April 18, 2024
ঢাকা: ঈদে বাড়ি ফিরতে দুর্ভোগ মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘এটা মেনে নিতে হবে। কারো কিছু করার নাই।’
শনিবার সকালে গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। তবে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক চারলেন এবং পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেলে এই ভোগান্তি কমে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঈদের আগে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রতিবছরই যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চলতি বছরের মতো এত যানজটে কখনই পড়েনি এই মহাসড়ক ধরে চলা যাত্রীরা।
গত চারদিন ধরেই এই মহাসড়কে যানবাহন চলছে একেবারেই ধীর গতিতে। কখনও কখনও কয়েক ঘণ্টা গাড়ি বন্ধ করে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এই অবস্থায় নির্ধারিত সময়ে বাস আসতে পারছে না ঢাকায়। তাই সময়মত ছাড়তে পারছে না কোনো গাড়ি।
বুধবার সকাল থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাশ থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত চন্দ্রা প্রায় ৮০ কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। আজও এই মহাসড়কের ৭০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট দেখা দেয়। যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ ও এক হাজার স্বেচ্ছাসেবী চেষ্টা চালালেও তারা কার্যত যানজট নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছেন।
যাত্রী দুর্ভোগ চরমে উঠায় এই পথের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সরকারের উদ্যোগ প্রশ্নের মুখে পড়েছে। গত কয়েক বছর যানজট মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এবার কেন এমন করুণ দশা সে নিয়ে কথা উঠেছে। মন্ত্রীর গাবতলী টার্মিনাল পরিদর্শনেও এ নিয়ে যাত্রীদের প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি।
সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘এবার চার লেনের কাজ চলছে। ঈদের কারণে আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তারপও কিছু প্রভাব রয়ে গেছে। ২০১৮ সালের আগেই এই কাজ শেষ হয়ে যাবে। তখন আর এই দুর্ভোগে পড়তে হবে না যাত্রীদের।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, মহাসড়কে গরুর ট্রাক বেশি থাকায় ধীরগতিতে গাড়ি চলছে। যানজট বাড়ার পেছনে এটাও অন্যতম কারণ। তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের যাত্রা স্বস্তিদায়ক করার চেষ্টা চলছে। যাত্রীদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে কোনো ত্রুটি যেন না হয়, সেসব বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে গাবতলী বাস টার্মিনালের কাউন্টারগুলোতে পুলিশ ও র্যাবের অভিযোগ কেন্দ্র করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় পুলিশ-র্যাব দায়িত্ব পালন করছে।’
শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যানবাহনের চাপ বাড়লেও ফেরিপারাপার স্বাভাবিক রাখা যাচ্ছে না পদ্মায় প্রবল স্রোতের কারণে। মন্ত্রী বলেন, ‘বারবার ঘাট ভেঙে যাচ্ছে। সে কারণে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কিছুটা কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।’
ঢাকাটাইমস