March 26, 2025
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লিবিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির পূর্বাঞ্চলভিত্তিক আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সরকার। লিবিয়া থেকে অবৈধভাবে নৌপথে বাংলাদেশিদের ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ এনে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশটির পূর্বাঞ্চলভিত্তিক সরকারের মুখপাত্র হাতেম উরাইবি গতকাল শনিবার এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানান। গত বছর রাজধানী ত্রিপোলির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে এই সরকার। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই সরকারকে ‘বৈধ’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে হাতেম উরাইবি বলেন, ‘বাংলাদেশি শ্রমিকদের লিবিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।’ লিবিয়া সরকারের এই মুখপাত্রের অভিযোগ, বাংলাদেশি শ্রমিকেরা লিবিয়ার ফার্মে কাজ করতে আসেন। কিন্তু এরপর তাঁরা অবৈধভাবে নৌযানে চড়ে ইউরোপে পাড়ি জমান। অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে সরকারি তৎপরতার অংশ হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা পূর্বাঞ্চলভিত্তিক সরকারের আওতাভুক্ত স্থল সীমান্ত, নদী ও সমুদ্র বন্দর এবং বিমানবন্দরে কার্যকর হবে। এর বেশি কিছু জানাননি সরকারের মুখপাত্র।
লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের ওপর পূর্বাঞ্চলভিত্তিক সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ত্রিপোলির পতনের পর পশ্চিমাঞ্চলে পাল্টা সরকার গঠন করেছে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলকে মানবপাচারের প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করছে মানবপাচারকারীরা। প্রয়াত স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ভেঙে পড়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব। এমন প্রেক্ষাপটে মানবপাচারকারীদের অন্যতম কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে লিবিয়া। গত মাসে ভূমধ্যসাগরে এক নৌযান ডুবিতে প্রায় নয় শ অভিবাসী নিহত হয়। অভিবাসীবাহী ওই নৌযানটি লিবিয়ার ত্রিপোলি থেকে রওনা দিয়ে ইতালি অভিমুখে যাচ্ছিল। ভূমধ্যসাগর দিয়ে কয়েক দশক ধরেই এভাবে অভিবাসীরা বিপজ্জনকভাবে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করছে। ইরাক, সিরিয়া ও লিবিয়া সংকটের জের ধরে সাম্প্রতিক সময়ে এভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার ঘটনা বেড়েছে।
নোয়াখালী: দক্ষিণ আফ্রিকায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ওমর ফারুক স্বপন নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সন্ত্রাসীরা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
বুধবার সন্ধ্যায় এ খবর পৌঁছলে নিহতের বাড়িতে এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। নিহত ওমর ফারুক স্বপন (৪৫) নোয়াখালীর সেনবাগ পৌরসভার দক্ষিণ কাদরা গ্রামের মৃত চানু মিয়ার ছেলে। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
নিহতের ছোট ভাই মো. রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চার ভাই ও চার বোনের মধ্যে ওমর ফারুক স্বপন সবার বড়। বড় ছেলে হওয়ায় পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা আনতে ২০১২সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাছুমা সিটির একটি সুপার মার্কেটে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেন তিনি।
প্রতিদিনের মতো বুধবার দুপুরে তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করছিলেন। এসময় কয়েকজন স্থানীয় সন্ত্রাসী তার প্রতিষ্ঠানে এসে চাঁদা দাবি করলে তিনি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এসময় মাথা গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। সন্ত্রাসীরা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
পরে সন্ত্রাসীরা চলে গলে স্থানীয় বাংলাদেশিরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে নিহতের বাড়িতে এই খবর পৌঁছলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। ছেলের শোকে কান্না করতে করতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন স্বপনের ‘মা’। স্বামীকে হারিয়ে শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন স্ত্রী ফাতেমা আক্তার স্বর্প্না। স্ত্রী ফাতেমা আক্তার স্বর্প্না ও তার পরিবারের লোকজন নিহত স্বপনের লাশ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
নিউজ ডেস্ক: থাইল্যান্ডের মালয়েশিয়া সীমান্তে গত শুক্রবার সন্ধান পাওয়া গণকবরের কাছে মুমূর্ষ অবস্থায় এক বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়েছে। মুমূর্ষ অবস্থায় একজনকে উদ্ধারের পর ব্যাংককের বাংলাদেশ দূতাবাস এই তথ্য জানিয়েছে। পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল আলম জানান, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির সঙ্গে ব্যাংককের রাষ্ট্রদূত কথা বলেছেন। তখন ওই ব্যক্তি নিজেকে বাংলাদেশি বলে দাবি করেছেন। তার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরিচয় নিশ্চিত হলে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার থাইল্যান্ড মালয়েশিয়া সীমান্তে সন্ধান পাওয়া গণকবর থেকে এ পর্যন্ত ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অভিবাসীদের নানা দুর্যোগে বাংলাদেশি আক্রান্ত হওয়ার তথ্যও পাওয়া গেছে। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের অভিবাসন বিষয়ক কর্মসূচির প্রধান হাসান ইমাম বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশে বাংলাদেশের শ্রমিক যায় না। কাজের জন্য তারা কয়েকটি দেশকে নিজেদের জন্য উপযুক্ত মনে করেন। ওইসব দেশে অভিভাসন প্রক্রিয়া ব্যাহত হলে অবৈধ পথে বিদেশ যাবার প্রবণতা বাড়ে। এছাড়া দেশে কর্মসংস্থানের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় বৈধ বা অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। তবে কি পরিমাণ লোক প্রতিবছর অবৈধভাবে বিদেশে যায়, সে বিষয়ে সঠিক কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না।
হাসান ইমাম বলেন, অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার এবং সেখানে অমানবিক জীবনযাপনে বাধ্য হওয়ার কথা জেনেও ঝুঁকি নিয়ে বিদেশ যাচ্ছে মানুষ। এর অন্যতম কারণ অজ্ঞতা। অপরদিকে গতকাল রোববার ভূমধ্যসাগর থেকে সাগরপথে ইউরোপ যাওয়ার পথে সাড়ে ৩ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে ইটালিয়ান কোস্টগার্ড। গত মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় নৌকাডুবির ঘটনার অন্তত ৮০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরপর আবারও ঝুঁকি নিয়ে একই যাত্রা করেছেন অনেকেই।
সূত্র: বিবিসি
নিউজ ডেস্ক: সৌদিআরবের মদিনায় বিলের মাসির টয়টা কোম্পানি নামক স্থানে গতকাল সৌদি আরব সময় ৫টায় প্রাইভেট গাড়ির সাথে একটি পানির গাড়ির সংঘর্ষ হলে ঘটনা স্থলে বাংলাদেশী প্রবাসী আব্দুল মান্নান মারা যান।
উল্লেখ্য, খবর নিয়ে জানাযায় আব্দুল মান্নান তার প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে বাসায় যাওয়ার সময় একটি পানির গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। আব্দুল মান্নানের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম সাতকানিয়ার মির্জাখীল জমদার পাড়ায়।
ক্যালিফোর্নিয়া প্রতিনিধি : বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্রে বাঙালিদের এক অনুষ্ঠান থেকে ধাওয়া করে তাড়িয়েছেন প্রবাসীরা।
বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের রাজধানী সেক্রামেন্টোতে এ ঘটনা ঘটে।
জাতির জনক হত্যাকাণ্ডে আদালতের দণ্ড নিয়ে অনেক বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আছেন। তাকে ফেরাতে বাংলাদেশ সরকার তৎপরতাও চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেক্রামেন্টোর একটি লাইব্রেরিতে বাংলা বর্ষবরণের এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মহড়া করছিল শিশু-কিশোররা। অনেকের বাবা-মাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
রাশেদ চৌধুরী সেখানে উপস্থিত হলে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু নাসের রাজীব চিনতে পেরে তার দিকে তেড়ে যান। এতে ভয় পেয়ে ওই স্থান ত্যাগ করেন তিনি।
জাতির জনকের খুনিকে দেখে নিজের মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান আবু নাসের রাজীব।
তিনি বলেন, “আমি আবারও বঙ্গবন্ধুর এই খুনিকে কোথাও দেখলে তাকে তাড়া করব।”
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সেনাবাহিনীর সেই সময়ের বিপথগামী কয়েকজন কর্মকর্তা পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে হত্যা করে।
বাংলাদেশের উচ্চ আদালত এই হত্যামামলায় রাশেদ চৌধুরীসহ ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়। ২০১১ সালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজনের ফাঁসিও কার্যকর করা হয়।
এর মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত রাশেদ চৌধুরী ১৯৯৬ সালে পর্যটক ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের জন্য আবেদন করেন বলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন জানান।
তিনি বলেন, রাশেদ চৌধুরী ও তার পরিবারের অতীত কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত যাচাই-বাছাইয়ের জন্য রেখে ওই আশ্রয়ের আবেদন যুক্তরাষ্ট্র প্রাথমিকভাবে অনুমোদন করেছিল।
এরপর থেকে রাশেদ দেশটির বিভিন্ন স্থানে নিজের অবস্থান পাল্টিয়ে আসছিলেন। বর্তমানে তিনি সেক্রামেন্টো থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরের কন্ট্রা কস্তা কাউন্টির কনকর্ড শহরে নিজের ছেলের সঙ্গে থাকেন বলে জানা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন সংক্রান্ত তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত না থাকায় বর্তমানে রাশেদ চৌধুরী কিভাবে বা কী ধরনের ভিসা নিয়ে দেশটিতে অবস্থান করছেন, তা রহস্য হয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো অপরাধী প্রত্যার্পন চুক্তি না থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি।
ঢাকা: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে থেকে ৩৩৭ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। বাংলাদেশ বিমানের দুটি বিশেষ ফ্লাইটে রোববার ভোররাতে তারা ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামেন।
দেশে ফেরা এই বাংলাদেশিদের ভারতের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়। রোববার তারা ভারতের কেরালা থেকে ঢাকায় এলেন। বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
পরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ইয়েমেনে আটকে পড়া অন্য বাংলাদেশিদেরও দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে ইয়েমেন থেকে বেশ কিছু বাংলাদেশি দেশে ফেরেন।”
মউম্মুল ওয়ারা সুইটি : এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসিরা আতংকে দিন কাটাচ্ছেন। গত একমাস ধরে সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দাদের হাতে অভিবাসিরা বিভিন্ন ধরনের হামলার শিকার হচ্ছেন। এরমধ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গেছে।
আফ্রিকায় বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী হাসানুজ্জমান তুহিন এই প্রতিবেদককে মেইলে জানান, গত ১০ বছর ধরে তিনি সেখানে রয়েছেন। মাঝে মাঝে অভিবাসিরা স্থায়ী নাগরিকদের হামলার শিকার হন। তিনি জানান, গত একমাস ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় অভিবাসিদের উপর অব্যাহত হামলার ঘটনায় বিদেশিদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সেখানে থাকা বাংলাদেশিরাও।
দেশটিতে গত কয়েকদিন ধরে অভিবাসিদের ওপর হামলা চলছে। বিদেশিরা এসে স্থানীয়দের চাকুরী দখল করছে, এমন ক্ষোভ থেকেই এই হামলার শুরু।
আফ্রিকায় বসবাসকারী আসাদ হোসেন জানান, অনেক অভিবাসি হামলায় নিহত হয়েছে, বিদেশিদের পরিচালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকানপাট লুট হচ্ছে। কয়েকজন বাংলাদেশির দোকান লুট হয়েছে এবং স্থানীয়রা এলোপাথাড়ি এসে হামলা চালাচ্ছে। টাকাকড়ি সম্পদ নিয়ে যাচ্ছে। তারা বলে, আমরা কাজ পাইনা, তোরা আমাদের দেশে এসে ব্যবসা করছিস, তোরা যা।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশ পরিষদের সহসভাপতি মোঃ রেজাউল করীম খান ফারুক জানান, কয়েকজন বাংলাদেশির প্রতিষ্ঠানে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। অন্যরাও আতংকে রয়েছেন। তিনি বলছেন, শহরের বাইরে তো বটেই, অনেক শহর এলাকাতেও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাস থেকেও সবাইকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
মূলত আফ্রিকান অভিবাসিদের উপর স্থানীয়দের আক্রোশ থাকলেও, অন্য বিদেশিদের উপরও হামলার ঘটনা ঘটছে।
বিদেশি মালিকানার অনেক দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাটের ঘটনা ঘটছে বলে জানা গেছে। যদিও হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। দেশটিতে এসব হামলার প্রতিবাদে জিম্বাবুয়ে হারারেতে কয়েক হাজার বাসিন্দা দক্ষিণ আফ্রিকান দুতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে।
বিশেষ প্রতিনিধি: ইয়েমেনে কর্মরত বাংলাদেশীরা বাঁচতে চান। দেশটিতে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে আটকেপড়া বাংলাদেশীরা চরম নিরাপত্তার হুমকিতে রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি নেই।
উদ্ধার তৎপরতার অগ্রগতি সম্পর্কে রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট মহাপরিচালক মো. নাজমুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি বিষয়টি দেখছেন না জানিয়ে কাউন্সিলর শাখার মহাপরিচালক বা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহির্বিভাগ শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। মন্ত্রণালয়ের কাউন্সিলর শাখা বলতে পারবে। কাউন্সিলর শাখার মহাপরিচালক মো. লুৎফর রহমান ও পরিচালক বি এম জামাল হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
ইয়েমেনে কর্মরত বাংলাদেশীদের সহায়তার জন্য হেল্পলাইন চালু করা হয়। ১ এপ্রিল মন্ত্রণালয় থেকে এমন তথ্য দেওয়া হলেও নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করে তা বন্ধ পাওয়া যায়। হেল্পলাইনগুলো হল— ০০৯৬৫-৫০৫৭ ০৭৫৪ ও ০০৯৬৫-৯৪৯৩ ৪৩৬৩। এ ছাড়া হেল্পলাইনের ঢাকার নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করে দেখা গেছে, নম্বরগুলোতে রিং হয়, কিন্তু কেউ রিসিভ করেন না। ঢাকার নম্বরগুলো হচ্ছে— ০১৭১২৬২৬০৯৬৭ ও ০১৭১১৩৮০৩৭৪।
এদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম রবিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, ‘ইয়েমেনের সানা শহরের পাশের আল হুদাইদা শহর থেকে ভারতীয় জাহাজের সহায়তায় তিন বাংলাদেশীকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী দেশ জিবুতিতে নেওয়া হয়েছে।’
এর তিন ঘণ্টা পর প্রতিমন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, ‘সানা শহর থেকে বাংলাদেশীদের উদ্ধারের জন্য আমরা এয়ারক্রাফটের ব্যবস্থা করছি। প্রয়োজনীয় অনুমতি পাওয়া গেলে বিমানের ব্যবস্থা করা হবে।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইয়েমেনে প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার বাংলাদেশী কর্মরত আছেন। এ সংখ্যা সানা ও এ্যাডেন শহরে বেশি। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশীদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের কাউন্সিলর এস এম মাহবুবুল আলম আটকেপড়া বাংলাদেশীদের উদ্ধারে শুক্রবার ইয়েমেনে পৌঁছান। তিনি জিবুতিতে অবস্থান করে বাংলাদেশীদের হালনাগাদ তালিকা প্রস্তুত এবং আটকেপড়াদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করছেন।
সুত্র…দ্যা রিপাের্ট
ডেস্ক রিপোর্ট : ব্রিটিশ হোম সেক্রেটারি থেরেসা মে রোববার সানডে টাইমসের সাথে এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, বিদেশী ছাত্রদের জন্য সরকার আরো কঠোর পরিকল্পনার কথা ভাবছে। থেরেসা মে জানিয়েছেন, যে সব বিদেশী ছাত্র ছাত্রী স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে এসেছেন, নির্ধারিত কোর্স শেষ করার পর তারা যাতে নিজ দেশে ফেরত যান- সরকার সে ব্যাপারে কঠিন ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছে। থেরেসা মে বলেছেন, বিদেশী ছাত্রদের কোর্স শেষ করে নিজ দেশে যেতে হবে। আর কোনভাবেই কোর্স শেষ করে বিদ্যমান আইনের সুযোগে ভিসা সুইচ করার সুযোগ পাবেননা। কোর্স শেষ করে ব্রিটেনে কাজ করতে হলে বিদেশী ছাত্রদেরকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন নিজ দেশে গিয়ে করে ভিসা নিয়ে আসতে হবে।
বর্তমানে ব্রিটেনে স্টুডেন্ট ভিসার সুযোগে কোর্স শেষ করে ভিসা সুইচ করার রেওয়াজ চালু রয়েছে। সানডে টাইমসকে থেরেসা মে বলেছেন এই সুযোগ আর কেউ পাবেননা।
ভারতীয় স্টুডেন্ট সাধারণতঃ এই সুযোগে কোর্স শেষ করে ভিসা সুইচ করে ব্রিটেনে থাকার সুযোগ নিয়ে থাকেন। থেরেসা মে এ ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপের এক গোপণ পরিকল্পণার কথাও সানডে টাইমসকে জানিয়েছেন।
মুভ টু-ওয়ার্ড জিরো নেট স্টুডেন্ট মাইগ্র্যাশন- নামের থেরেসা মের এই পরিকল্পনায় রয়েছে, যে সব বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ বিদেশি ছাত্রদের স্পন্সর ও ভর্তি করে থাকে, তাদের কোর্স শেষে বিদেশী ছাত্র দেশে ফেরত না গেলে বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের ক্ষেত্রে ফাইন আরোপ করার। থেরেসা মে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের জন্য বিদেশী ছাত্র যাতে কোর্স শেষ করে নিজ দেশে ফেরত যান- তার মনিটরিং এবং ব্যবস্থার দায় দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের উপর দিতেও চান- অর্থাৎ আইনি কাঠামোর আওতায় নিয়ে আসার কথা বলেছেন।
আগামী নির্বাচনে কনজারভেটিভ ম্যানিফেস্টোতে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে বিদেশি ছাত্রদের ব্রিটেন এসে কোর্স শেষ করে নতুন করে কাজের ভিসা আবেদনের জন্য ব্রিটেন অবশই ত্যাগের কথা বলা হয়েছে বলেও থেরেসা মে জানিয়েছেন।
বর্তমান কোয়ালিশন সরকারের বিজনেস সেক্রেটারি হলেন লিবডেমের ভিন্স কেবল। তিনি ইউনিভার্সিটিগুলোর এই সব নিয়ম কানুন মেনে চলার জন্য দেখ ভাল করে থাকেন। থেরেসা মের সাথে আবারো ভিন্স কেবলের একটু বাদানুবাদ সৃষ্টি হলো বলে আপাত মনে হলেও কনজারভেটিভ সরকার বর্তমান ইমিগ্র্যাশন কড়াকড়ি করে নেট মাইগ্র্যাশন কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইনসাইডার একজন জানিয়েছেন, লিবডেম থেরেসা মের এই পরিকল্পনাতে কতোটুকু সমর্থন দিবে সন্দেহ রয়ে গেছে। কেননা লিব ডেম ভারত সহ অন্যান্য বিদেশী ইনস্টিটিউশন থেকে ছাত্র আসা বন্ধ কিংবা ভিসা সুইচ ফ্যাসিলিটি বন্ধের ব্যাপারে থেরেসা মের উদ্যোগকে জিরো ইকোনোমিক সেন্স হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার মোজাব্বিকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে দক্ষিণ এক বাংলাশেী যুবক নিহত হয়েছেন। তার নাম জয়নাল আবেদীন বাদশা। তিনি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়নের বুড়ির দোকান এলাকার কবির আহমদ সওদাগরের কনিষ্ঠ পুত্র। নিহতের বিষয়টি আফ্রিকার মোজাম্বিকে অবস্থারত সাতকানিয়ার কেওচিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইসলামের পুত্র সাইফুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।সাইফুল জানান, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ও বাংলাদেশ সময় রাত ৩টার সময় নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে মোজাম্বিকের আলতারমোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে বাদশার মৃত্যুর খবর নিজ গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।বাদশা কয়েক বছর ধরেই আফ্রিকার মোজাম্বিকে অবস্থান করছিল। তিনি গত কোরবানির ঈদের সময় বাড়িতে ছুটি কাটিয়ে প্রায় আড়াই মাস আগে আফ্রিকায় চলে যায়।দেশে অবস্থানরত বাদশার বড় ভাই মোহাম্মদ ইউনুছ জানান, সেখানে (মোজাম্বিকে) তার বোনের স্বামীও রয়েছে। দ্রুত বাদশার লাশ দেশে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।