April 26, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক: আজিমপুরে আহত অবস্থায় আটক তিন নারী জঙ্গির মধ্যে একজন হচ্ছেন রূপনগরে নিহত জঙ্গি মেজর জাহিদুলের স্ত্রী জেবুন্নাহার শিলা। পুলিশ ওই বাড়ি থেকে জাহিদের দুই শিশুসন্তান জুনায়েরা (১৬) ও মারিয়ামসহ (১) তিন শিশুকে উদ্ধার করেছে।
গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ আজিমপুরের বিজিবি ২ নম্বর গেটসংলগ্ন জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের গুলিতে এক জঙ্গি নিহত হয়। আহত অবস্থায় ধরা পড়ে তিন নারী জঙ্গি। এই তিন নারী জঙ্গি হলো জেবুন্নাহার শিলা, শারমিন ও শায়লা। একটি সূত্র জানিয়েছে এর মধ্যে জেবুন্নাহার হলো মেজর জাহিদুলের স্ত্রী। গত ২ আগস্ট রাজধানীর রূপনগরে জাহিদুল পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। জাহিদুলের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা সদরে। তার বাবা পুলিশের সাবেক ইন্সপেক্টর। জাহিদুল এক বছর আগে চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর তার বাবা বলেছিলেন জাহিদুল চাকরি ছেড়ে দিয়ে কানাডায় গেছেন। আজিমপুরের আস্তানায় জঙ্গিদের ধারালো অস্ত্র ও মরিচের গুঁড়ায় আহত হয় পাঁচ পুলিশ কনস্টেবল।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ঘটনার পর তারা ওই বাসায় তল্লাশিকালে তিনটি শিশুকে পায়। এর মধ্যে জাহিদুলের দুই শিশুকন্যা রয়েছে বলে জানা গেছে। শিশু তিনটি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ দিকে আহত তিন নারী জঙ্গির পাহারায় নারী পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
ঢাকা: সম্প্রতি চাপাতি দিয়ে মানুষ হত্যা করে কুখ্যাতি পাওয়া জঙ্গিদের একজন এবার নিজেই নিজের গলাকেটে আত্মঘাতী হয়েছে।
শনিবার রাত ৮টার দিকে রাজধানীর আজিমপুরে বিডিআর ২নং গেটের কাছে একটি জঙ্গি আস্তানায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের বিশেষায়িত টিম কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের অভিযানের সময় নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যা করে ওই জঙ্গি।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম আবদুল করিম। সে নব্য জেএমবির মাস্টার মাইন্ড নারায়ণগঞ্জে পুলিশের অভিযানে নিহত তামিম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ।
ঘটনাস্থল থেকে মিরপুরের রূপনগরে পুলিশের অভিযানে নিহত নব্য জেএমবি’র কমান্ডার সাবেক সেনা কর্মকর্তা (মেজর) জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী জেবুন্নাহারসহ তিন নারী জঙ্গিকে আটক করে পুলিশ।
এদের মধ্যে শারমিন ও রাহেলা নামে দুই জঙ্গি সদস্য নিজেদের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। জেবুন্নাহার পুলিশের গুলিতে আহত হয়।
এদিকে অভিযান চলাকালে ছুরিকাঘাত ও বোমার স্পিন্টারে আহত হয়েছেন পুলিশের পাঁচ সদস্য। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক )হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া রাত সাড়ে ১০টায় অভিযান শেষে পুলিশ ওই ফ্ল্যাট থেকে মেজর জাহিদের দুই সন্তান জুনায়েরা ও মারিয়মসহ তিন শিশুকে উদ্ধার করেছে। তাদের পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।
ওই ফ্ল্যাট থেকে চারটি পিস্তল, শতাধিক রাউন্ড গুলি ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেন জানান, মূলত মিরপুরের রূপনগরে অভিযানের পর থেকেই তারা পুরান ঢাকার এ আস্তানাটি খুঁজছিলেন। শনিবার রাত ৮টার দিকে পুলিশ ২০৯/৫ লালবাগ রোডে ৬তলা ওই ভবনের (কাওছার মিয়ার বাড়ি) দ্বিতীয় তলার ওই ফ্ল্যাটে অভিযান চালায়।
তিনি জানান, অভিযান পরিচালনাকারী পুলিশ সদস্যরা বাড়ির দরজায় নক করা মাত্রই দরজা খুলে দুই নারী তাদের লক্ষ্য করে মরিচের গুঁড়ো ছোড়ে। এতে পুলিশের তিন সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়লে সেলোয়ার-কামিজ পরা এক নারী এক হাতে ছুরি অপর হাতে পিস্তল নিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে।
ছানোয়ার হোসেন আরও জানান, ওই নারী বাধা পেয়ে পুলিশের দুই সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে। এসময় পুলিশ গুলি ছুড়লে ওই নারীও পাল্টা গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পুলিশের গুলিতে আহত হয় সে।
তিনি জানান, পরে জানা যায় আহত ওই নারীর নাম জেবুন্নাহার। সে মিরপুরের রূপনগরে পুলিশের অভিযানে নিহত জঙ্গি নেতা মেজর জাহিদুল ইসলাম ওরফে মেজর মুরাদের স্ত্রী।
গুলির শব্দ পেয়ে ওই ফ্ল্যাট থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গি সদস্যরা। পুলিশও ফ্ল্যাটটি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে এসে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে।
এসময় আজিমপুরের ওই জঙ্গি আস্তানা থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি বোমা ছুড়ে মারা হয়। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।
অভিযান শেষে ওই ফ্ল্যাট থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক পুরুষ ও দুই নারীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক পুরুষ সদস্যকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন জানান, ওই পুরুষ সদস্যের নাম আবদুল করিম। ভাটারায় একটি আবাসিক এলাকায় জঙ্গিদের একটি বাড়ি ভাড়া করে দিয়েছিল আবদুল করিম। সে মূলত জঙ্গিদের রান্নাবান্নার বিষয়টি দেখভাল করত বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ওই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার দুই নারী জঙ্গি সদস্য শারমিন এবং শাহেলাও গলায় ধারালো অস্ত্র চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল। আহত তিন নারী জঙ্গিকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মরিচের গুঁড়া ও ছুরিকাঘাতে আহত পাঁচ পুলিশ সদস্যকেও ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন- লাভলু জামাল, রামচন্দ্র বিশ্বাস, শাজাহান আলী, মাহাতাব উদ্দিন ও জহির উদ্দিন।
নিউজ ডেস্ক: আজ পবিত্র হজ। ‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা, ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়াল্মুল্ক্, লা শারিকা লাকা’ (আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার)—এই ধ্বনিতে মুখরিত হবে আরাফাতের ময়দান।
তালবিয়া পাঠ করে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়ে পাপমুক্তির আকুল বাসনায় লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান (হাজি) আজ রোববার মিনা থেকে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হবেন। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তাঁরা আরাফাতের ময়দানে থাকবেন। কেউ পাহাড়ের কাছে, কেউ সুবিধাজনক জায়গায় বসে ইবাদত করবেন।
পবিত্র হজ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি। আর্থিক ও শারীরিকভাবে সমর্থ পুরুষ ও নারীর জন্য হজ ফরজ। এবার যাঁরা হজে এসেছেন তাঁরা সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকবেন। হজের দিনে সারাক্ষণ আরাফাতে অবস্থান করা ফরজ। হজের প্রতিটি অনুষ্ঠান পালনের ক্ষেত্রে হাজিরা একই সারিতে সমবেত হন। সবাই আল্লাহর বান্দা ও রাসুলের উম্মত।
জানা গেছে, হজ ভিসা নিয়ে যাঁরা সৌদি আরবে গিয়ে অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাঁদেরও অ্যাম্বুলেন্সে করে আরাফাতের ময়দানে স্বল্প সময়ের জন্য আনা হবে। কারণ, আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়া হজের অন্যতম ফরজ।
পবিত্র হজ পালন করতে গত শুক্রবার সারা বিশ্বের অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান মিনায় পৌঁছান। বিশ্বের প্রায় ১৭২টি দেশের প্রায় ২৫ লাখ মুসলমান আজ মিনা থেকে আরাফাতে যাবেন। বাংলাদেশ থেকে এ বছর এসেছেন ১ লাখের বেশি হাজি। মূলত ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজ।
আরাফাহ ও আরাফাত এই দুটো শব্দই আরবিতে প্রচলিত। দৈর্ঘ্যে দুই মাইল, প্রস্থেও দুই মাইল। এই বিরাট সমতল ময়দানের নাম আরাফাত। ময়দানের তিন দিক পাহাড়বেষ্টিত। জাবাল মানে পাহাড়। জাবালে রহমত হলো রহমতের পাহাড়। হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই পাহাড়ের কাছে দাঁড়িয়ে বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। এই পাহাড়ে একটি উঁচু পিলার আছে। একে কেউ কেউ দোয়ার পাহাড়ও বলেন। পিলারের কাছে যাওয়ার জন্য পাহাড়ের গায়ে সিঁড়ি করা আছে।
আজ আরাফাতের ময়দানে খুতবার পর জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন মুসল্লিরা। তাঁরা সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। রাতে সেখানে অবস্থান করবেন খোলা মাঠে। শয়তানের প্রতিকৃতিতে পাথর নিক্ষেপের জন্য প্রয়োজনীয় পাথর (৭০টি) সংগ্রহ করবেন সেখান থেকে।
মুজদালিফায় ফজরের নামাজ আদায় করে হাজিরা কেউ ট্রেনে, কেউ গাড়িতে, কেউ হেঁটে মিনায় যাবেন এবং নিজ নিজ তাঁবুতে ফিরবেন। মিনায় বড় শয়তানকে সাতটি পাথর মারার পর পশু কোরবানি দিয়ে মাথার চুল ছেঁটে (ন্যাড়া করে) গোসল করবেন। সেলাইবিহীন দুই টুকরা কাপড় বদল করবেন। এরপর স্বাভাবিক পোশাক পরে মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করবেন। মসজিদুল হারাম সম্প্রসারণের ফলে এখন প্রতি ঘণ্টায় ১ লাখ ৭ হাজার মানুষ তাওয়াফ করতে পারেন।
কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় ‘সাঈ’ (সাতবার দৌড়াবেন) করবেন। সেখান থেকে তাঁরা আবার মিনায় যাবেন। মিনায় যত দিন থাকবেন, তত দিন তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট ) শয়তানকে ২১টি পাথর করবেন। আবার মক্কায় বিদায়ী তাওয়াফ করার পর নিজ নিজ দেশে ফিরবেন।
হাজিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সৌদি কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছে। হাজিদের বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দিতে মিনায় কিছু দূর পরপর রয়েছে হাসপাতাল। রয়েছে মোয়াচ্ছাসা, দমকল বাহিনী, পুলিশ বাহিনীর সদস্য। হাজিরা পথ হারিয়ে ফেললে স্বেচ্ছাসেবক, স্কাউট ও হজকর্মীরা তাঁদের নির্দিষ্ট তাঁবু বা গন্তব্যে পৌঁছে দেন।
সৌদি হজ মন্ত্রণালয় ও মোয়াচ্ছাসা কার্যালয় সূত্র জানায়, মক্কা, মিনা ও আরাফাতের ময়দানে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে সব হাজিকে বিনা মূল্যে খাবার, বিশুদ্ধ পানিসহ সব সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান হাজিদের নানা উপহার দিচ্ছে।
পবিত্র হজ পালন করতে এসে এ পর্যন্ত স্বাভাবিক কারণে ৩৩ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন।
আজ কাবা শরিফে গিলাফ পরানো হবে
আজ কাবা শরিফের গায়ে পরানো হবে নতুন গিলাফ। প্রতিবছর (৯ জিলহজ) হজের দিন হাজিরা সব আরাফাতের ময়দানে থাকেন এবং মসজিদে হারামে মুসল্লির সংখ্যাও থাকে কম। হাজিরা আরাফাত থেকে ফিরে এসে কাবা শরিফের গায়ে নতুন গিলাফ দেখতে পান।
কাবা শরিফের দরজা ও বাইরের গিলাফ দুটোই মজবুত রেশমি কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়। গিলাফের মোট পাঁচটি টুকরা বানানো হয়। চারটি টুকরা চারদিকে এবং পঞ্চম টুকরাটি দরজায় লাগানো হয়। টুকরাগুলো পরস্পর সেলাইযুক্ত। কাবার গিলাফের প্রতিটি কাপড়ের জন্য প্রয়োজন হয় ৬৭০ কেজি রেশম, ১৫০ কেজি সোনা ও রুপার চিকন তার। ৪৭ থান সিল্কের কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয় এই গিলাফ, মোট আয়তন ৬৫৮ বর্গমিটার। প্রতিটি থান ১ মিটার লম্বা, ৯৫ সেন্টিমিটার চওড়া। একটা আরেকটার সঙ্গে সেলাই করা। প্রতিবছর দুটি করে (একটি সতর্কতামূলক) গিলাফ তৈরি হয়। একটি হাতে তৈরি, বানাতে সময় লাগে আট-নয় মাস। অন্যটি মেশিনে মাত্র এক মাসে তৈরি করা হয়। উম্মুল জুদ কারখানায় মদিনায় হুজরায়ে নববির গিলাফও তৈরি করা হয়।
স্পোর্টস ডেস্ক: বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা শেষ করে অস্ট্রেলিয়া থেকে রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দেশে ফিরছেন তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানি। আগামীকাল রাত ১০টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা তাসকিন-সানিকে বহনকারী বিমানটি। বিসিবি সূত্র এ দুই বোলারের দেশে ফেরার খবরটি নিশ্চিত করেছে।
ব্রিসবেনের ন্যাশনাল ক্রিকেট সেন্টারের ল্যাবে তাসকিন-সানির বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা সম্পন্ন হয় গত বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর)। তাসকিনের পর পরীক্ষা দেন সানি। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
দেশে ফেরার আগে হাতে দুই দিন সময় পেয়েছিলেন এই দুই টাইগার বোলার। এ সময়ে বেরিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার দর্শনীয় স্থানগুলো। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে অংশ নিতে অস্ট্রেলিয়া গেলেও সেভাবে ঘুরে দেখা হয়নি সবকিছু। তাসকিনের ফেসবুকে পোস্ট করা ছবিই যেন বলছে, অস্ট্রেলিয়াতে দারুণ সময় কেটেছে তাদের।
তাসকিন-সানির অপেক্ষা এবার বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষার ফলাফলের জন্য। ফলাফল পেতে অপেক্ষা করতে হতে পারে আরও ২-৩ সপ্তাহ। আসন্ন আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের ২০ জনের দলে তাসকিন আহমেদ থাকলেও রাখা হয়নি আরাফাত সানিকে। তবে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষার ফলাফল ইতিবাচক হলে আরাফাত সানিকেও বিবেচনা করা হতে পারে আসন্ন সিরিজের জন্য।
চলতি বছরের মার্চে ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালে তাসকিন ও সানির বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। পরে চেন্নাইয়ে তাদের বোলিং পরীক্ষায় ত্রুটি প্রমাণিত হওয়ায় অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয় তাদের।
নিজস্ব প্রতিবেদক: সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় ক্যান্সার আক্রান্ত কবির চিকিৎসার সব দায়-দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সৈয়দ শামসুল হক রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে তার কেমোথেরাপি চলছে।
ফুসফুজের জটিলায় আক্রান্ত হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত এপ্রিলে যুক্তরাজ্য যান সৈয়দ শামসুল হক। সেখানে তার ক্যান্সার ধরা পড়ে।
৮০ পেরোনো এই লেখক ক্যান্সার থেকে সুস্থতার বিষয়ে সেখানকার চিকিৎসকদের কাছ থেকে কোনো আশ্বাস পাননি।
জীবনের বাকি দিনগুলো দেশে কাটানোর জন্যই গত ১ অগাস্ট ফিরেছেন তিনি। দেশে ফিরে এই হাসপাতালেই ভর্তি হন সৈয়দ শামসুল হক।
তাকে দেখতে শনিবার বিকালে ইউনাইটেড হাসপাতালে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা। তিনি বেশ কিছু সময় সৈয়দ শামসুল হকের সঙ্গে কাটান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম পরে জানান, প্রধানমন্ত্রী বিকাল সোয়া ৪টায় ইউনাইটেড হাসপাতালে যান। তিনি প্রায় ৪০ মিনিট সেখানে ছিলেন।
এসময় সৈয়দ শামসুল হকের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন শেখ হাসিনা। তিনি দীর্ঘ সময় সৈয়দ শামসুল হকের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় সব্যসাচী এই লেখক আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন।
ইহসানুল করিম বলেন, সৈয়দ শামসুল হকের চিকিৎসার সব খরচ বহন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
কবির স্ত্রী আনোয়ারা সৈয়দ হক, পুত্র দ্বিতীয় সৈয়দ হকসহ পরিবারের সদস্যরা এসময় হাসপাতালে ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।
ইউনাইটেড হাসপাতালের প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের কর্মকর্তা সাজ্জাদুর রহমান শুভ শনিবার সকালে বলেন, সৈয়দ হকের কেমোথেরাপি চলছে। স্বাভাবিক জ্ঞান আছে।
বেসরকারি হাসপাতালটির অনকোলজি বিভাগের চিকিৎসক অসীম কুমার সেনগুপ্তের অধীনে চিকিৎসা চলছে এই লেখকের।
লন্ডনের রয়্যাল মার্সডেন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন সৈয়দ হক।
লন্ডনে অবস্থানকালে ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সেখানে এক স্মরণসভায় অংশ নিয়েছিলেন এই লেখক।
কবিতা, নাটক, গল্প-উপন্যাসসহ সাহিত্যের সব শাখায় বিচরণকারী সৈয়দ হক ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়া এই সাহিত্যিকের হাত দিয়ে ‘খেলারাম খেলে যা’, ‘নীল দংশন’, ‘মৃগয়া’, ‘সীমানা ছাড়িয়ে’, ‘আয়না বিবির পালা’সহ বহু পাঠকপ্রিয় বই এসেছে।
তার লেখা নাটক ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ ও ‘নুরুল দীনের সারাজীবন’ বাংলাদেশের মঞ্চনাটকের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে আছে।
নিউজ ডেস্ক: সাপের পাঁচ পা দেখা- প্রবাদটি হয়তো অনেকেই শুনেছেন। কিন্তু সাপের পাঁচ পা কেউ দেখেছেন বলে শোনা যায়নি। মূলত অসম্ভবকে সম্ভব করার স্পর্ধা বোঝাতেই এ কথা বলা হয়।
কিন্তু এই অসম্ভবই শেষ পর্যন্ত অনেকটা সম্ভব হয়েছে। দেখা মিলেছে সাপের পায়ের।
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় দুই পা বিশিষ্ট একটি সাপ দেখা গেছে। তবে সাপটিকে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।
খবর পেয়ে দুই পা বিশিষ্ট লম্বায় প্রায় দুই ফুটের মৃত সাপটিকে দেখতে হাজার হাজার মানুষের ভিড় করে।
জানা গেছে, হত্যার কিছুক্ষণ আগে উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রামপুর গ্রামের মাস্টার বাড়িতে প্রথমে এক শিশুর নজরে আসে সাপটি।
সাপটি দেখে শিশুটি ভয়ে চিৎকার শুরু করলে বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে আসে।
পরে শামছুল হক নামের এক ব্যক্তি এসে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সাপটি মেরে ফেলে। এরপর সাপটিকে বাড়ির পাশে ফেলে রাখা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী আশরাফুল ইসলাম জানান, ‘সাপের পা জীবনে দেখিনি। কেউ দেখেছেন বলে কোনোদিন শুনিনি। কিন্তু এই প্রথম সাপের দুটি পা নিজের হাতে ধরে দেখেছি।’
শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই বাড়িতে মৃত সাপটিকে দেখেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এরপর কী হয়েছে তা জানি না।
গাজীপুর ও টঙ্গী প্রতিনিধি: গাজীপুরের টঙ্গী বিসিক শিল্প নগরীতে কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক। সব লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হচ্ছে।
নিহতদের মধ্যে ১৩ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন অপারেটর জয়নাল আবেদিন ও আনোয়ার হোসেন, দারোয়ান রেদোয়ান, নিরাপত্তাকর্মী জাহাঙ্গীর ও হান্নান মিয়া, ক্লিনার শংকর, শ্রমিক রফিকুল ইসলাম, ইদ্রিস, আল মামুন, নয়ন, সুভাষ, জাহিদুল ও রিক্সাচালক রাশেদ।
এদিকে টম্পাকো ফয়েল কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে বহু হতাহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার সকালে রেলগেট এলাকায় কারখানায় বয়লার বিস্ফোরিত হয়। এতে সৃষ্ট আগুন পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। ওই কারখানায় রাতের শিফটের কাজ চলছিল। বয়লার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয় অর্ধশতাধিক শ্রমিক।
দগ্ধ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর দগ্ধ অনেককে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদর দফতর, টঙ্গী ও জয়দেবপুরের ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দেয়। এরই মধ্যে কারখানার চারতলা ভবনের একাংশ ধসে পড়েছে। ধসে পড়া অংশে আরো শ্রমিক থাকতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।
ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার সন্ধ্যানাগাদ তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর নেওয়া হচ্ছে। হান্নান শাহের ব্যক্তিগত সহকারী মো. ইউনূস বাবুল জানান, শনিবার দুপুরে চিকিৎসকদের বোর্ড সভা বসে। সভা শেষে জানানো হয়, হান্নান শাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়া দরকার।
তিনি জানান, শনিবার সকাল থেকে স্যারের শ্বাসকষ্ট বাড়ায় তাকে কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। এখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কোর্টে হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় বুকে ব্যথা অনুভব করেন হান্নান শাহ। এরপরই তাকে দ্রুত সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়। সিএমএইচে নেওয়ার পরই মূলত তার ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়। পরে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
গতকাল (শুক্রবার) অবস্থা ভালো হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্ট থেকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। শনিবার সকাল থেকে তার অবস্থার অবনতি হয়।
উৎসঃ পরিবর্তন
ঢাকা: ঈদে বাড়ি ফিরতে দুর্ভোগ মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘এটা মেনে নিতে হবে। কারো কিছু করার নাই।’
শনিবার সকালে গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। তবে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক চারলেন এবং পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেলে এই ভোগান্তি কমে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঈদের আগে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রতিবছরই যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চলতি বছরের মতো এত যানজটে কখনই পড়েনি এই মহাসড়ক ধরে চলা যাত্রীরা।
গত চারদিন ধরেই এই মহাসড়কে যানবাহন চলছে একেবারেই ধীর গতিতে। কখনও কখনও কয়েক ঘণ্টা গাড়ি বন্ধ করে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এই অবস্থায় নির্ধারিত সময়ে বাস আসতে পারছে না ঢাকায়। তাই সময়মত ছাড়তে পারছে না কোনো গাড়ি।
বুধবার সকাল থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাশ থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত চন্দ্রা প্রায় ৮০ কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। আজও এই মহাসড়কের ৭০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট দেখা দেয়। যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ ও এক হাজার স্বেচ্ছাসেবী চেষ্টা চালালেও তারা কার্যত যানজট নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছেন।
যাত্রী দুর্ভোগ চরমে উঠায় এই পথের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সরকারের উদ্যোগ প্রশ্নের মুখে পড়েছে। গত কয়েক বছর যানজট মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এবার কেন এমন করুণ দশা সে নিয়ে কথা উঠেছে। মন্ত্রীর গাবতলী টার্মিনাল পরিদর্শনেও এ নিয়ে যাত্রীদের প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি।
সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘এবার চার লেনের কাজ চলছে। ঈদের কারণে আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তারপও কিছু প্রভাব রয়ে গেছে। ২০১৮ সালের আগেই এই কাজ শেষ হয়ে যাবে। তখন আর এই দুর্ভোগে পড়তে হবে না যাত্রীদের।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, মহাসড়কে গরুর ট্রাক বেশি থাকায় ধীরগতিতে গাড়ি চলছে। যানজট বাড়ার পেছনে এটাও অন্যতম কারণ। তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের যাত্রা স্বস্তিদায়ক করার চেষ্টা চলছে। যাত্রীদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে কোনো ত্রুটি যেন না হয়, সেসব বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে গাবতলী বাস টার্মিনালের কাউন্টারগুলোতে পুলিশ ও র্যাবের অভিযোগ কেন্দ্র করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় পুলিশ-র্যাব দায়িত্ব পালন করছে।’
শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যানবাহনের চাপ বাড়লেও ফেরিপারাপার স্বাভাবিক রাখা যাচ্ছে না পদ্মায় প্রবল স্রোতের কারণে। মন্ত্রী বলেন, ‘বারবার ঘাট ভেঙে যাচ্ছে। সে কারণে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কিছুটা কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।’
ঢাকাটাইমস
নিউজ ডেস্ক: আরাফার দিন হজের খুতবা প্রদান ও নামিরা মসজিদে ইমামতি করা থেকে পদত্যাগ করেছেন সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবুদল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল শায়খ।
তিনি ১৯৮১ সাল থেকে দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবৎ হজের খুতবা দিয়ে আসছিলেন। স্বাস্থ্যগত কারণে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরবের জাতীয় দৈনিক ওকাজ এ খবর জানিয়েছে।
দৈনিক ওকাজ আরও জানায়, গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম মুফতি সালিহ বিন হুমাইদ গ্র্যান্ড মুফতি আবুদল আজিজের স্থালাভিষিক্ত হতে পারেন।
বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে ওকাজ জানায়, হুমাইদ ছাড়াও গ্র্যান্ড মুফতি নির্বাচনে দু’জনের নাম শোনা যাচ্ছে। তারা হলেন, ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টার শায়খ সালিহ আল আশ শায়খ ও দুই পবিত্র মসজিদের প্রেসিডেন্সি চেয়ারম্যান গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইস।