May 18, 2024
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বন্ধের চেয়ে অপপ্রয়োগ বন্ধ হওয়া জরুরি।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মেট্রোরেলের ট্র্যাক ও এলিভেটেড স্টেশন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
খুলনার সাংবাদিক আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা ও গ্রেফতার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তুচ্ছ কিছু ঘটলো আর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হলো-এটি ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ। এ ধারা বাতিলের চেয়ে এর অপপ্রয়োগ বন্ধ করা দরকার।’
তিনি বলেন, সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণের জন্য ৫৭ ধারা করা হয়েছিল। কিন্তু তুচ্ছ কারণে এর অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। তুচ্ছ কারণেও এই ধারার ব্যবহার হচ্ছে।
এ ব্যপারে তথ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। বলেন, এ আইন বাদ দেয়ার কথা আমি বলব না, তবে অপপ্রয়োগ ঠেকাতে বলবো। সূত্র:বাসস
ডেস্ক রিপোর্ট : আগামীতে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এসময়, ভাতার জন্য কাউকে ব্যাংকের দরজায় আর দাঁড়িয়ে থাকতে হবেনা বলেও জানান তিনি। সকালে নড়াইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধনের পর তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় আ ক ম মোজাম্মেল হক বললেন, ‘কিছুদিনের মধ্যে যার যার বাড়িতে যেয়ে টাকা পৌছায় দেব। ব্যাংকে আর লাইন ধরে বসে থাকতে হবে না। কুরবানির ঈদে ভাতা ছাড়া বোনাস পাবেন সাড়ে ৩২ হাজার টাকা।’
ডেস্ক রিপোর্ট : আগামীতে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এসময়, ভাতার জন্য কাউকে ব্যাংকের দরজায় আর দাঁড়িয়ে থাকতে হবেনা বলেও জানান তিনি। সকালে নড়াইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধনের পর তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় আ ক ম মোজাম্মেল হক বললেন, ‘কিছুদিনের মধ্যে যার যার বাড়িতে যেয়ে টাকা পৌছায় দেব। ব্যাংকে আর লাইন ধরে বসে থাকতে হবে না। কুরবানির ঈদে ভাতা ছাড়া বোনাস পাবেন সাড়ে ৩২ হাজার টাকা।’
ডেস্ক রিপোর্ট : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ,ক,ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার কবর একই ডিজাইনের হবে যাতে একশ বছর পরেও মানুষ চিনতে পারে এটা মুক্তিযোদ্ধার কবর, প্রতিটি কবরের বাজেট ২ লক্ষ টাকা,
তিনি আরো বলেন আজ থেকে অতিতের সকল মুক্তিযুদ্ধাদের যত রকম সনদ, সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে তা বাতিল করা হল, আপনাদের সকল তথ্য ওয়েব সাউডে দেয়া আছে। আমাদের কাছে প্রত্যয়ন পত্র নিতে আর যাওয়া লাগবে না, আপনার নাম্বার দিলেই সকল তথ্য পেয়ে যাবেন। মঙ্গলবার নড়াইল শহরের রূপগঞ্জ এলাকায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লে¬ক্স ভবনের উদ্বোধন শেষে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির ভাষনে তিনি একথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসক মোঃ এমদাদুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায়, প্রকল্প পরিচালক ডঃ মইনুল হক আনসারি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম,জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোলাম কবির, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, বীর মুক্তিযোদ্ধাগন,আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ডেস্ক রিপোর্ট : বর্ষার প্রতিকূল পরিবেশকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েই কাজ এগুচ্ছে পদ্মা সেতুর। তার সঙ্গে এবার বাড়তি যোগ হয়েছে হ্যামার জটিলতা। এ প্রকল্পে বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হ্যামার আনা হলেও গত এক মাস ধরে অচল হয়ে আছে তিনটি হ্যামারই। এর মধ্যে দুইটি হ্যামার দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট, আরেকটি হ্যামার সার্ভিসিংয়ে থাকায় ব্যাহত হচ্ছে সেতুর পাইল ড্রাইভিংয়ের কাজ। প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, জটিলতা এড়াতে শীঘ্রই আনা হচ্ছে আরো দুটি নতুন হ্যামার।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি। নদী উত্তাল, থেমে থেমে দমকা হাওয়া। প্রস্তুতি আছে, কিন্তু নেই কাজ করার মতো অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ। পদ্মা সেতুর কাজে তাই বড় বাধা মনে করা হয় বর্ষায় নদীর অশান্ত এ রূপকে। তার সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হয়েছে যান্ত্রিক জটিলতা। শুরুতে পাইল ড্রাইভিং হতো ২ হাজার কিলোজৌল ক্ষমতাসম্পন্ন একটি হাইড্রোলিক হ্যামার দিয়ে। পরে ২৪শ কিলোজৌল আর বিশ্বের সর্বোচ্চ ৩৬শ কিলোজৌল ক্ষমতার আরও দুটি হ্যামার তাতে যোগ করা হয়। এর মধ্যে এমএনকে কোম্পানির দুটি হ্যামারই দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে আছে। ২৪শ কিলোজৌলের একটি হ্যামার দিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়া হলেও পুরো জুলাই মাস জুড়ে সেটারও সংস্কার কাজ করতে হয়েছে। এ অবস্থায় কাজের গতি স্বাভাবিক রাখতে ১৯শ ও ৩৫শ কিলোজৌলের আরো দুটি নতুন হ্যামার আনা হচ্ছে।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইলেকট্রনিক জিনিস যেকোনো সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর এই হ্যামার শুধুমাত্র পদ্মা সেতুর জন্য বানানো হয়েছে। চলতি মাসে একটা আসবে আর চলতি বছরের শেষে আর একটা আসবে।’
পুরো সেতুর ২৭২টি পাইলের মধ্যে এখন পর্যন্ত বসানো হয়েছে ৩৪টি পাইল। এ ক্ষেত্রে আগে ড্রাইভ করা ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারকে কংক্রিট ঢালাই, ক্যাপ পড়ানোর কাজ শেষে পুরো প্রস্তুত করে ফেলা হচ্ছে। কয়েক দফা পেছানো হলেও এ দুটি পিলারের মধ্যে পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যানটি বসানো হবে আগামী মাসে।
এছাড়া সেতু থেকে সড়কে নামার জন্য জাজিরা প্রান্তে ভায়াডাক্ট তৈরির কাজ প্রায় ৭০ ভাগ শেষ হলেও মাওয়া প্রান্তে এ কাজ ধরা হবে চলতি মাসে। এখন পর্যন্ত মূল সেতুর ৫৯ ভাগ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ হয়েছে ৪৫ ভাগ।
ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশ কম্বোডিয়ার কাছ থেকে ১০ লাখ টন চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কম্বোডিয়ান সংবাদমাধ্যম খেমার টাইমস সে দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে এ খবর জানিয়েছে। বুধবার দুই দেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার কথা।
খেমার টাইমস জানিয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী আগামী পাঁচ বছরে এক ট্রিলিয়ন চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ। কেবল সুগন্ধী বা সাদা চাল নয়, আমদানির তালিকায় সব ধরনের চালই থাকবে। কম্বোডিয়ান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সোয়েং সোফারি খেমার টাইমসকে বলেন, বুধবার রাজধানী নম পেনে দুই দেশের মন্ত্রণালয় ও প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এ সংক্রান্ত চু্ক্তি সই হবে।
চাল উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। গত মে মাসে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, মজুদ বাড়াতে চাল আমদানির পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ। বন্যায় দেশীয় উৎপাদন কমে যাওয়ায় আমদানির পরিকল্পনাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। এতে চালের দাম বৃদ্ধির হারে রাশ টানা যাবে বলেও মনে করা হচ্ছে। রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দাম নিয়ন্ত্রণে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ভারতের মতো রফতানিকারক দেশগুলোতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন কর্মকর্তারা। এবার ওই ৩ দেশের সঙ্গে কম্বোডিয়ার নামও যুক্ত হলো আমদানির তালিকায়।
দুই দেশের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে কম্বোডিয়ার রাইস ফেডারেশন। নিজেদের দেশের জন্য এই চুক্তিকে ইতিবাচক মনে করছে তারা।
বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৩৪ মিলিয়ন টন চাল উৎপাদন করে। উৎপাদিত চালের অধিকাংশই দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাবারের প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়। তবে এপ্রিলের বন্যার ফলশ্রুতিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মজুদের পরিমাণও ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ওই বন্যার ফলে দেশে সাত লাখ টন চাল নষ্ট হয়। ফলে বাংলাদেশে চালের দাম বৃদ্ধি এখন রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছর চালের প্রধান আমদানিকারক দেশ হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে বাংলাদেশ। মার্কিন কৃষি দফতরের ২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী, চাল আমদানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ। এরপর থেকে বাংলাদেশ সরকার চাল আমদানি বন্ধ রাখে। তবে বেসরকারি খাতে ব্যবসায়ীরা চাল আমদানি অব্যাহত রাখেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই আসে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে।
সূত্র : বাংলাট্রিবিউন।
ডেস্ক রিপোর্ট : ২০১৪ সালের ১ আগস্ট ভোরে ট্রেনের ধাক্কায় বরযাত্রীবাহী বাসের ১২ জন নিহত হয়। দুর্ঘটনার পর রেলওয়ের পক্ষ থেকে ও স্থানীয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির দেওয়া রিপোর্টে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে তিনটি কারণ উল্লেখ করা হলেও এ ব্যাপারে এখনো কোনও ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি।
কারণ তিনটির মধ্যে রয়েছে, তৎকালীন স্টেশন মাস্টার আবু সুফিয়ান তুর্কি ও গেইট ম্যান আব্দুর রহমানের দায়িত্বে অবহেলা। তারা ঘুমিয়ে থাকার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। দ্বিতীয় কারণ হিসেবে দেখা গেছে, রেল লাইন ঘেঁষে গড়ে উঠেছে মাছ বাজার ও অবৈধ স্থাপনা। এসব অবৈধ স্থাপনের কারণে রাতে যানবাহনগুলো রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় রেলের আলো দেখতে পারে না। দুর্ঘটনার রাতে রেলের আলো দেখতে না পারার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে। তৃতীয় কারণ হলো বরযাত্রীবাহী বাসের ঢোল বাজনার কারণে ড্রাইভার ট্রেনের হর্ণ শুনতে পারেননি। যে কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে। কিন্তু দুর্ঘটনার তিন বছর পার হলেও অজ্ঞাত কারণে রেল লাইনের ওপর থেকে মাছ বাজারটি উচ্ছেদ করা হয়নি।
দুর্ঘটনার পর রেলওয়ের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেন্ড হাবিবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি এবং স্থানীয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তৎকালীন এডিসি জেনারেল নাসরিন জাহানকে আহ্বায়ক ও কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) দেবপ্রসাদ পাল ও সার্কেল এএসপিকে সদস্য করে তিন সদস্যদের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ঘটনার ৯ দিন পর ১০ আগস্ট স্থানীয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি স্টেশন মাস্টার আবু সুফিয়ান তুর্কি, গেইট ম্যান আব্দুর রহমান ও বাসের ড্রাইভারকে দায়ি করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়। এছাড়া দুর্ঘটনার নেপথ্যে বেশকিছু ঘটনা তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে। তদন্ত কমিটির সদস্য ওই সময় কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এবং বর্তমানে চুয়াডাঙ্গার জেলার এডিসি দেবপ্রসাদ পাল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়াসহ বেশকিছু সুপারিশ করেন।
দুর্ঘটনার পর কয়েক দফা রেল লাইনের উপর গড়ে উঠা বাজার ও আশপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হলেও অজ্ঞাত কারণে সেই অভিযান আজও হয়নি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, এ রেল লাইনের উপর দিয়ে প্রতিদিন ৯ টি আপ ও ৯ টি ডাউনসহ মোট ১৮টি ট্রেন চলাচল করে। এছাড়া স্থানীয় অনেকে নাকি রেলওয়ে থেকে ডিসিআর কেটে এনে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। মাছের পানিতে স্লিপারগুলোর নীচে পানি জমে মাটি নরম হয়ে রেল লাইন সরে যায়। স্লিপারগুলো মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এসব কারণে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে সেই সময়ের কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা জেলার এডিসি দেবপ্রসাদ পাল জানিয়েছিলেন, দুর্ঘটানার কয়েকদিন পর তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে রিপোর্টটি মন্ত্রণলায়ে পাঠানো হয়।
এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হলো না কেন জানতে চাইলে
বর্তমান কালীগঞ্জ উপজেলা কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। ঘটনার সময় যারা এখানে ছিল তারা সবাই বদলি হয়ে গেছে। তবে আমি খুব শিগগির স্থানীয় সার্ভেয়ারদের ডেকে রেলওয়ের জায়গাটা মেপে আইনানুগ ব্যাবস্থা নিব।’
ডেস্ক রিপোর্ট :কেরানীগঞ্জের শিশু পরাগ অপহরণ মামলার প্রধান আসামি মোক্তার হোসেন ওরফে ল্যাংড়া আমির ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের মীরেরবাগ এলাকায়
এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার সকালে ওসি জানান, মোক্তার হোসেন ওরফে ল্যাংড়া আমিরের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে মামলা রয়েছে।
পুলিশ অনেক দিন ধরেই তাঁকে ধরার চেষ্টা করে আসছিল। তাঁর লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মিটফোর্ড) পাঠানো হয়েছে। সেখানেই লাশের ময়নাতদন্ত হবে। এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার বেলা ১১টায় ব্রিফ করবেন বলে জানান ওসি।
সূত্র : জনকন্ঠ।
ডেস্ক রিপোর্ট : বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। আজ সোমবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার ঘোগা বটতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন, মোসলেম উদ্দিন (৩০) ও আলী হোসেন (৩৮)। মোসলেম উদ্দিন রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ময়েনপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম আবদুর রসিদ। আলী হোসেন কুমিল্লার বাসিন্দা।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. ইরফান বলেন, ঢাকা থেকে রংপুরগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে ঢাকাগামী ভুট্টা বোঝাই একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হন। এ সময় আহত হন কমপক্ষে ১১ জন।
আহতদের মধ্যে একজন বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ডেস্ক রিপোর্ট :বাগেরহাটে পালিত হবে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি এবারের প্রতিপাদ্য ‘বাঘ আমাদের গর্ব, বাঘ রক্ষা করব’ স্লোগানে আজ বিশ্ব বাঘ দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে বন অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি এদিন সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাট জেলা সদরে অনুষ্ঠিত হবে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘বাঘ আমাদের গর্ব, বাঘ রক্ষা করব’। কর্মসূচির মধ্যে আছে সকাল ৯টায় বাগেরহাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে সমাবেশ, ৯টা ১০ মিনিটে বর্ণাঢ্য র্যালী, ১০টায় জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আলোচনা সভা ও ১১টা ২৫ মিনিটে লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। বিশেষ অতিথি থাকবেন পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেন এমপি, এডভোকেট মীর শওকত আলী বাদশা এমপি, হ্যাপী বড়াল এমপি এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসতিয়াক আহমদ। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সফিউল আলম চৌধুরী। বিশ ্ব বাঘ দিবসের এবারের মূল প্রতিপাদ্যের উপর আলোচনা করবেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম এ আজিজ। এদিকে, এ বছর বিশ্ব বাঘ দিবসের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বন অধিদপ্তরের সুন্দরবন বিভাগীয় সদর দপ্তর (পূর্ব) বাগেরহাটে অনুষ্ঠিত হওয়ার খবরে সুন্দরবন অঞ্চলে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের একমাত্র সুন্দরবন বাঘের আবাসস্থল হওয়ায় বাঘ সংরক্ষণ, বাঘ শিকার ও পাঁচার বন্ধ, বাঘের খাদ্য সুন্দরবনের হরিণ রক্ষাসহ সন্নিহিত লোকালয়ের অধিবাসীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে এ দিবস পালনের গুরুত্ব অপরিসীম।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত বাঘ সমৃদ্ধ ১৩টি দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের সম্মেলনে বাঘ সংরক্ষণকে বেগবান করার জন্য এক ঘোষণা পত্র তৈরি হয়। সেই ঘোষনা পত্রের আলোকে প্রতিবছর ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস পালিত হচ্ছে। বাঘ রয়েছে বিশ্বের এমন ১৩টি দেশ হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ভুটান, নেপাল, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম ও রাশিয়া।
বাগেরহাট প্রতিনিধি নীহার রঞ্জন সাহা ও শরণখোলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা আসাদুজ্জামান মিলন জানান, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করায় সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করেছে বনবিভাগ। সচেতনতা সৃষ্টির কারণে গত দুই বছরে লোকালয় ঢুকলেও জনতা বাঘ হত্যা করেনি।
তবে ‘বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘের ঘনত্ব’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা এখন মাত্র ১০৬টি। এর আগে ২০০৪ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির সহায়তায় বনবিভাগ বাঘের পায়ের ছাপ গুণে জরিপ করে বলেছিল, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৪৪০টি। ২০১৩ সালে ‘ক্যামেরা ট্যাপিং’ পদ্ধতিতে সুন্দরবনে বাঘ গণনা শুরুর পর ওই জরিপ কিছুটা ত্রুটিপূর্ণ ছিল বলে প্রশ্ন ওঠে। বাঘ শুমারির চূড়ান্ত ফলাফল অনুযায়ী বাংলাদেশ ও ভারতীয় অংশ মিলে ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটারের সুন্দরবনে মোট বাঘের সংখ্যা ১৭০টি।
সুন্দরবন সুরক্ষায় শরণখোলা রেঞ্জের সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন বলেন, বাঘ সুন্দরবনের প্রাকৃতিক রক্ষক। বাঘ কমলে সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্যের উপর হুমকি বাড়বে। তাই শুধু বাঘ নয়, বিশ্ব ঐতিহ্য ও সুন্দরবনকে এবং বনের সকল জৈববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারকে আরো উদ্যোগী হতে হবে। পাশাপাশি সুন্দরবন সংলগ্ন জনপদের মানুষকে বন সুরক্ষায় আরো বেশি সচেতন এবং উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, সর্বশেষ গত ২০১৫ সালের পরিসংখ্যানে বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি। তাছাড়া বনবিভাগসহ প্রশাসনের কড়া নজরদারিতে গত দুই বছরে কোন বাঘ হত্যা বা শিকারের অঘটন ঘটেনি। সুন্দরবনে টহলকালে বাঘ ও বাঘের বাচ্চা ঘোরা ফেরা করতে দেখা যায়। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, বাঘের সংখ্যা বাড়ছে।
ফরিদপুরে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো অন্তত ৩জন।
শুক্রবার রাতে মধুখালী উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাজী রাস্তা এলাকায় এ দুর্ঘটনা হয়। হাইওয়ে পুলিশ জানায়, রাতে কোলকাতা থেকে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস ঢাকার দিকে আসছিলো।
এটি ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের ৩ যাত্রী নিহত হন।
পরে আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে আরো ২ জনের মৃত্যু হয়।