পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

সৌদি আরব থেকে ৯০ সহস্রাধিক অভিবাসী ফেরত

11112013_005_KSABDনিউজ ডেস্ক: সৌদি আরবে অবৈধভাবে বসবাসকারী ৯০ সহস্রাধিক অভিবাসী কর্মীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এতো বিপুল সংখ্যক অভিবাসীকে পাঠানো হয়েছে মাত্র ৪০ দিনের ব্যবধানে। অবৈধ অভিবাসী কর্মীদের শনাক্ত এবং দেশে ফেরত পাঠাতে পদক্ষেপ জোরদার করেছে দেশটি। এরই অংশ হিসেবে চলছে অভিযান। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আরব নিউজ। সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হচ্ছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বেশিরভাগ একাধিক স্পন্সরের জন্য কর্মরত ছিলেন। অবৈধ অভিবাসী বিরোধী কর্মসূচীতে প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় অভিযান চালানোর জন্য সম্প্রতি যোগ করা হয়েছে হেলিকপ্টার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৪০ দিনে সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রদেশে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোট এক লাখ আট হাজার ৩৪৫ জন অভিবাসীকে। এর মধ্যে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে ৯০ হাজার ৩৪৫ জনকে। বাকিদের বর্তমানে বিভিন্ন প্রদেশের ডিপোর্টেশন সেন্টারে রাখা হয়েছে।

Posted in প্রবাসী জীবন | Comments Off on সৌদি আরব থেকে ৯০ সহস্রাধিক অভিবাসী ফেরত

স্বল্প খরচে বাংলাদেশি শ্রমিক নেবে কাতার

FLAGঢাকা: স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে কাতার। নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে দেশটিতে প্রচুর কর্মী চাহিদা রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। মূলত ২০২২ সালে কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ কার্যক্রমে ব্যাপক কর্মীর চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। দেশটিতে কর্মরত বাংলাদেশের শ্রমিকদের কর্মদক্ষতার কথা বিবেচনায় রেখেই এ আগ্রহের কথা জানিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রবাসী কল্যাণ ভবনে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাতকালে এই আগ্রহের কথা জানান ঢাকায় নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আব্দুল আজিজ আল মানা। এ সময় তারা পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে নিয়েও আলোচনা করেন। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী ২০২২ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ কাজে আমাদের ব্যাপক কর্মীর চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। যা বিভিন্ন দেশ থেকে পূরণ করা হবে। এ উপলক্ষে ৫০ হাজার কর্মী নিয়োগের দরকার হবে। বাংলাদেশের কর্মীগণ এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারে বলে জানান তিনি। এছাড়াও তিনি অন্যান্য খাতে কর্মী নিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার প্রদানের আশ্বাস দেন। স্বল্প অভিবাসন ব্যয়েই এ সব শ্রমিক নেওয়া হবে বলে  হবে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, কাতারে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরা দক্ষতায় অন্যান্য দেশের কর্মীদের তুলনায় বেশি দক্ষ। এজন্য তিনি বাংলাদেশি কর্মীদের প্রশংসা করে বলেন, কোনো কর্মী যেন দালালের হাতে আর্থিকভাবে প্রতারিত না হয় সে বিষয়ে সরকারকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এ সময় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, আমাদের ২২ লাখ রেজিস্ট্রেশনকৃত কর্মীর ডাটা ব্যাংক রয়েছে। সে ডাটা ব্যাংক থেকে আমরা যে কোনো সংখ্যক কর্মী সরবরাহ করতে পারবো। এ পদ্ধতিতে কোনো আদম ব্যবসায়ীর প্রবেশের সুযোগ নেই। কাতারে বর্তমানে ২ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মী কর্মরত রয়েছে। এ সময় বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব খন্দকার মো. ইফতেখার হায়দার, বিএমইটির মহাপরিচালক বেগম শাসছুন নাহারসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।

Posted in প্রবাসী জীবন | Comments Off on স্বল্প খরচে বাংলাদেশি শ্রমিক নেবে কাতার

সৌদি আরবে বাংলাদেশীকে গুলি করে হত্যা

MAPনিউজ ডেস্ক: সৌদি আরবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এক বাংলাদেশীকে। তার নাম রফিক তাজুল ইসলাম (৩২)। তার বাড়ি শরীয়তপুর জেলার খোলাপাড়া। তাকে যে গুলি করেছে সে একজন মুয়াজ্জিন। তার অনুপস্থিতিতে আযান দিতেন রফিক। কিন্তু রোববার ওই মুয়াজ্জিন অনুপস্থিত ছিল। ফলে এদিন আযান দেন রফিক। কিন্তু যথাসময়ে তিনি আযান দিতে পারেন নি। বিলম্বে তিনি আযান দিয়েছেনÑ এ অপরাধে ক্ষিপ্ত হয়ে বাংলাদেশের রফিক ও ভারতের এক অভিবাসীর ওপর গুলি করে। এতে রফিক নিহত হন। আহত হন ভারতীয় ওই অভিবাসী। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের মাজমাহ জেলার ওরটাবিয়াহ এলাকার একটি মসজিদে রোববার আসরের ওয়াক্তের সময় আনুমানিক ৩:৩০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছুলে রক্তাক্ত অবস্থায় রফিকের মৃতদেহ উদ্ধার করে। আহত ভারতীয় কর্মী দুটি গুলির ক্ষত নিয়ে মাজমাহ জেলার কিং খালেদ  হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুলিশ তার নাম প্রকাশ না করলেও জানিয়েছে সে আশঙ্কামুক্ত। পুলিশ সন্দেহভাজন হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।

Posted in প্রবাসী জীবন | Comments Off on সৌদি আরবে বাংলাদেশীকে গুলি করে হত্যা

সিঙ্গাপুরের ইতিহাসে বিভীষিকাময় রাত

little_india_656574462
সিঙ্গাপুর: রোববার সপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সন্ধ্যার পর থেকেই হাজার হাজার বিদেশি অভিবাসী আর পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে সিঙ্গাপুরের ভারতীয় ও বাংলাদেশি অধ্যুষিত লিটল ইন্ডিয়া, রেসকোর্স ও তার আশপাশের এলাকা।
কর্মব্যস্ততা শেষে এই দিনটিতে সবাই পরিচিত জন ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা, খাওয়া দাওয়া আর কেনাকাটার জন্য এখানে ভিঁড় করেন। রেস্টুরেন্ট আর শপিং মলের পাশাপাশি অনেকেই আবার মদ-বিয়ার নিয়ে রাস্তার পাশে বা খোলা মাঠে বসে পড়েন।
পর্যন্ত হই-হুল্লোড়, উচ্চস্বরে গান-বাজনা আর আড্ডার পাশাপাশি মাঝেমধ্যে মাতাল হয়ে ছোটখাট অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটালেও আইনের সীমারেখা অতিক্রম করার কথা সিঙ্গাপুরে কেউ ভুলেও চিন্তা করেন না। কারণ, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর খুবই কঠোর।
সালের ৮ ডিসেম্বর রাতে ঘটে যায় এক অনাকাঙ্খিত ঘটনা।
ইন্ডিয়ার ব্যস্ততম একটি সড়কে মাতাল অবস্থায় ট্রাফিক সিগন্যাল না দেখেই রাস্তা পার হতে গিয়ে বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে মারা যান শক্তিভেল কুমার (৩৩) নামে একজন ভারতীয় নির্মাণ শ্রমিক।
তার সঙ্গীরা দুর্ঘটনার জন্য বাস ড্রাইভারকে দায়ী করে সঙ্গে সঙ্গে হইহুল্লোড় শুরু করে দেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন লিটল ইন্ডিয়ার কয়েকশ’ ভারতীয় নাগরিক। তাদের অধিকাংশই তখন মদ খেয়ে মাতাল হয়েছিলেন।
জন্য দায়ী বাসটি ভাংচুর করেন।কিন্তু তবুও তাদের ক্ষোভ যেন মিটছিল না। তাই এবার তারা রাস্তায় থাকা অন্যান্য গাড়িগুলো ভাঙ্গতে শুরু করেন।
সময় এলাকার বাসিন্দা, দোকানদারসহ হাজার হাজার মানুষ অবাক দৃষ্টিতে তাদের তাণ্ডব দেখছিলেন। কারণ, টিভি-সিনেমায় এজাতীয় দৃশ্য সচরাচর দেখা গেলেও সিঙ্গাপুরের মত দেশে এভাবে আইন হাতে তুলে নিয়ে কেউ দাঙ্গা ফ্যাসাদ করবে- এটা তাদের ধারণারও বাইরে ছিল।
মধ্যেই ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। কিন্তু তারাও প্রথমে বুঝে উঠতে পারছিল না- কি করবে। কারণ, প্রশিক্ষণের সময় অনুশীলন করলেও বাস্তবে সিঙ্গাপুরে এ ধরনের কোন পরিস্থিতির মুখোমুখি তারা কখনো হয়নি।
লিপ্ত ভারতীয়দের শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু মাতাল ভারতীয়রা এবার পুলিশের উপর হামলা করে বসে। তারা কয়েকটি পুলিশের গাড়িতে ভাংচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। তাদের হামলায় আহত হয় প্রায় ১১ জন পুলিশ।
পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়। কয়েক হাজার পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু করে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান। ঘটনাস্থল থেকে শতাধিক বিদেশি অভিবাসীকে আটক করা হয় যাদের অধিকাংশই ভারত, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার নাগরিক। যদিও তাদের মধ্যে অনেকে ঘটনাস্থলে শুধু দর্শক হিসেবেই ছিলেন।
আনুমানিক ১টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আসে। কিন্তু, পুরো এলাকায় ততক্ষণে আতঙ্ক, পোড়া গন্ধ আর ভাঙচুরের ধ্বংসাবশেষ মিলে এক ভৌতিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
সকালে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। সপ্তাহব্যাপী প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষী ও সার্বিক পরিস্থিতির উপর ব্যাপক তদন্ত শেষে কমিটি কিছু সুপারিশসহ তাদের রিপোর্ট জমা দেয়।
থেকেই রেসকোর্স আর লিটল ইন্ডিয়ায় বসবাসরত লক্ষাধিক বিদেশি অভিবাসীর জীবন যাত্রা যেন আক্ষরিক অর্থেই নরকে পরিণত হয়।
ইন্ডিয়া ও তৎসংলগ্ন এলাকার জন্য একটি নতুন ও বিশেষ আইন জারি করা হয়। এই আইনে পুলিশকে যেকোনো সন্দেহজনক ব্যক্তিকে তল্লাশি বা গ্রেফতার করার ক্ষমতা দেয়া হয়।
লিটল ইন্ডিয়ার নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ও নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে কেউ অ্যালকোহল সেবন করতে পারবেন না এবং এক সঙ্গে দুইজনের অধিক লোক চলাফেরা করতে গেলে তাদেরকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখা হবে বলে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়। পুরো এলাকা সর্বক্ষণ সিসিটিভি ক্যামেরা আর সাদা পোশাকের পুলিশের নজরদারিতে নিয়ে আসা হয়।
অভিবাসীদের এই মাতলামির কারণে পুরো সিঙ্গাপুরে ভারতীয়দের পাশাপাশি বাংলাদেশিরাও চরম বিড়ম্বনা, অসহযোগিতা ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন হন।
অভিবাসন নীতিতে অলিখিত পরিবর্তন আনা হয়। ভারত ও বাংলাদেশিসহ দক্ষিণ এশিয়ার নাগরিকদের চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কঠোর বাধা ও নিয়ম কানুনের বেড়াজাল সৃষ্টি করা হয়। সরকারি কঠোর পদক্ষেপের পাশাপাশি সিঙ্গাপুরের নাগরিকরাও বিদেশি অভিবাসনের বিরোধিতা করে আন্দোলন শুরু করেন। ফলে গত বছর এই দাঙ্গার পর থেকে অনেক মেধাবী ও পরিশ্রমী ব্যক্তিও সিঙ্গাপুরে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
তদন্ত ও সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আটক বাংলাদেশি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদেরকে মুক্তি দিয়ে মোট ২৪ জন ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে দাঙ্গা ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ আনা হয়। পরে তাদের সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও জরিমানাসহ বেত্রাঘাতের শাস্তি দেয়া হয়।
বিগত চল্লিশ বছরের ইতিহাসে এ ধরনের ভাংচুরের ঘটনা আর কখনও ঘটেনি। তাই একটি বছর পার হওয়ার পরেও লিটল ইন্ডিয়ার সেই ভয়াল সেই রাতের কথা এখনও সবার আলোচনার বিষয় হয়ে আছে।

Posted in প্রবাসী জীবন | Comments Off on সিঙ্গাপুরের ইতিহাসে বিভীষিকাময় রাত

বাংলাদেশি পাত্রপাত্রী সঙ্কট ব্রিটেনে

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ছেলেমেয়েদেরকে বিয়ে দেওয়া তাদের পরিবারের জন্য কমবেশি উদ্বেগের। যেসব পরিবার এদেশে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন তার অভিভাবকরা বলছেন যে, পছন্দসই বাংলাদেশী পাত্রপাত্রী না পাওয়ায় সন্তানদের বয়স বেড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে ছেলেমেয়েরাও বাংলাদেশী নয় এরকম কোনো বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড থাকা সত্ত্বেও পরিবারের কাছে তা প্রকাশ করতে দ্বিধা করছে। পূর্ব লন্ডনের বাংলা টাউনে আলতাব আলী পার্কের বেঞ্চে বসে আড্ডা মারছিলো দু’জন তরুণ, দু’জনই বাংলাদেশী ব্রিটিশ। একজনের জন্ম এদেশেই, আরেকজন মাত্র তিন বছর বয়সে ব্রিটেনে এসেছেন। এখন তাদের বয়স ৩০। “এখনও বিয়ের কথা ভাবি নাই, যখন ঠিক করবো যে বিয়ে করবো তখন পাত্রী টুকাবো, বউ পেয়ে যাবো ইনশাল্লাহ।” বললেন একজন তরুণ। তিনি বললেন, মেয়েটি বাংলাদেশী বা ইংরেজ যে কোনো দেশেরই হোক না কেনো তার আপত্তি নেই। কিন্তু তাকে মুসলমান হতে হবে।url
আরেকজন বললেন, ঘরে তার বিয়ের কথা হচ্ছে কিন্তু পছন্দমতো পাত্রী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার অভিভাবকরা চান বাংলাদেশী মেয়ে এবং অবশ্যই মুসলিম।
এরকম বেশ কয়েকজন অভিভাবক আমাকে তাদের ছেলেমেয়েদের সিভি দিয়েছেন। খোলামেলাভাবেই বলেছেন তাদের দুশ্চিন্তার কথা। লোকলজ্জার ভয়ে তারা নাম বলতে চাননি।

এরকম একজন মা, ৪০ বছর ধরে আছেন ব্রিটেনে, তার দুই মেয়ের জন্যে বহু বছর ধরে পাত্র খুঁজছেন। তাদের বয়স ৩৪ আর ৩২। জানালেন, দুশ্চিন্তায় প্রায়শই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
“ভালো পাত্র পাওয়া খুব কঠিন। ১০ বছর ধরে খুঁজছি। কিন্তু কোথাও মেলাতে পারছি না।” বললেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা নিজেরা পছন্দ করে বিয়ে করেন তাদের অসুবিধা নাই কিন্তু যাদের জন্যে ছেলেমেয়ে খুঁজতে হয় তাদের বিয়ে দেওয়া খুব কঠিন।
বাবা মায়েরা আগে ছেলেমেয়েদেরকে বাংলাদেশে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দিতেন। তারমধ্যে কিছু আছে জোরপূর্বক বিয়ে।

কিন্তু সেসব বিয়ের অভিজ্ঞতা খুব একটা ভালো না হওয়ায় পিতামাতারাও এখন আর সেধরনের বিয়েতে আগ্রহী নন।
ব্রিটেনে একটি কলেজের শিক্ষক রেহানা বেগম এসব পারিবারিক ও সামাজিক বিষয়ে লেখালেখি করেন। তিনি বললেন, দেশে অনেক আত্মীয় স্বজন থাকায় বিয়েটা কোনো সমস্যা নয়, কিন্তু এখানে অপশন খুব কম। বহু ছেলে মেয়ে আছে যাদের বয়স হয়ে যাচ্ছে কিন্তু বিয়ে হচ্ছে না। তাদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যাই বেশি।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “বাংলাদেশী মেয়েরা পড়ালেখা ও চাকরিবাকরিতে ছেলেদের তুলনায় অনেক এগিয়ে আছে। ফলে মেলানো যায় না।”
ষাটের দশকে এদেশে এসেছেন এরকম একজন, নাম বলতে চাননি, একটি লোকাল কাউন্সিলে বহু বছর ধরে কাজ করছেন, নিজের ছেলেমেয়েদের সবাইকে বিয়েও দিয়েছেন, ভারতীয় এক মেয়ের সাথে এমাসেই বিয়ে হয়েছে ছোট ছেলের, তারা এখন হানিমুনে।

তিনি বললেন, বাংলাদেশী অভিভাবকরাও নিজের দেশের বাইরে ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিতে চান না। এটাও একটা সমস্যা।
“বিয়ের ব্যাপারে আমরা থানার বাইরে যেতে চাই না, তারপরে জেলার বাইরেও যেতে চাই না। যেতে চাই না দেশের বাইরেও, ফলে বাজারটা অত্যন্ত ছোট আর সীমিত হয়ে গেছে।”

বিয়ের এই সমস্যাকে কেন্দ্র করে ব্রিটেনে গড়ে উঠেছে বহু প্রতিষ্ঠান যারা ঘটকালি করেন।
পূর্ব লন্ডন মসজিদে এরকম একটি সংস্থা আল ইহসান ম্যারেজ ব্যুরো।
সেখানে যাওয়ার পর আধ ঘণ্টার মধ্যেই বেশ কয়েকজন ফোন করে পাত্রপাত্রীদের ব্যাপারে খোঁজ নিলেন।
আল ইহসানে রেজিস্ট্রেশন করা আছে ৭০০এর মতো পাত্রপাত্রী, যাদের দুই তৃতীয়াংশই নারী। তাদের তালিকায় দেখা যাচ্ছে- আপনি কি ননব্রিটিশ কাউকে বিবেচনা করবেন এই প্রশ্নে ৯৮শতাংশই বলছেন- না। কিন্তু বাংলাদেশী নন এরকম পাত্রপাত্রীর ব্যাপারে আপত্তি নেই অনেকেরই।

বাংলাদেশী অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসে অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন ঘটক আনু মিয়া। স্থানীয় লাইব্রেরির কর্তৃপক্ষ ঘটকালি করার জন্যে তাকে সেখানে সপ্তাহে দু’দিন বসতে দিয়েছে। ১৪ বছর ধরে একাজ করছেন তিনি।
বললেন, “ছেলেমেয়েদের সাথে অভিভাবকদের একটা গ্যাপ আছে। বাবা মায়েরা এসে ছবি নিয়ে যান, সন্তানদেরকে দেন কিন্তু তারা খুলেও দেখে না। কারণ তাদের ইতোমধ্যেই সুব্যবস্থা করা আছে।”
‘সুব্যবস্থা’ বলতে তিনি বলছেন যে, ইতোমধ্যেই তারা তাদের ইংরেজ পার্টনার বাছাই করে রেখেছেন যা তারা বাবা মায়ের কাছে গোপন রাখছেন।

তিনি জানান, বাংলাদেশী পাত্রপাত্রীর অভাবের কারণে পাকিস্তানি, আরবি ও মিশরের মুসলমানদের সাথেও বাংলাদেশীদের বিয়ে হচ্ছে। প্রচুর বিয়ে হচ্ছে ইংরেজদের সাথেও।
দুই কন্যার বিয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকা মাও বলছেন, ইংরেজ হলেও আপত্তি নেই। এমনকি অমুসলিম হলেও। তবে তিনি চাইবেন তাকে যেনো ধর্মান্তরিত করা হয়।
এই মায়ের পরামর্শ হচ্ছে ছেলেমেয়েরা নিজেরাই যেনো তাদের পার্টনার খুঁজে রাখেন।

আলতাব আলী পার্কের দুই ব্রিটিশ বাংলাদেশী তরুণও স্বীকার করেছেন যে বাবা মার যতো আপত্তিই থাকুক না কেনো তারা তাদের পছন্দেই বিয়ে করবেন।
অভিভাবকরা বলছেন, বিয়ের জন্যে শুধুমাত্র বাংলাদেশীদের মধ্যে সীমিত থাকলে ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি আরো প্রকট হয়ে উঠবে।
আর একারণেই বাংলাদেশী পরিবারগুলো, অন্তত বিয়ের ব্যাপারে, যে আরো বেশি আন্তর্জাতিক হয়ে উঠতে বাধ্য হবে সেটা নিয়ে তাদের কোনো সন্দেহ নেই। সূত্র: বিবিসি

Posted in প্রবাসী জীবন, লাইফস্টাইল | Comments Off on বাংলাদেশি পাত্রপাত্রী সঙ্কট ব্রিটেনে

মালয়েশিয়ায় অরিজিৎ সিংয়ের কনসার্ট ১৪ ডিসেম্বর

arijit_ma_banglanews24_440230775কুয়ালালামপুর (মালয়েশিয়া): ভারতের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী অরিজিৎ সিং কনসার্টে অংশ নিতে মালয়েশিয়া আসছেন।
আগামী ১৪ ডিসেম্বর কুয়ালালামপুরের দেওয়ান ওয়াসান একচিবিসান সেন্টার, মিনারা (পিজিআরএম) ৮ জালান পুডু উলু, চেরাসে মালয়েশিয়া সময় সন্ধ্যা ৬টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা) এই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।
এদিন সকালে ২৭ বছর বয়সী এই সঙ্গীত শিল্পী কুয়ালালামপুর এসে পৌঁছাবেন।
‘অরিজিৎ সিং লাইভ ইন কনসার্ট’ শিরোনামে কনসার্টটি আয়োজন করেছে মালয়েশিয়ার নামি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা হিটম্যান সলুসন।
হিটম্যান সলুসনের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, অরিজিৎ সিং বর্তমান সময়ের অত্যন্ত জনপ্রিয় গায়ক। বাংলাদেশ, ভারত, নেপালে তার অসংখ্য গানের ভক্ত রয়েছে।
তিনি জানান, মালয়েশিয়ায় এই তিনটি দেশের বিপুলসংখ্যক প্রবাসী রয়েছেন। এ ছাড়াও মালয়েশিয়াতেও তার সঙ্গীতের অনেক ভক্ত রয়েছেন। তারা হিন্দি গানও পছন্দ করে।
তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী, সব দেশের দর্শক আমাদের অনুষ্ঠানে আসবে।
অরিজিৎ সিং ছাড়াও কনসার্টে আরো কিছু চমক থাকবে বাংলানিউজকে জানান তিনি। এ কনসার্টে ভারতীয় ও মালয়েশীয় শিল্পীরা বলিউডের গানের পারফর্ম করবেন।
হিটম্যান সলুসনের কর্মকর্তা বাংলানিউজকে আরো জানান, অরজিৎ সিং যেহেতু বাংলা গান গাইতে পারেন, সেহেতু বাংলাদেশি দর্শক আমাদের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ইতোমধ্যে, অনেক টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।
কয়েক হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে এ বছরের সবচেয়ে সফল কনসার্ট হবে এটি। কনসার্ট উপভোগে আগ্রহীদের অনেকেই অনলাইনে টিকিট কিনতে শুরু করেছেন।
কনসার্টে টিকিটের ক্যাটাগরি:
কনসার্টে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সঙ্গীত পরিবেশন করবেন অরজিৎ সিং। কনসার্টের টিকিট কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- ডায়মন্ড, মূল্য- ৭০০ রিঙ্গিত, প্লাটিনাম মূল্য- ৩৭০ রিঙ্গিত, গোল্ড মূল্য ২৭০ রিঙ্গিত, সিলভার মূল্য- ১৭০ রিঙ্গিত এবং ব্রোঞ্জ মূল্য ১২০ রিঙ্গিত।
সনি টিভির ‘ফেম গুরুকূল’ নামে সঙ্গীত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে গায়ক হিসেবে আবির্ভাব ঘটেছিল অরিজিৎ সিংয়ের। এরপর বলিউডের অনেক ছবিতে তার গাওয়া গান জনপ্রিয়তা পায়।
গত বছর ‘আশিকি-২’ ছবির ‘তুমি হি হো’ শীর্ষক গানের মাধ্যমে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা লাভ করেন অরজিৎ সিং। এ গানের জন্য গতবছর তিনি ফিল্মফেয়ার-এর সেরা গায়কের পুরস্কার পান। শুধু বলিউডই নয়, কলকাতার চলচ্চিত্রে তার গাওয়া গান আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা পায়। বিশেষ করে গত বছর ‘বোঝে না সে বোঝে না’ ছবির টাইটেল গানটি গেয়ে বাংলা ভাষাভাষীদের হৃদয়ও জয় করতে সক্ষম হন তিনি। বর্তমানে বলিউড ও কলকাতার চলচ্চিত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও ব্যস্ততম গায়ক এ অরিজিৎ সিং।

Posted in প্রবাসী জীবন | Comments Off on মালয়েশিয়ায় অরিজিৎ সিংয়ের কনসার্ট ১৪ ডিসেম্বর

বাহরাইনের হিমঘরে সাড়ে ৩ বছর!

মানামা: বাহরাইনের রাজধানী মানামার সালমানীয়া মেডিকেল কমপ্লেক্স হাসপাতাল মর্গে সাড়ে ৩ বছর ধরে পড়ে আছে আরও এক হতভাগ্য বাংলাদেশির মরদেহ। সম্প্রতি হিমাগারে রফিকুল ইসলাম নামে একজনের মরদেহের খবর পাওয়ার রেশ  কাটতে না কাটতেই এই মরদেহের খোঁজ পাওয়া গেলো। দুতাবাস ও মর্গ সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ১০ মে থেকে মর্গে সফিউল্লাহ নামে একজনের মরদেহ সংরক্ষিত আছে। মরদেহের সঙ্গে একটি পাসপোর্টের ফটোকপি পাওয়া গেছে-যার নম্বর এম-০২২৯১৫৩। পাসপোর্টে বর্ণিত তথ্য অনুযায়ী মৃতের নাম সফিউল্লাহ। পিতা-রুহুল আমিন। গ্রাম-ফুলছোয়া। ডাকঘর-বাকিলা। থানা–হাজীগঞ্জ। জেলা-চাঁদপুর।
6441630-Morgue_drawers-0
তবে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম) মহিদুল ইসলাম বলেন, লাশের সঙ্গে থাকা পাসপোর্টের ফটোকপিতে হাতে লেখা একটি বাংলাদেশি মোবাইল নাম্বার পাওয়া যায়। দূতাবাস থেকে ওই নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে টেলিফোনধারীই নিজেকে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের ফুলছোয়া গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে সফিউল্লাহ বলে দাবি করেন। তিনি মৃতব্যক্তিকে তার বড় ভাই মোহাম্মদউল্লাহ বলে দাবি করেন। তিনি আরও জানান-তার বড়ভাই দীর্ঘ দিন ধরে বাহরাইনে বসবাস করছিলেন। ২০১১ সালের ১০ মে তার মৃত্যু হয়।

মহিদুল ইসলাম বলেন, মোহাম্মদউল্লাহ অবৈধভাবে বাহরাইনে বসবাস করছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি ছোট ভাই এর পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের ফটোকপি বহন করছিলেন। তাই তার পরিচয় শফিউল্লাহ নামেই লিপিবদ্ধ হয়। মরদেহটি দীর্ঘ দিন মর্গে থাকায় এটি এখন দেশে পাঠানোর মতো অবস্থায় নেই। মূলত চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার  ৭ নং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের ব্রাক্ষণছোঁয়া গ্রামের হাজি বাড়ির রফিকুল ইসলামের লাশ নিয়ে সম্প্রতি মিডিয়ায় আলোচনার প্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে বাহরাইনস্থ বাংলাদেশ দুতাবাস।

এ ব্যপারে বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল কে এম মমিনুর রহমান বলেন, রফিকুল ইসলামের (শাহ আলমের) লাশের অবস্হান নির্ণয় করতে গিয়ে মর্গে এ পর্যন্ত যতগুলো পুরনো লাশ ছিল সবগুলোর তথ্য খুঁজতে গিয়ে আমরা সফিউল্লাহর লাশটির খোঁজ পাই। তবে রফিকুল  ইসলাম বা শাহ আলম নামে কোন লাশ পাওয়া যায় নি। তিনি বলেন, সফিউল্লা অনেক বছর ধরে বাহরাইনে ছিলেন, তিনি অবিবাহিত ছিলেন। মা বাবাও ছিলেন না। তার কোনো আত্মীয়-স্বজনও লাশ দেশে নেয়ার ব্যাপারেও আগ্রহ দেখায়নি।

মৃতের ভাইয়ের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ  করলে তিনি বলেন, আমার ভাই টাইটেল পাশ মওলানা ছিলেন। আম‍াদের পরিবার অত্যন্ত গরীব। আমি নিজে ঢাকায় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করি। আমাদের ৪ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে তিনি বড় ছিলেন। পরিবারের জায়গা জমি বিক্রি করে তিনি ২৫ বছর আগে বাহরাইন যান, তার মালিক অন্ধ ছিল। তাকে ঠিক মত বেতন দিত না। তিনি পরিবারের জন্য মাঝেমধ্যে সামান্য টাকা পয়সা দিতেন । এতো বছর পর তার লাশ দেশে আনার মত সামর্থও আমাদের নাই। তাই লাশ ওখানে দাফন করলে আমাদের কোন আপত্তি নাই। বাহরাইনে প্রচুর সংখ্যক অবৈধ শ্রমিক থাকায় তারা অসুস্থ হলে বা কোন দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে হাসপাতালে  ভর্তি হতে গেলে সৃষ্টি হয় সমস্যা। এক্ষেত্রে চিকিৎসাধীন অবস্হায় ওই ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলে পোহাতে হয় অন্যরকম বিড়ম্বনা।
তথ্যসুত্র……বাংলানিউজ

Posted in প্রবাসী জীবন | Comments Off on বাহরাইনের হিমঘরে সাড়ে ৩ বছর!

সিঙ্গাপুরে দুল চুরি করে আটক স্বস্তিকা মুখার্জি

swastika_sm_992270881সিঙ্গাপুর: কোলকাতার গোয়েন্দা ভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ব্যোমকেশ বক্সী’র জনপ্রিয় নায়িকা স্বস্তিকা মুখার্জি সিঙ্গাপুরের একটি শপিং মলে স্বর্ণালংকার চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। তিনি পোশ মলের একটি জুয়েলারি দোকান থেকে ২২৫ ডলার মূল্যের একজোড়া কানের দুল তার হাতব্যাগের মধ্যে লুকিয়ে নিয়ে বের হতে গেলে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে দোকানের নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে ধরে ফেলেন।
ধরা পড়ার পর তিনি প্রথমে কানের দুলগুলি কিনে নিয়েছেন দাবি করলেও তার কোন রশীদ দেখাতে পারেননি।
সিঙ্গাপুরে কোন দোকানে চুরি করার শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ দশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হয়। তাই জুয়েলারি শপের ভারতীয় মালিক অপ্সরা অশওয়াল নিজ দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের সম্মান রক্ষার্থে স্বস্তিকাকে পুলিশে না দিয়ে বিষয়টি চলচ্চিত্র সমিতিকে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, আমি তার কোন শাস্তি চাই না। আমি আমার জুয়েলারির দাম অথবা তা ফেরত পেলেই খুশি।
বাংলা চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে এসেছিলেন স্বস্তিকা। তার এই কাণ্ডের খবর চাউর হলে উৎসবে যোগ দিতে আসা ঢালিউডের বরেণ্য শিল্পিরা বিব্রত হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত কানের দুলগ ফেরত দিয়ে রেহাই পান স্বস্তিকা।
তিনি কোলকাতার একসময়কার বিখ্যাত অভিনেতা শান্ত মুখোপধ্যায়ের মেয়ে।তিনি ২০০৩ সালে জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল ‘দেবদাসী’ দিয়ে তাঁর ক্যারিয়ার শুরু করেন।

Posted in প্রবাসী জীবন, বিনোদন | Comments Off on সিঙ্গাপুরে দুল চুরি করে আটক স্বস্তিকা মুখার্জি

সিঙ্গাপুরে দুই বাংলাদেশির কারাদণ্ড

Singapore_smসিঙ্গাপুর: সিঙ্গাপুর থেকে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে আটক হওয়া দুই বাংলাদেশিকে কারাদণ্ড দিয়েছেন সিঙ্গাপুরের আদালত। এক মালয়েশিয়ান ট্রাক ড্রাইভারের সহযোগিতায় গত ৫ জুলাই সড়ক পথে সিঙ্গাপুর থেকে মালয়েশিয়া পাড়ি দেয়ার সময় উডল্যান্ডস সীমান্তের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে পুলিশ তাদের আটক করে। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- নোয়াখালীর ইয়াসিন আলী (৩২) ও ফেনীর মোহাম্মদ আলী (৩৩) । জানা যায়, তারা উভয়েই ওই ট্রাকের ড্রাইভিং সিটের পেছনে ছোট্ট জায়গার মধ্যে লুকিয়ে ছিলেন। এসময় তাদের সারা শরীর পুরনো ও বাতিল কাপড়ে ঢাকা ছিল। পাসপোর্ট ছাড়া লুকিয়ে সীমান্ত পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করায় ইয়াসিন আলীকে ৩০ দিন এবং মোহাম্মদ আলীকে ৪৫ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়াও তাদেরকে সহযোগিতার অপরাধে মালয়েশিয়ান ট্রাক ড্রাইভারকে ছয় মাসের জেল ও দুই হাজার ডলার জরিমানা করা হয়।

Posted in প্রবাসী জীবন | Comments Off on সিঙ্গাপুরে দুই বাংলাদেশির কারাদণ্ড

লস এঞ্জেলেসে রিহ্যাবের আবাসন মেলা

rehab-fair-los-anjeles‘প্রবাসে উপার্জন-স্বদেশে আবাসন’ স্লোগান নিয়ে লস এঞ্জেলেসে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) আয়োজনে প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে আবাসন মেলা। গত শুক্রবার ইউনিভার্সাল স্টুডিও-এর পাশে গারল্যান্ড হোটেলের থিয়েটার হলে তিনদিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদুত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন। মেলা শেষ হচ্ছে আজ রোববার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন লস এঞ্জেলেসে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল সুলতানা লায়লা হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন রিহ্যাব মেলা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও রিহ্যাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রবিউল হক। আরও বক্তব্য দেন রিহ্যাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াহিদুজ্জামান। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে রিহ্যাব মেলার কো-চেয়ারম্যান সারোয়ারদী ভুঁইয়া। সমাপনী বক্তব্য দেন রিহ্যাবের যুগ্ম সম্পাদক ও মেলার কো-চেয়ারম্যান শাকিল কামাল চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শামা দেওয়ান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদুত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন বলেন, ‘বাংলাদেশের আবাসন ক্ষেত্রে রিহ্যাবের অবদান অনস্বীকার্য। লস এঞ্জেলেসে রিহ্যাব মেলায় এ অঞ্চলের প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগের সরাসরি দরজা উন্মুক্ত হয়েছে। রিহ্যাবের প্রায় ১২শ সদস্যসহ আবাসন শিল্পের উন্নয়নের সঙ্গে ২৬৯টি উপ-শিল্প খাতের ১২ হাজার শিল্প প্রকল্প নির্ভরশীল। এক কোটি ৫০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান ও ৭৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এই আবাসন শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। দেশের ১৪টি বড় শিল্প খাতের মধ্যে আবাসন শিল্পের অবস্থান তৃতীয়।’ প্রবাসীদের স্বপ্ন পূরণে বিশ্বাস ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে ব্যবসা-সেবা দেয়ার জন্য তিনি রিহ্যাবের প্রতি আহ্বান জানান। এক্ষেত্রে তিনি রিহ্যাবকে সামাজিক দায়বদ্ধতা বা কর্পোরেট সোস্যাল রেসপন্সিবিলিটির (সিএসআর) মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব প্রকল্প গ্রহণের আহ্বান জানান।গত শুক্রবার সকাল ১১টায় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা থাকলেও সময়মতো মেলার বুথ তৈরি না হওয়া ও শুক্রবারের নামাজের জন্য দুপুর বিকাল সাড়ে চারটায় মেলার উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রদুত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন। তখনও মেলার বুথের কাজ চলছিল। উদ্বোধন শেষে রিহ্যাবের কর্মকর্তাসহ মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন রাষ্ট্রদুত। এবার মেলায় ৪৩টি স্টলের মধ্যে অনেকেই গতকাল পর্যন্ত তাদের স্টলে আসেননি। মেলায় প্লট বা ফ্ল্যাট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পরিদর্শক হিসেবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রলায়ের যুগ্মসচিব শাহ মোহাম্মদ আবু রায়হান আল-বেরুনী মেলায় যোগ দিয়েছেন। গত ১০ বছর ধরে নিউইয়র্কে নিয়মিতভাবে রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-রিহ্যাবের উদ্যোগে হাউজিং ফেয়ার অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এতে প্রবাসে হাউজিং ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যাপক সাড়া পড়ে। লস এঞ্জেলেসে প্রথমবারের মতো রিহ্যাবের এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরে রাষ্ট্রদুত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন লিটল বাংলাদেশ এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান ও মতবিনিময় করেন। তিনি লস এঞ্জেলেসের বুকে লিটল বাংলাদেশ সাইন দেখে অভিভূত হন।

Posted in প্রবাসী জীবন | Comments Off on লস এঞ্জেলেসে রিহ্যাবের আবাসন মেলা

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud