April 19, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক: সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় ক্যান্সার আক্রান্ত কবির চিকিৎসার সব দায়-দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সৈয়দ শামসুল হক রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে তার কেমোথেরাপি চলছে।
ফুসফুজের জটিলায় আক্রান্ত হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত এপ্রিলে যুক্তরাজ্য যান সৈয়দ শামসুল হক। সেখানে তার ক্যান্সার ধরা পড়ে।
৮০ পেরোনো এই লেখক ক্যান্সার থেকে সুস্থতার বিষয়ে সেখানকার চিকিৎসকদের কাছ থেকে কোনো আশ্বাস পাননি।
জীবনের বাকি দিনগুলো দেশে কাটানোর জন্যই গত ১ অগাস্ট ফিরেছেন তিনি। দেশে ফিরে এই হাসপাতালেই ভর্তি হন সৈয়দ শামসুল হক।
তাকে দেখতে শনিবার বিকালে ইউনাইটেড হাসপাতালে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা। তিনি বেশ কিছু সময় সৈয়দ শামসুল হকের সঙ্গে কাটান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম পরে জানান, প্রধানমন্ত্রী বিকাল সোয়া ৪টায় ইউনাইটেড হাসপাতালে যান। তিনি প্রায় ৪০ মিনিট সেখানে ছিলেন।
এসময় সৈয়দ শামসুল হকের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন শেখ হাসিনা। তিনি দীর্ঘ সময় সৈয়দ শামসুল হকের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় সব্যসাচী এই লেখক আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন।
ইহসানুল করিম বলেন, সৈয়দ শামসুল হকের চিকিৎসার সব খরচ বহন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
কবির স্ত্রী আনোয়ারা সৈয়দ হক, পুত্র দ্বিতীয় সৈয়দ হকসহ পরিবারের সদস্যরা এসময় হাসপাতালে ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।
ইউনাইটেড হাসপাতালের প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের কর্মকর্তা সাজ্জাদুর রহমান শুভ শনিবার সকালে বলেন, সৈয়দ হকের কেমোথেরাপি চলছে। স্বাভাবিক জ্ঞান আছে।
বেসরকারি হাসপাতালটির অনকোলজি বিভাগের চিকিৎসক অসীম কুমার সেনগুপ্তের অধীনে চিকিৎসা চলছে এই লেখকের।
লন্ডনের রয়্যাল মার্সডেন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন সৈয়দ হক।
লন্ডনে অবস্থানকালে ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সেখানে এক স্মরণসভায় অংশ নিয়েছিলেন এই লেখক।
কবিতা, নাটক, গল্প-উপন্যাসসহ সাহিত্যের সব শাখায় বিচরণকারী সৈয়দ হক ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়া এই সাহিত্যিকের হাত দিয়ে ‘খেলারাম খেলে যা’, ‘নীল দংশন’, ‘মৃগয়া’, ‘সীমানা ছাড়িয়ে’, ‘আয়না বিবির পালা’সহ বহু পাঠকপ্রিয় বই এসেছে।
তার লেখা নাটক ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ ও ‘নুরুল দীনের সারাজীবন’ বাংলাদেশের মঞ্চনাটকের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে আছে।