April 24, 2024
ডেস্ক রিপোর্ট : এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রায় ১২ লাখ শিক্ষার্থীর অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে রোববার।
ফলাফলের দিন সকালে বোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সকালে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেবেন। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন মন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর থেকে শিক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবে।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১১ লাখ ৮৩ হাজার ছয়শ ৮৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। অবশ্য এর মধ্যে বেশ কিছু শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
গত ২ এপ্রিল থেকে ১৫ মে এইচএসসির তত্ত্বীয় এবং ১৬ থেকে ২৫ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা হয়েছে।
বাধ্যবাধকতা না থাকলেও পরীক্ষা শেষের ৬০ দিনের মধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে আসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই হিসেবে ২৪ জুলাই ৬০ দিন পূর্ণ হবে।
বরাবরের মতোই যে কোনো মোবাইল থেকে এসএসএম করে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল জানতে পারবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
এ জন্য HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
মাদ্রাসা বোর্ডের অধীন আলিম পরীক্ষার ফল জানতে Alim লিখে স্পেস দিয়ে Mad স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল পাওয়া যাবে।
এছাড়া এইচএসসি ভোকেশনালের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট (www.educationboardresults.gov.bd) এবং নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ফল জানা যাবে।
সূত্র : বিডিনিউজ২৪।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃত করে কার্ড ছাপানোর অভিযোগে একজন ইউএনও গ্রেফতারের ঘটনায় খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত ছিলেন বিস্মিত।
বৃহস্পতিবার পত্র-পত্রিকায় এই খবর দেখে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কর্মকর্তারাও বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান। ঘটনার পরপরই তাঁরা বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আনেন।
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ও প্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বিবিসি বাংলার রাতের অধিবেশন- পরিক্রমায় মাসুদ হাসান খানের সাথে এক সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে সরাসরি দেয়া এই সাক্ষাৎকারে এইচ টি ইমাম বলেন, “আমরা সবাই, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আজ যত কর্মকর্তা ছিলেন, এটি দেখে আমরা সকলেই বিস্মিত হয়েছি। যে ব্যক্তি এই মামলা করেছেন, আমরা মনে করি তিনি অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ করেছেন।”
এইচ টি ইমাম জানান, তিনি তাৎক্ষণিকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে একজন ইউএনওকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার এই ছবিটি দেখান।
এইচ টি ইমাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেন, ছবিটি দেখে তিনি বিস্মিত হলেন। “প্রধানমন্ত্রী বললেন, ক্লাস ফাইভের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে এই অফিসার সুন্দর একটি কাজ করেছেন। এবং সেখানে যে ছবিটি আঁকা হয়েছে, সেটি আমার সামনেই আছে, আপনারা দেখতে পারেন। এবং এই ছবিটিতে বিকৃত করার মতো কিছু করা হয়নি। এটি রীতিমত পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। এই অফিসারটি রীতিমত পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। আর সেখানে উল্টো আমরা তার সাথে এই করেছি, এই বলে প্রধানমন্ত্রী তিরস্কার করলেন। বললেন, এটি রীতিমত নিন্দনীয় “
প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারীকে কিভাবে গ্রেফতার করা হলো, কোনরকম অনুমোদন ছাড়া? এ প্রশ্নের উত্তরে এইচ টি ইমাম বলেন, “এটি করা যায় না। কারণ ইউএনও হচ্ছেন উপজেলা পর্যায়ে সরকারের সবচেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তাঁকে কোন শাস্তি দিতে হলে বা তার বিরুদ্ধে কোন মামলা বা কোন রকম কিছু করতে হলে সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন।”
এইচ টি ইমাম এই ঘটনার জন্য বরিশালের ডিসি, এসপিকে দায়ী করেন।
তিনি বলেন, “পুলিশ যে ব্যবহার করেছে এই ছেলেটির (ইউএনও) সাথে, যেভাবে তাকে নিয়ে গেছে, এ নিয়ে ওখানকার ডেপুটি কমিশনার, পুলিশ সুপার, এদের প্রত্যেককে আমি দায়ী করবো। এদের বিরুদ্ধেও আমাদের বোধহয় ব্যবস্থা নিতে হবে।”
কিভাবে পুলিশ এরকম একটি মামলা নিল আর জেলা জজই বা কিভাবে এই মামলা গ্রহণ করলেন, সেটা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন।
এইচ টি ইমাম বলেন, “এই ঘটনায় মাঠ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে তিনিও তাদের সাথে একমত।”
“আমাদের অফিসারটিকে যেন হেনস্থা করার জন্য পুলিশ যেভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে, এই পুরো ঘটনায় যেরকম তীব্র ক্ষোভ ফেটে পড়েছে, আমি তার সাথে সম্পূর্ণ একমত।”
এইচ টি ইমাম বলেন, “ঘটনাটি শোনার পরপরই প্রধানমন্ত্রী জানতে চেয়েছিলেন, যে ব্যক্তি এই মামলা করেছে, সে কে?”
মামলা দায়েরকারী ব্যক্তি সম্পর্কে সাথে সাথে তাঁরা খোঁজ খবর নেন, একথা জানিয়ে এইচ টি ইমাম বলেন, “এই লোক পাঁচ বছর আগেও আওয়ামী লীগে ছিল না। দলের ভিতরে ঢুকা পড়া এই ‘অতি উৎসাহীরাই’ এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, এই চাটুকাররাই আমাদের ক্ষতি করছে” বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এইচ টি ইমাম বলেন, “এই ঘটনার পিছনে তিনটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, এই অফিসারের বিরুদ্ধে হয়তো তাদের কোন ক্ষোভ ছিল। তাঁকে অপমানিত করা ছিল তাদের লক্ষ্য। দ্বিতীয়ত বিভিন্ন সার্ভিসের মধ্যে একটি অসন্তোষ সৃষ্টি করা। আর তৃতীয়ত, সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করা।”
দলের মধ্যেও ক্ষোভ:
এ ঘটনা নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং দলটির সমমনাদের মধ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
দলটির সমমনাদের অনেকে বলেছেন, এক শ্রেণীর চাটুকার বিভিন্ন সময়ই এ ধরনের মামলা করে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলছে।
অনেকে আবার বলেছেন, শেখ মুজিবের নাম ব্যবহার করে অতিউৎসাহী অনেক ব্যক্তি এবং অনেক ভূঁইফোড় সংগঠনের কর্মকাণ্ড তাদের দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে।
বরিশালে আওয়ামী লীগের একজন নেতা এবং সেই জেলার আইনজীবী সমিতির সভাপতি ওবায়েদ উল্লাহ সাজু আদালতে মামলাটি করেন গত ৭ জুন।
তাতে অভিয়োগ করা হয়েছে, জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আমত্রণপত্রে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃত করে ছাপা হয়েছে।
অভিযুক্ত করা হয়েছে আগৈলঝাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তারিক সালমানকে। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।
মামলার শুনানিতে বরিশালের মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত প্রথমে ওই নির্বাহী কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল। গত বুধবার এই নির্দেশ দেয়ার দুই ঘন্টা পর আদালত তাকে জামিন দেয়।
একটি শিশুর আঁকা ছবি আমন্ত্রণপত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল। মামলার বাদির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে তার পক্ষের আইনজীবী এবং সেখানকার আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম খোকন বলছিলেন, “কার্ডের উপরে এবং ভিতরে বঙ্গবন্ধুর কোনো ছবি নাই। কার্ডের পিছনে একবারে নিচে ছবি ছাপা হয়েছে। এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে অবজ্ঞা করা হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে। সে কারণে আমরা মামলা করেছি।”
বরিশালে এমন মামলা করার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক নেটওয়ার্ক এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা চলছে। আওয়ামী লীগেরই সমমনাদের অনেকে সামাজিক নেটওয়ার্কে তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেছেন।
তাদের মধ্যে সাংস্কৃতিক কর্মী এবং গণজাগরণ মঞ্চের একজন সংগঠক কামাল পাশা চৌধুরী বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ছবিটা এঁকেছে একটা শিশু। একটা শিশুর ছবি যে স্বাভাবিকভাবে রিয়েলিস্টিক ছবি হয় না, এই ধারণাটাই তাদের নাই। এর সাথে চাটুকারিতার মিশ্রণে তারা এই মামলা করেছে।”
কামাল পাশা চৌধুরী বলেন, “সারা দেশে এ ধরনের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, এই দলকে, নেত্রীকে এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনরকম চাটুকারিতা করা যায় কি না। এই অতিউৎসাহীদের শুধু দল থেকেই নয়, সমাজ থেকেই এদের বিতাড়িত করা প্রয়োজন।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরও অনেকে এই মামলার বিষয়কে ভালভাবে নেননি। দলটির নেতাদের অনেকে মনে করেন, এখন মামলার পিছনে অতি উৎসাহ কাজ করেছে।
আবার দলটির অনেকে বলেছেন, শেখ মুজিব এবং আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে অতি উৎসাহী এবং ৫০টির মতো সংগঠন কাজ করে থাকে। এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বিভিন্ন সময় দলে আলোচনা হলেও তাদের থামানো যাচ্ছে না।
এ নিয়ে দলের ভিতর ক্ষোভও রয়েছে। আওয়ামী লীগের সিনিয়র কয়েকজন নেতার সাথে কথা বলে এমন ধারণা পাওয়া গেছে।
তবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বিবিসিকে বলেছেন, “একটি শিশু তার কল্পনা শক্তি দিয়ে অনেক কিছু করতে পারে বা ভুল করতে পারে। কিন্তু একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা শিশুর আবেগকে কাজে লাগিয়ে ভুল করতে পারেন না।”
এদিকে, সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান মনে করেন, অতি উৎসাহ থেকে বরিশালে মামলাটি হয়েছে এবং সেটি আওয়ামী লীগেরই ক্ষতি করছে। বিবিসি
ডেস্ক রিপোর্ট : রাজশাহীর বাঘায় শিশুদের ক্লাস নিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি। ক্লাসে শিশুদের উদ্দ্যেশে বলেন, কিভাবে বঙ্গবন্ধুর খোকা নাম হয়েছিল, কোথায় জন্মগ্রহন করেন, শিশুদের মাঝে কেন আদর্শ ব্যক্তি হলেন, কেন স্বাধীনতার ডাক দিলেন, কেন জেলে গেলেন, কি কারণে এবং কত সালে ঐতিহাসিক ভাষণ দিলেন ইত্যাদি।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাসেল স্মৃতি ডিজিটাল ল্যাবের উদ্বোধন শেষে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হামিদুল ইসলাম, আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী, ওসি আলী মাহমুদ, আড়ানী পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান শাহীদ, সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, সহসভাপতি সাইদুর রহমান, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক বিরাজ উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান নিপন, সাধারণ সম্পাদক মোকাদ্দেস আলী সরকার, আড়ানী পৌর যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম টুটুল, অধ্যক্ষ আশরাফ আলী, অধ্যক্ষ শাহাবাজ আলী, প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কুমার, আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রভাষক রফিকুল ইসলাম, বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক, আড়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নার্গিস খাতুন প্রমুখ।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি রাসেল স্মৃতি ডিজিটাল ল্যাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের চারতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের প্রতিশ্র“তি দেন।
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজের বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে একনেক অনুমোদিত সংশোধিত নকশা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংশোধিত নকশার বিভিন্ন দিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে উপস্থাপন করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে শের-ই-বাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এবং গোপালগঞ্জ সদরের শেখ রাসেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নকশা উপস্থাপন করা হয়।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, শিক্ষা সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ডেস্ক রিপোর্ট : ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলা নিয়ে চলতি বছরই শিক্ষা নগরী ময়মনসিংহে শিক্ষাবোর্ডের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। জনবল কাঠামো চূড়ান্তকরণ, প্রাথমিক স্থান নির্ধারণসহ আনুষঙ্গিক কাজ প্রায় শেষপর্যায়ে রয়েছে। আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষা এই বোর্ডের অধীনে নেয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে বলে জানান ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার। শিক্ষাবোর্ড স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় উচ্ছ্বসিত এই অঞ্চলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দেয়ার পর জোরেশোরে চলছে ময়মনসিংহে শিক্ষাবোর্ড স্থাপনের কাজ। জনবল কাঠামো চূড়ান্ত করাসহ আনুষঙ্গিক কাজ প্রায় শেষ করে এনেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৭ সদস্যের কমিটি।
শিক্ষা বোর্ডের অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে টিচার্স ট্রেনিং কলেজের দুটি ভবন নির্ধারণ করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরেই যাত্রা শুরু করবে দেশের একাদশ শিক্ষাবোর্ড ময়মনসিংহ ।
বিভাগীয় কমিশনার জি এম সালেহ উদ্দিন বলেন, মন্ত্রণালয় নতুন শিক্ষা বোর্ড আইন করেছে। এই আইনের খসড়া এখন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এরই মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন জনবল কাঠামো ঠিক করেছে।
শিক্ষাবোর্ড স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় উচ্ছ্বসিত শিক্ষকরা বলছেন, এতে করে তাদের ভোগান্তি ও হয়রানি কমবে।
তারা বলেন, বিভিন্ন কাজে আমাদের শিক্ষার জন্যে ঢাকা যেতে হয়। এতে সময়ের ব্যয় হয়। আর এখানে হলে আমরা আরও মনোযোগ দিতে পারবো। ঢাকাতে থাকার সময় আমাদের সময় ও অর্থ দুটোই ব্যয় হতো। এখানে হলে আমরা দ্রুত সমাধান করতে পারবো। শিক্ষক ছাত্র ও ময়মনসিংহবাসী সবার জন্যে উপকার হবে।
ময়মনসিংহে শিক্ষাবোর্ড হলে এই অঞ্চলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যেমন উপকৃত হবে তেমনি রাজধানী ঢাকার ওপর থেকে চাপও কমবে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা।
তারা বলেন, এসএসসি পরীক্ষা যেন নতুন বোর্ডে অধীনে হয় তার আশাবাদ আমরা করছি। এখানে শিক্ষাবোর্ড হলে দ্রুত সময়ে মধ্যে পরীক্ষার খাতা জমা দিয়ে কম সময়ের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া সম্ভব হবে।
ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ জেলায় উচ্চ মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ের ১ হাজার ৬’শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে।
সূত্র : সময়টিভি অনলাইন।
ডেস্ক রিপোর্ট : অক্টোবর বিপ্লবের শতবর্ষ উদযাপনে মাসব্যাপী কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অক্টোবর বিপ্লব শতবর্ষ উদযাপন জাতীয় কমিটি।
শুক্রবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ক্যাফেটেরিায় সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শের অনুসারী ব্যক্তি ও সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত এই কমিটির সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অক্টোবর বিপ্লবের শত বছর পূর্তি উদযানপন উপলক্ষে সারা বিশ্বে আয়োজন চলছে, বাংলাদেশেও হচ্ছে।
“এই কর্মসূচিতে আমরা অক্টোবর বিপ্লবের ইতিবাচক দিকগুলো সবার কাছে তুলে ধরব। মানুষে মানুষে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করব।”
১৯১৭ সালের ১০ অক্টোবর রাশিয়ায় কমরেড ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ লেনিনের পরিচালনায় ও বলশেভিক পার্টির (কমিউনিস্ট পার্টির) নেতৃত্বে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা হয়। ২৫ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর বলশেভিকদের নেতৃত্বে প্রতিবিপ্লবীদের প্রতিরোধ ভেঙে মস্কো, গোটা রাশিয়া এবং পুরনো জার সাম্রাজ্যের অন্যান্য অংশে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “আজকের বাংলাদেশ পুঁজিবাদের চূড়ান্ত রূপ, তাই আমাদের উদযাপনটি প্রাসঙ্গিক। বাংলাদেশের মানুষকে সমাজতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করব। আমরা সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী তরুণদের মাঝে উদ্দীপনা সৃষ্টি করব। সমাজতান্ত্রিকদের একত্রিত করব।”
সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী সংগঠনগুলোকে এই আয়োজনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, পহেলা অক্টোবর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হবে। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ৭ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শোভাযাত্রা ও সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হবে।
বামধারার সংগঠনগুলো সভা সেমিনার ও আলোচনা সভার মাধ্যমে অক্টোবর বিপ্লবের ইতিবাচক দিক তুলে ধরে দেশের তরুণদের মাঝে উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ভাষা সৈনিক আহমদ রফিক ও বিভিন্ন বাম গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, প্রগতিশীল ছাত্র-যুব-শ্রমিক-কৃষক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।
সূত্র : বিডিনিউজ২৪।
আগামী ২৩ বা ২৪ জুলাই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা-২০১৭ এর ফল প্রকাশ হতে পারে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার একথা জানিয়েছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই দুই দিন ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ধরে সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় চেয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ফল প্রকাশের চূড়ান্ত দিনক্ষণ নির্ধারণ করবেন।
চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা হলে ওই দিন ফলাফলের অনুলিপি সর্বপ্রথম প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী ফল অবমুক্ত করার পরে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষামন্ত্রী ফলাফল ঘোষণা করেন। এরপর শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মোবাইলের মাধ্যমে ফল জানা যাবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য ২৩ ও ২৪ জুলাই সম্ভাব্য তারিখ ধরে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। সেখান থেকে তা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের এইচএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় পরীক্ষা গত ১৫ মে শেষ হয়। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয় ২৫ মে। ১০ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয় ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ জন শিক্ষার্থী।
৮ জুলাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ খুলে দেয়া হবে এবং ৯ জুলাই থেকে ক্লাস শুরু হবে।
শনিবার অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
একই সঙ্গে, গত ২৬-০৫-২০১৭ তারিখে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নাজমুল হাসান রানা ও মেহেদী হাসান আরাফাতের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করা হয়েছে এবং রানা ও আরাফাতের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়েছে।
সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, হলসমূহ খুলে দেয়ার পূর্বে নিহত নাজমুল হাসান রানা ও মেহেদী হাসান আরাফাতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। উপরন্তু এই দুই পরিবার থেকে একজন করে সদস্যকে যোগ্যতা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেয়া হবে।
ইতোমধ্যে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিএন্ডবি থেকে বিশমাইল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও স্পিড ব্রেকার নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
সিন্ডিকেট সভার অপর এক সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ পর থেকে বিভাগীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক পুনঃনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষাসমূহ অনুষ্ঠিত হবে। ২৭-০৫-২০১৭ তারিখে উপাচার্য মহোদয়ের বাসভবনে উদ্ভুত অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে দায়েরকৃত মামলা সম্পর্কে আইন উপদেষ্টার পরামর্শ নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম ও প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন প্রশাসনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছেন। তারা শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নিমিত্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী কর্মকর্তা ও কর্মচারি তথা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) গত কাল কমিশনের বৈঠক শেষে ৩৮তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগামী ১০ জুলাই থেকে শুরু হবে ৩৮তম বিসিএসের আবেদন। পিএসসি থেকে বলা হয়েছে যে ,এবারের ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে প্রায় দুই হাজার ২৪ জন নিয়োগ পাবেন।
আটত্রিশতম বিসিএসের মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ ও পুলিশ ক্যাডারে ১০০ জন, স্বাস্থ্য ক্যাডারে ২২৫, কৃষি ক্যাডারে ১৯১, শিক্ষা ক্যাডারের অধীনে সরকারি সাধারণ কলেজগুলোতে ৮৩৯ জনসহ বিভিন্ন ক্যাডারে ২ হাজার ২৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
তবে এই পদ সংখ্যা পরবর্তীতে আরো বাড়তে পারে।
প্রার্থীরা ১০ জুলাই থেকে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় আগামী ১০ আগস্ট। আবেদনের সময় অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে।
পিএসসির পিআরও জানান, এ বছর ইংরেজি ও বাংলা-উভয় মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়া যাবে। আগামী এই বিসিএস পরীক্ষায় ২০০ নম্বরের বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে ৫০ নম্বর কমিয়ে আনা হয়েছে। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যুক্ত করে ৫০ নম্বর নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে ইফতার করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ ইফতার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রিসভার সদস্য, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ অংশ নেন। বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সভাপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুও যোগ দেন অনুষ্ঠানে।
ইফতারের আগে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।