পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

‘বছর শেষে জনশক্তি রপ্তানিতে এবার রেকর্ড হবে’

ডেস্ক রিপোর্ট : সৌদি আরব, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে চলতি বছরের প্রথম সাত মাসেই পাড়ি জমিয়েছেন পৌনে ছয় লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক। বছর শেষে জনশক্তি রপ্তানিতে এবার রেকর্ড হবে বলে প্রত্যাশা জনশক্তি কমর্সংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর। তবে, জনশক্তি রপ্তানিকারকদের মতে, পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল তৈরি করা না গেলে আগামীতে বিদেশে কর্মী পাঠানো কঠিন হবে। কর্মীরা যেন প্রতারণার শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে দূতাবাসগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ রামরু’র।

২০০৮ সালে বাংলাদেশ থেকে সবোর্চ্চ ৮ লাখ ৭৫ হাজার কর্মী কাজ নিয়ে বিভিন্ন দেশে যায়। এরপর ক্রমশ কমতে থাকে বিদেশে কর্মী প্রেরণ। ২০০৯ সালে একই সাথে দুটি বড় শ্রমবাজার সৌদিআরব ও মালয়েশিয়া, বাংলাদেশী কর্মী নেয়া বন্ধ করে দিলে জনশক্তি রপ্তানি অর্ধেকে নেমে আসে।

তবে সরকারি উদ্যোগে দেশ দুটিতে শ্রম বাজার পুনরায় উন্মুক্ত হওয়ায় ২০১৬ থেকে জনশক্তি রপ্তানিতে গতি আসে। গেল বছরে মোট ৭ লাখ ৫৭ হাজার জন বিদেশে গেলেও চলতি বছরে এখন পর্যন্ত গেছে পৌনে ছয় লাখেরও বেশি কর্মী ।

বিএমইটি মহাপরিচালক সেলিম রেজা, ‘এই বছর আমরা যে ট্রেন দেখছি এটা গত থাকলে আমা করছি প্রায় ১০ লক্ষ লোকের বৈদেশিক কর্মসংস্থান হবে। যেটি বাংলাদেশের সব অতীতের রেকর্ড অতিক্রম করবে।’

তবে মধ্যপ্রাচ্য নির্ভরতাকে জনশক্তি রপ্তানির জন্য বিপদজনক বলে মনে করে, অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারী সংগঠন রামরু। এক্ষেত্রে নতুন বাজার তৈরি ও কর্মীদের প্রতারিত হওয়া রোধে দূতাবাসগুলোকে তৎপরেতা বাড়ানোর পরামর্শ সংগঠনটির। বিএমইটির মহাপরিচালক জানান, জাপান, রাশিয়াসহ বেশ কিছু দেশে কর্মী প্রেরণের চেষ্টা চলছে।

রামরু সমন্বয়ক সিএস আবরার, ‘আমাদের বড় ধরণের একটা নির্ভরতা মধ্যে প্রাচ্য। এই নির্ভরতা আমরা কমাতে পারছি না। সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত ঠিক যতখানি সফল হওয়া প্রয়োজন তা এখনও হয়নি। দূতাবাসের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।’

জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রা বলছে, প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা না গেলে আগামীতে বিদেশে কর্মী প্রেরণ বন্ধ হয়ে যাবে।এজন্য আন্তর্জাতিমানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনে সরকারি সহায়তা চান তারা।

বায়রা সভাপতি বেনজির আহমে বলেন, ‘আমাদের দক্ষ শ্রমিক কম। এটা যদি এখন বাড়াতে না পারি তাহলে কিছুদিন পর দেখা যাবে বাংলাদেশের কর্মী আর বিদেশ পাঠানো যাবেনা।’

বাংলাদেশ বিশ্বের ১শ ৬২টি দেশে মানুষ পাঠালেও এখনো ৮০ শতাংশ কর্মীই যায় মধ্যপ্রোচ্যে। নুতন বাজার সম্প্রসারণে সম্ভাবনাময় ৫০টি দেশের ওপর সমীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানায় বিএমইটি। সময়টিভি অনলাইন

Posted in প্রবাসী জীবন, সারা দেশ | Comments Off on ‘বছর শেষে জনশক্তি রপ্তানিতে এবার রেকর্ড হবে’

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের আর কোন কর্মীকে আটক করা হবে না : প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট : প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের আর কোন কর্মীকে আটক করা হবে না। মালয়েশিয়ায় সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। রবিবার দুপুরে ইস্কাটনস্থ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান ভবনের সম্মেলন কক্ষে রিপোর্টার্স ফর বাংলাদেশী মাইগ্রেশন (আরবিএম) আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আরবিএম-এর সভাপতি ফিরোজ মান্নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমদ। বিএমইটির মহাপরিচালক সেলিম রেজা বিশেষ অতিথি হিসেবে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।

সংগঠনের সাধারণ সস্পাদক মাসুদুল হকের পরিচালনায় সেমিনারে লেবার মার্কেট সিচোয়েশন ইন মালয়েশিয়া এন্ড মিডলইস্ট কান্ট্রিজ : প্রেজেন্ট এন্ড ফিউচার চ্যালেঞ্জ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সদস্য মহসীন উল করিম।

মন্ত্রী ব্যক্তিগত সফরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করার কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তাদের সাথে এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। মিশনের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়ার সরকারের সাথে আলোচনা করে সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে।

গত দুই বছর দায়িত্ব পালন কালে জাপানসহ মধ্যপ্রাচ্যের বহু দেশে বাংলাদেশী কর্মী প্রেরণ করা হচ্ছে এবং আরো নতুন নতুন শ্রম বাজারে দ্বার খোলা হবে বলে তিনি সেমিনারে জানান।

জাবেদ আহমদ বলেন, মালয়েশিয়া সরকার সম্প্রতি বাংলাদেশের ২ লাখ ৫০ হাজার অবৈধ শ্রমিককে রিহায়ারিং কোটায় বৈধতা দিয়েছে। মালয়েশিয়া সরকার জি টু জি মাধ্যমে ২২ হাজার শ্রমিক নেয়ার চাহিদা পত্র দিয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ৮ হাজার শ্রমিক মালয়েশিয়ায় গিয়েছে। জি টু জি মাধ্যমে বনায়ন ও কৃষি কাজের জন্য যারা বৈধভাবে যান তাদের কাছ থেকে সরকারিভাবে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা নেয়া হয়ে থাকে বলে তিনি জানান।

সেলিম রেজা বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে নারী কর্মীদের বিদেশ যেতে এখন কোন টাকা দিতে হয় না। ভবিষ্যতে পুরুষ কর্মীদেরও বিদেশে যেতে টাকা দিতে হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। বাসস।

Posted in প্রবাসী জীবন | Comments Off on মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের আর কোন কর্মীকে আটক করা হবে না : প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী

আবারো প্রটোকল ভাঙ্গলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নিরাপত্তা প্রোটোকল ভেঙে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে ছুটে গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুইডেনের স্টকহোমে এ দৃশ্যটি মোবাইলে ধারণ করেন এক বাংলাদেশি সাংবাদিক।

ভিডিওতে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি হোটেলে আসার আগেই সড়কের উল্টোপাশে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন প্রবাসী বাঙালিরা। গাড়ি থেকে নামার পর প্রধানমন্ত্রীকে করতালি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তারা।

এরপরই নিরাপত্তা বলয় ভেঙে প্রায় দৌঁড়ে সড়ক পার হয়ে তাঁদের কাছে ছুটে যান বঙ্গবন্ধু কন্যা। এসময় সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন শেখ হাসিনা। জানতে চান তাদের নানা সুবিধা-অসুবিধার কথা। প্রধানমন্ত্রীর এই আন্তরিকতায় মুগ্ধ প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

 

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কুশ…

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে প্রোটকল ভেঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কুশল বিনিময়। ভিডিও কারটেসিঃ Mamunur Rashid

Posted by Zunaid Ahmed Palak on Friday, June 16, 2017

Posted in জাতীয়, প্রবাসী জীবন, রাজনীতি | Comments Off on আবারো প্রটোকল ভাঙ্গলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

টিউলিপ ও রুশনারাকে প্রধানমন্ত্রীর ফুলেল শুভেচ্ছা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবনির্বাচিত ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক ও রুশনারা আলীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।  সুইডেন যাওয়ার পথে লন্ডন যাত্রাবিরতিকালে বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর হোটেল কক্ষে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এই দুই এমপি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
সদ্য সমাপ্ত ব্রিটিশ নির্বাচনে টিউলিপ সিদ্দিক দ্বিতীয়বার ও রুশনারা আলী তৃতীয়বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।
সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন লোফভেনের আমন্ত্রণে সুইডেনে তিন দিনের সফরে যাওয়ার সময় লন্ডনে যাত্রাবিরতি করেন  প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের কোনও সরকার প্রধানের  স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশটিতে এটি প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।
লন্ডন পৌঁছলে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. নাজমুল কাওনাইন হিথ্রো বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন টিউলিপি সিদ্দিক ও রুশনারা আলী। বৈঠক্ষে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা হয়। ব্রিটেন ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে দুই এমপি সহযোগিতার আশ্বাস দেন। প্রধানমন্ত্রীকে তারা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের নাড়ির সম্পর্ক। বাংলাদেশের পাশে সব সময় ছিলাম ও থাকব।
এর আগে হিথ্রো হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি হোটেলে পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান বোন শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিকসহ অনেকে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, এমপি এবং তার প্রেসসচিব ইহসানুল করিম। যুক্তরাজ্যের সময় বুধবার বিকালে স্টকহোমের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
Posted in আন্তর্জাতিক, প্রবাসী জীবন | Comments Off on টিউলিপ ও রুশনারাকে প্রধানমন্ত্রীর ফুলেল শুভেচ্ছা

তিন লাখ নামাজি কর্মী নেবে কাতার

ঢাকা : আগামী দুই বছরে বাংলাদেশ থেকে আরো ৩ লাখ কর্মী নেবে কাতার। কর্মী নিয়োগে নামাজিদের অগ্রাধিকার দিতে বলেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে বাংলাদেশের কর্মীদের পরিশ্রমেরও উচ্চসিত প্রশংসা করেছেন দেশটির নীতি নির্ধারকরা।2016_02_07_15_30_49_4qDKnpHNEoUXoyNSjFar8nTxFx7lVg_original

কাতারে তিনদিনের সফর শেষে রোববার দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব খন্দকার ইফতেখার হায়দারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কর্মী নেয়ার ক্ষেত্রে নামাজির প্রশ্নটা এলো কেন? জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘তারাই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিল তোমাদের দেশের লোক নামাজি কি না। আমরা তাদের বলেছি, হ্যাঁ অধিকাংশ মানুষই নামাজি।’

তিনি বলেন, ‘আগে কাতার সরকার জানতো বাংলাদেশ ৭৫ শতাংশ মুসলিমের দেশ। কিন্তু আমরা তাদের বলেছি, বাংলাদেশের ৯৫ ভাগই মুসলিম। তখন তারা বলেছেন- তোমরা আমাদের ভাই। তোমাদের দেশ থেকে অধিক সংখ্যক দক্ষ ও আধাদক্ষ কর্মী নিতে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।’

প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘কাতার সফরকালে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন নাসের বিন খলিফা আল থানি এবং প্রশাসনিক উন্নয়ন, শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ড. ঈসা সাদ আলজাফালি আল নুয়াইমির সঙ্গে অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ জিরো টলারেন্স বলেও কাতারের প্রধানমন্ত্রী এবং প্রশাসনিক উন্নয়ন, শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে।’

দক্ষ ও আধাদক্ষ কর্মী নিতেই দেশটির বেশি আগ্রহ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কাতারের প্রশাসনিক উন্নয়ন, শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আমাদের বলেছেন- তারা বাংলাদেশ থেকে বিক্রয়কর্মী, নার্স, ডাক্তার, প্রকৌশলী ও অফিস কর্মচারীসহ সকল খাতে কর্মী নিতে চায়।’

বেতন-ভাতা এবং অভিবাসন ব্যয় কত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা উভয় দেশের যৌথ কমিটি বসেই ঠিক করবে। দেশটিতে বর্তমানে ন্যূনতম বেতন ৭শ রিয়াল, তা বৃদ্ধি করে ১২শ রিয়াল করারও প্রস্তাব করা হয়েছে।’

নুরুল ইসলাম বিএসসি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘বিদায়ী ২০১৫ সালে এক লাখ ২৩ হাজার ৯৬৫ কর্মী গেছে কাতারে। ২০২২ সালে কাতারে অনুষ্ঠেয় ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলছে। এ জন্য দেশটিতে নির্মাণকর্মী, সেবাখাত ও বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এমনো হতে পারে চলতি বছরে দুই লক্ষাধিক কর্মী যেতে পারে কাতারে।’

তিনি বলেন, ‘আগামী দুই বছরে তিন লক্ষাধিক কর্মী যাবে দেশটিতে। এসব কর্মী নিতে আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় উভয় দেশের যৌথ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’ সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএিইটি) মহাপরিচালক বেগম শামসুন নাহার, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ জুলহাস, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আব্দুর রউফসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

Posted in প্রবাসী জীবন | Comments Off on তিন লাখ নামাজি কর্মী নেবে কাতার

টেক্সাসের এলপাসো কারাগারে অনশনে ৯০ বাংলাদেশী

নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক প্রায় ৯০ জন বাংলাদেশী নাগরিক টেক্সাসের এলপাসো কারাগারের ডিটেনশন সেন্টারে আমরণ অনশন করছেন।
বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত চতুর্থ দিনের মতো চলা এই অনশনে নড়েচড়ে বসেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারসহ দেশী-বিদেশী মানবাধিকার সংগঠনগুলো। দীর্ঘদিন কারাগারে যথাযথ আইনী সহায়তা না পাওয়া এবং জোর করে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রতিবাদে এই অনশন করছেন তারা। প্রথম দিনের অনশনে ৪৬ জন অংশ নেন। চতুর্থ দিনে তা এসে দাঁড়ায় ৬০ জনে। যদিও এরই মধ্যে ১১ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।Elapso-Bangladeshi-therepor
কারাগারে বন্দী বাংলাদেশীদের পক্ষে অনশনরত মাহবুবুর রহমান নামে এক ব্যক্তির পাঠানো চিঠি থেকেই অনশনের খবরাখবর প্রথম প্রকাশ পায়। কারাগার থেকে পাঠানো চিঠিতে মাহবুবুর রহমান উল্লেখ করেন, প্রায় ৮৫-৯০ জন বাংলাদেশী এলপাসোর ডিটেনশন সেন্টারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ভুল রিপোর্টে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রচলিত আইনী সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। এ নিয়ে চলতি বছরের ২৯ মে দ্য রিপোর্টেও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যেখানে তুলে ধরা হয় টেক্সাসের কারাগারে বন্দী বাংলাদেশীদের দুর্বিষহ যন্ত্রণার কথা।
এরই মধ্যে গত ২৫ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের ফয়েজ আহম্মেদ নামে একজন বন্দীকে জোর করে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এর পর থেকেই বন্দী বাংলাদেশীদের মাঝে দেশে ফেরত পাঠানোর আতঙ্ক শুরু হয়। ফলে তারা আমরণ অনশন শুরু করেন।
গত ১৪ অক্টোবর বুধবার থেকে প্রথমে ৪৬ জন অনশন শুরু করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৭ অক্টোবর শনিবার চতুর্থ দিনের কর্মসূচিতে ছিলেন প্রায় ৬০ জন। টানা না খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এদের অনেকে। যদিও কয়েকজনকে জোর করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আমরণ অনশনের সবশেষ পরিস্থিতি জানতে যোগাযোগ করা হয় এর মূল উদ্যোক্তা মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে, যিনি শুরু থেকেই দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদকের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলেছেন।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে টেলিফোনে সবশেষ ঘটনার বিবরণে মাহবুবুর রহমান দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘আমাকে এখন ডিটেনশন সেন্টারের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা চার দিন কোনোকিছুই খাইনি। বুধবার যখন আমরা অনশন শুরু করি তখন থেকেই কর্তৃপক্ষ অনশন ভাঙ্গার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছে।’
মাহবুব আরও বলেন, ‘অনশনকালে বেশ কয়েকজনকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অন্য জায়গায়। তবে স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিবাদে ১১ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ, কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। আমি কিছুই খাচ্ছি না এবং খাব না, যতক্ষণ না মুক্তি দেয়া হয়।’

Posted in প্রবাসী জীবন | Comments Off on টেক্সাসের এলপাসো কারাগারে অনশনে ৯০ বাংলাদেশী

মিনায় নিহত বাংলাদেশি হাজির সংখ্যা বেড়ে ৬১

মক্কা: সৌদি আরবের মিনায় পদদলিত হয়ে নিহত বাংলাদেশি হাজির সংখ্যা আরো ১০ জন বেড়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট ৬১ জন বাংলাদেশি হাজি মারা গেছেন। জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল এ কে এম শহীদুল করিম এ তথ্য জানিয়েছেন। সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ জানান, এখনো বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অন্তত ১০০ জন বাংলাদেশি।
2CPAquLkzE6L

এদিকে, নিহত কিছু হাজির মরদেহ চিহ্ণিত করে তাদের আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে মক্কাতেই দাফন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ হজ মিশন। কনস্যুলেট ও মক্কায় বাংলাদেশ হজ মিশনের কর্মকর্তারা বাকি মরদেহগুলোর পরিচয় নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে। এদিকে, পদদলিতের ঘটনায় এখনো ১১৬ জন বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের স্বজনদের মক্কায় বাংলাদেশ হজ মিশনে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

সেই সঙ্গে মৃতদেহ সনাক্ত করতে সহায়তার জন্য ১০৭ নম্বর কক্ষে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। ফোন করা যাবে ০০৯৬৬-(০)১২৫৪১৩৯৮০ এই নম্বরে। এছাড়া হাজিদের পরিচয় জানতে ই-মেইল করা যাবে [email protected] এই ঠিকানায়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুজদালিফা থেকে শয়তানের উদ্দেশে পাথর নিক্ষেপের জন্য মিনায় যাওয়ার সময় পদদলিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

মক্কা থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরের এ ঘটনায় নিহত ১১০০ হাজির ছবি প্রকাশ করে সৌদি আরব। চলতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ২০ লাখের বেশি মানুষ মক্কায় হজ পালন করতে যান।

Posted in প্রবাসী জীবন | Comments Off on মিনায় নিহত বাংলাদেশি হাজির সংখ্যা বেড়ে ৬১

‘আইএস জোর করে তুলে নিয়ে যায় আবদুল মান্নানের পরিবারকে’

নিউজ ডেস্ক: বৃটেনে বসবাসরত এক বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত পরিবারের ১২ সদস্যকে কৌশলে ফাঁদে ফেলে সিরিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা সেখানে শীর্ষ জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করছে আইএস। ইংল্যান্ডের বেডফোর্ডশায়ারের লুটন শহরতলিতে পরিবারটির বসবাস।

150701173222_luton_family_promo_640x360_bedfordshirepolice_nocredit
লুটন থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন ৭৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, তার স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি ও নাতি-নাতনিসহ পরিবারের ১০ সদস্য। আর এখন ওই পরিবারটিকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সিরিয়ায় আটকে রেখেছে আইএস। আবদুল মান্নানের পুত্র সেলিম হোসেন বৃটেনভিত্তিক আইটিভি নিউজকে এ তথ্য দিয়েছেন। গত মে মাসে লুটান থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন মান্নান ও তার পরিবারের ১১ সদস্য। এরপর থেকেই তারা নিরুদ্দেশ। গত সপ্তাহে হঠাৎ আবদুল মান্নানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
আইএসের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, পরিবারটি ‘অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে নিরাপদ’ রয়েছে এবং পরিবার ১২ সদস্যই আইএসে যোগদান করেছেন। কিন্তু, আইটিভি নিউজকে সেলিম জানান, তার পিতাকে জোর করে একটি গাড়িতে তোলা হয় এবং ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে সিরিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সিরিয়া থেকে টেলিফোনে কথা বলার সময় তার পিতা ভীষণ কান্নাকাটি করছেন বলে জানান সেলিম হোসেন। তিনি বলেন, আমার পিতা দ্বিধান্বিত, বিমর্ষ এবং তিনি প্রতিদিন কান্নাকাটি করছেন। তিনি শান্তিতে নেই। সেলিম দাবি করেন, ঘটনার দিন তার পরিবার ইস্তাম্বুলে ছিলেন।
এ সময় তাদের হোটেল কক্ষে একদল অজ্ঞাত ব্যক্তি পাসপোর্ট যাচাই করতে যায়। এরপর একে একে ওই পরিবারের ১০ সদস্যকে হোটেল ভবনের নিচে নামানো হয়। সেলিম জানান, ওই ব্যক্তিরা আবদুল মান্নান ও তার স্ত্রীকে সন্তান ও নাতি-নাতনীদের ছাড়াই বৃটেনে ফিরে যেতে বলে।
কিন্তু, তারা রাজি হননি। এরপর ১২ জনকে দুই ভাগে হোটেলের বাইরে অপেক্ষমান দুটি গাড়িতে ওঠানো হয়। আইএস সদস্যদের মতো পিতা কেন ছবিতে একটি আঙুল প্রদর্শন করছেন? এর জবাবে সেলিম বলেন, আইএসকে সমর্থন জানানোর জন্য নয়, বরং তা আইএসের ‘প্রোপাগান্ডা’। তিনি জোর দিয়ে বলেন, তার কোন ভাইবোনের মধ্যে মৌলবাদে জড়িয়ে পড়ার কোন লক্ষণ কখনোই দেখা যায়নি এবং তারা কখনও সিরিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও করেননি। পরিবারের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তার কাছে কোন ক্লু বা সূত্র আছে কিনা তা জানতে চাওয়া হয়।
সেলিম বলেন, না, অস্বাভাবিক কিছুই নয়। তিনি বলেন, আমি যদি তেমন কিছু জানতাম, আমি তাদের থামাতাম। পুলিশ তাদের মধ্যে মৌলবাদের কিছুই খুঁজে পায়নি। কোন প্রমাণ নেই, সন্দেহজনক কিছুই নেই। তিনি বলেন, যদি এটা স্বাভাবিক না হতো বা সন্দেহজনক হতো, তাহলে সেটা আমার জানা থাকতো। কিন্তু, তেমন কিছুই ঘটেনি।
কোন লক্ষণ নেই। যদি কোন লক্ষণ থাকতো, তাহলে সেটা আমি ধরতে পারতাম। আবেগের সুরে তিনি তার পরিবারকে বৃটেনে ফেরার অনুরোধ জানান। তারা চলে যাওয়ার পর, তিনি শূন্য বোধ করছেন বলে জানান। ইংল্যান্ডের ফরেইন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের এক মুখপাত্র বলেছেন, তারা বেডফোর্ডশায়ার পুলিশ ও তুরস্কের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ ব্যাপারে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন।

Posted in প্রবাসী জীবন | Comments Off on ‘আইএস জোর করে তুলে নিয়ে যায় আবদুল মান্নানের পরিবারকে’

আমেরিকায় মুসলিম প্রতিচ্ছবি বাংলাদেশের মাহি

32481_133প্রতিদিন ক্লাসমেটদের কাছে ইসলামের নিন্দা শুনতে হয়, ইসলাম নাকি তাদেরকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে। ইসলাম সম্পর্কে নানা আজেবাজে মন্তব্য ছুটে আস। মাহি ছোট্ট একটা মেয়ে। বয়স মাত্র ১৩ বছর। আর কত ভালো লাগে। না, অন্যদের মতো সে না শোনার ভান করার অবস্থান থেকে সরে এলো। আমেরিকার সাধারণ মানুষ এবং সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ইসলাম নিয়ে যে বিভ্রান্তি, ভুল বোঝাবুঝি চলছে, সেগুলো দূর করার সংকল্প নিল। স্কুলের কর্মকর্তাদের বোঝাল, এভাবে চলা যায় না। পারস্পরিক সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার নতুন উদ্যোগ নেয়া হলো। এর সবই হয়েছে বাংলাদেশী মেয়ে সুমাইয়া মাহির কারণে।
গত ৯ জুন মেট্রো ডটকমে সে জানায়, ‘মুসলিম মেয়ে হওয়ায় আমাকে প্রতিটা দিন একই প্যাচাল শুনতে হতো। এমন পরিস্থিতিতেই ছিলাম আমি।’
‘তবে আমি এই অবস্থা দূর করতে চেয়েছিলাম। আমি যখন কাজটা শুরু করি, তখনই বুঝলাম, আমি একা নই। এ ধরনের পরিস্থিতি অনেকেই পড়েছে। তারাও কিছু করতে চায়।’
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যঅসাচুটসের ক্যামব্রিজের মতো আধুনিক আর অভিজাত নগরীতেও ইসলামবিদ্বেষ আর ভীতি ছিল প্রতিদিনকার বিষয়।
সে পড়ে কেনেডি লংফেলো স্কুলে। প্রতিদিন সে যেসব চ্যালেঞ্জে পড়ে সেগুলো থেকে উত্তরণ ঘটাতে ‘তুমি যা বলছ, তা তুমি নও, একটামাত্র ব্যতিক্রম ছাড়া’ শীর্ষক একটা রচনার মাধ্যমে সব ছাত্রের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হলো। গৎবাঁধা ধ্যান-ধারণা কিভাবে সমাজকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে, বিভক্তির সৃষ্টি করছে, সেগুলো তুলে ধরার প্রয়াস ছিল এটা।
মাহির রচনাটি বিপুল সাড়া ফেলল। সামাজিক মাধ্যমগুলোকে তা ভাইরালে পরিণত হলো। পাবলিক রেডিও ইন্টারন্যাশনালের গ্লোবাল ন্যাশন এডুকেশন সেকশনে সেটা প্রকাশিতও হলো।
মাহি জানায়, ‘কাজটা ছিল খুবই কঠিন। কারণ লোকজন আমাকে সন্ত্রাসী মনে করত।’
সে লিখল, বাইরের ঘটনা কিভাবে তার ওপর চেপে বসেছে : ‘সমাজের দৃষ্টিতে এবং দুনিয়ায় যা কিছু ঘটছে, তার আলোকে আমাকে যে পরিচয়ে পরিচিত করা হচ্ছে, আমি সে নই। বোস্টন ম্যারাথনে বোমা হামলা, বাংলাদেশের একটি ছেলের নিউ ইয়র্কে বোমা হামলার পরিকল্পনা করার মতো সহিংস ঘটনার কারণে আমি আর নির্দোষ মেয়ে বিবেচিত হচ্ছি না। মনে করা হচ্ছে, আমি একটা বাচ্চা সন্ত্রাসী।’
মাহি জানায়, আমার লক্ষ্য ছিল এই ভুল ধারণা ভেঙে দেয়া। আমি চাইনি, অন্য মুসলিম বাচ্চারা এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়–ক, উন্নতির দিকে যাওয়া থেকে বঞ্চিত হোক।’
মাহির এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণের আগের একটি ঘটনা ছিল বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তখনো তারা প্রতিদিন নানা পরিস্থিতিতে পড়ত। একদিন সে, তার বোন আর এক বন্ধু মসজিদ থেকে হেঁটে বাসায় ফিরছিল। তখন অনেক রাত। তারা সবাই হিজাব পরা। একটা পর্যায়ে দুই লোক তাদের দিকে হেসে বলল, ‘বিপদ! এরা মুসলমান!’
মাহি ফুসে ওঠল। চিৎকার করে বলল, ‘দাঁড়াও দেখাচ্ছি তোমাকে! তোমার আর বাঁচা হবে না বাছাধন!’
ওই দুই লোকের সাথে ঝগড়া তার মনে গভীর দাগ কাটল : ঘৃণা দিয়ে ঘৃণার মোকাবিলা করা যায় না।
ছোট্ট মাহির কাছে মনে হলো, মিডিয়াই মুসলমান সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য দায়ী। তারাই মুসলিমবিরোধী ভাবাবেগ ছড়িয়ে দিচ্ছে। তারাই মুসলিমদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করছে।
মাহি এখন বলে, ওই দুই লোককে যেভাবে গালি দিয়েছিলাম, তেমনটা আর করি না। এখন বাচ্চাদের বলি, কেউ ইসলাম সম্পর্কে খারাপ কিছু বললে, তারা যেন সত্যিকারের ইসলাম কী, সেটা তাদের বুঝিয়ে বলে। মাহির উদ্যোগ প্রথমে খুব সাড়া জাগায়নি। কিন্তু তার লেগে থাকার প্রয়াসে সুফল এনে দেয়। তার ইংরেজি শিক্ষক উডলি পিয়ের-লুই, যিনি প্রথমে তার বিরোধিতা করেছিলেন, তিনি পর্যন্ত এখন তার চেষ্টার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
মাহি করে, ইসলাম সম্পর্কে ভীতি, ঘৃণা দূর করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ইসলামের সত্যিকারের রূপটি তারাই তুলে ধরতে পারে।
মাহি বলে, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলমান। আমার মধ্যে এই দুই বৈশিষ্ট্য আছ। তবে এর মানে এই নয়, আমি সমাজকে আঘাতকারী সন্ত্রাসী।’
যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ থেকে ৮০ লাখ মুসলমান বাস করে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বেশির ভাগ আমেরিকানই ইসলাম এবং মুসলমান সম্পর্কে বলতে গেলে কিছুই জানে না। তাদের এই অজ্ঞতা দূর করতে এগিয়ে এসেছে ছোট্ট মাহি।
(অনইসলাম থেকে)

Posted in প্রবাসী জীবন | Comments Off on আমেরিকায় মুসলিম প্রতিচ্ছবি বাংলাদেশের মাহি

মালয়েশিয়ার কারাগারে ১,৬০৪ জন বাংলাদেশী আটক রয়েছে : মোশাররফ হোসেন

54fd3591e7b72e9cc033891349b6eee9নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিভিন্ন অপরাধে মালয়েশিয়ার ১৪টি কারাগারে ১ হাজার ৬০৪ জন বাংলাদেশী আটক রয়েছে।
তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু’র এক প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, পাসপোর্ট, ওয়ার্ক পারমিট না থাকা, ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও অবস্থান করা, এর অবৈধ ব্যবহার, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ও অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে মালয়েশিয়ার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে তারা আটক হয়।
মন্ত্রী বলেন, এ রকম ১১টি ক্যাম্পে মোট ১ হাজার ৩০৫ জন বাংলাদেশী নাগরিক দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে। মালয়েশিয়া জেল-ক্যাম্পে অবস্থানরত নাগরিকদের হাইকমিশন থেকে নিয়মিত পরিদর্শন ও আইনগত সহায়তা দেয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে ক্যাম্পে আটক করা বাংলাদেশী নাগরিকদের ট্রাভেল পারমিট দেয়াসহ দেশে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
সরকারি দলের সদস্য নুরজাহান বেগমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৬৫৬ জন নারীকর্মী পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে ২০১৪ সালে ৭৬ হাজার ৭ জন এবং ২০১৫ সালের মে পর্যন্ত ৪০ হাজার ৩৮৭ জন বিদেশে নারীকর্মী পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত জর্ডান, হংকং, সংযুক্ত আর আমিরাত, সৌদি আরবসহ বিশ্বের ৬৭টি দেশে নারীকর্মী গিয়েছে।

Posted in প্রবাসী জীবন | Comments Off on মালয়েশিয়ার কারাগারে ১,৬০৪ জন বাংলাদেশী আটক রয়েছে : মোশাররফ হোসেন

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud