভেসে থাকে। তাই সিরার পরিমাণও নির্ভর করবে হাঁড়ির আকারের উপর।
সমন্বয়ে: ইশরাত জে. মৌরি।

Posted in লাইফস্টাইল | Comments Off on বালিশ মিষ্টি

রক্তে ‘প্লাটিলেট’য়ের সংখ্যা বাড়াতে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : তিন ধরনের রক্তকণিকার মধ্যে সবচাইতে ছোট আকারের হল ‘প্লাটিলেট’ বা অণুচক্রিকা। যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। ফলে কোথাও কেটে গেলে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয় দ্রুত।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের পরামর্শদাতা ডা. কামরুল হাসান (বিসিএস স্বাস্থ্য) বলেন, “রক্তে অণুচক্রিকার সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যাওয়াকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় ‘থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া’। অত্যন্ত জরুরি এই কণিকার আয়ু পাঁচ থেকে নয় দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে।”

কমে যাওয়ার কারণ: অণুচক্রিকা কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে ডা. কামরুল হাসান জানান, “প্রধান কারণ দুটি হল হয়ত অণুচক্রিকা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, নয়ত পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি হচ্ছে না।”
এর পেছনে অন্যতম কারণগুলো হতে পারে-

– ‘অ্যানিমিয়া’ বা রক্তে হিমোগ্লোবিন ও লোহিত রক্তকণিকা কমে যাওয়া, ভাইরাস সংক্রমণ, লিউকেমিয়া, কেমোথেরাপি, অতিরিক্ত মদ্যপান এবং ভিটামিন-বি টুয়েলভ’য়ের অভাবে অণুচক্রিকা তৈরি হওয়া কমে যেতে পারে। 
– তীব্র মাত্রার ক্যান্সার বা পিত্তথলির বিভিন্ন মারাত্বক রোগের কারণে।

– ইডিওপ্যাথিক থ্রম্বোসাইটোপেনিক পারপোরা (আইটিপি)’, ‘থ্রম্বোটিক থ্রম্বোসাইটোপেনিক পারপোরা (টিটিপি)’, রক্তে ব্যাকটেরিয়াজনীত প্রদাহ, ওষুধের প্রতিক্রিয়া এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাজনীত রোগবালাইয়ের কারণে অণুচক্রিকা ভেঙে যেতে পারে।”

উপসর্গ: এই চিকিৎসক বলেন, “অবসাদ, শারীরিক দূর্বলতা, ক্ষতস্থান থেকে দীর্ঘসময় রক্তক্ষরণ, ত্বকে র‌্যাশ, পায়খানা কিংবা প্রসাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া ইত্যাদি অণুচক্রিকার অভাবজনীত লক্ষণ।”

জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার মাধ্যমে অণুচক্রিকার পরিমাণ স্বাভাবিক অবস্থায় ধরে রাখা সম্ভব। এই বিষয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের একটি প্রতিবেদন অবলম্বনে উপকারী কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জানানো হল।

পেঁপে ও এর পাতা: ২০০৯ সালে মালয়শিয়ার ‘এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র করা গবেষণা অনুযায়ী, পেঁপে ও এর পাতা অণুচক্রিকার পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। এজন্য প্রতিদিন পাকাপেঁপে কিংবা পেঁপে পাতার শরবত পান করা যেতে পারে। অথবা

পেঁপের শরবত বানিয়ে তাতে লেবুর রস মিশিয়েও পান করতে পারেন।
কুমড়া ও এর বীজ: শরীরে আমিষ তৈরি করতে কুমড়ায় থাকা পুষ্টি উপদানগুলো কার্যকরী। এছাড়া এতে থাকে ভিটামিন-এ, যা শরীরে অণুচক্রিকা তৈরির প্রক্রিয়ায় সহায়ক।

লেবুর সরবত: লেবু থেকে মেলে ভিটামিন-সি যা অণুচক্রিকার সংখ্যা বাড়ায়। পাশাপাশি এটি রোগ প্রাতরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। ফলে মুক্তমৌলজনীত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায় অণুচক্রিকা।

আমলকী: এতেও আছে ভিটামিন-সি, তাই লেবুর সব গুণাগুণ মেলে। বাড়তি উপকার হল, আমলকীতে থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা অণুচক্রিকা কমে যাওয়ার জন্য দায়ী বিভিন্ন রোগ দূরে রাখে।

বিট: মুক্তমৌলজনীত ক্ষতি থেকে অণুচক্রিকাকে রক্ষা করতে বিট বেশ উপকারী। পাশাপাশি বাড়ায় এর পরিমাণ। তাই এক গ্লাস বিটের শরবত খাওয়ার অভ্যাস অণুচক্রিকার অভাব কমাতে সাহায্য করবে অনেকটাই।

অ্যালোভেরার শরবত: রক্ত বিশুদ্ধ করতে সহায়ক অ্যালোভেরা। রক্তে সংক্রমণ দূর করতেও এটি উপকারী। উভয়েরই ফলাফল রক্তে অণুচক্রিকার সংখ্যা বৃদ্ধি।

পালংশাক: ভিটামিন-কে থাকে পালংশাকে। যা কাটাছেঁড়ায় রক্ত বন্ধ করতে সাহায্য করে। আর নিয়মিত পালংশাকের শরবত বানিয়ে পান করলে অণুচক্রিকার পরিমাণ বাড়বে।
ছবি: রয়টার্স।

Posted in লাইফস্টাইল | Comments Off on রক্তে ‘প্লাটিলেট’য়ের সংখ্যা বাড়াতে

বেঁচে থাকার অক্সিজেন বন্ধু

লাইফস্টাইল ডেস্ক : বন্ধু, বেঁচে থাকার অক্সিজেন। স্বরবর্ণ আর ব্যঞ্জনবর্ণের নিখাদ বন্ধনের নিঃসংকোচ এ সম্পর্কে জীবন হয়ে ওঠে রঙিন। সুসময় কিংবা দুঃসময়ে বন্ধুর আপত্য স্নেহ আর ভালবাসার হাত বুকে সাহস যোগায়। প্রযুক্তির এ উৎকর্ষের যুগে বন্ধুত্বের ধরণও বদলাচ্ছে বারবার। ভুল মানুষকে বন্ধু ভেবে না বুঝেই উগ্র মতাদর্শে জড়িয়ে যান অনেকেই। তাই, বন্ধু নির্বাচনে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা।

ভালোবাসা, নির্ভরতা আর খুনসুটির এক অদ্ভুত বন্ধন; বন্ধু। নিঃসংকোচে নিজেকে প্রকাশ, সেতো বন্ধুর কাছেই সম্ভব। বন্ধুর মতো এমন আপন করে বুঝে নেয় কজন?

বন্ধুত্ব আটপৌরে।খুব প্রয়োজনে খুঁজে পাওয়া দুটি হাত। বন্ধুত্ব নতুন একটি জগৎ। বন্ধু এলেই খুলে যায় দরজা।তাইতো, মন খারাপ কিংবা ভালো লাগার ডায়েরী বন্ধুই।

বদলেছে সময়, বন্ধুত্ব এখন আর শুধু খেলার মাঠ, শিক্ষালয় কিংবা কর্মক্ষেত্রেই গড়ে ওঠে না, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে মুহূর্তেই বন্ধু হলেও আবেদন কি একই থাকছে?

এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ভার্চুয়াল জগতে ইমোশন নাই। সামনাসামনি যখন কথা বলা হয়, এমন বন্ধুত্বের মজাই আলাদা।’

আরেক জন বলেন, ‘অনেক সময় ভুয়া আইডি দিয়ে বন্ধুত্ব করা যায় কিন্তু সেটা সত্যিকারের বন্ধুত্ব না।’

মনোবিদরা বলছেন, স্পর্শহীন ভার্চুয়াল সম্পর্ক সহজ হলেও আবেগহীন।

মনোবিদ ড. মোহিত কামাল বলেন, ‘আমাদের তরুণ প্রজন্ম বিপথে চলে গেছে। অনেকে জঙ্গিবাদে জড়িয়েছে, মাদকের সাথে যাচ্ছে। বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, হাত দিয়ে ধরা বন্ধুকে, বলা যে, ‘চল’। এই যে আন্তরিকতা সেটা কিন্তু ফেসবুকে থাকবে না। ফেসবুক আমাদের কিছুটা আর্টিফিশিয়াল করে ফেলেছে। এটির স্থায়িত্ব নাও থাকতে পারে।’

বন্ধুত্বের প্রতিটা সকাল-বিকেল-সন্ধ্যা কিংবা রাত, বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়া গল্পের ঝাঁপি, গল্প, কবিতায় উচ্ছল ।

এমনই হয় বন্ধুত্ব। বন্ধুত্বের আহ্বানের প্রতিটি সময় হয়ে উঠে রঙিন। ভালোবাসা ভালোলাগার নিখাদ এ সম্পর্কে থাকে না কোন স্বার্থ। তাই তো বন্ধুত্বের এ জয়গান চলছে নিরন্তর।

সময়টিভি অনলাইন

Posted in লাইফস্টাইল | Comments Off on বেঁচে থাকার অক্সিজেন বন্ধু

নারকেল ও মধু: চুল হবে ঝলমলে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : রুক্ষ ও প্রাণহীন চুলে জৌলুস ফেরাতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন ঘরে তৈরি শ্যাম্পু। নারকেলের দুধ ও মধুর তৈরি এই শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল তো পরিষ্কার হবেই, পাশাপাশি বন্ধ হবে চুল পড়া। এছাড়া চুলের বৃদ্ধি বাড়বে ও প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসবে চুলে। নারকেল ও মধু
যেভাবে তৈরি ও ব্যবহার করবেন শ্যাম্পু-

কাপ নারকেলের দুধ নিন।
টেবিল চামচ বেবি শ্যাম্পু মেশান।
চা চামচ মধু মেশান।
কয়েক ফোঁটা ভিটামিন-ই অয়েল ও ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে নেড়ে নিন। মিশ্রণটি শ্যাম্পু হিসেবে ব্যবহার করুন চুলে।

মধু ও নারকেলের দুধের শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন কেন?

চুলের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে নারকেলের দুধ।
মাথার ত্বকের পিএইচ লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে এটি।
বিবর্ণ ও রুক্ষ চুলে ফিরিয়ে আনে ঝলমলে ভাব।
চুলের বৃদ্ধি দ্রুত করে।
চুল পড়া বন্ধ করতেও এই শ্যাম্পু কার্যকর।
চুলের আগা ফাটা রোধ করে এটি।

তথ্য: দ্য ইন্ডিয়ান স্পট

Posted in লাইফস্টাইল | Comments Off on নারকেল ও মধু: চুল হবে ঝলমলে

অবসরের পর শেখ হাসিনাকে নিয়ে লিখবেন মুহিত

ডেস্ক রিপোর্ট : অবসর নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে লিখবেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

শেখ হাসিনাকে নিয়ে লেখা একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “গ্রন্থটির সম্পাদক শেখ হাসিনাকে নিয়ে আমার একটি প্রবন্ধ চেয়েছেন। কিন্তু আমার লেখার সময় হয়ে ওঠেনি। কিন্তু আমি অবসরের পর শেখ হাসিনাকে নিয়ে নিশ্চয়ই লিখব।”

বুধবার বিকালে জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা’ শিরোনামে শেখ হাসিনাকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন প্রবন্ধের সংকলনটির প্রকাশনা অনুষ্ঠান হয়।

১৭ বছরের রাজনৈতিক জীবনে শেখ হাসিনার সাহচর্য, সহযোগিতার নানা দিক তুলে ধরে মুহিত বলেন, “এতদিন ধরে আমার কর্মস্পৃহা, কর্মোদ্যম একই পথে চলছে, তার পেছনে দ্য গ্রেট লিডারের ইনসপেরেশন, অ্যাসিস্টেন্সি রয়েছে।”

বইটি নিয়ে আলোচনায় তিনি বলেন, “গ্রন্থটির বিশেষত্ব হচ্ছে, এতে প্রতিটি রচনার পাশাপাশি ঠাঁই পেয়েছে বেশ কিছু দুর্লভ ছবি।”

বইয়ে অর্মত্য সেনের লেখা প্রবন্ধ ‘শান্তি ও গণতন্ত্রের মানসকন্যা’ প্রবন্ধটি উদ্ধৃত করে মুহিত বলেন, “শেখ হাসিনা এখন এক বিশ্ব সম্পদ, বিশ্বনেতাদের কাতারে তিনি একজন। তার এই অগ্রযাত্রায় আমরা গৌরব করতে পারি। তার এই আসন আমরা কোনোভাবে বিচ্যুত হতে দিতে পারি না।”
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, “বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালির স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষা, সাহস-শক্তির প্রতীক। তারপর ভাবছিলাম এই উপাধি কার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে? তখনই ভাবলাম নানা চড়াই উৎরাই অতিক্রম করে উত্থান-পতনের ভেতর দিয়ে সাহসী অবদান তো একজনই রেখেছেন, তিনি আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।”

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারকে ‘উন্নয়নের দর্শন’ অভিহিত করে পিকেএসএফ-এর সভাপতি কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেন, “দর্শন বোঝার জন্য আর কিছু দরকার নাই।বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের পর এই ইশতেহারে অর্থনৈতিক দিকদর্শন খুঁজে পাই।”

বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট ও সময় উন্নয়ন সোসাইটির সহযোগিতায় সাংবাদিক ও সংগঠক টি এইচ এম জাহাঙ্গীরের সম্পাদনায়, বাংলা টাইমস প্রকাশনী থেকে ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা’ গ্রন্থটিতে ৩৪টি প্রবন্ধ সংকলিত হয়েছে। এতে শেখ হাসিনার জীবনীর পাশাপাশি রাজনীতি, অর্থনীতি ও সামাজিক অগ্রগতিতে তার ভূমিকার ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এ কে আবদুল মোমেনের সভাপতিত্বে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, ই্নভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মজিব উদ্দিন আহমদ, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম, ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরী, আরডিএ মহাপরিচালক প্রকৌশলী এম এ মতিন অতিথি হিসেবে ছিলেন।

সূত্র :বিডিনিউজ২৪।

Posted in জাতীয়, লাইফস্টাইল | Comments Off on অবসরের পর শেখ হাসিনাকে নিয়ে লিখবেন মুহিত

তৈলাক্ত চুলের যত্ন

লাইফস্টাইল ডেস্ক : তৈলাক্ত চুল বরাবরই প্রাণহীন নিস্তেজ মনে হয়। তাই প্রয়োজন বাড়তি যত্ন।

রূপচর্চাবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে তৈলাক্ত চুলের যত্ন ও কেশবিন্যাস করার উপায় সম্পর্কে জানা যায়।   

প্রি-কন্ডিশনিং: সাধারণ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করার পরিবর্তে, বিপরীত পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। অর্থাৎ আগে কন্ডিশনার ও পরে শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। প্রথমে চুলে শ্যাম্পু দিয়ে তিন থেকে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর শ্যাম্পুর সাহায্যে ধুয়ে ফেলুন। ‘প্রি-কন্ডিশনিং’ চুলে ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে।

তেল চিটচিটে মাথার ত্বক: মাথার ত্বক তেল চিটচিটে থাকলে চুলও তৈলাক্ত দেখায়। তাই সব সময় মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখুন। মাথায় তেল ব্যবহার করলে দুবার করে শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এতে মাথার ত্বক ও চুল ভালোভাবে পরিষ্কার হবে।  
মানানসই ভাবে চুল কাটানো: যা আনবে চেহারায় পরিবর্তন। রূপবিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে জেনে নিন কোন ধরনের চুলের ছাঁট আপনার সঙ্গে বেশি মানানসই। সাধারণত যাদের চুল তৈলাক্ত তাদের সঙ্গে লেয়ার এবং অসমান ধরনের চুলকাটা বেশি মানানসই।  
চুলে ঢেউ খেলানোভাব আনা: চুলে ঢেউ খেলানোভাব আনতে অনেকে চিমটাজাতীয় ক্লিপ ব্যবহার করে থাকেন। সেক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে যে ক্লিপটা সম্পূর্ণ শুষ্ক। তবে চুলে তাৎক্ষণিক ঢেউ খেলানো ভাব আনতে সামুদ্রিক লবণ সমৃদ্ধ স্প্রে ব্যবহার করুন।  
শুষ্ক শ্যাম্পু: যাদের চুলের ধরনটাই তৈলাক্ত তারা শ্যাম্পু করার পরও চুল দ্রুত তেল চিটচিটে হয়ে যায়। তাই সঙ্গে ‘ড্রাই শ্যাম্পু’র বোতল রাখুন ও প্রয়োজন মতো ব্যবহার করতে পারবেন। তৈলাক্ত চুলে শুষ্ক শ্যাম্পু ব্যবহার করা হলে এর তেল চিটচিটেভাব কমে এবং নিস্তেজ ভাব দূর হয়।

সূত্র :বিডিনিউজ২৪।

Posted in লাইফস্টাইল | Comments Off on তৈলাক্ত চুলের যত্ন

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud