April 27, 2025
ডেস্ক রিপোর্ট : মাত্র ২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে বাংলাদেশ থেকে দুই বছরে প্রায় ১৩ কোটি টাকা লভ্যাংশ নিয়ে গেছে ভারতীয় কোম্পানি হাঙ্গামা। এই টাকা কোম্পানিটির মূলধনের প্রায় ৩২০ গুণ। বিষয়টিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘অস্বাভাবিক ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড’ হিসেবে দেখছে। এই বিষয়ে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানকে ‘হাঙ্গামা (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেডের অনিবাসী শেয়ার হোল্ডারদের অনুকূলে মাত্রাতিরিক্ত লভ্যাংশ প্রেরণ প্রসঙ্গে’ কয়েকটি বিষয়ে অভিমত চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক দুই বার চিঠি দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিটিআরসির সচিব মো. সরওয়ার আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে জানতে চেয়ে বিটিআরসিতে চিঠি দিয়েছে। এ বিষয়ে অপারেটরদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাঙ্গামা’র বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিযোগ, ২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ২০১৫ সালে ৬ কোটি ৭৪ লাখ ৮১ হাজার ২৫০ এবং ২০১৪ সালে ৬ কোটি ৭ লাখ ৩৩ হাজার ১২৫ টাকা লভ্যাংশ বাবদ ভারতে পাঠানো হয়েছে। এই টাকা ওই কোম্পানির মূলধনের প্রায় ৩২০ গুণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, হাঙ্গামার কর্মী-সংখ্যা মাত্র ১ জন। এছাড়া স্থায়ী কোনও স্থাপনা নেই। স্থায়ী স্থাপনাবিহীন ‘স্বল্প মূলধনী’ এ প্রতিষ্ঠানটি তাদের ১ জন মাত্র কর্মী দিয়ে মূলধনের প্রায় ৩২০ গুণ লভ্যাংশ ভারতে পাঠানোর বিষয়টিকে ‘অস্বাভাবিক ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড’ বলে অভিহিত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিটিআরসিকে দেওয়া চিঠিতে ‘হাঙ্গামা’কে ‘শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন অখ্যাত একটি কোম্পানি’ হিসেবে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রাপ্ত নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ‘হাঙ্গামা’ ভারতের হাঙ্গামা ডিজিটাল মিডিয়া এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড ও নিরাজ রায় (পরিচালক)-এর শতভাগ মালিকানাধীন একটি কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি মোবাইলফোনের ওয়াপ, সিআরবিটি (কলার রিং ব্যাক টোন) আইভিআর (ইন্টারঅ্যাক্টিভ ভয়েস রিকগনিশন) এবং মিউজিক স্ট্রিমিং সেবা দেয়।
‘হাঙ্গামা’র আর্থিক বিবরণী পর্যালোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ধরা পড়েছে, প্রতিষ্ঠানটির আয়ের সিংহভাগ (বেশির ভাগ অংশ) বিভিন্ন মোবাইলফোন অপারেটরগুলোর কাছে বিভিন্ন সেবা বিক্রির মাধ্যমে আসে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগ-প্রফিট, ডিভিডেন্ড রেমিটেন্স শাখা) মো. আলী আকবর ফরাজী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বিটিআরসির কাছে এই ধরনের সেবাদানের জন্য কোনও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে কিনা, এজন্য শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন অখ্যাত একটি কোম্পানিকে অনুমোদন দেওয়ার আদৌ কোনও যৌক্তিকতা আছে কিনা এবং মোবাইলফোন অপারেটরদের এত উচ্চমূল্যে এসব সেবা (ওয়াপ, সিআরবিটি, আইভিআর ও মিউজিক স্ট্রিমিং সেবা) দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপের প্রয়োজন আছে কিনা, এ সব বিষয়ে অভিমত চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া সম্প্রতি বিটিআরসিতে শর্টকোড চেয়ে আবেদন করেছে হাঙ্গামা। শর্টকোডটি ই-এন্টারটেইনমেন্ট (মিউজিক, ওয়ালপেপার, অ্যানিমেশন, গেমস, ভিডিও) সার্ভিসের চাওয়া হয়েছে। শর্টকোড বরাদ্দ দিতে বিটিআরসির অনুকূলে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা (১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ) চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। শর্টকোড চেয়ে টাকা জমা দেওয়ার আবেদনপত্রে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হিসেবে নিরাজ রায়ের স্বাক্ষর রয়েছে। স্বাক্ষরের নিচে ভারতের একটি ফোন নম্বর দেওয়া রয়েছে। প্যাডে প্রতিষ্ঠানটির গুলশানের ঠিকানা দেওয়া থাকলেও তাতে কোনও ফোন নম্বর বা ই-মেইল ঠিকানা নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি পাওয়ার পর বিটিআরসি বিষয়টি আমলে নিয়েছে। শর্টকোডের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানা গেছে।
হাঙ্গামার কার্যালয় গুলশানে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশান এক নম্বরের ১২৬ নম্বর রোডে অবস্থিত কার্যালয়ে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। সিঁড়ির কাছের দেয়ালে সাঁটানো প্লাস্টিকের সাইনবোর্ডে ‘হাঙ্গামা’র লোগো বসানো। নিচে ইংরেজিতে লেখা হাঙ্গামা (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেড। ভবনটির ৪র্থ তলায় সিআইএমএ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং নামের একটি অফিসের সঙ্গে হাঙ্গামার অফিস শেয়ার করা। অফিসে ঢোকার মূল দরজা একটিই। দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকলে ডান পাশের দরজাওয়ালা কক্ষটি হাঙ্গামার। দরজার ওপরে সাদা কাগজে কালো হরফে লেখা হাঙ্গামা (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেড। দরজায় তালা ঝোলানো ছিল। সিআইএমএ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং প্রতিষ্ঠানের কর্মী আজিজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে জানান, ‘অফিস মাঝে মাঝে বন্ধ থাকে। তবে একজন কর্মী অফিসে বসেন।’ আজ (বৃহস্পতিবার) কেন অফিস বন্ধ জানতে চাইলে তিনি তা বলতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘একটি কক্ষেই হাঙ্গামার অফিস।’ তিনি ওই কক্ষটি দেখেছেন বলেও দাবি করেন।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ‘হাঙ্গামা’ বাংলাদেশে নিবন্ধিত (বাংলাদেশ অফিস অব দ্য রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসে) একটি কোম্পানি। যার নিবন্ধন নম্বর সি-৮৬৪৮৪।
বিটিআরসিতে শর্টকোডের জন্য টাকা জমা দিয়ে নম্বর চেয়ে আবেদনের নিচে নিরাজ রায়ের দেওয়া ফোন নম্বরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফোন করা হলে অন্য প্রান্ত (ভারত) থেকে জানানো হয়, এটা হাঙ্গামার ভারতের মুম্বাই অফিসের নম্বর, কথা বলা হয় রিসিপশন থেকে। নিরাজ রায়ের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে এই প্রতিবেদককে জানানো হয়, নিরাজ রায় অফিসে নেই। মোবাইল নম্বর চাইলেও দেওয়া হয়নি। পরে আবার ফোন করলে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করিয়ে প্রিয়াংকা নামের একজনকে দেওয়া হয়, যিনি হাঙ্গামার মুম্বাই অপারেশন দেখেন বলে জানান। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘হাঙ্গামার বাংলাদেশের অফিস চালু রয়েছে। ওই অফিস থেকেই বাংলাদেশের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।’ বৃহস্পতিবার গুলশানে অফিসে গিয়ে বন্ধ থাকার কথা তাকে জানালে, কেন অফিস বন্ধ তা তিনি জানাতে পারেননি। তিনি আরও জানান, ‘বাংলাদেশের মোবাইলফোন ব্যবহারকারীরা তাদের কাছ থেকে কনটেন্ট নিয়ে থাকে।’ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। প্রিয়াংকা এই প্রতিবেদকের নম্বর নিয়ে জানান, ‘কিছুক্ষণের মধ্যে তাদের আইন বিভাগের কর্মকর্তা ফোন করে বিস্তারিত জানাবেন।’ এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত এই প্রতিবেদকের কাছে হাঙ্গামা থেকে কোনও ফোন আসেনি।
এদিকে দেশের একাধিক মোবাইলফোন অপারেটরের কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, তাদের গ্রাহকরা বিভিন্ন কনটেন্ট প্রোভাইডারদের থেকে মোবাইলে গান, ওয়াল পেপার ডাউললোড করেন, রিংটোন বা ওয়েলকাম টিউন সেট (এজন্য মোবাইল গ্রাহকের ব্যালেন্স থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়) করেন, তার জন্য ওই প্রতিষ্ঠান (হাঙ্গামার মতো অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে) সংশ্লিষ্ট অপারেটরের সঙ্গে চুক্তির শর্তানুযায়ী রাজস্ব ভাগাভাগি করে। হাঙ্গামাও বিভিন্ন অপারেটরের কাছ থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব ভাগাভাগির বেশিরভাগ অর্থ থেকে লভ্যাংশ (প্রায় ১৩ কোটি) বাবদ ভারতে পাঠিয়েছে।
কনটেন্ট নিয়ে কাজ করেন, এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করলে ভবিষ্যতে তাদের সমস্যা হতে পারে ভেবে কেউই উদ্ধৃত হয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তবে তারা এজন্য ভ্যাস (ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস) গাইডলাইন না থাকাকে দায়ী করেন। তাদের ভাষ্য, ভ্যাস গাইডলাইন থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সেবা দিতে হলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে লাইসেন্স নিতে হতো। তাহলে জবাবদিহির একটা বিষয় থাকতো। অনুমোদন নেওয়ার কোনও বাধ্যবাধকতা থাকলে যেকেউ যেনতেনভাবে ব্যবসা করে যেতে পারত না। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই চিঠিতে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুমোদন না নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তা যুক্তিযুক্তও কিনা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জানতে চাইলে বিটিআরসির সচিব মো. সরওয়ার আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে জানতে চেয়ে বিটিআরসিতে চিঠি দিয়েছে। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্পষ্ট জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির কোনও স্থায়ী স্থাপনা নেই এবং এর শুধু একজন কর্মী রয়েছে। আমরা সব মোবাইলফোন অপারেটরের কাছে এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চেয়েছি। অপারেটরদের থেকে তথ্য পাওয়ার পর তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডেস্ক রিপোর্ট : একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যশোরের মোটরসাইকেল মেকানিক মিজানুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আর্থিক অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, যার একটি অংশ ইতিমধ্যে ছাড় করাও হয়েছে।
মিজানুর রহমানের প্রকল্পের নাম ‘অ্যাম্বুলেন্স ভেহিকল উইথ লোকাল টেকনোলজি’। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘একসেস টু ইনফরমেশন’ (এটুআই) প্রোগ্রাম মিজানের এই প্রকল্পে চার লাখ দশ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক (ইনোভেশন) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ বিষয়ে অর্থ ছাড় ও প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে গত ২১ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এটুআই এর সঙ্গে মিজানের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
নিজের উদ্ভাবিত জিপে মিজানুর রহমান নিজের উদ্ভাবিত জিপে মিজানুর রহমান নিজের কারখানায় মিজানুর রহমান নিজের কারখানায় মিজানুর রহমান এর আগে গত ১৮ মার্চ এটুআই প্রোগ্রামের কারিগরি বিশেষঞ্জ প্যানেল মিজানের ‘অ্যাম্বুলেন্স ভেহিকল উইথ লোকাল টেকনোলজি’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়।
মিজান বলেন,“প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রথম কিস্তির দুই লাখ ৪৬ হাজার টাকার একটি চেক আমি পেয়েছি। প্রাথমিক কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছি।”
এর আগে মিজান উদ্ভাবন করেন অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, ডিজিটাল সিজার, (কাঁচি),যা দিয়ে শত শত মাইল দূর থেকে কোনো প্রকল্পের ফিতা কেটে উদ্বোধন করা যাবে। স্থানীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে চার চাকার জিপিউদ্ভাবন করেন তিনি। এরপর তৈরি করেন ‘পরিবেশ সেফটি যন্ত্র’ ও ‘ধোঁয়া রিসাইক্লিনিং যন্ত্র’ উদ্ভাবন করেছেন।
মিজান বলেন, পরিবেশবান্ধব ধোঁয়া রিসাইক্লিনিং যন্ত্র ব্যবহার করে ধোঁয়াকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে তার।এ ব্যাপারে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
মেলায় প্রদর্শনীতে মিজানের উদ্ভাবিত জিপ মেলায় প্রদর্শনীতে মিজানের উদ্ভাবিত জিপ এটুআই প্রোগ্রামের সঙ্গে মিজানের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান এটুআই প্রোগ্রামের সঙ্গে মিজানের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান মিজান জানান, চলতি বছরের ৪ থেকে ৮ জুন ঢাকার শেরেবাংলা নগরে পরিবেশ অধিদপ্তরের মেলায় অংশ নিয়ে প্রশংসাপত্র ও খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তর এ বছর ‘পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের’ জন্য ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাকে শুভেচ্ছা স্মারক দিয়েছে।
তিনি বলেন, “স্থানীয় ও দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে চার চাকার জিপ গাড়িটি তৈরির পর সেটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরে রেখে দিয়েছি।ওই গাড়ি তৈরিতে ব্যয় হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা।”
যশোরের শার্শা উপজেলার শ্যামলাগাছি গ্রামের মিজানুর রহমান মিজান পেশায় মোটরসাইকেল ম্যাকানিক। বিভিন্ন যন্ত্র উদ্ভাবন করে উপজেলা, জেলা,বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে বেশ কয়েকটি ক্রেস্ট, সন্মাননা ও নগদ অর্থ পেয়েছেন।
সূত্র :
ডেস্ক রিপোর্ট : আগামী ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে একটি ‘ক্যাশলেস সোসাইটি’ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক সেমিনারে তিনি বলেন, “গত মে মাসে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় নির্দেশনা দিয়েছেন, আগামী ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে একটি ক্যাশলেস সোসাইটি হিসেবে তৈরি করতে চান।
“দেশে ই-কমার্সের বিপ্লব সাধন করার জন্য এ নির্দেশনা।”
‘ই-কমার্স পেমেন্টস অ্যান্ড লজিস্টিকস’ শীর্ষক ওই সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব বলেন। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ও মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এসসিসিআই) যৌথভাবে গুলশানের লেকশোর হোটেলে এ সেমিনার আয়োজন করে।
পলক বলেন, “বাংলাদেশকে একটি ক্যাশলেস সোসাইটি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ই-কমার্স সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
“এতে একদিকে যেমন ক্যাশ লেনদেন না হওয়ায় আমরা দুর্নীতি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে পারব, অপরদিকে যাওয়া-আসার জন্য যে ট্রাফিক জ্যাম এগুলোও কিন্তু অনেক কমে আসবে।”
এটা করতে পারলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এতে জনগণের হয়রানি-পেরেশানি দূর হবে।
সেমিনারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান, বেসিসের সভাপতি মোস্তাফা জব্বার এবং এমসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি গোলাম মাইনুদ্দিন বক্তব্য রাখেন।
টেকনোহ্যাভেন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বেসিসের সাবেক সভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশে ৬৬ মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর প্রায় ২২ শতাংশ অনলাইন শপিং করছেন বলে সেমিনারে জানানো হয়।
প্রযুক্তি রিপোর্ট : মোবাইলে কল এলে বাটন কিংবা স্ক্রিন চেপে রিসিভ করতে হবে না। হাসি দিলে সঙ্গে সঙ্গে রিসিভ হয়ে যাবে ফোন। বিজ্ঞানীরা এমন একটি প্লাগ উদ্ভাবন করছেন যেটা দিয়ে সহজে কাজটি করা যাবে। নতুন এই প্লাগটি ব্যবহারকারীদের কানে সংযুক্ত করতে হবে, যা মানুষের মুখভঙ্গি বুঝতে সক্ষম। ফলে হাসি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কানে স্থাপন করা ডিভাইসটি গ্রাহকের হাসি বুঝতে পারবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে কল রিসিভ হবে।
আধুনিক প্রযুক্তির স্মার্টফোন স্ক্রিনে টাচ করার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ব্যবহারকারীর জীবনকে এটা আগের চেয়ে অনেক সহজ করে দিয়েছে। এবার স্মার্টফোন ব্যবহারকে আরও উপভোগ্য করে তুলতে বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করছেন নতুন ধরনের ইয়ার প্লাগটি।
জামার্নির ফ্রাউনহফার কম্পিউটার গ্রাফিক্স রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একদল বিজ্ঞানী প্লাগটি নিয়ে কাজ করছেন। তারা ইয়ার-ফিল্ড-সেন্সিং নামের একটি প্রযুক্তি ইয়ার প্লাগে ব্যবহার করছেন, যার মাধ্যমে ডিভাইসটি ব্যবহারকারীদের সব ধরনের মুখভঙ্গি বুঝতে সক্ষম। কিন্তু বর্তমানে অন্যসব বাদ দিয়ে হাসির ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
সূত্র: গেজেটস নাউ
স্যোসাল মিডিয়ায় ফেসবুকে প্রতিদিন লাখো ব্যবহারকারী প্রচুর সময় খরচ করে। এমন ভার্চুয়াল দুনিয়ায় এত সময় ব্যবহার করে মানুষ। সেই কথা ভেবে ফেইসবুক বাস্তব দুনিয়ায় নিজেদের গ্রাম বানাতে যাচ্ছে।
ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন সাইট বিজনেস ইনসাইডার-এর এক প্রতিবেদনে বলে, ফেইসবুক নিজের পুরো আলাদা একটি শহর বানাতে চায়। যেখানে এক কথ্ঢ সবকিছু থাকবে।
প্রযুক্তি ডেস্ক : বৃহস্পতিবার ত্রুটি দেখা গেছে গুগলের কিছু সেবায়। এর মধ্যে অ্যাডমিন কনসোল, ক্যালেন্ডার ও হ্যাংআউট রয়েছে।
ইতোমধ্যে ত্রুটি সমাধান হয়েছে বলেও জানিয়েছে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি। গুগল সেবার স্ট্যাটাস পেইজে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয় সমস্যাটি সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে– খবর রয়টার্স-এর।
গুগল বলেছে, “গুগল ড্রাইভ-এর সমস্যাও এখন মিটে যাওয়া উচিত।”
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সমস্যা দেখে যায় গুগল ড্রাইভে। এবার একই ধরনের সমস্যা দেখা গেছে প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য সেবায়।
বৃহস্পতিবার গুগলের কিছু সেবায় ত্রুটির অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করে গুগল কর্তৃপক্ষ এবং এটি সমাধানে দ্রুত প্রদক্ষেপ নেওয়া হয়।
প্রতিষ্ঠানের সেবায় ঠিক কী ধরনের ত্রুটি দেখা গেছে তা নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখা দেয়নি গুগল।
টেক ডেস্ক : কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ট্যাব ইত্যাদির নিরাপত্তার জন্য অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করা হয়। অ্যান্টি-ভাইরাস পাওয়া যায় দুইভাবে, পেইড (টাকা দিয়ে কিনতে হয় যাকে বলে লাইসেন্সড) এবং আনপেইড (ফ্রি, যেটা ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করতে হয়)। তবে ফ্রি অ্যান্টি-ভাইরাস সব সময় ব্যবহার করা ঠিক নয়। কারণ, ফ্রি অ্যান্টি-ভাইরাসে সব সুবিধা চালু থাকে না। ফলে র্যা নসমওয়্যারের মতো বিধ্বংসী ভাইরাসগুলো ডিটেক্ট করে তা মারতে পারে না। এজন্য মাঝে মধ্যেই অ্যান্টি-ভাইরাস (ফ্রি ভার্সন) থাকার পরও সমস্যায় পড়তে হয়।
টাকা দিয়ে কিনতে হয় অ্যান্টি-ভাইরাস যেমন- ক্যাস্পারস্কি, অ্যাভিরা, পান্ডা, ই-সেট, ই-স্ক্যান, রিভ ইত্যাদির ফ্রি ভার্সন রয়েছে। ব্র্যান্ডভেদে এগুলোর মেয়াদ ৯০-১২০ দিন পর্যন্ত। মেয়াদ পেরিয়ে গেলে তা আবার ডাউনলোড করতে হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফ্রি অ্যান্টি-ভাইরাসে সবগুলো অপশন অন থাকে না। ফলে নীরবে বা ব্যবহারকারীর অজ্ঞাতে ভাইরাস বড় ধরনের সমস্যা করে ফেলতে পারে সংশ্লিষ্ট ডিভাইসে। এছাড়া লাইসেন্সড অ্যান্টি-ভাইরাস চালু থাকলে পিসি বা অন্যান্য ডিভাইসের যে গতি থাকে ফ্রি অ্যান্টি-ভাইরাসে তা থাকে না। ফলে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার ছাড়া ফ্রি অ্যান্টি-ভাইরাস দীর্ঘদিন ব্যবহার না করাই ভালো।
তরুণদের কাছে এই অ্যান্টি-ভাইরাসের ফ্রি ভার্সনগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়। মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তরুণরা ওই এই অ্যান্টি-ভাইরাস রি-ইনস্টল করে বা আপডেট করে নেয়। কিন্তু দেশে অ্যান্টিভাইরাস নিয়ে কাজ করেন এমন বিশ্লেষক ও বিপণনবিদরা বললেন, ফ্রি অ্যান্টি-ভাইরাস নিয়ে তরুণদের যে ধারণা তা সঠিক নয়। ফ্রি অ্যান্টি-ভাইরাসে সবগুলো সুবিধা বিদ্যমান থাকে না। ফলে মাঝে মাঝে অচেনা ভাইরাস আক্রমণ করে বসলে তা মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়ে। তরুণদের প্রতি তাদের পরামর্শ, এই অ্যান্টি-ভাইরাসের ফ্রি ভার্সন অবশ্যই তারা ব্যবহার করবে কিন্তু পরীক্ষামূলকভাবে দেখার পরে তারা ঠিক করে নেবেন কোনটা তারা ব্যবহার করবেন।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ও ভুটানে অ্যান্টি-ভাইরাস ‘ক্যাসপারস্কি ল্যাব’-এর পরিবেশক অফিস এক্সট্র্যাক্টসের প্রধান নির্বাহী প্রবীর সরকার জানান, বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায় এমন অ্যান্টি-ভাইরাসের মাধ্যমে র্যা নসমওয়্যারের মতো ভাইরাসের আক্রমণ বেশি হয়। এছাড়া বিনামূল্যের অ্যান্টিভাইরাস বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরনো বছরের (আগের বছরের) সংস্করণ রাখে যা প্রকৃতপক্ষে নতুন নতুন ভাইরাসের আক্রমণ ঠেকাতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন যেখানে প্রায় সাড়ে তিন লাখ ভাইরাস তৈরি হয় যা একমাত্র রেজিস্টার্ড অ্যান্টিভাইরাস (যা নিয়মিত হালনাগাদ করা) ব্যবহার করে নিরাপদ থাকা সম্ভব।
অ্যাভিরা অ্যান্টি-ভাইরাসের পণ্য ব্যবস্থাপক রাকিবুজ্জামান তালুকদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ফ্রি অ্যান্টি-ভাইরাস সাধারণ ভাইরাসকে ধরতে (ডিটেক্ট) পারে কিন্তু জটিল বা বিধ্বংসীগুলোকে পারে না।’
তিনি জানান, একটি লাইসেন্সড অ্যান্টি-ভাইরাসে সাধরণত ওয়েব, ই-মেইল এবং রিয়েল টাইম প্রটেকশন চালু থাকে। যার সবগুলো (অপশন) ফ্রি অ্যান্টি-ভাইরাসে চালু থাকে না। ফ্রি অ্যান্টি-ভাইরাস কাস্টমাইজড করা থাকে। কেবল বেসিক প্রকেটশন চালু থাকে। তাই দীর্ঘদিন ফ্রি অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার না করাই ভালো।
রিভ অ্যান্টিভাইরাসের বিপণন ব্যবস্থাপক ইবনুল করিম রূপেন বলেন, ‘আপনি কি আপনার বাসার দারোয়ান ফ্রি-তে রাখবেন? একজন দারোয়ান বিনা বেতনে কেন আপনাকে নিরাপত্তা দেবে? কম্পিউটারে ফ্রি অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করেছেন মানে আপনি নিজের সবকিছু ফ্রি দারোয়ানের হাতে তুলে দিলেন।’
তিনি মনে করেন, লাইসেন্সড অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে প্রায় শতভাগ নিরাপদ থাকা সম্ভব।
পেইড ও আনপেইড অ্যান্টি-ভাইরাস নিয়ে কিছু তথ্য:
ইন্টারনেট ঘেঁটে জানা গেল, ফ্রি অ্যান্টি-ভাইরাস (আনপেইড) গড়ে ১৫ দশমিক ২ শতাংশ ভাইরাস ধরতে পারে। পেইড (লাইসেন্সড) অ্যান্টিভাইরাসে এই হার ৯৬.২ শতাংশ। ফ্রি-অ্যান্টিভাইরাসে ম্যালওয়্যার অপসারণের গড় হার ৩৪ শতাংশ। আর পেইড অ্যান্টি-ভাইরাস অপসারণ করতে পারে ৭৪ শতাংশ ম্যালওয়্যার। ফ্রি অ্যান্টি-ভাইরাস শুধু বেসিক স্ক্যানিং করে। লাইসেন্সড ভার্সনে থাকে পিসি টিউন-আপ ও ট্র্যাকিংসহ অনেক অগ্রসর সুবিধা। অনিয়মিত আপডেটের ফলে ফ্রি অ্যান্টি-ভাইরাসের একসময় কার্যকারিতা কমে যায়। ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস ছাড়া হয় ব্যবহারকারীদের ব্রাউজিং হ্যাবিট তথা অভ্যাস (কি কি ব্রাউজ করা হয়) জানতে।
আইফোন কিংবা আইপ্যাডের তথ্য ধারণক্ষমতার সীমাবদ্ধতা এবং যেকোনও অপারেটিং সিস্টেমের ডিভাইসে নিরপদে তথ্য পরিবহনের সুবিধা সমন্বিত দ্বিমুখী ফ্ল্যাশ ড্রাইভ দেশের বাজারে অবমুক্ত করেছে টেক রিপাবলিক লিমিটেড।
প্রতিষ্ঠানটির পরিবেশিত অ্যাপাসার ওটিজি এএইচ১৯০ মডেলের এই ডুয়াল ফ্ল্যাশ ড্রাইভটির রয়েছে ১৬জিবি, ৩২জিবি ও ৬৪জিবি তথ্য সংরক্ষণ ক্ষমতা। দুটি রঙের এই ফ্ল্যাশ ড্রাইভের দাম যথাক্রমে এক হাজার ৯০০, ৩ হাজার ৯০০ এবং ৫ হাজার ৫০০ টাকা।
ডিভাইসটি বিষয়ে টেক রিপাবলিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, অ্যাপাসার এএইচ ১৯০ ফ্ল্যাশ ড্রাইভটি একইসঙ্গে তথ্য ধারণ ও পরিবহনের একটি সুরক্ষিত ডিভাইস। এটি অ্যাপল ডিভাইসে লাইভ স্টোরেজ হিসেবেও দিব্যি কাজ করে।
স্যামসাং আসছে আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে গ্যালাক্সি নোটের পরবর্তী সংস্করণ গ্যালাক্সি নোট-৮ বাজারে অবমুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে। এ উপলক্ষে নিউইয়র্ক সিটিতে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের চেষ্টা চলছে।
নতুন সংস্করণটির সঙ্গে সম্পৃক্ত এক ব্যক্তি বিষয়টি রয়টার্সকে জানান। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি দেওয়ার কোনও অনুমতি না থাকায় তথ্যদাতা নিজের নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হননি।
তিনি রয়টার্সকে বলেন, গ্যালাক্সি নোট-৮-এ একটি বাঁকা পর্দা থাকবে যা আকারে গ্যালাক্সি এস-৮ স্মার্টফোনটির ৬.২ ইঞ্চি পর্দার তুলনায় সামান্য বড় এবং এর পিছন দিকে থাকছে দুটি ক্যামেরা।
তবে স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের মুখপাত্র অবশ্য এসব তথ্য প্রত্যাখ্যান করেছেন। গ্যালাক্সি নোট-৭ এর মারাত্মক সংকটে পড়ার পরও স্যামসাং তাদের প্রিমিয়াম নোট সিরিজটিকে অব্যাহত রাখার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। ব্যাটারির অগ্নিকাণ্ডজনিত সমস্যার কারণে অক্টোবরে বাজারে আসার দুই মাসের মধ্যেই স্যামসাং তাদের গ্যালাক্সি নোট-৭ ফোনটিকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। এই ঘটনাটিকে প্রযুক্তি শিল্পের ইতিহাসে পণ্যের নিরাপত্তাজনিত সবচেয়ে বড় একটি দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর ফলে কোম্পানিটির ৬.১ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়। তবে এ দুর্ঘটনার ফলে কোম্পানিটির তাদের এতদিনের অর্জিত গ্রাহক বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে।
সূত্র: গেজেটস নাউ
ঈদে প্রিয়জনকে বিশেষ উপহারে চমকে দিতে প্রযুক্তির দোকানগুলোতে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। ব্যবসায়ীরাও স্মার্ট ফোন, ক্যামেরা, নোটবুকসহ নতুন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। কিছু কিনলে থাকছে অর্থছাড় ও বিশেষ পুরস্কার।
নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ থেকে পরিবারসহ ইদের কেনাকাটা করতে এসেছেন সুষমা। বাবার কাছ থেকে ঈদের উপহার হিসেবে পেয়েছেন পছন্দের মোবাইল ফোন। তার মতো অনেকেই এসেছেন ঈদের উপহার হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তির নানা পণ্য কিনতে।
ক্রেতাদের পছন্দের তালিকার প্রথমেই আছে স্মার্ট ফোন। এর পরেই ইন্টারনেট সুবিধার ট্যাবলেট-নোটবুক ও ল্যাপটপ কম্টিউটার। ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিনই বাড়ছে ক্রেতা সমাগম। তাদের আকৃষ্ট করতে দামে ছাড়সহ থাকছে নানা উপহার।
ঈদ উপহার হিসেবে ক্যামেরার কদরও চোখে পড়ার মতো। একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা বিক্রি হচ্ছে ৪০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকায়।
সময়ের সঙ্গে বাড়ছে প্রযুক্তির ব্যবহার। তাই ঈদ উপহার হিসেবে আগামীতে এসব পণ্য বিক্রি আরো বাড়বে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।